এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্যান্য

  • ঘ্যাঁক করার পরে

    অম্লানকুসুম চক্রবর্তী
    অন্যান্য | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২৭৮৭ বার পঠিত | রেটিং ১.৮ (৪ জন)

  • সামনে বসা লোকটি হঠাৎ প্রবল আনন্দে এক হাত ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, “বেশ হয়েছে।”

    মেট্রোরেল সবে দমদম থেকে সুড়ঙ্গে ঢুকেছে বেলগাছিয়ার দিকে। এমন হাঁক শুনে পাশে বসা মানুষেরা কান থেকে ইয়ারফোনের প্লাগ খুলে নিলেন ঝটিতি। কৌতুহলী চোখ। লোকটি ফের বলে উঠলেন, “দুলকি চালে কুকুর নিয়ে ঘোরার সময় মনে থাকে না? শাবাশ, জজসাহেব, শাবাশ। এবারে লোকগুলোর আদিখ্যেতা কমলে হয়।”

    বুঝতে পেরেছিলাম, ভদ্রলোকের উত্তেজনা আসলে হাতে ধরা খবরের কাগজের জের। পাতাটি টেনে নিলাম। ইংরিজি দৈনিকের কোন সংবাদের জন্য লোকটির পরমানন্দ, তা আঁচ করে নিতে বেগ পেতে হল না। আনন্দের মূলে এক রটওয়াইলার। নামটি আমিও প্রথম জানতে পারলাম জীবনে। ইহা এক সাহেবি সারমেয়। তেরো বছর আগে এই কুকুরটি এক বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধকে তিনবার কামড়ে দেয়। ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ। সারমেয়টির মালিক ছিলেন এক ব্যবসায়ী। এই ত্রিফলা দংশনে বৃদ্ধ রক্তাক্ত হন। এক দশকেরও বেশি সময় পরে বিচার পেলেন তিনি। তিন মাসের জেল হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। আদালত বলেছে, “রটওয়াইলারের যেহেতু হিংস্র স্বভাব, তাই অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পশুটিকে সামলানোর দায়িত্ব মালিকের উপরেই বর্তায়।” বুঝতে কষ্ট নেই, এই দায়িত্ব সেদিন বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগীর অবশেষে বিচার মিলল। ইতিমধ্যেই আনন্দ সংবাদটি রাষ্ট্র করে দিয়েছিলেন “বেশ হয়েছে” উক্তির মালিক। ভিড়ে ঠাসা মেট্রোরেলে এই আনন্দধ্বনি কোরাসের রূপ নেয় মুহুর্তে। গন্তব্য স্টেশনে না নেমে যাওয়া অবধি এই এক গাল হাসি লেগেছিল বহু সহযাত্রীর মুখে।

    আমার কাকুস্থানীয় এক ব্যক্তি আছেন, যিনি তাঁর বংশপরিচয় দেওয়ার সময় বলেন, “পরিবারে আমি আছি, স্ত্রী আছেন। আর আছে আমার তিন সন্তান।” এই বাজারে তিন সন্তান শুনে লোকের ভ্রু কুঁচকে গেলে তিনি বিষয়টির খোসা ছাড়ান। খোলসা করে বলেন, “না না যা ভাবছেন তা নয়। আমার নয়নের মণি আমার মেয়ে আর দুটি প্রাণাধিক প্রিয় চারপেয়ে—জন্টি আর মন্টি।” প্রাণপ্রিয় সারমেয়রা কারও দিকে তেড়ে গেলে কাকুকে বলতে শোনা যায়, “নিশ্চিন্তে থাকুন। ও কিছু করবে না।” আদুরে গলায় জন্টি মন্টিকে বকেন, “ডোন্ট টাচ সোনা, ডোন্ট টাচ। কাম হিয়ার।” এর মধ্যে অবশ্য দুটির কোনও একটি, নিজের পিছনের দুপায়ে ভর দিয়ে সামনের অপরিচিত লোকটির কাঁধ অবধি বাড়িয়ে দিয়েছে থাবা। এহেন উৎপাতে অপরিচিতরা ভয়ে কাঁপতে থাকেন। আর “অ্যাই হ্যাট্” বলে গর্জন করে উঠলে কাকু এর দ্বিগুণ ডেসিবেলে গলা শানান—ভদ্রভাবে কথা বলতে শিখুন মশাই। আমি তো বলেছি ও কিছু করবে না। জন্টি মন্টি প্রভুর কাছে ফিরে এলে মাথায় ভাল করে মালিশ করে দিয়ে বলেন, “জিতে রহো বেটা।”

    পুষে রাখা সারমেয়র যত্ন কিভাবে করা যায়, তা নিয়ে প্রায়ই পড়ি খবরের কাগজে। কালীপুজোর রাতে বাজির প্রবল আওয়াজে বাড়ির কুকুরটি যেন ভয় না পায়, জানালার সামনে মাইক বাজিয়ে ডিজে সঙ্গীত হলে প্রিয় সারমেয়টি যেন আতঙ্কিত না হয়, তা নিয়ে বহু টোটকা দেন পশু বিশেজ্ঞরা। হৃদযন্ত্রের সমস্যার ভোগা আপনার মানুষ-প্রিয়জনকে এই অত্যাচারের হাত থেকে থেকে কিভাবে নিরাপদ রাখা যায়, তার তুলনায় অনেক বেশি নিউজপ্রিন্ট খরচ হয় পোষ্যের যত্নের সন্ধানে। কিন্তু ঘরে পুষে রাখা অবাধ্য পশুকে কিভাবে লাগাম দিতে হয়, তা নিয়ে চোখে পড়ে না কিছু। অন্যের শরীরে দাঁত বসিয়ে দিলেও দিনের শেষে সেই সারমেয় ‘অবলা’ই থেকে যায়।

    রুটিরুজির যোগাড়ে যে অঞ্চলে অফিস করতে যাই রোজ, তা তিলোত্তমা শহরের অত্যন্ত অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত। এক বাহারি বাড়ি পাশের অন্য এক অট্টালিকাকে দশ গোল দেয়। তার গায়ে লেগে থাকা বাংলো আবার ওই অট্টালিকাকে বলে, কবে যে বড় হলাম চুপিসাড়ে। বিশালবপু বাড়িগুলোর সামনের রাস্তায় থুতু ফেলা মানা। দু কোয়া কমলালেবু মুখে পুরে খোসাটা ফুটপাতে ফেলার পর এমনই এক বাড়ির ব্যালকনি থেকে উড়ে এসেছিল, “রাস্তা নোংরা করছেন, লজ্জা করে না?” গলা উঁচিয়ে দেখি, হট প্যান্ট পরা কোনও এক কলেজ পড়ুয়া। মাথা নামিয়ে নেওযার পরে আরও দুটো কথা ঝরে পড়েছিল বর্ষার রাস্তায় ইস্তিরি ভাঙা প্যান্টে কাদা ছিটকে আসার মতো। “যত্তসব মিডলক্লাস।” তবে ওই রাস্তাতেই প্রতি কুড়ি পঁচিশ ফুট অন্তর দেখেছি সারমেয়র বিষ্ঠা। যে সময়ে অফিস যাই, সেই রাস্তাতে প্রতিদিন দেখি প্রাতঃভ্রমন করতে আসা বিদেশি ব্রিডের কুকুরবাহিনীকে। মর্নিং ওয়াক আর প্রাতঃকৃত্য একই সময়ে চলে। গলায় বেল্ট বাঁধা কুকুর আর ওই বেল্টেরই অপর প্রান্ত ধরে থাকা মনিব—কে যে আসলে কাকে টানে বুঝতে পারি না। তবে দেখেছি, সারমেয় এবং তার মনিবের গতিপথ হয় অনেকটা সাইন কার্ভের মতো, কিংবা প্রবল অস্থির কোনও শেয়ারের মতো। কোনও এক নিয়ম আছে হয়তো। প্রভুভক্ত কুকুর প্রভুর বাড়িটিকে চেনে বেশ। তাই প্রাতঃকৃত্য সারতে ভালবাসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ছেড়ে দিয়ে। ফলে আগরওয়াল প্যালেসের গোল্ডেন রিট্রিভার নিজেকে আরাম দেয় ঘুটঘুটিয়া ম্যানসনের সামনের ফুটপাথে। আবার একই যুক্তিতে চামারিয়া ভবনের ল্যাব্রাডর হাল্কা হয় ঝুনঝুনওয়ালা ভিলার সামনের রাস্তায়। মনিবদের মধ্যেও হয়তো এ নিয়ে কোনও অলিখিত বোঝাপড়া আছে। কুকুরের মনস্তত্ত্ব নিয়ে যাঁরা মাথা ঘামান, গরমকালে ঘরের এসির তাপমাত্রা কুড়ি ডিগ্রির জায়গায় সারে বাইশ ডিগ্রি রাখা হলে পোষ্য সারমেয়টির মন একটু বেশি ভাল থাকে কি না তা নিয়ে যাঁরা পাঁচশ শব্দের নিবন্ধ লিখে ফেলেন, তাঁদের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর খুব জানতে ইচ্ছে করে। ছোট বাইরে করার জন্য গাড়ির চাকাগুলো কেন সারমেয়দের এত প্রিয় তা গুগলকে শুধিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। দুনিয়ায় এত বস্তু থাকতে কি আনন্দে গাড়ির চাকাগুলো কুকুরদের চুম্বকের মতো টেনে ধরে তা ভাবতে বসলে আমার বিস্ময় ইউক্যালিপটাস গাছের মতো আকাশ ছুঁতে চায়। প্রভুভক্ত সারমেয় তার মনিবের বাড়িটির মতো গাড়িটিও চেনে বিলক্ষণ। তাই যে জন্টি সাদা মার্সিডিজে চড়ে, সে মূত্র ছুঁড়ে দেয় অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও কালো বিএমডব্লিউয়ের চাকায়। আবার নীল জাগুয়ারের জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আকাশ দেখে যে মন্টি, সে হয়তো সিক্ত করে কোনও ধূসররঙা রেঞ্জ রোভার গাড়ির চাকাকে। বুঝতে পারি মালিকের প্রতি এই ভালবাসায় জন্টি-মন্টিদের খাদ নেই কোনও।

    এমনই এক মনিবের থেকে জানতে পেরেছিলাম তাঁর প্রিয় চার্লির ক্রমশ বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার কথা। গরম লাগলে সে রেফ্রিজারেটরের সামনে গিয়ে থাবা দিয়ে খটখট করে। এক মিনিট ফ্রিজের দরজাটা খুলে রাখতে হয়। তাহলেই ‘কুল’ হয়ে গিয়ে চার্লি তাঁকে আদর করে দেয়। শুনেছিলাম, স্মার্ট টিভিতে ওর প্রিয় ‘চ্যানেল’ নেটফ্লিক্স। চার্লির প্রিয় ওটিটি সিরিজও নাকি আছে কিছু। পরিচ্ছন্নতাবোধ প্রবল। ডিওডোরেন্টের গন্ধ নিতে পছন্দ বেশ। আর ঘরদোর নোংরা করতে নাকি একেবারে পছন্দ করে না। প্রিয় পোষ্যের পরিচ্ছন্নতাবোধ নিয়ে বহু চার্লির মালিকেরা কলার তোলেন। বাড়ি ‘পরিচ্ছন্ন’ রাখার বিষয়টা অনুমেয়। তাই যে যাঁর পোষ্য নিয়ে সকাল সন্ধ্যেয় দিব্যি বেরিয়ে পড়েন রাজপথে। প্রভুভক্ত সারমেয় তার প্রভুকে খুশ্ রাখে দিব্যি। আর শপিং মলে পেট-ফুডের বিল বাড়ে।

    ইংরিজিতে দেওয়া নির্দেশ ‘মানুষের চেয়েও বেটার’ বুঝতে পারা যে বুদ্ধিমান কুকুরেরা রাস্তা নোংরা করতে চায়, তা নিয়ে তাদের প্রভুদের কোনওদিনও বাধা দিতে দেখিনি। চারপেয়েরা এই অপকম্মোটি করার সময় সঙ্গে থাকা ব্র্যান্ডেড ক্যাজুয়ালস পরা দুপেয়েরা আকাশের দিকে চেয়ে থাকেন উদাসভাবে। তিরিশ সেকেন্ড পরে সম্বিত ফিরে পান। এক পুলিশ কিয়স্কের পাশের দেওয়ালে তাঁর জার্মান শেফার্ডকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াচ্ছিলেন এক মনিব। একটু আগেই পৌরসভা থেকে ঝাড় দিয়ে যাওয়া রাস্তা নোংরা হল জলদি। কিয়স্ক থেকে পুলিশবাবু বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “শেফার্ডটা কত পড়ল স্যার? কোথা থেকে নিলেন?” আইফোনে আঙুল চালাতে চালাতে প্রভু মুচকি হাসলেন। উত্তর দিলেন না। পুলিশবাবুও ফের ঢুকে গেলেন কিয়স্কে। এই লোকটিই সূর্য ডোবার পরে হয়তো তক্কে তক্কে থাকেন। আড়ালে আবডালে কত লোক রাস্তা নোংরা করে। একটু চেপে ধরলেই পঞ্চাশ-একশো পকেটে ঢুকে যায়।
    দামি সারমেয়রা তাদের (ত-এ চন্দ্রবিন্দু লাগালেও মন্দ হতো না) মনিবদের প্রাণ ভরে, লেজ দুলিয়ে ভালবাসা দিক। দিতে থাকুক নিরন্তর। এটা প্রভুদের প্রাপ্য। জন্টি-মন্টি-চার্লি-লাভলি-রন্টিরা রাস্তায় যেখানে খুশি আলপনা-পাহাড় তৈরি করুক। এটাও শহরের প্রাপ্য। জুতো বাঁচিয়ে চলা আমাদের তাতে যে সত্যিই কিছু যায় আসে না। তবে পিলে চমকে ওঠে বিদেশি নবাবদের হঠাৎ উথলে ওঠা ভালবাসায়। রাস্তায় অফিসমুখো এই অধমকে দেখলেই তাদের কেউ কেউ আমার দিকে ছুটে আসতে চায়। আমায় শুঁকতে চায়। পায়ের ডগা থেকে হাঁটু, হাঁটু থেকে কোমর অবধি আমায় মাপে। ক্রমাগত গন্ধ শোঁকে। আমার মধ্যে কি যেন খুঁজতে চায়। গরর্-গরর্ করে। রাগী চোখে দেখে। প্যান্টটা হাতিবাগান থেকে কিনেছি বলেই কি এত রাগ? আর একটু হলেই হয়তো ভালবাসার আঁচড় পড়তো গায়ে। প্রভু “কাম হিয়ার” বলে আমার প্রাণ বাঁচিয়ে দেন, সেদিনের মতো। দৈববাণী শুনতে পাই, “ও কিছু করবে না।” আমার কপালে ঘাম। রুমালটা বের করে নিই।

    আদালতের এমন বিচারও আমার ঘাম মুছিয়ে দেয়। প্রবল ঘেউ ঘেউ করা চতুষ্পদরা আমার কাছে ঘ্যাঁকাসুরের থেকে বেশি কিছু হয়ে উঠতে পারল না এ জীবনে। এ আমারই পরাজয়। জানি, আমার মতো আরও বহু ভীরু আছেন এ ধরাধামে। ঘ্যাঁকের পরে ঘ্যাঁক যোগ হয়ে যে মানুষদের চামড়া ভেদ করে ঢুকে যায় দাঁত, তারা হয়তো এমন খবরে একটু হলেও নিরাপদ বোধ করবেন।

    মুম্বইয়ের ওই বৃদ্ধও হয়তো শুনেছিলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়া আছে। ও কিছু হবে না।”



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্যান্য | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২৭৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Suman Mukherjee | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৭516435
  • সারমেয়নীজ মাখানো লেখাটি জম্পেশ লিখেছেন। 
  • | 2402:8100:25c6:dc26:7830:87ea:bd0d:3118 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৫516439
  • সব খারাপ | কুকুর খারাপ , তাদের যারা পোষে তারা খারাপ ,মার্সিডিস খারাপ , রেঞ্জ রোভার খারাপ , টাকা তো আরো খারাপ যতদিন নিজের না হচ্ছে। 
    সবচাইতে ভালো হচ্ছে লালুরা |
  • sch | 115.187.62.237 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:১২516443
  • ধরুন কালই  কলকাতায় একটা তুরষ্কের মতো ভূমিকম্প হল - খুব সম্ভব - আর্থকোয়েক জোন ৪ এ রয়েছে শহর কলকাতা। আপনার আধমরা শরীর  আর আপনার বউ বাচ্ছার লাশ চাপা  পড়ে আছে এক বহুতলের নিচে। এই স্নিফার ডগই কিন্তু আপনার শরীরটা খুঁজে বের করতে পারে। আর তাদের দেখানো পথ ধরেই আপনার শরীরটা খুঁযে বের করতে পারে উদ্ধারকারীরা।   বিশ্বাস হচ্ছে না তো? 
    তা ওদেরকে তখন বলব তো এই মালটাকে খুঁজে বের করার দরকার নেই - এ পাথলোজিকাল ডগ হেটার? 
    এই সব আবাল্পনা পাড়ার চায়ের দোকানে করবেন বা রাতে বিছানায় করবেন - তারিফ পাবেন - পাবলিক ফোরামে করেন কেন
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৫০516445
  • আমাদের বাড়িতে একাধিক দেশীয় পোষ্য থাকতোই। খুব ছোটবেলায় তখনো ৭১এর যুদ্ধের স্মৃতি বড়দের মনে তাজা - আল্হাদের কুকুরদের নাম হত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিদের নামে। আমাদের ছিল জিয়া আর ভুট্টো। পুকুরপাড়ে মাচা বানিয়ে তার ওপর পুরনো পিচের ড্রাম চাপিয়ে দাদুর বাগানের যন্ত্রপাতি রাখার আউটহাউস থেকে অদ্ভুতদর্শন বেলচা পিচফর্ক এইসব এনে সাবমেরিন তো বানানো হল, কিন্তু সাবমেরিনের ভোঁ হবে কী করে? জিয়া বা ভুট্টো কে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফুসলে এনে তাদের ল্যাজ ধরে মৃদু মোচড়জনিত আওয়াজকে মনে হল উপযুক্ত। আর দেশি কুকুররা মানবশিশুর বদামিগুলিকে নিতান্ত স্নেহের চোখে দেখে।
    বাঘাযতীনের ভিকি যেমন সঞ্জীব আর সরিতার হাজার কান টানা পিঠে চড়ে বসা নিয়ে কোন আপত্তি করেনি, সে এমনকি ঠিক পোষাও ছিল না।
    আর উদয়পুরের গাবলু বাহাদুর তো প্রায় শৈশবের নিশ্চিন্দিপুরের আত্মা।

    তবে সেসব কোন কথা না। আমাদের জনৈক বিলিতি সারমেয় ছিল ভয়ানকদর্শন জ্যাক, আজকাল সবাই জার্মান শেফার্ড বলে, তখন অ্যালসেশিয়ানই বলতো। জ্যাক যেদিন আমাদের গৃহশিক্ষক শিবু স্যারকে কামড়ালো সেদিন আমরা চার পোড়োর মহা মহা ফুর্তি। আশা ছিল শিবু স্যার কিছুদিন অন্তত দূরত্ব বজায় রাখবেন, কিন্তু তিনি পরদিনই আবার সময় মত পড়াতে চলে আসেন, তবে সেইসব মর্মবেদনা ও আশাভঙ্গ নিয়েই আমাদের শৈশব।
    এছাড়া জ্যাক কাউকে কামড়ায়নি, তবে ভয় দেখিয়ে তাড়া করে পাড়াছাড়া অনেককেই করেছে। সেসব দিনকাল অন্যরক্ম ছিল তাই সেসব নিয়ে তেমন কোন ঝামেলা হয়নি।

    কিন্তু সে যেদিন এক পথভ্রষ্ট গোরুকে কামড়ালো আর গোরুর মালিক বাড়ি এসে অভিযোগ করলেন, তখন খুবই অশান্তি হয়েছিল। তারপরের ইতিহাস করুণ।

    মানে, সত্যিই করুণ। সেসব এখন থাক।

    পোষ্য রাখতে গেলে দায়দায়িত্ব নিয়ে সচেতন হতে হয়। কিন্তু অনেক লোকই পোষকে স্টেটাস সিম্বল বা খেলার পুতুল বা শো অফ করার জিনিস হিসেবে ধরে নেন। তাতে গোলমাল হয়। অনেকেই আবার নিজেদের পশুপ্রেম অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চান। সেও এক মহা আপদ জিনিস। রাস্তার কুকুরকে বিস্কিট খাওয়াতে আমি ভালোবাসি, কিন্তু মধ্যরাতে বেপাড়ার অ্যাগ্রেসিভ কুকুরের দল কি ভয়ানক বস্তু - সে অভিজ্ঞতাও আছে।
  • তোমার মন নাই, কুসুম?  | 2607:b400:24:0:7406:32e2:70a3:183 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৫৭516446
  • Comic Books / Good Angel Bad Angel - TV Tropes

     
     
  • kk | 2601:14a:500:e780:b97f:4ad3:8cbc:ca5a | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:০৭516447
  • লেখকের পার্সপেক্টিভ যাইই হোক না কেন সার্কাজম কিম্বা ড্রাই হিউমারও কিছু লেখাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারে। এখানে পারলো না। এই লেখায় যেটা সবথেকে বেশি অনুভব করলাম তা হলো লেখকের ইনসিকিউরিটি। কমেন্ট্স সেকশনের দ্বিতীয় পোস্টের সাথে একমত হলাম।
  • &$# | 121.200.237.26 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪৯516448
  • কুকুর মানুষের বড়ো বন্ধু। ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ থেকে আরো বহু কাজে আসে। খুব সত্যি কথা। কিন্তু তা বলে সেই স্নিফার ডগ এসে কাউকে কামড়ে দিলে কারোর নিশ্চয় ভালো লাগবে না ? 
     
    দোষটা আসলে কুকুর এর নয়। বাকি সব জিনিসের মতোই এখানে ও বেসিক দোষটা হলো সভ্য দেশ গুলোর সাথে ইন্ডিয়া র মানুষের সিভিক মেন্টালিটির আকাশপাতাল তফাৎ। বাইরের দেশে রাস্তায় কুকুর হাঁটাতে গেলে সঙ্গে পুপ ব্যাগ রাখা মাস্ট। নিজের কুকুর রাস্তায় বা প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে পটি করলে মালিক কেই নিজে সেটা পুপ ব্যাগে ভরে ট্র্যাশ বিনে ডিসপোস করতে হবে- সে ভবঘুরে হোক ছাপোষা মিডল ক্লাস হোক কি মিলিওনিয়ার। নাহলে কেউ যদি কাউন্সিল এ কমপ্লেন করে ছবি তুলে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে দেয় ফুটেজ সমেত- কয়েকশো ডলার ফাইন। সিম্পল। 
     
    এমনকী এটাও দেখেছি পটি না করলেও কেও যদি সঙ্গে ব্যাগ ছাড়া হাঁটাতে বেরোয় পুলিশ একশো ডলার ফাইন করেছে। একই ভাবে কুকুরকে লিশ ছাড়া হাঁটানো বারণ এনক্লোজ্ড ডগ পার্ক ছাড়া। কুকুর কাউকে কামড়ালে মালিক কে পুরো মেডিকেল খরচ দিতে হয়-এমনকি অন্য কুকুরকে কামড়ালেও। সেরকম এগ্রেসিভ কুকুর হলে কাউন্সিল থেকে সোজা কেড়ে নিয়ে ইউথানাইজ করা হয়। অনেক ব্রিড পোষাই পুরো ব্যান। 
     
    সকালে বিকেলে দিব্যি দেখা যায় একহাতে কুকুরের চেন আর এক হাতে পটি ব্যাগ নিয়ে গাদা গাদা লোকে হাটছে। বাড়ি গিয়ে বিনে ফেলে দেবে। রাস্তা দিব্যি পরিষ্কার থাকে। 
     
    আইন সিম্পল। নিজের বাচ্চা হোক বা নিজের কুকুর - যাই হোকনা কেন - দায়িত্ব নিজের। সরকারের বা অন্য পাবলিকের নয়। সে দায়িত্ব নিতে না পারলে আনবেন না বা পুষবেন না। নিজের নুইস্যান্স অন্যের ঘাড়ে চাপাবেন না। 
     
    ইন্ডিয়া তে এই সিম্পল জিনিসটাই ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব নয় কারণ আমাদের মেন্টালিটি ই আদতে সভ্য নয়। কোনোদিন সভ্য হবেও না। 
  • :|: | 174.251.160.146 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩৭516450
  • কুকুরের ইউটিলিটি সম্পর্কিত একটি ​​​​​​​কাহিনী: 
    আর গাড়ির চাকার সঙ্গে ওঁদের সম্পর্কের প্রশ্নটা আবাপকে করলে উত্তর পেতেন হয়তো: 
    আবাপের সার্চে গিয়ে কুকুর সম্পর্কিত বেশ ভয়াবহ কাহিনী সমূহ পড়া হলো। বাপ্রে! 
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৩516453
  • আবাপের খবর ত নেট থেকে চোতা করা - গুগুল করে যদি কুকুর কেন টায়ারে হিসি করে এটা না জানা যায় তাহলে ধরে নিতে হয় যে গুগল করছে তার গুগল করার মতো যোগ্যতা নেই - chatgpt চেষ্টা করে দেখতে পারে - ওখানে সহজ করে বলে দিয়েছে 
    Dogs have a strong sense of smell, and they use their urine to communicate with other dogs. When a dog pees on a tire (or any vertical surface), they are leaving their scent behind for other dogs to smell. This is a way of marking their territory and letting other dogs know that they have been there.
    Additionally, the texture and height of the tire may make it a convenient spot for a dog to lift their leg and pee. Dogs also tend to be attracted to the smells of rubber and other chemicals that may be present on a tire, which could make it even more appealing as a place to mark.
    It's worth noting that not all dogs will necessarily choose to pee on tires, and there may be other factors at play in a particular dog's behavior. But in general, the urge to mark territory and communicate with other dogs is a common reason why dogs might choose to pee on vertical surfaces like tires
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:০৫516455
  • ইউটিলিটির কথা ভেবে ভালোবাসা গোলমেলে। যেকোনদিন রিপ্লেস হয়ে যাবে। আর ট্রেনিং না থাকলেও চলবে না। আবু ঘ্রাইবের কুকুর এনে ডিটেনশন ক্যাম্পে বা আলালের ঘরের রটওয়েলারদের ভূমিকম্প বিদ্ধস্ত জায়গায় ছেড়ে দিলে মুশকিল হবে। 
     
    &$#  | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪৯ ভালো লিখেছেন। পোষা কুকুরের দায় মালিকের। 
    আর আমি কুকুর ভালোবাসি মানে অন্য কেউ তাকে অপছন্দ করতে পারবে না এমন আবদারের কোন মানেই নেই।
     
    আর অনেক দিন পর শ্চ। ধ্রুপদী, অপরিবর্তিত। গরম মেজাজ, গালাগাল, অভিশম্পাত।
     
    আর মূল লেখাটাও পোষালো না মোটেই।
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩১516456
  • র২হ
    ইউটিলিটি অজস্র - সাম্প্রতিক সহজ উদাহরণ দিলাম। যে সব মানুষের লেখায় "মানুষ ছাড়া আর সবই মিথ্যে" - জাতীয় মনোভাবের প্রতিফলন ঘটে, তাদের জন্য এই রকম সহজ উদাহরণ দিতে হয় - কারণ বাস্তু তন্ত্র কি তারা জানে না - সহাবস্থান শব্দটা অচেনা তাদের

    &$#  
    একদম কারোর কুকুর অপছন্দ করার ১০০% অধিকার আছে। কুকুরের মালিকের দায়িত্ব কি কি তা AWBI এর guideline এ পরিষ্কার বলা আছে, সেটা না জেনে যারা কুকুর পোষেন তারা ..................ওই তোশকের তলায় টাকা রেখেও তো অনেকে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান। 

    কিন্তু গোটা লেখার ছত্রে ছত্রে যারা কুকুর ভালোবাসে বা কুকুর পছন্দ করে বা পোষে তাদের প্রতি যে তীব্র বিদ্বেষ, শ্লেষ, বিদ্রূপ ছড়ানো আছে সেটা না বুঝতে পারলে তাকে সরল ন্যাকামি বলে
    হেলমেটে বল লাগালে পরের বলটা বাউন্ডারিতে ফেকতে হয় এটাই যে কোন লোকের সাধারণ বুদ্ধি বলে। ভাষার মোড়কে মোড়া বুদ্ধির চানাচুর পরিবেশন করলে খুব লাভ হয় না। পালটা টা পাওয়া যায় জানলে লেখক এরকম আবাল লেখা ভবিষ্যতে লেখার আগে ভাববেন। 
    গালাগাল একটাও করি নি - আবালপনা যদি গালাগাল হয় তাহলে নিমো গ্রামের গল্প থেকে আরম্ভ করে গুরুর একাধিক বই এই দোষে ব্যান খেয়ে যাবে তো
    সারা দেশে প্রতি মুহূর্তে dog abuse এর কতো ঘটনা ঘটে আর তার কতো শতাংশের সাজা হয় , এমনকি ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় এই ধরণের ঘটনার আদৌ কতোটুকু শাস্তির সুযোগ আছে - এগুলো জানলে এই লেখাটাকে আরো খেলো আর ব্যক্তিগত ঘেন্নার উদ্গার বলে সনাক্ত করতে সুবিধে হত 
      
  • &$# | 121.200.237.26 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৪১516457
  • এগেন কুকুর পছন্দ করা না করা আর এনিম্যাল এবিউস দুটো কমপ্লিটলি আলাদা সাবজেক্ট। একটার সাথে আর একটাকে মিশিয়ে লাভ নেই। যারাই কুকুর অপছন্দ করেন , তারাই যে ডগ এবিউস করেন- এই এসাম্পশন টারই আদৌ কোনো বেসিস বা প্রমান নেই। আর শ্লেষ  ​​​​​​​বিদ্রুপ অজস্র ​​​​​​​লেখায় ​​​​​​​থাকে। ​​​​​​​কেও ​​​​​​​সিপিএম ​​​​​​​এর ​​​​​​​বিরুদ্ধে তো কেও ​​​​​​​বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তো কেও হিন্দিভাষীদের ​​​​​​​বিরুদ্ধে - যে ​​​​​​​যার ​​​​​​​এজেন্ডার ড্রাম বাজায় আর ​​​​​​​কি। ওসব ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​বক্তব্য ​​​​​​​নেই। আর ​​​​​​​সভ্য ​​​​​​​দেশে ​​​​​​​এনিম্যাল ​​​​​​​এবিউস ​​​​​​​এর ​​​​​​​এগেনস্ট ​​​​​​​এও ​​​​​​​যথেষ্ট কড়া আইন ​​​​​​​থাকে। 
     
    বেসিক পয়েন্ট টা হল ইন্ডিয়াতে লোকের বেসিক সিভিক সেন্স বলেই কোনো সেন্স নেই। আর হবেও না কোনোদিন। নিজের কুকুরের পটি যে নিজে রাস্তা থেকে তুলে বিনে ফেলতে হয় শুধু এইটা শুনলেই বেশির ভাগ কুকুরের মালিক ভির্মি খেয়ে যাবে - তোলা তো অনেক দূরের গল্প। টাকার গরমে এদের ​​​​​​​বেশির ভাগের তো ​​​​​​​ধারণা ​​​​​​​বোধহয় ​​​​​​​এদের কুকুর ​​​​​​​রাস্তা ​​​​​​​নোংরা ​​​​​​​করলে পেছন ​​​​​​​পেছন ​​​​​​​মেয়র ​​​​​​​এর ​​​​​​​ঝাড়ু ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​ঘোরা উচিত। 
    ​​​
     
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:১৯516458
  • &$# |
    আপনাকে কে বলল "কুকুরের পটি যে নিজে রাস্তা থেকে তুলে বিনে ফেলতে হয় শুধু এইটা শুনলেই বেশির ভাগ কুকুরের মালিক ভির্মি খেয়ে যাবে"। potty scooper জিনিসটার নাম শুনেছেন? কলকাতারযে কোন এনিম্যাল রিলেটেড দোকানে পাওয়া যায় - ৪৫০ - থেকে ৮০০ টাকা দাম । ২০১৫ সাল থেকে আমাদের কুকুরদের ( না তারা নামকরা বিদেশী জাতের কুকুর না - নিতান্তই রাস্তা থেকে উদ্ধার করে সুস্থ করা দেশী কুকুর) নিয়ে হাঁটতে বের হই ওই পটি স্কুপার নিয়ে - রাস্তায় মলত্যাগ করলে তুলে নেওয়া হয় এবং যথাস্থানে ফেলা হয়। আমাদের বেড়ানোর সময় আরো কারো কারো হাতে দেখেছি। হয়তো ৯০% ব্যবহার করে এমন নয়  - তএব ২০-২৫% করে। সে তো ৯০% লোক প্যান্টের চেন খুলে রাস্তায় মোতাটা মৌলিক অধিকার মনে করে। সে বিষয়ে কি ভাবছেন
     
    কুকুর অপছন্দ আর abuse গোলাই নি।
    এই লেখাটায় যে ভাবে লোকের উল্লাসের কথা লেখা আছে সেটা গণ মনের প্রতিফলন ঘটানোর একটা চেষ্টা। যারা কুকুর পোষেন অনেকেই  কি ভাবে পাবলিক প্লেসে হ্যান্ডল করতে হয় ঠিক ভাবে জানেন। এরকম কিছু দুর্ঘটনা ঘটে থাকতেই পারে, যেভাবে গাড়ী চললেই লোক চাপা দেয় না।  -এই ভাবে যদি ডগ আবিউস নিয়ে কেউ লেখেন তাহলে প্রোবাবিলিটির বেসিসে একটা  dog hostilityর থেকে animal abuse এর সংখ্যা অনেক বেশী। সেটুকুই বলেছি
  • &$# | 121.200.237.26 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৫516459
  • এতো ৯০-% বা ২০-২৫ % ইত্যাদী আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বানানো স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে কোনো বক্তব্যও নেই , আগ্রহও নেই। আর ৯০-% লোক রাস্তায় ​​​​​​​চেন খুলে কিকরে ​​​​​​​বেড়ায় সেসব ​​​​​​​নিয়েও ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​বক্তব্য ​​​​​​​নেই- তবে কিনা ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​মেজরিটির  বেসিক সিভিক ​​​​​​​সেন্স ​​​​​​​এর ​​​​​​​গ্রস অভাবটাই ​​​​​​​প্রমান ​​​​​​​হয়। 
     
    বক্তব্যটা সিম্পল। কুকুর যাদের , সামলানোর এবং পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব টাও তাদের। যারা সেটা করে - খুব ভালো কথা -আনন্দের কথা । আর যারা করেনা - তারা বেসিক্যালি আনসিভিলাইজড। আর তাদের কুকুরপ্রেম যে বাকিদেরও অটো এডাপ্ট করতে হবে এমন কোনো আইন নেই বা দরকার নেই। এতে করে বাকিরা সবাই অটোমেটিক ডগ এবিউসার হয়ে যায় কিনা সেসব  আকাশকুসুম প্রোবাবিলিটির গোলকধাঁধায় ঢোকারও কোনো ইচ্ছে নেই। 
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩০516460
  • &$# 
    কেউ কিছু আডাপ্ট করতে বলে নি। মূল লেখাটার উদ্দেশ্য না বুঝে আবোল তাবোল বকে গেলে কিছু লাভ হয় না। তাকে বাল বাজারি বলে। শব্দটা অচেনা লাগলে আপনাদের শ্রদ্ধেয় মলয়দা কে জিগেস করে নেবেন। probability derive করা যায় নানা ভাবে - তা নিয়ে আলোচনা করা অবান্তর যে শব্দটা নতুন শিখেছে তার সাথে
  • &$# | 121.200.237.26 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৬516461
  • হ্যা। যুক্তিতে টান পড়লে গালাগাল দেওয়াটা ভালো শর্টকাট বোঝাই যাচ্ছে। :) 
     
    যাকগে। আর কোনো বক্তব্য নেই। আনরিলেটেড সমস্ত কনক্লুশন এও কোনো আগ্রহ নেই । যেটা বলার ছিল বলা হয়ে গেছে। হোয়াটআবাওট্যারি চলুক। কাটি। 
  • | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৪516463
  • লেখাটা বাজে। রম্যরচনা লিখতে চেয়ে থাকলে একেবারেই হয় নি। আর সাধারণ প্রবন্ধ হিসেবেও বাজে এবং মিসলিডিং। 
     
    রটওয়েলার, পিটবুল জার্মান শেফার্ড বর্ডার কোলি ইত্যাদি কুকুরের যথাযথ  ট্রেনিং দরকার। সেই ট্রেনিং অনেক মালিকই দেওয়ান না, সেটা মস্ত সমস্যা। এছাড়া হাই এনার্জি কুকুরদের নিয়মিত  ব্যয়াম সাঁতার দৌড় ইত্যাদি প্রয়োজন, মানসিক ব্যায়ামেরও প্রয়োজন হয়। এইটাও খুব কম মালিকই করান। ফলে দেখা যায় ইয়াম্মোটা  রিট্রিভার বারান্দা থেকে পেল্লায় চেঁচাচ্ছে। এবার ব্যয়ামের অভাবে এদের খুব দ্রুত আর্থারাইটিস ধরে, আরো নানারকম স্বাস্থ্যহানিকর অসুখ বিসুখ হয়। 
     
    এমনিতে বলে মানুষের সাত বছর মানে কুকুরদের এক বছর। মানুষের তুলনায় এমনিই কুকুররা স্বল্পায়ু, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়লে আরো আয়ু কমে। আর কুকুর প্যাকড অ্যানিমাল, বাড়ির এক সদস্যকে সে প্যাকলিডার হিসেবে আইডেন্টিফাই করে নেয়। সেই মানুষটি  অ্যাবিউজিভ প্রকৃতির হলে তার প্রভাবও কুকুরের স্বভাবে পড়ে। 
     
    কুকুরকে পি এন্ড পটি ট্রেনিং দিয়ে বাথরুমেই করানো সম্ভব।  কিন্তু সেটা অনেক মালিকই করান না। ফলে রাস্তায় ঘাতে করে। এবার তাতেও সমস্যা হত না যদি মালিক সেটি সংগ্রহ করে রাস্তার বিনে ফেলে আসেন। কিন্তু ঐ যে&$#  বলেছেন সিভিক সেন্স বা সহনাগরিকের প্রতি সৌজন্যবোধ, সেটির এতই অভাব যে পারলে নিজেরাই রাস্তায় সর্বস্ব ত্যাগ করে আসে তো আর কুকুর। আর হ্যাঁ রাস্তায় কমলালেবুর খোসা ফেলাটাও ঐ সিভিক সেন্সেরই তুমূল অভাব। 
     
    কুকুররা একটু ক্লাসিস্ট আছে বাপু। smiley​নোংরা ছেঁড়াজামা পরা মানুষ, পিঠে ব্যাকপ্যাক নেওয়া মানুষ ইত্যাদি দেখলে তাদের থ্রেট মনে করে তেড়ে যাবার প্রবণতা আছে। এইখানেই আবার আসে ট্রেনিংএর গুরুত্বের কথা। মানুষের মতই কুকুরকেও 'নো মিনস নো' শেখানো প্রয়োজন। শক্ত গলায় না বললে যদি না থামে বুঝতে হবে ট্রেনিংএ গোলমাল বা পুরো হয় নি। তবে ট্রেনড কুকুর যদি না বলার পরেও না থামে এবং  আগ্রাসি মনোভাব দেখায় তাহলে সেটা জেনুয়িন থ্রেট বলেই মানতে হবে। কুকুররা (বা অনেক প্রাণীই) অনেক কিছু সেন্স করতে পারে। কুকুর অনেকসময় মানুষের অসুস্থতা মানুষের আগে বুঝতে পারে, সধ্যমত জানানোরও চেষ্টা করে।
     
    এবার এ তো গেল বাড়ির পোষ্যদের কথা। রাস্তার শ্রীনেড়িদের সম্বন্ধে দায়িত্ব অনেকটাই পাড়ার লোকের এবং পৌরসভার। নিয়মিত স্পে নিউটার করা,  বাচ্চা হলে নির্দিষ্ট সময়ে  নিয়ে গিয়ে ভ্যাক্সিনেশান করানো এগুলো করলে,  খেতে দেওয়া ইত্যাদি করলে বাড়িতে না পুষেও কুকুরের সঙ্গ বন্ধুত্ব দিব্বি পাওয়া যায়।   পুণেতে ডগ ক্যাফে, ক্যাট ক্যাফে ইত্যাদিও  আছে। কলকাতায় আছে কিনা জানি না। 
     
  • | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৯516464
  • ও আর একটা কথা লিখতে ভুলে গেলাম কুকুরদের নিয়মিত দৌড়ানো ব্যায়াম ইত্যাদির মতই বাড়ির মধ্যেও যথেষ্ট জায়গা দরকার হয়। ছোট ১ বা ২বিএইচকে ফ্ল্যাটের উপযোগী ছোট কুকুর পুষলে অনেকটাই ম্যানেজ হয়। বড় কুকুরদের জন্য খোলামেলা জায়গাওলা বাড়ি দরকার। কুকুরের এনার্জি শেষ না হলেও আগ্রাসি হয়ে উঠতে থাকে।  
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০০516466
  • কলকাতার গরমে লোকে সাইবেরিয়ান হাস্কি আর সেণ্ট বার্নার্ড পুষছে - আর বড়ো জায়গাওয়ালা  বাড়ি। এগুলোর বিরুদ্ধে আইন হওয়া উচিত। অনেক দেশে আইন আছে যদি একটিও কুকুর শহরের কেনেলে থাকে তাহলে বাইরের থেকে কুকুর নেওয়া যাবে না।  এ নিয়ম এদেশের শহরগুলোতে হওয়া উচিত। যদি বাড়িতে রাখতেই হয় , দেশী কুকুর রাখতে কি  সমস্যা। ভালো করে ভ্যাক্সিন দিলে, ঠিক করে সাধারণ খাবার খাওয়ালে তাদের রূপ যথেষ্ট ভালো হয়। এবার স্ট্যাটাসের জন্যে যারা পোষে তারা তো অন্য রকম জীব। 
    নিউটারিং প্রোগ্রাম কোন মিউনিসিপালিটিই করে না ঠিক করে। মাঝে মাঝে লোকজন কমপ্লেন করলে নিউটারিং এর নাম করে এমন পরিবেশে নিয়ে তাদের রাখে যাতে খুব কম কুকুরই বেঁচে ফেরে। কলকাতায় ধাপার ডগ পাউন্ড যারা দেখেছেন তারা বুঝবেন নির্মমতা কোন পর্যায় যেতে পারে
    সবখানেই শাসকের সদিচ্ছার অভাব,। কুকুর কামড়ানোর ঘটনায় যেটা রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সেগুলো সব বলা আছে AWBI এর গাইডলাইনে - পড়বে কে - কেনই বা পড়বে ডান্ডা না খেলে 
  • আচ্ছা | 14.139.196.16 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৩516470
  • তবে গুপির গপ্প   বলি। আমার দিল্লির পিসির বাড়ির কুকুর, খাঁটি জার্মান শেফার্ড (পরে বোঝা গেলো জার্মান কুলে কলংক )। এতটাই বাড়ির সদস্য যে পিসি একবার কুকুরটাকে খাবার দাও বলাতে পিসেমশাই রাগ করে বলেছিলেন, ওর নাম নেই ? জার্মান ভালো জানতো না, এমনকি  ইংরিজিও নয়, কারণ  আমার এক্স এয়ারফোর্স পিসেমশায় একেবারে কট্টর  বাংলাপক্ষীয়  , পারতপক্ষে হিন্দি বলতেন না। এদিকে  বাড়িতে সারাক্ষণ স্থানীয় বেঙ্গালী অ্যাসোশিয়েশনের  এতো লোক কারণে অকারণে আসছে যাচ্ছে, হ্যা হ্যা করে আড্ডা মারছে, চা খাচ্ছে যে গুপির চেনা অচেনা বোধ একেবারে শূন্য না হলেও নেগেটিভ। যে-ই গেট খুলে ঢোকে তার দিকেই ন্যাজ নেড়ে যায়, প্যান্টে নাক মুখ ঘষে দেয়  , আদর খাবার জন্যে কুঁ কুঁ করতে থাকে । মহা মুশ্কিল । একবার তো ম্যান্ডেটরি ঘেউ করবে । শেষে ভেটের পরামর্শ মতো ওকে দু দিন চেনে বেঁধে রাখা হল। পিশেমশাই দু দিন কানে তুলো গুঁজে রইলেন, আর বলতে লাগলেন, আহা কি কষ্ট । তার পর থেকে দেখা গেলো ঘেউ করতে শিখেছে। এবার সিকোয়েন্সটা হল ঃ ঘেউ ঘেউ ঘেউ - ন্যাজ নাড়া - নাক মুখ ঘষা -- কুঁই কুইঁ করা ।
     
    তবে এতো ভালোমানুষ হয়ে শেষটা ভালো হয় নি। পিসেমশাইদের বাড়িতে চোর পড়েছিলো । তার ঠিক আগেরদিন গুপিকে কেউ বা কারা বিষ খাইয়ে মেরে দেয় ।
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৩516472
  • ওমা সে কি - এ কি কাণ্ড। এই যে দেখলাম একজন লিঙ্ক দিয়েছেন,  সেখানে গল্প লিখেছে ক্ষূধার্ত জার্মান শেফার্ড অত্যাচারী পুরুষকে খুন করবে বলে তার গায়ে রান্না করা মাংস লেপে দিয়ে অতাচারিতা নারী চলে গেলেন!!!! গুপীটা একদম জার্মান সেফার্ড না
  • একক  | 49.37.33.217 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৮516473
  • শ্চ -র যুক্তি পুরো সিয়াচেনের সৈন্য !!! কুত্তারা ভূমিকম্পের সময় কাজে লেগেচে বলে হেগোপোঁদে সোফায় উঠে কুত্তাকুলের  লাপালাপি মেনে নিতে হবা ! 
     
     
    লেখাটা ঝুল বরং মন্তব্য গুলো ইন্টারেস্টিং। কেও  পুলওয়ামা তো কেও স্বয়ং ওবামা :))
  • sch | 115.187.62.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৯516475
  • একক আমি একবারও বলি নি কুকুর নিয়ে সবাইকে আদিখ্যেতা করতে হবে। আপনার যুক্তি বুদ্ধি আগে মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল তো 
    ধরুন আমি আর আপনি খেতে বসেছি  - আপনি সাপের মাংস খেতে ভালোবাসেন - আমি বাসি না। এবার আপনি যখন খাচ্ছেন - আমি আপনাকে নিজের মতো ডাল চচ্চড়ি পোস্ত খেতে পারি - আপনিও আপনার মতো সাপের মাংস খেতে পারেন। আমি যদি আপনাকে বলি এ বাবা কি সব খাচ্ছে - বলে আপনার সামনে বমি করার কতো ভাব করি - আপনাকে মক করি - আপনার নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। 
    সেই চিরাচরিত সাইকোলজির I am ok u r ok probblem set. 
    এই লেখাটা যে লিখেছে তার case হল  i am ok - u r not ok. উনি কুকুর পছন্দ করেন না - সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতি ছত্রে ছত্রে যারা কুকুর যারা ভালোবাসে তাদের নিয়ে বিদ্রূপ। বস এরকম লিখলে আমি তাকে পাটকেল দি - এমন পাটকেল যাতে ভবি্য্যতে একটু পড়াশোনা করে ভেবে চিন্তে লেখে। 
     
  • একক | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৩516478
  • এরকম কোন  সহ্যশক্তির পরাকাষ্ঠা বাস্তব জগতে অবস্থান করে না। আমি, সাতসকালে ব্রেকফাস্ট করতে করতে দেখেচি রুম্মেট চিত করে ফেলে বেড়ালের চামড়া ছাড়াচ্চে। মোটেই সহ্যকর দৃশ্য নয় সেসব।
     
    প্রতিটি মানুষের নিজস্ব রুচিবোধ আচে, তোমার টা তুমি আমার টা আমি এসব একটা লিমিট অব্ধি চলে, তারপর সংঘর্ষ অনিবার্য। 
     
    কুত্তারা হেগোপোঁদে সোফায় বা বিছানায় উঠচে, বা ল্যা ল্যা করে ব্যাকটেরিয়া ভত্তি লালা দিয়ে যার হাত চাটচে সেই ব্যক্তি আবার হাত এগিয়ে দিচ্চে করমর্দনের জন্য বা সেই হাতে জিনিসপত্র ধরচে--- এসব কোন ব্যক্তির হাইজিন সেন্স,  সংস্কৃতি এবং সর্বোপরি রুচির প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত দূষনীয় মনে হতে পারে। পারসোনাল স্পেসের যুক্তি এখানে খাটে না।  কুত্তা একটা জীবন্ত প্রাণী যার আবার শেয়ারড এজেন্সি আছে ওনারের সঙ্গে।  শেয়ারড এজেন্সির কেসে, কুত্তার কাজে মালিক ও দায়ী হবে বইকি। 
     
    কুকুরকে বা মালিক কে অকারণে মারতে এলে আলাদা কথা। মক করলে পালটা মক করা যায় বড়জোর। অত এইচটিটি মারানোর কিচু নেই।
  • Sobuj Chatterjee | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৯516479
  • আরিব্বাস কুত্তার কি মহিমা মাইরি!! এই জানোয়ার টির সৌজন্যে একলব্য পর্যন্ত বুড়ো আঙুল হারিয়ে মহাভারত থেকে হারিয়ে গেল। কুকুর কে না মেরেও যে ঘেউ ঘেউ বন্ধ করা যায় তা দেখেই গুরুর গুরুত্ব হারায় আর কি? শেষকালে চন্ডাল হয়ে বুড়ো আঙুল কর নিলেন!! 
    বলিহারি কুত্তাকান্ড। 
  • :|: | 174.251.160.146 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৭516480
  • ইয়েস। মহাভারত। সেখানে জগতের মালিককে পাকড়েছে।  केनापि देवेन हृदि स्थितेन यथा नियुक्तोऽस्मि तथा करोमि -- কুত্তার কোনও দোষ নাই। যদি থেকে থাকে তবে মালিকের। সেতো কবে থেকেই জানি। 
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২১516482
  • সেদিক থেকে বেড়াল সুবিধেজনক প্রাণী। যা করবে নিজের মর্জিতে করবে।
    বেড়ালের মালিকের কোন দায়ও নেই, বেড়ালও কাউকে মালিক বলে স্বীকার করে না।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৮516483
  • "...কিন্তু ঘরে পুষে রাখা অবাধ্য পশুকে কিভাবে লাগাম দিতে হয়, তা নিয়ে চোখে পড়ে না কিছু। অন্যের শরীরে দাঁত বসিয়ে দিলেও দিনের শেষে সেই সারমেয় ‘অবলা’ই থেকে যায়।..."

    এটা বোধহয় অবলা না, অবোলা (অবোল , অবোলা /বিশেষণ পদ/ বোবা, মূক, বাক্‌শক্তিহীন; নিরীহ)
     
    অন্তত অর্থে তাই হওয়া উচিত। মহেশ খুলে দেখলাম "আমরা না খেয়ে মরি ক্ষেতি নেই, কিন্তু ও আমার অবলা জীব—কথা বলতে পারে না, শুধু চেয়ে থাকে আর চোখ দিয়ে জল পড়ে।" বানানে অবলা আছে বটে কিন্তু বাক্যের শেষাংশ এক্স্প্ল্যানেটরি।
     
    কাজ আছে তাও খই ভাজছি। গুগল করলাম বসে বসে, অবোলা দিয়ে। এক পেলামঃ "অসুস্থ অবোলা কুকুরের সেবায় ঝালকাঠির তরুণী শাহনাজ মুন", আর পেলাম: অবোলা চলে বড়, অফলা ফলে বড় (পথ চলতে চলতে যে কথা বলে না ষে অনেকটা পথ যায়; যে গাছে ফল ধরে না সে গাছে একবার ফল ধরলে প্রচুর পরিমাণে হয়।)
     
    এছাড়া অবন ঠাকুর লিখেছেন "...অবোলা শিশু যেটা বলে যেতে পারলে না সেইটেই বলে যান ভাবুক কবিতায় ছবিতে,—রেখার ছন্দে লেখার ছন্দে সুরের ছন্দে অবোলা শিশুর বোল, হারানো দিনগুলির ছবি।..."
     
    সুতরাং পালোয়ান কুকুরকে কেউ বলহীন জ্ঞান করে, এমন পরিতাপ নিতান্ত অসঙ্গত।
  • খাজা র‍্যান্ট একটা | 2607:b400:24:0:6de4:53fa:dc4b:86e3 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৩০516489
  • হ্যাঁ, খুব-ই খারাপ লেখা - লেখাও নয়, একটা র‍্যান্ট। এটা সম্পাদিত বিভাগে জায়গা পেয়েছে দেখে আশ্চর্য হয়েছি। মনে হয় অম্লানবাবুর নাম দেখেই উঠে গেছে, কেউ পড়ে-টড়ে দেখেননি। অবশ্য তার ভালো দিক-ও আছে, যেমন এর পরে অম্লানকুসুম দেখলেই স্কিপ করে যাবো। 
     
    চিন্তার ব্যাপার এই যে, একজন তথাকথিত আলোকিত মানুষ-ও এই সামান্য ব্যাপারটা বোঝেননি যে দোষটা কুকুরদের নয়, তাদের হিউম্যান কম্প্যানিয়ন-দের? কেউ মাথার দিব্যি দিয়েছে যে সামলানোর ক্ষমতা/ইচ্ছে না থাকলে পুষতে হবে? 
     
    আর, একটু ভেবে লিখলেই নিজের পার্সোন্যাল বিষোদ্গার / ঘৃণা/ ভয় ইত্যাদি এড়ানো যায়, কিন্তু সে অভ্যেস বা দোষ তো লেখকের নেই মনে হচ্ছে। ইনি আসলে ঐ শ্রেণীর "প্রাবন্ধিক", যিনি যে কোনো বিষয়ে পড়াশুনো না করে দেড়-দু পাতা নিজের মতামত লিখে হ্যাজ নামাতে উঁচিয়ে আছেন। পড়েই ঝ জ্বলে গেলো। 

    যাই হোক, এই সুযোগে একটা ডিস্টার্বিং কথা বলে যাই। আমাদের দেশে অ্যানিমাল ক্রুয়েল্টি-র কোনো নির্ভরযোগ্য ডেটার সোর্স নেই। মানে কত গৃহপালিত পশু অত্যাচারে মারা গেছে বা পঙ্গু হয়েছে, তার এগজ্যাক্ট কোনো ফিগার নেইই। মনে হতে পারে, সে সব কথা এখানে কেন? উনি কি অ্যানিমাল অ্যাবিউজ অ্যাডভোকেট করেছেন? নাঃ, এক্সপ্লিসিটলি তা করেননি, তাও ...  
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন