এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • আয়নাতে ঐ আর এক আমি

    শ্রীমতি আহুজা লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ২৫ এপ্রিল ২০১০ | ৮৪৩ বার পঠিত
  • আমি একদমই লিখতে পারিনা। বলতেও পারিনা কিছু গুছিয়ে। তবু বলছি আজ কিছু কথা যা কোনদিন বলিনি কাউকে। আমার ভেতরে একটা জট পাকানো আছে। যার কথা কেউ জানেনা।

    আমি পাঁচ বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ছোট থেকে দাদা দাদীর কাছে শুনতাম আমার বদলে তো একটা ছেলে আসতে পারতো? আমার কাকার এক ছেলে ছিলো -- দলজিৎ। আমার থেকে দুঞ্চবছরের বড়। ও আমাকে বলতো "এইবারে ভাই জন্মানোর কথা ছিলো। তুই তাহলে ভাই হয়ে যা।' ওর জামা প্যান্ট আমাকে পরতে দিতো। বলতো "তুই ভাই হলে তোর সাথে খেলবো। বোন হলে খেলবো না'। "বোন' হয়ে খেলা থেকে বাদ পড়তে কার ভালো লাগে? আমি খুশি হয়ে "ভাই' হতাম। শার্ট প্যান্ট পরতাম। কুর্তা পাজামা পরতাম। আমি যখন পাঁচ কী ছয় বছরের, কাকা চাকরীর জন্য পুণে বদলি হয়ে গেল। তখন আমি একাই খেলতাম, কিন্তু মনে মনে আমি "ভাই' হয়েই থাকতাম। সব সময় ভাবতাম আমি আসলে ছেলে। কাঠের ঘোড়া চড়ে একা একা বাঘ মারতে যেতাম। আমি নিজের নাম দিয়েছিলাম "প্রীতম্‌'। আমার ছোট দুই দিদি আমার থেকে বেশি বড় না, তিন চার বছরের বড় হবে। ওরা পুতুল নিয়ে খেলতো। আমাকে ডাকতো। আমি পুতুল খেলতাম, কিন্তু তবু মনে মনের খেলা গুলো বেশি ভালো লাগতো।
    সাত আট বছর হলে মা শিখিয়েছিলো ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে হয়। আমি দুইবেলা হাত জোড় করে ভগবানকে বলতাম "হে ভগবান,আমাকে সুপারম্যান বানিয়ে দাও'। সেই বয়সে সুপারম্যান হওয়াটাই জীবনের মূল লক্ষ্য ছিলো। সব সময় নিজের মনে মনে গল্প বানাতাম -- সেই গল্পে আমি সুপারম্যান হয়ে গেছি, কিন্তু তার নাম ক্লার্ক কেন্ট নয়, তার নাম প্রীতম আহুজা।

    আরো বড় হলাম। দশ বারো বছর। কিন্তু তখনও কুর্তা পাজামা পরতে ভালো লাগতো খুব। মেয়েদের জামা পরতে একটুও ইচ্ছে হতোনা। যখন শরীরে মেয়েলি ভাবগুলো জেগে উঠতে লাগলো আমার কান্না এসে যেতো। কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারতামনা। রাত্রে কাঁদতাম, দিনভর চুপচাপ একা একা সবার থেকে সরে থাকতাম। মনে হতো কেন এমন হয়? মনে হতো কেন ভগবান আমায় এরকম করে দিচ্ছেন?

    একদিন একটা ম্যাগাজিনে পড়লাম যে অপারেশন করে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া যায়। অনেক সাহস করে বড় দিদিকে বললাম যে "দাদা দাদী বরাবর চায় যে আমি ছেলে হলে ভালো হতো। তো দিদি তুমি মাঞ্চকে বলো না আমায় অপারেশন করিয়ে ছেলে করিয়ে নিতে?' দিদি হেসেছিলো, কিন্তু মাঞ্চকে বলেওছিলো যে আমি এমনি বলেছি। মাও হেসেছিলো। কেউ ভাবতেও পারেনি যে আমি সিরিয়াসলি বলেছি। একজন বারো বছরের মেয়ের এমনি কথাকে কে সিরিয়াসলি নেবে?
    আমি নিজের মধ্যে ভীষণ গুটিয়ে গেছিলাম। কারুর সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগতোনা। আয়নায় নিজেকে দেখলেই কান্না পেতো। পড়ার বই নিয়ে বসে অন্য কথা ভাবতে ভাবতে তন্ময় হয়ে যেতাম। ততদিনে প্রীতম আহুজা নয়, আরো অন্য অন্য নাম বানিয়েছিলাম। আমি কখনো পাভেল ইভানোভিচ হয়ে যেতাম, কখনো ফ্লিন্ট রবিনসন, কখনো গৌরভ সাক্সেনা। এরা প্রত্যেকেই ছয় ফুট লম্বা, দারুণ সুপুরুষ, আর সব ভীষণ প্রতিভাবান। কিন্তু এদের বাবা মা ভাই বোন কেউ নেই। এরা একা থাকে।

    আরো বয়েস বাড়ছিলো। আস্তে আস্তে শরীর জেগে উঠছিলো। যখন এইট বা নাইনে পড়ি স্কুলের একটি মেয়েকে আমার ভীষণ ভালো লাগতো। আমাকে মেয়েদের স্কুলেই ভর্তি করা হয়েছিলো। কাজেই মেয়ে দেখায় অসুবিধে ছিলোনা কোনো। ওর নাম ছিলো দিভিয়ানী। আমার ক্লাসের নয়। যতটুকু সময় স্কুলে থাকতাম ওকে দেখার জন্য ছটফট করতাম। খাতার পেছনে ওর নাম লিখতাম। লিখে বারবার কেটে দিতাম, যাতে কেউ দেখতে না পায়। ওকে দেখলেই বুকের ভেতরে কেমন দুপ্‌দুপ করতো। শর্ট মোজা পরা ওর ফর্সা পা দেখতাম বারবার। সন্ধ্যেয় পড়তে বসে গৌরভ সাক্সেনা বা মিকি প্রধান লাল হিরো হন্ডার পেছনে তার সুন্দরী গার্লফ্রেন্ডকে বসিয়ে প্রচণ্ড স্পিডে দুনিয়া কাঁপিয়ে ঘুরে বেড়াতো। গার্লফ্রেন্ডের নাম যাইই হোকনা কেন, তার পা বরাবরই খুব ফর্সা হতো, সে বরাবরই ছোট মোজা পরতো।

    ধীরে ধীরে হস্তমৈথুন কাকে বলে শিখলাম। কেউ শেখায়নি, মনে হয় নিজেই কোনোভাবে আবিষ্কার করেছিলাম। পাভেল, ফ্লিন্ট, গৌরভ, মিকি ততদিনে হয়তো চার্লস, অ্যাডাম, কীর্তি, আকাশ হয়ে গেছে। কিন্তু তারা নাইটট্রেনের কামরায় বান্ধবীকে সজোরে চুমো খায়, কলেজের ছুটিতে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে চাঁদের নীচে ভিজে বালিতে মিলিত হয়, নারীর শরীরে ওরা ডুবে যায়, আমার আঙুলের ডগা দিয়ে।
    স্কুল শেষ হয়ে গেলো এরপরে। আমি গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য দিল্লী চলে গেলাম। সেখানে হস্টেলে থাকতাম। বন্ধুরা রাতদিন ছেলেদের নিয়ে গল্প করতো। ফিল্মস্টার বা ক্রিকেটারদের ছবি দেওয়ালে লাগিয়ে তাতে লিপস্টিক দিয়ে হার্ট আঁকতো, কেউ ওদের ছবিকে চুমো খেতো। আমিও সুন্দর পুরুষের ছবি দেওয়ালে লাগাতাম। এতে আমার সুবিধা হতো, আমার গল্পে নিজের চেহারাটা কল্পনা করতে, ভিজুয়ালাইজ করতে সুবিধা হতো। আমি যাদের ছবি লাগাতাম, তাদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতামনা, তাদের সাথে আমি নিজেকে আইডেন্টিফাই করতাম। কিন্তু কেউ তা ভাবতেও পারতোনা। রুমমেটদের কাছে খুব স্বাভাবিক লাগতো, আমার এই ছবি লাগানো, ওদের মতই।

    আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড হয়নি, সেটা একটু অস্বাভাবিক ছিলো, কারণ ক্লাসের আর সব মেয়ের ছিলো। তবে ছেলেরা সবাই ভাবতো যে আমি খুব লাজুক, আর খুব স্টুডিয়াস টাইপের, তাই কেউ অস্বাভাবিক ভাবে এটা নিতোনা। অমনি মেয়েরা তো খুব একটা পপুলার হয়না?
    তাও কালেকালে একজনের সাথে আমারও রিলেশন হয়। ওর নাম ছিলো ভিনিত। কয়েক মাসের সম্পর্কের পরে ও শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছিলো। আমি বাধা দিইনি। একদিন না একদিন তো আমায় কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেই হবে। ঐ অভিজ্ঞতাটা আমার খারাপ লাগেনি, তবে আহামরি কিছু ভালও লাগেনি। একটা মুখরোচক আচার খেলে ভালই লাগে, কিন্তু বারবার সেই আচারটা খাবার জন্য মন চায় তা নয়। সেই রকমই। এই সময় কোনো মেয়েকেও আমার ভালো লেগেছিলো তা নয়। যাদের দেখতাম তাদের মধ্যে ঠিক সেই রকম ভালো লাগার কিছু পেতামনা। কিন্তু আমার কোনোদিনই অসুবিধা হয়নি। ভগবান আমাকে সুপারম্যান বানিয়ে দেননি, কিন্তু আমাকে একটা সুপার ইম্যাজিনেশন দিয়েছেন। আমি অনেক নারী চরিত্র সৃষ্টি করতাম। রিভা, পার্ল, রিষিকা। ওরা সবাই খুব সুন্দরী হতো, আর খুব শান্ত, কিন্তু স্মার্ট। ওদের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে আমার কোনো অসুবিধা হতোনা। আর এই স্বাদ নেবার জন্য বারবার ফিরে যেতে মনও চাইতো। সত্যিকার বিছানায়, সত্যিকার শারীরিক মিলনের থেকেও এই হস্তমৈথুন আর সেই সঙ্গে কাল্পনিক ঘটনাপ্রবাহে আমার অনেক বেশি তৃপ্তি হতো।
    ভিনিতের সাথে সম্পর্কে ফাটল ধরছিলো। শরীরের জন্য নয়। অন্য নানা কারণ ছিলো। আমাদের মানসিকতায় একেবারেই মিলতোনা। ও চাইতো আমি যেন কখনো জিন্স না পরি, সিগারেট না খাই, একাএকা ঘোরাফেরা না করি। আমার পক্ষে এগুলো মেনে নেওয়া সম্ভব ছিলোনা। ললিতলবঙ্গলতা হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা। তাছাড়া এই ধরণের আউটলুকটাই খুব অপছন্দ করতাম। আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো। বস্তুত আমিই ওকে ছেড়ে গেলাম।

    ওখানের ফাইনাল ইয়ারে আরেকটি ছেলের সাথে আলাপ হয়েছিলো। ইমতিয়াজ। নানা ঘটনায় আমি খুব ক্ষতবিক্ষত ছিলাম মানসিক দিক দিয়ে। তখন সে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো। মনের খুব কাছাকাছি। গল্প লম্বা করবোনা। তিন বছর পরে আমরা বিয়ে করলাম। বাড়ির সবাই খুশি ছিলো। আমরাও। তার কারণ আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। আমাদের মধ্যে বিয়ের আগে টুকটাক শারীরিক সম্পর্ক ছিলো। সেই মুখরোচক আচারের মতো। কিন্তু মানসিক বন্ধুত্ব খুব গাঢ় হলে শরীর আর তত মানে রাখেনা, সবসময়।

    বিয়ের পরে একটু টেনশনে ছিলাম যে কী জানি কী হবে! কিন্তু খুব যে সমস্যা হয়েছে তা বললে মিথ্যে বলা হবে। আমি দেখেছি যে শারীরিক মিলনের সময়েও আমি চোখ বন্ধ করে ফ্যান্টাসাইজ করি। আমি ভেবে নিই যে পুরুষ হিসেবে এটা করছি। বলে বোঝানো খুব মুশকিল। কিন্তু আমি এটা পারি। রাজভীর,জন, কওশিকরা আজও প্রবল ভাবে সুজাতা, জিনি, নেহার সাথে প্রেম করে, উন্মত্ত শরীরী খেলায় মেতে ওঠে, চরম আনন্দ অনুভব করে প্রতিটি অঙ্গ দিয়ে।

    ইমির হয়তো এতে অসুবিধা হয়না। অন্তত কোনদিন বলেনি আমাকে কিছু, কাজেই ধরে নিচ্ছি ওর সমস্যা হয়না। আমি ওকে কোনদিন আমার ভেতরের কথা খুলে বলিনি। ছোট থেকে যা লুকিয়ে রাখতে সযত্নে শিখেছি তা সবচেয়ে কাছের বন্ধুকেও বলতে পারিনা। আমি খুবই সিক্রেটিভ টাইপ। না বলে যদি সব ঠিক আছে তো ওভার অনেস্ট হয়ে সমস্যা ডেকে আনায় কী লাভ? আমি জানি যে অনেকে হয়তো মনে করবেন যে আমি নিজেকেও ঠকাচ্ছি আর ইমিকেও। কিন্তু ঠকানোর সংজ্ঞা সবার কাছে এক নয়। আমি যা চেয়েছি কোনদিনই তো পাবোনা, তাহলে এইটুকু খেলা খেলে কি আমি খুব খারাপ কাজ করছি?
    না, আমি এখন সেক্সচেঞ্জ সার্জারির কথা ভাবিনা। আমাকে সার্জিক্যাল ছুরি দিয়ে কেটে ফেললেও আমি আমার এই গোপন কথা কাউকে বলতে পারবোনা। আমি জানি যে শরীর বদলানো সম্ভব হলে, আমি সত্যি করে একজন ছেলে হলে ভীষণ ভীষণ প্রেমিক, ভীষণ রোম্যান্টিক, ভীষণ সুখী একজন হতাম। কিন্তু, আমি কাউকে একথা জানাতে পারবোনা। হয়তো আমার মধ্যে বোল্ডনেসের অভাব আছে। আমাদের দেশে এমনিতেই মেয়েরা অনেক কিছুই পায়না, যা ওরা চায় মনে মনে। প্রত্যেকদিনই কোনো না কোনো চাওয়াকে ঢাকনা চাপা পাত্রে লুকিয়ে রেখে ওদের হাসিমুখে অনেক কিছু করতে হয়। আমার নানীমা করেছেন, মাঞ্চও, দিদিরাও। হয়তো একেকজনের ক্ষেত্রে এই লুকিয়ে রাখা চাহিদাটা এক এক। কিন্তু বাকি সব তো এক। আমিও যে তাই করবো তাতে আর আশ্চর্য্য কী আছে? আরো অনেক খারাপ অবস্থায় যে পড়িনি সেই বা কম কী? একে ভীরুতা বলুন তো তাইই। তবে বলেছি তো, ভগবান আমায় সুপার ইম্যাজিনেশন দিয়েছেন, তাই দিয়েই আমি অন্তত কিছুটা অপূর্ণতা ভরে নিতে পারি। আমি ঠিক আছি। এর বেশি আর কী দরকার?

    **শ্রীমতি আহুজার "আইনে মে উয়োহ দুসরী ম্যায়' থেকে অনুবাদ করেছেন সুদেবী রায়। শ্রীমতি আহুজা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরতা।

    ২৫শে এপ্রিল, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ২৫ এপ্রিল ২০১০ | ৮৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন