বিপ্লব রহমানের বই ‘পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ’ [সাংবাদিকের জবানবন্দিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অকথিত অধ্যায়] চার বছর পর আবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বেরিয়েছে বর্ধিত কলেবরে, দ্বিতীয় সংস্করণ আকারে।
পাহাড়ের অজানা, অব্যক্ত নানা ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষ দেখা থেকে লেখা এই বই। এটি নিছক সাংবাদিকের লেখনিতে পরিস্থিতির বিবরণ নয়, বরং অনেক ঘটনার নেপথ্য ঘটনা তথ্য-প্রমাণসহ সরাসরি উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। অসংখ্য সাক্ষাৎকার, টিকা-টিপ্পনী, তথ্যসূত্রে এটি হয়ে উঠেছে একই সংগে জীবন্ত দলীল।
এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন সব্যসাচী হাজরা, একুশের বইমেলায় এটি পাওয়া যাচ্ছে "সংহতি প্রকাশন" এর স্টল-২০৫-৬ এ, এর দাম পড়বে ৩২০ টাকা মাত্র (২৫% ছাড়)।
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে রকমারি ডটকম-এ এই বইটি অনলাইনে কিনতে পাওয়া যাবে। এছাড়া "উজান প্রকাশন" এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করেও এটি বাংলাদেশ ও ভারতে ডাক মাশুলসহ কিনতে পাওয়া যাবে।
উজানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/UjanBooks/
অফ লাইনে বইমেলার বাইরে ঢাকার পাঠকরা কাঁটাবনে কনকর্ড টাওয়ারে ‘সংহতি প্রকাশন’ এর শো-রুম থেকেও বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
এছাড়া আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন ‘সংহতি প্রকাশন’ এর কার্যালয়ে: ৩০৫, রোজ ভিউ প্লাজা, ৩য় তলা, ১৮৫, বীরউত্তম সি আর দত্ত রোড, হাতিরপুল, ধানমণ্ডি, ১২০৫ ঢাকা। ফোন: ০১৭১৮ ২৯২ ৬৮০।
শুভেচ্ছা সকলকে। উজো
_______________________
বইটি সর্ম্পকে ‘সংহতি প্রকাশন’ তাদের ফেজবুক পেজে বলেছে,
“কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প'' তথা উন্নয়নের নামে পাহাড়ের আদিবাসীদের জমি দখলের সূচনা হয় ১৯৫৭ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দ্বারা। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৫৪ হাজার একর চাষযোগ্য জমি জলমগ্ন হয়, উদ্বাস্তু হন লক্ষাধিক মানুষ। তখন থেকেই শোনা যায় সবুজ পাহাড়ের বুকজুড়ে আদিবাসীদের দীর্ঘশ্বাস।
এরপর সময়ের সাথে সাথে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে যত জল গড়িয়েছে, তার সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতিক হারে বেড়ে চলেছে পাহাড়ি আদিবাসীদের কান্নার ইতিহাস।”
‘‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শাসক বদলেছে কিন্তু অপরিবর্তিত রয়ে গেছে পাহাড়িদের প্রতি রাষ্ট্রীয় নীতি, যদিও মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের বড় অংশই সমতলের বাঙালিদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ স্বাধীন করায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে একটি পার্বত্য প্রতিনিধি দল দেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করতে যান এবং শেখ মুজিব পার্বত্য জাতিগোষ্ঠীর বাঙালি পরিচয় গ্রহণের উপর জোর দেন।”
“এছাড়াও জানা যায়, শেখ মুজিব স্থানীয়দের দ্বারা বিদ্রোহ হওয়ার আশংঙ্কায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি বসতি স্থাপন করে স্থানীয়দের সংখ্যা হ্রাস করতে চেয়েছিলেন।
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে সফল না হয়ে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ''পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-(পিসিজেএসএস)''-এর নেতৃত্বে ১৯৭৫ সাল থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন।”
“সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করলেও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা) শান্তিপূর্ণ পথে সমাধানের জন্য সবসময়ই সরকারগুলোর সাথে আলোচনার পথ খোলা রাখেন। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে।”
“এরপর শর্ত মোতাবেক শান্তি বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করলেও গত দেড় যুগেও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে চুক্তির কোন ধারাই আদতে বাস্তবায়িত হয়নি।
সরকার-সেনাবাহিনী-সেটেলারদের ক্রমাগত আগ্রাসনে দিন দিন বিপন্ন থেকে বিপন্নতর হচ্ছে আদিবাসীদের অস্তিত্ব।”
“১৯৫৭ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পাহাড়ি আদিবাসীদের উপর বয়ে যাওয়া শোষণ ও তাঁদের সংগ্রামের ইতিহাস নিয়েই প্রায় দুই দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে প্রতিবেদন করার অভিজ্ঞতালব্ধ সাংবাদিক বিপ্লব রহমানের বই ''পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ''।
Author: বিপ্লব রহমান Biplob Rahman
Publisher: সংহতি Samhati publications
Cover designer: সব্যসাচী হাজরা, Sabyasachi Hazra
Subject: জাতিসত্তা
Second edition, update version : ফেব্রুয়ারি, অমর একুশে গ্রন্থমেলা; ২০২১, সংহতি, স্টল-২০৫-৬,
Price : ৩২০ টাকা মাত্র (২৫% ছাড়)
First edition: ফেব্রুয়ারি, ২০১৫; সংহতি।
(c) : Ali copy rights reserved by the writer.