এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • প্ল্যান বি

    আফতাব হোসেন
    আলোচনা | শিক্ষা | ২১ জুলাই ২০২১ | ২৫১১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • বিগত দুদশক ধরে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষণের বিকাশ আমরা দেখেছি। বিগত কয়েকবছরে MOOC (Massive Open Online Course) একটি জনপ্রিয় শিক্ষামাধ্যম হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে কলেক বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে। এবং বিগত দিনগুলিতে আমরা বহু মঞ্চে এই বিতর্ক দেখেছি যে অনলাইন ক্লাস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিস্থাপিত করতে পারবে কি না? শিক্ষা কি তার গুরুমুখাপেক্ষী চেহারাটা সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু, এও দেখেছি যে এই সমস্ত বিতর্কের শেষে সভার মত এই থেকেছে যে অনলাইন শিক্ষা চমৎকার জিনিস, কিন্তু তা প্রথাগত ক্লাসরুমের প্রতিস্থাপক নয়, পরিপূরক বড়জোর। এই আবহে এল করোনা অতিমারী, যার প্রেক্ষিতে এই চলমান বিতর্কটা সরিয়ে ফেলে সমস্বরে নীতিনির্ধারকেরা ঘোষণা করে দিলেন- ভারত পড়ে অনলাইন। আর, শেষ দেড়বছর, অন্ততঃ আমাদের দেশে পড়াশুনো মানেই অনলাইন। মজার ব্যপার, প্রথম বিশ্বের দেশগুলি, অনলাইন পড়ানোর প্রকৌশল ও রেস্তঁ যাদের বেশি, তারা কিন্তু যেভাবে হোক ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষতঃ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরে স্কুল সেভাবে অনেকে বন্ধ হতেই দেয় নি। আমাদের দেশে শিশুশিক্ষাও ক্লাসরুম বন্ধ রেখে চলছে, উল্টোদিকে। যেখানে তর্কাতীত ভাবে এইদেশে সর্বস্তরে অনলাইন পড়াশুনোর প্রযুক্তি-পরিকাঠামো নেই। এবং তর্কাতীত ভাবে ইস্কুলের পড়াশুনো স্কুল বন্ধ রেখে চালানোর মূল ধাঁচাটাই এখনও তৈরি হয় নি। ফলে, যে প্রশ্নটা সবার আগে জাগে, যে কী হতে যাচ্ছে? ইস্কুল-কলেজের পড়াশুনোকেই আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের মূল স্তম্ভ হিসেবে এতদিন জেনে এসেছি, সেইখানে এই বিপর্যয়ের ফল কী হবে? নাকি বিপর্যয়ই দেখিয়ে দেবে নতুন ভবিষ্যত? সেইসব প্রশ্ন নিয়েই রইল করোনাকালের লেখাপড়া নিয়ে এই আলোচনাগুলি।

    ডিয়ার মাস্টারমশাই ,
    কেন প্ল্যান বি নেই আপনাদের?
    সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক হাজার শিক্ষক গ্রুপ। তাতে আমার দেখা প্রায় সারাদিন ধরে কয়েকশ পোস্ট। বেশিরভাগটাই দুয়ারে আসার তাড়া তাও ব্যকলগে। দুয়ারে সরকার নিয়ে খিল্লি করা মাস্টাররা আজকাল মায়ের,মাসির, পিসির, নিজের কষ্ট দুর্দশার দুখ ভরা কাহিনি লিখে হেই বিকাশভবনে লম্বা লাইন। এই করোনার মার্কেটেও। কেউ বাদ নাই। কোচবিহার টু কলকাতা সব্বাই লাইনে। হাজারে হাজারে। কোন রকমে ফর্ম গলিয়ে রাজ্য জয় করার পর পরই মুখে নেভি কাট লাগিয়ে উক্তি করেন= একবার চেঞ্জ দরকার। সেন্ট্রাল আর স্টেট সেম হওয়া উচিত। শিক্ষা নিয়ে কিছু শুনেছেন?

    এরপরেই আসে ক্রিয়েটিভিটি। শিক্ষার প্রথম সারিতে থাকা মানুষজন ক্রিয়েটিভ হবেন এটা স্বাভাবিক। আমার আপত্তি নেই। আমার আপত্তি অন্য জায়গায়। আমার এক পরিচিত মাস্টারমশাই সোশ্যাল গ্রুপে জ্বালাময়ী কবিতা আবৃত্তি করে ফাটিয়ে দিচ্ছেন। সাধু সাধু। গল্পটা হচ্ছে ব্লক লেবেল বা পাড়া লেবেল এও ওনার স্কুলের কোন ছাত্র বা ছাত্রীকে দেখেনি কোন আবৃত্তি প্রতিযোগিতায়। ওনার স্কুলের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানলাম ওরা জানেই না অমুক মাস্টারমশাই এত ক্রিয়েটিভ বলে। তা মশাই এই সোশ্যাল গ্রুপ ক্রিয়েটিভিটি সমাজের কি লাভ দিলো। মানে ধরুন আপনি হাসপাতালের ডাক্তার, কিন্তু আপনার হাসপাতালের লোকজন জানেনই না আপনি চিকিৎসা করেন। তা এতে কি সম্মান বাড়ে?
    কী জানি? আমি মূর্খ লোক।

    কয়েকবছর আগে পর্যন্ত্ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার মোটামুটি দুটো ভাগ ছিল। প্রায় ৯০ ভাগ সরকারি শিক্ষায় আর ১০ ভাগের মত বেসরকারি, তার বেশিরভাগটাই শহর কেন্দ্রিক। মোটামোটি একটু উচ্চবিত্ত বা অবাঙালি মানুষজন CBSE বা ICSE বোর্ডগুলোকে প্রাধান্য দিলেও আমবাঙালি কিন্তু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপরই অগাধ বিশ্বাস রাখতেন। কারণ যাই হোক না কেন এখন পরিসংখ্যান ঠিক উল্টো। নিম্নআয় থেকে আমলা সবার একটাই লক্ষ্য – ‘ইংলিশ মিডিয়াম’। যারা পড়ছেন বা যারা পড়াচ্ছেন তারা নিজেরাও জানেন এগুলো একপ্রকার ট্যাবু। না হলে যে অভিভাবক গতকাল পর্যন্ত্ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দোরে হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন একটা সিটের জন্য, তিনিই কিন্তু আজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ফিস কমানোর আন্দোলনের প্রধান মুখ। যে শিক্ষক শিক্ষিকারা কর্পোরেট ব্যাচ গলায় ঝুলিয়ে ব্র্যান্ডেড স্কুলগুলোতে ঝাঁ চকচকে ক্লাসরুমে পড়াচ্ছেন তাদের অনেককে সরকারি প্রাইমারি বা SSC এর টেট এর পেছনে ছুটতে দেখেছি। তার মানে শিক্ষার কোয়ালিটি বেসরকারিতে ভালো, এটা একশ ভাগ সত্যি নয়। এতগুলো কথা বললাম কারণ খোঁজ নিয়ে দেখবেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু প্রতিনিয়ত অনলাইন ব্যবস্থায় পাঠক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী কয়েক বছর পর ওনারাই আবার বিজ্ঞাপনের জন্য এইসব ব্যবহার করবেন।

    কিন্তু সরকারি শিক্ষা?
    বললেই বলবেন কেন হোয়াটস আপ-এ তো চলছে, বললেই বলবেন গ্রামের ছেলে আলাদা ফোন নেই তো, বললেই বলবেন ধুর নেট ওয়ার্ক তো নেই ইন্টিরিয়রে, বললেই বলবেন সরকার কী করছে? বললেই বলবেন আমরা সামান্য চাকুরিজীবি। সত্যিটা কী আপনি নিজেও জানেন।

    ইদানীং সব ব্যাপারে চোখেআঙুলদাদা হয়ে সব্বাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, শিক্ষকরাও পিছনে নেই। সে পান দোকানির মুখে মাস্ক নেই কেন হোক আর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর খুঁত ধরা হোক। সব জায়গায় হিট শুধু শিক্ষা কিভাবে এগোবে ওটা ছাড়া। প্রায় ১৬ মাসের ওপর স্কুল বন্ধ... তিনটে জেনারেশন পুরো অন্ধকারে। কিভাবে এই অপূরণীয় ক্ষতি মেকআপ করা যাবে তার কোন সুরাহা দেখেছেন? দেখেছেন কোন আলাপ আলোচনা করেছেন এ নিয়ে? খুউউউব কম। সারা বছর শিক্ষামন্ত্রীর সব মতের সঙ্গে মাস্টারদের বিরোধ থাকলেও ১৬ মাস ছুটি কিন্তু কোন প্ল্যান বি নেই; এই মতের সঙ্গে ওনাদের কোন বিরোধ নেই। বললেই বলবে কেন চাল ডাল দিতে স্কুলে তো যাই। তা মশাই একবারও প্রতিবাদ করেছেন কেন মাস্টাররা চাল আলু বিলি করবে? কেনই বা কেন এক বছর ধরে কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা গেল না? আপনি বলবেন কেন অনলাইন ক্লাস করছি তো হোয়াটস আপ-এ... হাটে হাঁড়ি আর ভাঙলাম না, রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ যে সেটা পারে না এটা কি আপনার থেকে আর বেশি কেউ জানেন। তাও আপনি চুপ। কোভিড ভয় সব্বার আছে। আমারও। একবারও ভেবেছেন ঠিক একই অজুহাতে যদি ব্যাংক,হাসপাতাল আর পুলিশবাহিনী কাজ বন্ধ করে দেন তা হলে কি হবে।

    আমি একবারও বলছি না স্কুল খুলে দিন। আমি একবারও বলছি না আমি ঠিক। আমি শুধু এটাই বলছি যে গত এক বছর ধরে পশ্চিম বঙ্গে সব পরিষেবা (মদ দোকান থেকে সোনাগাছি পর্যন্ত্) প্রায় ৮০ শতাংশ সচল আছে।
    ব্যতিক্রম শুধু শিক্ষা।
    বুনিয়াদি শিক্ষা।
    মাস্টার মশাই মনে রাখবেন আপনাকে ছাড়া কিন্তু শিক্ষা চলছে।
    এক বছর ধরে।
    আপনাকে ছাড়া।
    একদিন আপনাকে বাদেও শিক্ষা চলতে পারে।
    অবাস্তব ভাববেন না, যেমনটি মাস্টারডিগ্রি করে চাল আলু দেবেন ভাবেননি, এটাও ঠিক সেরকম।
    চলুন প্ল্যান বি ভাবি।



    ছবি: ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ জুলাই ২০২১ | ২৫১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৃশানু ভট্টাচার্য | 115.187.42.191 | ২৪ জুলাই ২০২১ ০৯:৩১496046
  • একমত। আমার বৃত্তি শিক্ষকতা। আমার অধিকাংশ সহকর্মী মনে করছেন যা চলছে ভালো চলছে। গতবছর প্রথম আড়াই মাস ও পরের চাল ডাল বিতরণ মিলিয়ে কাজের দিন 87। আমরা নীরব। ভাবছি ভালো আছি। জনতা বিদ্যালয় নামে একটা প্রস্তাব রেখেছিলাম একবার। নিজে যেখানে বাস করি সেখানকার ছাত্র ছাত্রীদের কোনো ক্লাব ঘরে একত্রিত করে পড়ানো শুরু হোক। কেউ পাত্তা দেয় নি।

  • শর্মিষ্ঠা | 2401:4900:1221:2668:62df:d22:db3f:6055 | ২৪ জুলাই ২০২১ ১২:২০496053
  • আজ্ঞে,.. প্রায় মরা আমরা।আগে গাছ তলায় পড়াতুম।এখন ফোনে ফোনে, কানে কানে পড়াতে চাই। কিন্তু আমায় বেঁধে রেখেছে,চাল আলুর গুদমে।


    আমার what's app নম্বর টুক যদি পৌঁছে যেত ঘরে ঘরে, বেশ গ্রুপ খুলে ওয়ার্ক শিট আর অডিও করেও কিছু পাঠ দিতাম।কিন্তু।.. 


    ওই যে।... অর্ডার এর অপেক্ষা।.. আমরা পেরাইমারি।.. বড্ড ভয়.. 

  • আশিস নবদ্বীপ | 2401:4900:3a0c:9309:6d78:2733:c967:6a4d | ২৪ জুলাই ২০২১ ১৮:৩০496061
  • ভালো লাগলো। 

  • বিপ্লব রহমান | ২৭ জুলাই ২০২১ ১৭:২৯496135
  • এপারেও শিক্ষার একই হাল। লুডু খেলতে খেলতে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া সব ভুলতে বসেছে। 


    বেসরকারি স্কুলের বেতন বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এক শিক্ষক আপা বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না, শেষে বাসা ছেড়ে স্বপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন স্কুলে, আরেকাংশে খুলেছেন বিষমুক্ত আমের দোকান! 

  • মানব | 2409:4061:2d9c:d32d::50cb:9603 | ১২ আগস্ট ২০২১ ১৫:২০496687
  • শুধু শিক্ষকদের দোষ দেওয়া যায় না, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন কেও দায় নিতে হবে সঠিক নীতি নিতে না পারার জন্য, কেউ একবার ভাবছে না ভবিষ্যতে এই ব‍্যাচের ছাত্র ছাত্রীদের কাজের বাজারে কোন বিরম্বনায় পরতে হবে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন