*** পোস্ট করতে একটু ভুল হয়ে গিয়েছিল । তাই আর একবার দিলাম গল্পটা । মাফ করবেন।
একটা আয়না দেয়ালের পেরেকে টানানো ছিল। চৌকো ছোটখাটো তিন বিঘতের আয়না। শুধু মুখটুকু দেখা যায়। একটু পিছিয়ে দাঁড়ালে বুকেরও আধখানা দেখা সম্ভব। ওটার সামনে দাঁড়িয়েই দীপিকা চুল আঁচড়ায়, কপালে বিন্দি লাগায়, সিঁথিতে সিঁদুর ঢালে। মাঝে মাঝে চোখে কাজলও টানে।
বাদল কসবার একটা বারের বাউন্সার। পয়সাওয়ালা ঘরের উড়নচন্ডী বেপরোয়া ছেলেমেয়েরা যেখানে বেহিসেবী টাকা ছড়ায় উন্মত্ত অবস্থায়।
বাদল মাস গেলে হাজার পাঁচেক টাকা পায়। তাছাড়া ওই ফূর্তি করতে আসা পয়সায় টইটুম্বুর লোকগুলোর কাছ থেকে বখশিস বাবদ কিছু আমদানি হয়। আদতে এটাই তার আসল রোজগার। এতেই তার সংসার চলে।
নাজিয়া বলে একটা ড্যান্সার নতুন এসেছে। যেমন রূপের ঝলক তেমন নাচের চটক। ছেলে বুড়ো সবকটা মাল একেবারে টাল খেয়ে যায়। পাঁচশো হাজারের নোট ওড়ে এন্তার। আরও তিনজন মুষকো জোয়ান বাউন্সার আছে ড্যান্সারকে সুরক্ষা দিতে। তাছাড়া দুজন সিকিউরিটি গার্ড তো আছেই। মানে, বেশি গরম খেয়ে কেউ হামলে না পড়ে ওর ওপর।
মাঝখানে ইন্টারভ্যাল হলে বাদল বাইরে গিয়ে একটা সিগারেট খেয়ে আসে।
দীপিকার ছোট ভাই প্রসূন সকালে এসেছিল দিদির কাছে। বড় বড় সাইজের তেল কই রাঁধতে বসল দীপিকা ভাইয়ের জন্য। পাশের বাড়ির বাঁধনকে দিয়ে আনিয়ে রেখেছিল। বাঁধন খুব সুবোধ বালক। দীপিকা বৌদির সব কথা শোনে।
বাবা মা কারো শরীরই ভাল যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে ঘুসঘুসে জ্বর হচ্ছে। গলা ব্যথাও আছে। ভয় লাগে দীপিকার। চারদিকে যা সব হচ্ছে। বড় ভাই মুকুন্দ বসিরহাটের জেনারেল হাসপাতালে বাবা মা দুজনকেই দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে এসেছে। দীপিকা বলল, ‘সামনের রোববার যাব তোর জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে।’
দীপিকা একথালা লুচি ভেজে আলু পটলের তরকারি দিয়ে খেতে দিয়েছে খেতে দিয়েছে ভাইকে। প্রসূন বলল, ‘না না ..... এখন যাবার দরকার নেই..... দেখি কি দাঁড়ায়। শুক্রবার হেলথ সেন্টারে গিয়ে টেস্ট করাবার কথা আছে। খানিকটা লুচি তরকারি মুখে পুরে বলল, ‘একটা বড় দেখে আয়না লাগাতে পারিস নি। এইটুকু একটা আয়না ....’
দীপিকা বলল, ‘ও ঠিক আছে ... চলে তো যাচ্ছে। ও কলকাতা থেকে একটা বড় সাইজের কিনে আনবে বলেছে। দেখি যদি পুজোর সময় হয় .... বাবা তো বিয়ের সময় কিছু দিতে পারে নি। যাকগে.... এই ভাল আছি।’
ফেরার রাস্তায় প্রসূন দেখল এক জায়গায় মাঠের মধ্যে মাটি খোঁড়া হচ্ছে। একজনকে জিজ্ঞেস করতে বলল, ‘ভিত খোঁড়া হচ্ছে। লক্ষ্মীনারায়ণের বিরাট মন্দির হবে। কত কোটি টাকার যেন বাজেট। মন্দিরের ভেতরের দেয়ালে নাকি তিরিশ হাজার আয়না লাগান হবে ....।’
বাদল ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে ইছামতি এক্সপ্রেসে। সারারাত ডিউটি করে ভোরবেলায় ট্রেন ধরে। তখন শিয়ালদার আশেপাশে দোকানপাট খোলে না। ফ্লাইওভারের ওদিকে মৌলালির দিকে খানিকটা গেলে একটা আয়না ড্রেসিংটেবিলের একটা বড় দোকান আছে। একটা ছিমছাম ড্রেসিং টেবিল পছন্দ হয়েছিল খুব। কিন্তু দাম বলল বাইশ হাজার টাকা। দরাদরি করা সাহসে কুলোয় নি। ড্রেসিংটেবিলের আশা আপাতত ছেড়ে দিয়ে মোটামুটি একটা বড় পিঁড়ির সাইজের আয়নার সন্ধানে আছে। সামনের গুড ফ্রাইডের দিন বারে ‘ক্রাউড’ ভালই হবে মনে হচ্ছে। বাদলেরও কিছু বাড়তি রোজগারের আশা আছে ওই দিন। তার পরের দিন দোকান খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করে একটা পছন্দসই আয়না কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে ঠিক করে রেখেছে। তারপর ভাবল, আগের দিন বিকেলে কিনে নিলেও হয়। কিনে টিনে নিয়ে একেবারে প্যাকেট করে তারপর ডিউটিতে ঢুকবে। জিনিসটা লকার রুমে রেখে দেবে। ছুটি হলে ওটা বার করে নিয়ে বাড়ি ফিরবে।
পরিকল্পনা মাফিকই কাজ করল বাদল। চমক দেবার জন্য দীপিকাকে কিছু জানাল না।
বিকেলবেলায় সেই দোকানটা থেকে নগদ পনেরশ টাকা দিয়ে আয়নাটা কিনল। দোকানদার খুব ভাল করে প্যাক করে বেঁধে ছেঁদে দিল। বলল, ‘পিওর বেলজিয়ান গ্লাস দাদা। এই কোয়ালিটির মাল এই এক পিসই ছিল। বাকি যা আছে সব বড় সাইজের পিস। এই নিন.... ভাল করে প্যাক করে দিয়েছি .....’।
বাদল একবার সিজলার বারের মালিক সুদেশ চুড়িওয়ালার বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে ভেতরের ঘরে যাবার সুযোগ হয়েছিল একটা ফার্নিচার পৌঁছনর ব্যাপারে তদারকি করার জন্য। সেই বিশাল ঝলমলে ঘরে একটা দেয়াল জোড়া বেলজিয়ান গ্লাসের আয়না দেখেছিল। ওটা যে বেলজিয়ান গ্লাস সেটা অবশ্য পরে সুখময় পালের কাছ থেকে জেনেছিল। সুখময় হল সিজলার বারের আর একজন বাউন্সার। আগে গোয়াবাগানের আখড়ায় কুস্তি লড়ত। সে আখড়া এখন উঠে গেছে। বাদল নিজেও অবশ্য একজন কড়াক ব্ল্যাকবেল্ট।
আয়নাটা দেখলে কেমন গা সিরসির করে.....। রাজা রাজড়াদের নর্মসহচরী সহ যৌন বিলাসের কল্পনা মাথায় আসে। মাথা নীচু করে চোখ আয়নার দিকে তুলে পরম যত্নে দীপিকার সিঁথিতে সিঁদুর লাগানোর ছবি আবছা হয়ে যায় আকাশের দূর দিগন্তে। সারল্যমাখা ছলছল দুটি চোখ যেন কোন দূর জানলার ওধারে দাঁড়িয়ে থাকে।
আজ শনিবার। বারে আজ উদ্দাম হল্লোড় চলছে। আজ অন্তত রাত তিনটে পর্যন্ত মস্তি চলবে। টাকার বৃষ্টি হবে। বোতলের পর বোতল উড়ে যাচ্ছে উছৃঙ্খল বেলাল্লাপনায়। বাউন্সারদের শুধু খেয়াল রাখতে হয় বারের মেয়েগুলোর ওপর হুজ্জুতি বা বাড়তি ঝামেলা না হয়। এই তিনবছরে দুবার হাত লাগাতে হয়েছিল অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি সামাল দেবার জন্য। ওইসব পয়সাওয়ালাদের গায়ে হাত তোলার ঝুঁকিও নেওয়া যায় না। শুধু দুহাত দিয়ে শরীর আড়াল করে হাল্কা ঠেলা মেরে একটু সাইড করে দেওয়া আর কি। শালারা এমনি মাল খেয়ে বেসামাল হয়ে থাকে। সামান্য ঠেলা মারলে একপাশে গিয়ে কেতরে পড়ে। এদের সবকটাকেই দেখে মনে হয় দেয়ালে ঢাউস বেলজিয়ান গ্লাস লাগান মকান আছে। সেখানে কেলি করেও আশ মেটে না, আবার এখানে এসেছে মস্তি করতে।
বাদলের মন পড়ে আছে লকার রুমের দিকে। কাজে একদম মন নেই। খালি ভাবছে কতক্ষণে সযত্নে প্যাক করা আয়নাটা নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দীপিকাকে চমক দেবে।
রাত দুটো বেজে গেছে। আর ঘন্টাখানেক ভালয় ভালয় কাটিয়ে দিতে পারলে বাঁচে বাদল।
রাত পৌনে তিনটে বাজল। বাদল একবার লকার রুমে গিয়ে দেখে এল আয়নাটা ওয়াল ক্যাবিনেটে ঠি কমতো সুরক্ষিত আছে কিনা। আর আধঘন্টাখানেক কাটিয়ে আয়নাটা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলে শান্তি।
ঠিক সেই সময় অশান্তিটা বাঁধল। একটা নাদুসনুদুস ছেলে একটা তেইশ চব্বিশ বছরের মেয়ের হাতে হাত গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল বোধহয় পার্কিং-এর দিকে। সারারাত দেদার ফূর্তি ও পানীয় অনুষঙ্গের পর মেয়েটির বেশবাস ও চলন ভঙ্গী স্বভাবতই শিথিল ও বিবশ ছিল। ছেলেটা তুলনামূলকভাবে নিজের নিয়ন্ত্রনে ছিল। মেয়েটির ঢলে পড়া শরীর কোনরকমে সামলে নিয়ে বেরোবার দরজার দিকে যাচ্ছিল। এই সময়ে আর এক করিতকর্মা রোমিও কোথা থেকে আবির্ভূত হয়ে জড়ানো স্বরে বলল, ‘কি হয়ে...ছে .... ম্যাডামের প্রবলেমটা কি? পড়ে যা..চ্ছে যে! মে আই হেল্প?’ বলে টলমল করতে করতে এগিয়ে এসে মেয়েটার প্রায় উন্মুক্ত পিঠে হাত দিল। ব্যাস ..... বেঁধে গেল ধুন্ধুমার। মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড হল জনৈক ঐশ্বর্যবানের দুলাল। সে মুখ বুজে এসব বেয়াদপি সহ্য করার বান্দা নয়। এমন কি নিরামিষ প্রতিবাদেও বিশ্বাসী নয়। তাছাড়া বাড়াবাড়ি করে ফেলা ছেলেটার সঙ্গে তার কোন পুরনো শত্রুতাও ছিল হয়ত। সে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটা পিস্তল বার করে গায়ে পড়া ছেলেটার দিকে উঁচিয়ে ধরল। উন্মত্তের মতো তেড়ে গিয়ে ছেলেটার বুকে এক ধাক্কা মারল। হ্যাং ওভারের মধ্যে থাকা প্রায় বেসামাল ছেলেটা বুকের বাঁদিকে এই আচমকা ধাক্কায় অসহায়ভাবে ছিটকে গিয়ে পড়ল ফ্লোরের একপাশে। পা দুটো দু একবার ছটফটিয়ে উঠল। তারপর পুরো শরীরটা স্থির হয়ে গেল। চোখ নিষ্পন্দ। মাথাটা হেলে গেল একপাশে।
বাদল মনে মনে প্রমাদ গনল। বারে বাউন্সারদের আসল ডিউটি তো এই রকম পরিস্থিতি সামলানোর জন্যই। সে এবং আরও তিনজন বাউন্সার ছুটে এল। বাদল এবং সতীন্দর গিয়ে ধরল আক্রমণকারী ছেলেটাকে। সুখময় আর রবার্ট ছুটে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল নিস্পন্দ ছেলেটার দিকে। ম্যানেজার অনিল দত্ত মোবাইলে প্রথমে মালিককে তারপর তার নির্দেশ মেনে থানায় ফোন করল।
কাস্টমাররা অতি বুদ্ধিমান। তারা দ্রুতগতিতে পাতলা হয়ে গেল। যে মেয়েটিকে এতক্ষণ বিবশ এবং শিথিল লাগছিল দেখা গেল সেও এই ডামাডোলের মধ্যে কোথায় উধাও হয়ে গেছে। রীতিমতো প্রত্যুৎপন্নমতি বলতে হবে।
রাতের ঘন আঁধার কেটে আসছে ধীরে ধীরে। আকাশপারে আলোর হাল্কা ছোঁয়া লেগেছে। বিলের জলের ধারে কটা বক ডানা ঝাড়া দিচ্ছে। স্থির জলে হাল্কা হাওয়া বিলি কাটছে। যেন আধো আলো আধো অন্ধকারে পড়ে আছে এক রহস্যময় আয়না। তার বুকে চলছে গোপন আঁকিবুকি খেলা। দীপিকা শেষ রাতের ঘুমের ঘোরে আলোয় ছায়ায় দুলতে থাকে। দেয়ালে ঝোলানো তার ছোট্ট আয়নায় বহু আলোকবর্ষ পেরিয়ে এসে পড়ে শুকতারার শুভ্র শঙ্খের মতো আলোকছটা এই ভোরের বেলায়।
ছেলেটা বেশ বলশালী। বাদল এবং সতীন্দরের সবল দুজোড়া হাতের যাঁতাকলে পড়েও রীতিমতো ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে লাগল।হাতে এখনও পিস্তল ধরা।
ছটফট, ঝটফট, ধাক্কাধাক্কি করতে করতে তিনজনে গিয়ে ভিড়ল লকার রুমের দরজার কাছে। বিভ্রান্ত হতচকিত বার ম্যানেজার অনিল দত্তবাবু মোবাইল কানে লাগিয়ে ব্যস্তভাবে ছোটাছুটি করতে করতে নাগাড়ে কাদের সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
ঠিক এই সময়ে ছেলেটার হাতের পিস্তলে ট্রিগারে আঙুলের চাপ লেগে গেল। পিস্তল কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে ব্যাপারটা ঘটল আর কি। কার আঙুলের চাপ লেগে গেল বলা মুশ্কিল। ফায়ারিং-এর জোরাল আওয়াজ হল। অনিল দত্ত মশাই আঁতকে উঠলেন। মুশ্কিলের ব্যাপার হল তার মতো নড়ে ভোলা লোককে এইসব চাকরিতে মানায় না। কেন যে তিনি .....
সে যাই হোক, গুলিটা গিয়ে লাগল ক্যাবিনেটের দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা আয়নাটার প্যাকিং ফুটো করে ঠি ক মাঝখানে। বাদলের চোখ পড়ল সঙ্গে সঙ্গে। তার চৌচির হয়ে যাওয়া বুকের ভিতর থেকে বেরিয়ে এল একটা অস্ফূট আর্তনাদ। তার হাতের বাঁধন আলগা হয়ে গেল। সেই সুযোগে ছেলেটা পালাতে যাচ্ছিল। কিন্তু সতীন্দর তাকে সে সুযোগ দিল না। কঠিন দুটো হাতে পেঁচিয়ে ধরল তাকে। এর মধ্যে সুখময় আর রবার্টও এসে হাজির হয়েছে সেখানে। অনিলবাবু হাঁকডাক করে বলতে লাগলেন, ‘পুলিশ আসছে ..... পুলিশ আসছে দশ মিনিটের মধ্যে .....’। আর ওই ছেলেটার বডি পড়ে আছে বারের ফ্লোরে মৃত বা মৃতপ্রায় হয়ে।
বাদল ছুটে গিয়ে তাক থেকে আয়নার প্যাকেটটা বার করে হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরল। দেখল যে ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা ফুটো এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে আছে । ক্যাবিনেটের দেয়াল ফুটো করে গুলিটা বেরিয়ে গেছে। বাদল তাড়াতাড়ি মোড়ক টোড়ক সব খুলে ফেলল। দেখল শুধু মাঝখানে একটা গোল ফুটো। আশ্চর্যের ব্যাপার আয়নার বাকি অংশ একেবারে অটুট এবং নিষ্কলঙ্ক। কোথাও চিড় পর্যন্ত ধরেনি। বাদল বিস্মিত এবং আপ্লুত হয়ে আয়নাটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল।
ঝামেলা ঝঞ্ঝাট মিটতে মিটতে সকাল আটটা বাজল। যে ছেলেটা ফ্লোরে পড়ে ছিল পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে এস এস কে এম হাসপাতালে গেল বোধহয় মৃত ঘোষণা করাবার জন্য। আর লড়াকু ছেলেটাকে নিয়ে গেল বালীগঞ্জ থানায়। ছেলেটা অভ্যস্ত এবং তৎপর ভঙ্গীতে মোবাইলে ঘন ঘন খবর দিতে লাগল তার প্রভাবশালী ঘনিষ্ঠজনেদের।
বাদলের বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেলা গড়িয়ে প্রায় দুপুর। আজ পর্যন্ত এত দেরি কখনও হয়নি বাদলের। দীপিকার কোন মোবাইল নেই। ঘরের মধ্যে একাকী প্রবল উৎকন্ঠায় বিধ্বস্ত হতে হতে একবার ঘর একবার বার করছে।
অবশেষে সব উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে বাদলের আগমন ঘটল। দূর থেকে দীপিকা দেখতে পেল হাতে একটা কিসের মোড়ক নিয়ে তার স্বামী হেঁটে আসছে হন্তদন্ত হয়ে। উৎকন্ঠার অবসানে আঁচলের খুঁট মুখে পুরে আনমনে চিবোতে লাগল রাস্তার দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে থাকতে থাকতে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।