এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নিউজক্লিক ও বিকল্প মিডিয়া 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৮৬৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (৪ জন)
  • এই নিউজক্লিক কান্ডের পর অন্য একটা কথাও মনে হচ্ছে। সেটা বিকল্প মিডিয়া প্রসঙ্গে। গত কুড়ি বছরে, বাংলা এবং গোটা ভারতেই বিকল্প লেখালিখির জায়গাটা দুমাদ্দুম স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এই স্টার্টআপ জিনিসটা কী? না আপনি নিজের উদ্যোগে বা খরচায় কিছু একটা ছোট্টো করে বানালেন। তারপর তার মুনাফা-বানানোর সম্ভাবনা আছে দেখিয়ে বড় কোনো শিল্পগোষ্ঠীর কাছে বেচে দিলেন। অথবা সরাসরি বেচলেননা, কিন্তু বেশিরভাগ শেয়ারই বেচে দিয়ে বিনিয়োগ আনলেন। জিনিসটা নতুন কিছু না, কিন্তু ইন্টারনেট আসার পর গতি পেয়েছে। অ্যাপল থেকে অ্যামাজন অবধি সবই এরকম। মিডিয়াতে আগে এটা ছিলনা, কিন্তু ইন্টারনেট আসার পর, সেটাও এর খপ্পরে পড়েছে। জিনিসটা শুরু হয়েছে পশ্চিমে। ভারতেও ওই দিক থেকেই এসেছে। 

    তার আগে দারুণ কিছু ছিল এমন না। কর্পোরেট মিডিয়া ছিল, তাদের সবাই কর্পোরেট বলেই জানত। বিকল্প লেখাপত্তর কেউ পড়তনা। ইন্টারনেট আসার পর জিনিসটা খানিকটা বদলেছিল। আমাদের মতো বাপে-তাড়ানো-মায়ে-খেদানোরা ভেবেছিল, এইতো নতুন একটা আকাশ পাওয়া গেল। তৈরি হয়েছিল উইকিপিডিয়া। উবুন্টু (লিনাক্স) ঘোষণা করেছিল তাদের বাগতালিকায় প্রথম বাগ হল মাইক্রোসফট। এই বাগ দূর করতে হবে। গুরুচণ্ডালিরও শুরু খুব কাছাকাছি সময়। একইরকম একটা কর্পোরেটহীন খোলা আকাশের পরিকল্পনা থেকেই। হিসেব ছিল খুব পরিষ্কার। জ্ঞানের জগতে, মতামতের জগতে, চিন্তার জগতে প্রতিষ্ঠানের একাধিপত্য আর নেওয়া হবেনা।

    কিন্তু পুঁজিও তো বসে থাকার জিনিস না। আকাশ যখন আছে, তাদেরও ওড়ার জায়গা আছে, তারাও হইহই করে মাঠে নেমে পড়ল। শুরু হল স্টার্ট-আপ সংস্কৃতি। ভারতে এল পশ্চিম থেকে, উদারনীতির হাত ধরে। বাংলায় তো পুরো জিনিসটা চোখেই দেখা গেল। বুদ্ধবাবুর আমলে ভাবা হল, কেন্দ্র-টেন্দ্র আর নেই, উদারীকরণ এসে গেছে, মাশুল সমীকরণ এসে গেছে, এবার স্যাটাস্যাট পুঁজি আসবে আর ঝপাঝপ উন্নয়ন। বুদ্ধবাবু ধারণার ফলিত প্রয়োগ করতে বিপর্যয় ঘটিয়ে ফেললেন, কিন্তু ধারণাটা গেলনা। এখনও মমতার এলোমেলো-করে-দে-মার যুগেও পুঁজি এবং উন্নয়ন প্রায় সমার্থক। মাঝেমধ্যে ভুল করে চপশিল্পের কথা বলে ফেললে ভদ্রলোকেরা যে বিমলানন্দ লাভ করেন, সেটা এই সর্বগ্রাসী ধারণাটার কারণেই। 

    যাই হোক, কিছু এলিট, যাঁরা চিন্তাভাবনা করেন, তাঁদের মধ্যে এই ব্যাপারটা গেঁথে গেল একরকম করে। এবং বিকল্প নিয়ে যাঁরা ভাববেন, তাঁরা ভাবতে শুরু করলেন স্টার্ট-আপ নিয়ে। অর্থাৎ এমন একটা মডেল চাই, যা অন্যরকম কথা বলার সঙ্গে-সঙ্গে মুনাফাও উৎপাদন করবে। সেটা দেখিয়ে জিনিসটা বেচে দেওয়া যাবে, বা বিনিয়োগ আনা যাবে। এতে এমনি কোনো সমস্যা নেই, বা ছিলনা। কিন্তু কথা হল, বিনিয়োগ তো এমনি আসেনা। তার শর্ত-টর্ত সমেত আসে। খোদ স্টিভ জোবসকেই অ্যাপল থেকে বার করে দিয়েছিল। সর্বগ্রাসী স্টার্ট-আপ সংস্কৃতির যুগে এই সারসত্যটাই ভুলে যাওয়া হল একরকম করে। সবাইকেই বিকল্প করতে হবে তা নয়, কিন্তু যাঁরা করবেন বা করছেন বলে দাবী করছেন, তাঁদের এই ভুলে যাওয়াটা, বা ভুলিয়ে দেওয়াটাই উদারনীতির সাফল্য।    

    ভারতবর্ষের যা কেন্দ্র, সেই দিল্লি-টিল্লিতে ক্ষমতার অলিন্দের সঙ্গে অন্তত বৌদ্ধিক স্তরে বামপন্থার যোগাযোগ অতি নিবিড়। দিল্লির বিখ্যাত সোসালাইটরা কংগ্রেস থেকে শুরু করে বাম অতিবাম পর্যন্ত পুরো এলাকাটা জুড়েই বিচরণ করেন। তবু বৌদ্ধিক স্তরে এককালে তফাত ছিল একটা। জেএনইউএর এলিট নেতারা বাম দলে যেতেন, আর সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের ছেলেপুলে, রাজীব গান্ধির আমলে কংগ্রেসে ঢুকতেন। এটা আস্তে সুস্থে বদলে গেল। জেএনইউ বাম নেতাদের তালিকা দেখলে দেখা যাবে, পরবর্তীতে কংগ্রেস বা অন্য দলে যোগদানকারী প্রচুর। এঁদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিত কানহাইয়া কুমার, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বাম নয়নমনি ছিলেন। বস্তুত উদারনীতিতে যে সমস্যা কিছু আছে, এটাই বামদের অনেকে মনে করেননা। সম্প্রতি কবিতা কৃষ্ণনও কাছাকাছি একটা দাবী রেখে লিবারেশন ত্যাগ করেছেন।

    এর কোনোটাই আকাশ থেকে পড়েনা। বলাবাহুল্য বিকল্পের ধারণার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। দিল্লিকেন্দ্রিক যে বিকল্প মাধ্যমগুলো, প্রত্যেকেই কিন্তু কর্পোরেট বিনিয়োগেই চলে। কারণ মডেলটাই স্টার্ট-আপের। সেখানে পুঁজির নির্দিষ্ট দাবীদাওয়া আছে এবং সেটাই চূড়ান্ত। প্রণয় রায় বা রবীশ কুমারের বিতাড়ন খুবই আলোচ্য বিষয়। কিন্তু বিতাড়ণই প্রমাণ করে, পুঁজির দাবীই সর্বোচ্চ। এখন পুঁজির দাবী বদলেছে, তাই তাড়িয়ে দেওয়া হল। যখন ছিলেন, তখনও তাঁরা পুঁজির দাবী অনুযায়ীই কথা বলতেন, সেটা কোনোভাবে তাঁদের ব্যক্তিআদর্শের সঙ্গে হয়তো কিছুটা মিলে যেত। এই যে, কর্পোরেট পুঁজির দাবী অনুযায়ীই কথা বলতে হয়, এই ধারণাটাই আর ওয়াই-টু-কে-উত্তর স্টার্ট-আপ-কিডদের মাথায় নেই। তাই যে কটা ইংরিজি বা হিন্দি সাইট-চ্যানেল 'বিকল্প' হিসেবে দাঁড়িয়েছে প্রত্যেকে, এই একই মডেলের সন্তান। অর্থাৎ, বিনিয়োগ-পেশাদার কর্মী- কনটেন্ট তৈরি। অনেকেই পুরো বিনিয়োগ এখনও জোগাড় করে উঠে পারেননি, তাই সাহায্য চান-টান। কিন্তু উবুন্টু বা উইকিপিডিয়ার যে ধারণা, যে, লোকজন কাজকর্ম করে এসে বাড়িফিরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে লিনাক্স বানাবে, সেটা আর নেই। বাংলার 'বিকল্প'রা কেন্দ্রকে অনুসরণ করেন, অনেক পিছিয়ে থেকে যদিও। তাই সেখানে 'বিকল্প' তেমন কিছু দাঁড়ায়নি। কিন্তু চিন্তার জগতে বিনিয়োগ একই রকম ভাবে ঢুকে আছে। 

    একমাত্র আমরা, মানে গুরুচণ্ডা৯ এই পুঁজি-বিনিয়োগ-পেশাদার বৃত্তের বাইরে আছি। সেই প্রথম থেকে এখনও। এখনও আমাদের ছেলেমেয়েরা বা বুড়োবুড়িরা কাজকর্ম সেরে এসে সন্ধ্যেবেলায় গুরু নিয়ে বসেন। কেউ সম্পাদনা, কেউ কোডিং, কেউ প্রকাশনা। এবং উদ্দেশ্যটা স্রেফ নিজের লেখা প্রকাশ করা না। এমন একটা মুক্ত ফোরাম দেওয়া, যেখানে সবাই, এমনকি বিরোধী লোকেরাও বলতে পারে। এই সেই মুক্ত আকাশ, দুহাজারের গোড়ার দিক থেকে যার কথা আমরা ভেবে এসেছি। এখনও নড়িনি। বাংলার চিত্রটা অনেক কাছ থেকে দেখেছি, অন্য কোনো উদ্যোগই তেমন দাঁড়ায়নি। এক-আধটা সিকি বা অর্ধেক দাঁড়িয়েছে বা দাঁড়িয়েছিল, তার কেউ গুরুকে গাল দিয়েছেন, দালাল-টালাল বলেছেন (কীসের দালাল কে জানে), কিন্তু নিজেরাই বিনিয়োগ-পেশাদার-কনটেন্ট বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন। বিনিয়োগ মানেই যে পুঁজির দালালি, লাল পুঁজি হোক কি নীল, এই ধারণাটা তৈরিই হয়নি। কেউ কেউ গাল দেননি, বন্ধুপ্রতিমই, জেনেশুনে বিষ পান করেছেন, কারণ, অন্য কিছু ভাবেননি।

    তো, এইটা চিন্তার জগতের একটা গতিপ্রকৃতি। নিউজক্লিকও দেখলাম পুঁজিই খুঁজেছে, যেমন খুঁজেছেন প্রণয় রায়। কেন্দ্রের প্রতিটি শয়তানিই সত্য, প্রতিটির বিরুদ্ধে লড়াইয়েই সঙ্গে আছি, কিন্তু তার সঙ্গে একথাও বলতে হবে, বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্পের কথাও ভাবা দরকার। ভাবা শুধু নয়, করে দেখানো দরকার। ঈশ্বরের কৃপায়, এই উনিজির রাজত্বেও, ফেবুর রমরমাতেও, 'বিকল্প' পরিসরে বাংলায় এখনও গুরুচণ্ডা৯র ধারেকাছে কেউ নেই। গত কদিন আগেই লিখেছিলাম, মাসে এখন দুলাখ পাঠক। গতমাসেই সেই রেকর্ড টপকে আড়াই লাখে পৌঁছনো গেছে। নড়বড়ে পার্টটাইম স্বেচ্ছাশ্রম, প্রচুর অলোমেলো কাজকর্ম দিয়েই গেছে। স্বেচ্ছাশ্রমের তুল্য কমিটমেন্ট আর কিছুতেই এখনও দেখিনি। তথাকথিত পেশাদারিত্ব তার কাছে নস্য। এইটা দিনে দিনে আরও বাড়বে, আরও নিশ্চয়ই কিছুদিন বাঁচব, বিকল্প কাকে বলে করে দেখাব, ইনশাল্লাহ। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩৬524235
  • মোটামুটি প্রায় শুরু থেকে দেখার জন্যই দুয়েকটা কথা মনে হয়েছে।  
    ১) এই অপেশাদার অ্যাপ্রোচ, যেটাকে তুমি ল্যাল্যাপনা বলতে সেটা পুঁজি ছাড়াই আরেকটু পেশাদার হলে মনে হয় ভাল হত। হ্যাঁ লোকে সারাদিনের কাজের এবং ঝাড় খাবার ও দেবার পরে কোডিং বা সম্পাদনা নিয়ে বসে। আমিও বসতাম এককালে। কিন্তু তাতেও আরেকটু গুছিয়ে, কিছু লিখিত ডকিউমেন্ট রেখে করলে আদতে কাজটাই আরো ভাল হয়। মানে অপেশাদারিত্ব খুব একটা শ্লাঘার বিষয় নয় বলেই মনে হয়। 
    ২) বই বা লেখার ক্ষেত্রে প্রচার,  ফ্র‌্যাঙ্কলি পাই ছাড়া কেউই সেভাবে গুছিয়ে করতে পারে না যা দেখেছি। পাই একেবারে লেখক নিরপেক্ষে, নিজের পছন্দ অপছন্দ নিরপেক্ষে দুদ্দাড় শেয়ার করে যেত। মাঝে মাঝে একটু ওভারহোয়েল্মিং হত। কিন্তু লোকে পড়ত,  অন্তত ক্লিকিয়ে দেখত প্রচুর লোকে।  তো, স্বেচ্ছাসেবার ক্ষেত্রে এখন আমার মনে হয়েছে গত প্রায় এক বছর ধরে এই লেখক নিরপেক্ষে প্রচারের ব্যপারটা ঠিক নেই।  
    ৩) গুরুর কিছু বই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়ক পাঠ হতে পারে। বিভিন্ন পুরস্কারের জন্যও মনোনয়ন পেতেই পারে। কিন্তু সেগুলো মনে হয় ঠিক সেভাবে যাচ্ছে না। বৃহৎ পুঁজি নির্ভর না হয়েও অন্য কোনও কোনও ছোট প্রকাশক সেই জায়গাটায় ভাল কাজ করছেন। 
  • ং: | 182.160.100.45 | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৬524237
  • 'একমাত্র আমরা, মানে গুরুচণ্ডা৯ এই পুঁজি-বিনিয়োগ-পেশাদার বৃত্তের বাইরে আছি। সেই প্রথম থেকে এখনও। এখনও আমাদের ছেলেমেয়েরা বা বুড়োবুড়িরা কাজকর্ম সেরে এসে সন্ধ্যেবেলায় গুরু নিয়ে বসেন। কেউ সম্পাদনা, কেউ কোডিং, কেউ প্রকাশনা। এবং উদ্দেশ্যটা স্রেফ নিজের লেখা প্রকাশ করা না।'
     
    :নিজের লেখা ছাপানোর উদ্দেশ্য হলেই বা সমস্যা কি? একজন মুক্ত লেখক ঠিক মার্সেনারি সোলজার  না হলেও সে ত’ কারো স্পাউস, প্রেমিক-প্রেমিকা বা জন্মগত/বিবাহসূত্রে পরিবারের কোন সদস্য নয় যে এক জায়গাতেই তাকে লিখতে হবে বা না লিখলেও এক জায়গাতে থেকেই প্রকাশনার সাথে জড়িত সব কাজ করবে। নিজের ভাবনা-চিন্তার সাথে খুব বেশি সাঙ্ঘর্ষিক না হয় এমন যে কোন পত্রিকায় সে লিখতেই পারে- যদি (ভাইস ভার্সা) তারাও তার লেখাকে প্রকাশের উপযুক্ত মনে করে বা আদর্শগত থেকে ব্যক্তিগত- কোন রকম কোন সঙ্ঘাতই লেখকের সাথে সম্পাদনা কর্তৃপক্ষের না থেকে থাকে!
  • xor | 182.69.183.162 | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৯524238
  • এই আড়াই লক্ষ সংখ্যাটা নিয়ে কিছু বলার আছে। খেখাতে এখন গড়ে এক একটা লেখার কাউন্ট হয় ৫০-১০০। ফেবুতে শেয়ার করলে কিছুটা বাড়ে। লকডাউনের সময় এই নাম্বার টাই ছিল হাজারের কাছাকাছি। এখন হপা বা বুবুভাও ফেবুতে শেয়ার না হলে হাজার পেরোয় না। সাইটের ইউনিক ভিজিটর সংখ্যা , যারা গুরু করার জন্যই গুরুতে আসেন সেটা বাড়েনি বলেই মনে হয়। 
     
    এছাড়াও অনেকে ভাটিয়া৯ বুকমার্ক করে রেখেছেন,  মিনিটে মিনিটে রিফ্রেশ করেন ভাটে নতুন কিছু এল কিনা দেখার জন্য। সেই অনুপাতে অন্য টই বা লেখায় হিট পড়ে না। কাজেই আড়াই লাখের বদলে ইউনিক আইপি ইত্যাদির সংখ্যা বার করতে পারলে ব্যাপারটা বেটার বুঝতে পারবেন। 
  • xor | 182.69.183.162 | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩৪524239
  • উদাঃ স্বরুপ যদি ধরি মিনিটে ভাটিয়াল৯ ৫ বার রিফ্রেশ হচ্ছে তাহলে মাসে রিফ্রেশ হচ্ছে ২৪ *৬০ *৫ *৩০ = ২১৬০০০
     
    এবার এটা আড়াই থেকে বাদ দিলে পড়ে থাকে ৩৪০০০ ,  এর মধ্যেও রিপিট আছে। অনেকে নতুন নতুন কমেন্ট পড়তে এক লেখায় বারবার ক্লিক করেন। অর্থাৎ একমাসে গুরুর প্ল্যাটফর্ম নিয়মিত ব্যবহার করেন ৫ থেকে ১০ হাজার জন মানুষ। এটা যথেষ্ট হেলদি একটা সংখ্যা। কিন্তু আড়াই লাখ প্রকৃত সংখ্যা নয়। 
  • Arindam Basu | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪১524240
  •  সামান্য ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে যেকোন স্টআর্ট আপের ক্ষেত্রেও এক রকমের অমানুষিক স্বেচ্ছাশ্রম থাকে, বিশেষ করে একা বা অল্প কয়েকজন মানুষের স্টার্ট আপ (সোলো স্টআর্টআপ) । যারা বিকল্প লেখালিখি কিন্তু তাকে স্টার্টআপের মতন তৈরী করে বিক্রি করে দিতে চায়, তাদের সবাই যে কম্প্রোমাইজ করবে সেটা সবসময় নাও হতে পারে অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের স্বাধীনতা রেখেও বিক্রি নিগোশিয়েট করা যায়। 
     
     স্বেচ্ছাশ্রম হলেও দিনের শেষে একটা রেভিনিউ আনার ব্যাপার থাকে তো, সেটার নানা রকমের মডেল রয়েছে। এখানে সাবস্ক্রিপশনের কথাও ভাবা যেতে পারে, তাতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সমস্যাটাও রইল না, এবং এই যে ক্রমবর্ধমান সদস্য সংখ্যা, সেখান থেকে এক শ্রেণীর নিয়মিত গ্রাহক পাওয়া গেল। 
     
    গুরুচণ্ডালীর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হোক। 
  • Samaresh Mukherjee | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৪524242
  • হোয়াতে কোনো মেসেজ পেয়ে কেউ তা "পড়েছে" কিনা তা বোঝা‌র কোনো উপায় জুকেরবার্গ সাহেবের কোম্পানি এখনও বার করতে পারেনি। প্রভূত জৈবিক মাথা খাটিয়ে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লাগিয়ে‌ও অদুর ভবিষ্যতে তা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তা করতে গেলে হয়তো আবার এলন মাস্কের নিউরালিংক কোম্পানির মতো পাঠকের মাথায় ব্রেন ইমপ্ল্যান্ট বসাতে হবে, নিতে হবে তার পারমিশন। তাহলে কেউ একটা ডকুমেন্ট খুলে চোখ বুঁজে হাই তুলছে না সত‍্যি‌ই পড়ছে - তা হয়তো ঐ ব্রেনে প্রোথিত চিপ দ্বারা Eye movement, screen scrolling, brain impulse ইত‍্যাদি‌র মাধ‍্যমে বোঝা সম্ভব। অতো কান্ড করে কেবল Actual Reader's Count বার করতে পরতায় পোষাবে না।

    হোয়া সেটিংসে Read Receipt ON থাকলে দুটো ব্লু টিক দেখে শুধু এটুকু‌ই বোঝা যায় মেসেজ‌টা কেউ খুলেছে। গুরুচণ্ডা‌৯তেও কোনো লেখা‌র ক্ষেত্রে "১২৫ বার পঠিত"  বলতে আসলে বোঝায় "১২৫ বার খুলিত" - পুরোটা পড়েছে কজন তা বোঝা অসম্ভব। সুচিন্তিত মতামত থেকে বোঝা যায় অন্ততঃ ঐ পাঠক লেখাটি পড়েছেন। তবে কিছু উদ্ভট, অপ্রাসঙ্গিক বা কুরুচিপূর্ণ পাঠমন্তব‍্য থেকে সেটাও বোঝা যায় না। 

    এক‌ই AC থেকে কেউ একটা লেখা তিনবার খোলা বন্ধ করলে হয়তো ঐ "পঠিত" কাউন্টার চকিতে তিনবার বেড়ে যায়। অর্থাৎ এসব থেকে সঠিক কিছুই বোঝা যায় না, তবে নেই মামা‌র থেকে কানা মামার মতো কিছু আপেক্ষিক ধারণা পাওয়া যায় মাত্র। 
    পাঠক লেখাটি পড়েছে কিনা বোঝা তো প্রায় অসম্ভব হলেও ইউনিক পাঠক সংখ্যা‌ পাওয়ার একটা উপায় হতে পারে - এক‌ই Login ID থেকে যদি কেউ একটি লেখা বার বার খোলে - তাহলে একবারে‌র বেশী তা কাউন্ট না করা। গুরুচণ্ডালি‌র দক্ষ কোডারগণ হয়তো চাইলে এবং চেষ্টা করলে সেটা করতেও পারে‌ন। 
  • গুরুর রোবট ১৭ | 192.139.20.199 | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩৩524251
  • দমদি দুটো ভালো জিনিস ধরেছে।

    পাই বা সৈকতদা ছাড়া গুরুর রোবটদের (শুভানুধ্যায়ী না, কর্মী রোবট) নানান পরিসরে ঐ লেভেলে রিচ বা অ্যাকস্যাপটেন্স বা ইন্টার-পার্সোনাল স্কিল কম, যে কারনে শেয়ার করা না করার প্রভাব ব্যক্তিগত গণ্ডীর ভেতরেই থাকে। শুভানুধ্যায়ীরা নিজেদের মত, পছন্দ অনুযায়ী করেন, কিন্তু পছন্দ অ্যাগনস্টিক শেয়ার - হয় টাকা পয়সা দিয়ে, নাহয় প্রভাব আছে এমন লোককে দিয়ে করা ছাড়া উপায় নেই।
    তবে ইদানীং উৎপল বোধহয় ভালো করছে।

    পুরস্কারের মনোনয়ন ইত্যাদি, হ্যাঁ, এটা আমিও ভাবি।
    কঠিন কাজ, সরকারি লাইব্রেরিতে বই রাখার পদ্ধতি ইত্যাদির খোঁজ করতে করতেই কত জুতোর সুকতলা ক্ষয়ে গেল। ত্রিপুরার সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে সেই কবে রিকুইজিশন অনুযায়ী বই গেল, সরকার পাল্টে যাওয়ার পর তার পহাকড়ি যে কোন কৃষ্ণ গহ্বরে ঢুকলো তা এক রহস্য, পাই বোধহয় ঐ চত্বরে গেলেই খোঁজখবর করে কিন্তু তবু।
    পুরস্কার প্রসঙ্গে লাইব্রেরি বলার কারন হল, এসবে বোধহয় একটু সুপারিশপত্র লাগে। তা খারাপ কিছু না, লাগতেই পারে। কিন্তু তার সুলুক সন্ধান, ফলো আপ, এইগুলো কলকাতায় অ্যাকটিভ না থাকলে মনে হয় খুব কঠিন।

    হিট, ইউনিক হিট ঐ ব্যাপারগুলো নিয়ে চিন্তাটা ভ্যালিড, তবে এর একটা হিসেব আছে, কীভাবে একটা বাস্তবসম্মত গড় সংখ্যায় পৌঁছনো যায়, দু' আড়াই লাখ সংখ্যাটাও ঐসব বেছেবুছে কিনা তা মনে পড়ছে না, লসাগুদা, সৈকতদা, পাই এরা বলতে পারবে।

    তবে এহ বাহ্য।
    নানাবিধ অবশ্যাম্ভাবী খুচরো ও স্বাস্থ্যকর  মতানৈক্যের পরেও মোটের ওপর গুরুর দর্শন আমার চিন্তাভাবনার সঙ্গে অ্যালাইনড কিনা, এইসবই মূল আরকি। বাকি তো সব হয়েই যায়।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৯524252
  • একটাই কথা বলার। আড়াই লাখ হল ইউনিক ভিজিট। পঠিত সংখ্যা অর্থাৎ পেজ ভিউ না। সেটা অনেক বেশি। 
     
    এই হিসেবটা থার্ড পার্টি অর্থাৎ স্ট্যাট কাউন্টারের।
  • Utpal Debnath | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৫524253
  • একটা কাজ শুরু করেছি গত তিন-চারদিনে। গুরুচণ্ডাঌ'র সব বইয়ের কিছু তথ্যসহ পৃথক পৃথক পোস্টার বানাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৩৬ টা হয়েছে। পুজোর আগে সবটা সেরে ফেলতে পারব আশা রাখছি।
  • Samaresh Mukherjee | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২524263
  • পাঠক হিসেবে, এই প্রসঙ্গ‌টা (গুরুর সাইট ভিজিট কাউন্ট) আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কারণ আমার মনে হয়, কিছু ক্ষেত্রে, Quality is important than Quantity. আমি বছর চারেক ধরে গুরুচণ্ডালি‌তে ঢুঁ মারলেও "ভাট চলছে ঝাঁপিয়ে পড়ুন"-তে দু একবার উঁকি মেরে‌ই মনে হয়েছে, ভাটিয়া৯ আমার জন‍্য নয়। 

    আমি গুরুচণ্ডালি‌তে আসি বুলবুল‌ভাজা, হরিদাস পাল বা খেরোর খাতার কিছু লেখা সাধ‍্যমতো পড়তে। সেক্ষেত্রে একটা লেখা ১০০ বা ৫০০ কতো জন পড়লো (বা খুললো) তার থেকে আমার কাছে অ-নে-ক গুরুত্বপূর্ণ যদি কিছু সুচিন্তিত, সুলিখিত পাঠমন্তব‍্য দেখা যায়। উদাহরণ - "বাঙালি মেয়ের পোশাক আশাক"-এর ওপর জনৈক সিএস এর ছবি সহকারে বিশদ মন্তব্য। অমন মন্তব্য লিখতে সময়, নিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, আগ্ৰহ … অনেক কিছুর প্রয়োজন। সবার তা থাকেনা। তবে একাক্ষরী মন্তব্য (বাঃ, বেশ, খাসা, দারুণ…ইত্যাদি) থেকেও পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া‌র মূলভাবটা আন্দাজ করা যায়। 
    গুরুচণ্ডালি সাইট কর্পোরেট ফান্ডিং‌, বিজ্ঞাপন এসবের পরোয়া করে না। তাই তার বাংলার বার্তা, হঠাৎ যদি উঠলো কথা জাতীয় YT Channel এর মতো Subscriber, View, Like, Share ইত্যাদি Count নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন‌ নেই। এ লেখা‌য় ঐ কাউন্টের প্রসঙ্গ‌টা এসেছি‌ল বলে আমি নৈর্ব্যক্তিক‌ভাবে তার স্বরূপ‌টা বুঝতে চেয়েছিলাম। দৈনিক ইউনিক সাইট ভিজিট আড়াই লাখ না পাঁচ লাখ তাতে আমার কিছু এসে যায় না। কোনো লেখা‌র ক্ষেত্রে "পঠিত" কাউন্টটা‌ ইউনিক কিনা জানতাম না। কৌতূহলবশতঃ এই লেখাটি‌ই বুকমার্ক করে - দ্রুত তিনবার খোলা বন্ধ করতে - পঠিত সংখ্যা‌টি তৎক্ষণাৎ ২২৩ থেকে ২২৬ হয়ে গেল। তাতেও কিছু এসে যায় না কারণ লেখা‌টির মূল বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।
  • π | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৩৮524272
  • পঠিত টা পেজ ভিউ, সেটা ইউনিক নয়। সেজন্যই পাঠকসংখ্যা নয়, পঠিত লেখা :)
  • π | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪০524274
  • দমদি, পাই আর চাইলেও পারেনা,  কারণ সময় আর নাই নাই নাই  এবং চাপ চাপ চাপ...  :( 
  • π | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪২524276
  • এছাড়াও বইপত্তরের সংখ্যা, কাজকর্ম সবই অনেক বেড়েছে। তাই নানাজনে মিলে হাতেহাতে করলে, মানে যার যেটা পছন্দ, সেটা শেয়ার কি সেই নিয়ে লেখালেখি, তাহলেও অনেকটা হয়, ছড়ায়।
  • π | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২২524382
  • দিল৯ র বন্ধুদের জন্য,  স্টলে টেবিলের ওলারে না, এপারেও চলে আসার জন্য, যেমনভাবে এসে শ্যামলদা, অরুন্ধতী, চন্দ্রনিভ, সায়নরা মেলাটা করেই ফেলতে চলেছে :)  সুপর্ণাদি, অনিন্দিতাদিরাও আসবেন।
    দীপঙ্করদা, গৌতমদার সৌজন্যে মেলার নেমন্তন্ন এসে যাওয়ার পর এরাই সব সামলে নিলেন।
     
    কেউ এই পুজোয় তাঁদের নিজেদের এলাকায় কোন স্টলে বই রাখতে আগ্রহী হলে জানালেই হবে, বই পাঠিয়ে দেওয়া যাবে! 
     
    উৎপল পোস্টারও বানিয়ে ফেলেছে!
     
  • ইন্দ্রাণী | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:০৯524383
  • চমৎকার পোস্টার হয়েছে।
    এই চমৎকার শব্দটা লিখেই দিল৯ আর অক্টোবরের অনুষঙ্গে একজনের কথা মনে পড়ে গেল- যিনি থাকলে লিখতেন, মচৎকার, পাই।
  • π | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩৯524384
  • জাস্ট এটাই মনে হচ্ছিল! 
     
    তবে এই দিল৯ মেলা মানেই কুমুদিও আছে।  বলছেও নিশ্চয়! 
  • upal mukhopadhyay | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪৯524385
  • এরকম ঘোষিত নন প্রফিট কালেক্টিভই বিকল্প। আর  এরকম পষ্টাপষ্টি বাংলায়  আর কই ? আমি তো দেখছি না। ভাবালো। বেড়ে হয়েছে লেখা ।
  • সুবসতাচক | 2405:8100:8000:5ca1::428:a559 | ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪২524404
  • বিকল্প মিডিয়ার জন্য সাবস্ট্যাক মডেলটা আপনাদের কেমন লাগে? কিছু ফ্রি,  কিছু প্রিমিয়াম। লেখার স্বাধীনতা আছে সবার।
     
  • souvik ghoshal | ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৪৪524412
  • এখন বেশ কিছু ডিজিটাল পত্রিকা কাজ করছে যারা খানিকটা এককালের লিটল ম্যাগাজিন টাইপ। এদের মধ্যে কয়েকটি নিউজ ভিউজ টাইপ। কিছু আছে সাহিত্য সংস্কৃতি ভিত্তিক পত্রিকা। কিছু আছে নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক। ইতিহাস বা বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ডট অর্গ একসময় তো দারুণ কাজ করছিল। ইতিহাস আড্ডার সঙ্গে আমিই নিজেই যুক্ত অনেকটা পরিমাণে। তাই এর কাজ কেমন নিজে বলাটা ভালো দেখায় না। তবে নিষ্ঠা পরিশ্রম টিম ওয়ার্ক - সব কিছুই আছে এতে। বিজ্ঞান ডট অর্গ কে যতটা দেখেছি তাতেও পরিচালনার ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক এর ছাপ রয়েছে বলেই মনে হয়।
    আবার কিছু পত্রিকা - যেমন আমাদের অন্যস্বর বা সহমন একটা বড় টিমের লেখালিখিতে সমৃদ্ধ হলেও পরিচালনার ক্ষেত্রে দু চারজনের উদ্যোগের ওপরেই মাঝে মাঝে অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাইরে থেকে যতটা জানি - ভুলও হতে পারে - পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশীরভাগ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মই দু চারজনের ওপরেই মূলত নির্ভরশীল।
    লিটল ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই ছিল। লিখতেন অনেকে। কিন্তু মূল কাজ ও পরিচালনা দু চারজনের একটা ছোট টিমের ওপর নির্ভর করে চলত।
    ধরা যাক সবচেয়ে বিখ্যাত দুটো দু ধরনের লিটল ম্যাগাজিন যাদের বিবর্তন পথ অনেকটাই আলাদা - অনুষ্টুপ আর অনীক - একটা ছোট কোর টিমের ওপর নির্ভর করেই একটি বড় লেখকগোষ্ঠীকে ধারণ করে কয়েক দশক ধরে একটানা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে চলছে। অনুষ্টুপ অবশ্য পরে বিশিশট প্রকাশন সংস্থাও হয়ে ওঠে। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের যশস্বী সব লেখকদের লেখার আধার হয়ে ওঠে।
    কয়েকটি পত্রিকা এত দীর্ঘদিন ধরে চলে নি। কিন্তু যে কদিন চলেছে, যে কটিসংখ্যা হয়েছে - তার সবই চমৎকার। যেমন - বারোমাস আর ধ্রুবপদ।
    বেশ কিছু পত্রিকা মূলত সাহিত্য সংস্কৃতির আলোচনাকে কেন্দ্র করে সুনামের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে চলছে। বিশেষ সংখ্যাগুলি এদের মূল আকর্ষণ। যেমন কোরক,কবিতীর্থ বা এবং মুশায়েরা।
    আমার মনে হয় আগামীদিনে এই ধরনের লিটল ম্যাগাজিন ক্রমশ অনলাইনে চলে আসবে। প্যারালাল অ্যাকাডেমিকস এর জায়গা বাংলার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তৈরি হবে। নিউজ ভিউজ পত্রিকাগুলি যেমন আছে থাকবে। সেগুলির সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু তার চেহারা চরিত্র কেমন হবে সেটা বোঝা হয়ে গেছে। ডিজিটাল মিডিয়ামে সাহিত্য সংস্কৃতি পত্রিকা কতটা কীভাবে শেপ নিতে পারে,প্রভাব ছড়াতে পারে - তা এখনো পুরোটা বোঝা যায় নি। আপনপাঠ বা আবহমানের মতো পত্রিকার কাজ ভালো লাগে। গল্প উপন্যাস আর তার আলোচনা নিয়ে গল্পপাঠ পত্রিকাটি তো দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। তার সংকলনও গুরুচণ্ডা৯ থেকে ছাপা হয়েছে।
    আর একটা কাজ হওয়া দরকার। ছাপা পুরনো পত্রিকার ডিজিটাল আর্কাইভ। লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরীর অসামান্য সম্পদ সহ পুরনো নানা পত্রিকা ডিজিটাইজ করার কাজটা একটা বিশাল বড় প্রোজেক্ট যা অনেকে মিলে কিছু কিছু করে করা উচিত। এই কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন