এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • রাগ দরবারীঃ ১৫শ পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১২ জুন ২০২১ | ১৯৩৬ বার পঠিত
  • ১১

    ছাতের কামরার সামনে টিনের শেড, টিনের নীচে রংগনাথ, ওর নীচে খাটিয়া। বেলা দশটা, এখন শুনুন আবহাওয়ার খবর।কাল রাত্তিরে আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল, এখন কেটে গেছে। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। বিগত দিনে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছিল, এখন সেসব পরিষ্কার হয়ে যেতেই পৌষের শীতের কামড় টের পাওয়া যাচ্ছে। বাজারের নব্বই প্রতিশত মিষ্টি যেমন দেখতেই ভাল, খেতে নয়, তেমনই রোদ্দূরও পিঠে লাগানোর ছেয়ে দেখেই বেশি আরাম।রোদ চারদিকে ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু দেখলে মনে হচ্ছে শুধু নীমগাছের মাথাতেই আটকে রয়েছে। রঙ্গনাথ ওই নীমগাছের মাথায় পাতায় পাতায় রোদ্দূরকে মন দিয়ে দেখছে। শহরেও নীম গাছ আছে। সেখানেও রোদ এসে পাতায় পাতায় খেলা করে। কিন্তু তখন রঙ্গনাথ ওর দিকে তাকিয়েও দেখত না।কিন্তু ওই রোদ্দূরের রূপ ও গাঁয়ে এসে খেয়াল করে দেখল। এরকম অনেকের সাথেই হয়।

    রঙ্গনাথের হাবভাব ওইসব ট্যুরিস্টের মত দেশে থাকতে যাদের পথঘাট, হাওয়া, ঘরবাড়ি,রোদ, দেশপ্রেম, গাছপালা, বদমাইসি, মদ, ওয়ার্ক কালচার, যুবতী এবং ইউনিভার্সিটি এসব চোখে পড়েনা, কিন্তু বিদেশে গেলেই দেখতে পায়। এর মানে রঙ্গনাথের চোখ রোদ্দুর দেখছে, কিন্তু মন আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতির গভীরে হারিয়ে গেছে। ওর অনেক কিছুই তো হারিয়ে গেছে, যা কেবল গবেষকরা খুঁজে বের করতে থাকে।

    রঙ্গনাথ ওর রিসার্চের জন্যে এমনই এক সাবজেক্ট খুঁজে বের করেছে। হিন্দুস্তানীরা নিজেদের অতীতের খোঁজে ইংরেজদের সাহায্য নিয়ে এমনই এক বিষয় দাঁড় করিয়েছে যার গালভরা নাম-ইন্ডোলজি। এই বিষয়ের গবেষণা শুরুই হয় আগে এ’ব্যাপারে কারা কারা গবেষণা করেতাঁদের নামের গবেষণায়।রঙ্গনাথ ঠিক তাই করছিল।দু’দিন আগে শহরে গিয়ে ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি থেকে গাদাগুচ্ছের বই তুলে এনেছে। এখন নীমগাছের মাথায় বিছিয়ে যাওয়া রোদ্দুরের চাঁদোয়ার নীচে বসে ওই বইগুলো পড়তে শুরু করেছে। ওর ডাইনে মার্শাল, বাঁয়ে কানিংহ্যাম, আর নাকের ঠিক নীচে শোভা পাচ্ছেন উইন্টারনিজ।কীথ পাছার কাছে পায়জামায় গা’ ঘষটাচ্ছেন। ভিনসেন্ট স্মিথ সরে গেছেন পায়ের কাছে এবং কিছু উল্টেপাল্টে গড়াগড়ি খাওয়া বইয়ের ভেতর থেকে উঁকি মারছেন মিসেস রাইস ডেভিস। পার্সিভ্যাল ব্রাউন ঢাকা পড়েছেন বালিশের নীচে। এতসব পন্ডিতের ভিড়ে বিছানার দোমড়ানো মোচড়ানো চাদরের এক কোণে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন কাশীপ্রসাদ জয়সোয়াল। ভান্ডারকর চাদরে মুখ ঢেকে লজ্জা লজ্জা ভঙ্গিতে তাকাচ্ছেন।ব্যস্‌, ইন্ডোলজির রিসার্চের হদ্দমুদ্দ একেবারে।

    এইজন্যেই হঠাৎ একটা ‘হাউ-হাউ’ আওয়াজ ওর কানে কোন ঋষির সামবেদ গানের মত বেজে উঠল। ‘হাউ-হাউ’ আরও কাছে এল। ওর মনে হল কোন হরিষেণ বোধহয় সমুদ্রগুপ্তের বিজয়গাথা একেবারে ফুসফুসের সমস্ত জোর দিয়ে শোনাচ্ছে। এবার ওই ‘হাউ-হাউ’ নীচের গলিতে পৌঁছে গেছে আর তার সঙ্গে ‘মেরে ফেলব শালাকে’ গোছের কিছু ওজস্বী বাক্য যুক্ত হয়েছে। রঙ্গনাথ বুঝল –ওসব কিছু নয়, এটা ওই ‘গঞ্জহা’দের কোন লফড়া।

    ও ছাদের কার্নিশের কাছে এসে নীচে গলির দিকে উঁকি মারল—এক যুবতী মেয়ে, এলোকেশি, রুক্ষ চুল, পরনের কাপড়টিও এলোমেলো, কিন্তু সমানে মুখ চালাচ্ছে। কিন্তু এইটুকু শুনে ভাববেন না যে শহরের ফ্যাশনদুরস্ত মেয়ে চুইংগাম চিবুচ্ছে। আসলে ও হোল ঠেট দেহাতি মেয়ে, নোংরা পোষাক, আর মুখ নড়ছে কারণ ও সঙ্গের ছাগলগুলোকে ‘হলে-হলে-হলে’ করে তাড়িয়ে আনছে।চার-ছ’টা বকরী পাঁচিলের ফাটলে গজিয়ে ওঠা একটি বটের চারাকে চিবুচ্ছে বা চিবিয়ে শেষ করে আরেকটি পাঁচিলের গায়ে কোন বটের চারা গজিয়েছে কিনা তার খোঁজে ব্যস্ত। রঙ্গনাথ মন দিয়ে দেখল- না, ওই হাউ-হাউয়ের উৎস এখানে নয়। ওর নজর ঘুরে ফিরে ওই মেয়েটির চেহারায় আটকে গেল। যারা কোন মেয়েছেলের কথা উঠতেই তালি বাজিয়ে নাচতে গাইতে লেগে যায়, এবং মেজে থেকে লাফিয়ে ছাদে ধাক্কা খায় তাদের জন্যে সব মেয়ে বা যেকোন মেয়ে, এমনকি এই মেয়েটিও ভাল দেখতে। তবে সত্যি কথা বলতে কি, এই মেয়েটির তুলনায় ওই বকরীগুলো বেশি সুন্দর। হাউ-হাউ ধ্বনি র উৎস জানা যায়নি, কিন্তু লাগাতার ওই ধ্বনির অনুরণন শোনা যাছে। এই অবস্থায় রঙ্গনাথ পার্সি ব্রাউন, কানিংহামদের ছাদে ফেলে রেখে নিচে নেমে বাড়ির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়ল। বৈদ্যজী এখন ওঁর দাওয়াখানায় ওষুধ নিয়ে ব্যস্ত, চার-ছ’জন রোগী এবং শনিচর ছাড়া কারও টিকিটি দেখা যাচ্ছেনা। হাউ-হাউ আওয়াজ এতক্ষণে গলির ভেতরে সেঁধিয়ে গেছে।

    রঙ্গনাথ শনিচরকে ইশারা করে শুধোল—শুনতে পাচ্ছ?

    শনিচর রোয়াকে বসে একটা কুড়ুলে বাঁট লাগাতে ব্যস্ত ছিল। ও ঘাড় ঘুরিয়ে কান খাড়া করে খানিকক্ষণ ‘হাউ-হাউ’ শুনতে লাগল। হঠাৎ ওর কপালের চিন্তার ভাঁজগুলো মিলিয়ে গেল।ও শান্তভাবে বলল,’ হ্যাঁ, একতা হাউ-হাউ মত শোনা যাচ্ছে বটে। মনে হচ্ছে ছোটে পালোয়ান আর কুসহরের মধ্যে ফের ঝগড়া হয়েছে’।

    এই খবরটা ও এমন নির্লিপ্তভাবে বলল যেন কোন মোষ কারও দেয়ালে একটু শিঙ রগড়ে নিল। ফের ও বাটালি দিয়ে কুড়ুলের বাঁট চাঁছতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

    হঠাৎ হাউ-হাউ একেবারে জলজ্যান্ত সামনে হাজির! ষাট বছরের এক শক্তসমর্থ বুড়ো।খালি গা’, মালকোঁচা মেরে পরা ধুতিটা হাঁটু অব্দি ঢেকেছে। মাথায় তিনটে ক্ষত, তার থেকে রক্তের ধারা বইছে তিন আলাদা দিশায়, এরথেকে প্রমাণ হচ্ছে যে একজাতের খুনেরও নিজেদের মধ্যে মেলামেশা পচ্ছন্দ নয়। বুড়োটা জোরে জোরে হাউ-হাউ করে চেঁচিয়ে দুই হাত শূন্যে তুলে যেন সহানুভূতি কুড়োতে চাইছে।

    রক্ত দেখে ঘাবড়ে গেল রঙ্গনাথ।কাঁপা গলায় জানতে চাইল-এই লোকটা? এ কে? কে মেরেছে এমনি করে?

    শনিচর কুড়ুলের বাঁট ও বাটালি আস্তে করে মাটিতে নামিয়ে রাখল।আহত বুড়ো মানুষটার হাত ধরে মাটিতে বসাল। লোকটি ‘কোন সাহায্য চাইনে’ ভাব দেখিয়ে হাত ঝটকা মেরে ছাড়িয়ে নিল, কিন্তু বিনা ওজর আপত্তি মাটিতে বসে পড়ল।শনিচর চোখ কুঁচকে মন দিয়ে চোটগুলো দেখে বৈদ্যজীর দিকে ঠোঁটের কোণ বেঁকিয়ে ইশারা করল যে চোট হালকা, বেশি গভীর নয়।ও্রদিকে বুড়োর ‘হাও-হাও’টাও দ্রুতলয় ছেড়ে বিলম্বিত লয় ধরেছে এবং শেষে কোন জটিল তালের সমে গিয়ে আটকা পড়েছে। এসব গায়কের ঘরানার হিসেবে বেয়াড়া চলন, কিন্তু ওর উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট। ও রেগে উঠে চলে যাবেনা, বরং এখানে মৌরসীপাট্টা গেড়ে বসবে। শনিচর এবার নিশ্চিন্ত হয়ে এমন একখান শ্বাস টানল যেটা দূরের মানুষজন শুধু শুনতে নয়, দেখতেও পেল।

    রঙ্গনাথের একেবারে পাঁজঞ্জুরিতে তিড়িতংক লেগে গেছে।শনিচর পাশের আলমারিটার থেকে তুলো বের করতে করতে জিজ্ঞেস মুখ খুলল,’ জিজ্ঞেস করছ ওকে কে মেরেছে? এটা আবার কেউ জিজ্ঞেস করে নাকি? এ হোল ছোটে পালোয়ানের বাপ। একে আর কে মারতে পারে, খুদ ছোটে পালোয়ান ছাড়া? কার ঘাড়ে ক’টা মাথা যে পালোয়ানের বাপের গায়ে হাত তুলবে’?

    কথা বলতে বলতে শনিচর এক লোটা জল ও কিছু তুলো নিয়ে বুড়োর কাছে পৌঁছে গেল।

    নিজের ছেলের এবংবিধ প্রশংসা শুনে ছোটে পালোয়ানের বাপ কুসহর বা কুসহরপ্রসাদের বোধহয় একটু জ্বালা জুড়োলো।সে ওখান থেকেই উঁচু গলায় বৈদ্যজীকে বলল, ‘মহারাজ, এবার তো ছোটুয়া আমায় মেরেই ফেলেছিল। আর তো সয়না।এবার আমাদের ভাগাভাগি করে দাও। নইলে কোন দিন ওই আমার হাতে খুন হয়ে যাবে’।

    বৈদ্যজী এবার তক্তপোষ থেকে নেমে রোয়াকের দিকে এগিয়ে এলেন।ক্ষতগুলো মন দিয়ে দেখে অভিজ্ঞ কবিরাজের গলায় বললেন—‘চোট টোটগুলো তেমন গভীর নয়। এখানে চিকিৎসা না করিয়ে হাসপাতালে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।ওখানেই পট্টি-টট্টি বেঁধে দেবে’খন’। তারপর দরবারের লোকজনকে শুনিয়ে বললেন- কাল থেকে ছোটের এখানে আসা বন্ধ। এমন নরকের বাসিন্দের এখানে স্থান নেই।

    রঙ্গনাথের রক্ত টগবগ করছিল। বলল,’আশ্চর্য, এমনসব লোকজনকে বদ্রীদাদা পাশে বসিয়ে রাখেন’।

    বদ্রী পালোয়ান ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখিয়ে বলল,’লেখাপড়া জানা লোকেরা একটু ভেবেচিনতে কথা বলে। আসলে কার দোষ, কে জানে?এই কুসহরও কোন কম যায় না। এর বাপ গঙ্গাদয়াল যখন মরল, এ ব্যাটা বাপের শব ঘর থেকে চালিতে করে বের করতেই দিচ্ছিল না। বলছিল নদীর ঘাট অব্দি হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে আসবে’।

    কুসহর ফের হাউ-হাউ হল্লা শুরু করল, কিন্তু বেশ কষ্ট করে। যার মানে, বদ্রী এসব কথা তুলে আসলে ওর প্রতি ভয়ানক অত্যাচার করছে।একটু পরেই ও সোজা দাঁড়িয়ে উঠে হুংকার ছেড়ে বলল, “বৈদ্যজী মহারাজ, ছেলেকে সামলাও। ও এইসব পুরনো কথা তুলে ইচ্ছে করে তোল্লাই দিচ্ছে যাতে দু’চারটে লাশ পড়ে যায়।ওকে চুপ করাও, নইলে খুন না করে থামবো না । আমি হাসপাতালে পরে যাব, আগে থানায় যাচ্ছি। ছোটুয়াকে এবার যদি আদালতে টেনে না নিয়ে যাই, তবে তোমরা আমায় গঙ্গাপ্রসাদের সন্তান নয়, জারজ সন্তান বলে ডেকো। আমি তো তোমাকে খালি আমার আঘাত দেখাতে এসেছিলাম। দেখে নাও মহারাজ, তিন জায়গা থেকে খুন বইছে; দেখে নাও, তোমাকেই আদালতে সাক্ষী দিতে হবে”।

    বৈদ্যজী ওর আঘাত না দেখে অন্য রোগীদের দিকে মন দিলেন। তার সঙ্গে বক্তিমে চালু। যেমন, নিজেদের মধ্যে কলহ শোকের কারণ হয়। এসব বলে উনি লাপরমান ফিয়ে ইতিহাসের মধ্যে ঢুকে পড়লেন। তারপর পুরাণের ঝাড়বাতির আলোর ছটা থেকে এক লাফে বর্তমানে ফিরে এলেন।এবার পারিবারিক কলহকে শোক ও পশ্চাত্তাপের মূল কারণ প্রমাণ করে উনি কুসহরকে পরামর্শ দিলেন যে কোর্ট-কাচারির চক্করে পড়তে নেই। শেষে উনি আবার প্রমাণ করতে লাগলেন যে থানা-পুলিশও শোকের মূল কারণ।

    কুসহর গর্জে উঠল,” মহারাজ, এসব জ্ঞান নিজের কাছে রেখে দাও। এখানে রক্তের নদী বইছে আর তুমি গান্ধীগিরি ঝাড়ছ? যদি বদ্রী পালোয়ান কোনদিন তোমাকে চিত করে বুকের উপর চড়ে বসে তখন দেখব তোমার ইহলোক-পরলোক লেকচার কোথায় থাকে”!

    বৈদ্যজীর গোঁফ থরথর করে কাঁপছে, তার মানে উনি অপমানিত বোধ করছেন। কিন্তু মুখের হাসিটি এমন যেন অপমান কাকে বলে উনি জানেনই না। যারা হাজির ছিল তাদের সবার মুখের চেহারা শক্ত হয়ে গেল। বোঝা যাচ্ছে, কুসহরের এখানে আর সহানুভূতি জুটবে না। বদ্রী পালোয়ান ওকে দুর দুর করে তাড়িয়ে দিল।

    “ যাও যাও; মনে হচ্ছে ছোটুয়ার সাথে হাতাহাতি করে মন ভরেনি। গিয়ে ব্যান্ডেজ ফ্যান্ডেজ করিয়ে নাও। এখানে বেশি টিলটিলিও না”।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১২ জুন ২০২১ | ১৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন