ভেবেছিলাম ব্যাপারটা নিয়ে কিছু লিখব না। কারণ, এখন মনের কথা লিখলেই কেউ বলছে পদ্ম আবার কেউ বলছে ঘাস। তাদের বলতে চাই ওরে আমি মানুষ, কোন ফুল নই অথবা কোন অস্ত্রও নই।
সকাল থেকে মেসেঞ্জার ভর্তি মেসেজ "হ্যাপি হোলি"। মেরেকেটে দু তিন জন দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য হল আজকে আসলে দোল, আগামীকাল হোলি। তো, আজকে আপনারা রঙে ভূত হয়ে কোনটা মানিয়েছেন? দোল না হোলি।
হ্যাঁ, আমিও রঙ খেলেছি। আর এখন ছাল চামড়া ঘষে বাদুড়ে রঙ তুলছি। যদিও আবির মাখাটাই স্বাভাবিক। তবে আবিরের ভিতর বাঁদর ঢুকে গেলে আর কি করা যাবে। কিন্তু আজ আমি দোল মানিয়েছি মশাই। কারণ, আমি জানি আজ দোল কালকে হোলি। তো যারা হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাদের কালকে রিপ্লাই করব।
দয়া করে জেনে রাখুন। দোল ফাল্গুনী পূর্ণিমাতে কৃষ্ণ আর রাধার রঙ খেলাকে উদ্দেশ্য করে পালিত হয়। বসন্তের মরশুমে এটি নিতান্তই প্রেমের একটা সুন্দর মূহুর্ত হিসেবে পালিত হয়।
কিন্তু হোলি পালন হয় দোলের পর দিন। হিরন্যকশিপুর বোন হোলিকা বিষ্ণু অবতার প্রহ্লাদকে মারার উদ্দেশ্য নিয়ে যখন তার সমস্ত শক্তি একত্রিত করে আগুনে বসেছিল, তখন বিষ্ণুর কৃপায় হোলিকা একাই মারা যায়। সুতরাং অশুভ শক্তির বিনাশ, আর শুভ শক্তির জয় হিসেবে পালিত হয় হোলি।
যদিও দুটোই রঙের উৎসব। তাই ভালোবাসা হোক বা শুভ শক্তির জয়। আমরা তো ভাই বাদুড়ে রঙ মেখে, হুইস্কি বিয়ার খেয়ে এদিক ওদিক পরে থাকবই। কোন শা* কি করবে দেখি।