এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • ভায়া দিল্লি: কাশ্মীর থেকে অযোধ্যা

    প্রতিভা সরকার
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৫ আগস্ট ২০২০ | ৪০৬১ বার পঠিত
  • মণিরাম দাস ছাউনিতে চলছে ১,১১,০০০ লাড্ডু বানিয়ে শেষ করবার মহা তোড়জোড়। আজ, অর্থাৎ ৫ আগস্ট রামলালার মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীজি। তারপর ভজনপূজনের পর সেগুলো ভাগ বাটোয়ারা হবে সারা দেশ থেকে আগত ভক্তদের মধ্যে। বাদবাকি প্যাকেট-বন্দি হয়ে যাবে দেশের প্রধান প্রধান মন্দিরগুলিতে। আগেই ব্যারিকেড কণ্টকিত অযোধ্যায় একডজন পুরোহিত মিলে সেরে ফেলেছে গৌরী-গণেশ পুজো। ১৭৫ জন ভিভিআইপি নিমন্ত্রিতের তালিকাও সম্পূর্ণ। দূরদর্শনে লাইভ টেলিকাস্ট শুরু হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।

    প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই যাবেন হনুমানগড়ি মন্দিরে। মঞ্চে ওঠার আগে রামলালার পুজো সেরে নেবেন। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি রৌপ্যনির্মিত ইঁট। ভূগর্ভে সেটিকে শায়িত করবার সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুর উপাসনাস্থল গুঁড়িয়ে দিয়ে সেই জায়গায় সংখ্যাগুরুর আরাধ্যের মন্দিরনির্মাণ। তাই অযোধ্যা এখন আলো-ঝলমল, কোলাহলমুখর, কর্মব্যস্ত। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এতদিন প্রচার চলেছে যেন ৫ তারিখে দিয়া জ্বালায় সবাই, ভজন গায়, নিরামিষ শুদ্ধাহার করে। পোর্ট থেকে রামমন্দিরের ঠিকানা অবধি কয়েক কিলোমিটার রাস্তার পাশে প্রত্যেক বাড়ির দেয়ালজোড়া চিত্রিত রামায়ণের কাহিনি। আর কয়েক মিটার বাদে বাদেই প্রধানমন্ত্রীর বিশাল কাট-আউট বা ছবি। রামলালার প্রতিদ্বন্দ্বী, সরি প্রতিচ্ছায়া, বাল নরেন্দ্র।

    মুশকিল হচ্ছে, রামভক্ত ছাড়াও অন্য বিশ্বাস, অন্য ধর্মের লোকও তো রয়েছে অযোধ্যায়। কোনো গোলমাল ছাড়াই ৫ আগস্ট কেটে যাক এই আশায় মুহূর্ত গুনছে তারা। তবু বিশ্বাসী হিন্দুর ঘরের দেয়ালে কাবা বা কারবালা প্রান্তরের ছবি এঁকে দিলে মেনে নেওয়া হত তো? অপছন্দের খাদ্যগ্রহণের অনুরোধ মান্য হত তো?

    প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

    শুধু সংখ্যার জোরে অতিমারির রক্তচক্ষুকে তুচ্ছ করে এই যে জমায়েত আর রোশনাই, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর পেছনে নজর ঘোরাবার মানসিকতা কাজ করছে। মনোযোগ অন্যত্র টেনে নিয়ে যাবার পুরোনো কৌশল। অতিমারিতে দেশবাসীর অসহায় অবস্থা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং গালোয়ান উপত্যকায় লেজেগোবরে হবার দুর্ভাগ্য থেকে সকলের নজর ঘোরাবার জন্যই এই ধুমধাড়াক্কা, লক্ষাধিক লাড্ডু আর অগুন্তি মুদ্রার রূপোর ইঁট।

    অথচ রামশিলান্যাসের ঠিক একদিন আগেই নতুন করে করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বয়ানে ৩ আগস্ট সারা দিনরাত, ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫২ হাজার ৯৭২ জন মানুষ। গোটা পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই হারে দৈনিক সংক্রমণ হয়নি।

    গালোয়ানে হাতাহাতি লড়াইতে বিশজন সৈন্য মারা গেল, কাঁটা দেওয়া ডান্ডার ঘায়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে কতজন চিকিৎসাধীন রইল। কিন্তু চিনের বিরুদ্ধে আমাদের নেতারা নিশ্চুপ রইলেন। কিছু বললেও কতো ঠারেঠোরে। যেন চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অতীতদিনের ভাসুর-ভাদ্রবৌয়ের। তাই চিনের নাম মুখে উচ্চারণ করা যাবে না। না কি আমাদের সীমানায় চিনের কোনো ছাউনি নেই। কখনও ছিল না। তাহলে ঠোকাঠুকিটা হল কী নিয়ে ! চিনা সেনাছাউনির অবস্থান নিয়ে উপগ্রহ-চিত্রগুলি মিথ্যা? আর ভুতে এসে ভারতীয় সেনা মেরে দিয়ে গেল? বিভিন্ন সংবাদপত্রে যা খবর তাতে, চিন এখনও গ্যাঁট হয়ে বসে আছে (‘চিনকে ফের সেনা সরাতে বলল দিল্লি’, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩ অগাস্ট, ২০২০)। লাদাখ থেকে নির্বাচিত একমাত্র জনপ্রতিনিধিও চিন সেনা প্রত্যাহার না করায় মিডিয়ার কাছে তার অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। সীমান্ত উল্লঙ্ঘন হলে তা জানার হক দেশবাসীর আছে। অথচ ‘না কোই ঘুসা হ্যায়, না কোই ঘুসেঙ্গে’ বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আনন্দনাড়ু তুলে দিলেন চিনের হাতে। এই তো স্বয়ং প্রশাসনিক প্রধান বলে দিয়েছেন ভারতের সীমান্তে কোনো অনুপ্রবেশ হয়নি, হবেও না। তাহলে আর মিছিমিছি আমাদের দোষ দেওয়া কেন বাপু !

    আসলে বেশি নাড়াচাড়া করতে গেলেই বোতল থেকে জিন বেরিয়ে আসতে চাইছে। সে জিনের নাম কাশ্মীর। গতবছর ৫ আগস্ট যে প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা সম্পূর্ণ কেড়ে নিয়ে, লে-লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু-খানা ইউনিয়ন টেরিটরি বানিয়ে ফেলেছে আমাদের মহামহিম সরকার-বাহাদুর। চিনের বিগড়ে বসার পেছনে নানা কারণের কথা বলছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তাতে এটিও আছে ইউনিয়ন টেরিটরি মানে কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান। সমস্ত প্রশাসন, সৈন্যবাহিনী, শক্তি ও তাবৎ প্রোটোকল নিয়ে একেবারে লাদাখ ইউনিয়ন টেরিটরির লাগোয়া চিন সীমান্তে ভারত নিঃশ্বাস ফেলবে, এটা ড্রাগনের মনঃপূত নয়। ভারত যে এখন মার্কিনি অক্ষের অংশ, যারা চারদিকের সীমান্তে সমস্যা সৃষ্টি করে তাকে ঘিরে ফেলতে চাইছে, সে হিসাব চিন ভালোই রাখে। ফলে লাইন অব কন্ট্রোল থেকে কিছুটা পিছিয়ে এতদিন অবস্থান করলেও, এবার তড়িঘড়ি লাইন অব কন্ট্রোল নামে ধোঁয়াশা ব্যাপারটির দ্রুত ফয়সালা চাইছে সে। কারণ এই লাইন অব কন্ট্রোল ভারত এবং চিনের কাছে এক এবং ঐক্যমতপূর্ণ নয়। দুজনেই বলে গালোয়ান উপত্যকা আমার, দুজনেই বলে প্যাংগং লেক আমার অধিকারে।

    লে-লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করাও একরকম ছিল। কিন্তু চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই কংগ্রেস আমলে যে সীমান্ত-রাস্তা শুরু হয়েছিল অরুণাচল থেকে লাদাখ অবধি, সেই সংযোগ-পথের কাজ শেষ হবার আগেই আস্ফালন শুরু করলেন আমাদের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী গলা চড়ালেন, সাথসঙ্গতে অমিত শাহ প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন আকসাই চিন আর পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলে আনার জন্য তিনি নিজের জীবন দিয়ে দেবেন। চিন আতঙ্কিত হল। এবং পরের টুকু কাঁটাওয়ালা মুগুরের ইতিহাস। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে এটুকু চাওয়া তো থাকবেই যে সত্য গোপন না করেই বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করা হোক, শক্ত হাতে সীমান্ত সমস্যার মোকাবিলা করা হোক, আর হ্যাঁ, একজন জওয়ান মারা গেলেও সে ক্ষতি দেশের এবং কেন সেই মৃত্যু সে প্রশ্নের জবাব চাইবার অধিকার গণতান্ত্রিক দেশে আপামর জনসাধারণের আছে।

    এটা কি শুধুই সমাপতন যে একবছর আগে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেবার দিনটি অর্থাৎ ৫ আগস্টকেই বাছা হয়েছে রামমন্দিরের শিলান্যাসের জন্য? নাকি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সম্পূর্ণ বঞ্চিত ও হতোদ্যম কাশ্মীরের ক্ষতে আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে দেশজোড়া সংখ্যালঘুকে বোঝানো হল তার দৌড় কতটা? তৈরি করা হল দুষ্টের দলন শিষ্টের পালন জাতীয় একটি মিথ? বলার চেষ্টা হল কি যে তুমি যদি মুসলমান-বিদ্বেষী হও তবে রামলালা স্বয়ং তোমার রক্ষাকর্তা? সরাসরি সেলিব্রেশন বিক্ষোভের জন্ম দিতে পারে, সুতরাং আইস, আমরা অপ্রত্যক্ষভাবে দুষ্ট-দলন দিবসটিকে যথোচিত মর্যাদায় পালন করিয়া ছাড়ি।

    এই প্রেক্ষিতগুলি টিঁকিয়ে রাখতে চায় বলেই কাশ্মীরের হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে ভারত সরকার। লক ডাউনে ডিপ্রেসন বেড়ে যাচ্ছে, অর্থকষ্ট, খাদ্যাভাব, ছাঁটাইয়ের মা-বাপ নেই, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, যাবতীয় এইসব নাকে কাঁদুনি মনে হবে কাশ্মীরের অবস্থা জানলে। ৫ আগস্ট সেই দিন, যেদিন থেকে দিল্লির সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সম্পর্ক হয়ে গেল মালিক ও দাসের, শাসক ও শাসিতের। বাকস্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, সুশীল সমাজের প্রতিবাদ, চলাফেরার স্বাধীনতার যেটুকু বেঁচেবর্তে ছিল, সবটাই যেন মুহূর্তে হাওয়ায় উবে গেল। উলটোবাগে হাঁটলে কী হতে পারে, কীই বা হচ্ছে? এ বছরের মার্চ মাসে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই ঘোষণা করে যে ২০১৯-এর ৫ আগস্ট থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০-র মধ্যে কাশ্মীরে ৭৩৫৭ জনকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস বডিগুলির মতে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি—১৩০০০।

    ইচ্ছে করে বাকি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। যাতে সরকারি ন্যারেটিভের কোনো কাউন্টার-ন্যারেটিভ না ছড়াতে পারে। কিছু বাছাই করা আমলা ও পুলিশ অফিসারের হাতে কেন্দ্রীভূত সব ক্ষমতা। যাকে ইচ্ছে তার ওপরেই বিনা বাক্যব্যয়ে নামিয়ে আনা যায় দমনপীড়ন। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। ভয়ে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকা ভূস্বর্গে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত আগস্ট থেকে এই অবধি ইন্টারনেট না থাকায় কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্সের ক্ষতি নাকি ৪০,০০০ কোটি টাকা। লক্ষ লক্ষ মানুষ, যারা আইটি অথবা ট্যুরিজম সেক্টরে ছিল তাদের চাকরি চলে গেছে। ঘরে ঘরে বেকার। ইন্টারনেট মাঝে এলেও তার দৌড় ২জি অবধি। গল্প তো এখানেই শেষ নয়। এরপর এল অতিমারি। ট্যুরিজমের সঙ্গে ট্রান্সপোর্ট এবং হ্যান্ডিক্রাফটস বিজনেসের বারোটা বেজে গেল। অনলাইনে পড়াশোনা করবার ব্যাপারই রইল না। বাইরে পড়াশোনা বা চাকরির আবেদনপত্রও পাঠানো বন্ধ। চিকিৎসাপত্রও লাটে। আসন্নপ্রসবাকে বা মারাত্মক জখমকে হাসপাতালে পাঠাবার এবং চিকিৎসার বন্দোবস্তে না পাওয়া যাবে ইন্টারনেট পরিসেবা, না ট্রান্সপোর্ট। পাহাড়ি রাস্তায় রোগীসহ স্ট্রেচার যে কী গুরুভার!

    কিন্তু এইসব হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে কে, কেই বা জনমত গঠন করবে। স্থানীয় মিডিয়ার অবস্থা খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায় কী সর্বনাশের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের রক্তক্ষয়ী যাত্রা। কোনো কিছুতেই স্বাধীন মতামত দেওয়া ভয়ংকর বিপজ্জনক। জেলযাত্রা, প্রাণসংশয় কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা নামিয়ে এনেছে জম্মু ও কাশ্মীর মিডিয়া পলিসি, ২০২০। ডিপার্টমেন্ট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ছোটো-বড়ো অফিসাররাই যে-কোনো সাংবাদিক, সম্পাদক, সংবাদপত্রের মালিককে অনৈতিক, জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী, দেশদ্রোহী ও ফেক বিষয়বস্তু ছাপার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এর মধ্যেই অনেক সাংবাদিককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে, জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে, সবচেয়ে সাংঘাতিক, অন্ততপক্ষে ছ-জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের অন্যান্য ধারা দেওয়া হয়েছে।

    যে দিকে তাকানো যাবে, ছবিটা এক। কাশ্মীরি মুসলমানের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার হরণই যেন ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা। এবং ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর মতো তাই দিয়ে গোটা দেশের সংখ্যালঘুদের বুঝিয়ে দেওয়া তাদের ‘অওকাত’ কত। ২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মুর সঙ্গে আমলাদের বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশিত হয়। তাতে উপস্থিত ১৯ জন আমলার মধ্যে একজন মাত্র কাশ্মীরি মুসলমান। অথচ কাশ্মীরের ৯৭% মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। মানুষের স্মৃতিতে ফিকে হয়নি এখনও আর্টিকেল ৩৫এ ছেঁটে দেবার কথা যা সরকারের হাতে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কারা তা ঠিক করবার ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে যা কখনও হয়নি সেই জমির অধিকার এবং সরকারি চাকরির অধিকার চলে যাচ্ছে বহিরাগতদের হাতে। পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে জনবিন্যাস এবং ভূমিপ্রকৃতি। শুধু হাতে নয় ভাতেও মরছে কাশ্মীরি ভূমিপুত্র।

    হয়তো বোঝা গেল কেন ৫ আগস্টের ভূমিপূজন বিজেপির কাছে এত গুরুত্ববহ। এটি আসলে হিন্দুত্বের বিজয়দিবস। একটি অঙ্গরাজ্যকে গিলোটিনে তোলবার কলঙ্ক তাতে মুছবে কি?



    থাম্বনেল গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ আগস্ট ২০২০ | ৪০৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ০৫ আগস্ট ২০২০ ১৬:৪১95931
  • বাবরির পরে ভাবা যায়নি, নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় দেওয়া একটি রাষ্ট্র তার থেকেও কলঙ্কজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে কোনদিন। কিন্তু বিগত ছয় বছর দেখিয়ে দিয়েছে কোন নীচতাকেই আর চূড়ান্ত ভাবার জায়গায় আমরা নেই  

  • অলকানন্দা | 103.225.176.250 | ০৫ আগস্ট ২০২০ ১৭:৪৪95932
  • মর্মান্তিক আহত বললে কম বলা হয়। রাম নাকি প্রজানুরঞ্জক রাজা ছিলেন। সব ধরণের প্রজার মনের দ্বিধা সংশয় কাটানোর জন্য শুনি সব জেনেও অন্তঃসত্ত্বা নিরপরাধ স্ত্রীকে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন। সকল প্রজাদের চিন্তা যাঁর মাথায় ছিল তাঁর নাম করেই আজ যা হচ্ছে তাতে কি রাজধর্ম পালন হল, রামরাজ‍্যের অবমাননার কলঙ্ক কি মন্দির বানিয়ে মোছা যায়! কী জানি!
  • বিপ্লব রহমান | ০৫ আগস্ট ২০২০ ১৮:০৯95933
  • "অথচ রামশিলান্যাসের ঠিক একদিন আগেই নতুন করে করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বয়ানে ৩ আগস্ট সারা দিনরাত, ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫২ হাজার ৯৭২ জন মানুষ।"

    হনুমানজীর দুঃশাসন দূর হোক! সব মানুষ সমান অধিকারে বাঁচুক    

  • শক্তি | 2405:201:8805:37c0:e86e:165e:91a6:e291 | ০৫ আগস্ট ২০২০ ২১:৩১95936
  • প্রতিভার বক্তব্য স্বচ্ছ , যা বলতে চেয়েছে পাঠকের কাছে যুক্তিসঙ্গত ভাবে উপস্থাপন করেছে ।আমি পাঠক হিসেবে যা বলতে চাই যে বাল্মীকির রামচন্দ্র উপমহাদেশের তথা বৃহত্তর ভারতের এক প্রিয় মহাকাব্যিক নায়ক ।ভারতের সর্বত্র আছে রামনাম চিহ্নিত জনপদ, ব্যক্তিনামে রাম অতি প্রতিষ্ঠিত ।কৃত্তিবাস, তুলসীদাস তাঁকে ধর্ম জাতি নির্বিশেষে ভারতীয়দের প্রিয় করে তুলেছেন, একটা রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে তাঁকে ব্যবহার করবে কেন? আমরাই বা রামচন্দ্রকে বিজেপির হাতিয়ার হতে দেবো কেন? 

  • জয়ন্ত সেনগুপ্ত | 2401:4900:3147:e609:c5b5:2c71:e4bd:eba6 | ০৫ আগস্ট ২০২০ ২৩:১৯95939
  • ভারতবর্ষের ইতিহাসে আরো একটি কালো দিন, কলঙ্কময় দিন৷ অবশ্য এই ঘৃণ্য দলের কাছ থেকে এর বেশী কিছু আশা করা যায়না৷ তবে সামগ্রিকভাবে দেশটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে এদের হাতে৷ মানুষ যখন বুঝবে তখন হয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে!

  • শিবাংশু | ০৬ আগস্ট ২০২০ ০০:৩৭95942
  • কলেজে পড়তুম তখন। মাননীয়া লেডি হিটলার দেশে ঘোষণা করেছিলেন জরুরি অবস্থা। সরকারের পক্ষে অনেক স্লোগানই বানানো হয়েছিলো তখন। তার মধ্যে প্রধান ছিলো, ' এক হি জাদু, 'সচ্চি' দূরদৃষ্টি, 'কড়ি' মেহনত অওর 'পক্কি' ইরাদা'। এই লোকগুলো উঠতে বসতে ঐ মহিলার শ্রাদ্ধ করে। কিন্তু স্ট্র্যাটেজিটা ধার নিয়েছে তাঁর থেকেই।

    দু'হাজার উনিশে যেদিন নির্বাচনের খবর আসছিলো, এক বন্ধুকে ফোন করেছিলুম। তিনি বলেছিলেন, তিনি কাঁদছেন। জানি 'প্রচ্ছন্ন শবের দেশে' থাকি। তবু তখনও মনে করিয়ে দিয়েছিলুম। এখনও বিশ্বাস করি, " ... আমাদের প্রত্যেকের ইঁদুরের মতো মরাই শেষ নয়, তার পরেও মহোত্তম ভবিষ্যত" । হয়তো ..
  • বিপ্লব রহমান | ০৬ আগস্ট ২০২০ ০৬:১৮95945
  • এপারে বাংলাদেশে থাকি। তবু শিবাংশুর প্রতিটি কথা মনে দাগ কেটে গেল   

  • রত্না রশীদ বন্দ্যোপাধ্যায় | 42.110.238.235 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১২:২০95954
  • অনুমান ছিলই। তবু কোথায় যেন একটু আশাও ছিল, এতটা সাহস পাবেনা। আজ পুরোপুরি হতাশ। 

    প্রতিভাকে ধন্যবাদ।  

  • dc | 103.195.203.44 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৭95955
  • দেখুন, বিজেপির ম্যানিফেস্টোয় রাম মন্দির ছিলো। রাম মন্দির অ্যাজেন্ডা বিজেপি প্রকাশ্য বহু বছর ধরে আলোচনা করেছে। ২০১৯ এর ম্যানিফেস্টোয় পরিষ্কার রাম মন্দির আর সিএএ ঘোষনা করা ছিলো। লোকে সেসব জেনেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, আর এখন সেই ম্যানিফেস্টো ফলো করেই রাম মন্দির বানিয়েছে। তাহলে সে নিয়ে আপনারা এতো হহুতাশ করেন কেন? কি অবাক কান্ড!
  • dc | 103.195.203.44 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৩:০০95956
  • "মানুষ যখন বুঝবে তখন হয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে!"

    যাকলা! মানুষ তো বুঝেই ভোট দিয়েছে! রাম মন্দির বানানো একটা পার্টির পরিষ্কার ঘোষিত অবস্থান, সেই পার্টিকে মানুষ ভোট দিয়ে পার্লামেন্টে মেজরিটি দিয়েছে। নো বোঝার কি আছে?
  • dc | 103.195.203.44 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৩:১৩95957
  • এই তো বিজেপির ২০১৯ ইলেকশান ম্যানিফেস্টো, এখনও পাওয়া যাচ্ছেঃ

    https://www.huffingtonpost.in/entry/bjp-manifesto-for-2019-elections_in_5caadc72e4b047edf95c51dc

    এর মধ্যে ১ নং রাম মন্দির, ৬ নং সিএএ, ৮ নং আর্টিকেল ৩৫ (জম্মু ও কাশ্মীর)। এগুলো হয়ে গেছে, অর্থাত পার্টিটা নিষ্ঠা ভরে ম্যানিফেস্টো ইমপ্লিমেন্ট করে চলেছে। অন্য কোন পার্টি এভাবে ম্যানিফেস্টো মেনে কাজ করে? বিজেপিকে তো বাহবা দেওয়া উচিত!

    ইয়ে, দুয়েকটা ছোটখাটো কাজ এখনও বাকি, যেমন ২ নং চাষীদের ইনকাম দ্বিগুন। এগুলো নিয়ে আপাতত মাথা ঘামানোর কিছু নেই, বড়ো বড়ো কাজগুলো হয়ে গেলেই এগুলো নিয়েও ভেবে দেখা হবে। এখনও ৫ নং বাকি, এবার ওটায় হাত লাগানো হবে। তারপর ৭ নং। আগে এগুলো হোক।
  • বিল্টু | 201.150.45.114 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৩:২১95958
  • আরে কারুর বাংলা ভাষা উঠে গেলে প্রবলেম নেই তো কারুর রাম মন্দির তৈরি হলে প্রবলেম নেই। এই তো কথা। কষ্ট পাবেন না।

  • দেবু | 2409:4060:30f:8738:51a2:dbf2:19bd:c3ae | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:০৩95959
  • এর পর মথুরা তারপর কাশি বিশ্বনাথ তারপর আরো অজানা মন্দির যেগুলি ভেঙে মসজিদ তৈরী হয়েছে। দরকার কি আছে ধর্মীনিরপেক্ষতার।  ওটা তো ভোট ভিক্ষার মন্ত্র।  আর কিছু দুর্বল এর মন্ত্র যারা অন্য রাষ্ট্র থেকে ধর্মের নাম উদ্বাস্তু হয়ে ভারতীয় ভূমিতে রয়েছে। ২০১৪ এর আগে তো ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার ছিল।  তখন কি কাশ্মীর পাথর ছোড়েনি ? নাকি পাকিস্তান জঙ্গি পাঠায়নি ? নাকি ঢাকার মাটি ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহার হয়নি ? তুর্কির হাগিয়া সোফিয়া নিয়ে কটি মুসলিম দেশ দুঃখ প্রকাশ করেছে ? ধর্ম নিরপেক্ষতা আজ টাকা রোজগারের অস্ত্র।  এই অস্ত্র ব্যবহার করে যতদিন গদিতে বসে রোজগার করে নেওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে দেখি বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দুরাই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বেশি জ্ঞান মারে।  কেন কে জানে ? 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::506:9581 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:০৬95960
  • মানুষ বলে।
  • বিল্টু | 201.150.45.114 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:১২95962
  • দেবুবাবু, ধর্ম নিরপেক্ষতা যদি টাকা রোজগারের অস্ত্র হয়, আপনি তবে চ্যাঁচাচ্ছেন কেন? আপনার কি টাকার দরকার নেই ?

    নাকি ফকির আদমি, ঝোলা লেকে চল পড়েঙ্গে?

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::506:9581 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:১৩95963
  • ফকির আদমী ১০ লক্ষ টাকার স্যুট পড়ে।
  • dc | 103.195.203.44 | ০৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:২২95964
  • বাঃ দেবুবাবু ঠিক জায়গাটা ধরেছেন। এবার মথুরা, কাশী আর তেজোমহল বাকি।
  • guru | 115.96.156.181 | ১০ আগস্ট ২০২০ ০৯:৫৩96120
  • এতসব দেখে আমার একটা জিনিস মনে পরে যাচ্ছে | আজথেকে প্রায় বছর কুড়ি আগে বরখা দত্ত তখন সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন , তো বরখা ফারুক আব্দুল্লাহর ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে | সেখানে আমার পরিষ্কার মনে আছে যে ফারুক দ্বিজাতি তত্ব এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে ১৯৭১ প্রমান করে দিয়েছে যে দ্বিজাতি তত্ব সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং তার বাবা শেইখ আব্দুল্লাহ এই কারণেই ১৯৪৭-৪৮ এ ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকেই বিশ্বাস করে ঠিক প্রমাণিত হয়েছেন |  বর্তমানে ঘটনা হলো সেই ফারুক এখন সপরিবারে মোটামুটি গৃহবন্দী | কিন্তু এখন এটা সত্য যে পাকিস্তান ছাড়া সত্যি কাশ্মীর নিয়ে বলার মতো সারা পৃথিবীতে আর কেউ নেই | ফারুক কি এখন মনে মনে নিজের বাবা  শেইখ আব্দুল্লাহকে গালি দিচ্ছেন ১৯৪৭-৪৮ এ ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশ্বাস করার জন্য ? সত্যি সেলুকাস ইতিহাস বড়োই বিচিত্র | 

    আপনাদের কি মনে হয় যে শেইখ আব্দুল্লাহ আসলে ভুল করেছিলেন ১৯৪৭-৪৮ সালে ?  দ্বিতীয়ত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৯৭১ কি দ্বিজাতি তত্ত্ব কে সত্যি সত্যি ভুল প্রমাণিত করেছিল এটা কি বলা যাবে ?  

    গুরুচন্ডালির বন্ধুরা কি বলেন আপনারা ?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন