এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  স্মৃতিচারণ   স্মৃতিকথা

  • রোডেশিয়া

    যোষিতা লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | স্মৃতিকথা | ০৬ মার্চ ২০২৩ | ২৪০০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • এখানে লিখব আফ্রিকার এই বিশেষ অঞ্চলের কথা। এ শুধু ভ্রমনকাহিনি হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:২২739760
  • ব্যস, হয়ে গেল!
    এখন ভ্যাজোর ভ্যাজোর শুরু হবে।
    এদিকে গাইড আমাদের নানান জিনিস বোঝাচ্ছেন, ইতিহাস ভূগোল নানারকমের ছবিটবি রয়েছে। আমাদের গ্রুপ গোল করে সেসব শুনছে। ওরকম ভিড় করে গাইডের গল্প শোনায় আমার অ্যালার্জি। কিছু ফোটো টাঙানো আছে, সেসবের সামনে নিয়ে গিয়ে ছোটছোট লেকচার। গরম বাড়ছে আর আমি ভাবছি যে ঐ পার্কের একদম ভেতরে যখন ঢুকে পড়ব তখন সিগারেটের ওপর বিধিনিষেধ থাকবে না তো? জলপ্রপাতটা কতদূরে? এত বকবকানি ভালো লাগছে না, জল কখন দেখব?
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:৩৫739761
  • একটু ভেতরে বন জঙ্গলের মধ্যে হাঁটতে শুরু করতেই গেটের মুখের সেই দম আটকানো পরিবেশটা কেটে গেল। এবড়ো খেবড়ো পথ চলেছে বনের ভেতর দিয়ে। যদিও বন না বলে এটাকে পার্ক বলা হচ্ছে, কিন্তু পার্কের কৃত্রিমতা এখানে নেই। তবে একটু হাঁটার পরেই একজনের স্ট্যাচু রয়েছে। সবাই ভক্তিভরে সেই স্ট্যাচুর দিকে চেয়ে রইল, যাকে বলে প্রাতৃস্মরণীয় ব্যক্তির মত ভক্তিভরে তার গুণগান করতে লাগলেন গাইড। 
    নামটা শুনেই মনে পড়ে গেল।
    ক্লাস সেভেনে নিউ হরাইজন বলে একটা ইংরিজি বই ইস্কুলে পড়াতো। সেখানে এই ব্যক্তিটির ওপর একটা লেখা আমাদের পড়তে হয়েছিল। ইনি ধর্ম প্রচারক। মিশনারি। আফ্রিকাকে ইনি ডার্ক কন্টিনেন্ট বলে অভিহিত করেছেন। এদের ভালো করার জন্য, সভ্য করার জন্য ধর্ম প্রচার করেছেন। ডেভিড লিভিনস্টোন এনার নাম।
    সরি, এই বুড়ো বয়সেও এঁর মূর্তির সঙ্গে ফোটো তোলার লোভ সামলাতে পারি নি। ফোটোটা পরের পোস্টে দিচ্ছি। সেটাকে জুম করতে হবে এবং বাকি সবকিছুর সঙ্গে আমার উদ্বাহু হয়ে দাঁড়ানো ও হাতদুটো খুঁটিয়ে দেখতে অনুরোধ করব।
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৩739763
  • এরপরে শোনা গেল ভিক্টোরিয়ার ডাক। সেই যে বলে না, গুরু গুরু মেঘ গুমরি গুমরি ... সেই স্টাইলে। লোকজন রেইনকোট খুঁজছে, আমি মত পাল্টালাম। আজ সালা ভিজবই ভিজব। জ্বর হলে হবে, অসুখ করলে করুক। এখানে আর তো আসা হবে না দ্বিতীয়বার, একবারই তো বাঁচব, ভিজি, জাম্বেজির জল স্পর্শ না করে, তাতে অবগাহন না করে চলে যাওয়াটা পাপ।
     
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:২৪739764
  • সবসময় তো ধার ঘেঁষে হাঁটা যায় না। তেরো না সতেরোটা পয়েন্ট আছে যেখান থেকে প্রপাতটা দেখা যাচ্ছে। 
    তারপর আমরা পৌঁছলাম সেই প্রান্তে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটা লম্বা ব্রীজ। রেলসেতু। জাম্বেজি নদী এপার ওপার করার। 
    সেইখানে পৌঁছনোর পর গাইড ঐ সেতু বিষয়ক জ্ঞান ট্যান দিলেন, সবই ইন্টারনেট খুঁজলে পাওয়া যাবে। 
    ওখানে বানজি জাম্পিংও হয়। একটা দুটো ফেটাল কেস ছাড়া তেমন বিপদ বেশি হয় টয় নি। তারপরে বললেন, ব্যস এইখানেই আমাদের জলপ্রপাত দেখা শেষ হৈলো, এবার আমরা ফিরব। ঘন্টাখানেক না দুয়েক হেঁটেছি মনে নেই, কিন্তু জলপ্রপাত দেখা শেষ? মানে?
    আমি চেঁচিয়ে উঠি — সেকি! আমাদের তো জাম্বিয়া যাবার কথা ছিল।
    বাকী অন্যদের দিকে তাকালে তারা এমন করে আমাকে দেখে, যেন খুব অন্যায্য কথা বলে ফেলেছি।
    গাইড বলেন — সেতো আমি জানি না। আমি জিম্বাবুয়ের গাইড, আমার কাজ শেষ।
    আমি তাকিয়ে দেখি ব্রীজ, যে ব্রীজ চলে গেছে জাম্বিয়াতে।
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৩739765
  • অ্যাইসা রাগ হলো যে, খপাৎ করে পাকড়াও করলাম গাইডকে।
    — শুনুন, পাসপোর্ট সঙ্গে আছে, তাতে জাম্বিয়ার ভিসা রয়েছে। তারওপর গুনে গুনে দাম দিয়েছি ওদিকের থেকে ফলসটা দেখব বলে।
    উনি বললেন, তাহলে আপনার টুর অপারেটর নিশ্চয় ব্যবস্থা করেছে।
    — কিন্তু তাহলে এখন আপনি আমাদের কার হাতে তুলে দেবেন? জাম্বিয়ার টুর গাইডের হাতে তুলে দিন।
    উনি ফোন করলেন তখন। জানা গেল লোক অপেক্ষা করছে গেটে আমাদের জন্য। শর্টকাট রাস্তায় পৌঁছে গেলাম গেটে। সেখানে আমাদের আগের ড্রাইভার দাঁড়িয়ে। সে অন্যদেরকে অপেক্ষা করতে বলে আমাদের দুজনকে নিয়ে চলল বর্ডারে।
    প্রথমে জিম্বাবুয়ের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন। সেখান থেকে বিদায় নিল আমাদের ড্রাইভার।
    এক রোগা পাতলা নিরীহ টাইপের লোক এগিয়ে এলো আমাদের কাছে, তার গাড়িতে গিয়ে বসলাম আমরা। জাম্বেজি নদীর পার হয়ে ফের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন, আমরা ঢুকে পড়েছি জাম্বিয়াতে। তারপর বাঁদিকে একটু ঘুরেই গাড়ি দাঁড়াল ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত দেখবার গেটে।
    ড্রাইভার বললেন — আপনারা ঘুরে আসুন, আমি আছি। ব্যাগ রেখে গেলাম গাড়িতে। হাওয়াই চটির একটা অংশ পায়ে বড্ড ব্যাথা দিচ্ছে। আর হাঁটতে পারব কি? খালি পায়ে হাঁটা যাবে না, পায়ে পাথর কাঁকর, কাঁটা ফুটবে। 
    গেটে আমাদের কাগজ দেখাতেই গাইড এসে উপস্থিত। মিষ্টিমতন একজন মেয়ে। সে আমাদের নিয়ে চলল প্রথমে জাম্বেজি নদীর পারে। 
    না না, থুড়ি, সে নিয়ে চলল প্রথমে লিভিংস্টোনের স্ট্যাচু দেখাতে। আসলে পার্শ্ববর্তী এই শহরটার নামই লিভিংস্টোন।
    এই স্ট্যাচুর তলার গোটা গোটা করে লেখা আছে, কী লেখা আছে সবুজ বোর্ডে নিজেরাই জুম করে দেখে নিন বরং। আমার মত পাজির উৎপাত আরও আছে নিশ্চয়।
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৫739766
  • Please do nothing to cause damage or deface this statue.
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:০০739767
  • অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই জাম্বিয়ান সাইডের ফলসের ছবি তেমন তোলা সম্ভব হয় নি। এদিকটা জিম্বাবুয়ে সাইডের থেকে কিছুটা ছোট। কিন্তু আমাদের গ্রুপে যারা ছিল, যারা জিম্বাবুয়ের দিকটা দেখে বাড়ি হোটেল বা অনয কোথাও চলে গেল, তারা কী মিস করল, তারা জানে না। এখানে প্রপাতের এমন উন্মাদিনী প্রলয়ঙ্করী রূপ যে ক্যামেরায় ধরা যেমন যায় না, তেমনি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন জলের তোড়ে ভেসে যাবে। রেইন কোট খুব বেশি কাজে দেবে না।
    যে কটি পেরেছি তুলেছি। এমনকি জাম্বেজি নদী প্রপাত হবার আগে এক্কেবারে নদীর ধারে। তবে এ নদীরে চান করা নিষেধ। কুমীর ও জলহস্তীতে টৈটম্বুর। আফ্রিকার এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হিংস্র জলহস্তী, এর আক্রমনে সবচেয়ে বেশী মানুষ মরে। সাপের কামড় বা সিংহের পেটে কি হাতির হানায় মৃত্যু তার তুলনায় নগন্য।
  • kk | 2601:14a:500:e780:1d02:c3be:b110:5644 | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৩739768
  • বাঃ! এই যে এত জলের গুঁড়ো আর রোদ্দুর, এতে রামধনু রং হয়না?
    আচ্ছা, একটু ব্যক্তিগত একটা কথা অনেকদিন থেকেই বলবো ভাবছিলাম। আপনার সাথে আমি একজনের মুখের খুব মিল পাই। তিনি হলেন জোয়ি সালদান্যা। আপনাকে আরো কি কেউ একথা বলেছে? এটা কমপ্লিমেন্ট অর্থেই বললাম। আশা করি রাগ করবেননা না বিরক্ত হবেননা।
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৬739769
  • রামধনুতে ভরে আছে নাইফ এজ ব্রীজ। ফোটো তোলার উপায় নেই সপসপে ভিজে আমরা।
    কমপ্লিমেন্ট পেয়ে গদোগদো হলাম। আগে লোকে আমায় হুইটি হিউস্টনের বোন বলত।
    লেখা চলবে।
  • রামধনু | 173.49.254.96 | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৯739770
  • সব্কিছু ভীষণই নায়েগ্রাকে মনে করাচ্ছে 
  • রামধনু | 173.49.254.96 | ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:১০739771
  • কেবল ঐ খুলিগুলো ছাড়া। ওগুলোর কোন গল্প থাকলে একটু বলবেন। 
  • যোষিতা | ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৭:২৫739772
  • বাইরে বেরোনোর আগেই গাইডকে টিপস দিয়েছি। আফ্রিকায় টিপস দেওয়াটা একটা রিচুয়ালের মত। 
    মেয়েটি টিপস পেয়ে মারাত্মক খুশি। এবার আমরা দুপুরের খাবার খাবো বলে উল্টোদিকের রেস্টুরেন্টে আয়েশ করে বসলাম। গায়ের জামা ভিজে চুপচুপে, তা অচিরেই শুকিয়ে গেল। ড্রাইভারকেও ডাকা হচ্ছে, কিন্তু সে বড়ই লাজুক, কিছুতেই আমাদের টেবিলে আসবে না। নানান অজুহাত দিয়ে সে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেল। খাবারের অর্ডার দেবার পর দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
    অদূরেই গোটাপাঁচজন ইন্ডিয়ান বসে আছেন টেবিলের চারপাশে। এঁরা বয়স্ক দুজন মহিলা বাকিরা পুরুষ। 
    পোশাক দেখে মনে হচ্ছে গুজরাটি হওয়া সম্ভব। 
    যেটুকু আন্দাজ করছি, হয় সাউথ আফ্রিকা অথবা বটসওয়ানা থেকে এসেছেন। 
    ভিক্টোরিয়ার জাম্বিয়ান সাইডে পর্যটকের সমাগন জিম্বাবুয়ের সাইডের তুলনায় বেশ কম, এবং পর্যটকদের অধিকাংশই হয় স্থানীয়, নয় পার্শ্ববর্তী দেশের বাসিন্দা।
    রেস্টুরেন্টের ভেতরে ধূমপান অ্যালাওড নয় বলে বাইরে ওপেন এয়ারে গাছের ছায়ায় একটা টেবিলের সামনে আমার বিয়ার নিয়ে বসে সিগারেট খাচ্ছিলাম, ঐ পাঁচজনে আমাকে কাচের ভেতর থেকে হাঁ করে দেখতে লাগল।
    বাইরে দেখি ড্রাইভার চুপটি করে দাঁড়িয়ে। তাকে সরাসরি গিয়ে শুধোলাম — এতক্ষণ অপেক্ষা করছেন, আপনার ক্ষিদে পায় না? চলুন, খাবেন চলুন, আমি কোনও ওজর শুনব না।
    সে নিমরাজি হয়ে কোনও মতে এসে বসল। খাবার তবু অর্ডার করবে না। ড্রিংকসও নিতে চাচ্ছিল না, জোর করে দেওয়া হলো।
    ফের সে পালালো।
    গাইড মেয়েটি বলল, এ রাজ পরিবারের সন্তান, এর আভিজাত্য আছে, এ লজ্জা পায়। 
    আমরাই অর্ডার করেছি খাবার এদের দুজনের জন্য। ড্রিংক ঐ গাইড খেলেন না, দুবেতল মিল্ক শেক নিলেন সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। খাবারও দুজনের জন্য প্যাক করে দেওয়া হলো।
    মেয়েটির দুই সন্তান আছে বাড়িতে। সে বাইরে বসে দামী খাবার একা কিছুতেই খাবে না। শত হলেও, সে তো মা।
    ড্রাইভারকে তার প্যাকেট মেয়েটিই দিল।
    তাকে বিদায় জানিয়ে আমরা ফের চললাম জিম্বাবুয়ের দিকে। আবার বর্ডার ক্রসিং, কাস্টমস ইমিগ্রেশনের দুটো চক্কর। জিম্বাবুয়েতে এখন আমাদের গাড়ি চালাচ্ছেন এক মহিলা। নাম প্রীটি।
    ইনি খুবই মুখরা এবং প্রচণ্ড রেগেমেগে কাকে যেন ফোনে শাসাচ্ছেন। ক্রমাগত ফোন আসছে প্রীটির।
    আমি সভয়ে বললাম, হোটেলে ফেরার পথে একটু সুপারমারকেটে যেতে চাই, রাতের জন্য খাবারদাবার কিনে নেব, জল টল কিনতে হবে, আপনি কি আমাদের দয়া করে...
    প্রীটি এমন করে তাকালেন আমার দিকে, যে গাড়িতে এসি না চললে ভস্ম হয়ে যেতাম।
  • যোষিতা | ২১ মার্চ ২০২৩ ০২:১০739794
  • তবু মানে যাকে বলে "চোখে চোখ" রেখে বাক্যটা শেষ করলাম — আমাদেরকে সুপারমারকেটে নিয়ে যাবেন?
    মহিলার হুঁশ ফিরল। উনি য়েন অন্য জগৎ থেকে ফিরে এলেন গাড়ির মধ্যের জগতে। মুখের পেশী শিথিল হলো, কোনও উত্তর না দিয়ে গাড়ি চালালেন মিনিট খানেক, তারপর গাড়ি পার্ক হলো একটা লোকালয়ে, আশেপাশে কিছু দোকান পাট, সমস্তই একতলা এবং ছোট ছোট।
    — ও আচ্ছা সুপারমারকেট তবে এখানেই?
    আমি নামবার তোড়জোর করছি, উনি ইশারায় নিষেধ করে গাড়ি থেকে নেমে গটগটিয়ে  হেঁটে একটু পেছন দিকে একটা দোকানটাইপের ঘরে গিয়ে ঢুকলেন। 
    কোনও কাজ টাজ আছে মনে হচ্ছে।
    অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই। এবার একজন পুরুষ ড্রাইভার এসে গাড়িতে ঢুকলেন।
    ইনিই আমাদের বাকি পথটুকু চালিয়ে নিয়ে যাবেন। পথে সুপারমারকেটেও গেলাম। এনার নাম ভিক্টর। অমায়িক মিষ্টি মানুষ। ভিক্টরের কাছেই জানা গেল যে প্রীটি নাম্নী ঐ মহিলাটি টুর কোম্পানীর বস এবং গাড়িগুলোর মালকিন। ভিক্টর নেহাৎই একজন চাকুরে। 
    সুপারমারকেটে ঢুকে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ। বিশাল দোকান। আমাদের সুইটজারল্যান্ডে দোকানপাট থাকে ছোট ছোট। এত বড় দোকান দেখলে মাথা ঘোরে, কোনদিকে যাব ঠাওর করতে সময় লাগে। 
    আমরা রুটি মাখন চীজ ফল স্যালাদ দই এবং কিছু ড্রিংক কিনতে চাই, দিনে একবারের বেশি আমিষ খাই না স্বাস্থ্য ঠিক রাখার তাগিদে। কিন্তু দাম দেখে কিছুই বুজছি না। হাজারে, দশ হাজারে, লাখের হিসেবে দাম লেখা।  অফিশিয়ালি জিন্বাবুয়ের ডলারে এই দাম লেখা, কিন্তু কনভার্শান রেট আমরা জানি না। একজন কর্মীকে ডেকে একটা প্রোডাক্ট দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই হলো, ডলারে কেমন দাম হবে এ জিনিসের?
    দাম শুনে মাথায় হাত।
    না খরচের জন্য নয়, আমরা তো দুদিনের টুরিস্ট, থাকব বেড়াবো চলে যাব, কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা, মধ্যবিত্ত বা গরীবেরা কেমন করে এসব জিনিস কেনে? তারা কী খায়? কেমন করে বেঁচে আছে?
    প্রায় সব জিনিসই মেড ইন সাউথ আফ্রিকা। তাই দাম সাউথ আফ্রিকার থেকে বেশি তো হবেই, তদুপরি বিশাল লেভি দিতে হয় যে কোনও জিনিস ইমপোর্ট করতে। তার ওপর ট্যাক্স এবং প্রফিট জুড়ে সাউথ আফ্রিকার প্রায় ডবল দাম এবং সুইটজারল্যাল্ডের দেড়গুণ বা জার্মানির আড়াইগুণ। হ্যাঁ, জার্মানীর আড়াইগুণ কম করে হলেও।
    প্রায় বাইশ ডলার লাগল একটু রুটি চীজ দই এবং ড্রিংক কিনতে। ক্যাশেই পেমেন্ট করলাম।
    আর দেরী করে লাভ নেই। এতবড়ো সুপারমারকেটে খুব কম ক্রেতা, কী করে এরা ব্যবসা করছে ভগোমান জানে।
    ফেরার পথে ভিক্টরকে বললাম, কাল আমরা চোবে যাচ্ছি। পরশু বিশ্রাম নেবো। তরশু আপনি একটু আসবেন আমাদের বেড়াতে নিয়ে যাবেন?
    — কোথায় যেতে চান? নিশ্চয় নিয়ে যাব।
    — আপনি ভেবে রাখবেন বরং।
    আমরা ভিক্টের হোয়াটস্যাপ নম্বর নিয়ে রাখলাম।
    অন্ধকার নেমেছে ভিক্টোরিয়া ফলস টাউনে।
    হোটেলে ফিরে আমাদের সামনে দীর্ঘ রাত্রি। আজকের ভ্রমণ ছিল রকমারি অভিজ্ঞতায় ভরা। কিন্তু আমার মাথা হিসেব কিছুতেই মিলছে না। এরা চালায় কেমন করে? 
    ঠিক এমনি আরেকবার হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া বেড়াতে গিয়ে। জিনিসপত্রের দাম এবং দেশের মানুষজনের রোজগারের মধ্যে বিপুল বৈপরীত্য। সে প্রশ্নের উত্তর সেবার পেয়েছিলাম। তাই এবারেও উত্তর জানতে মন উদগ্রীব হয়ে উঠল। কিন্তু জিগ্যেস করব কাকে? এদেশে ঢোকার আগে জেনেছি রাজনৈতিক প্রশ্ন এবং পুলিশের ছবি নেওয়া নিষেধ। আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই আমার টান বরাবরের।
    নাহ, এসব পরে হবে, আগে কাল চোবে ঘুরে আসা যাক।
  • যোষিতা | ২১ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫৯739796
  • সালিসবারিই পরবর্তীতে হারারে। জিম্বাবুয়ের রাজধানী।
    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতো ব্রিটিশ সাউথ আফ্রিকান কোম্পানী ছিল, কোম্পানীর শাসন ছিল, অধিগ্রহণ ছিল। সোনা এবং অন্যান্য খনিজের পাচার তো বটেই ব্যবসায়িকভাবে নানান শস্য উৎপাদন করা হতো, যেগুলো ভারতের নীল চাষের ইতিহাস মনে করায়। 
    প্রায় একই ফর্মুলায় দেশটা দখল করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, বিশেষ করে আমরা যারা ভারতের ইংরেজ শাসনের ইতিহাস অল্প হলেও পড়েছি বা তার অভিঘাত জেনেছি, আমাদের পক্ষে এটা বুঝতে পারা কঠিন কিছু না। একই প্যাটার্ণ। তবে জিম্বাবুয়েতে ব্যাপারটা অনেক দ্রুত ও সহজতর হয়েছিল বলে মনে হয়।
  • যদুবাবু | ২১ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫১739800
  • খুব-ই ভালো লাগছে। পড়ছি। 
     
    আমার এক পার্ডুর বন্ধু যাম্বিয়ায় থাকে, ডক্টরেট করে দেশে ফিরে পাবলিক হেলথে কাজ করে, খুব ইচ্ছে করে ওর সাথে একবার দেখা করে আসি ... কিন্তু যাওয়া আর হয় না, সময়/খরচ/প্ল্যানিং ইত্যাদির অভাবে, কিন্তু এই পড়ে আবার ইচ্ছেটা চাগাড় দিয়ে উঠছে। 
  • যোষিতা | ২১ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৫739804
  • অবশ্যই ঘুরে আয় যদুবাবু। 
  • দীপাঞ্জন | 223.191.53.115 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:১১739813
  • আচ্ছা cool
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৫739821
  • পড়ে ফেললাম‌।
    আচ্ছা, অতিরিক্ত দামের ব‍্যাপারটা কি খানিকটা পর্যটক/পর্যটন নির্ভর? নিজেদের মধ্যে কি একটা ছোট মাপে সমান্তরাল অর্থনীতি চালু রাখতে হয়েছে? মানে, স্থানীয় মানুষরা বেঁচে আছেন কিভাবে? 
  • যোষিতা | ২২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৪739824
  • প্রথম প্রশ্নের উত্তর আগেই দেওয়া হয়ে গেছে, কাইন্ডলি একটু দেখে নেবেন। পরের দুটো প্রশ্নের উত্তর পরের পোস্টগুলোর মধ্যে দিতে পারব মনে হয়।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ১৭:২৪739825
  • দক্ষিণ আফ্রিকায় উৎপাদিত পণ্যের দামকে শুরুর দাম ধরে চূড়ান্ত দাম ঐ দামের দ্বিগুণ আর জার্মানির দামের আড়াই গুণ। তার মানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যে মূল দাম দিতে হল, তা জার্মানির পণ‍্যের দামের থেকে বেশী। এশিয়ার আমদানি-নির্ভর দেশের থেকে এই ছবিটি ভিন্ন। 
  • যোষিতা | ২৩ মার্চ ২০২৩ ০০:৩৯739829
  • পরদিন সকালে আমরা চোবে যাবার জন্য তৈরি হলাম। 
    আজ হাফপ্যান্ট টিশার্ট টুপি ও সানগ্লাস পরেছি। গতকালের বেড়ানোর ক্লান্তি এখনও কাটেনি কেন তার মূল কারন বয়স হচ্ছে। 
    আগের দিনে এই বয়সে লাঠি হাতে তীর্থ করতে যেত বুড়োবুড়িরা। এখন মনের বয়স বাড়তে না দিলেও হাড়ের বয়স ঠেকাতে পারা যাচ্ছে না।
    ভিক্টোরিয়া ফলস টাউন থেকে বটসওয়ানার বর্ডার সত্তর কিলোমিটার একটা সোজা রাস্তা, চমৎকার কণ্ডিশন রাস্তার, মাঝে গোটা তিনচারটে গর্ত আছে তবে ড্রাইভারদের এসব মুখস্ত।
    বড়ো গাড়ি, গোটা দুয়েক জায়গায় নেমে লোক তোলা হলো। আমরা মোট পাঁচজন। দুজন ব্রিটিশ তাদের একজন মধ্যবয়সী অন্যজন তরুণ, এখানেই আলাপ হয়েছে এবং প্রেমও হয়ে গেছে মনে হলো, তারা প্রেমে মশগুল হয়ে গল্প করে যাচ্ছে, পঞ্চমজন একজন ভারতীয়, কেরালার ছেলে, দুবাইয়ে ব্যবসা, তার বাড়ি কেরালায়। প্রচণ্ড ইংরিজিতে আলোচনা হচ্ছে, দুবাইয়ে চাকরি করতে গেলে এমপ্লয়ার পাসপোর্ট আটকে রাখে কি না, দুবাইয়ের নাইট লাইফ, মল, ইত্যাদি প্রভৃতি।
    আমাদের রাস্তা চলেছে দুদিকে জাম্বেজি ন্যাশানাল পার্ককে কেটে। দুদিকেই নাকি প্রচুর বন্যপ্রাণী আছে। তবে আমরা প্রথমে দেখলাম গরুর পাল, রাখাল তাদের  খাওয়াতে এনেছে, আরও কিছু পরে গোটা কতক ইম্পালা দেখে আমি হরিণ বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। বাইশন না মোষ জানিনা তেমন কারোকে দেখলাম। কিছু বাঁদর। ব্যাস।
    বর্ডার এসে গেছে। গাড়ি থেকে নেমে একজিট করা। সেই ইমিগ্রেশনে সময়ই লাগে না। আবার গাড়িতে করে কিছুটা গিয়ে বটসওয়ানাতে ঢোকা, ফের ইমিগ্রেশন। আমাদের ভিসা লাগে না বটসওয়ানাতে। এখন অন্য গাড়ি, অন্য ড্রাইভার। ভারতীয় ছেলেটি ভিসা নিয়ে আসে নি, তাকে ওখানেই ভিসা নিতে হলো, আধঘন্টা কাবার।
  • যোষিতা | 194.56.48.120 | ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৬739831
  • A chronology of key events:
    1488 - Portuguese explorer Bartolomeu Dias visits.

    1886-90 - Present international boundaries established by German treaties with Portugal and Britain. Germany annexes the territory as South West Africa.

    1892-1905 - Suppression of uprisings against German colonial occupation by Herero and Nama peoples. Possibly 60,000, or 80% of the Herero population, are killed, leaving some 15,000 starving refugees in an act that independent Namibia has deemed an act of genocide.

    South African occupation
    1915 - South Africa takes over territory during First World War.

    1920 - League of Nations grants South Africa mandate to govern South West Africa (SWA).

    1946 - United Nations refuses to allow South Africa to annex South West Africa. South Africa refuses to place SWA under UN trusteeship.

    1958 - Herman Toivo Ya Toivo and others create the opposition Ovamboland People's Congress, which becomes the South West Africa People's Organisation (Swapo) in 1960.

    1961 - UN General Assembly demands South Africa terminate the mandate and sets SWA's independence as an objective.

    1966 - Swapo launches armed struggle against South African occupation.

    1968 - South West Africa officially renamed Namibia by UN General Assembly.

    1973 - UN General Assembly recognises Swapo as "sole legitimate representative" of Namibia's people.

    1988 - South Africa agrees to Namibian independence in exchange for removal of Cuban troops from Angola.

    1989 - UN-supervised elections for a Namibian Constituent Assembly. Swapo wins.

    1990 March - Namibia becomes independent, with Sam Nujoma as first president.

    1994 - South African exclave of Walvis Bay turned over to Namibia.

    1998 - Hundreds of residents of the Caprivi Strip flee to Botswana, alleging persecution by the Namibian government.

    1998 August - Namibia, Angola and Zimbabwe send troops to the Democratic Republic of Congo to support President Laurent Kabila against rebels.

    1999 August - Emergency declared in Caprivi Strip following series of attacks by separatists.

    1999 December - President Nujoma wins third presidential term.

    1999 December - World Court rules in favour of Botswana in territorial dispute with Namibia over the tiny Chobe River island of Sedudu - known as Kasikili by Namibians.

    2002 August - New prime minister, Theo-Ben Gurirab, says land reform is a priority. President Nujoma says white farmers must embrace the reform programme.

    2004 May - Road bridge across Zambezi river between Namibia, Zambia opens amid hopes for boost to regional trade.

    2004 August - Germany offers formal apology for colonial-era killings of tens of thousands of ethnic Hereros, but rules out compensation for victims' descendants.

    2004 November - Hifikepunye Pohamba, President Nujoma's nominee, wins presidential elections.

    2005 September - Government begins the expropriation of white-owned farms as part of a land-reform programme.

    2006 June - National anti-polio vaccination campaign is launched following the death of at least 12 people from the disease.

    2007 February - Chinese President Hu Jintao visits, signs aid and economic co-operation agreements.

    2007 August - Ten men are found guilty of treason for leading a secessionist rebellion in the Caprivi region and are given long prison terms.

    2009 November - Presidential and parliamentary polls. President Pohamba and his ruling Swapo party re-elected.

    2011 February - High Court dismisses legal challenge by nine opposition parties claiming irregularities in the 2009 parliamentary election.

    2011 July- Mines and Energy Minister Isak Katali says Nambia has found a possible 11bn barrels of offshore oil reserves.

    2011 October - Skulls of 20 Herero and Nama people repatriated from a museum in Germany to a welcome from hundreds of descendants.

    2014 August - A protester is shot and killed by police during a rare occurrence of political violence.

    2014 November - Hage Geingob is elected president, SWAPO wins parliamentary polls.

    2018 February - Politicians and civil servants are banned from all foreign business travel to cut expenditure. The economy has been hard hit by a drop in uranium revenues.

    2019 November - President Geingob wins re-election.
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:২৫739880
  • বটসওয়ানাতে অন্য গাড়ি, অন্য চালক। একদেশ থেকে অন্য দেশে একই গাড়িতে যেতে হলে বিশাল লেভি। শুনলাম দুশো ডলার, যাচাই করা হয়ে ওঠে নি, কাজেই নতুন গাড়িতে চেপে আমরা চললাম চোবের দিকে। পথে একবার থামাল ড্রাইভার। একটা চমৎকার রেস্টুরেন্ট। এখানে দুপুরের খাবারের অর্ডার দিতে হবে। ফেরার পথে এখানেই খাবো। খাবারের খরচ আমাদের ট্রিপের খরচে ইনক্লুডেড। 
    ফাহাব নামের সেই কেরালার ছেলেটি ও আমরা দুজন খাবারের অর্ডার দিলাম। নানান রকমের স্যান্ডুইচ ছিল মেনুতে। ড্রাইভারকেও বলা হলো কিছু একটা বেছে নিতে, সে দাম আমরাই দেবো, তবু সে কিছুতেই রাজি হয় না। এই দেশগুলোর মানুষজন অধিকাংশই দেখছি বড্ড লাজুক। বিশেষ করে নিম্নবিত্তদের মধ্যে এই লজ্জা এবং নম্রতা এত বেশি, যে মনে হয় এই কারণেই হয়ত এরা দিনকে দিন পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে।
    তবে বটসওয়ানা ধনী দেশ। এদের আসল সম্পদ হীরা। এত হীরা আছে যে, শুধু হীরা বেচে ব্চেই একশ বছর দিব্যি কেটে যাবে। 
    রেস্টুরেন্টটা এত সুন্দর যে কী বলব।
    ওপরে ছাদ থাকলেও কোনও দেওয়াল নেই। চারপাশে গাছ। সমস্ত আসবাব এখানেও দামী দামী কাঠের। কাছেই একটা হোটেল রয়েছে ছোট্ট মতন। 
    আমরা সম্ভবত কফি খেলাম, নাকি কোল্ড ড্রিংক্স মনে পড়ছে না। গদি দেওয়া আরাম কেদারায় বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ, উঠতে মন করছিল না।
    কিন্তু চোবে যেতে হবে, সেটাই আসল উদ্দেশ্য, তাই ফের উঠতে হলো।
    অল্প কিছুক্ষণ পরেই চোবে ন্যাশানাল পার্কের মুখে এসে থামল গাড়ি।
    একটা গেট মতন রয়েছে যদিও, কিন্তু গোটা এই অরণ্যের কোত্থাও বেড়া দেওয়া নেই। 
    এখানে আমরা যাব সম্পূর্ণ খোলা গাড়িতে। এবার চালক কাম গাইড একজন সিরিয়াস দেখতে মানুষ।
     
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:২৯739881
  • এই সেই গাড়ি, যেটায় করে ঘুরেছি পার্কের মধ্যে।
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৩১739882
  • গেটের বাইরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন