এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রাষ্ট্রই যখন নাগরিকদের বিরোধী

    ওয়াক্কাস মীর লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ জুলাই ২০১২ | ৬১৩ বার পঠিত
  •  


     পণ্ডিতেরা বলেন সংবিধানের একটা বড় কাজ হলো সাধারণ মানুষকে নিগ্রহের হাত থেকে রক্ষা করা। নিগ্রহ? কে করে মানুষকে এই নিগ্রহ? অন্য মানুষ। ।শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মানুষেরই হাতে মানুষ লাঞ্ছিত হয় রোজ।  মানুষেরই হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য  সংবিধানের দরকার। 


     আমরা নিজেদের সমাজেই সংখ্যালঘুদের সাথে কি রকম বৈষম্যমূলক আচরণ করি তা ভাবতে লজ্জা লাগে। ভেবে দেখুন দূর সাগরপারের কোনো দেশে যদি কোনো মুসলমানকে খানাতল্লাশী করা হয়, অথবা তাঁর সাথে কোনরকম বৈষম্য হয়, সে খবর শোনামাত্র আমরা সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিতে কসুর করিনা। কিন্তু সেই আমরাই নিজেদের দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর দিব্যি চোখ রাঙিয়ে ফতোয়া জারি করি যে আমাদের  অনুমোদন ছাড়া কোনকিছু করার স্পর্ধাও যেন তাঁরা না দেখান।এর থেকে বড় দ্বিচারিতা আর কী হতে পারে?


     কিছুদিন আগে লাহোরে আহমদী সম্প্রদায়ের সাথে জেরকম ব্যবহার করা হলো তা বড়ই দুঃখজনক। অনেকেই অভিযোগ  জানিয়েছিলেন যে ওঁদের 'উপাসনার জায়গা'গুলো নাকি বড্ড বেশি মসজিদের মত দেখতে। সেই  জন্য পুলিশ গিয়ে সেখানে চড়াও হয়ে দেওয়াল থেকে সমস্ত কোরাণের বাণী মুছে দিলো, আর প্রচুর ইস্তেহার ঝুলিয়ে দিয়ে এলো যাতে কোনমতেই আর উপাসনাগৃহগুলিকে মসজিদের মত না দেখায়। উপাসনার জায়গা কেমন দেখতে হওয়া উচিৎ বা তাকে কি নামে ডাকা উচিৎ সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই ঈশ্বর কোনো বিধান দেননি। কিন্তু স্বর্গত জিয়া-উল-হক সাহেবের কৃপায় আমাদের পাকিস্তানে এইরকম হওয়াটাই বিধান।


    সত্যি বলতে কি আহমদীদের সাথে এই ধরণের বৈষম্য সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই চলে আসছে। কে যে মুসলমান আর কে নয় তার বিচার করা কোনমতেই রাষ্ট্রের কাজ হতে পারেনা। কিন্তু পাকিস্তানে এরকম হয়েছে, হয় আজও। এদেশের রাজনীতিতে জাফরুল্লা খান সাহেবের মত বিদগ্ধ মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত কম।  বরং উল্টোটার অভাব নেই।  স্বর্গত ভুট্টো সাহেবকেই দেখুন না। রাজনৈতিক চাপে পড়ে উনি  সংবিধানের দ্বিতীয় ধারাও ওপর জোর দিয়েছিলেন --আহমদীদের 'অমুসলমান' বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। অবশ্য তার মানেই এ নয়  যে উনি আহমদীদের ওপর অত্যাচার করার ক্ষমতা রাষ্ট্রকে দিয়েছিলেন। আজ যে সমস্ত অত্যাচার হচ্ছে তার কারণ অন্য।


    কারণ -- মূলত জিয়া-উল-হকের কার্য্যকলাপ।আহমদী ধর্মাচরণ আর এর প্রচারকে হক সাহেব অপরাধের গোত্রে ফেলে দিয়েছিলেন। ওঁদের 'উপাসনার জায়গা'কে মসজিদ বলে উল্লেখ করা চলবেনা এই  ফতোয়াও তিনিই জারি করেছিলেন। পাকিস্তানের ইংলিশ প্রেস, যারা নিজেদের 'লিবার‌্যাল' বলে গর্ব করে লেখাপত্র ছাপিয়ে থাকে, তারাই ১৯৭৪ এ আহমদীদের 'অমুসলমান' বলে দাগিয়ে দেওয়া নিয়ে বেবাক খুশিতে মেতেছিলো। নামী খবরের কাগজগুলোতে লেখা হয়েছিলো যে ''আহমদী 'সমস্যা'র অন্তে  দেশে গণতন্ত্র ফিরে এলো''।  পাকিস্তানি সংবিধান কখনোই 'কনস্টিট্যুশন অফ ফীলিং' হিসেবে তৈরী হয়নি -- এই শব্দটা প্রোফেসর নোয়া ফেল্ডম্যানের থেকে ধার করলাম। মার্কিন সংবিধানে দেশে অন্য ধর্মের প্রতিষ্ঠা করাটাই নিষিদ্ধ। কাজেই অন্য ধর্মের লোকেরা কিছুটা অপাংক্তেয় অনুভব করতেই পারেন। আমাদের সংবিধানে অবশ্য সেরকম কোনো বিধান নেই। কিন্তু আমাদের নিজেদের এইসব বৈষম্যমূলক ব্যবহারই অন্য ধর্মের মানুষকে অপাংক্তেয় করে দিচ্ছে।এর মত খারাপ জিনিষ আর কি হতে পারে?


    রাষ্ট্র সরাসরি ধর্মীয় বৈষম্যের আইন চালু করছে তা হয়তো বলা যাবেনা। কিন্তু দেশের মানুষ যখন নিজেদের মধ্যে ধর্মের ভেদাভেদ গড়ে তুলছে রাষ্ট্র যে তাতে মদত দিচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।  লাহোরের ঘটনাটার কথাই ভেবে দেখুন না। পুলিশ বারেবারে আহমদী মসজিদ থেকে কোরানের শরিয়ত মুছে দিয়েছে। যদি আজ আহমদীরা বা অন্য ধর্মের কেউ এসে মসজিদের দেওয়াল থেকে কোরান শরিয়ত মুছে ফেলতে চায় তাহলে তাদের হাল কি হবে? শুধু মসজিদই কেন, যদি কেউ কোনো মন্দির বা গীর্জা থেকে ধর্মীয় বাণী মুছতে যায় তার কি হবে? কোন সন্দেহ নেই যে ধর্মীয় অপরাধের তকমা দিয়ে তাকে শাস্তির কাঠগড়ায় তোলা হবে। মুসলিম দেশ হলে হয়তো বা তার প্রাণদন্ডই হয়ে যাবে। কিন্তু এইক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মকে 'রক্ষা' করার দোহাই দিয়ে এরকম বারবার করা হচ্ছে, কেউ একে অপরাধ বলে মনেও করছেন না। আমি শুধু পুলিশদের দোষ দিচ্ছিনা।  দেশের জনমত আর আইন এই দ্বিচারিতার ভিত্তি গড়েছে, একা পুলিশকে দোষ দিয়ে কি লাভ?


    পাকিস্তানীদের মধ্যে যাঁরা মুসলমান নন তাঁরা তো কোনরকম ধর্মীয় স্বাধীনতার আশাই করতে পারেননা। তাঁদের ধর্মের কোনো কিছু যদি কোনো গোঁড়া মুসলমানের চোখে 'বেচাল 'ঠেকে তো সেই মুসলমান ভাই সোজা গিয়ে থানায় নালিশ ঠুকে দিতে পিছপা হননা। আর পুলিশের কাছে সে নালিশ রীতিমতো গ্রাহ্যও হয়। নিজেদের দেশে আমরা আহমদীদের সাথে যদি এমন ব্যবহার করি তাহলে অন্য কোনো দেশে মুসলমানদের সাথে বিষম ব্যবহার করা হয়েছে বলে গলা ফাটাবার মুখ আমাদের কী করে থাকবে? আর সেই সব দেশে অন্তত পুলিশ ধর্মের ভিত্তিতে কারুর ওপর চোটপাট করাকে আইনী স্বীকৃতি দেয়না।


    আমাদের আসল সমস্যা হলো যে ধর্ম নিয়ে ন্যূনতম সহিষ্ণুতা দেখাতেও আমরা অরাজী। পাকিস্তানে যাঁরা মুসলমান হয়ে জন্মাননি বা কোনভাবে 'অমুসলমান'এর তকমা পেয়েছেন তাঁদের নির্বিচারে হুমকি দিয়ে কোণঠাসা করে রাখতে আমাদের এতটুকু বাধেনা। নিজেরই দেশে এঁরা রাতদিন ভয়ে ভয়ে কাটান। পাকিস্তানের আহমদীদের দেখুন, শিয়া সম্প্রদায়কে দেখুন, হিন্দুদের দেখুন, খৃষ্টানদের দেখুন, ছবিটা সর্বত্রই এক। অথচ  ইসলাম ধর্মের কোথাও কি এমন নির্দেশ আছে যে অন্য ধর্মের লোকদের ওপর অত্যাচার করতে হবে? আমরা নিজেদের নৈতিকতায় জলাঞ্জলি দিয়ে সেটাই করে চলেছি। আমার পাকিস্তানি ভাইবেরাদরেরা এ'কথা শুনলেই ইজরায়েলের কথা তুলে কত কিছু বলবেন। ইজরায়েলাকে 'দুষ্টুলোক' বলে দেখাতে পাকিস্তান ভারি পটু। কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলবো যে ইজরায়েল অন্তত ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের ওপর বৈষম্য দেখায়না। সে দেশটা ইহুদী, কিন্তু ওখানে ইহুদী নাগরিক আর খৃষ্টান নাগরিকেরা সমাজের কাছে একই ব্যবহার পেয়ে  থাকে। ইজরায়েলের অন্যন্য নীতিতে কী খারাপ আছে কী ভালো আছে সেই নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। আমরা এখানে ধর্ম ও নাগরিকতা নিয়েই কথা বলতে বসেছি।


    কিন্তু ভেবে দেখুন আমাদের যে কারুর সাথেই তো এমন হতে পারতো। ঘটনাক্রমে যদি আমি বা আপনি আহমদী বা অন্য কোনো ধর্মের পরিবারে জন্মাতাম তাহলে এই আমাদেরই অত্যাচার, অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তায়াহীনতায় দিন কাটতো। একজন মুসলমান নিজের ধর্মে ঠিক যতখানি বিশ্বাস, যতখানি আস্থা রেখে চলেন একজন অমুসলমানের কাছেও তাঁর ধর্ম তো ঠিক ততখানিই। তাহলে সেই বিশ্বাস, সেই আস্থার জন্য তাঁকে বারবার এমন হেনস্থা হতে হবে কেন? আমি জানি রাতারাতি সমস্ত আহমদী  বিরোধী নিয়ম কানুন দেশ থেকে উবে যেতে পারেনা। আর নিয়ম কানুন গেলেও মানুষের মন থেকে খুব সহজে এই বৈষম্য মুছে যাবে সে আশাও আমার নেই। কিন্তু অন্তত একটা কাজ আমাদের করতেই হবে।যাঁদের মধ্যে সামান্যতম নৈতিকতা, মানবিকতা আছে তাঁদের আজ এগিয়ে এসে এই ধর্মীয় বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে হবে।লাহোরে যা ঘটেছে, সারাদেশেই যা ঘটছে তার প্রতিবাদ করতে হবে। নেই।আজ এই যে আহমদীদের পক্ষ নিয়ে এতগুলো কথা বললাম এর জন্য পাকিস্তানে আমায় কত সমালোচিত হতে হবে তা আমার অজানা নেই।তবু এই কথা আমি বারবার বলে যাবো। কারণ ,এর মত সত্যি কথা আর কিছু নেই।


     


    মূল লেখাঃ http://www.pakistantoday.com.pk/2012/05/06/comment/columns/the-insecure-majority/


                   (লেখক লাহোরবাসী আইনজীবী)


    অনুবাদঃ কৃষ্ণকলি রায়


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ জুলাই ২০১২ | ৬১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 129.226.79.139 (*) | ১১ জুলাই ২০১২ ০৪:২৫90324
  • বন্ধু মীরের লেখা পড়ে বন্ধু ছাড়া আর কোন সম্ভাষন মনে এলো না।
    লেখাটি মর্মষ্পর্শি। কিন্তু একটা গোড়ার জায়গায় একটু ঝামেলা মনে হচ্ছে।
    মীর ধরে নিয়েছেন পাকিস্তান একটি ধর্মনিরপেক্ষ(সেকুলার অর্থে) রাষ্ট্র। তা তো নয়। ফলে ওনার ঐ যে কথাটি "একজন মুসলমান নিজের ধর্মে যতখানি বিশ্বাস, যতখানি আস্থা রেখে চলেন একজন অমুসলমানের কাছেও তার ধর্ম তো ঠিক ততখানিই।" এই বাক্যটির গোড়াতেই গলদ। এই উক্তিটি একজন মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের থেকে উচ্চারিত। আমি হয়তো আমার অধিকারের বাইরে চর্চা করছি, অধিকারীজন আমায় শুধরে দেবেন। আমার ইসলাম নিয়ে জ্ঞান খুবই সামান্য। গুরুতে যাঁরা ইসলামে আস্থা রাখেন, ভুল বললে আমায় শুধরে দেবেন।
    ইসলামে বুৎপরস্তি (পৌত্তলিকতা) পাপ। সেই কারনেই যাঁরা হজে যান, তাঁদের একটি পাথরের গায়ে পাথর ছুঁড়ে মারতে হয়। সেই পাথরটি শয়তান ও পৌত্তলিকতার প্রতীক। এই আচারটি থেকে যে বার্তা আসে - কোন মুসলমান এমন কোন আচার পালন করবে না যা পৌত্তলিক বলে বিবেচিত হতে পারে, এমনকি পৌত্তলিকতার চিহ্ন পর্যন্ত বরদাস্ত করবে না। এটি একান্তই আমার মতো করে বোঝা। ফলে কোথাও যদি পৌত্তলিকতা পালন করা হয়, তাকে বাধা দিতে হবে।
    রাষ্ট্র যদি ইসলামকে তার ভিত্তি বলে মেনে নেয়, তো অন্যের ধর্মাচারণ, যা ইসলামে অনুমোদন করে না তা বন্ধ করতে রাষ্ট্র সক্রিয় হবে। এতে ইসলামী রাষ্ট্রকে দায়ী করা চলে না।
    ইসলামী মতে নানান পাপের (অপরাধের) নানান শাস্তি আছে। সেগুলো অন্য সেমেটিক ধর্মেও আছে। ফলে কোথাও যদি চোরের শাস্তি হাত কেটে নেওয়া হয়, বা পরকীয়াকারী মেয়েটিকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয়, তাতে রাষ্ট্রকে দোষ দিয়ে কি লাভ। রাষ্ট্র তো তার আইন পালন করছে মাত্র। দাবী হওয়া উচিৎ, রাষ্ট্রকে ধর্মের থেকে আলাদা করো। ধর্ম পালন নেহাৎই ব্যাক্তিগত, তাকে সাধারন আইনে পরিণত করা ব্যাক্তির পরিসরে হাত দেওয়া। রাষ্ট্র, ধর্মের ঊর্দ্ধে থাকুক।
  • শোভন | 24.99.69.175 (*) | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:৫৮90325
  • ওয়াক্কাস মীরের লেখাটা পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। ওই যে শেষ লাইনে লেখক বলেছেন, এই লেখায় আহমদিয়াদের সমর্থন করার জন্য তাকে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হবে, সেই আশংকা এবং তার চেয়েও গুরুতর কিছু হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকা সত্বেও, মীরের এই সাহসকে কুর্নিশ জানাতেই হয়।
    পাকিস্তানের পত্তনই তো হয়েছিলো ধর্মের ওপর ভিত্তি করে। কাজেই সেদেশে ধর্ম-নিরপেক্ষতার আশা করাটাও দুরাশা। যদ্দূর জানি, অন্য ধর্মের লোকেরা মোটামুটিভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দিন কাটান। এই যে প্রোফেসর আব্দুস সালাম, পাকিস্তানের একমাত্র নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী এবং নিশান-ই-পাকিস্তান-ও বটে, তাঁকেই তো দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো একমাত্র আহমদিয়া হওয়ার জন্য। এমনকি, পাকিস্তানের পাঠ্য বই থেকেও তাঁর নামটা বেমালুম গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।
    শরিয়তি আইনের শাসন চলতে থাকলে এই অবস্থার কোন পরিবর্তন আশা করাও যায় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন