এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরানো সেই দিনের কথা : সরকারি কর্মচারী

    Sutanu Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ২৮০৪ বার পঠিত
  • আমাজন প্রাইমে পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজ টা দেখলেন কি? না দেখলে যে ভাবে পারুন দেখে নিন। এ জিনিস মিস করা মানে নিজের বেশ ক্ষতি করলেন আপনি। হাজারো থ্রিলার, ট্রু ক্রাইম, ফ্যান্টাসির ভিড়ে যদি একটু অনাবিল আনন্দ, প্রাণখোলা হাসির মালিক হতে চান তো এ জিনিস আপনারই জন্য। যারা এখনো দেখেননি তাদের কৌতূহল একটু বাড়ানোর জন্য বলি, গল্প শুরু হয় এক অল্পবয়সী শহুরে তরুনের সামান্য মাইনেতে এক প্রত্যন্ত গ্রামে পঞ্চায়েত সেক্রেটারির চাকরি পাওয়া নিয়ে। ইচ্ছা তার মোটেও ছিল না এরকম একটা চাকরিতে ওরকম গন্ডগ্রামে জয়েন করার। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার, উপায়হীন, তাই বাধ্য হয় সেই প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে চাকরিতে জয়েন করতে। আর জয়েন করার পর শুরু হয় আসল মজা। গ্রামের মানুষের গায়ে পড়া কৌতুহল, ক্ষমতাবানদের স্বার্থপরতা আবার বৃহত্তর স্বার্থে সবাই এককাট্টা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া দেখতে দেখতে আপনিও ওই গ্রামেরই একজন হয়ে যাবেন।

    তবে যাঁরা পড়ছেন, তাদের কেউ যদি সরকারি চাকরিতে পাবলিক ডিলিংস করে থাকেন, তাঁরা সবচেয়ে বেশি রিলেট করতে পারবেন। যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। আমার প্রথম চাকরি (অল্প কয়েকদিনের জন্য দুর্গাপুরের একটি মাঝারি কারখানা বাদ দিলে) ছিল WBSEB তে ডিস্ট্রিবিউশন এ , কাটোয়া সাব ডিভিশন এ। কেতুগ্রাম, দাইহাট, নতুনহাট এরকম বেশ কিছু এলাকা নিয়ে এক বিস্তীর্ণ গ্রামীন এলাকা ছিল আমার কর্মক্ষেত্র। ওখানে মাস কয়েক ছিলাম আমি নতুন চাকরিতে জয়েন করার আগে। ওখানকার বহু মজার (?) অভিজ্ঞতার একটা আমি শেয়ার করতে চাই। আশাকরি , খারাপ লাগবে না।

    শুরু থেকেই বলি ঘটনাটা । মেডিক্যাল পরীক্ষা পাশ করে জয়েনিং লেটার নিয়ে বাসে চেপে আমি কাটোয়া পৌছালাম এবং জয়েন করলাম। জয়েন করার পরের দিনের ঘটনা এটা।

    সেদিন দুপুরে, ডিভিশন অফিসে ( কাটোয়া তেই) রিভিউ মিটিং শুরু। ওই ডিভিশনের অন্তর্গত যত ইঞ্জিনিয়ার আছেন আমার মত, সবাই এসেছেন। গতমাসের ফলাফল আলোচনা হচ্ছে। আগামী মাসের কর্তব্য স্থির হচ্ছে। আমি নতুন, তাই আমার কোন চাপ নেই। চা বিস্কুট খেতে খেতে নিজেকে বেশ একটা কেউকেটা কেউকেটা মনে হচ্ছে । বেশ বুঝতে পারছি আগামী সময়ে কাটোয়ার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে আমার হাত ধরে।

    এমন সময়ে আমার নিজের অফিস থেকে এক দূত এসে কানে কানে খবর দিল স্যার অমুক জায়গায় খুব ঝামেলা হচ্ছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত আর কন্ট্রাক্টর অফিসে ফোন করছে।

    বুঝতেই পারছেন, আমি তখন সদ্য চাকরি পাওয়া টগবগে তরুণ। রক্ত ফুটছে। তাই স্যার কে একটু সমস্যা হয়েছে বলে বেরিয়ে এলাম। তারপর সোজা নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল। গিয়ে যা বুঝলাম ব্যাপারটা, তা হল এই যে, ওখানকার এক গ্রামে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে কিছুদিন আগে বেশ কিছু পোস্ট পড়ে যায়। কোন কন্ট্রাক্টর ওই কাজের বরাত ও পায় কিন্তু সমস্যা হল যাদের জমিতে পোস্ট পড়েছে তাদের দাবি ফসলের ক্ষতিপূরণ। তাই তারা কাজ হতে দেবে না আবার বাকিরা এর ফলে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না তাই নিয়ে তাঁরাও ফুঁসছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম উত্তপ্ত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমাধান না পেয়ে আমার ঘরে বল ঠেলে দিয়েছে। তো ছোটবেলা থেকেই সুযোগ পেলে কথাবার্তা আমি মন্দ বলি না। তাই এখানেও সবাইকে ইমোশনাল ভুজুং ভাজুং দিয়ে কিছু একটা ম্যানেজ ট্যানেজ করে একটা সমাধানে আসা গেল। কাজ শুরু।

    শুরুতেই এই অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে আমার তো গর্বে বুক দশ হাত ফুলে গেল (হায়, তখন কি বুঝেছি এতো সবে কলির সন্ধ্যে)। নিজের কৃতিত্ত্বে আমি নিজেই অবাক। স্থানীয় পঞ্চায়েতও বাহবা দিল অনেক।

    তো মনের আনন্দে আমি ফিরছি। অনেকটা এসেছি, এমনসময় হঠাৎ দেখি বেশ খানিকটা দূরে সামনে শ খানেক লোক প্রায় রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে।
    আমি ভাবলাম, তবে কি আমার খ্যাতি এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল? এরা রাস্তাতেই আমাকে কিছু সংবর্ধনা দিতে চলেছে? গাড়ি থামতে বাধ্য হল।

    ওমা, গাড়ি থামতেই দেখি উন্মত্ত জনতা অকথ্য গালাগাল দিতে দিতে আমার গাড়ি ঘিরে ধরল। গাড়ি ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলছে নাম **** নাম শালা। খুব পালিয়ে বেড়াচ্ছ। আজ দেখাচ্ছি। আমার হার্টবিট 500। কাঁপতে কাঁপতে নামলাম। নামতেই প্রচন্ড গালাগালির গর্জন তবে কয়েকটা মুসকো মাতব্বর লোক আমায় ঘিরে ধরে বলতে লাগল এই স্যারের গায়ে যেন হাত না পড়ে। কিন্তু বাকিরা তা মানতে রাজি নয়। কেউ বলে পুঁতে দে, কেউ বলে জ্বালিয়ে দে, কেউ বলে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দে। খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই বেস্ট।

    আমার অবস্থা টা তখন চিন্তা করতে পারছেন? না পারবেন না। এ জিনিস নিজে ফেস না করলে বোঝা যায় না। আমার তখন প্রায় বাহ্য জ্ঞান লুপ্ত। ফ্লাশব্যাকে বাবা মা দাদা বৌদির মুখ ভেসে উঠলো। মাকে প্রথম মাইনের টাকায় ভালো শাড়ি দেবো ভেবেছিলাম। হল না মা , ক্ষমা করো। আবার ওদিকে মনে হল যেন হেমন্তের গান শুনছি অবাক পৃথিবী অবাক করলে আমায়। সেটা থামতেই জীবনানন্দের আবার আসিব ফিরে কবিতাটা আবৃত্তি শুরু হল।মোট কথা, আমি তখন জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি কোন জায়গায়।

    এমন সময় কানে এলো, আমার ছোকরা ড্রাইভার চেঁচাচ্ছে 'স্যার নতুন কোন দোষ নেই। স্যার নতুন, স্যার নতুন।'
    আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম।ধীরে ধীরে বুঝলাম ওরাও ঠিক আমাকে দেখবে আশা করে নি , বরং আমার আগের জন ছিল আসল টার্গেট। একটু বল ফিরে পেলাম। বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করলাম কি সমস্যা। ওরা তখন সমস্সরে চেঁচাল এই পাঁচু তুই থাম রাজুকে গুছিয়ে বলতে দে।

    তো রাজু গুছিয়ে যা বলল তার সারমর্ম :

    এই অঞ্চলের পাওয়ার এসেছে দূরের কাটোয়া সাবস্টেশন থেকে এক লম্বা ফিডারের মাধ্যমে। তো লম্বা ফিডারে কি হয়, মাঝখানে মাঝখানে লাইন কাটার ব্যবস্থা থাকে। যাতে রাত বিরেতে ব্রেকডাউন হলে কিছুটা কেটে বাকি অঞ্চলে পাওয়ার দেওয়া যায়। তো এরা এই ফিডারের শেষ অংশ বলে এদের সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়। তাও এরা মেনে নিচ্ছিল, কিন্তু বর্তমানে এখানেই একটি ছোট সাবস্টেশন হয়েছে। তো তাদের দাবি এর সাথে তাদের জুড়ে দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে তারা কাটোয়াতেও গিয়েছিল কিন্তু সব শুনে আমার আগের জন তাদের ভাগিয়ে দিয়েছেন। তাই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিয়ে তারা শিকারি বাঘের মত ওয়েট করছিলেন। ওদিকে তাঁর ট্রান্সফার হয় আর আমার আবির্ভাব।

    সব শুনে আমি বললাম এ কি করে সম্ভব ? তাছাড়া আমার কর্মীদের এবং সরঞ্জাম ও লাগবে। ওরা বলল ও সব নিয়ে আপনি মাথা ঘামবেন না। আমাদের ছেলে আছে, মাল ও আছে আমরাই করে নেব। আপনি শুধু হ্যাঁ বলুন। ভেজা পাট ফেলে লাইন আমরা ট্রিপও করিয়ে দেব। আমি দিশেহারা। শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করলাম। ইমোশন।

    বললাম এরকম জোর করে বেআইনি কাজ যদি করিয়ে নেন তাহলে ট্রান্সফরমারের কি হবে জানি না, কিন্তু আমার চাকরি যাবেই। অনেক কষ্টে জোগাড় করেছি বেকার মধ্যবিত্ত ছেলে, এভাবে পেটে লাথি মারবেন? তার থেকে প্লিজ আমায় বসের সাথে কথা বলতে দিন। উনি যদি রাজি হন তাহলে সবার মঙ্গল। ওষুধে কাজ দিল। ওরা বলল বেশ , চলুন তাহলে বুথে।

    এই বলে এক শোভা যাত্রা করে আমরা চললাম গ্রামের একমাত্র বুথে। গিয়ে জানা গেল সেই সকাল থেকেই টেলিফোন লাইন কাটা।

    সর্বনাশ, এবার? আমি নিরুপায় হয়ে অনুরোধ করলাম দেখুন আমি নতুন আমায় সুযোগ দিন। যদি কিছু করা যায় আমি করব। কিন্তু এভাবে আমি হ্যাঁ বলতে পারব না। ওদেরও উৎসাহ তখন শেষের দিকে , একটা সম্মানজনক এস্কেপ রুট ওরাও খুজছে। আমার প্রস্তাবে তাই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হল। ছেড়ে দিল আমায়।

    অবসন্ন শরীর মনে ফিরছি। ড্রাইভার ছেলেটি বলল স্যার বেঁচে গেলেন অল্পে। আপনাকে আগের স্যারের মত ধুরন্ধর হতে হবে।
    আমি উৎসুক হলাম। বললাম তাই? তো আগের স্যার কি কি করতেন?
    সে বলল স্যার উনি তো বহুদিন এখানে ছিলেন, তাই আটঘাট জানতেন।উনি যে রাস্তায় যেতেন সে রাস্তা দিয়ে ফিরতেন না। আসলে এই সাদা গাড়ি সবাই চেনে তো। তাই কোথাও গেলেই খবর হয়ে যায়। ফেরার পথে ওঁৎ পেতে থাকে সব। আপনি নতুন আপনাকেও করবে ভাবতে পারি নি। নইলে বলতাম।

    আমি পুরো থ। ঢোক গিললাম একটা। ছেলেটি আবার বলে উঠল আর স্যার, আগের স্যার ব্যাগে একটা গামছাও রাখতেন।
    আমি তো অবাক ! কেন কেন গামছা কেন!?

    উত্তরে বলল, স্যার সব জায়গায় তো আপনি ফেরার অন্য রুট পাবেন না। এরকম ক্ষেত্রে স্যার মুখে গামছা বেঁধে বাসে করে ফিরতেন। আর আমি অনেক পরে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে ফিরতাম। স্যারের সাথে যোগাযোগ করে টেকনিক গুলো শিখে নেবেন স্যার।কাজে লাগবে আপনার।

    বিশ্বাস করুন বাকি রাস্তা আমার মুখে আর কোন কথা যোগায় নি। অফিসে ঘটনার খবর পৌঁছে গেল আমি যাওয়ার আগেই। আমার বস খুব ভাল মানুষ ছিলেন। চা টা খাইয়ে শান্ত করিয়ে আমায় বললেন শোন ছোকরা, এখন তুমি নতুন। এরকম হুটহাট না খবর দিয়ে বেরিয়ে যেও না। নিজের পরিচিতি বানাও। সব পঞ্চায়েত, বিডিও, SDO , পুলিশের সাথে পরিচয় কর। নিজের সোর্স বানাও, নিজের লোকাল কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বানাও তারপর যা করার কর। এখন যাও খেয়েদেয়ে ঘুম দাও।

    এরপর যে কয়মাস ছিলাম রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। আকাশ কালো হলেই আমার বুক দুরুদুরু শুরু। শুধু জনতা তো নয়। SDO, DM,প্রভাবশালী নেতা, বিধায়ক কোথা থেকে না ফোন আসত। ন্যায্য দাবি, অন্যায় আবদার, ঘেরাও, ধমকি, ডেপুটেশন, নানা প্রতিবন্ধকতার চক্রব্যূহে অনভিজ্ঞ নিজেকে অসহায় অভিমন্যু মনে হত। যেন হারব জেনেও লড়ে চলেছি। বহুবার রাতে শুয়ে মনে হয়েছে, ধুর! যা থাকে কপালে, ছেড়ে চলে দিয়ে যাই সব। কান্না পেত।

    কিন্তু উল্টোদিকে ভালোবাসাও পেয়েছিলাম অনেক। মনে আছে অফিসের উল্টোদিকে এক ছোট্ট হোটেলে দুপুরে নিয়মিত খেতে যেতাম। বহুদিন হয়েছে খবর দেওয়ার সময় পাই নি, বেরিয়ে গেছি। পরের দিন হয়ত কোন হুজ্জুতি মিটিয়ে অনেক বেলায় গিয়ে সসঙ্কোচে বলেছি দাদা ভাত হবে? মালিক ভদ্রলোক উঠে এসে বলতেন আরে স্যার এই বয়সে এত ঝামেলা সামলাচ্ছেন আমাদের জন্য, আর কাটোয়া আপনাকে দুটো ভাত দিতে পারবে না। বসুন হাত ধুয়ে। একটু পোস্ত ও বাটিয়ে দিচ্ছি। আপনি ভালোবাসেন তো।

    বিশ্বাস করূন, এরকম মুহূর্তে এরকম স্নেহের কথা শুনলে আপনার খিটখিটে হয়ে থাকা মেজাজ টা খানিকক্ষনের জন্য হলেও নরম হবেই। গলার কাছটা একটু ভারী লাগবেই। মনে হবে দেখাই যাক না আর কিছুদিন।

    যাই হোক, সবাইকে শুভ নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা। এই বিপদের সময় আমাদের কেটে যাক।
    সবাই ভাল থাকুন , সাবধানে থাকুন।
    আর হ্যাঁ সিরিজ টা অবশ্যই দেখবেন। যেরকম সমাজে হয় , মিলিয়ে মিশিয়ে মানুষ থাকে; সেরকমই সব সরকারি কর্মচারীরাই খারাপ, ফাঁকিবাজ তা নয় কিন্তু। তাঁদের বেশিরভাগই নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের সেরাটা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন। একটু সহমর্মীতা তাদেরও প্রাপ্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • র২হ | 162.158.23.92 | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১২:১৮730634
  • পঞ্চায়েত দেখিনি, কিন্তু এটা খুব ভালো লেখা।

    আর সরকারী কর্মচারীদের কাজের জায়গার ঝামেলা গুলি সামনে আসা দরকার, কত অসুবিধের মধ্যে এঁরা কাজ করেন।

    একটা কৌতুহল - ওই সাবস্টেশনের সমস্যা কি মিটেছিল পরে? লোকজনের অসুবিধেটাও বাস্তব।

  • | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৫730635
  • হ্যাঁ পঞ্চায়েয়  দেখছি। 

    লেখাটা বেশ। আপনি লিখুন আরো অভিজ্ঞতা।

  • Sutanu Banerjee | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৩:১৯730636
  • উনারা exactly যে ভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে সম্ভব হয় নি, কারণ নতুন সাবস্টেশন টিতে যে ট্রান্সফরমার টি আছে তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী লোড অলরেডি ছিলই। ফলে নতুন লোড লাগিয়ে দিলে ওটি ওভারলোডেড হয়ে যেত। কিন্তু  আমার মাস কয়েকের টেনিওরে যা করেেছিলাম সেট হল ফলট এর কারণ  পুরানো insulator, কন্ড্যাকটর হত ,সেগুলি রিপ্লেস করা নিজে  লাাইনে এ দাঁড়িয়ে থেকে।কিছু উপকার অবশ্যই হয়েছিল। আমাকে কোন দিন কোথাও যেতে ভয় পেতে হয় নি। আমার অভিজ্ঞতা মানুষ অবুঝ নয়। সৎ চেষ্টা দেখলে তারাও সহযোগিতার হাত বাাড়িযে দেন।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন