এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনার দিনগুলি - দ্বিতীয় কিস্তি

    ডা. ঐন্দ্রিল ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ মার্চ ২০২০ | ৪৩১৮ বার পঠিত
  • করোনার দিনগুলি #৪

    করোনা মহামারী নিয়ে লোকজন ভীষণ আতংকিত। এসময় ছ্যাবলামি মার্কা এই পোস্টের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে পড়ার পর গালি দেবেন না।

    প্রথমে পিছিয়ে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম লিখব না। পরে ভাবলাম সত্যি কথা লিখতে ভয় কি। দু’চারটে গালি না হয় খাব। তবে আমি যাহা লিখিব, সত্য লিখিব। সত্য বই জল মিশাইয়া মিথ্যা লিখিব না।

    সপ্তাহের সাত দিনই দুপুরে বাড়িতে রোগী দেখি। আজ জনতা কারফিউ এর স্বার্থে দুপুরের চেম্বার বন্ধ রেখেছিলাম। বহুদিন বাদে দেড় ঘণ্টা টেনে ঘুমালাম। সন্ধ্যেবেলায় ঘরে ভাজা একগাদা পাঁপড় আর পেঁয়াজি খেলাম। তারপর থেকেই পেটটা গুড়গুড় করছিল আর বুক জ্বলছিল।

    বক্ষ দহন থেকে রক্ষা পেতে বাবার স্টক থেকে চারছিপি এন্টাসিড সিরাপ ঢকঢক করে খেলাম। খাওয়ার পর অবাক হয়ে দেখলাম এন্টাসিড বলে যেটা খেয়েছি সেটা আসলে ল্যাক্সিট প্লাস সিরাপ।

    ওদিকে রাত্রি নটার চেম্বার খোলা রাখতে বাধ্য হয়েছি। যদিও কাকুকে বলে রেখেছি জ্বর আর এমারজেন্সি ছাড়া কোনো ক্রনিক রোগী না রাখতে। কাকু ফোনে তাড়া দিচ্ছে, তাড়াতাড়ি আয়। না হলে ভিড় জমে যাবে। পেটের মধ্যে ততক্ষণে মোচড় শুরু হয়েছে। চার চামচ ল্যাক্সিট প্লাসের আফটার এফেক্ট। যা থাক কপালে, জয় মা কালী বলে বেরিয়ে পড়লাম।

    কপালে ভালো কিছু ছিল না। খুপরিতে প্রথম রোগী দেখার সময়ই বুঝতে পারলাম জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছি। যে করেই হোক এই পরীক্ষায় সফল হতেই হবে। নইলে আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে। দাঁত মুখ খিঁচিয়ে প্রথম আসা নিম্নচাপ সামলে নিলাম। রোগীর বাড়ির লোক জ্বরের ধারা বিবরণী দিচ্ছিলো। আমার মুখের অবস্থা দেখে নির্বাক হয়ে গেল। ওষুধ পত্র লিখে তার হাতে প্রেস্ক্রিপশান ধরিয়ে বললাম, আগে ওষুধ খাও। না কমলে বাকি গল্প শুনব। ততক্ষণে আবার নিম্নচাপ আসছে।

    ভাগ্যভালো রোগী বেশি ছিল না। পঞ্চাশ মিনিটের মধ্যে চৌদ্দজন রোগী দেখা শেষ করলাম। ততক্ষণে জামা ঘামে ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে। কত রোগী মুখের উপর কেশে দিলেন, সর্দি লাগা হাত টেবিলের কভারে মুছলেন, আমি করুণ মুখ করে দেখে গেলাম।

    করোনার কথা ততক্ষণে মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে । জীবনের সব রঙ, রস, সফলতা তখন তুচ্ছ।

    ৮৫ কিলোমিটার বেগে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি এলাম। স্কুটারের স্টার্ট পর্যন্ত বন্ধ করলাম না। ব্যাগ নিয়েই বাথরুমে ঢুকে গেলাম। মনে হচ্ছিল এই মুহূর্তটার জন্য আমি আজন্মকাল অপেক্ষা করে আছি।

    কিন্তু এই শান্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। খেতে বসে আবার পেটে মোচড়।

    তারপর লিখব না লিখব না করেও লিখতে বসেছি। কিন্তু এখানেই শেষ করতে হবে।

    তবে শেষ করার আগে কোনরকমে বলে যাই, করোনা মহামারী আটকানোর জন্য সব রকমের সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন। অযথা আতংকিত হবেন না। আর যদি বেশি আতংকিত লাগে, চার ছিপি ল্যাক্সিট প্লাস খেয়ে নিন। করোনা মহামারীর কথা আর মাথাতেই থাকবে না। গ্যারান্টি।

    (দয়া করিয়া এই সত্য ঘটনাটিকে কেহ সিরিয়াসলি লইবেন না। ধন্যবাদ)




    করোনার দিনগুলি #৫

    বড্ড একঘেয়ে লাগছে। সারাদিন ধরে শুধু জ্বরের রোগী দেখছি। সকলের মুখ মাস্কে ঢাকা। চেনা লোককেও অচেনা লাগছে।

    কারো কারো মুখ দেখলেই হঠাৎ করে খারাপ লাগাটা ভালো লাগায় বদলে যায়। এই অকালে তারও কোনো সম্ভাবনা নেই। মুখে কত কিছু ফুটে ওঠে। রোগের যন্ত্রণা, নেশা ছাড়তে না পারার অপরাধ বোধ। এমনকি মুখে ফুটে ওঠা কৃতজ্ঞতার ভাষাও আমি কখনও সখনও পড়ে ফেলেছি।

    মুখোশ পরা রোগীদের চিকিৎসা করতে করতে মনে হচ্ছিল, মানুষ নয়- আমি যন্ত্রদের চিকিৎসা করছি। আমাকে প্রযুক্তিবিদের মতো খুঁজতে হবে কোথায় কলকব্জা ঢিলে হয়েছে। কোথায় বল-বিয়ারিং এ একটু অয়েলিং দরকার।

    অথচ রোববার বিকালে যখন বাড়ি বাড়ি কাঁসর ঘন্টা বাজল, বধূরা শাখে ফুঁ দিলেন, তখন মনে বেশ পুলক জেগেছিল। প্রাণপণে চেয়েছিলাম এই ভালোবাসার আর শ্রদ্ধার যোগ্য হয়ে উঠতে। একটিও মাস্কে ঢাকা মুখ দেখে বিষণ্নতায় ভুগিনি।

    কিন্তু সোমবার সকালেই খবর পেলাম এক সিস্টার দিদিমণিকে তাঁর প্রতিবেশীরা গ্রাম ছাড়া করেছেন । গ্রামবাসীদের ধারণা আর্ত মানুষদের সেবায় নিয়োজিত ওই নার্সের থেকে তাদের মহামারী ছড়াতে পারে।

    তারপর বেলা যত বেড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন কোন থেকে খবর আসতে শুরু করেছে। অনেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি থেকে বহু দূরের হাসপাতালে চাকরি করেন। হাসপাতালের কাছাকাছি কোথাও বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। তাদের অনেককেই বাড়িওয়ালারা উঠে যেতে বলেছেন।

    এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বহরমপুর। সেখানকার লোকজন বাক্স প্যাটরা সহ অনেক চিকিৎসককে রাস্তায় বার করে দিয়েছেন। কারা লড়ছে, কিসের জন্য লড়ছে, মহামারীটা আসলে কিসের, সব গুলিয়ে যাচ্ছিল। কোনটা সত্যিকারের মুখ, আর কোনটা মুখোশ?

    একটা N95 মাস্ক পরলেই কি মানুষ এতটা বদলে যায়? এই মুখোশের মহামারীও কি কম ভয়ংকর?

    রবিবার রাতে জ্বরের রোগী দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়ছি। কাল যত দিন গড়িয়েছে মনে হয়েছে আমি এক হার মেনে নেওয়া সৈনিক। দিনগত পাপক্ষয় করছি। যাদের জন্য লড়ছি তারা সামনে প্রশংসা করবে, 'আপনার মতো ডাক্তার হয়না। কিন্তু শালা অমুক ডাক্তার পিওর হারামী। আমার পিসতুতো ভাইয়ের শ্বশুরকে ভেন্টিলেটরে ঢুকিয়ে মেরে ফেলল। আবার বিল করেছে আড়াই লাখ।'

    তারপর সুযোগ পেলে একদিন আমাকেও.....

    রোগী দেখা প্রায় শেষের দিকে। রাত ক্রমশ মাঝরাতের দিকে গড়াচ্ছে। আমি জ্বরের রোগীর ইতিহাস শুনছি, বুকে স্টেথো বসাচ্ছি আর ওষুধ লিখছি। হঠাৎ একজন বললেন, 'ঐন্দ্রিল, তুই কি আমায় চিনতে পারছিস না?'

    উনি মাস্ক সরালেন। আমাদের স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। সেই ছোটো বেলা থেকেই ফিজিক্সের জটিল অংক সমেত যাবতীয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি যুগিয়েছেন।

    আমার এতক্ষণ ঝিমিয়ে থাকা মনটা চাঙ্গা হয়ে উঠল। সত্যিই, মুখোশের আড়ালে মানুষ চেনা বড় দায়।



    করোনার দিনগুলি #৬

    সারি সারি দোকানের শাটার বন্ধ। চারিদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তার মধ্যে শুধু কাকুর ওষুধের দোকানে আলো জ্বলছে, আর আমার খুপরিতে।

    রাত মাত্র সাড়ে ন’টা বাজে। এসময় মধ্যমগ্রাম স্টেশনের পাশের এই জায়গায় ভিড়ে হাঁটা চলা মুশকিল। আমি স্কুটার নিয়ে এসে নিজের চেম্বারের সামনে স্কুটার রাখার জায়গা পাই না। আজ শুধু আমার একার স্কুটার।

    খুপরিতে বসে শুনছিলাম কাকু একজনকে ধমকাচ্ছে। কাকুর একটু অসুখ অসুখ বাতিক আছে। ধারে কাছে কুকুর এলেই বাড়ি ফিরে রাত বারোটায় স্নান করে। পরবর্তী তিনদিন ধরে কুকুরের কামড়ানোর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিৎ কিনা ক্রমাগত সেই প্রশ্ন করে।

    একজন ওষুধ কিনতে এসে কাউন্টারে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কাকু গজগজ করছে, 'আপনার তো আক্কেল জ্ঞান নেই। জানেন আপনার হাত থেকেও এখানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে'। আমি জানি লোকটি ওষুধ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই কাকু স্পিরিট দিয়ে কাউন্টার মুছবে।

    এর মধ্যে জেনে গেছি প্রধানমন্ত্রী তিন সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। বড় অসহায় লাগছে। একেবারে তিন সপ্তাহের লকডাউন না করে সাতদিন সাতদিন করে বাড়ালে হয়তো এতটা অসহায় লাগতো না।

    কাশতে কাশতে একজন খুপরিতে ঢুকলেন। সমস্যা হলো সকলের মুখই মাস্কে ঢাকা থাকায় পুরনো রোগীদেরও চিনতে পারছি না।

    গলার আওয়াজ শুনে চিনতে পারলাম। আমাদের উল্টো দিকের পাড়ায় থাকেন। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে লটারির দোকান আছে।

    সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এসেছেন। স্ত্রী বললেন, পাঁচ দিন ধরে জ্বর আর কাশি। বারবার বলছি আপনার কাছে আসতে। সেই এলো, ঝামেলা পাকিয়ে।

    ভদ্রলোক বললেন, কিভাবে আসব ডাক্তারবাবু? গত দশ দিন লটারির দোকান বন্ধ। এক পয়সাও আয় নেই।

    প্রেশার প্রচুর বেড়ে রয়েছে। জিজ্ঞেস করে জানলাম গত চারদিন তিনি প্রেশারের, সুগারের কোনো ওষুধই খান না। এন আর এস হাসপাতালে দেখাতেন। ট্রেন, বাস বন্ধ থাকায় সেখানেও যেতে পারছেন না।

    আমি বললাম, আপাতত কিনে খান। আমি বাইরের ওষুধ লিখে দিচ্ছি।

    ভদ্রলোক হাসলেন। বললেন, ওষুধ কেনার পয়সা জোগাড় করাই মুশকিল। অভাবের সংসার। লটারির দোকানে আর ক’টা টাকা হতো। আর এখন তো দু’বেলার চাল-ডালই জুটছে না। বেঁচে থাকার একটা পথই খোলা আছে ডাক্তারবাবু। এবার চুরি-ডাকাতি করতে হবে।

    ধমক লাগালাম, একদম বাজে বকবেন না। মানুষের জীবন অনেক লম্বা। কোনো ভাবে সপ্তাহ তিনেক কাটালেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

    ভদ্রলোক পকেটে হাত ঢোকাচ্ছিলেন। বললাম, ভালো থাকলে একেবারে তিন হপ্তা পরে আসবেন। তখন ভিজিট দেবেন।

    ওনারা চলে যাওয়ার পরে মনে হলো সত্যিই কি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে? সেই ঠিক হওয়া পৃথিবীটা দেখার জন্য আমি থাকব তো? স্যানিটাইজারের শেষ বোতলটাও শেষ হয়ে গেছে। সাবান দিয়ে হাত ধুলাম।

    দশদিন অন্তর একজন দেখাতে আসেন। সব রোগী শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ বসে থাকেন। রাত এগারোটা, সাড়ে এগারোটা যাই বাজুক কারো আগে ঢুকতে চান না। ভাঙাচোরা শরীর, তোবড়ানো গাল। চেহারা দেখে বয়স আন্দাজ করা মুশকিল।

    তিনি সারাদিন ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বাড়িতে জমি পরিস্কার করেন। নানারকম ফাই-ফরমাস খাটেন। আমার কাছে যখন আসেন হাতের প্লাস্টিকে থাকে তিনশো গ্রাম চাল, একশো গ্রাম ডাল, দুটো আলু, দশ টাকার তেল আর টুকিটাকি।

    খুপরিতে ঢুকে হাত বাড়িয়ে বলেন, প্রেশারটা মাপো তো ডাক্তার।

    আমি প্রেশার দেখে মাথা নাড়ি, ফার্স্টক্লাস।

    পকেট থেকে সযত্নে দু’বছর আগের প্রেশক্রিপশান বের করে বলেন, এখানে প্রেশারটা লিখে রাখো।

    প্রেশক্রিপশানের পুরোটাই প্রেশার লিখতে লিখতে ভরে গেছে। কোনো একটা ফাঁকে তারিখ দিয়ে প্রেশার লিখে দি।

    তিনি একটা দোমড়ানো- মোচড়ানো একশো টাকার নোট বার করে বলেন, কিছুতো রাখো। নইলে তোমার চলবে কি করে ডাক্তার?

    প্রত্যেকবারই আমি বলি, পরের বার দেবেন।

    তিনি বারো টাকা পাতার প্রেশারের ওষুধ এক পাতা নিয়ে বাড়ি যান। সে বাড়িতে আর কে আছে আমি জানি না। শুধু জানি ঐ পাতা যেদিন শেষ হবে, তিনি আবার আসবেন।

    উনি অনেক দিন আসেন নি। করোনা মহামারী ছড়ানোর পর আজ প্রথম ভয় লাগছে। উনি আর আদৌও আসবেন তো?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ মার্চ ২০২০ | ৪৩১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 172.69.135.105 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১২:৩৭91742
  • চার নং দিন।
    প্রচীন সিলেটি প্রবাদ আছে, হা*র নাই বাঘার ভয়।
  • mahua | 141.101.99.226 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১৩:০১91743
  • কি মনেহয় ডাক্তারবাবু। আমরা কি আর কোনোদিন স্বাভাবিক জোবনে ফিরবো? না এই আতঙ্ক নিয়েই এবার থেকে বাঁচতে হবে?
  • mahua | 141.101.99.76 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১৩:০২91744
  • * জীবনে
  • একলহমা | ২৫ মার্চ ২০২০ ১৮:৫৮91752
  • আপনার কাজ আর সাহসের জন্যে কোন প্রশংসা, কোন কথাই যথেষ্ট নয়, ঐন্দ্রিল! আকাঙ্খা করি বেঁচে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
  • MT Sk Samirul Haque | 2409:4061:693:98b3::2349:c0b0 | ০১ আগস্ট ২০২০ ১৫:২১95804
  • Sir apnar ei lekhagulo ,amara koronar por jeno boi akare pai.

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন