এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  গান

  • গানের ঝর্ণাতলায় (অন্তিম পর্ব)

    দীপংকর বসু লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৯২৯ বার পঠিত
  • (৫)

    কোন একবার বেঙ্গল ক্লাবের রবীন্দ্র মঞ্চে তাঁর গান একেবারেই জমল না। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে বসেই জর্জদা জানতে চাইলেন গান কেমন লাগল। দেখি গাড়ির মধ্যে বসে থাকা আর বাকি সবাই উসখুস করছে - কিন্তু কেউই কোন জবাব দিচ্ছেনা। জর্জদা সেটা লক্ষ্য করে এবার আমাকে সরাসরি ধরলেন - "বড়খোকা গান কেমন লাগল বললে না তো!' অকুস্থলে হাজির সবার মধ্যে কনিষ্ঠতম আমি, কাজেই অসীম কুন্ঠার সঙ্গে আমতা আমতা করে কোন মতে বললাম "কেন জানি না, আজ গানগুলি ঠিক জমেনি' আমার বক্তব্য শুনে গম্ভীর হয়ে গেলেন। গাড়ির মধ্যে যেন মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা নেমে এল। সেই থমকে থাকা সময়ে আমি শ্বাস রোধ করে বসেছিলাম আর ভাবছিলাম কেন এ কথা বলতে গেলাম জর্জদাকে! সামান্য কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর জর্জদা বললেন - "ঠিক কথা। আজ কেন জানি না কিছুতেই grip পাইলাম না।' বাড়িতে ফিরেও লক্ষ্য করেছিলাম জর্জদা যেন কিছুটা আনমনা হয়ে আছেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ মজলিশি মেজাজ যেন উধাও হয়ে গেছে। এখন বুঝতে পারি কি গভীর অতৃপ্তি তাঁকে অন্তর থেকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। সেবারই এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটালেন জর্জদা। উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করলেন পরের দিন তাঁকে আবার গাইতে দেওয়ার জন্য। এই অতিরিক্ত অনুষ্ঠানের জন্য যে তিনি কোন পারিশ্রমিকের প্রত্যাশা রাখেন না সে কথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন। উদ্যোক্তারা সানন্দে রাজি হয়ে গেলেন। দ্বিতীয়দিন আবার গান করলেন জর্জদা। অন্তরের এই যে অতৃপ্তি এ বোধহয় সমস্ত শিল্পীদেরই তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় জীবনভোর। নইলে রবীন্দ্রনাথ লিখবেন কেন -

    আমার লাগে নাই সে সুর আমার বাঁধে নাই সে কথা
    শুধু প্রাণেরই মাঝখানে আছে গানের ব্যাকুলতা


    এই অতৃপ্তির আঁচ লেগেছিল আমার গায়েও। এক দিন বিকেলে কী খেয়াল হল হঠাৎ শুনতে চাইলেন গান। নিজে হারমোনিয়াম নিয়ে বসলেন। আমি গাইলাম "কেন যে মন ভোলে আমার মন জানেনা।'

    বেশ হচ্ছিল গান। স্থায়ী, অন্তরা সঞ্চারীর শেষে আভোগে গাইছিলাম -- "কাজ করে সব সারা ঐ এগিয়ে গেল কারা ...' হঠাৎ গানে পড়ল বাধা। জর্জদা হারমোনিয়াম বাজানো বন্ধ করে অত্যন্ত রুঢ়ভাবে বলে উঠলেন "ঐ, কী? ঐ কি তোমার সাকর?(চাকর)

    কাজ করে সব সারা ঐ এগিয়ে গেল কারা। গাইতে গিয়ে "ঐ শব্দের আমার উচ্চারণের ভঙ্গী তাঁর কিছুতেই মনমত হয় না। দূরস্থিত কোন কিছুর দিকে নির্দেশ করতে গেলে ঐ শব্দটি যে ভাবে উচ্চারিত হওয়া উচিৎ তা আমার কণ্ঠে আসছিল না কিছুতেই। যতবার লাইনটি ফিরে ফিরে গেয়ে শোনাই ততবারই তাঁর পছন্দ হয় না। এমনকি এক সময়ে জর্জদা নিজেও বার কয়েক গেয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন ঠিক কী চাইছেন তিনি। একটা দূরত্বের আভাষ কিছুতেই আসছিল না আমার উচ্চারণে। সামান্য দুই অক্ষরের "ঐ' শব্দটির বিশেষ অর্থবাহী উচ্চারণের ভঙ্গীটি আয়ত্ব করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল সেদিন বিকেলে।

    নিজের গান নিয়েও এমনি নির্মম ছিলেন জর্জদা। তাঁর রাসবিহারী আভেন্যুএর বাড়িতে অবসর পেলেই গিয়ে হাজির হতাম। তেমনি এক সকালে গিয়ে দেখি জর্জদা গাইছেন - হে নিরুপমা, গানে যদি লাগে বিহ্বল তান করিও ক্ষমা। স্বভাবতই কোন কথা না বলে চুপ করে একটা মোড়া টেনে নিয়ে বসি। দেখলাম একটাই লাইন বিভিন্ন ভাবে কতবার যে গাইলেন! কিছুতেই আর মন:পুত হয়না। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলেন "নাহ এ হবে না'। এখন বুঝতে পারি কী গভীর যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হতেন এই রকম সময়গুলিতে - যখন গানে প্রার্থিত ব্যাঞ্জনা ধরা দিত না। এই গানটি জর্জদার কন্ঠে অন্তত আমি আর কোন দিন শুনেছি বলে মনে পড়েনা।

    কিছুটা স্বতন্ত্র জাতের হলেও গান গাইতে না পারার যন্ত্রণার কথা তাঁর স্বরচিত দুটি গানে খুব সরল কথ ও সুরে প্রকাশ পেয়েছে। একবার তাঁর বাড়িতে প্রভাতী আড্ডার ফাঁকে নিজে থেকেই বললেন "বড়খোকা তোমাকে দুটো বাঙালের গান শোনাই' বলে হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে পর পর দুখানি গান গেয়ে শোনালেন -

    চাঁদ সূরয গ্রহ তারা ভরা আশমান
    ব্যাবাগে হ্যারা বাজনা দিয়া ভইর‌্যা দেয় পরাণ
    সেই বাজনার তালে আমি গাইতাম কত গান, বন্ধু গো


    আর অন্যটি

    ক্যারে হ্যারা আমারে গাইতে দিলনা
    আমি বুঝতাম পারলমনা...


    গানদুটি গাওয়া সেষ হলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে মুচকি হেসে জানতে চেয়েছিলেন "কী? কেমন লাগল?' তার পর নিজেই জানালেন গান দুটি তৈরী হয়েই আছে, এবার যেদিন শরীর আর গলা ভালো থাকবে স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করে আসব। ভাবলে নিজের মনেই পুলকিত হই এই ভেবে, যে জর্জদার মত গায়কের দুটি গানের জন্মলগ্নের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমি। এমন সৌভাগ্য খুব কম লোকেরই হয়।

    এমনই এক ঘরোয়া আড্ডার ফাঁকে আর একটি গান তাঁর গলায় শুনে চমকে উঠেছিলাম - এ যে মোর আবরণ ঘুচাতে কতক্ষণ। গানটি পরবর্তীকালে জামশেদপুরে কোন আসরেও গেয়েছিলেন। পূজাপর্যায়ের গানটি গীতবিতানে ঠাঁই পেলেও এর সুর সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের আরো বেশ কিছু গানের মত হারিয়ে গিয়েছে কালের গর্ভে। তাই হঠাৎ জর্জদার কন্ঠে গনটি শুনে কৌতূহল জেগেছিল সুরের উৎসকে ঘিরে। হঠাৎ করে মনে হতেই পারে এ সুর রবীন্দ্রনাথের গানের চেনা চলনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। কিন্তু,পরমুহূর্তেই মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের এমন কিছু গানও তো আছে যা শুনলে মনে হয় নিজের গড়ে তোলা সুরের ধ্রুপদী জাল ছিঁড়ে যেন বেরিয়ে আসতে চাইছেন নতুন এক রবীন্দ্রনাথ। এই মুহূর্তে যে গানটির কথা মনে আসছে সেটি হল "ধূসর জীবনের গোধুলিতে ক্লান্ত মলিন যেই স্মৃতি।' অনেকেই যাঁরা গানটি শুনেছেন তাঁরা স্বীকার করবেন এ এক নতুন জাতের সুর। তেমনি এক অসাধারণ গতিময়, ঝকঝকে নাটকীয় উপস্থাপনা শুনেছিলাম জর্জদার কণ্ঠে। একেবারে প্রথম স্বরোচ্চারণের সঙ্গে গানটি শ্রোতাদের মাতিয়ে দিতে পারে -

    এ যে মোর আবরণ
    ঘুচাতে কতক্ষণ!
    নি:শ্বাস বায় উড়ে চলে যায়
    তুমি যদি কর মন।


    এ গানের উপভোগ্যতা বর্ণনা করি এমন ভাষা আমার আয়ত্বাধীন নয়। সঞ্চারীতে জর্জদা যখন গাইতেন

    রথের চাকার রবে
    জাগাও জাগাও সবে
    আপনার ঘরে এসো বল ভরে
    এসো এসো গৌরবে।


    স্থির হয়ে বসে থাকা দু:সধ্য হয়ে উঠত এমনি গানের সুরের ঝংকার। মনে হত যেন এক প্রবল জলোচ্ছসে আমায় ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে।

    অবোধ আমি, সে সময়ে ভোগ করেছি কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখি নি। তাই সুরটির উৎস সম্পর্কে কী যে বলেছিলেন আজ আর মনে পড়ে না। সম্ভবত ব্রাহ্মসমাজে কোনকালে শোনা গানটির সুরের কাঠামোর ওপরে জর্জদা নিজের বোধের রঙ লাগিয়ে এক অসাধারণ গান উপহার দিয়েছিলেন আমাদের।

    রবীন্দ্রনাথের সুর হারিয়ে যাওয়া এমনি আরও কিছু গান জর্জদা গেয়েছেন, যেমন- আমার হারিয়ে যাওয়া দিন, মেঘেরা চলে চলে যায়, যারা বিহান বেলায় গান এনেছিল আমার মনে। শুনেছি জর্জদার গাওয়া যারা বিহান বেলায় গানটি শুনে জনৈক বর্ষীয়সী রবীন্দ্রানুরগী মন্তব্য করেছিলেন: গানের সুরটি একেবারেই রাবীন্দ্রিক ঘরানা বহির্ভূত!

    মনে আছে এ যে মোর আবরণ গানটি শুনে শুনে তুলে নিয়েছিলাম আর জর্জদাকে শুনিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম। খুব খুশী হয়েছিলেন গান শুনে। পরে একটি চিঠিতে কথায় কথায় জর্জদা বাবাকে লিখেছিলেন হয়তো ভবিষ্যতে "খোকারা' কোন গানে ঠেকে গেলে মনে করতে চেষ্টা করবে এই গান জর্জদা কীভাবে গাইতেন। আজ লাইনটি লিখতে গিয়ে চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠছে। মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁরই গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত -

    এমন উষা আসবে আবার সোনায় রঙিনদিগন্তে
    কুন্দের দূল সেমন্তে
    কপোতকূজনকরুণ ছায়ায় শ্যামলকোমল মধূর মায়ায়
    তোমার গনের নূপুরমুখর
    জাগবে আবার এই ছবি
    নাই যদি রোস নাই রবি, সেদিন নাই রবি।


    রচনাটা এখানেই শেষ করতে পারলে লেখাটির প্রতি সুবিচার করা হত। কিন্তু আমার মত সাধারণ মানুষের কাছে যতক্ষণ না "অত:পর তাহার সুখে ঘর কন্না করিতে লাগিল' গোছের লাইন না পড়ছি ততক্ষণ গল্পটা যেন অসম্পুর্ণ ঠেকে। তাই মেগাসিরিয়ালের মত সামান্য টেনে জানাই- ১৯৮০ সালে অবশেষে আমি আকাশবাণী কলকাতা থেকে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পাই । আকাশাবাণীর চিঠি হাতে পাওয়া মাত্রই বাবা সংবাদটি চিঠি লিখে জর্জদাকে জানান। জববে জর্জদা একটি পোষ্টকার্ডে অভিনন্দন পাঠান -

    74E Rashbehari avenue
    Calcutta - 29
    29 -2 - 80

    প্রীতিভাজনেষু পদ্মলোচনবাবু -

    আপনার ২৬.২.৮০ র চিঠিতে শ্রীমান দীপঙ্করের সাফল্যের কথা জেনে খুব খুশী তো হয়েছিই আবার খুব অবাকও হলাম।

    all credit goes to the soul of Rabindranath.

    শুভেচ্ছা ও নমস্কারান্তে



    সমাপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৯২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাই | 82.83.81.233 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১২ ০২:০৯88999
  • দেবব্রর বিশ্বাসের স্বরচিত গানগুলোর রেকর্ড আছে কি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন