এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা ও রাজনীতি (করিবেন না): একটি বামৈস্লামিক চব্ব

    রৌহিন ব্যানার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ এপ্রিল ২০২০ | ৩৮৮৯ বার পঠিত
  • আমি করোনা সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানি না। “প্রায়” কথাটা ব্যবহার করলাম কারণ অন্য কিছু না জানলেও এ বিষয়ে একটা সার সত্য এই কদিনে জেনেছি খুব ভালো ভাবে – সেটা হল, কেউই কিছু জানে না। কেউ না মানে কেউ না – হু না, হু’জ হু রাও না। বৈজ্ঞানিক, ডাক্তার, গবেষক – এরা হয়তো ভাসা ভাসা কিছুটা জানেন – কিন্তু এরা যেহেতু জানেন যে এরা জানেন না – তাই এরা প্রায় কোন কথাই বলছেন না। বাকিরা সব বলছেন। সর্বক্ষণ বলছেন। সবটাই ভুল বলছেন এমনটা নিশ্চই নয়, কিন্তু কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সেটা নিয়েও তাদের কোন ধারণা নেই – তবু বলছেন – বলেই যাচ্ছেন। আর আমরা, আম আদমী (ঝাঁটাওয়ালা হই বা না হই) শুনছি, তারপর আমরাও বলছি। বলেই যাচ্ছি। কারণ এই মুহুর্তে আমাদের বলার মত আর কিছুই নেই। দারিদ্র নেই, বেকারত্ব নেই, আত্মহত্যা নেই, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অপ্রতুলতা নেই, ক্ষুধা নেই, পুলিশি বর্বরতা নেই, ডিটেনশন ক্যাম্প নেই – শুধু করোনা আছে। ও সরি, করোনা বললে আপনারা আবার গাঁইয়া ভাবতে পারেন – কোভিড ১৯ বলতে হবে, কিম্বা নভেল করোনা। ফোন করলে অবশ্য “নোবেল করোনা ভাইরাস” বলে। সেটাও রোজ বলে, প্রতিটা ফোনে বলে। রবীন্দ্রনাথের সেই নোবেলটাই এদ্দিনে খুঁজে পেয়েছে মনে হয়। পেয়ে করোনাকে দিয়ে দিয়েছে।

    অতএব যদিও আমি করোনা নিয়ে প্রায় কিছুই জানিনা, তবুও আমাকেও বলতে হবে। না বললে মান থাকে না। এবার সেই ছোটবেলার রচনার মত কেস – পড়ে এসেছি গরু রচনা, এদিকে এসেছে নদী – কেলোর কীর্তি। শেষে কী দাঁড়াল? না – নদী বয়ে যায়। নদীর দু ধারে ঘাস জন্মায়। সেই ঘাস খেতে গরু আসে। ব্যস – গরু এসে গেছে। বাকি গরু রচনা তো মুখস্থ। তা এখনো সেই দশা – করোনা রচনা লিখতে হবে। করোনা খুব সাঙ্ঘাতিক রোগ। এর ভালো নাম কোভিড – ১৯। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন নভেল করোনা ভাইরাস। ফোনের ছদ্মনাম “নোবেল করোনা ভাইরাস। একে চুড়ি পরা থেকে রোধ করা যেতে পারে”। করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। এই ব্যস – রাজনীতি এসে গেছে, বাকি রচনা মুখস্থ। করোনার রাজনীতি, রাজনীতির করোনা এবং আমরা – জন্মগতভাবে রাজনৈতিক জীবকুল, এখনো অবধি জানা কোভিড ১৯ ভাইরাসের একমাত্র বাহক। “করোনা সে করোনা – তাকে হালকা মনে কোরো না” (বোঝে না সে বোঝে না-র সুরে)।

    এক্ষুণি যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, বলুন তো ভারতে এখনো কতজন করোনা রোগী ধরা পরেছেন, তার মধ্যে কজন মারা গেছেন? আমেরিকায়? ইতালিতে? স্পেনে? হটস্পট কাকে বলে? কোয়ারান্টাইন কী? এসব কঠিন কঠিন প্রশ্নের জবাব আপনার জানা – আপনি শতকরা ১০০ না হোক অন্তত ৯০ ভাগ সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। আপনি 'ক' পেয়েছেন। এবারে এই একই প্রশ্ন যদি ম্যালেরিয়া বা স্মল পক্স বা হাম কিম্বা ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে করি? এবারে কিন্তু মেরেকেটে তিরিশ তোলা চাপ হয়ে যাবে, তাই না? আমার মতই আপনিও হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন। এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা নেই। অপুষ্টির কারণে রোজ কত শিশু/বৃদ্ধ মারা যান আপনার জানা নেই। কেন জানা নেই? করোনা সম্বন্ধেই বা এত কিছু কেমন করে জানলেন? কারণ করোনা সম্বন্ধে আপনাকে জানানো হয়েছে, অন্যগুলি সম্বন্ধে হয়নি, তাই না? কেন এরকম হল? এর উত্তরও সহজ – আপনার করোনা সংক্রমণ হতে পারে। অন্যগুলি নয়। না, আপনি আমি ম্যালেরিয়া বা কলেরা বা পক্সের শিকার হই না সহজে – হলেও তাতে মরে যাই না চট করে। অপুষ্টি? আমার বাচ্চা বার্গার ফার্গার খেয়ে ক্যান্সারে মরতে পারে, অপুষ্টিতে নয়। যারা ওসবে মরে যায়, কলেরা মহামারীতে কিম্বা নেহাৎই না খেতে পেয়ে, তারা আমরা নই। আমাদের তাই ওসব জানার এবং জানানোর প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, রাজনীতি। এটাই রাজনীতি। আমি, আপনি, আমার বাড়ির কাজের লোক বা কালাহান্ডির বৃদ্ধ, অথবা সেই মানুষটি যে তার স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে একশো কিলোমিটার হেঁটে ফিরেছিল – এরা সবাই রাজনৈতিক জীব, রাজনীতির ফসল।

    ভারতীয় রাজনীতির একটা মজা হচ্ছে, দু হাজার চোদ্দর আগে অবধি যে কোন বিতর্কই পটাং করে সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়ে নিতে পারে এমন একটা আশঙ্কা থাকত। দু হাজার চোদ্দ-উত্তর ভারতে অবশ্য সেরকম কোন আশঙ্কার আর কোন অবকাশ নেই – সাম্প্রদায়িকতাই এখন ভারতের একমাত্র রাজনীতি। করোনাই বা তার ব্যতিক্রম হবে কেন? করোনার প্রায় শুরুর থেকেই শুরু হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। আর তার প্রতিবাদ করা মানেই আপনি রাজনীতি করছেন – ওটি করবেন না। ইলেক্ট্রনিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়, অনেক ক্ষেত্রে প্রিন্ট মিডিয়াতেও খবরের পর খবর, কিভাবে একটা “বিশেষ” সম্প্রদায় ইচ্ছা করে ভারতে করোনা ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কখনো এঁটো বাসন চাটছে চিন থেকে এসে, কখনো ধর্মীয় জমায়েতে স্রেফ একসাথে হেঁচে হেঁচে জীবানু ছড়াচ্ছে, ডাক্তার দেখলে মারতে আসছে, আশা কর্মীদের তাড়া করছে, জমায়েত থেকে ভাইরাস নিয়ে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, ফলবিক্রেতা ফলে থুতু ছেটাচ্ছে, রেস্টুরেন্টের বয় খাবারে থুতু ছেটাচ্ছে, পুলিশ মারছে পুরোহিতকে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ধর্ম দেখে রেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে – এরকম একের পর এক খবর। প্রতি ক্ষেত্রেই “অপরাধী” কোন সম্প্রদায়ের, অত্যাচারিতই বা কোন সম্প্রদায়ের সেটা বলতে পারার জন্য কোন পুরষ্কার নেই। এই যে ভাইরাল পোস্টগুলির কথা বললাম তার প্রায় প্রতিটিই ফেক প্রমাণিত হয়েছে – কোনটার সপক্ষে ন্যূনতম প্রমাণ দেবার চেষ্টাও কেউ করেনি, তার প্রয়োজনও হয়নি। আমরা এইসব খবর গোগ্রাসে গিলেছি এবং ফরোয়ার্ড করে গেছি। কারণ আমরা রাজনীতি করি না।

    আর আমরা পাড়ায় পাড়ায় কী করে বেরাচ্ছি? সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং। সামাজিক দূরত্ব। এটা নতুন শব্দ, কিন্তু ব্যপারটার সারমর্ম আমাদের বোঝাতে কোন বিশেষজ্ঞকে একটুও বেগ পেতে হয় নি – কারণ সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং আমাদের, ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজের চেয়ে ভাল করে কে না জানে? মা’র কাছে মাসীর গল্প শোনাতে এসেছে? আমাদের বাড়িতে এমনিতেই কাজের লোকের চায়ের কাপটা আলাদা (যদি বাড়িতে চা খাওয়া আদৌ অ্যালাউড হয়ে থাকে), কে বেল বাজাল তার পোশাক দেখে আমরা বুঝে যাই দরজা খোলা হবে কি হবে না, হলে তাকে মেঝেয় বসতে দেওয়া হবে নাকি সোফায় – আমাদের শেখাবেন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং? ফুঃ! উই মেইনটেইন, দাস উই সারভাইভ। এখন খালি পরিধিটা একটু বাড়িয়ে নিয়েছি। এমনিতে সারাদিনে চোদ্দবার বাইরে বেরোচ্ছি, এটা কিনতে, সেটা আনতে, চা খেতে, হালচাল বুঝতে – কিন্তু সবাই মুখোশ পরে। আর যেই কোনমতে জানতে পারা গেল পাড়ায় একজনের জ্বর হয়েছে কিম্বা হয়তো বাইরে থেকে এসে থাকতে পারে – কিম্বা শ্বাসকষ্ট আছে – ব্যাস। বহুদিন বাদে আবার আমরা ধোপা নাপিত বন্ধ করার নিদান দেওয়াটাকে লেজিটিমাইজ করে ফেলেছি – আমাদের পায় কে? আর সোশ্যাল মিডিয়া তো রইলই – খাপ বসানোর জন্য। আমার করোনার লক্ষণ দেখা গেলেও আমি লুকিয়ে রাখতে বাধ্য – নইলে আমার বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। আমার নিজের রোগে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশী আমার সমাজের রোগে।

    করোনায় ভারতবর্ষে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৃতের নাম ন্যূনতম মনুষ্যত্ব, মানবিক বোধ। তার হয়তো মৃত্যু বরাদ্দই ছিল, কারণ সে বহু আগে থেকেই ধুঁকছিল, আর এরকম শিকার তো করোনা ছাড়ে না বলেই জানা গেছে। এক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় হয় নি। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং হয়েছে, ওদিকে হাজারে হাজারে মানুষ পথে হাঁটছে, হাঁটতে হাঁটতে মরে পড়ে যাচ্ছে, আমরা নির্বিকার। মানুষকে কীটনাশক দিয়ে ধুইয়ে দিচ্ছেন আধিকারিক – আমরা নির্বিকল্প। আধিকারিক ভুল স্বীকার করছেন – আমরা খুশী। আমরা প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি যে ভুল যে স্বীকার করলেন – কিসের ভিত্তিতে? ঠিকটা কী? আদৌ আপনি জানেন যা করেছেন তা ঠিক না ভুল? কেউ জানে? কোথাও আজ অবধি কোন গাইডলাইন আছে এই নিয়ে? থেকে থাকলে, তার খবর টিভিতে, ফেসবুকে, হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভারসিটিতে, কোথাও পেয়েছেন? বাসস্ট্যান্ডে, স্টেশনে ভীড় করছে মানুষ গৃহে ফেরার ইচ্ছায় – আমরা নিরাপদ দূরত্বে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিৎকার করেছি এদের জন্যই দেশটা রসাতলে গেল বলে। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়ে ক্ষমা চাইছেন, তারপরেই আবার তাদের ওপরেই লাঠি চালাচ্ছে রাষ্ট্র – কারণ তারা “কথা শুনছে না”। “এদের” কী করা উচিৎ ছিল আমরা জানিনা – কারণ যেখানে ছিল সেখানে আমরাই বলেছি, অন ক্যামেরা সোচ্চারে বলেছি “আমাদের সাথে এদের রাখা চলবে না” - হ্যাঁ এদের জন্যই দেশটা রসাতলে গেছে বহু আগেই। ভাগ্যিস। রসের ওপরে থাকলে এতদিনে এক ভৌতিক দেশে বাস করতেন, হে ভারতবাসী। সেই ভুতের দেশ যেখানে সবাই পাগলা মেহের আলির মত বলে চলে – “আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা?”
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ এপ্রিল ২০২০ | ৩৮৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৭:২২92334
  • "তারা কখনো এঁটো বাসন চাটছে চিন থেকে এসে, কখনো ধর্মীয় জমায়েতে স্রেফ একসাথে হেঁচে হেঁচে জীবানু ছড়াচ্ছে, ডাক্তার দেখলে মারতে আসছে, আশা কর্মীদের তাড়া করছে, জমায়েত থেকে ভাইরাস নিয়ে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, ফলবিক্রেতা ফলে থুতু ছেটাচ্ছে, রেস্টুরেন্টের বয় খাবারে থুতু ছেটাচ্ছে, পুলিশ মারছে পুরোহিতকে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ধর্ম দেখে রেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে – এরকম একের পর এক খবর।" 

    কি নোংরা রাজনীতি! কি অসহায় মনুষ্যত্ববোধ!   

  • প্রতিভা | 172.69.33.252 | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৫৮92339
  • যথাযথ বিশ্লেষণ। সত্যিই করোনা এমন শিকার ছাড়ে না। 

  • সৌর | 162.158.50.247 | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০১:৩৪92370
  • আমি শুধু এটা দেখার জন্য বেঁচে থাকতে চাই যে এই অদ্ভুত সময়ে যারা সাম্প্রদায়িক হতে পারে, তারা এই সময়ের ওপারে গিয়ে কি বলে, কি ভাবে, কিভাবে বাঁচে।।।

  • aguner gola | 172.69.54.62 | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:১৫92454
  • কানু কুমার আর ঐশি দেবী কি কোয়ারেন্টাইন এ ?

    না মানে কিছুদিন দেখছিনা তো

    তাই জিগাইছিলাম
  • Chandan chor | 162.158.158.222 | ২০ এপ্রিল ২০২০ ০০:২২92547
  • চন্দ্রবিন্দু জ্যোতি বসুর পুত্র কুখ্যাত শিল্পপতি চন্দন বসু র কথা আমরা সকলে জানতাম। আরেক সিপি(আই)এম মুখ্যমন্ত্রীর সন্তান যে শিল্পপতী আমরা কি জানতাম ? কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের কন্যারত্নটি যে শিল্পপতি এটা ডাটা স্ক্যামের আগে আমরা কজন জানতাম। জ্যোতিবাবুর ব্যাটা মাটি পাচার করে শিল্পপতি হয়েছিল। বিজায়ানের বেটি তথ্য পাচার করে শিল্পপতি হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন