এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • যোগেশচন্দ্র ঘোষ 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ০৪ এপ্রিল ২০২১ | ৩৪০৭ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • "উঠোন পেরিয়ে বিষন্ন বদন যে ভবনটির সামনে এসে সাধনার আপিস বাড়ি। ভয়ে ভয়ে দরজা পেরিয়ে ঘরে ঢুকলাম। চোখে সবকিছু ধাঁধা ঠেকল। অন্ধকার যেন ঝাঁপিয়ে পড়ল। আর সেই আধার সাঁতরে যখন চোখটা একটু সয়ে আসল, দেখি, চৌকোনো এক মস্ত ঘর, চারধারে টেবিলের সারি। তাতে কর্মচারীরা নিবিষ্ট মনে কাজ করছেন। ওই মস্ত ঘরে সাকুল্যে দুটি ৪০ পাওয়ারের বাতি। বাইরের আলো থেকে ঘরে ঢুকলে হঠাৎ কিছু চোখে পড়বে না। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিমে তথা ফতুয়াধারী লোকগুলোকে কেন যেন জ্যান্ত লাশ মনে হচ্ছিল - নড়াচড়া নেই, কথা নেই, ঘাড় খুঁজে কী সব আঁকিবুকি কষছে! আর একেবারে সামনে নড়বড়ে টেবিলে নিমে গায়ে যিনি বসে, বিজ্ঞাপনে তার চেহারা এত সহস্র বার দেখেছি যে তাকে চিনতে কষ্ট হলো না মোটে।"
     
    উঠোন পেরিয়ে যিনি বিষণ্ণবদন বাড়িটির ভিতরে গেলেন তিনি মিজানুর রহমান। লেখক ও প্রকাশক। তিনি ছাত্র বয়সে একটা ম্যাগাজিন বের করেন। সেই ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপনের জন্য এই বাড়িতে যান। কার বাড়ি যাকে চিনতে কষ্ট হল না সেই গল্প পরে করছি। তার আগে আর একটু তবলার ঠুক ঠাক করে নেই।
     
    কিছু কাজ আছে করতে দারুণ। কাজের ভিতরে নায়কোচিত ব্যাপার থাকে। কিছু কাজ দরকারি হলেও করতে ইচ্ছা করে না। বীর যুদ্ধে যায়, সম্মান অর্জন করে। কিন্তু কর্মবীর? খুব একটা দেখা যায় না। জাতিগত ভাবে আমাদের আবার দোষ হচ্ছে আমরা ব্যবসা করতে আগ্রহী না। ঘাড় গুজে কাজ অকাজ সব করে নিতে রাজি কিন্তু ব্যবসা করতে রাজি না। বহু বছর আগে এক পাগলা লোক বিজ্ঞানের সাথে ব্যবসা মিলিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এমন এক প্রতিষ্ঠান যা সেই সময়ের সকলের কাছে তাজ্জব ব্যাপার ছিল। ভদ্রলোক হচ্ছেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। তার প্রতিষ্ঠা করা বেঙ্গল কেমিক্যাল সেই সময়ের তুলনায় অবিশ্বাস্য এক কীর্তি। আমি যার কথা বলতে বসেছি তিনি এই আচার্যর ছাত্র। মিজানুর রহমান যাকে অন্ধকার ঘরে দেখেই চিনে ফেলেছিলেন তিনি আরেক কর্মবীর, যোগেশচন্দ্র ঘোষ। মুশকিল হচ্ছে আচার্য প্রফুল্লচন্দের নাম আজকে দুই একজন মনে রাখলে যোগেশচন্দ্রের কপাল তেমন না। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছেন তিনি। অথচ তার কীর্তি কোন অংশে কম না। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাধনা ঔষধালয় নামের এক আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রতিষ্ঠান। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের কাছ থেকে স্বদেশী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হয়েই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন এই বিশাল কর্মযজ্ঞে। আজকে সাধনা ঔষধালয়ের নাম অনেকেই জানে না। অথচ ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের এক সময় পুরো ভারতবর্ষে শাখা ছিল। শাখা ছিল চিন ও উত্তর আমেরিকায়। সাধনা ঔষধালয়ের গ্রাহক ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এ তো গেল প্রতিষ্ঠানের কথা। যোগেশচন্দ্রের কথা বলব না?
     
    যোগেশচন্দ্র ঘোষ ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার জুবিলী স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ ( বর্তমানে আই এ) পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএ পাশ করেন। তখনই তিনি প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সংস্পর্শে আসেন। লন্ডন থেকে এফসিএস এবং আমেরিকা থেকে এমসিএস করে এসে বিহারের ভাগলপুর কলেজে কিছুদিন অধ্যাপনা করে নিজের কলেজ জগন্নাথ কলেজে টানা ৩৬ বছর রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে চাকুরী করেন। তখনই প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত সাধনা ঔষধালয়। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি লন্ডন কেমিক্যাল সোসাইটির আজীবন ফেলো নির্বাচিত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য হওয়ার গৌরব লাভ করেন।
     
    আজকে, এই এপ্রিলের চার তারিখে কেন উনার কথা লিখছি? কারণ আজকে উনার মৃত্যুবার্ষিকী। আজকে থেকে পঞ্চাশ বছর আগে তিনি মারা যান। পঞ্চাশ বছর কি অন্য কিছু মনে করায় দেয় আমাদের? এই বছর পঞ্চাশ বছর আমাদের মনে করায় দেয় যে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পার করেছি আমরা। যোগেশচন্দ্র ঘোষ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধেরই শহীদ। পঁচিশ মার্চ যাঁদের যাঁদের ধরে মেরে ফেলা হবে তাদের তালিকায় যোগেশচন্দ্রের নামও ছিল। কিন্তু তাঁকে ঠিক তখনই মারা হয়নি। উনার গেণ্ডারিয়ার বাড়িতে যাওয়া হয়েছে, টাকা পয়সা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা পেরেছে সব নিয়ে নেওয়ার পর, আজকের দিনে পাকিস্তানীরা গুলি করে মেরে ফেলে এই মহান পুরুষকে। আশি বছরের এক বৃদ্ধকে গুলি করে মেরে তাদের মহান দায়িত্ব পালন করেছিল সেদিন! বুদ্ধিজীবীদের হত্যা যে কত বড় ক্ষতি করে দিয়ে গেছে আমাদের তা আসলে ভেবে কূল কিনারা পাওয়া যায় না।
     
    শুরুতে মিজানুর রহমানের উনার ম্যাগাজিনের জন্য বিজ্ঞাপন চাইতে যাওয়ার কথা বলেছি। উনি সেদিন যাওয়া মাত্রই বিজ্ঞাপন পেয়ে গেছিলেন যোগেশচন্দ্রের কাছ থেকে। একেবারে অর্ধেক পেজের বিজ্ঞাপন, ২০ টাকা! নতুন একটা ম্যাগাজিন, যাকে কেউ চিনে না তাঁকে দিয়ে দিল একটা বিজ্ঞাপন! মিজানুর রহমান বলছেন এমন করেই মানুষের পাশে থাকতেন তিনি। কাছে গিয়ে দাঁড়ালেই হত, পেয়ে যেত বিজ্ঞাপন। কোন এজেন্ট লাগত না, কিচ্ছু লাগত না। শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না, পাড়ায় নাটক নামবে, ক্লাবের অনুষ্ঠান হবে? যাও যোগেশচন্দ্রের কাছে। কেউ ফিরে নাই খালি হাতে! যোগেশ ভরসা!
     
    আজকে কয়জনের মনে আছে উনার কথা আমার জানা নাই। সাধনা ঔষধালয়ের কথাই এখন লোকে জানে না। অথচ খুব বেশি আগের কথা না কিন্তু। আমরা নিয়মিত সাধনা ঔষধালয়ের বিজ্ঞাপন দেখতাম। যে ছবির কথা মিজানুর রহমান বলেছেন সেই ছবি অতি পরিচিত ছিল আমাদের কাছেও। গোল একটা ছবি। আগে খেয়াল করিনি, এখন যখন জানি তিনি কে তখন আমার কাছে মনে হয় কী দারুণ সুদর্শন পুরুষ ছিলেন তিনি। ওই ছবিতেই যেন ব্যক্তিত্ব ঠিকরে বের হচ্ছে উনার।
     
    আজকে উনার মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান এই কর্মবীরকে।
     
    ( তথ্য সূত্র - ঢাকা পুরাণ/ মিজানুর রহমান। ছবি - ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ এপ্রিল ২০২১ | ৩৪০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৪ এপ্রিল ২০২১ ০৮:০০104464
  • আমি ছোটবেলায় " ঢাকা সাধনা ঔষধালয়" সাইনবোর্ড টাঙানো দোকান থেকে কেনা সারিবাদি সালসা,  সারিবাদ্যারিষ্ট  এসব খেয়েছি। কোলকাতায় অনেক শাখা ছিল। সমস্ত কাগজে বিজ্ঞাপন বেরোত। ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের গোলবাজারে কুড়ি বছর  আগেও চোখে পড়ত বহুকাল আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক বিষণ্ণ দোকান।  সাইনবোর্ড বাংলা ও হিন্দিতে।

  • বিপ্লব রহমান | ০৭ এপ্রিল ২০২১ ০৮:২৫104521

  • রঞ্জনদার ছোট্ট স্মৃতিচারণটুকু দারুণ! 



    সাতের দশকেও ঢাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে সাধনা ঔষধালয়। শৈশবে সংবাদপত্রের পাতায় তো বটেই, এক ব্যান্ডের রেডিও -সাদাকালো টিভিতেও সাধনা'র বিজ্ঞাপন যেন দেখেছি, অস্পষ্ট মনে পড়ে। 


    ক্রমে রেডিওতে ব্যান্ডের সংখ্যা বেড়ে এফএম হলো, টিভি কালার, এইচডি হয়ে এপে এলো, ঝেঁটিয়ে বিদায় হলো হোমিওপ্যাথ, মোড়ে মোড়ে ঝকঝকে নিয়ন সাইনবোর্ডের লাজ ফার্মা ইত্যাদি এলো, কালের গর্ভে হারিয়ে গেল ছেলেবেলার সাধনা ঔষধালয়, যাদব ঘোষের মিষ্টি, বোরোলিন ক্রিম, কেওকার্পিন আর জবাকুসুম সুগন্ধী তেল...।



    এরপরেও টেলি মেডিসিন আর অনলাইন শপের যুগে এখনো কি করে যেন টিকে আছে এপি (আয়ুর্বেদ ফার্মেসি), হামদর্দ দাওয়াখানা, মঘা ইউনানি ইত্যাদি। 


    তবে এইসব অধুনা হারবাল আদৌ বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকর কি না, এ নিয়ে শিক্ষিতজনের মধ্যে ঘোরতর সন্দেহ আছে। 



    তবলার ঠুকঠাকে লেখাটি বেশ কিছুটা এলোমেলো বলে মনে হয়েছে।  

  • বিপ্লব রহমান | ০৭ এপ্রিল ২০২১ ০৮:৩২104522
  • * সংশোধন :  


    ২ 


    সাতের দশকেও ঢাকায় তো বটেই, পুরো বাংলাদেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সাধনা ঔষধালয়।


    শৈশবে সংবাদপত্রের পাতায়, এক ব্যান্ডের রেডিও -সাদাকালো টিভিতেও সাধনা'র বিজ্ঞাপন যেন জোরেশোরে প্রচার হতো, অস্পষ্ট মনে পড়ে। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন