এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • উত্তরবঙ্গ - ১৪

    শমীক মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৫ মে ২০১১ | ১০৬৩ বার পঠিত
  • আয় লালিমা, তোকে ...

    ছেলেটি ছিল আমাদের টপার। ইলেকট্রিকালের। যদিও ইয়ার টপার ছিল না, কিন্তু কেতবাজিতে এবং রংবাজিতে সে এমন উচ্চগোত্রের ছিল যে মুখচোরা ইয়ার টপার, যে ছিল মেকানিকালের, তাকে কাটিয়ে দিয়ে এই ছেলেটি আমাদের ফোর্থ ইয়ারে স্টুডেন্ট্‌স ইউনিয়নের জিএস হয়ে গেছিল।

    আসল নাম নিয়ে এত বছর বাদে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ নেই, আজ হয় তো সকলেই নিজের নিজের জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। নিক্‌নেম ছিল খাস্তা। পুরো নিকনেমটা এখানে দেওয়া যাবে না, অশ্লীলতার দায়ে পড়তে হবে, তবে মোটামুটি খাস্তা নামেই সে পরিচিত ছিল।

    শুধু লেখাপড়ায় ভালো হলেই যে কেউ "ভালো' হয়ে যায় না তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ছিল এই খাস্তা। খাস্তার কিছু সাঙ্গোপাঙ্গও ছিল, দলটাকে আজ কলেজ ছেড়ে আসার বারো বছর বাদে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলে একটা উপমাই মনে আসে। লায়ন কিং সিনেমায় ছোট্ট সিম্বার দুষ্টু কাকা আর তার সাথী হায়েনার দল। সেই খাস্তা আর তার চেলাচামুণ্ডারা একবার আমার ওপরে হামলা করেছিল, আমারই ঘরে, কোনওভাবে তাদের সন্দেহ হয়েছিল ইলেকট্রিকালের কোনও একটা পেপারের কোশ্চেনের আভাস আমি পেয়ে গেছি, এবং সেটা তাদের দিই নি। সামনাসামনি সেই প্রথম তাদের রূপ দেখেছিলাম।

    খাস্তার প্রসঙ্গে আবার পরে আসা যাবে, তার আগে আবার অন্য কিছু কথা বলে একটু পরিবেশটা হাল্কা করে নেওয়া যাক।
    সব ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসেই একজন করে ডাক্তার থাকেন, আমাদেরও ছিলেন। এবং তিনি নিজের নিক্‌নেমেই এত বিখ্যাত ছিলেন যে কেউ কোনওদিন তাঁর আসল নামটা জানবার চেষ্টাও করে নি। আমিও জানি না খনির আসল নাম কী ছিল। হ্যাঁ, ক্যাম্পাসের ডাক্তার "খনি' নামেই পরিচিত ছিলেন।

    তরাইয়ের জলবায়ুতে কিছু হাতে গোনা টাইপের রোগব্যাধিই হত ছেলেপুলেদের, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, পেট খারাপ ইত্যাদি, বছরের পর বছর এই সমস্ত রোগের চিকিৎসা করতে করতে খনি এর বাইরে কোনও কিছুর চিকিৎসা করতে ভুলেই গিয়েছিলেন বলে মনে করা হত। যে কোনও সিম্পটম নিয়ে খনির কাছে গেলে খনি কিছু টিপিক্যাল প্রশ্ন করতেন, আর কিছু ওষুধ দিতেন। বেশি দিতেন ব্রুফেন নামে এক পেইনকিলার। আমার রুমমেট কে-কে একবার কাশি হয়েছিল বলে খনির কাছে গিয়েছিল ওষুধ আনতে, খনি তাকেও ঐ একই কোশ্চেন করেছিল : সিগারেট খাও? খারাপ পাড়ায় টাড়ায় যাও? অত:পর একপাতা ব্রুফেন হাতে দিয়ে বিদায়। এই জন্য ছেলেপুলে খনির ওপর একইসঙ্গে রেগেও থাকত, আর খনিকে নিয়ে মজাও করত। শোনা যায় একবার ওভালে খেলতে গিয়ে একটা ছেলের প্রচুর কেটে গিয়ে রক্তপাত হয়েছিল। তাকে ধরাধরি করে খনির কাছে নিয়ে যাওয়া হলে পরে, খনি তাকে দেখে আঁতকে উঠে বলেছিলেন, "এখানে কেন? এখানে কেন? ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও!' অত:পর একপাতা ব্রুফেন।

    রোজ রোজ কলেজ মোড়ে গিয়ে খাওয়া পোষায় না বলে আমি আর কে-কে মিলে রুমে হিটার লাগিয়ে হাল্কা রান্নাবান্না শুরু করেছিলাম। আলু-ভাজা, ব্রেড ওমলেট ইত্যাদি। ... বেশ চলছিল। একদিন হল কি, ঘুমচোখে সকালবেলায় উঠে পাঁউরুটি সেঁকছি, হঠাৎ কী হয়ে গেল - মাথাটা অল্প ঘুরে গেল, টাল সামলাবার মত হাতের সামনে কিচ্ছু ছিল না, একটা ছোটো ওষুধের শিশিতে সরষের তেল রাখা ছিল ওমলেট বানাবার জন্য, নিজেকে সামলাতে গিয়ে ধপ করে হাত পড়ল গিয়ে তার ওপর, হাতের ওপর শরীরের চাপ, ছোটো শিশিটা একেবারে স্ম্যাশ্‌ড হয়ে গেল, হাতের তেলোয় কাচের টুকরো আটকে হাল্কা করে রক্তারক্তি ব্যাপার।

    একা একাই গেলাম খনির কাছে। খনির এক কম্পাউন্ডার ছিল, সে-ই ডেটল তুলো দিয়ে হাতের তেলোটা পরিষ্কার করে দেবার পরে খনি সামনে এলেন, হাতে একপাতা ব্রুফেন।

    এহেন খনিকে টাইট দেবার প্ল্যান করেছিল থার্ড ইয়ারের এক ছেলে। সে বলেছিল, ঐ শালা খনিকে আমি খিস্তি মেরে আসবোই আসবো। ওর মুখের ওপরে।

    প্ল্যন মত সন্ধ্যেবেলা সে গেল খনির চেম্বারে, খনিকে বলল, ডাক্তারবাবু, আমার শরীলটা না কেমন দুর-বাল দুর-বাল লাগছে। খনি বেশ কয়েকবার "কী বল্লে?' "কী বলছো?' জিগ্যেস করল। সে-ছেলে ততবারই বলে, আমার শরীলটা না, দুর-বাল দুর-বাল লাগছে। শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়ে খনি তাকে একপাতা ব্রুফেন হাতে দিয়ে বিদায় করল।

    খনির এই ব্রুফেনপ্রীতি বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে আমাদের সময়ের বিভিন্ন ইয়ারের স্কিট্‌জে।

    ... তো, যাই হোক, এই কাহিনির মূল চরিত্র খনি নয়। খনির স্ত্রী। লালিমা বা ঐ জাতীয় কিছু একটা নাম। আমি নিজে তাঁকে কোনওদিন চোখে দেখি নি, তবে ক্যাম্পাসে শ্রুতি ছিল, তিনি নাকি ডাকসাইটে সুন্দরী। তা, নারীবর্জিত ক্যাম্পাসে যে-কোনও মেয়েকেই সুন্দরী বলে ডিক্লেয়ার করাটা এমন কোনও বড় ব্যাপার ছিল না, তাই মাথা ঘামাই নি।

    আমাদের দু-নম্বর হস্টেলের ব্যাক উইংস থেকে প্রফেসর্স কোয়ার্টারের সামনের রাস্তাটা একেবারে পরিষ্কার দেখা যায়। খনির কোয়ার্টারও ওখানেই ছিল। ... কোনও এক সকালে, হয় তো সারারাত ব্লু ফিল্ম টিল্ম দেখে খুব উত্তেজিত হয়ে ছিল, তিনতলা ব্যাক উইংসের করিডর থেকে খাস্তা দেখতে পেল, দূরে প্রফেসর্স কোয়ার্টারের সামনের রাস্তা দিয়ে লালিমা যাচ্ছেন। অতি উৎসাহে খাস্তার মুখ দিয়ে সুভাষিত বেরিয়ে এল, "লালিমা, ও-ই লালিমা, আয় তোকে চু**'। সঙ্গে হাত ঘুরিয়ে বিশেষ একটি মুদ্রা।

    খাস্তা এটা খেয়াল করেছিল যে লালিমা তার আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন, কিন্তু খেয়াল করে নি যে রাস্তায় সেই মহিলাই একা ছিলেন না, অন্যদিকে এক প্রফেসরও ছিলেন, তিনিও গোটা ঘটনাটার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে ছিলেন। খেয়াল হল তখন, যখন কলেজ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হল যে অশ্লীলতার দায়ে আমাদের পুরো ইয়ারকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। ... অ্যানুয়াল পরীক্ষার তখন আর বাকি ছিল ঠিক এক মাস।

    ইলেকট্রিকাল, মেকানিকাল, সিভিল, তিন ডিপার্টমেন্টের সমস্ত ছাত্রকে ডাকা হল কলেজে, সমস্ত হেড ডিপ্‌, এবং পিনু, মানে প্রিন্সিপাল এসে দাঁড়ালেন আমাদের সামনে। এমনই অবস্থা, ইয়ারের সবাই ঘটনাটা সম্বন্ধে জানতও না। আমরা, যারা কলেজে আসার আগেই ঘটনাটা জানতে পেরেছিলাম, চোখ তুলে তাকাতে পারছিলাম না প্রফেসরদের দিকে। মুখ খুললেন মেকানিকালের হেড ডিপ। ... "আমরা জানি, তোমাদের মধ্যে মাত্র একজন এই ঘটনার জন্য দায়ি। কে দায়ি, তা-ও আমরা জানি। কিন্তু উই ডোন্ট ওয়ন্ট টু সিঙ্গল হিম আউট। আমরা চাই, তোমরা, বা তোমাদের মধ্যে কেউ এসে দোষীর নাম আমাদের কাছে দিয়ে যাও। কথা দিচ্ছি, তার পরিচয় গোপন রাখা হবে, তার বা বাকি ইয়ারের কারুর কেরিয়ারে কোনও ছাপ পড়বে না, এক্সেপ্ট দ্যাট স্কাউন্ড্রেল। ... আর যতক্ষণ না তোমাদের ইয়ারের কাছ থেকে সেই ছেলেটির নাম আসছে, টিল দেন আমরা তোমাদের পরীক্ষা অর্গানাইজ করতে বা ক্লাস নিতে অপারগ। ইউ হ্যাভ এনাফ টাইম টু থিঙ্ক।'

    ভিড়ের মধ্যে সেই স্কাউন্ড্রেলটিও ছিল। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে থেকে কারুর ধক্‌ হল না আঙুল তুলে তাকে দেখিয়ে দেয়। স্টুডেন্ট ইউনিটি জিতে গেল এখানে। পুরো থার্ড ইয়ার মাথা নিচু করে ফেরত গেল হস্টেলে, ফার্স্ট ইয়ার আর সেকেন্ড ইয়ারের চোখের সামনে দিয়ে।

    ক্লাস বন্ধ, পরীক্ষাও বন্ধ। সাজেশন চাইতে যাবার রাস্তাও বন্ধ। খাস্তা আর তার দলবল বারকয়েক উইংয়ে উইংয়ে ঘুরে অপেক্ষাকৃত নরম স্বরে ক্যাম্পেনিং চালালো, কেউ নাম বলবি না, আমাদের ইউনিটি ভাঙা চলবে না। অনেকে হা-হুতাশ করল, কলেজে পলিটিকাল ইউনিয়ন না থাকলে এইই হয়, প্রফেসররা আজ আপার হ্যান্ড নিয়ে নিল।

    ঘোঁট পাকল, এখানে, সেখানে। দু-একজন আমার কাছেও এল, চল জিনু, কেউ জানবে না, পিনুর কাছে গিয়ে আমরা খাস্তার নাম দিয়ে আসি। আমিও রাজি হলাম না। চিরকালীন ভীরু ছেলে, সিঙ্গল্‌ড আউট হবার ধক ছিল না আমার মতই অনেকের ভেতরে।

    ওদিকে প্রফেসররাও অনমনীয়। থার্ড ইয়ারের থেকে সেই ছেলেটির নাম না আসা পর্যন্ত তাঁরা একতরফা বয়কট চালিয়ে গেলেন। নো ক্লাস। নো পরীক্ষা। হস্টেলের ঘরে বসে আমরা আফশোষ করতাম। খাস্তাকে কিছু একটা করে ফেলার কথা অক্ষমভাবে বলে বসত আমাদেরই কেউ কেউ। কিন্তু সেই অর্থে কোনও দলই গঠিত হল না, কেউই কিছু করে উঠতে পারল না। কারণটা যতই অন্যায্য, অন্যায় হোক, পলিটিকাল কোনও কালারের অস্তিত্ব কলেজে না-থাকায় আসলে প্রত্যেকেই খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল, আর খুব সম্ভবত সেই কারণেই, ভেতরে ভেতরে কিছু ছেলে যতই অসন্তুষ্ট থাকুক খাস্তা আর তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে, ওভারঅল স্টুডেন্ট ইউনিটি নষ্ট হল না একেবারেই। একটি ছেলেও এগিয়ে এল না কোনও বিশেষ একটি ছেলের বিরুদ্ধে।

    চাপ তৈরি হচ্ছিল ভেতরে ভেতরে। একটা মাত্র ছেলের কৃতকার্যের জন্য একটা গোটা ইয়ার সাফার করে যাচ্ছে, মুখে কেউ কিছু না বললেও চাপ তৈরি হচ্ছিল ভেতরে ভেতরে।

    অবশেষে সেই সম্মিলিত চাপের কাছেই নতিস্বীকার করে, তিন সপ্তাহের মাথায় খাস্তা নিজেই পিনুর কাছে গিয়ে দোষ স্বীকার করে। ঘটনার অভিঘাত ততদিনে অনেক নরম হয়ে এসেছিল। খাস্তার গার্জেন কল্‌ হয়, এবং টপার হবার কারণে তার বাবা-মা-কেও কোনও কড়া কথা শোনানো হয় নি। অল্পের ওপর দিয়ে ব্যাপারটা মিটে গেছিল। ক্লাস ও পরীক্ষা সবাইই তাদের স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে এসেছিল কলেজের ভেতরে। শুধু মাঝখান থেকে তিনটে সপ্তাহ আমাদের কেটেছিল এক দু:সহনীয় দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে।

    (চলবে)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৫ মে ২০১১ | ১০৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 132.177.16.128 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১২ ০৪:৩৮89022
  • টেস্টিং হিয়ার। হ্যালো হ্যালো।
  • mila | 22.5.49.74 (*) | ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৭:৩৫89023
  • ১৪ এর পরে আর নেই?
  • mila | 22.5.49.74 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৭ ০১:০৭89025
  • শেষ হলোনা তো :(
  • সিকি | 132.177.75.233 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৭ ০১:৫০89026
  • না, শেষ হয় নি। আরও তিনটে পর্ব লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সেই যে ২০১১তে ল্যাদ খেয়ে গেছিলাম, ছ বছরে আর ল্যাদ কাটিয়ে বেরোতে পারি নি।
  • সিকি | 132.177.69.205 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:২১89024
  • না বোধ হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন