এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • ‘আম্‌গো ভাহা অহইম্মা’ বনাম ‘আম্‌গো বাসা কইলকাত্তা’?

    সপ্তর্ষি বিশ্বাস লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ৩০ আগস্ট ২০১২ | ৯৪২ বার পঠিত
  • "রক্ত ঝরাতে পারিনাক' একা  
    তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা
    বড় কথা, বড় ভাব আসেনাক মনে, বন্ধু বড় দুখে,
    অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছো সুখে ..."

                                            নজরুল ইসলাম, আমার কৈফিয়ৎ


    কাতারে কাতারে ছেলে মেয়ে পালিয়ে চলেছে ব্যাঙ্গালোর, পুণা, হায়দ্রাবাদ, বোম্বে থেকে। প্রাণের ভয়ে। এরা সব উত্তরপূর্বের মানুষ। মূলতঃ আসামের। হয়তো এর পেছনে রয়েছে গুজব, হয়তো 'রাজনীতি'। সে প্রসঙ্গে পরে যাব। তার আগে বলে নিই যে, যেহেতু আমিও 'অফিসিয়ালি' 'আসাম'এর, যেহেতু আমিও থাকছি এই ব্যাঙ্গালোর শহরেই, ফলতঃ এই ঘটনা ঠিক 'তাত্ত্বিক' বা 'দার্শনিক' ভাবে নয়, আমাকে আক্রমণ করে রক্তে-মাংসে। আমি টিভিতে খবর শুনি, ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি কোন দিকে যাচ্ছে ঘটনার গতি এবং অন্তিমে ফোন করি, ই-মেইল করি ব্যাঙ্গালোরবাসী অন্য চেনা পরিচিতদের। তারা বলে, মনে হয় ঠিকই বলে, কেননা সেটাই স্বাভাবিক, যে, 'আমাদের ভয় নেই, মেইন্‌লী ট্রাইবালরা'ই টার্গেট' তারপর সামান্য থেমে 'আর আমাদের চিন্তা কী? কেউ বললে বলবো আমরা কলকাতার' ... ফোন রেখে দিই। নানান ভাবনা এসে ভিড় করে মগজে। 

    বলা হয়েছিল মাতৃভাষা 'অসমীয়া' হলে কোনো 'ডর' নেই। ভোটাধিকার পাক্কা। কেননা এতে আসামে 'অসমীয়া ভাষী' জনতার পরিসংখ্যানে যে প্রভাব তাতে প্রমাণিত হবে আসামে 'অসমীয়ারা'ই সংখ্যাগরিষ্ঠ। অতএব 'আপার আসাম' (ধেমাজি, ডিব্রুগড়,লখিমপুর, গোলাঘাট, শিবসাগর ও তিনসুকীয়া)-এর নানা স্থানে বসবাসকারী  বঙ্গভাষী জনতার এক বৃহৎ অংশ 'তোমার মাতৃভাষা কী' এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন 'আম্‌গো ভাহা অহইম্মা'। তথাপি  ঘটে গেল 'নেলী'। ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রকাশ্য দিবালোকে নগাঁও'এর নেলীতে খুন হলেন ২১৯১ জন মানুষ ( বেসরকারী হিসেবে ৫০০০ এর'ও বেশী)। এঁরা মূলতঃ বাংলাভাষী মুসলমান। এঁদেরকে খুন করা হল, কেননা এঁরা চলেছিলেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। হয়তো আসামের অসমীয়া 'প্রভু'দের পক্ষে ঐ ভোটাধিকারের প্রয়োগফল হত না তেমন সুবিধাজনক; সুতরাং ঘটে গেলো এই গণহত্যা। অর্থাৎ 'আম্‌গো ভাহা অহইম্মা' বলেও জান বাঁচাতে পারলেন না আসামের অনসমীয়া জনতা। এই মুহূর্তে আমরা যারা 'অফিসিয়ালি' আসামের, বাস করছি ব্যাঙ্গালোরে, আমরা যারা নন্‌ট্রাইবাল, আমাদেরকে কি জান বাঁচানোর জন্য 'আম্‌গো ভাহা অহইম্মা'র প্রতিধ্বনি তুলে বলতে হবে 'আম্‌গো বাসা কইলকাত্তা'? আর যদি বা তা বলিও তাহলেও কি আখেরে বাঁচবে জান? বাঁচলেও তা আর কতদিনের জন্য?

    না, বেশিদিনের জন্য বাঁচবে না আমাদের জানও কেননা আসামের অসমীয়া 'প্রভু'রা যখন অনসমীয়া মুসলমানদের দিয়ে  দিয়ে 'আম্‌গো ভাহা অহইম্মা' বলিয়েছিল তখন তার উদ্দেশ্য ছিল আসাম থেকে অনসমীয়া মধ্যবিত্তদের উচ্ছেদ কেননা অসমীয়া 'প্রভু'দের বিচারে তখন এই মনে হয়েছিল, যে, অনসমীয়া মধ্যবিত্তরা'ই আসামের সমস্ত মধ্যবিত্ত সুলভ পেশা ইত্যাদি নিয়ে বসে আছে কাজেই এদের তাড়ালেই আসামে তাদের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। সেই 'অনসমীয়া মধ্যবিত্ত'দের নব্বই শতাংশই যেহেতু ছিল হিন্দু বাঙালি, সুতরাং অসমীয়া প্রভুরা যাকে বলেন 'আসাম আন্দোলন' তা মূলতঃ ছিল 'বঙ্গাল খেদা' আন্দোলন। (হ্যাঁ, কিছু অসমীয়া মানুষ এর প্রতিবাদ করেছিলেন, নিগৃহীত হয়েছেন এঁরাও তবে এতে 'আন্দোলন'এর চরিত্রের সংজ্ঞা বদলায় না)। সেই 'বঙ্গালখেদা'র আঁচে পুড়ে গিয়েছিল বরাক উপত্যকাও।

    সেসব পঞ্চাশের দশক আর ষাটের দশকের কথা। এরপর নেলী ঘটলো আশির দশকে। ঘটলো কেননা এবার অসমীয়া 'প্রভু'রা টের পেলেন মধ্যবিত্ত নয়, নিম্নবিত্তদেরকে নিয়েই সমস্যা। কেননা বাঙালি তাড়িয়ে যে কেরানির পদটি খালি হলো তাতে ঢুকতে 'পাশ করিব লাগে'। কিন্তু মুটে-মজুর হতে গেলে তা লাগে না। কাজেই এবার দেখো মুটে-মজুর কারা। সেই মুটে-মজুরের তালিকায় যেহেতু ছিল নেলীর মুসলমানরা তাই তাদের জান দিতে হলো এইবার। আমরা, আসামের বর্ণহিন্দুরা স্বস্তি পেলাম। যা বাব্বা। এবার লেগেছে অসমীয়ায় আর মুসলমানে। আমাদের নিশ্চিন্তি।

    কিন্তু এরও পরে আমরা দেখলাম, না, নিশ্চিন্ত থাকা গেল না। এলো ১৯৮৬। ২১শে জুলাই। অগপ'র আমল। বরাকের করিমগঞ্জে চলল অনর্থক গুলি। মারা পড়ল মানুষ। কেন? কেননা আমরা যেমন জানি, তেমনি জানেন অসমীয়া 'প্রভু'রাও, বরাক উপত্যকা বাঙালির উপত্যকা। আমরা মনে প্রাণে অনসমীয়া। তাইতো বার বার এতো ফরমান জারি "অহমীয়া মিডিয়ামে পড়িব লাগে", "মাইলষ্টোনত্‌ অসমীয়া ভাহায় লিখিব লাগে"। কিন্তু তাতেও সাবুদ হয়না 'বঙ্গাল বিলাক'। অতএব এই 'উপত্যকা'টির মাজা না ভাঙ্গলে শান্তি নেই। ... যাই হোক, মাজা ভাঙল কিনা বোঝা গেলোনা, তবে ২১ জুলাই'র পর আবার কিছুদিন সব দিক রইল থমথমে। বোড়োল্যান্ড ইত্যাদি আন্দোলন চলতেই থাকলো পাশাপাশি... কখনো ঢিমেতালে কখনো বেশ রমরমায় ...

    তারপর? তারপর ২০০৩ সালে আবার দাঙ্গা। আসামে। এবারে লক্ষ্য বিহারের মানুষ। যেহেতু এই ঘটনাটি খুব বেশিদিন আগের নয় তাই Frontierএর Volume 20 - Issue 25, December 06 - 19, 2003 থেকে সামান্য তথ্যসূত্র দিয়েই ছেড়ে দিচ্ছিঃ

    On November 9, candidates from outside the State who had travelled to Guwahati for tests conducted by the Railway Recruitment Board, Guwahati, for appointment to Class III and Class IV jobs (now re-designated Category C and Category D jobs) were prevented from writing their tests. According to some reports, they could not write their tests because some local aspirants for these jobs seized and destroyed their entry cards. Among those affected were candidates from Bihar and Tripura.

    [http://www.frontlineonnet.com/fl2025/stories/20031219006800800.htm]

    অর্থাৎ এবারে অসমীয়া 'প্রভু'দের ধারণা হল যে 'বঙ্গাল বিলাক'কে তাড়ানো যখন গেলই না তো এবার অন্যদের সঙ্গে 'কাজিয়া' বাধিয়ে দেখা যাক কতদূর কী হয়। ... আর বেশি কাদা ঘাঁটব না, সোজা চলে আসবো সাম্প্রতিক ঘটনায় যেখানে দাঙ্গা বেঁধেছে বোড়ো আর বাঙালি মুসলমানে আর সেই বাঙালি মুসলমানদের '"নিও এসামিজ্‌" বলে ভূষিত করছেন আল্‌ফা নেতা পরেশ বরুয়াঃ "The ULFA leader said the violence has harmed the interest of the "greater Assamesse society". ... He also termed the Bengali-speaking Muslim immigrants from erstwhile East Bengal region as "neo-Assamesse". [http://timesofindia.indiatimes.com/india/ULFA-blames-Congress-infighting-for-Assam-violence/articleshow/15529158.cms]

    আর তারই জেরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে অস্থিরতা ...  

    ব্যাঙ্গালোর ছেড়ে যারা চলে গেছে, চলে যাচ্ছে তারা কারা? তারা কি আমার মতো 'আইটি প্রো'? না। একদল ছাত্রছাত্রী আরেকদল নানান ফ্ল্যাটের বা মলের সিকিউরিটি বা এরকমই কোনো জীবিকা নির্বাহ করা মানুষজন যাদের 'খেদা' দিলে সেই শূন্যস্থানে সহজেই ঢুকে যেতে পারে কন্নড়, তামিল, মারাঠি ... মানে যে সব কাজ করতে 'পাশ দিব নালাগে' ... ঠিক যেমনটা ছিল অসমীয়াদের মাথায় নেলীর সময়ে বা পরে বিহারি নিধনের কালে ...

     

    না, আমার, আমাদের, মানে অফিসিয়ালি 'আসাম'এর বাঙালিদের, ব্যাঙ্গালোরে আপাতত বিপদ নেই। আমরা 'মিড্‌ল্‌ ক্লাস', আমরা টিঁকে যাবো। আমরা নিরাপদে বসে বড় বড় জাতীয় সংহতির বুলিও দেবো। ফ্ল্যাট্‌ করবো বেঙ্গালোর নইলে কলকাতায়। ...কিন্তু যারা তা নয়, যারা এই দেশের ৯৯ ভাগ, যারা অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত তারা বাঁচবে কীভাবে? আজ না হোক কাল টিঁকে থাকার জন্য হয় তাদের বলতে হবে 'আম্‌গো বাসা কইলকাত্তা' ... আর নাহলে আসামে থাকলে, মুখে কিংবা কায়দায়  'আম্‌গো ভাহা অহইম্মা' বলে, ভূপেন হাজারিকাকে রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড় বলে সালাম ঠুকে 'অহইম্মা' হয়ে।

    হ্যাঁ, এই আমাদের, পূর্ব বাংলা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা বাঙালিদের নিয়তি।

    সূত্রঃ

    গুগুল্‌ এ বাংলায় "বঙ্গাল খেদা" লিখে একটি সার্চ দিন। তারপর দেখুন ...

    নেলীর হত্যাকান্ডঃ

    http://en.wikipedia.org/wiki/Nellie_massacre

    http://www.ummah.com/forum/showthread.php?203713-Recalling-Nellie-1983-Assam

    http://bit.ly/ODVJ28


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ৩০ আগস্ট ২০১২ | ৯৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shovon | 24.139.209.50 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১২ ০৬:২৯90263
  • Absolutely right. Whatever has been termed as the anti-foreigner agitation, of late, was called "BONGAL KHEDA" during its time. I know, because I was born at Dibrugarh in those tumultuous times. An anecdote. Dibrugarh, during the 1980s, showed a marked decline in the number of auto rickshaws. Why? The drivers, mostly Assamese, used to drive the Autos during the day and turned terrorists after sunset. As a result, Bengalis stopped using Autos, and due to a lack of passengers, the business declined for some time.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন