এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি  সিরিয়াস৯

  • গণভোটে আক্রান্ত গণতন্ত্র

    শুভময় মৈত্র
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৪৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সিরিয়াস৯-র এবারের বিষয় ভোট। আসন্ন বা বিগত কোনও ভোটের কথা নয়, ভোট নামক ধারণা, অনুশীলন ও অভ্যাসের কথা। ভোট সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণাকে ধারণাগতভাবেই বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্য এই সংখ্যার। এবারে গণভোট নিয়ে লিখেছেন শুভময় মৈত্র, ভোট বয়কট নিয়ে লিখেছেন অভিজ্ঞান ও নোটা নিয়ে লিখেছেন কল্লোল।
     

    গণভোট সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজন কম। তার কারণ সমাজ বা রাজনীতির অভিমুখ নির্ণয়ে জনমত নেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তা কোন এক ব্যক্তি-নেতা কিংবা নেতৃস্থানীয় গোষ্ঠীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তার থেকেও বড় মুশকিল, সাধারণত ভোট দিতে হয় ‘হ্যাঁ’ বা 'না' তে। রাজনৈতিক বাইনারির এ এক চরম লক্ষণ। হিটলার কিংবা এরশাদের হাতে সব ক্ষমতা থাকবে কি থাকবে না, এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর জনগণকে 'হ্যাঁ' কিংবা 'না'-তে দিতে বাধ্য করার মধ্যেই যে ঝাঁঝালো একনায়কতন্ত্র, সেখানেই গণভোটের চরম অসার্থকতা। এর তুলনায় 'আপনি কি গঞ্জিকা সেবন ছেড়ে দিয়েছেন' - এই প্রশ্নের উত্তরও দুর্ভাগার পক্ষে বাইনারিতে দেওয়া সহজ। এমনিতেই গণতন্ত্র বিভিন্ন নির্বাচনে আমাদের সামনে খাড়া করে একগোছা প্রার্থী। তার মধ্যেই বেছে নিতে হয় একজনকে। বড়জোর একটা নোটা, অর্থাৎ কাউকেই দিলাম না ভোট। সেক্ষেত্রে কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কি অর্থ তার পক্ষেও খুঁজলে সাতাত্তরটা যুক্তি মিলে যাবে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে আপনি যে আন্তর্জাতিক স্তরের মহান নেতা ট্রাম্প কিংবা বলসেরানো, স্বদেশের নরেন্দ্র মোদী এমনকি রাজ্যের মমতা ব্যানার্জীকেও ভোট দিতে পারছেন না, এ কষ্ট রাখবেন কোথায়? বাধ্য হয়ে নির্বাচনে প্রকৃত গণতন্ত্র বজায় রাখার জন্যে পোস্ট-ল্যাম্পপোস্টের সুগভীর তত্ত্ব খাড়া করতে হয়, যাতে কিনা আপনি চাইলেই অন্য নামে আপনার নেত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন এই উপলব্ধি আত্মস্থ হয়। অনেক ক্ষেত্রে তা আবার ব্যক্তিবিশেষের ঊর্ধ্বে উঠে দলের রূপ নেয়। যেমন বাম আমলে অনেকেই মন্তব্য করতেন যে সিপিএমের নামে না-মানুষদের দাঁড় করালেও জয় সুনিশ্চিত।

    মোটের ওপর বেশির ভাগ মানুষের সমর্থনে ভোটে জেতার যে পাটিগণিত, সেখানেই সিলমোহর পড়ে গণতন্ত্রের। তবে শাসক কিংবা শোষকের দখলদারি যে সেই গণতন্ত্রের পঞ্চম স্তম্ভ, তার ব্যতিক্রম আধুনিক ইতিহাসে একমাত্র ইউরোপের কিছু দেশ, বড়জোর তার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড-কানাডা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারতবর্ষ নিয়ে অনেকে গণতন্ত্রের আগে আর এক দফা ইতিবাচক বিশেষণ জোড়েন, কিন্তু সেখানে অসম্পূর্ণতার তালিকা লকডাউনের আগে বানানো মুদির দোকানের ফর্দের থেকেও লম্বা। সেই হিসেবে দু অক্ষরের 'গণ' মুড়োয় সেঁটে 'ভোট' কিংবা 'তন্ত্র', দুইয়েরই ভাগ্যাকাশে ঘোর ঘনঘটা। অনেক ক্ষেত্রে একেবারে পারিবারিক স্তরে নেমে এসেও দাদা-দিদি কিংবা পিসি-ভাইপো জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে অক্ষম। সবচেয়ে গোলমেলে বিষয় হল গণভোট (ইংরিজিতে রেফেরেন্ডাম) প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের অংশ। অর্থাৎ যেমন বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়করা জিতে মুখ্যমন্ত্রী বানান, কিংবা লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদরা স্থির করেন প্রধানমন্ত্রী, তার থেকে অনেক বেশি করে জনমতের সরাসরি প্রতিফলন গণভোট। সেই প্রত্যক্ষ পথে যিনি নির্বাচিত হন, ধরাকে সরা জ্ঞান করার অধিকার তার অনেক বেশি। সেই মহান নেতাকে যে অন্যান্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কিছুটা দমিয়ে রাখবেন সেই সুযোগ কম। তাই যেসব দেশে সরাসরি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রনায়ক নির্ধারিত হয়, সেখানে একনায়কতন্ত্রের অধিকার প্রত্যক্ষ করা যায় আরও বেশি তীব্রতায়। পুতিন, ট্রাম্প, এরদোগান, বলসেরানো এঁরা সকলেই এই পথের পথিক। চিনে অবশ্য শি জিনফিং এর খেলাটা এক কাঠি ওপরে। সেখানে বাইনারিরও স্থান নেই, সবটাই এক।  

    যেমনটা শুরু করেছিলাম, ইতিহাসের হিটলার আর ঘরের পাশের এরশাদ গণভোটের দুই উদাহরণ। এই ঘটনাদুটি মনে করিয়ে দিলেই বিধিসম্মত সতর্কীকরণের কাজ শেষ। শুরু করা যাক বহুচর্চিত জার্মানি নিয়েই। এখানে গাদাগাদা গণভোট হয়েছে গত শতকের তিরিশের দশকে। যেমন ১৯৩১-এর প্রাশিয়ান-ল্যান্ডট্যাগ রেফেরেন্ডাম, যদিও সেখানে পার্লামেন্ট তুলে দেওয়ার দাবিতে যে গণভোট তা সফল হয় নি। তবে সফল হয় ১২ই নভেম্বর ১৯৩৩-এ লিগ অফ নেশনস থেকে বেরিয়ে আসার গণভোট, প্রদত্ত ভোটের পঁচানব্বইয়ের ওপর দখল করে। ১৯ অগাস্ট ১৯৩৪, চ্যান্সেলর আর প্রেসিডেন্ট, এই দুই পদ এক করে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দখল করলেন হিটলার। ওদেশের শব্দ উচ্চারণে আমাদের জিভে জড়তা থাকবেই, তবে যা বোঝা গেল নামের আগে একসঙ্গে ফুহরার আর রেইখস্ক্যাঞ্জলার জুটল জার্মানির সর্বময় কর্তার। প্রদত্ত ভোটের প্রায় নব্বই শতাংশ দখল করলেন তিনি। যে ভাবে হিটলারের সময় এইসব গণভোট হয়েছে তাতে বাহাত্তরের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন একেবারে শিশুমনে পুতুল খেলা। ইতিহাসের এই অংশটি খুব আলোচনা হয় না, তবে উল্লেখ করে রাখা যাক যে হিনডেনবার্গ ছিলেন হিটলারের শেষ বাধা। অসুস্থ হিনডেনবার্গের মৃত্যু আসন্ন বুঝে এই গণভোটের আগে ঘর গুছিয়েছিলেন হিটলার। ভোটের মাত্র সতের দিন আগে মারা যান এই নেতা। ফলে বুঝতে অসুবিধে হয় না যে যথেষ্ট আগে থেকেই সব গুছিয়ে রেখেছিলেন হিটলার। সঙ্গে ছিল সামরিক বাহিনী। স্বভাবতই হিটলারের দখল ততদিনে সম্পূর্ণ, গোটা দেশের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় তিনি। তাই ২৯ মার্চ ১৯৩৬-এর সাধারণ নির্বাচনটাই বদলে গেল গণভোটে। প্রদত্ত ভোট দাঁড়াল তালিকাভুক্ত ভোটারের নিরানব্বই শতাংশ, আর তার মধ্যে সরাসরি সমর্থন জোটালেন ৯৮.৮০% মানুষের।  

    এবার ঘরের পাশে আমাগো এরশাদের কথায় আসা যাক। ২৪ মার্চ ১৯৮২-তে সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তার প্রায় তিন বছর পর তাঁর নির্বাচন সংক্রান্ত ছেলেখেলার দরকার পড়ে। বাংলাদেশের সামরিক শাসন সংক্রান্ত গণভোট নেওয়া হয় ২১ মার্চ ১৯৮৫। প্রাথমিকে অকৃতকার্য হলেও এটুকু বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্যেই এই গণভোট। বিরোধীরা ভালই জানতেন যে এই গণভোটে জিতবেন এরশাদ। ফলে তাঁরা সেই দিন ধর্মঘটে যোগ দেন। ভোটের ফল তাতে কিছু বদলায় নি। উইকিপিডিয়া বলছে 'গণভোটে ভোটারদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি রাষ্ট্রপতি এরশাদের গৃহীত নীতি সমর্থন করেন এবং আপনি কি চান, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত তিনি তার প্রশাসন পরিচালনা করবেন?' তালিকাভুক্ত ভোটারের বাহাত্তর শতাংশের বেশি নাকি তাঁদের ছাপ মারার অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন এবং তার মধ্যে সাড়ে চুরানব্বই শতাংশ হ্যাঁ-বাচক উত্তর দেন। এর মধ্যে কতটা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন আর কতটা ভোটলুঠ, সে পরিসংখ্যান কোনদিন খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা কে জানে? তবে এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার আমলে, কিংবা একেবারে সাম্প্রতিক শেখ হাসিনার সময়েও বাংলাদেশের নির্বাচন যে খুব সুষ্ঠুভাবে হয়েছে এমন প্রমাণ কম। অর্থাৎ এরশাদের গণভোট যতটা গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়েছে, বাংলাদেশের অন্যান্য নির্বাচন যে তা থেকে উত্তরণের পথ এমনটা নয়। গণভোট হোক, কিংবা সাধারণ নির্বাচন, শাসক সুযোগ পেলেই জনগণের গলা টিপে জনমত অগ্রাহ্য করতে চান। গণভোটে হয়তো সেই তীব্রতা বেশি।

    তবে সবসময়ে তো আর রিগিং হয় না। তার একটা উদাহরণ ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোট। এমনিতেই ইউরোপের বেশ কিছু দেশে গণতন্ত্রের মান অত্যন্ত উন্নত। ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, এই সমস্ত দেশে নির্বাচন হয় নির্বিঘ্নে। ফলে সেখানে কোন গণভোট হলে তার ফলাফল যে জনমতের প্রতিফলন এই নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। সাহেবদের গণভোটের তারিখ ছিল ২০১৬ সালের ২৩শে জুন। প্রশ্ন ছিল ইংল্যান্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকবে কিনা তাই নিয়ে। গণভোটে ৫২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বিদায়ের পক্ষে। ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল মোট মতদাতার ৭২ শতাংশ। ফলপ্রকাশের পরেই পদত্যাগ করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার সমর্থক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তারপর এগারোই জুলাই ২০১৬ তারিখে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব থেরেসা মে। তার দুদিন পরে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। “ব্রেক্সিট মানে ব্রেক্সিট। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে থাকার কোনও চেষ্টাই করব না”, বার্মিংহামের জমায়েতে ঘোষণা করেছিলেন সদ্য নির্বাচিত নেত্রী। কিন্তু তিনি কাজ মেটাতে পারেন নি। এরপর ক্ষমতা গেল হল বরিস জনসনের হাতে। সকলেই জানেন, এই বড়দিনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত কাজ এগিয়েছে অনেকটা। মনে রাখতে হবে গণভোটের পর কেটে গেছে সাড়ে চার বছর সময়। অর্থাৎ একেবারে সৎ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্ধারিত একটি গণভোটের ফলাফল রূপায়িত হতে এতোটা সময় লাগে। আর এই ধরণের পরিস্থিতিতে পক্ষে বিপক্ষে ভোট পড়ে প্রচুর। শাসক একনায়কতন্ত্রী হলে সমস্যা কম। জনগণকে ভয় দেখিয়ে, নব্বই শতাংশের বেশি সমর্থন জোগাড় করে, রাষ্ট্রনায়ক হয়ে, সিংহাসনে শীঘ্রপতন। তারপর চেলাচামুণ্ডাদের নিয়ে নিরঙ্কুশ শাসন। কাজ মেটে চটজলদি।

    লেখাটা এইখানেই শেষ করা যেত। কারণ গণভোটের ভালমন্দ নিয়ে এর মধ্যেই উদাহরণ সহযোগে ভাবসম্প্রসারণ সারা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিলে গণভোটের বিপুল অবমাননা হবে। কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে অতটা অপেক্ষা করবে কে? আপাতত সরাসরি নির্বাচন হোক কি না হোক, তৃণমূল আর বিজেপি এই সময় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্বে মাতোয়ারা। বোলপুরে বিপুল মিছিল হচ্ছে শাসক কিংবা বিরোধীদের। শান্তিনিকেতনের সীমানায় পাঁচিল ভাঙা গড়া চলছে নিরন্তর। রবীন্দ্রনাথের দখল নেওয়ার লড়াইতে নাকি বাস্তুহারা হতে চলেছেন অর্থনীতির নোবেলজয়ী অধ্যাপক। তাই আজকের পশ্চিমবঙ্গে গণভোট চলছে কবিগুরু বিজেপি না তৃণমূলের তাই নিয়ে। অর্থাৎ শুধু গণতন্ত্র নয়, আমাদের কবিও আকুল তাঁকে কে দলে টানবে সেই গণভোটের আবেদনে। যে কোন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া আসলে দখলদারির। কোথাও দখল হয় জমি কিংবা মানুষ। কোথাও দখল হয় তার ভাষা কিংবা সংস্কৃতি। সেই দখলদারিত্বে গণতন্ত্রের সীলমোহর দেওয়ার জন্যেই দরকার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের চরমতম রূপ গণভোট। সেখানে পুরোটাই হ্যাঁ কিংবা না, শূন্য কিংবা এক, ইংরিজিতে বাইনারি। চলমান গণভোটে রবীন্দ্রনাথকে বঙ্গমনন কোন দলের বোতামে খুঁজে নেবেন সেটাই আজকের বাংলা প্রশ্ন। বিশ্বকবির দখলদারিতে আওয়ামী লীগও যোগ দেবেন নাকি?
    তাহলে অন্তত গণভোটে তৃতীয়পক্ষের সন্ধান মিলবে।



    শুভময় মৈত্র ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৪৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন