এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  পরিবেশ

  • বিপন্ন বিশ্বজলবায়ুঃ মুক্তির উপায় কি? পর্ব ৪

    সূর্যদীপ্ত নাগ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | পরিবেশ | ১০ জুন ২০২৩ | ৩১৯ বার পঠিত
  • রিনিউয়েবলস
     
     
    প্রথম তিনটি পর্বে যা লিখলাম সেটা ধরে নিন ভূমিকা ছিল। আমাদের মূল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করব এই পর্ব থেকে। আশা করি এত দিন ধরে বলা হাজারটা কথার ফেরে ভুলে যাননি এই লেখাটার মূল উদ্দেশ্য কি। আর, যদি ভুলে গিয়েও থাকেন তাহলে আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছি - এই ক্লাইমেট ক্রাইসিসের কি আদৌ কোন সমাধান আছে? এবং উত্তরটাও আবার বলছি - অন্তত তাত্ত্বিকভাবে অবশ্যই আছে।

    উষ্ণায়ন রোধে প্রাথমিক কর্তব্যই হল বাতাসে অতিরিক্ত গ্রীন হাউজ গ্যাস যোগ করা বন্ধ করা। এক্ষেত্রে কোন সেক্টরে কি পরিমান এই জাতীয় গ্যাসের উৎপাদন হয় সেকথা দ্বিতীয় এপিসোডেই লিখেছি। আশা করি মনে আছে যে, আমাদের পূর্বোক্ত একান্ন বিলিয়ন টনের প্রায় ২৭ শতাংশ আসে বিদ্যুতের থেকে। গ্রীন হাউস গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণের দিক থেকে যদিও দ্বিতীয় তবুও সব সেক্টরের চাইতে গুরুত্বের দিক থেকে এগিয়ে বিদ্যুৎ। কারণ ইলেক্ট্রিসিটিকে যদি পুরোপুরি কার্বন মুক্ত করা যায়, এবং যদি এই প্রকারের গ্রীন ইলেকট্রিসিটির প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা যায়, তাহলে অন্যান্য যে সমস্ত সেক্টরগুলির থেকে গ্রীন হাউস গ্যাসের উৎপাদন হয় তাদেরকে কার্বন মুক্ত করার কাজেও বিদ্যুতই হয়ে উঠবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 

    কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই মাথায় আসে রিনিউয়েবল বা নবায়নযোগ্য উৎসগুলির কথা কথা। এদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল উইন্ড পাওয়ার এবং সোলার পাওয়ার। এর সঙ্গে হাইড্রো পাওয়ার বা জলবিদ্যুৎকেও অবশ্যই ধরা যায়, কিন্তু বিল গেটসের মতে, আপাতদৃষ্টিতে জলবিদ্যুৎকে কার্বন মুক্ত বলে মনে হলেও কার্যত সেটা না। কারণ টারবাইন চালিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে প্রথমেই দরকার পড়ে জল ধরে রাখার জন্য কৃত্রিম রিজার্ভরের। এবারে সেই রিজার্ভরগুলো যেখানে তৈরি করা হয় সেই মাটিতে যদি প্রচুর পরিমাণে বায়োমাস থাকে তাহলে একটা সময়ের পর সেটা পচে বায়ুতে গ্রীন হাউস গ্যাস যোগ করতে থাকে, এবং বিশ্ব উষ্ণায়নে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রিবিউটর হয়ে ওঠে।  পুরনো যেসব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আছে সেগুলির ক্ষেত্রে অবশ্য এই বিষয়টা খাটে না, কারণ নতুন করে গ্রীন হাউস গ্যাস যোগ করার মতো বায়োমাস সম্ভবত ওদের রিজার্ভারের তলায় থাকা জমিতে আর নেই। কিন্তু নতুন করে জলবিদ্যুতের জন্য ড্যাম তৈরির ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা থেকেই যায়।

    বাকি রইল উইন্ড এবং সোলার পাওয়ার (এছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে, তবে এখানে আপাতত এই দুটির বিষয়েই কথা বলব)। আনন্দের কথা হলো এই দুটির ক্ষেত্রেই ইনভেস্টমেন্ট বাড়ছে, এবং গোটা পৃথিবীর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এদের শেয়ারও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি আর্টিকেল জানাচ্ছে যে বর্তমানে এই জাতীয় রিনিউয়েবল সোর্সগুলির থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তা আন্দাজ পৃথিবীর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উনতিরিশ শতাংশর মত। কিন্তু, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির মতে মাত্র দুবছরে, অর্থাৎ ২০২৫ সালেই, সেটা বেড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি হয়ে যাবে! মাত্র দুই বছরে ৬ পার্সেন্ট শেয়ার বৃদ্ধি মানে সেটা বিশাল ব্যাপার! এছাড়া আরো জানা যাচ্ছে যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে পৃথিবীর যে এনার্জি ডিমান্ড নতুন করে তৈরি হচ্ছে সেটি পূরণ করার জন্যও যে বিদ্যুৎ আসছে তার নব্বই শতাংশই রিনিউয়াবল এবং পারমাণবিক শক্তি থেকে প্রাপ্ত। অর্থাৎ, নতুন করে কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে খুব বেশি যোগ হচ্ছে না বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও।

    এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, গ্রীন হাউজ গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমানে পৃথিবীতে এক নম্বর পলিউটার হলেও, রিনিউয়েবলস এর পিছনে ইনভেস্টমেন্ট বাড়ার জন্য যে দেশটি সবথেকে বেশি করে দায়ী তা হল চীন। তবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও চীন বর্তমানে পৃথিবীতে এক নম্বরে। সত্যি বলতে কি, বিদ্যুতের চাহিদায় যে তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তার শতকরা সত্তর ভাগই চীনের জন্য। চীন ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশই রিনিউয়েবলস এর পিছনে প্রচুর ইনভেস্ট করেছে (এবং করছে)। এবং আমেরিকাতেও দেখা যাচ্ছে যে ২০১০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন করে যেটুকু বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি পূরণ হয়ে গেছে শুধুমাত্র সৌর বিদ্যুৎ এর দ্বারা।

    তবে এই জাতীয় রিনিউয়েবল সোর্স থেকে পাওয়া বিদ্যুতের একটা বিশেষ সমস্যা আছে, যেটিকে বিল গেটস ওর বইয়ে খুব ভালোভাবে ব্যক্ষা করেছেন। সমস্যাটা হল ইন্টারমিটেন্সির। সৌর বিদ্যুতের কথাই ধরুন। ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত সূর্যের আলো আছে বলে সোলার প্যানেলগুলি না হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে, কিন্তু রাত হয়ে গেলেই তারা কার্যত অকেজো। কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা তো রাত্রেবেলাও থাকছে! একই রকমভাবে বায়বীয় বিদ্যুতের সম্পর্কেও বলা যায় এটা নির্ভর করে একটানা হওয়া বইছে কিনা তার ওপর। এবং শুধুমাত্র বইলেই হবে না, উইন্ড টারবাইনগুলির অনুকূলেও বইতে হবে (অর্থাৎ এমনভাবে বইতে হবে যাতে ওই টারবাইনগুলো ঘোরে)। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে রিনিউয়েবল সোর্সের থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ বেশ খানিকটা প্রকৃতির খামখেয়াল এর উপরেও নির্ভরশীল।

    দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে স্থানিকতার। যেমন ধরুন, একটি সোলার ফার্ম তৈরি করতে গেলে প্রয়োজন পড়ে প্রচুর ফাঁকা জমির। কিন্তু এই পরিমাণ খালি জমি কি শহর এলাকাতে পাওয়া সম্ভব? স্বাভাবিকভাবেই তাই একে তৈরি করতে হবে শহর থেকে দূরে। উইন্ড টারবাইন গুলির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। বেশিরভাগ সময়ই এগুলো বসানো হয় সমুদ্রের মধ্যে বা সমুদ্রের ধারে। কারণ বাধাহীনভাবে একটানা হাওয়া চলে সমুদ্রেই। অন্যদিকে পাওয়ারের চাহিদা আবার সবথেকে বেশি থাকে শহর অঞ্চলে। এবার তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন পড়ে শহর থেকে বহু দূরে উৎপন্ন এই বিদ্যুৎ শহর পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য নতুন নতুন পাওয়ার গ্রিড তৈরির। এই বিষয়টা আবার বেশ খরচা সাপেক্ষ। তাছাড়া নতুন লাইনগুলি যেখান দিয়ে যাবে সেখানকার জমির মালিকদের থেকেও অনুমতি নিতে হবে। সেটা মোটেও সহজ কাজ নয়।

    বিদ্যুৎকে একশ শতাংশ রিনিউয়েবল নির্ভর করা যে কার্যত সম্ভব নয় সেটা বোঝা গিয়েছে ইউরোপে। জার্মানি সহ ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশ এই জাতীয় বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে পাওয়ার গ্রীডে কখনো প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি বিদ্যুতের সাপ্লাই থেকেছে, কখনো আবার দরকারের থেকে কম (২০১৮ সালের জুন মাসে জার্মানি যে পরিমাণ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে তা ওই একই বছরের ডিসেম্বরে উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১০ গুণ বেশি)। ফলত, বেশ কিছুটা বিদ্যুৎ নষ্টও হয়েছে! এবার, বিদ্যুৎকে স্টোর করার যদি কোন সহজ এবং সস্তা পদ্ধতি থাকতো তাহলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু ব্যাটারিতে বিদ্যুৎ স্টোর করে রাখা যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ একটি বিষয়। 

    আশা করি বোঝা যাচ্ছে যে এই জাতীয় ইন্টারমিটেন্সির যে সমস্যা সেটা পূরণ করার জন্য একটি ব্যাকআপের দরকার। এবং বলাই বাহুল্য, একেও হতে হবে ক্লিন, অর্থাৎ কার্বন মুক্ত। এই চাহিদা পূরণ করতে পারে কে? পারমাণবিক শক্তি। তার কথা আগামী পর্বে।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ জুন ২০২৩ | ৩১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন