আসলে ছাড়তে হয়, সবাইকেই ছাড়তে হয়। না ছাড়লে জীবন চলেনা।
কেমন ভাবে? বোঝালে বুঝবেন তো? নাকি স্বভাব খারাপ, অকর্মন্য, বেইমান, বদজ্জাত ছেলে তকমা দিয়ে কমেন্ট বক্স ভরাবেন?
ভেবে দেখুন, আপনার স্কুল, কলেজের বন্ধুদের সেই গ্রুপ গুলো, টিউশনি যাওয়ার সেই রেঞ্জার সাইকেলটা, সেই অগোছোলো চুল ঠিক করা মেয়েটা সবাইকে সময়ের সাথে সাথে আমাদের ছাড়তে হয়।
সেই টিনের বইয়ের বাক্স, সেই প্রিয় মাষ্টারদা অথবা প্রিয় শিক্ষিকা দিদি। কলেজের সেই ক্রাশ হাফ স্লিভ ব্লাউজ পরা ম্যাডাম। আমাদের ঘরের পিছনের সেই পুরানো আম গাছ। সেই পানা পুকুর। সেই আম কুড়ানোর কালবৈশাখী, সেই বৃষ্টির দিনের কইমাছ। সবাইকে ছাড়তে হয়।
ভেবে দেখুন একটা মেয়ে তার বাপ-মায়ের সাথে তার বাইশটা বছর কাটায় কিন্তু বিয়ের পর সমাজের নিয়মে তাকে তার বাবা মাকে ছাড়তে হয়। অপরদিকে একটা ছেলেও তার বাবা মায়ের সাথে পঁচিশটা বছর কাটায়। কিন্তু বিয়ের পর সংসার করার তাগিদে নাকি তাকে তার বাবা মাকে ছাড়তে হয়। হ্যা অনেক অপবাদ ওঠে। বউয়ের ভেড়ুয়া, বেইমান ছেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সত্যি বলতে মেয়েদের যেমন ছাড়তে হয়, ছেলেদেরও ছাড়তে হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে বিয়ের পর দেশের ৬৭ শতাংশ ছেলেরা তার মা বাবাকে ছেড়ে আলাদা থাকে। আর সত্যি বলতে, মেয়েদের থেকে ছেলেদের বাবা মায়ের সাথে তাদের সম্পর্কটা তিক্ত হয়। সুতরাং, তুমি যেমন ছাড়ো আমিও ছাড়ি বন্ধু। তাই নিজেকে সব ক্রেডিট দিয়ে লাভ নেই। এই পৃথিবীতে সবাই ছাড়ে। আসলে মোদ্দা কথা, একটাকে না ছাড়লে আর একটাকে ধরা যায়না।
আমরা সবাই ছেড়ে দিই, এগিয়ে যাই। পিছন ফিরে দেখিনা। কারন জীবন হাতছানি দিয়ে ডাকছে, সরি, শান্তির জীবন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।