এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • আমি মোহনবাগানের মেয়ে (অষ্টম ও শেষ পর্ব)

    Sara Man লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ১১ আগস্ট ২০২১ | ১৬১৭ বার পঠিত
  • ড. শারদা মন্ডল

    পাকেচক্রে আমার বিয়ে হল পূর্ব মেদিনীপুরে। পরিবারটি বাসুদেবপুর রাজার দেওয়ান বংশ। পাকেচক্রে শব্দটি ব‍্যবহার করলাম, কারণ আমাদের চার চোখ এক হল ওয়েটল‍্যান্ড ম‍্যানেজমেন্টে চাকরি করতে গিয়ে। ওয়েটল‍্যান্ড মানে সেই পূর্ব কলকাতার জলাভূমি, যেখান থেকে ছোটবেলায় মায়ের কাছে সব্জি আসার গল্প শুনতাম। কলকাতার জঞ্জাল নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষার কাহিনী শুনতাম। আমি পড়লাম ভূগোল। আর কর্তা পড়লেন ভূতত্ব। বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের পাঁচতলা আর একতলা। সমকালে পড়াশোনা করলেও দুজনে দুজনকে চিনতাম না। নিয়তি দুজনকেই চাকরি দিল ঐ এলাকার গবেষণা নিয়ে গঠিত সরকারি অফিসে। শ‍্যামল সেন শুনে হাসছিলেন, শেষ পর্যন্ত ওয়েটল‍্যান্ডেই বরের সঙ্গে আলাপ হল! আমি বললাম, হ‍্যাঁ। আমার শ্বশুরবাড়ির পরিবার ইংরেজ আমলে বহু অত‍্যাচার সহ‍্য করেছে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের আন্দোলনের উত্তাল সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তৈজসপত্র সমেত সর্বস্ব পুলিশ লুঠ করে, এবং বাকি তছনছ করে পুরোনো মাটির জমিদার বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করে। কলকাতার বড় বড় রাজবাড়ির মতো তো সম্পদের ব‍্যাপার ছিল না। তাই মাটির বাড়িই ছিল। একবিঘায় চাষকরা ধানের খড় দিয়ে সে বাড়ি ছাওয়া হত। বিয়ের পর পুরোনো একটি মাত্র কাঠের আলমারি দেখেছি, সেকালের স্মৃতি, তার গায়ে শাবলের কোপের দাগ। আমার শ্বশুরমশায়ের বাবা তারিনীপ্রসাদ বক্সি (দাসমহাপাত্র) জমিদার হলেও গান্ধীবাদী সমাজ সংস্কারক। ইংরেজ আমলে অনশন ও কারাবরণ করেন। যদিও স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি পেনশন তিনি গ্রহণ করেন নি। এলাকায় শিক্ষা বিস্তার এবং নারী শিক্ষায় এই পরিবারের বিরাট ভূমিকা আছে। ওখানকার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি আমার শ্বশুর বাড়িতে শাশুড়ি বেলারানী দাসমহাপাত্রের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছিল। বয়েজ এবং গার্লস স্কুল দুটি এখন সরকার অধিগৃহীত এবং আয়তনে বিশাল হয়ে উঠেছে। এই পরিবারটিও বংশ পরম্পরায় মোহনবাগানী। আমি হাসি মোহনবাগানের সঙ্গে আদর্শের যোগ আছে, মায়ের এই কথাটা মোটেই ভুল নয়। বিয়ের পরে কর্তার মোহনবাগান পাগলামি দেখে তো আমি অবাক। তাঁর কাছে খেলা সংক্রান্ত অজস্র গল্পের ঝুলি আছে। একবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আসন সংখ্যা বেশি বলে, সদস্য কার্ডে দুজন করে খেলা দেখতে যাবার অনুমতি পাওয়া গেল।

    ওয়েটল‍্যান্ডের এক বিজ্ঞানী ইস্টবেঙ্গল সদস্য। তাঁর সময় নেই, তাই অফিস থেকে আমার কর্তা সঙ্গে আর একজন কর্মী খেলা দেখতে গেলেন। ইস্ট-মোহন ডার্বি। এই ডার্বি শব্দটা কিন্তু ছোটোবেলায় জানতাম না। পরে এর প্রচলন হয়। বিজ্ঞানী প্রবর পই পই করে সাবধান করে দিয়েছিলেন, দেখিস বাবা, ইস্টবেঙ্গলের কার্ড। বুকে ছুরি বিঁধলেও ইস্টবেঙ্গল গোল দিলে খুব নাচবি। নতুবা লাইফ রিস্ক হয়ে গেলে আমি বাঁচাতে পারবো না। সে যাত্রা খুব অভিনয় করে কর্তা বেঁচে গেলেন। এই গল্প আমার বাবা শুনে নিজের কাহিনী শোনাল, যা বহু বছর গোপন করে রেখেছিল। বাবা চাকরি করত পোর্ট ট্রাস্টের হেড অফিসে। সেখান থেকে ইডেনে খেলা দেখতে গিয়েছিল। গল্প একই। সহকর্মীর থেকে ইস্টবেঙ্গল গ‍্যালারির পাশ নিয়ে গেছে, এমন নেশা। চেষ্টা করেও মোহনবাগান গ‍্যালারির পাশ যোগাড় করতে পারেনি। খেলা চলছে। সাবধানে চেপেচুপে বসেছিল। হঠাৎ মোহনবাগান গোল মিস করাতে অজান্তে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে, ইশশ। ব‍্যাস, আর যায় কোথা। গ‍্যালারিতে রব উঠল, ওরে ছারপোকা ঢুকেছে। বাবাকে মেরে ধরে গ‍্যালারির নিচে ফেলে দিল। হায় ভগবান। ছোটোবেলায় বাবা একবার কালশিটে নিয়ে কাদা মেখে বাড়ি ফিরেছিল, আর বলেছিল পড়ে গেছি। তার মানে ঐ দিনই খেলা দেখার নেশায় মাঠে গিয়ে, বাবা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাতে মার খেয়েছিল। কর্তা শুনে বললেন, কমন ব‍্যাপার। ওনার কাছেই শুনেছি ময়দানে ঘোড়পুলিশ তাড়া করলেই পাঁই পাঁই করে দৌড়ে পিচ রাস্তায় উঠে যেতে হয়। কারণ পুলিশের ঘোড়া পিচ রাস্তায় হেঁটে হেঁটে যায়, দৌড়োয় না। আর গ‍্যালারিতে মারপিট লাগলে পুলিশ যখন ঠ‍্যাঙাতে ঠ‍্যাঙাতে ওপর দিকে ওঠে, তখন খুব কায়দা করে একপাশে সরে, সুড়ুৎ করে গ‍্যালারির ফাঁক গলে নিচে ঝাঁপ দিতে হয়।

    মোহনবাগান মাঠের তিন দিকে গ‍্যালারি, এক দিক ফাঁকা। কাঁটাতারের বেড়া আছে। সুযোগ বুঝে হাওয়া হয়ে যেতে হয়। মাঠের ভিতর বলের লড়াই, আর মাঠের বাইরে পুলিশের ঘা এড়ানোর লড়াই হল আসল মজা। একবার কর্তার আশুতোষ কলেজের এক সিনিয়র দাদা কলেজে এল লেংচে লেংচে। প্ল‍্যান ছিল, তার ডাক্তার বাবা চেম্বার থেকে এসে খেলা দেখবেন। ছেলে যাবে কলেজ কেটে। বাবার মোহনবাগান সদস্য কার্ড ছিল। বাবা কার্ড দেখিয়ে মাঠে ঢুকে গেলেন। প্ল‍্যান মাফিক কার্ডটি গ‍্যালারির ওপর থেকে পিছন দিকে ফেলে দিলেন। ছেলে ঠিক জায়গা মতো দাঁড়িয়ে ছিল। সেও ঐ কার্ড দেখিয়েই ঢুকে যাবে। কার্ডটা নিচু হয়ে যখন কুড়োচ্ছে, হাঁটুর পিছনে পড়ল পুলিশের সপাং লাঠি। অতঃপর চার হাত পা তুলে পতন, পুলিশ কর্তৃক সদস্য কার্ড বাজেয়াপ্ত করণ এবং পরে বাবা কর্তৃক বিস্তর ফোনাফুনি পূর্বক কার্ড উদ্ধার করণ। একবার কর্তা সায়েন্স কলেজ কেটে ইস্ট-মোহন খেলা দেখতে গেছে। টিকিট পায় নি। র‍্যামপার্টের নালার ওপাশ থেকে দাঁড়িয়ে খেলা দেখবে। দর্শকদের একটা বড় দল এল। তার মধ্যে কয়েকজনের মাথায় বা কোমরে বেশ ভালো ভালো গামছা বাঁধা। বাকিদের গামছা নেই। গামছা বাঁধারা হম্বিতম্বি করে টিকিট দেখিয়ে ভিতরে ঢুকে গেল। গামছা না বাঁধারা বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। আসল খেলা শুরু হল এর পরে। মাঠে বল দৌড়তে শুরু করে দিয়েছে। র‍্যামপার্টের কোনায় গ‍্যালারির যে কর্নার আছে, তার পিছন থেকে নেমে এল গিঁট বাঁধা গামছার লম্বা দড়ি। এবারে টারজানের ডাকের মতো একটা তীক্ষ্ণ ডাক শোনা গেল হ - রি - ই - ই - ই। অমনি হরি এসে গামছা ধরে ঝুলে পড়ল। গ‍্যালারির মাথা থেকে চার পাঁচ জন তাকে হেঁইও হেঁইও করে তুলছে। বোঝা গেল ওয়ান বাই ওয়ান দলের বাকি সকলকেই তুলে নেওয়া হবে। র‍্যামপার্টের নালার ওপাশের দর্শক মাঠের ভিতরে বাইরে দুটো খেলাই প্রচন্ড মনোযোগ দিয়ে দেখছে। অনেকের হাতে পেরিস্কোপ। কিছুদূর উঠে হঠাৎ হরি পপাত চ। ব‍্যাপার কি? আসলে ঘোড়ায় বসা উঁচু পুলিশ দৌড়ে এসে হরিকে সপাং সপাং দিয়ে দিয়েছে। হরি গোল খেয়ে, মাটিতে পড়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। এবারে তড়িৎ গতিতে হরি পুলিশের ঘোড়ার মুখের লোহার জালটা মুচড়ে দিয়ে কি যে করল ভালো বোঝা গেলনা। ঘোড়াটা মাটিতে পড়ে গেছে। ঘোড় পুলিশ ছিটকে পড়েছে। গোল শোধ। পুলিশ হেরে যেতে, নালার ওপাশ আর গ‍্যালারির মাথা থেকে চটর পটর হাততালির আওয়াজ ভেসে আসছে। আরও কয়েকজন ঘোড়পুলিশ টগবগিয়ে আসছে। তারা আসার আগেই হরির বন্ধুরা হরিকে টেনে তুলে নিয়েছে। কিন্তু বাকি পুলিশদের জন্য, গামছা বাহিনীর বাকি বন্ধুদের আর খেলা দেখা হলনা। তার পোঁ পাঁ দৌড় দিয়ে পিচ রাস্তায় উঠে গেল। এখন কর্তার দায়িত্ব, বয়স দুই ই বেড়েছে। তাই খেলা দেখতে যাওয়া আর হয়না। আমার ইস্টবেঙ্গল গ‍্যালারিতে মার খাওয়া বাবা, মোহনবাগানের হারজিতকে নিজের হারজিত ভাবা মা, মোহনবাগান বিষয়ে কট্টরপন্থী মামারা সকলেই পৃথিবী থেকে ছুটি নিয়েছেন। স্মৃতির ঝাঁপিটা নিয়ে আমি বসে আছি মোহনবাগানের মেয়ে। এই নাম দিয়ে সত্যি সত্যি একটা বাংলা সিনেমা হয়েছিল। মজার ছবি। আমরা সকলে মিলে দেখতে গিয়েছিলাম। বেশি কিছু মনে নেই। রবি ঘোষ একটা ঠেলা করে ঢিল পাটকেল বিক্রি করছিলেন, যাতে মারপিটের সময়ে সকলের হাতে অস্ত্র থাকে। বাবার কোলে বসে ধন‍্যি মেয়েও দেখেছি। আসলে মেয়েরা ফুটবল খেলার অনুষঙ্গে এলে সমাজে সেটা একটা হাসির ব‍্যাপার হয়। তাই দুটো সিনেমাই খুব হাসির। ফুটবল নিয়ে সাহেব সিনেমাটা সিরিয়াস, কারণ ওটা ছেলেদের ছবি, নাম ভূমিকায় ছেলে আছে। এখন আমাদের বাড়িতে রেডিও নেই। মোবাইলে এফএম শোনা যায়। আমার ছোটবেলার জবাব দেওয়া, চাপড় মেরে মেরে চালানো রেডিওটার কথা মনে পড়ে। জীবনে অন্তত একবার মাঠে বসে খেলা দেখতে যেতে ইচ্ছে করে। জানি এই বয়সে সেটা আর কোনদিনই সম্ভব নয়। জানিনা আমার মতো প্রমীলা সমর্থক, যারা মাঠে গিয়ে গলা ফাটাতে পারেনা, তাদের কোনো মূল্য সত‍্যিকারের মোহনবাগানের কাছে আছে কিনা।

    থাকলে ভালো, না থাকলেও অসুবিধে নেই। এগারো সিনেমাটা কম্পিউটারে মাঝে মাঝে চালিয়ে দেখি। যাই হয়ে যাক না কেন, আমার সূর্য মেরুণই থাকবে। মায়ের মনে বংশগরিমা বা মেয়েদের নিরাপত্তা জাতীয় কোনো সংস্কারের জন্য মা আমাদের পাড়ায় মিশতে দিত না। অথচ হাউসিংয়ে দুটো বড় বড় মাঠ ছিল। সেখানে ছেলেরাই খেলত। শীতকালে খুব অল্প মেয়ে নেমে একপাশে কিছুক্ষণ ব‍্যাডমিন্টন খেলত। আর আমাদের নিবেদিতা ইস্কুলেও খেলার মাঠ ছিল না। বছরে যে কয়েকদিন আড়বালিয়ায় যেতাম, আগানে বাগানে আপনমনে ঘুরে বেড়াতাম। দাদা দিদিরা বড় ছিল। ওদের কাছে আমরা কোলপোঁচা। লেজুড় হয়ে ওদের সঙ্গে বাজারে যেতাম, বিকেলে বড়পোল পেরিয়ে জলকরের মধ‍্যে সংকীর্ণ আলপথে বসে সূর্যাস্ত দেখতাম। ও তল্লাটে মাছের ভেড়ি হল জলকর। ইছামতী অনেক দূরে, তবু খাল বিলের সঙ্গে জোয়ারের যোগাযোগ। সেই সূত্রে ভেড়ি। বড়পোলের হুহু হাওয়া, হাওয়ায় দিকশূন‍্য জলের নাচন, জলের চূড়োয় পড়ন্ত রোদের ঝিলমিল, তার মধ‍্যে ডুবো সুয‍্যির লাল, কমলা, সোনালি, রুপোলি সব মিলেমিশে একাকার। জীবনতো অনেক দিল, শুধু দৌড়োদৌড়ি করে খেলতে দিল না কেন? তাই এ জীবনে দূর থেকেই খেলাকে ভালোবাসলাম। আজ এশিয়াডে, অলিম্পিকে, আরও কত বিশ্ব দরবারে ঐ সোনালি, রুপোলি, কমলা রংগুলো মেয়েদের গলায় আর সমাজের লম্বা নাকের সামনে দোলে, দেখে আমি মনের মধ্যে উল্লাস আর নৃত্য করি। চারপাশের লোকে অবিশ‍্যি কিছু বুঝতে পারে না, কারণ বাইরে কিছু প্রকাশ করি না।

    সমাপ্ত


    তথ‍্যসূত্র

    ১. মোহনবাগান ই-লাইব্রেরি ফেসবুক পেজ
    ২. মোহনবাগান অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
    ৩. সিদ্ধার্থ সেনের ইউটিউব চ‍্যানেল
    ৪. ডিজিটাল আনন্দবাজার পত্রিকা
    ৫. উইকিপিডিয়া
    ৬. জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমারের বংশ পরিচয় ষষ্ঠ খন্ড
    ৭. কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট
    ৮. ভূপেন্দ্রনাথ বসু ফেসবুক পেজ
    ৯. গ্রন্থাগার ডট কম
    ১০. ব‍্যক্তিগত এবং পরিবারের গুরুজনদের স্মৃতি
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১১ আগস্ট ২০২১ | ১৬১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন