এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মিঠে জ্যোৎস্না

    Ranu Pahari লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • রাত্রি এখন এগারটা। এপ্রিল মাস। গরমটা বেশ ভালই জানান দিচ্ছে! অর্কর বিয়েতে এত লোকের সমাগমে সেটা সে বেশ ভালই অনুভব করেছে, এমনিতে তার ভিড়ভাট্টা পছন্দ নয়, তাই ভোজন পর্ব শেষ হতেই সুবর্ণ চঞ্চল হয়ে ওঠে কিন্তু অর্ক ও অন্যান্য বন্ধুরা চেয়েছিল সে যেন সারা রাত থাকে কিন্তু সুবর্ণ ওইসব আবদার পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কৃত্রিম আলোর ঝর্ণা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সে প্রকৃতির আলোয় নিজেকে সংযুক্ত করে এক অপার্থিব আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। চারিদিক জ্যোৎস্নায় যেন ধুয়ে যাচ্ছে! কি মিষ্টি হাসি জোৎস্নার! এমন মিঠে জ্যোৎস্নায় হাওয়ায় ওড়ার আনন্দ ফুর্তিই আলাদা। বাইকটায় একটু স্পিড তুলতেই ঘামে ভেজা জবজবে শরীরটার সমস্ত অস্বস্তি কেটে গিয়ে একটা আরামের অনুভূতি তাকে ছুঁয়ে যায়। এত আনন্দের মধ্যেও দুঃখের ঘুণ পোকা গুলো ঠিক কুরে কুরে খায়! কি অদ্ভুত মানুষের জীবন যখন কেয়া ছিল বাইক কেনার সামর্থ্য ছিল না এখন কেয়া নেই অথচ বাইক আছে। কেয়ার প্রতি ভালোবাসার ইচ্ছেগুলো আজও কেন জেগে আছে সেটাই সে বুঝতে পারেনা। সেতো চায় এসব থেকে অনেক দূরে চলে যেতে! সত্যিই কি কেয়া তাকে ভালবেসেছিল! তবে কি করে এভাবে তাকে ছুঁড়ে ফেলতে পারল! আসলে কেয়ার মত মেয়েদের এত সময় কোথায়! সুবর্ণার জন্য অপেক্ষা করে থাকলে লক্ষ্যপূরণে যে অনেক দেরি হয়ে যেত যে তাই সে তার ব্যবস্থা করে নিয়েছে! প্রবাসী ডাক্তার সমীরকে বিয়ে করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়! সেই থেকে সুবর্ণ আর প্রেমে বিশ্বাসী নয় বরং এই বেশ ভালো।

    শুনশান রাস্তায় সুবর্ণ মিঠে জ্যোৎস্না মাড়িয়ে হু হু করে ছুটে চলেছে যুদ্ধজয়ের নাবিকের মত!হঠাৎ একটা অদ্ভূত দর্শনে তার সমস্ত শরীর অবশ হয়ে আসে! আপনাআপনি এক্সিলেটরে চাপটা শিথিল হতে থাকে। ঘন যৌবন ভরা একটা নগ্নিকা যুবতী, চুলে মেঘ টেনে আনা নারীটি, যার দেহের স্থানে স্থানে জমাট অন্ধকার, শরীরটা উড়ে যেতে চাইছে কোন নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে! পেছনে তিনটি ছায়ামূর্তি ক্রমশ দূরত্ব কমাচ্ছে উড়ন্ত নারীটি থেকে! সুবর্ণর গলা শুকিয়ে কাঠ! শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছে! চোখের পলক ফেলতে ভুলে যায়!ছায়ামূর্তিগুলি নারীটিকে ধরে ফেলেছে! নারীটির আর্তচিৎকার! খাঁচায় বদ্ধ পাখির মতো ছটফট করছে নিজেকে মুক্ত করার জন্য! শক্ত হাতগুলি জাপ্টে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পাশের ঝোপ জঙ্গলে ভরা দাঁড়িয়ে থাকা ঋজু গাছগুলোর আড়ালে! সুবর্ণ সম্মোহিতের মত তাকিয়ে আছে! কোন স্বর ফোটেনা। উত্তেজনা, আতঙ্ক, কৌতূহল ও ভয় তার হৃৎযন্ত্রকে যেন ফাটিয়ে দিতে চাইছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় সুবর্ণ হঠাৎ নিজের কর্তব্য স্থির করে নেয়।

    সে দ্রুত কাছে এসে এগিয়ে আসে। কানফাটা আওয়াজে চিৎকার করে "কি হচ্ছে!! ছেড়ে দাও।" অপ্রত্যাশিত আক্রমণে ছায়ামূর্তিগুলি মুহূর্ত মাত্র নিশ্চল হয়, তারপর ক্ষুধার্ত বাঘের মুখ থেকে শিকারীকে ছিনিয়ে নিলে তার হিংস্রতার মাত্রা যেমন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় ঠিক তেমনই তিনটি প্রাণী তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত হয়। কিন্তু নগ্ন অবলম্বনহীন নারীটি অতল জলে সামান্য খড়কুটোর সন্ধান পেয়ে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় সুবর্ণর গাড়ির পেছনে চেপে বসে। শক্ত হাতে খিমচে ধরে সুবর্ণর কাঁধ দুটো। সুবর্ণ গতি বাড়ায় ...আরো ..আরো ..আরো...

    মেয়েটি পেছনে বসে থাকলেও সুবর্ণ অনুভব করে তার সমস্ত শরীরটা তিরতির করে কাঁপছে চোখেমুখে ত্রাশের ছায়া। সুবর্ণ র বভয় হয় যদি পড়ে যায়! "শক্ত করে ধরুন আর কিছু ভয় নেই। সুবর্ণ ওর মনে হলো সে শ্বাপদ গুলিকে ছাড়িয়ে ভয়ের গন্ডি থেকে অনেকটা দূরে! মেয়েটি করুণ গলায় বলে উঠে "আমাকে একটা কিছু দিন।" সুবর্ণ বুঝতে পারে মেয়েটি ভয়কে জয় করে অল্প হলেও নিজের মধ্যে ফিরে এসেছে। তাই নগ্ন শরীর নিয়ে সে কুঁকড়ে আছে। বিন্দু বিন্দু ঝরে পড়া জ্যোৎস্নার আলোকে নিজের নগ্ন শরীরকে আচ্ছাদনে আবৃত করার জন্য এক টুকরো বস্ত্রের আহ্বান জানায় সুবর্ণ কাছে। যুগে যুগে নারী পর পুরুষের কাছে লজ্জা ঢাকতে চেয়েছে আবার এই নারীই সমস্ত লজ্জা ভেঙ্গে দেয় আপন পুরুষের কাছে! সুবর্ণ নিজের শার্টটি খুলে মেয়েটিকে দেয়।

    এবার পেছনে ঘুরে মেয়েটিকে দেখে যাকে সে পূর্ণ যুবতী ভেবেছিল সে নেহাতই একটি কিশোরী খুব বেশি হলে ষোল- সতেরো হবে। চওড়া কম, লম্বায় চমৎকার। কণ্ঠার হাড় উঁচু। যাকে বলে রোগা। পান পাতা দৌলের মুখের রং কালো। কু চো - কুচো অবিন্যস্ত এক ঢাল চুলে ধ্যাবড়ানো সিন্দুর যা ঘামে ভিজে কপালকে সূর্যাস্তের একটা আভাস দিয়েছে। সরু সরু দুটো হাতে শাঁখা পলা। সুবর্ণ চাপা স্বরে জিজ্ঞেস করে "তোমার বাড়ি কোথায়? কোথায় যাবে? "

    বাড়ির কথা শুনে একটা চাপা কান্নার হিক্কা উঠেই থেমে গেল। সে কাতর অনুনয়ের সুরে গুমরে উঠে "আমার বাড়ি নেই, কেউ নেই! আপনি আমাকে না বাঁচালে ওরা আমাকে মেরেই ফেলত!"
    মেয়েটির চোখে মুখে চোখে আতঙ্কের ছায়া! "তোমার নাম কি?"

    "পুতুল।"

    অশ্রুবিন্দু নেমে আসছে চোখ থেকে ক্রমাগত।মাঝেমাঝেই গুঙ্গিয়ে উঠছে।

    সুবর্ন মমতায় ভুলে গেল। কিন্তু সে কেমন করে রক্ষা করবে মেয়েটিকে! থানায় নিয়ে গেলেও তো এর কোনো সুরাহা হবে না। পুলিশের কথা শুনতেই মেয়েটি ক্ষমা প্রার্থনার মতো দুই হাত জোড় করে ফুঁপিয়ে উঠে। সুবর্ণর নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে। "তোমার সব কথা খুলে বল।"

    মেয়েটি এবার নড়ে উঠলো। চোখে চোখ রাখল না, নতমুখী পায়ের দিকে তাকিয়ে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী যা বলে ওঠে তাতে আমি চমকে উঠি! বনগাঁর সীমান্ত ঘেষা গ্রামে বাড়ি। ছয় বোনের মধ্যে সেই বড়। পুত্র সন্তানের আশায় মা আবারো গর্ভবতী! শংকর নামের ছেলেটি কত ভালো ভালো কথা বলে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখায়।কলকাতায় মেলা চাকরি! পালিয়ে আসে তার সঙ্গে। মন্দিরে সিঁদুর পরায়। দু রাত হোটেলে রেখে বেচে দেয়। সে লোকটি কিছুদিন অত্যাচার করে অন্যজনকে বেচে। এবারেরটি মালদার পার্টি। বিদেশে চেন আছে। শুধু খেতে দিত যাতে পালাতে এবং আত্মহত্যা করতে না পারে সেই জন্য তাকে কোন কাপড় চোপড় ও পরতে দেওয়া হয়নি। গ্রামের মেয়ে পুতুল একদিন ফাঁক বুঝে বাথরুমের জানালা ভেঙে পাইপ বেয়ে পালিয়ে আসে। ওরা বুঝতে পেরেই পিছু নেয়..... "আমাকে বাঁচান বাবু ... আমি বাঁচতে চাই ..." কান্নায় ঝরে পড়ে মেয়েটি। তার ভেজা গালে কপালে চুল লেপ্টে আছে। চোখ লাল হয়েছিল আগেই, এবার ফুলে উঠেছে।

    পুতুল এখনো অনেক কথা বলতে উদ্যত আর সেও কৌতুহলে টানটান কিন্তু আর শোনার সময় নেই। সে চটজলদি একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজে পেয়ছে। " ঠিক আছে উঠে বস।" সে তার গ্রামের বাড়ির রাস্তা ধরে।

    মেয়েটি এখন খুব শান্ত হয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছে পেছনে। কত কত ভাবনা, জিজ্ঞাসা সুবর্ণকে কুরে কুরে খায়। "কোথা হতে আসে এই মেয়েরা? যায় কোথায়?" বুকের মধ্যে বড় কষ্ট খচখচ করছে। গ্রামের মোরাম রাস্তায়, গাছগাছালীর ফাঁক দিয়ে সে যখন আলোছায়ার বুক চিরে দ্রুত এগোয় এক অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশ তারমধ্যে তৈরি হয়। মায়ের কাছে পুতুল নিশ্চিন্তে থাকবে। ঈশ্বর তাকে একটি রাস্তা তো দেখিয়েছেন! জীবনে একটা প্রাণকে তো সে রক্ষা করতে পেরেছে! আকাশের দিকে তাকায় কারণ ছোট্ট থেকেই জেনেছে, তিনি সবার উপরে ওই মহাকাশে। চোখ চলে যায় উজ্জল চাঁদের পানে। জ্যোৎস্নার আলোকে তার আবারও বড় মিঠে মনে হয়।

    Ranu Pahari Mishra
    Kharagpur, West Midnapore
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন