ইউনিফর্ম সিভিল কোড আসলে কি দাড়াবে বা সত্যি কখনো আসবে কিনা কেউই জানেনা। জাস্ট ব্যক্তিগত প্রেফারেন্স গুলো লিখে দি।
১। সংঘ পরিবার এর প্রধান তপশিলি জাতি বা জনজাতির মানুষ হতে পারবেন না এমন ক্লজ আছে কি এখন ? জানি না। মহিলা হতেও বাধা নেই হয়তো। প্রাক্টিক্যালি হবেন কি না সেটা অন্য কথা। খোদ আম্রিগাতে ই বা এখনো মহিলা প্রেসিডেন্ট হলো কই ? ৩। এইটা কিন্তু হতে পারে ভালো মতোই। সংঘ পরিবার পসমিনদা মুসলীম দের রিচ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ১০০ জনের কমিটিতে মাইনোরিটি রিপ্রেসেন্টেটিভ থাকতেই পারে। এবাৰ তাদের হাতে কতটা ক্ষমতা থাকবে বা আদৌ কতটা ভয়েস থাকবে সেগুলো অন্য কথা। এইটা ইউনিফর্ম কোডের আওতায় আসবে না হয়তো।
৪। এইটা সত্যি আছে গোয়ায় ? ভেরি ইন্টারেষ্টিং। এটা কী পর্তুগীজ আমল থেকে ছিল ? আর চেঞ্জ হয়নি ? তবে এই যুগে বহুবিবাহ সব জায়গায় ইমিডিয়েট বন্ধ হওয়াই উচিত। ধর্ম কর্ম নির্বিশেষে ছেলে মেয়ের বা অন্য লিঙ্গের ইকুয়ালিটি আসা দরকার। বিয়ে , বিবাহবিচ্ছেদ আর ইনহেরিটেন্স আইন সকলের জন্যেই এক হওয়া উচিত যেটা ইউনিফর্ম সিভিল কোডে প্রপারলি এড্রেস করা দরকার।
এইটা রঞ্জনদার টই তেও লিখেছিলাম। সাউথের দিকে হিন্দুদের মধ্যে প্রচুর পলিগ্যামি দেখেছি এবং কেও মারা গেলে প্রপার্টি নিয়ে বাজে রকমের ডিসপিউট হতেও দেখেছি। এসমস্তই ইমিডিয়েট স্টপ হওয়া উচিত। এসব একুয়ালিটির প্রশ্ন। এক্ষেত্রে ধর্ম টর্ম যেনে আনাই উচিত নয়।
৫। হিন্দু ফ্যামিলি ট্যাক্স অবশ্যই পাল্টানো উচিত। ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্যে এক ট্যাক্স রেজিমে হওয়া দরকার।
৬। তফসিলি আর বাকি ওবিসি রেজারভেশন এ কিছুটা তফাৎ আছে- শুধু মুসলিম ওবিসি দের জন্যে আলাদা করে নয়। সুপ্রিম কোর্টের রুলিং ও আছে ওবিসি ইনকাম ক্রিটেরিয়া নিয়ে। রেজারভেশন বংশানুক্রমিক হওয়া উচিত নয় ইন প্রিন্সিপাল। কিন্তু হিন্দু ধর্মের জাতপাতের ছ্যাচড়ামির দৌলতে তফসিলি /আদিবাসীদের দের এতটাই প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে এতো শ বছর ধরে যে সেটা একলপ্তে তুলে দেওয়া টা একটু কঠিন।
এই ধরণের বংশানুক্রমিক রেজারভেশন কিছুটা অন্য দেশেও আছে দেখেছি আবরিজিনালস দের জন্যে। আমার ব্যক্তিগত মত এটার কিছুটা দরকার আছে এখনও ।
৭। এই জিনিসগুলো প্রমান করা কঠিন। ডিসক্রিমিনেশন নানা ফর্মে গোটা দুনিয়ায় আছে। চাকরি তে একই কোয়ালিফিকেশন বা কোয়ালিটি নিয়ে বেশ কয়েকজন থাকলে তাদের মধ্যে একজনকে বাছতে গেলে নানা রঙের বায়াস থেকে যাওয়ার প্রোবাবিলিটি ১০০-% থাকবেই। তবে এসব সোশ্যাল ইস্যু। ইউনিফর্ম সিভিল কোড দিয়ে সমাধান মিলবে না।
হ্যা , কোয়ালিফিকেশন না থাকলেও অযোগ্য ক্যান্ডিডেট বেছে নিলে সেটা তো আদালতে চ্যালেঞ্জ করাই যায়-যেমন মমতার ঘুষ খেয়ে টিচার রিক্রুটমেন্ট।
৮। একই সমস্যা। প্রমান করা মুশকিল সব ক্ষেত্রে। হবে অবশ্যই উচিত নয়। কিন্তু প্রমান না করা গেলে শুধু আইন দিয়ে কিছু হবে না।
৯। যে মুসলিম রা প্রপার পেপার ওয়ার্ক আর ডিউ ডিলিজেন্স এন্ড প্রসিডিউরে র মাধ্যমে আসবেন তারা নিশ্চয় পাবেন। যেমন আদনান সামি। আলাদা করে শুধু পাকিস্তান বাংলাদেশ বা মুসলিমই বা কেন ? যে কোনো দেশের বা ধর্মের ক্ষেত্রেই তো একই আইন হওয়া উচিত।
১০। নিশ্চয় হওয়া উচিত। হিন্দুদের এই জাতপাতের বিভেদ একটা চরম লজ্জার জিনিস। এই যুগে যারা জাতপাত নিয়ে পড়ে থাকে তাদের সবকটার ডাইনোসরদের সাথেই চিরতরে লোপ পেয়ে যাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি। আমার মত যে ধর্ম জিনিসটাই বাজার থেকে উঠে গেলে সবার মঙ্গল। কিন্তু কি আর করা যাবে ? যেমন তালিবানরা আছে তেমনই গোরক্ষকরাও আছে। দুনিয়াটা সভ্য লোকে চালায় না সব জায়গায়।
১১। হ্যা। সবার মন্দিরে প্রবেশ অধিকার নিশ্চয় পাওয়া উচিত। জানিনা এইটা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের আন্ডারে আসে কিনা। যদিও এসব মন্দির ফন্দিরে যাওয়া আমার এক্কেরে পোষায় না- যাইও না। তার থেকে দল বেধে ফুটবল দেখতে বা মদ খেতে যাওয়া অনেক বেটার।
১২। পয়েন্ট মিস হয়ে গেছে :) ব্ল্যাঙ্ক
১৩। নিশ্চয়। শুধু তিরুপতি কেন ? সমস্ত রকমের ধর্মীয় ইনকাম ইমিডিয়েট ট্যাক্সেবল হওয়া উচিত। এগেন এইটা ইউনিফর্ম কোডের আওতায় আসে কি না জানিনা। ট্যাক্স রিফর্মের আন্ডারে আসবে। এগেন আমরা চাইলেই আর হচ্ছে কোথায় ? ধর্মের নেশা থেকে বেরিয়ে সভ্য মানুষের যুগ আসতে এখনও অনেক রাস্তা যেতে হবে।
১৪ । আগেই লিখে দিয়েছি। হিন্দুধর্মের এই জাতপাতের ডিভিশন একটা বিশাল কলঙ্ক। সভ্য যুগে এসবের কোনো জায়গা নেই। দূর্ভাগ্য যে এসব এখনো আছে।