এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব  মোচ্ছব

  • IISER: গবেষকের আত্মহত্যা ও আমাদের প্রতিক্রিয়া

    Abhyu
    বাকিসব | মোচ্ছব | ০৯ এপ্রিল ২০২২ | ৩১৭৩ বার পঠিত
  • ভাটিয়া৯ থেকে কিছু কপি পেস্ট। গুরুচণ্ডা৯র কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব এই বিষয়টা নিয়ে কিছু পাবলিশ করতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:১৯736154

  •  
    • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১০:২৬499968
    • ছেলেটি প্রফেসারের নাম লিখে গেছে সুইসাইড নোটে। https://www.anandabazar.com/west-bengal/iiser-kolkata-heated-up-regarding-suicide-of-a-researcher/cid/1337527

      ঠিক এই গোত্রের একটা লোককে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। IISER কোলকাতাতে কটা এরকম আছে কে জানে? এখন যদি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • b | 14.139.196.16 | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১৭:০৭499989
    • "০৭ এপ্রিল ২০২২ ১০:২৬"
      উল্টোটাও জানি। অত্যন্ত অপদার্থ বোগ্দামারা  স্টুডেন্ট  আত্মহত্যা করবে,  সেই ভয়ে গাইড প্রায় পুরো থিসিসটাই লিখে দিয়েছেন। থিওরেম, কোড , রেজাল্টের ইনটারপ্রিটেশন সব শুদ্ধু ।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৫৪500013
    •  
      • b | 14.139.196.16 | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১৭:০৭
      •  
      সারাদিনে সময় হয় নি, তাই এখন লিখছি। আইসারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কমেন্টটা শুধু ইন্সেন্সিটিভই নয়, অর্থহীনও বটেঃ একজন ছাত্রের হয়ে অধ্যাপকের থিসিস লিখে দেওয়া আর যাই হোক, অধ্যাপকের কারণে আত্মহত্যা করবার উল্টো জিনিস নয়। আমি অন্তত ছাত্রছাত্রী ঠিকমতো গবেষণা করেনি বলে তাদের অ্যাডভাইসর আত্মঘাতী হয়েছেন শুনিনি আজ অবধি। অ্যাড্ভাইসর মনে করছেন কোনো পিএইচডি ছাত্রের "অপদার্থতার" জন্য তাঁর জীবনের সাত-আটটা বছর নষ্ট হয়েছে, এমনটাও শুনিনি কখনো। ছাত্রছাত্রী আর রিসার্চ ইন্স্টিটিউটের প্রোফেসরদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার অসাম্য প্রচুর, সেটাকে অগ্রাহ্য করে "উল্টোটাও হয়" বলার কোনো মানে নেই।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • hu | 2603:6011:6506:4600:709b:420e:2214:71af | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:৪১500032
    • অভ্যুকে বলব সুইসাইড নোটে নাম আছে বলেই অধ্যাপককে কাঠাগড়ায় দাঁড় করানো যুক্তিযুক্ত নয়। মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখের। কিভাবে তদন্ত হওয়া সম্ভব জানি না। তবে যতখানি সম্ভব হওয়া উচিত। ছেলেটির গুগল স্কলার দেখলাম। অভিযুক্ত অধ্যাপকের সাথে একাধিক পাবলিকেশান আছে। আনন্দবাজারে লিখেছে ছেলেটি অধ্যাপকের সাহায্য না পেয়ে নিজেই পাবলিশ করেছে। তেমন তো দেখলাম না। জার্নালগুলোও ভুঁইফোঁড় জার্নাল নয়। 
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:৪৭500033
    • হুচি, ছেলেটি আমার মামাতো ভাইয়ের ব্যাচমেট। খুব ভালো করে জানি কি হয়েছে। আমার বাড়ি থেকে IISER খুব কাছে। ওখানে ভিজিট করেছি বহুবার। কেমিস্ট্রি ল্যাবেও গেছি, অন্য স্টুডেন্ট্দের ভরসা দিয়েছি। আমার ভাইও কেমিস্ট্রির। ওর অ্যাডভাইসার যা করত তার জন্যে আমাকেই কাউন্সেলিং করতে হত ফোন করে।

      এখনো গাইড গ্রেফতার হয় নি। স্টুডেন্টরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের কেরিয়ারের পরোয়া না করে। জানিস নিশ্চয় দেশে একজন স্টুডেন্টের কেরিয়ার খতম করে দেওয়া কতো সোজা।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • hu | 2603:6011:6506:4600:709b:420e:2214:71af | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:৫০500034
    • আচ্ছা। আমি তো এত কিছু জানতাম না। কাগজ পড়ে এবং তারপর গুগল স্কলার দেখে যা মনে হল বললাম। 
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    •  Joshita Ghoshal | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১২:২০500038
    • পাজি রিসার্চ গাইড থাকলে জীবন দুর্বিষহ করে তোলে এরকম ঘটনা অনেকের কাছেই শুনেছি। এ জিনিস আজকের নতুন নয়। আমাদের ছোটবেলা একটি মেয়েকে দেখতাম তার গাইডের বাড়ির অসংখ্য কাজ করে দিতে। ভোরে দুধ আনা, গাইডের বাচ্চাদের ইস্কুলে দেওয়া নেওয়া, টুকটাক দোকান পাট করা, পুজোয় ভালবেসে গাইডের বৌবাচ্চার জন্য জামা শাড়ি কেনা, ইত্যাদি।
     
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • b | 117.194.65.47 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১২500042
    • এইটা দেখে নিন।  এর একটাও হাসি মজা নয়।  একদম সত্যি।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৪500046
    • হু, পাব্লিকেশনে গাইডের নাম আছে মানেই তিনি পাব্লিকেশনে সাহায্য করেছেন, এমন কিন্তু নাও হতে পারে।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০১500045
    • ওদিকে বিপ্পাল কীসব মণিমুক্তো ছড়িয়েছেন। অবাক লাগছে লেখায় সমর্থনের বন্যা দেখে! 
       
      জীবনের দাম ডিগ্রী বা চাকরির থেকে অনেক বেশী!
         -বিপ্লব পাল, ৭ই এপ্রিল, ২০২২

       একই সাথে ফেসবুকে দুটো খবর পেলাম। আইসার কল্যানীর  ফিজিক্সের পি এইচ ডি ছাত্র, শুভদীপ রায় আত্মহত্যা করেছে।
       
      আর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধ জগন্নাথ পাল অঙ্কে পি এইচ ডি ডিগ্রি পেয়েছেন। তার বিষয়, গণিতশাস্ত্রের সব থেকে জটিল সাবজেক্ট-টপোলজি। 

       গবেষকদের হতাশা, ডিপ্রেশন, এবং তার থেকে আত্মহত্যা নতুন কিছু না। এক্ষেত্রে শুভদীপ তার গাইড চিরঞ্জীব মিত্রকে তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে গেছে। ফলে গোটা ফেসবুক জুরে পিএইচডি গাইডদের অত্যাচার এবং টাইরানির বিরুদ্ধে সিভিক সমাজের সুনামী দেখতে পাচ্ছি। যদিও এটা সত্য অনেক ক্ষেত্রেই গাইডরা পি এইচ ডি স্টুডেন্টদের ডিপ্রশনের জন্য দায়ী থাকেন,  এক্ষেত্রে  প্রপার ইনভেস্টিগেশন না করে,  একজন সজ্জন অধ্যাপককে ফেসবুকের হাড়িকাঠে ঝোলানো ঠিক না। যদিও সুইসাইড নোটে শুভদীপ রায় লিখে গেছেন তার গাইড তাকে ঠিকঠাক গাইড করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে, সে আত্মহত্যা করছে- আমি পুরো ব্যাপারটার মধ্যে কোন যুক্তি পাচ্ছি না। কারন কদিন বাদেই তার থিসিস ডিফেন্স ছিল।  যদি ধরেই নিই দুর্বল কাজের জন্য, তার থিসিস বাতিল হওয়ার চান্স ছিল-তাহলেও সে আরো ছমাস বা একবছর এক্সটেনশন পেত। যদ্দুর জানি তার ভাল জার্নালে পেপার ছিল। সুতরাং থিসিস বাতিল হওয়ার চান্স তেমন ছিল বলে মনে হয় না।  সুতরাং আমার অনুমান, এটি ডিপ্রেশন, একিউট ডিপ্রেশনের কেস। ভাল করে অনুসন্ধান না করে, তার গাইড চিরঞ্জীব মিত্রকে এইভাবে মব জাস্টিসের সামনে ফেলা উচিত না। 

        একসময় আমিও পি এইচ ডি করেছি। আই আই টির পি এইচডি হলের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আই আই টি খরগপুরের  সেনেটে পি এই চ ডি ছাত্রদের প্রতিনিধিও ছিলাম। সেইসূত্রে  অনেক ছাত্রছাত্রীদের " গাইড ঝোলাচ্ছে" এই কেস বহু দেখেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেইসব গাইডদের সাথে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতাম। আমি এটাই বলব, সবদোষ গাইডদের এমনটাও ঠিক না। অনেক গাইড একটা ভাল স্টান্ডার্ড মেইন্টেইন করার জন্য ছাত্রদের প্রতি কঠোর হোন। যারা ম্যাক্সিম গোর্কি পড়েছেন, তারা বুঝবেন।  ওই কঠোরতা ট্রেনিং এরই অংশ। সংখ্যাতত্ত্বেই প্রমান পাবেন। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই যারা এই ধরনের কঠোর অধ্যাপকদের  ছাত্রছাত্রী, তারাই ভবিষ্যতের ভাল গবেষক হিসাবে নাম করে।

      ডিপ্রেশনের রোগ থাকলে, বা মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের  পি এইচ ডি করতে আসাই উচিত না।  

       বরং জগন্নাথ পালকে দেখে পিএইচডির ছাত্রছাত্রীরা শিখুন। উনি বহুদিন আগে গণিতে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। পি এই চ ডি করার, উচ্চশিক্ষার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্ত মধ্যবিত্তর সংসার টানতে ব্যাঙ্কের কেরানীর নিশ্চিত চাকরি নিতে বাধ্য হোন।  এই কেস আমি বাংলায় প্রচুর দেখেছি। অসংখ্য ভাল ছেলেমেয়ে পিএইচডি ছেড়ে সামান্য চাকরি করতে চলে গেছে নিশ্চয়তার সন্ধানে।  জাস্ট মিডলক্লাস ক্রাইসিস। কিন্ত অঙ্কের প্রতি ভালোবাসা ছিল অটুট। ফলে চাকরি থেকে অবসরের পর, স্ত্রী মারা যাওয়া সত্ত্বেও- দশ বছর ধরে পি এই চ ডির কাজ সম্পূর্ন করেছেন। এবং জাস্ট পিইএচডির জন্য পিএইচডি করেন নি। গণিত শাস্ত্রের সব থেকে দূরহ বিষয় নিয়েই সফল ভাবে কাজ করেছেন এই বৃদ্ধ। 
       
      জগন্নাথ পালের এই ধরনের চিন্তাধারাকে পাশ্চাত্য দর্শনে বলে স্টয়িসিজম-বা যারা এই ধরনের ভাবনায় বিশ্বাসী-তারা স্টয়িক। যার মূল বক্তব্য- মেনে নাও পৃথিবীটা তোমার জন্য কঠিন- সব ধরনের  ঘাত প্রত্যাখ্যাতের  ঝাপটা তোমার ওপর আসতেই থাকবে। কিন্ত ওই ধাক্কাটা আসবে জেনেই তোমাকে তার মধ্যেই এগোতে হবে।  এটা পিএইচডির জন্য আরো সত্য!

        আর শুভদীপ যে ভাবনায় চলেছেন-সেটা হচ্ছে "তিনি ভিক্টিম", তার গাইডের জন্য। সেটা সত্য হতেই পারে। একজ স্ত্রী স্বামীদ্বারা বা একজন স্বামী স্ত্রী দ্বারা নির্যাতিত হতেই পারে।  কিন্ত সেই সত্যের ওপর ও আরেকটা সত্য আছে। " আমি ভিক্টিম" এই ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে ডিপ্রেশনে লাভটা কি?  বরং ওই জায়গাটা থেকে দ্রুত বেড়োতে হবে।  স্টয়িক দর্শনে বলে, পৃথিবীর সবাই আসলে কঠিন সংগ্রামরত। শুধু আমিই ভিক্টিম এই চিন্তাটাই বোকাদের। যেমন ভগবান  বুদ্ধ সন্তানহারা মাকে সেই গৃহের অন্ন আনতে পাঠিয়েছিলেন, যে গৃহে কোন মৃত্যু হয় নি!  বুদ্ধি, পরিশ্রম, ধৈর্য্য এবং সাহস থাকলে সব গাড্ডা থেকেই উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। আরো দরকার এটা ভাবা, জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে এই ধরনের খাদ আসবেই- রোগভোগের সমস্যা, বৌ এর সাথে ঝামেলা, বাবা-মা-ভাইদের সাথে ঝামেলা, চাকরি স্থলে সমস্যা , পি এই চ ডি করতে হলে গাইডের সাথে সমস্যা এগুলো পার্টস এন্ড পার্সেল অব লাইফ! ইনফ্যাক্ট আমি আরো এগিয়ে বলব এই সমস্যাগুলোই আসলে জীবন! Life is not pursuit of happiness but fulfillment of life by facing these problems boldly. 

      শুভদীপ বা যেকোন পি এইচ ডি ছাত্রকে স্টয়িকদের মতন ভাবতে হবে-যে সব থেকে খারাপ কি হতে পারে? ৫-৬ বছর কাজ করে পি এইচ ডি পেলাম না- তাইত?  তাতে কি ক্ষতিবৃদ্ধি? যেসব ছাত্ররা ফিজিক্সের মতন জটিল সাবজেক্টে সফল পিএইচডি করার ক্ষমতা রাখে, তারা ফাইনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনালাইটিক মার্কেটে ভাল চাকরি পায়। ইনফ্যাক্ট পিএইচডি করার পরেও ৯০% ফিজিক্সের  তাত্ত্বিক পিএইচডি আমেরিকাতে শেয়ার মার্কেটে এনালিস্ট হিসাবেই কাজ করে। তাতে ডিগ্রি থাকা না থাকা সমান। আসল সমস্যাটা দৃষ্টিভঙ্গীর। আমি ভিক্টিম-এই চিন্তা মারাত্মক স্লিপারি স্লোপ। পলিটিক্সের জন্য ভাল। ব্যক্তিগত জীবনে প্রশয় দিলে, এত শুধু ডিপ্রেশন ভুগবে।  

       জীবন মানেই চড়াই-উৎরাইএর পথ। পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক বা জেফ বেজোসের জন্যও এটাই ধ্রুব সত্য।
     
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • syandi | 45.250.246.208 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৮500054
    • আইসার কলকাতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলি - এই ঘটনাটা ইন্ডিয়ান আ্যাকাডেমিয়াতে নতুন কিছু নয়। ১৯৯৮-১৯৯ নাগাদ এনসিএল পুণেতে একই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু কিছুই বেরয় নি তদন্তে। আর ঐ সুপারভাইসর তো রীতিমত বিগ শট। কেউ ওনার কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারে নি। আর উনিও ওনার বসগিরি কায়েম রাখেন, আর প্রতি ২-৩ বছর অন্তর নিয়ম করে ১-২ জন স্টুডেন্টকে ডিগ্রী না দিয়ে ল্য়াব থেকে তাড়িয়ে দেন। এই মহান বিজ্ঞানীপ্রবর ফিফথ ইয়ারেও তাড়িয়ে দিয়েছেন এমন একজনকে পারসোনালি জানি। বিজ্ঞানীপ্রবরের নাম আন্দাজ করুন দেখি।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১১500056
    • এটা লিখতে ইতস্ততই করছিলাম। এন সি এল এর কথা এল বলে লিখেই দি তাহলে। যদিও এক ঘটনা কিনা জানিনা।  সালটা কাছাকাছি হলেও এক নয়।
       
      আমার মনে পড়ে গেল এন সি এল পুনেতে এক আত্মহত্যার কথা। কানপুর থেকে সামার ইন্টার্নে যখন গেছিলাম, আলাপ হয়েছিল সেই দাদার সঙ্গে। খুবই ভাল ছিল৷ বাংলার গ্রামের ছেলে, খুবই মেধাবী,  ভাল রেজাল্ট আর ততোধিক ভালমানুষ। 

      গবেষণা নিয়ে কী প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে আর তার পিছনে গাইডের ভূমিকা সবই বিস্তারিত শুনেছিলাম। ও একা না, ওদের 'বিখ্যাত' ল্যাবের অনেকেই জানত, সবাই একই কথাই বলত।  এর অবস্থা একটু বেশিই খারাপ হয়েছিল। অথচ মেধা, শ্রম কিছুরই খামতি ছিল না।
      ওই দু'মাসে খুবই ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছিল ওই দাদার সঙ্গে। সদ্য প্রেমে পড়ে, অন্তত তাতে কিছুটা সাফল্য পেয়ে একটু আবার সব নতুন করে শুরুও করবে ভাবছিল। আমরা কয়জন মিলে একসঙ্গে খেতাম প্রায়ই, উইকেন্ডে এদিক ওদিক যেতাম।

      কানপুরে ফিরে আসার কিছুদিন পরেও যোগাযোগ ছিল।  যে দিদিটাকে প্রোপোজ করে গ্রিন সিগনাল আছে ভেবে আনন্দে ছিল, সে তারপর দুম করে কাটিয়ে দিয়েছিল, সেই নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। আমাকে বলেছিল ওই দিদিকে বোঝাতে ইত্যাদি। এদিকে গাইডের সঙ্গে ঝামেলাও লেগেই ছিল।  খুবই চাপে ছিল পিএইচডি নেই।

      তারপর একদিন একটা মেল পাই।  তখন তো এমন ইন্সটান্ট মেল দেখার অপশন ছিল। কম্পিউটার সেকশনে গিয়ে রেড হ্যাট লিনাক্সে দিনে দু'দিনে একবার দেখতাম।  মেলটা পড়ে পুরো আঁতকে উঠে ফোন করি যখন সব শেষ। সুইসাইড নোটই বলা চলে, কাউকে দোষ দেওয়া ছিল। আমি আর আর কয়েকজন পেয়েছিলাম। 

      গাইড খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন,  তাঁর ফিল্ডে। কিছু হয়েছিল বলে জানিনা।

      ট্রমা ছিল বহুদিন। এটা আর ভাবতেই চাইতাম না।

      এই ঘটনার পর মনে এলেও বারবার তাড়াতে চাইছিলাম।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
     
    • যদু | 2601:5c0:c280:4020:a8b1:f496:cb3b:c437 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৯500059
    • কালকে লিখবো ভেবেও আর লেখা হলো না, কিন্তু দেরী হলেও এই কথাটা বলে রাখা উচিত যে আমার-ও এই সময়  b-র "উল্টোটাও হয়" - কমেন্ট অত্যন্ত ইনসেনসিটিভ লেগেছে। তাই অভ্যুদা যা বলেছে সেটাই আরেকবার রিপিট করি। এখানে কেউ কনটেন্ট ওয়ার্নিং দেয় কি না জানি না, কিন্তু দেওয়া থাকলো এখানে।

      আমার-ও মনে হয়, অ্যাকাডেমিয়ায় বিশেষ করে অ্যাডভাইজার আর ছাত্র (বা জেনারেলি ফ্যাকাল্টি ও ছাত্র) - এই পাওয়ার ইমব্যালেন্স মারাত্মক, এবং দিন দিন যতো সাপ্লাই বাড়ছে, ডিম্যান্ড কমছে – ততো এই ইমব্যালান্স টাও বেড়েই চলেছে। এই যেমন কথা মত কাজ না করলে একজন বদ অ্যাডভাইজারের পক্ষে  "কেরিয়ার শেষ" করে দেওয়া অসম্ভব রকম সহজ। কিছু নিজে থেকে কাঠি করতেও লাগে না, দরকারের সময়ে একটা চিঠি দিলেন না, ব্যাস! বা থিসিসে সই করলেন না! আমি ভাবি কতোটা ভয়, আশঙ্কা তীব্র না হলে, কতোটা খাদের কিনারে ঠেলে না নিয়ে গেলে একজন পিএইচডি ছাত্র অ্যাডভাইজারের নাম লিখে আত্মহত্যা করেন?

      আমি নিজেও একাধিক লোক-কে চিনি যারা দিনের পর দিন ছাত্র-ছাত্রীদের হ্যারাস করেছেন, কেরিয়ার/জীবন শেষ করে দিয়েছেন (এবং সেই এফেক্ট গিয়ে পড়েছে আরও অন্য লোকের জীবনে) আর চরমতম পথ বেছে নেওয়া এ তো আদৌ রেয়ার নয়। আত্মহত্যা না হলেও যা ট্রমা হয় তার খতিয়ান আর কে রাখে? আমার নিজের খুব কাছ থেকে দেখা দুটো ঘটনা বলি।

      প্রথম, আমার খুব কাছের একজন পিএইচডি করতে করতে থার্ড ইয়ারে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অ্যাডভাইজারের ক্রমাগত অত্যাচারের জন্য, অ্যাডভাইজার তাকে হেল্প তো দূরস্থান, উলটে নাগাড়ে বলতেন তুমি গাধা, তোমার দ্বারা কিস্যু হবে না। সে ভেবেছিলো অন্য কারুর সাথে কাজ করে শেষ করবে। তাতে অ্যাডভাইজার কী করেন? না প্রথমে বাকি কলিগদের শাসিয়ে রাখেন যেন ওর বিরুদ্ধে না যান আর তার পরে সেই স্টুডেন্টের ফাণ্ডিং-এর রাস্তা বন্ধ করে দেন। আর কলিগ-রাও ওইরকম - কারো মনে ভয়, কারো দ্বন্দ্ব, কেউ চান এর পরের অ্যাওয়ার্ডে ঐ অ্যাবিউজিভ-কিন্তু-ব্রিলিয়ান্ট অ্যাডভাইজারের একটা রেকো লেটার ইত্যাদি। একজন ছাত্রের বা ছাত্রীর কেরিয়ার চপে গেলো তো গেলো, কী ছেঁড়া যায় ওদের? সেই খুব পরিশ্রমী, মেধাবী, ফেলোশিপ পাওয়া ছাত্রীটির কেরিয়ার সেইখানেই শেষ। পরে জানা যায়, সেই অ্যাডভাইজার ১ নয়, এরকম ৭-৮ জনের কেরিয়ার এইভাবে নষ্ট করেছেন। তারা একসাথে অভিযোগ করে – তখন একটা লোক-দেখানো কমিটি হয়, তাতে বাইরে থেকে লোক আসে, ঢপের তদন্ত হয়। সব হয়ে আলটিমেট কী রেজাল্ট? তাকে বলা হয়েছে আগামী কয়েক বছর কাউকে গাইড করবেন না। ব্যাস।  

      দ্বিতীয় ঘটনাটি কলকাতার। একটি ছেলের গাইড আকস্মিক ভাবেই মারা যান দুর্ঘটনায়। তার বদলি যিনি এসে চেয়ার আলো করে বসেন, তার এক নয়া পয়সাও যোগ্যতা ছিলো না গাইড করার – করেন-ও নি। ছেলেটিকে বলেন যা ইচ্ছে করো - কিন্তু তিনি প্রত্যেক পেপারে নাকি "নাম নেবেন" -- অস্যার্থঃ এক লাইন-ও না কন্ট্রিবিউট করে নিজের নাম ফার্স্ট অথর হিসেবে পেপারের সামনে বসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা কঠিন এ জিনিষ ২০২০-২১-এ হচ্ছে একটি প্রিমিয়ার ইনস্টিটুটে, সবার চোখের সামনে, কিন্তু সত্যি। ছেলেটি ৫-৬ বছর পরে যখন চাকরি পেয়েছে, তখন এই ভদ্রলোক বিভিন্ন ঝামেলা করছিলেন যাতে আরও কয়েক বছর রেখে দেওয়া যায়। সোনার ডিম পাড়া মুরগি ইত্যাদি। ভাগ্য ভালো সে কোনো রকমে পালিয়ে বেঁচেছে, এবং এটা যাকে বলে ওয়ান অফ দ্য রেয়ার হ্যাপি-এণ্ডিং স্টোরিজ।

      এই প্রসঙ্গেই, আমি কালকেই দেখলাম আইয়াইটি, আইয়াইএম, অন্যান্য সেন্ট্রালি ফাণ্ডেড ইউনি মিলিয়ে ২০১৪-২০২১-এই দেশে ছাত্র আত্মহত্যার সংখ্যা ১২২ !!

      আমার জানা আর একটা ঘটনা, যেখানে অ্যাডভাইজার রিজাইন করতে বাধ্য হয় সেটা ফ্লোরিডা-র কম্পিউটার সায়েন্সের ঘটনা। সেখানে অ্যাডভাইজার ছাত্র-কে প্রথমে যা হোক করে ভুলভাল ডেটা/ডিজাইন শুদ্ধু পেপার ছাপতে বাধ্য করেন, পরে যখন ছাত্র বুঝতে পারে কী সাঙ্ঘাতিক ভুল হচ্ছে, এই কাজ করা যায় না, অন্য কেউ করতে গেলেই ধরা পড়বেই এবং ধরা পড়লে তার নিজের প্রোফেশনাল ক্রেডিবিলিটি সঙ্গে সঙ্গে শেষ - তখন সেই অ্যাডভাইজার চাপ দিয়েছিলেন যে স্বীকার করা যাবে না, পেপার উইথড্র-ও করা যাবে না। করলে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রের কেরিয়ার শেষ করে দেবেন। ছাত্রটি ডিপার্ট্মেন্টের মধ্যেই আত্মহত্যা করে।
      সেই ঘটনার পরেই একজন সহপাঠী কেউ মিডিয়ামে বিস্তারিত লিখেছিলো। পড়লে ভয়ানক খারাপ লাগে, অসহায় বোধ হয়ঃ https://huixiangvoice.medium.com/the-hidden-story-behind-the-suicide-phd-candidate-huixiang-chen-236cd39f79d3
      এই ঘটনার বছর খানেক পরে ভদ্রলোক রিজাইন করেনঃ 
      https://www.wuft.org/news/2021/04/23/university-of-florida-professor-resigns-amid-investigations-into-students-suicide/

      এখন এই ভদ্রলোক কী করছেন জানি না। আমি নিজে বহুবার ভেবেছি যদি একবার ছাত্রটিকে বলা যেতো যে কখনোই, কোনো ভাবেই সব দরজা বন্ধ হয়ে যায় না। ঐখানে পত্রপাঠ ছেড়ে দিলেও … কিন্তু সে কে বলবে? কোথাও, কোনো ঠিকঠাক সাপোর্ট সিস্টেম নেই, যা আছে সেগুলো সেলফ-সার্ভিং, লোকদ্যাখানো ঢপের কেত্তন। আর তার থেকেও বড় কথা, ঐ শুরুতে যা বলছিলাম, পাওয়ার ইমব্যালেন্স - এতোই মারাত্মক যে অ্যাকাউন্টেবিলিটি-র অ্যা-ও নেই কোথাও। 
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:c86e:cd1f:ebc4:98ec | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৩৫500060
    • শুধু কলেজ কেন। যে কোন জায়গাতেই বস আর সাবঅর্ডিনেটের মধ্যে ইমব্যালান্স অফ পাওয়ার মারাত্মক। ঠিকঠাক ইউনিয়ন না থাকলে এগুলো হ্যান্ডল করাও মুশকিল। সুইসাইড বা ঐরকম এক্সট্রিম কিছু হলে তবেই একটি ব্যাড অ্যাপল ধরা পড়বে, সেটা তো কোন কাজের কথা না।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • যদু | 2601:5c0:c280:4020:e1e3:89a:cc5c:50b6 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০৮500061
    • হ্যাঁ। পাওয়ার ইমব্যালেন্স হয়তো সমস্ত হিউম্যান এণ্টারপ্রাইজেই আছে, কিন্তু অ্যাকাডেমিয়ায় একটু বেশীই সমস্যাজনক। 
      তার অনেকগুলো কারণ, এক যেমন টক্সিক ইন্ডাস্ট্রি-র চাকরি ছেড়ে আরেকটা চাকরি খোঁজা যতো সহজ/কঠিন, কয়েক বছর পিএইচডি করার পরে মাঝপথে ছেড়ে আবার শুরু করা তার থেকে অনেক বেশী কঠিন - প্রসেসটা একে কিউমুলেটিভ আর দুয়ে, শেষমেশ ঠিক হলো কি না এটার আনসার্টেনটি/র‍্যান্ডমনেস অনেক বেশী। জীবনের সবথেকে ভালো সময়ের ৭-৮ বছর একটা প্রবলেমের পিছনে প্রাণপাত করে শেষে কিছুই না পাওয়া - এই ভয় সাংঘাতিক। (আমি নিজে চাকরিতে জঘন্য বস পেয়েছি, আবার পিএইচডির শুরুতে জঘন্য, অমানবিক অ্যাডভাইজার পেয়েছি - অ্যানেকডোটাল হলেও এটা বিশ্বাস করি।) 

      এ ছাড়াও তীব্র ফিনান্সিয়াল ইনসিকিওরিটি আছে, সেই নিয়ে পারিবারিক সমস্যা আছে (বাড়ির লোকে বুঝতে চায় না), পিয়ার প্রেশার আছে, আর ভিকটিম ব্লেমিং তো দেখতেই পাচ্ছেন - লোকে অটোমেটিক্যালি ধরেই নেয় সাফল্যের কৃতীত্ব অ্যাডভাইজারের, আর ব্যর্থতার দায় ছাত্রের। 
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • lcm | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:০৩500065
    • প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহেই ভোটাভুটি হয়ে এমআইটি তে গ্র্যাড স্টুডেন্টদের ইউনিয়ন হয়েছে।

      MIT Graduate Students Vote to Unionize

      Catherine Offord, Apr 7, 2022

      Plans to form a union affiliated with the United Electrical, Radio and Machine Workers of America were approved by a vote of 1,785 to 912.

      Graduate students at MIT have this week voted to unionize, with 1,785 votes cast for the move and 912 against it. The poll, which was held on Monday and Tuesday (April 4–5), sought approval to form a union affiliated with the United Electrical, Radio and Machine Workers of America (UE), and tapped into a range of student issues including affordable housing and better health insurance.

      Announcing the win in a tweet yesterday, the MIT Graduate Student Union wrote: “What started 4 years ago with a dozen students in an MIT classroom discussing the needs of graduate workers has culminated in this historic victory for student-workers at MIT.”

      https://www.the-scientist.com/news-opinion/mit-graduate-students-vote-to-unionize-69886
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • যদু | 2601:5c0:c280:4020:e1e3:89a:cc5c:50b6 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:০৯500066
    • আরে কি কোইনসিডেন্স। আমি লসাগুদার লিঙ্ক-টাই পোস্ট করতে যাচ্চিলাম। 

      অন্য জায়গাতেও হয়েছে। আমি কয়েক জায়গায় জানি ইউনিয়ন অনেক লড়াই করে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট-দের স্যালারি যাতে একটু বাড়ে সে ব্যবস্থা করেছে, কারণ এমনিতে যা দেয় সে মানে বিচ্ছিরি রকমের আন-সাস্টেইনেবল। 
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • AG | 37.19.200.24 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১১500067
    • আমি ফিজিক্সে পিএইচডি করতে গিয়ে অনেকগুলো কারণে (কেবলমাত্র অ্যাকাডেমিক প্রেসার না) ডিপ্রেসড হয়ে দুবছরের মাথায় ছেড়ে দিই। এখনও আমি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বুঝতে পারছিনা কি করব। এদিকে বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে দিনকে দিন। কিছু সাজেশন/ক্যারিয়ার অ্যাডভাইস পেলে ভালো হয়।
    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫১500073
    • রিসার্চ ইন্স্টিটিউটগুলোতে আর কিছু না হোক একটু ভালো কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা আর অন্তত কিছুটা অ্যাকাউন্টেবিলিটি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কিছুদিন আগে আইআইটি কানপুরে সুব্রামানিয়াম সাদেরলার ব্যাপারটা ঘটল, শেষে কোর্টে রিলিফ পেলেন ভদ্রলোক।

      আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া ছাত্রের ক্ষেত্রে তার মানসিক দুর্বলতা, অপদার্থতা ইত্যাদির কথা শুনে বহুদিন আগের একটা কথা মনে পড়ে গেল: একটি মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করার পরে আটলান্টায় আমার পরিচিত একজনকে বলতে শুনেছিলাম, শ্বশুর-শাশুড়িকে বিপদে ফেলবার জন্যই মেয়েটির এই আচরণ! মানে সত্যিই অবাক হতেও ভুলে যাবো এরপরে।
     
     
     
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:২৩736155
    •  
    • syandi | 45.250.246.208 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:০৬500097
    • আরো অনেকগুলো ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। বিখ্যাত মেহতা সাহেবের ল্য়াবে গিয়ে কত ছেলের কেরিয়র খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল । রিসার্চে প্রগ্রেস না হলে উনি স্টুডেন্টের সঙ্গে বাক্য়ালাপ করা বন্ধ করে দিতেন। এরকম অবস্থায় পড়ে অনকেই ল্য়াব ছেড়ে অন্য ল্য়াবে জয়েন করত। 

      মৈত্রর আবার ট্রিটমেন্ট আলাদা ধরণের। ওনার ল্য়াব তো ল্য়াব নয়, মিলিটারি ব্য়ারাক একেবারে। এনার ল্য়াবে সোমবার থেকে শনিবার আসার সময় এবং কাজ শেষ করে বের হওয়ার টাইম বাঁধা। সকাল ৭:৩০ থেকে ৮:৩০ এর মধ্যে আসতে হবে এবং ল্য়াবে ঢোকার সময় ঝোলানো একটা কাগজের শিটে নিজের নামের পাশে এন্ট্রি টাইম উল্লেখ করে সই করতে হবে। বেরনোর সময়ও একই নিয়ম। উল্লেখ্য যে সকাল ৭:৩০ এর আগে আসা নিষেধ, আর সন্ধ্যা ৮:৩০ এর পরে থাকাও নিষেধ। কারো লেট এন্ট্রি দেখলে ইনি শাসানি দেন যে তোমার এই নিয়ম ভঙ্গ করার প্রবণতা তোমার রেফারেন্স লেটারে উল্লেখ করা হবে। ইনি আবার ল্য়াবে মাইক্রোফোন সেট করেছিলেন যাতে করে উনি নিজের অফিসে বসে স্টুডেন্টদের কথোপকথন শুনতে পান। বুঝতেই পারছেন আমি প্রাক সি সি ক্য়ামেরা (বা প্রাকওয়েবক্য়াম) যুগের কথা বলছি। এনার ল্য়াবে গ্রুপ মিটিং থাকে রবিবার সকালে, যাতে করে রবিবারেও রেহাই না পায় বেচারা স্টুডেন্টরা।

      আর এন সি এল এর ঐ বিজ্ঞানিপ্রবর তো টোটাল সাইকোপ্যাথ। ওনার বদমাইশি লিখে শেষ করা যাবে না। একটি ঘটনার উল্লএখ করলে কিছুটা হলেও আন্দাজ পাওয়া যাবে কি ধরনের মানুষ উনি। ওনার এক সিনিয়র ষ্টুডেন্টের doctoral কাজ শেষ, থিসিস লেখাও শেষ। দেড়মাস পরে পোস্টডক শুরু করবে বিদেশে, সব কিছুই একরকম ফাইনাল। এমতবস্থায় বিজ্ঞানিপ্রবর ষ্টুডেন্টকে থিসিস রিরাইট করার উপদেশ দিলেন। আর দুকান কাটা নির্লজ্জের মত পরের শনিবার গ্রুপ মিটিং- এ বললেন "this was the last opportunity for me to give him some trouble"

      ভারতীয় আ্য়াকাডেমিয়ায় আর এক জল্লাদ প্রফ দেশিরাজু। আমার এক জুনিয়রকে প্রায় শেষ করে দিচ্ছিলেন ইনি। ধরা যাক আমার জুনিয়রের নাম এক্স। এক্স ওনার কাছে থিসিস শেষ করার পরে পোষ্টডক করতে যেতে চাইল বিদেশে। উনি এক্সকে বিদেশে পোষ্টডক করতে যেতে দিতে চাইলেন না। এক্স কাকুতি মিনতি করাতে শাসালেন যে দেখি তুমি কিভাবে ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাও। সোজা কথায় রেকমেণ্ড করবেন না কোথাও সেটা বললেন। ওনার ফিল্ডে কাজ করা আমেরিকান আর ইউরোপিয়ান বিগ শটদের আগেভাগেই ইমেইল করে জানিয়ে রাখলেন এক্স নামের কাওকে তাঁরা যেন না পোস্টডক হিসাবে নিয়োগ না করেন। যাইহোক এরপর উপায়ান্তর না দেখে এক্স ইটালিতে একজন অপেক্ষাকৃত সাদামাটা প্রফের থেকে পোস্টডক অফার পায়। পজিশনটা জোগাড় করে দিয়েছিল এক্সের একজন সহৃদয় সিনিয়র বন্ধু। এরপর এক্স যখন ল্য়াব থেকে চলে যাচ্ছে তখন দেশিরাজু তাকে জেরা করতে শুরু করলেন যে সে কোথায় জয়েন করবে এসব ব্যাপার জানতে চেয়ে। খুব সঙ্গত কারণেই এক্স মুখ খুলল না কারণ এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে এই সুযোগটাও দেশিরাজু একেবারে দায়িত্ব নিয়ে নষ্ট করে দেবেন। এক্স ইটালিতে জয়েন করার পরে দেশিরাজু ওনার ল্য়াবের দুই জুনিয়র স্টুডেনটকে চাপ দিতে শুরু করলেন এক্স- এর ব্য়াপারে ইনফরমেশন চেয়ে। ধরা যাক জুনিয়রদ্বয়ের নাম ওয়াই আর যেড। দেশিরাজু জানতেন যে ওয়াই আর যেড দুজনেই এক্সকে গুরু হিসাবে মানে এবং সর্বদা পিছন পিছন ঘোরে। ওয়াই আর যেড কেউ মুখ না খোলায় উনি অন্য পন্থা নিলেন। উনি ওয়াই আর যেডের পার্সোন্য়াল ইমেইলবক্স দেখতে চাইলেন। এরা একরকম দেশিরাজুর নানা রকম হুমকির কাছে নতি স্বীকার করে ইমেইল বক্স খুলে দিতে বাধ্য় হল, আর তারপরেই দেখা গেল এক্সের সাথে ওয়াই আর যেডের দুজনারই নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ফলস্বরূপ ওয়াই আর যেড ল্য়াব থেকে বহিস্কৃত হল। আর এক্স দেশে ফিরে আ্যাকাডেমিক্সে চাকরি পায়নি।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • Joshita Ghoshal | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:১১500098
    • এতো নিকৃষ্ট প্রাণী! 
      লেখাপড়া শিখেও অমানুষ। ছিঃ।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • syandi | 45.250.246.208 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:২১500099
    • হাভার্ডের নোবেল বিজেতা বিখ্যাত প্রোফেসর E. J. Corey তো আমানবিক ব্যবহারের জন্যই একরকম প্রাত:স্মরনীয়। মাত্র তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ওনার গবেষণাগারে। আর পোস্টডকটোরাল ফেলোকে লেখা Eric Carreira -র চিঠি হয়ত অনেকেই পড়েছেন। অর্গানিক কেমিস্টগুলোই কি এত খচ্চর হয়। কে জানে হয়ত labour intensive সাবজেক্ট বলেই এই অবস্থা।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
     
    • S | 2405:8100:8000:5ca1::56:b7b3 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:২৯500102
    • দেশের কেমিস্ট্রি নিয়ে অ্যাডভাইজারের বঞ্চনার গল্প আমিও একটা জানি। এক্দম চেনাশোনা লোক। বিশ্বভারতী থেকে পিএইচডি করেছিলেন।

      তবে অ্যাকাডেমিয়াতে কিন্তু প্রচুর গোলমাল, কোরাপশান। প্রায় সর্বত্রই। আমার তো পুরো পাবলিকেশান ব্যাপারটাই রীতিমত সন্দেহজনক লাগে। তারপরে অন্যের (বিশেষ করে ছাত্রের) আইডিয়া নিয়ে তাকেই বাইপাস করে পাবলিকেশান তো হামেশাই ঘটে। সেসব নিয়ে তেমন চেঁচামেচিও হয়্না। মিডিয়া খুবেকটা ইন্টারেস্টেড নয় মনে হয়েছে।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • kk | 97.91.203.114 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:৪২500105
    • স্যান্ডি,
      অর্গানিক কেমিস্ট্রিই না, বায়ো-কেমিস্টির লোকেও হয়। আমার পি এইচ ডি সুপারভাইজারের কথা বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। তিনিও বেশ বিগ শটই ছিলেন। নাম করবো না। ইনসা থেকে শুরু করে ভাটনাগর অ্যাওয়ার্ড ফ্যাওয়ার্ড সবই প্রাপ্ত। কিন্তু বস হিসেবে হুবহু 'Devil wears Prada'র মিরান্ডা প্রেসলির মত। হুবহু বলা ভুল হলো, কারণ ঐ সফিস্টিকেশন ও পালিশ নেই। তার বদলে কথার ধার আর চয়েস অফ ওয়ার্ডস কলতলার ঝগড়ার কথা মনে করিয়ে দিতো। তিনজন জুনিয়ার রিসার্চ ফেলো কেউ ছ'মাস, কেউ এক বছর পর ছেড়ে চলে গেছিলো। একজন রিসার্চ অ্যাসোশিয়েটের মুখ বুজে অপমান সহ্য করতে করতে নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে গেছিলো। একজনের ঐরকম বিদেশে পোস্টডক করা আটকানোর জন্য বারে বারে থিসিস ডিলে করাচ্ছিলেন। সে খুবই ইনফ্লুয়েন্শিয়াল একজন ফ্যাকাল্টির ভাইপো-বৌ ছিলো ব'লে কাকাশ্বশুরকে দিয়ে বলিয়ে টলিয়ে অবশেষে থিসিস জমা দিতে পেরেছিলো। অনেক ছুটির দিনে, কালীপুজো, ভাইফোঁটার দিনে, আমাকে বলতেন "তোমার তো এখানে বাড়ি নয়। হোস্টেলে বসে থেকে কী করবে? তুমি ল্যাবে আসবে, আমিও আসবো।" তো আমি আসতাম, কোনো কাজ থাকতো না, তবু আসতাম। উনি আসতেন না। কিন্তু ফোন করে বারবার দেখতেন আমি ল্যাবে আছি কিনা। এছাড়া আমাদের বাধ্য করতেন নানা অকেশনে ওঁকে দামী শাড়ী, সোনার দুল এইসব গিফ্ট করতে। এই রকম কত কিছু যে ছিলো, কী আর বলবো! অনেক মানুষকেই দেখেছি দুনিয়ার যত ফ্রাস্ট্রেশন, তিক্ততা, অন্যলোকের ওপরে রাগ, সব পি এইচ ডি স্টুডেন্টদের ওপরে মেটাতে। স্যাডিস্ট ছাড়া কী আর বলব?
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • S | 2a03:94e0:ffff:194:32:107:0:171 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৬500108
    • আরেকটা গল্প বলছি। এক্দম বন্ধু-কোহর্টের। কিন্তু অন্য ডিসিপ্লিনে। পিএইচডি লেভেলের একটা ক্লাসে প্রফেসার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন যে এই ফিল্ডে নতুন টপিক জোগাড় করে প্রেজেন্ট করো। ছেলেপিলেরা নিয়ে গেছে। একজনের টপিক যে দারুন, সেটা ক্লাসের টেবিল বেন্চগুলো-ও বুঝেছে। কয়েকদিন পরে সেই প্রফেসার ইমেইল করেছেন বন্ধুটিকে যে তোমার এই টপিকের উপরে আমার আর কোঅথারের সঙ্গে কাজ করবে। ছেলেটি খুব উৎসাহী। উত্তরে হ্যাঁ লিখে দিয়েছে। এরপর কয়েকমাস কোনও কথা নেই। বন্ধুটি অপেক্ষা করছে কবে সেই প্রজেক্ট শুরু হবে। এরপর একদিন ইমেইল পেয়েছে যেখানে প্রফেসার লিখেছেন যে তুমি তো কোনও উৎসাহ দেখালে না, তাই আমি আর কোঅথার মিলে কাজ শেষ করে দিয়েছি টাইপের।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • S | 2405:8100:8000:5ca1::57:d125 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:৫৭500107
    • আমার একটা ছোট ঘটনা আছে। একদম পাতি পেপার। একটা পুঁচকে কনফারেন্সে প্রেজেন্ট করেছিলাম। তারপরেই দেখি একটা মাঝারি মানের জার্নালে এসে গেছে। সেম কনসেপ্ট, ডেটা সোর্স আলাদা। পেপারটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি লেখা হয়েছে। অ্যাডভাইজারকে বললাম যে জার্নাল এডিটরকে ইমেইল করবো। তারপরে দেখলাম এডিটর নিজেই অন্যতম অথার। আর তিনি ঐ সাবফিল্ডের গুরু। চেপে গেলাম।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    • পলিটিশিয়ান | 76.79.186.210 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:৪৪500106
    • একজন পেপার সাবমিট করেছে। সেটা রিজেক্টেড হয়েছে। তারপর সেই পেপার একজন রিভিউয়ার অন্যত্র পাবলিশ করেছেন। এ ঘটনা নিজের চোখে দেখা। রিভিউয়ার ক্ষমতাশালী লোক। অপকর্ম করে নিজেই আসল লেখককে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন মুখ বন্ধ রাখার জন্য।
  • Joshita Ghoshal | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩২736156
    • Joshita Ghoshal | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:১৫500109
    • কী সর্বনাশ!
      আমার বোনের পিএইচডির কথা জানি। দুজন গাইডই খুব ভাল মানুষ ছিলেন। ডিফেন্ড করবার দিন সামান্য খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। একজন গাইড খুব লজ্জিত হয়ে পড়েছিলেন। অন্যজন খেলেন।
      ওর সাবজেট চিকিৎসাবিজ্ঞানের বন্ধ্যাত্বের ওপর ছিল। এখন মনে হচ্ছে ওর সত্যিই ভাগ্য ভাল ছিল। তিন বছরেরো কম সময়ে পুরো কাজটা নির্বিঘ্নে হয়ে গেছল।
    • S | 2a03:94e0:ffff:194:32:107:0:171 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৬500108
    • আরেকটা গল্প বলছি। এক্দম বন্ধু-কোহর্টের। কিন্তু অন্য ডিসিপ্লিনে। পিএইচডি লেভেলের একটা ক্লাসে প্রফেসার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন যে এই ফিল্ডে নতুন টপিক জোগাড় করে প্রেজেন্ট করো। ছেলেপিলেরা নিয়ে গেছে। একজনের টপিক যে দারুন, সেটা ক্লাসের টেবিল বেন্চগুলো-ও বুঝেছে। কয়েকদিন পরে সেই প্রফেসার ইমেইল করেছেন বন্ধুটিকে যে তোমার এই টপিকের উপরে আমার আর কোঅথারের সঙ্গে কাজ করবে। ছেলেটি খুব উৎসাহী। উত্তরে হ্যাঁ লিখে দিয়েছে। এরপর কয়েকমাস কোনও কথা নেই। বন্ধুটি অপেক্ষা করছে কবে সেই প্রজেক্ট শুরু হবে। এরপর একদিন ইমেইল পেয়েছে যেখানে প্রফেসার লিখেছেন যে তুমি তো কোনও উৎসাহ দেখালে না, তাই আমি আর কোঅথার মিলে কাজ শেষ করে দিয়েছি টাইপের।
    • S | 2405:8100:8000:5ca1::57:d125 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০১:৫৭500107
    • আমার একটা ছোট ঘটনা আছে। একদম পাতি পেপার। একটা পুঁচকে কনফারেন্সে প্রেজেন্ট করেছিলাম। তারপরেই দেখি একটা মাঝারি মানের জার্নালে এসে গেছে। সেম কনসেপ্ট, ডেটা সোর্স আলাদা। পেপারটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি লেখা হয়েছে। অ্যাডভাইজারকে বললাম যে জার্নাল এডিটরকে ইমেইল করবো। তারপরে দেখলাম এডিটর নিজেই অন্যতম অথার। আর তিনি ঐ সাবফিল্ডের গুরু। চেপে গেলাম।
  • syandi | 45.250.246.208 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৩:২০736157
  • খচ্চর সুপারভাইসর বা টাস্ক মাস্টারদেরকে নিয়ে দেশি স্টুডেন্টদের মধ্যে একটা রোমান্টিসিজম লক্ষ্য করেছি। ভাবটা এমন - "হুঁ হুঁ বাবা আমি অমুকের স্টুডেন্ট"। ল্য়াবে দুই একটা সুইসাইডের ইতিহাস থাকলে আরো রেলা নেওয়া যায়। 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৫৭736159
  • স্টুডেন্ট প্রোটেস্টই যা ভরসা। কিন্তু সে আর কদিন?
  • যদুবাবু | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৭:২১736160
  • হ্যাঁ। পাবলিক মেমোরিও খুব-ই অল্পদিনের। তবে পাবলিক মেমোরির ভরসায় কী আর কিছুই হয়েছে? এরা যদি কিছুদিন জিইয়ে রাখে, যদি একটা মুভমেন্ট জন্ম নেয়। সম্পূর্ণ ওভারহল হয়ে যাবে এরকম দুরাশা করছি না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটা নিরপেক্ষ বিচার হবে এমন আশা করতে ক্ষতি কি? 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৩০736161
  • গ্রেফতার হওয়া দূরে থাক, এখন পর্যন্ত গাইড সাসপেণ্ডেড হয়েছে বলেও শুনি নি।
  • Joshita Ghoshal | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৩৯736162
  • মেন্টাল টর্চারের কোনও প্রমাণ থাকে না। এখন ডাক্তারেরা বলতেই পারেন, যে গবেষকটি স্ট্রেস নিতে পারে নি, সবার স্ট্রেস নেবার ক্ষমতা সমান নয়।  হয়ত সেই গাইড বলে দেবেন, যে গবেষকটির কাজের মান ভাল ছিল না, ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাত থাকবেই। জিনিসটা আদালতে প্রমাণ করা খুব শক্ত। 
    হয়ত বলে দেবে যে, এনার আন্ডারে আর যারা কাজ করেছে তারা তো কই আত্মহত্যা করে নি! 
    কারোকে সরাসরি খুন করে ফেললে তা তদন্ত করে বের করা যায়। মার্ডার ওয়েপেন পাওয়া যায়, বিষ খাওয়ালে সেটাও ফরেনসিকে ধরা পড়ে। কিন্তু তিলে তিলে মানসিক অত্যাচার করে একজনকে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া, যখন তার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এবং সে চুড়ান্ত অবসাদে মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে, এগুলো আদালতে প্রমাণ করা খুব শক্ত। আত্মহত্যার প্ররোচনার কেসও এই ধরণের হয়। আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যাওয়া যায়।
    মোমবাতি মিছিল কতদিন চালানো যাবে? সত্যিই কি আদালতের রায় গাইডের বিপক্ষে যাবে? গাইডের চাকরিটি থাকবে না খোয়া যাবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
    বিভিন্ন আলোচনা পড়বার পর যা বুঝছি, পাজি গাইডরা গবেষকদের চাপে রেখে নানানরকমের মানসিক অত্যাচার করে এক ধরনের আনন্দ পায়, করাপ্টেড গাইডও থাকে। 
    কবছর আগে সম্ভবত অ্যামেরিকায় একজন ভারতীয় গবেষক আত্মহত্যা করেন। সঠিক তারিখ বা জায়গাটার নাম মনে নেই। সেখানেও তার গবেষণার কাজ কেউ চুরি করেছে এরকম অভিযোগ তিনি করেছিলেন। 
    যাইহোক, অসাধূ/পাজি গাইডের ওপর নজরদারি করবার মতো সেরকম কোনও ব্যবস্থা বোধহয় কোনও দেশেই নেই। গবেষকদের নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা,  উপহার নেওয়া বা উপহার দিতে বাধ্য করা, এগুলোর ওপরেও নজরদারির ব্যবস্থা থাকা দরকার। এ জিনিস দীর্ঘকাল ধরেই চলছে, অন্তত পঞ্চাশ বছর আগের ঘটনাও জানি। গাইডকে খুশি করে রাখাটা অনেকটা গুরুগৃহে গুরুর সেবা লেভেলের সঙ্গে তুলনীয়।
    শুধু গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আত্মহত্যা করে (ভারতের খবর জানি না)। যারা আত্মহত্যা করে না, তাদের মধ্যেও একাংশ প্রবল স্নায়ুর চাপে ভোগে কিছু কিছু বিষয়ের শিক্ষকদের দুর্ব্যবহারের জন্য। এগুলো কিন্তু খবর হয়ে রটে যায়, তবে ঐ শিক্ষকের ব্যাপারে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ বা ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে যে সে সিনিয়র, তার লবির জোর আছে, ফলে তার সহযিক্ষকরাও সব জেনে চুপ থাকে। 
    এগুলো খুব কাছ থেকে দেখা। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবার সাহস/ক্ষমতার জোর ছাত্রদের তো নেই ই, সহশিক্ষকদেরও কিছু এসে যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিও সবসময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকে, টাকা পয়সা ফান্ড এইসব নিয়ে, তাদের কানে কেউ এসব খবর তুললেই বা কী, না তুললেই বা কী! 
    তবে মাঝেমধ্যে পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার হার এত। ব্যস। কোথাও কোথাও কাউন্সেলিং সার্ভিস ও আছে। কিন্তু যেসব অধ্যাপকদের জন্য এই সমস্যা, তাদের টিকিটিও কেও ছুঁতে পারে না।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::f0:d764 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৪১736163
  • আমাদের একজন প্রফ ছিলেন। মহিলা। তাঁর আন্ডারে আরে থাকলে আর দেখতে হতনা। কাজ দিতেন, তারপরে হঠাত করে বলতেন এখনই কাজ করে দিতে হবে। আপনি হয়তো তখন ক্লাস করছেন। আর খুব বাজে বিহেভিয়র ছিলো। একজন পিএইচডি করছিলেন একটু বয়স্ক, লোকটা নিউইয়র্ক - লন্ডনে ট্রেডার ছিলেন। ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের পরে অ্যাকাডিমিয়াতে চলে আসেন। তাকে একবার আজে বাজে কথা বলেছিলেন, সেও "হাউ ডেয়ার ইউ" নাকি "ইউ ডোন্ট স্পিক টু মি লাইক দ্যাট" বলে টলে অফিস থেকে বেড়িয়ে গেছিলো। ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দিয়েছিলো যে উনার আন্ডারে আরে থাকবে না। তারপরে আমি আরে হয়েছি। এসব খবর তখন জানিনা। খুব উৎসাহী। আমাকে আগেই একজন ওয়ার্ণ করে দিয়েছিলো, আমি তেমন পাত্তা দেইনি। এদিকে আমার প্রায় নাভিশ্বাস উঠছে। আমি এস্কিউএলে কোডিং করে দিয়েছি। বলেন যে না পুরোটা চেন্জ করে স্যাসে কোডিং করে দাও। সেরেছে। তারপরে একদিন বিশাল ইমেইল করেছেন দেখছি। আজে বাজে লিখেছেন। আমি যতটা শান্ত থাকা যায় সেইভাবে অবজেক্টিভলি রিপ্লাই করলাম। এদিকে যখন কাজকর্ম সব শেষ হয়ে গেলো, তখন বলেন যে না এই পাবলিকেশন তো হবেনা। যাগ্গে একটা সেমের বেশি সহ্য করতে হয়নি। এরপরে একটা নতুন ইরানের মেয়ে তার আরে হয়, তারও সেই আবার একই অবস্থা। মেয়েটার মনে হয় সেল্ফ ডাউট হতে শুরু করে যে হোয়েদার শি ইজ গুড এনাফ। আমাকে মেয়েটি জিগায় যে জানো আমাকে প্রচুর কাজ দেয়, এইসব আজেবাজে বলেছে, রুড ইমেইল করেছে। আমি বললাম ওসব অর্ডিয়াল আমাদের সবার হয়ে গেছে, কোনমতে সেমটা চালিয়ে দাও। আর পিএইচডি কোর্ডিনেটরকে বলে দাও যে নেক্সট সেমে অন্যের আন্ডারে আরে থাকবে, উনি ঠিকই বুঝবেন, পাল্টে দেবে।
  • lcm | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৪৭736164
  • ... 7-year integrated PhD course in Physics in IISER ... .... on successful completion, students will be awarded both a Master of Science degree and a PhD degree....

    এটার মানে কী?

    সাফল্যের সঙ্গে কোর্স শেষ করলে ৭ বছর বাদে এমএসসি আর পিএইচডি একসঙ্গে পাবে। আর নইলে কি শুধু মাস্টার্স? নাকি কিছুই না? এই ব্যাপারটা কেউ জানেন।
  • lcm | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১২:০২736165
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 
    "এটা মুখ খোলা বা না খোলার ব্যাপার নয়। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় গবেষণা করার সময় নানারকম মানবিকতার অভাব চোখে পড়ে। এক তো গবেষকরা যে বয়সে গবেষণা করতে আসেন এবং চাকরির বয়সের যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে তা নিয়ে গবেষকদের মনে একটা প্রশ্ন কাজ করে, আদৌ চাকরি পাবেন কি না। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে সে আতঙ্ক সবথেকে বেশি। তার মধ্যে যদি সুপারভাইজার বা পরিদর্শকের মানবিকতার অভাব দেখা যায় তা হলে তো খুবই অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। অনেক পরিদর্শক মনে করেন, ছাত্র গবেষক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেরও কাজ করবেন। অনেকে ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে উপহারও নেন। এগুলো তো নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা ছাত্রদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।"
  • a | 110.174.180.49 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০১736166
  • দুটো প্রশ্নঃ 
    ১। এই যে অধ্যাপকরা উইকেন্ডে কাজ করান তারা নিজেরাও কি ওতটাই সময় দেন? বিশেষ করে ওপরের চিঠিটা পড়লাম তাতে মনে হল গাইডও নিজেও অত্যন্ত ডেডিকেটেড 
     
    ২। এখানে যারা এই প্রসেসের ভিতর দিয়ে গেছেন বা যাবেন, তাদের মতে, গিভেন আ চয়েস, ছাত্ররা কড়া টাস্কমাস্টার অথচ নামী বা ব্রিলিয়ান্ট গাইডের আন্ডারে কাজ করবেন? নাকি অত কড়া নন কিন্তু অত ব্রিলিয়ান্ট o নন এরকম গাইডের আন্ডারে? ধরে নিন এই দুটিই চয়েস আপাতত। আপনি নিজে না কিন্তু, একজন জেনেরাল গড় ছাত্র। 
  • hu | 174.102.66.127 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৮736167
  • আমার মনে হয় যতখানি মনোযোগ দিয়ে বিয়ের জন্য পাত্রপাত্রী খোঁজা হয়, গাইড/ছাত্র খোঁজার সময়েও ততটাই মনোযোগ লাগে। গাইড/ছাত্র ব্রিলিয়ান্ট কিনা তার চেয়েও বড় কথা হল টেম্পারামেন্ট ম্যাচ করছে কিনা। দুজনেরই উইকেন্ডে কাজ করতে ভালো লাগে কিনা। দুজনেরই কাজের বাইরেও পরস্পরের থেকে কিছু শেখার আছে কিনা। নইলে একটা মানুষকে জীবনের চার-পাঁচ বছর, বা আরও বেশি, দেওয়া মুশকিল। তবে তার পরেও কিছু বিয়ের পরিণতি যেমন ডিভোর্স হয়, কিছু গাইড/ছাত্র সম্পর্কও তেমন বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই জীবনের কিছু বছর নষ্ট। তবে জীবনের "কিছু বছর" নষ্ট মানে কিন্তু জীবন নষ্ট নয়। জীবন অনেকটাই বড়।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২০:০৫736168
  •  
    • a | 110.174.180.49 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০১
    একটা কেস হিসেব থেকে বাদ পড়ছে। গাইড যদি "অত্যন্ত অপদার্থ বোগ্দামারা" আর স্টুডেন্ট যদি ব্রিলিয়ান্ট হয়। এই কেসটা দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কমন। মাস্টার গেঁজে গেছে, স্টুডেন্ট প্রথমে বুঝতে পারে নি। দু-তিন বছর পরে গাইড পাল্টানো সম্ভব নয়, ডিপার্টমেন্টে অন্য কেউ নেবে না, আর চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমার কারণে হাতে সময় খুব কম। গাইডের ইগোতে লাগছে, কী আমি বলছি এই এক্সপেরিমেন্টটা এভবে করতে আর তুমি বলছ অন্যভাবে করবে (আমার আইডিয়া ভুল, আজ তোরই একদিন কি আমারই একদিন)।
     
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫১736169
  •  
    •  lcm | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৪৭
    প্রথম দু বছর পরেই মাস্টারস ডিগ্রী পাওয়া যায়। অনেকে সেই সময় IISER ছেড়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যায়।
     
    শুভদীপের অ্যাডভাইজারের কাছে মাস্টার্স করেছে এমন একজনের সঙ্গে কথা হল। সে BSc+MSc স্টুডেন্ট, এখন আমেরিকায় পি এইচ ডি করছে। সেও বলল শুধু এই গাইডই নয়, ঐ প্রতিষ্ঠানে অনেক লোকই এইরকম। 
  • syandi | 45.250.246.208 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:১৯736172
  •  ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৮ এর উত্তরে বলি:
    উইক এন্ডে কাজ করতে স্টুডেন্ট ভালবাসে এক জিনিস, আর ওয়ার্কিং আওয়ার এর বাইরে এবং সপ্তাহান্তে কাজ করতে বাধ্য করা আর এক জিনিস। আপনার ভাললাগার কাজই যদি দিনের পর দিন চোখ রাঙিয়ে বা মেরেধরে করতে বাধ্য করা হয় সেই কাজ করতে আপনার আর ভাল নাও লাগতে পারে। অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে এবং আমার কয়েকজন ল্য়াবমেটের ক্ষেত্রে  এমনটাই হয়েছিল। সুপারভাইসার শুক্রবার সন্ধ্যায় অনেক কিছু কাজ দিয়ে যেতেন, আর সোমবার সকালে সেই কাজের রিপোর্ট নিতেন। প্রতি উইক এন্ডে এরকমটা করতেন বললে অবশ্য মিথ্যা বলা হবে। 

    hu এর বাকি বক্তব্যর সাথে একমত। 
  • syandi | 45.250.246.208 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৩৭736173
  •  একটা কথা বলি এই প্রসঙ্গে - সেটা হল ইণ্ডিয়ার রিসার্চ ইনস্টিটুটগুলোতে আ্য়াডভাইজাররা প্রচন্ড খাটায়, মেন্টাল টর্চার করে, উইকেন্ডে কাজ করতে বাধ্য করে (সকলেই নয়) সবই সত্য়ি। কিন্তু যেমনটি Joshita Ghoshal বলেছেন যে বাড়ির কাজ করায়, হাট-বাজার বা ব্যাংকের কাজ করায় বা বাচ্ছাকে স্কুল থেকে আনার দায়ীত্ব দেয় এরকমটা শুনিনি বা দেখিওনি। এগুলো ঘটে সম্ভবতঃ ইউনিভা্রসিটিগুলোতে অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম কুলীন জায়গাতে। কিছু স্টুডেন্টও থাকে তৈলপ্রত্য়াশী অধ্য়াপকের পদে তৈলমর্দনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::e1:10e9 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৯736174
  • উইকেন্ডে বা দিনে অনেকক্ষন কাজ করাচ্ছে মানেই দারুন কাজ হচ্ছে এইটা খুব ভুল ধারণা। অনেকসময় জাস্ট প্রোগ্রামটা রিগরাস রাখার জন্য আজে বাজে কাজ করানো হয়। যে কাজের আদৌ কোনও আউটপুট নেই, জোড় করে সেই কাজ করানো হয়। একটা সমস্যার দুটো ইকুয়ালি ভ্যালিড সলিউশান আছে - একটা করতে দুঘন্টা লাগবে, আরেকটার জন্য দুইতিনদিন ধরে কাজ করতে হবে। কোনটা করানো হবে, বুঝতেই পারছেন। আর তাছাড়া পিএইচডি স্টুডেন্টদের অনেকেরই ফ্যামিলি ইত্যাদি থাকে, ফলে সপ্তাহে আশি ঘন্টা ইস্কুলে সময় দেওয়া সম্ভব না।
  • hu | 2603:6011:6506:4600:5ce:d0e5:6555:5a94 | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৫736175
  • হ্যাঁ, উইকেন্ডে কাজ করা তো অবশ্যই ইচ্ছানির্ভর হওয়া উচিত। আমার ক্ষেত্রে দেখতাম অ্যাডভাইসরও কাজ করতেন। উনি বলতেন সারা সপ্তাহ পড়াতে হয়, অফিসে থাকলে কখনো স্টুডেন্ট আসছে, কখনও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করতে হচ্ছে। নিজের কাজে ফোকাস করা যায় না। উইকেন্ডে বা উইকডেতে রাতের দিকে কাজ ভালো হয়। আমার নিজেরও উইকেন্ডে তেমন কিছু করার থাকতো না। কাজই করতাম। আবার কখনও ইচ্ছে না হলে করতাম না। যার যেভাবে কাজের সুবিধে।
  • যোষিতা | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০৯736176
  • syandi
     
    না, উনি ছিলেন সায়েন্স কলেদের রিডার, ডঃ দাস।
    ১৯৭২/৩ সালে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ কম কুলীন ছিল না।
    মঞ্জুদিদি (গবেষক) তখন প্রায় সাতাশ আঠাশ বছর, বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাপ দিচ্ছে, কিন্তু মঞ্জুদিদি রিসার্চ শেষ না করে বিয়ে করবেন না ঠিক করেছিলেন। 
  • যোষিতা | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১০736177
  • কলেজ, চাপ
     
  • একক | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৪736193
  • আমি পিএইচডির কিস্যু জানিনা। ওই জগত থেকে বহু বহু দূরে। আমার বেসিক বক্তব্য পশ্চিম্বঙ্গের কেপিয়াই সিস্টেম ও পারসেপশন নিয়ে।
     
    দুহাজার চার থেকে কুড়ি রাজ্যের বাইরে ছিলুম। ফিরে দেখি অনেক চকচকে বোলচাল এলেও গোদা ব্যাপার টা ষোল বছরে কিছু পালটায় নি। অর্থাৎ,  ম্যানেজার কিভাবে তার এম্পলয়ি দের পারফরম্যান্স মেজার করে। 
     
    সারাদিন সালারা ঢিলিয়ে ঢিলিয়ে চলে। সন্ধে থেকে কাজের ধুম লাগে। যে যতক্ষণ থেকে যেতে পারবে সে তত ভালো ,  সে তত কাজের। 
     
    আপনি প্রপারলি রিপোর্ট বানিয়ে মেইল করে দিলেন। একনলেজ করার অভ্যেস নেই। দেখা করে চাট্টি ভাট বকে এলেন, একই কুমিরছানা দশবার দেখালেন। ভাববে অনেক কাজ হচ্চে। 
     
    অমুক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না,  দেখা করেনা ------- ইট ম্যাট্যারস মাচ মোর দ্যান অমুক কী কাজ করচে। 
     
    এসব বলতে গেলে মহাভারত হবে। পারফরম্যান্স বোঝার কোন  স্টান্ডারড স্ট্রাকচার বা প্র‍্যাক্টিস এ অভ্যস্ত নয় এই রাজ্যের লোক।  
     
    সব ই চলচে " রিলেশন " এ। আর রিলেশনের নামে হাজারো বালবাজারি। 
  • যোষিতা | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫১736197
  • ওপরের পোস্টটাকে হাজার হাজার ক। সঠিক সামারি।
  • যদু | 2601:5c0:c280:4020:6d6b:c8f6:d834:3992 | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫০736200
  • @ এককঃ কেপিআই এর ফুল ফর্ম কি? আমি আবার ওইদিকের কিছুই জানি না। 

    তবে হ্যাঁ আগেও যেটা বলছিলাম যে এই শোষণের বা অত্যাচারের গল্পটা নতুন বা অভিনব নয়। সে আপনি চাকরি ক্ষেত্রে দেখুন বা উচ্চশিক্ষায়। অযোগ্য মানুষের হাতে গাইড করার, "ম্যানেজ" করার দায়িত্ব পড়লে, এবং তার থেকেও বড়ো কথা -- তাদের মানবিকতার বা বেসিক মানবাধিকার সম্বন্ধেও অবজ্ঞা বা অনভিজ্ঞতা থাকলে এ জিনিষ হয়। আর স্যাডিস্ট লোক তো কিলবিল করছে। 

    এবার এরকম ঘটনা কি অ্যাকাডেমিয়ায় বেশী, অন্যত্র কম? এই প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া শক্ত। আমার মনে হয় যে অ্যাকাডেমিয়ায়, সে দেশে হোক বা বিদেশে, এই যে ওভার-ওয়ার্ক নর্মালাইজ করা হয়, ভিকটিম-ব্লেমিং-ই রুটিন, এবং সিরিয়াল অ্যাবিউজার-দের ক্ষমতা সীমাহীন এবং তারাও যা ইচ্ছে তাই করে ছাড় পেতেই অভ্যস্ত, এইসব এবং আরও অনেক ম্যাল-প্র্যাকটিশ নিয়ে কথা বলার দরকার আছে। এরকম অবস্থায় যেতে হবে কেন যেখানে একের পর এক ছাত্র একটা ব্রোকেন সিস্টেমের ধাক্কা খেতে খেতে একেবারে খাদের ধারে চলে যাবে আর সাঙ্ঘাতিক একটা ঘটনা না ঘটা অব্দি কারুর টনক নড়বে না? 
  • যোষিতা | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৬736201
  • key performance indicator
  • Somnath Roy | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৫৫736202
  • অ্যাকাডেমিয়া মূলতঃ রিলেশনশিপের ওপর দিয়েই চলে। সারা পৃথিবীতেই তাই।
  • যদুবাবু | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৬736203
  • হ্যাঁ সেই রিলেশনশিপে যদি এক পক্ষ আরেক পক্ষের থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী হয় বা ক্রমাগত abuse করে, যেটা এখানে হচ্ছে অনেকদিন ধরে, সেটা আটকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা থাকা দরকার বৈকি, accountability র দরকার। 
  • :|: | 174.251.162.12 | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৭736204
  • ঠিক, শুধু অ্যাকাডেমিয়া না সো কিছুই সম্পর্ক ভিত্তিক। নাচ গান নাটক তবলা সেতার ইত্যাদির সর্বত্রই। ভালো সম্পর্কের জন্য ডাক্তার হাসপাতালে ব্যবস্থা হয়। শ্মশানেও কি আগে লাইন পাওয়া যায়? এখনও জানিনা।  যাই হোক বোধহয় সেইজন্যেই কবি শুরুতেই রিলেশনশিপের উপর জোর দিতে বলেছেন -- বসুধৈব কুটুম্বকম। 
    এখন আত্মীয়কুটুমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা অবশ্যই আলাদা পরিসর দাবী করে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন