এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  শনিবারবেলা

  • বাঙালির বারাণসী দর্শন পর্ব -১

    মিঠুন ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২১ জুন ২০২০ | ৩৯৬২ বার পঠিত

  • এই লেখা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের বারাণসীতে দিন কয়েক কাটানোর অভিজ্ঞতাপ্রসূত। বহুদিনের বকেয়া পাওনা বুঝে নেওয়ার মত আমাদের বারাণসী যাওয়ার সিদ্ধান্ত। শুনলাম সমস্ত পুরোনো বাড়িঘর ভেঙে দিয়ে বারাণসী নাকি আধুনিক করা হচ্ছে। তার ওপর বাবরি মসজিদ মামলার রায় এলো। পড়লাম কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভবিষ্যৎও খুব একটা ভালো না। তাই আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়া গেল।

    এটা ট্রাভেলগ না, তবু চলার পথে যেসব মানুষের সাথে দেখা ও কথা হয়, সেগুলো আর কোথাও লেখার আপাতত উপায় নেই বলে এখানেই টুকে রাখি। আপার বার্থে শুয়ে শুয়ে অল্পক্ষণের মধ্যেই বাকি লোকেদের সাথে আলাপ জমে আড্ডা শুরু হয়ে গেল। সে এমনই আড্ডা যে চাদর সরিয়ে প্রায় ঘুমন্ত মানুষ উল্টোদিকের বার্থ থেকে নেমে এসে বসে পড়লেন। আমার তিন সহযাত্রীর একজন রেলের কর্মচারী - চার বছর পরে রিটায়ার করবেন, একজন আর পি এফ মহিলা শাখার ইন্সপেক্টর -- দশ বছর হলো চাকরি করছেন ও প্রচণ্ড খুশি চাকরি নিয়ে, একজন দিল্লীর কনস্ট্রাকশনের কাজ সুপারভাইজ করেন - এঁর তারাপীঠে পারিবারিক ব্যবসা আছে, অর্থাৎ মন্দিরের খাস লোক -- বয়স তিনজনের মধ্যে সবথেকে কম। পরবর্তী ঘন্টা ছয় আমরা অনর্গল বকে গেলাম। আর পি এফ ম্যাডামের বিভিন্ন শহরে কাজ করার অভিজ্ঞতা, রেল কর্মচারীর মা-বউ-পুত্র-আপিস, দিল্লির ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থা ও ডিমানিটাইজেশন, পড়াশুনো ও রাজনীতি করার ভালোমন্দ --- সবই ঘুরে ফিরে এলো। রেলযাত্রার এই ছবি আমার পরিচিত। যেখানে অন্য লোকের হাতে চা বা জল খেতেও বারণ, সেই ট্রেনেই মানুষ অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের কাছে নিজের কথা এভাবে বলতে পারে ----এমনটি দেশের মধ্যে তো বটেই, ভারতের বাইরেও অন্য দেশে দেখেছি। যতবার এটা দেখি ততবারই মনে হয়, যখন সমস্ত আশাবাদ নষ্ট হয়ে স্রেফ সিনিসিজম পড়ে থাকবে, তখন ওষুধের মত একটা দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে বসলেই আমি সেরে উঠবো। সন্ধ্যের পরে সামান্য লেট করে যখন বারাণসী পৌঁছলাম, ট্রেনের আলাপ মনে একটা ভারসাম্য এনে দিয়েছে। বাবরি মসজিদ নিয়ে রায়ের ক্ষোভ, যোগী আদিত্যনাথ, নরেন্দ্র মোদী, আর এস এস, কট্টর হিন্দু জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বহুদিনের বহু অনামী মানুষের আন্তরিক বিনিময়ের কথা মনে পড়ছে। এই স্থৈর্য্য, হে পাঠক, হিন্দুরাষ্ট্র হওয়ার দিকে পা বাড়িয়ে থাকা ভারতের বড়ো প্রয়োজন।

    বাঙালিরা প্রায় সবাই সশরীরে কাশী বেড়িয়েছেন, সিনেমায় দেখেছেন। চিরাচরিত বেড়ানোর গল্পে যা থাকে অর্থাৎ সারনাথ, রামনগর, কাশীর গলি ও অসংখ্য পুরনো মন্দির, ঘাটগুলো, আরো যা যা বস্তুকে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি "সাইট সিইং" বলে এক বিচিত্র নামে চেনে -- সেসব লিখে পাতা ভরানোর কোন মানে হয়না। সেসবের বাইরে, কিছু অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো। ছোট্ট একটু ভূমিকা সেরে সেইগুলো লিখছি।



    বারাণসীতে আমাদের আস্তানা হলো রাণামহল ঘাটের কাছে। এলাকাটা বাঙালিটোলাই বলা উচিত, যা শুনলাম। গাড়ি চলার রাস্তা, যাকে ম্যাপে বাঙালি টোলা রোড বলছে, সেখান থেকে গোধূলিয়া মোড়ের দিকে যেতে ডানদিকে পড়ে। কাশীর বিখ্যাত সরু ও নোংরা গলি ধরে তা প্রায় মিনিট দশেকের রাস্তা। পুরো রাস্তা ধরে প্রায় ভেঙে পড়বে পড়বে করছে এমন বাড়িঘর আছে, বাঙালি বাড়ির পুরোনো দুর্গামন্দির আছে যেখানে রোজ পুজোটুজো হয়, বেনারসি শাড়ির কারিগরদের মহল্লা আছে, ভাং দেওয়া শরবতের দোকান আছে, দুটো মিষ্টির দোকান আছে --- কিন্তু বিশ্বাস করুন এসব কিছুই আপনার চোখে পড়বেনা, যদি আপনাকে সরু একফালি গলির মধ্যে দিয়ে সাইকেল, বাইক, ঠেলাওলা, জীবনচক্রের বিভিন্ন স্তরে থাকা কুকুর গরু শুয়োর মানুষ এবং তাদের বিভিন্ন বয়সের বর্জ্য অতিক্রম করতে হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ডারউইনকে যদি কাশীর গলিতে পাঠানো যেত, মাইন বিছিয়ে রাখা যুদ্ধক্ষেত্রের মত সেই গলি থেকে ফিরে এসে উনি পায়খানার বিবর্তনের ইতিহাস লিখতেন।

    যাই হোক, ঘাটের কিনারায় আস্তানা গাড়া হলো। একেবারে ফেলু মিত্তিরের কাশীবাসের মতই পরের দিন সকালেই আলাপ হয়ে গেল একজন অদ্ভুত লোকের সাথে। ভদ্রলোক বাঙালি, দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ি, তন্ত্রসাধনা সম্পর্কিত বই লেখেন। বয়সে আমার থেকে কয়েক বছরের বড়, শিবপুর বা যাদবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে একদা বহুজাতিকে চাকরি করেছেন। এখন সেসবে মন নেই। সংসারী মানুষ, কিন্তু বছরের বেশিরভাগ সময় আজ হিমালয় তো কাল কাশী এইসব করেন। বললেন কয়েকটা বই বেরিয়েছে, ছদ্মনামে (আমি খুঁজে দেখেছি, ঐ নামে লেখক ও তন্ত্র ইত্যাদির বই আছে, তবে একই লোক নাও হতে পারে)। এরপর ভদ্রলোক আমায়, বললে বিশ্বাস করবেন না, ভোরবেলার স্নিগ্ধ রোদে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে খেতে, কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট নিয়ে চাট্টি ভাট দিলেন। জায়গায় জায়গায় মনে হচ্ছিলো আমি বিরিঞ্চিবাবা গল্পের বৈজ্ঞানিক ননী। একেই বোধহয় পরিশীলিত ভাষায় দেজা ভু বলে। কিন্তু এই ভাটগুলো থেকে যে উপকার হলো, তাহলো কাশীর অদ্ভুতরসের দিকটা এক ঝটকায় খুলে গেল। ২০২০ সালে, বহিরঙ্গে এক ঝাঁ চকচকে কাশীর ঘাটে দাঁড়িয়ে সেসব শুনতে বেশ সাররিয়েল লাগে। কাশীর কোন কোন বাড়ির গর্ভগৃহে গুহ্যবিদ্যার চর্চা হয়, অ্যালকেমি আশ্রয় করে কোন সন্ন্যাসী কালভৈরবের মন্দিরে পাথরকে সোনা করে দিয়েছিলেন, কাশীর সবথেকে নোংরা কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্দির কোনটা, ভালো চরস কোথায় পাওয়া যাবে থেকে শুরু করে কাশীর ডেমোগ্রাফি কীভাবে বদলে যাচ্ছে, মাছ ধরে আর নৌকাবিহার করিয়ে যাঁদের সংসার চলে সেই মানুষেরা আগে কোথাকার লোক ছিলেন এবং বর্তমানে কোথা থেকে আসছেন --- এইসব অনর্গল বলে গেলেন ভদ্রলোক। বললেন বত্রিশবার কাশী এসেছেন, বছরে তিন চারবার হয়েই যায়।

    কাশীবাস শুরু হলো। আমরা ইতিউতি ঘুরে বেড়াই, বিশ্বনাথ মন্দিরের গলি থেকে মিষ্টি খাই এবং হরেকরকম দরকারি অদরকারি জিনিসের দোকানে জিনিস নেড়ে চেড়ে দেখি। গলিতে হঠাৎ করে "বাঙালি?" শুনে দাঁড়িয়ে পড়ি কয়েক সেকেন্ড। প্রায় প্রতিদিন ঘাটের আসেপাশে কেউ না কেউ জিগ্যেস করে বিশ্বনাথের পুজো দেওয়া হয়েছে কিনা। ভৌগোলিক অবস্থান বুঝে কোনদিন বলি কাল দেব, কোনদিন বলি হয়ে গেছে। হোটেলের একটি ছেলেকে একদিন জিগ্যেস করলাম জ্ঞানবাপী কোনদিকে। প্রথমেই ভ্রূ কুঁচকে তাকালো। তারপরেই হাসিমুখে বললো, "পরাঠেওয়ালি গলি যানা হ্যায়?" বলে প্যাঁচালোমত একটা পথনির্দেশ দিলো। কেমন সন্দেহ হলো, অথচ চাউনিতে কী একটা ছিলো, খোঁচাখুঁচি করতে সাহস হলো না। এমনিতেই বারাণসী নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তখন অশান্ত। মেপে পা ফেলতে হচ্ছিলো।



    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্যান্য রাজ্যের মত বারাণসীতেও Citizenship Amendment Act এবং National Register of Citizens (NRC)র বিরোধীতা করে মিছিল বেরোয়। ঘটনাটি ডিসেম্বরের কুড়ি তারিখের। ২৫শে ডিসেম্বরের একটি রিপোর্ট বলছে ৫৬ জন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী গ্রেপ্তার হন, এবং তাঁদের পরিবার ভয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। একই দিনের অন্য একটি প্রতিবেদনে জানা যায় পুলিশ একটি পোস্টারে কিছু ছবি ছেপে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সেঁটে দিয়েছে। ঐ ব্যক্তিরা, পুলিশের মতে, এন আর সি / সি এ এ সংক্রান্ত প্রতিবাদ মিছিলের সময় হিংসা ছড়িয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন [2]।

    "He had also stated that the damage caused to the public property during protests would be recovered by confiscating the property of those who were involved in arson."

    পোস্টারে আবেদন জানানো হয় স্থানীয় লোকেদের কাছে, তাঁরা যেন এইসব "দুষ্কৃতীদের" সন্ধান দিয়ে পুলিশকে সাহায্য করেন। প্রতিবাদ মিছিলের ধরণ সম্পর্কে কোন কোন প্রতিবেদনে "সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ" বলা হয়েছে [1]। অন্য প্রতিবেদনে হিংসা ছড়িয়েছিলো বলা হয়েছে, যদিও অস্ত্রশস্ত্রের কথা নেই, পাথর ছোঁড়ার কথা পাওয়া যাচ্ছে [1-4]। যদিও যেসব ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবাদকারীদের আদালতে পেশ করা হয় সেগুলো বেশ কড়া। প্রতিবেদনে বলছে [1] :

    "And the peaceful protestors were charged under strict laws: Section 147, 148, 149, 188, 332, 353, 341 of the Indian Penal Code as well as Section 7 in the Criminal Law Amendment Act, 1932. The sections range from violent rioting with deadly weapons to assaulting a public servant.

    The First Information Report accessed by Scroll.in lays out the police version of events as they transpired on Thursday: “[The protestors] became aggressive, attacked the police force and pushed us. They also chased people passing by and blocked the road which caused chaos in the surrounding areas."

    আমরা বারাণসী পৌঁছই ৫ই জানুয়ারি। গোটা শহরে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মত ছিলো। আমরা ফিরে আসার কয়েকদিন পরের প্রতিবেদনে দেখছি প্রতিবাদ একেবারে ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে [4]। মনে রাখতে হবে যে তখনও কোভিড-১৯ চীনের বাইরে সেভাবে নেই, প্যান্ডেমিক হওয়া তো দূরের কথা।

    এরপর আমাদের যে অভিজ্ঞতা হলো তা বুঝতে হলে ওপরের এই পটভূমিকা কাজে দেবে।


    1. https://scroll.in/article/947814/shock-in-varanasi-as-56-social-activists-charged-with-violent-rioting-after-a-peaceful-protest
    2. https://www.newindianexpress.com/nation/2019/dec/25/police-put-up-posters-of-violent-anti-caa-protestors-in-varanasi-2080820.html
    3. https://timesofindia.indiatimes.com/city/varanasi/varanasi-activists-held-while-making-bid-to-hold-protest-against-caa-nrc/articleshow/72883794.cms
    4. https://timesofindia.indiatimes.com/city/varanasi/cop-crackdown-snuffs-out-varanasis-caa-protests/articleshow/73569289.cms

    ছবিঃ দ্বৈপায়ন বসুর অ্যালবাম থেকে


    ছবিঃ সায়ন কর ভৌমিক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২১ জুন ২০২০ | ৩৯৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ২১ জুন ২০২০ ০০:৪৩94498
  • ফার্স্ট ওভার ভালই গেল বেশ

  • সম্বিৎ | ২১ জুন ২০২০ ০৩:১৩94499
  • কবি বলেছেন ট্র‍্যাভেলগ নয়। রাজনৈতিক উপন্যাস না কারেন্ট আ্যফেয়ার্স না "অদ্ভুত স্বাদের" উপন্যাস হবে, ভাবছি। ধরতাই ভাল হয়েছে।

  • একলহমা | ২১ জুন ২০২০ ১১:০৩94508
  • ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। 

  • i | 220.240.130.77 | ২১ জুন ২০২০ ১২:০৫94510
  • দোতলার একজিট নামটা খুব ভালো; ভাবাচ্ছে-
    দ্বৈপায়ন বসুর প্রতিটি ছবিতেই একটি গল্প লুকিয়ে যেন।
    সুন্দর শুরু। দ্বিতীয় প্যারায় ট্রেনপ্রসঙ্গ পড়তে পড়তে কে বাবুর একটা লেখা মনে এলো।
    সব মিলিয়ে সঙ্গে রইলাম শুরু থেকেই-
  • বিপ্লব রহমান | ২২ জুন ২০২০ ১০:১২94530
  • নাম ভূমিকা দারুণ।  ক্রমেই গুরুতর দিকে মোচড় নিচ্ছে। লেখার হালকা মেজাজটি বজায় থাকবে আশাকরি। তারপর?              

  • শক্তি | 223.191.17.158 | ১৮ জুলাই ২০২০ ২১:৫৪95303
  • ভালো লাগলো, মিঠুনের বিশ্লেষণধর্মী লেখনীর শাণিত খোদাই চিত্র দেখার আশায় পরবর্তী পর্ব গুলির অপেক্ষায় থাকলাম ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন