এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঝরা শিউলির গন্ধ – ৩

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ অক্টোবর ২০২৩ | ২১৪ বার পঠিত


  • পুজোয় দেশের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ আমাদের কোনোদিনই হয়নি, কারণ দেশভাগের ফলে আমাদের মতো অনেককেই বাপ পিতামহের ভিটেমাটি ছেড়ে, হঠাৎ করে সীমারেখা টেনে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া জমিতে নতুন করে বসত গড়ে তুলতে হয়েছে অনেক অনেক শ্রম আর অধ্যবসায়ের দ্বারা। আমি অবশ্য জন্মসূত্রে একশো ভাগ এপারের। তাই মা বাবা ঠাকুমার মুখে তাঁদের ফেলে আসা দেশের বাড়ির নানান গল্প শুনলেও ওদেশের মাটিতে পা রাখার সুযোগ এখনও পাইনি। এই কারণেই হয়তো পুজো পুজো গন্ধে শিউলির আলপনা আঁকা দিনগুলো মেতে উঠলেও, দেশের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। আমাদের ছেলেবেলার বন্ধু অমিতদের, অমিত গুপ্ত, গল্পটা ছিল আমাদের থেকে বিলকুল আলাদা। ওদের দেশের বাড়ি ছিল অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় পালসিট গ্রামে। পুজোর দিনগুলো ক্যালেন্ডারের হিসেব মিলিয়ে এগিয়ে আসছে দেখলেই গুপ্ত কাকু আর কাকিমা ভীষণ রকমের ব্যস্ত হয়ে উঠতেন পুজোর কাপড় চোপড় সহ আরও নানারকম কলকাত্তাইয়া সম্ভারের কেনাকাটায়। সেই সব জিনিসে ভরা বাক্স প্যাটরা নিয়ে দুর্গা ষষ্ঠীর সকালে গুপ্ত পরিবারের সকলে মিলে চললো দেশের বাড়িতে। এই বিষয়টি ওদের কাছে বেজায় আনন্দের হলেও পুজোর দিনগুলোতে ওরা সঙ্গে থাকবেনা জেনে আমাদের মন ভারী হয়ে উঠতো।

    কিন্তু ওদের তরফে এ নিয়মের অন্যথা হয়নি কখনও।

    পুজোর সময় দেশের বাড়িতে যাওয়ার যে অপার আনন্দ তার গল্প আমরা শুনেছি মায়ের কাছে।সে এক আশ্চর্য রূপকথার গল্পের মতো। পুজোর মাসখানেক আগে শুরু হতো কেনাকাটার পর্ব। দেশের বাড়ির পুজোর সব জিনিসপত্র মায় ভোগের জন্য সুবাসিত সোনা মুগের ডাল কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হতো বস্তাভর্তি করে। তালিকা মিলিয়ে সেইসব খুঁটিনাটি জিনিস কেনাকাটা করতে হতো। মায়ের কাকা, আমাদের রেবতী দাদু (রেবতীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়) ছিলেন একাজে সিদ্ধহস্ত। পুজোর ব্যাপারে তাঁর গভীর নিষ্ঠা ছিল। মা তখন কলকাতায় কর্মরতা। তাই চাচা ভাতিজা মিলে আতিপাতি করে খুঁজে চলতো কেনাকাটার পর্ব। শুধু তো নিজেদের একান্ত পারিবারিক স্বজনদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনাকাটা নয়, প্রায় আধখানা গ্রামের মানুষের জন্য পুজোর জামাকাপড় নিয়ে যাবার চল ছিল সেই সময়ে। কলকাতার বড়বাজার থেকে সেই সব কেনাকাটা সেরে খানিকটা পথ ট্রেনে আর বাকি পথটুকু গয়না নৌকায় চড়ে নদী - নালা,খাল- বিল, জলা -হাওর পেড়িয়ে একেবারে ভিটের দোরগোড়ার ঘাটে নৌকা ভিড়ত। সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড। মা স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে এই সব রোমাঞ্চকর গল্প শুনিয়েছেন কতবার,আর আমরা তিন ভাইবোন মায়ের কোলে মাথা রেখে সেই সব দেশের বাড়িতে যাওয়ার গল্প শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়তাম কে জানে? হায় ! সেই সব দিন পেরিয়ে এসেছি অনেক অনেক দিন আগে।

    আজ সকাল সকাল উঠে বাড়ি ফিরছি বোনের ওখান থেকে। সেখানে দুদিন পাঁচ বুড়োবুড়ি মিলে বিস্তর আড্ডা হলো জমিয়ে। ছেলেবেলার গল্প থেকে শুরু করে হালফিল রাজনীতি, সমাজ পরিস্থিতি, বিনোদন জগতের ইলুক সুলুক থেকে পি এন পি সি পর্যন্ত। এই আড্ডায় পরবর্তী প্রজন্মের প্রবেশ নাস্তি। অবশ্য তাঁরা কেউই কাছে নেই, তাই অংশগ্রহণ করবে কী করে? সব দেশ ছেড়ে পরভূমে বিবাগী। দেশভাগের মতো একালে এক দুরন্ত ব্যস্ত সময় এসে দুই প্রজন্মের মধ্যে যেন প্রাচীর তুলে দিয়েছে। আমরা দুই প্রজন্ম এখন সমান্তরাল রেখাপথে চলেছি যে যার নিজের নিজের মতো করে। পুজো পাব্বনের আমুদে দিনে শুধুমাত্র আড্ডায় মজে থাকলে চলে কখনো? তাই ষষ্ঠীর সকালের কিছুসময় গেল বিস্তর ভিড়ঠেলে নামিদামি সব ব্র্যান্ডেড পুজোর প্যান্ডেল হপিঙ্ করে। বহুচর্চিত প্যান্ডেল, প্রতিমা না দেখলে নাকি একালের নিয়মমতে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে, অন্তত আমার ভগিনীর এমনটাই যুক্তি। অত‌এব পিছিয়ে যাবার বদনাম এড়াতে চলুন হনটন, তাতে করুক পা টনটন।

    সেই সবের পাট চুকিয়ে এবার নিজের চেনা বাড়িতে ফেরার পালা, একেবারে গণ পরিবহনের স‌ওয়ারি হয়ে। এই বহুদিনের অভ্যস্ত ব্যবস্থা এখন রীতিমতো সংকটের মধ্যে। যাইহোক এমন‌ই এক সি টি সির বাসে উঠে পড়ি কর্তা গিন্নি। অত সকালেও বাসে বেশ ভিড়। কপালজোরে বসার জায়গা পাওয়া গেছে বলে কিঞ্চিত স্বস্তি বোধ করি। বাসের পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে ইতিউতি সহযাত্রীদের দিকে নজর করতেই টের পাই দু একজন ছাড়া বাকিদের প্রায় সবাই চলেছেন দেশের বাড়িতে। অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা কচিকাঁচাদের কেউ কেউ মায়ের হাতের ওপর ঘাড় এলিয়ে দিয়ে নিদ্রাতুর – কাল সারারাত ঠাকুর দেখেছে যে ! কেউ কেউ বাসের মধ্যেই বিকট শব্দ তুলে ভুভুজোলায় ফুঁ চড়াচ্ছে। সকলের মধ্যেই কি দেশের বাড়ি যাবার উত্তেজনা কাজ করছে? কে জানে!

    কন্ডাকটরের হাঁক শুনে সাবধানী সিনিয়র সিটিজেন সুলভ পা ফেলে বাস থেকে নেমে পড়ি। গিন্নি এখন আমার অভিভাবিকা। এই আত্মসমর্পণ গ্লানির নয়, বরং তা আমাদের সহযোগিতাকে দৃঢ় করে। টুকটুক করে হেঁটে প্লাটফর্মে পৌঁছতেই নির্ধারিত প্রথম ট্রেন আমাদের চলনগতির শ্লথতাকে ব্যঙ্গ করে চোখের সামনেই ভেঁপু ফুঁকে আপন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল। আমরা হায় হায় করে একরাশ আক্ষেপ ঝরিয়ে দিলাম। নান্যপন্থা ! এবার পরবর্তী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই সময় হঠাৎ দেখা তাঁর সঙ্গে। প্লাটফর্মের ওপর বসে ছিলেন এতক্ষণ।আমায় দেখে কি মনে করে উঠে এসে জিজ্ঞেস করলেন – এই বাপ ! কোন গাড়িটা বৃন্দাবন যাবে বলতে পার? প্রশ্ন শুনে আমি রীতিমত হতবাক। বললাম বৃন্দাবনের গাড়ি এখানে পাবেন? সেটাইতো ভাবছি –চোখেমুখে খানিক চিন্তার ছাপ। তা হঠাৎ বৃন্দাবন যাবেন কেন? আমি প্রশ্ন করি। আমি যে রাধারাণী, বৃন্দাবন যে আমার দেশের বাড়ি! সবাই তো আজকে দেশের বাড়িতেই চলেছে। তুমিওতো যাচ্ছ, ঠিক কিনা? -- আমার জবাবের জন্য অপেক্ষা করছেন বুঝতে পারি। বললাম, সঙ্গে কেউ নেই? একা একা এতটা পথ পাড়ি দেবেন?

    হতাশ হয়ে ঘাড় নাড়েন প্রৌঢ়া মানুষটি। সাতপাঁচ ভাবছি, এমন সময় বিলবোর্ডে আমার ট্রেনের তথ্য ভেসে ওঠে। আমি সেদিকে পা বাড়াই। রাধারাণী আখ্যানে ছেদ পড়ে।

    আজ ট্রেনে হালকা পাতলা ভিড়। একটা জায়গা পাওয়া গেছে তাই অনেকটাই নিশ্চিন্ত মনে হয়। কামরার যাত্রীদের প্রায় সকলেই আজ দুর্গা সপ্তমীর সকালে বাড়ি ফিরছেন। আমার ঠিক পাশে বসা সহযাত্রী মানুষটি কানে ঠুলি গুঁজে মোবাইল ফোনে গান শুনছিলেন।এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন যাবেন চাঁদপাড়া। সেখানে ফুলসরা গ্রামে তাঁর দেশের বাড়ি। গাঁয়ের নামটি শুনে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করি।কি চমৎকার নাম। মনে মনে একটা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামের ছবি ভেসে ওঠে। তৃষাতুর শেষে পহছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে?

    ট্রেনের কামরার আর একদিকে বসে থাকা একদল মানুষ দলবেঁধে চলেছেন পড়শীদেশে ফেলে আসা ভিটেমাটি দেখতে, কেউ বা নিছকই দেশ ভ্রমণে।আনন্দে উদ্বেলিত কন্ঠে চলেছে আলোচনা তাঁদের ভ্রমণ সু্চি নিয়ে। খুলনা হয়ে যাবেন ঢাকা, যশোরের কপোতাক্ষ তীরে,যাবেন কক্সবাজার। ওদের আলোচনা শুনতে শুনতে সংসারের নোঙরে বাঁধা মনপানসি দুলে ওঠে। গিন্নির ডাকে হুঁশ ফেরে –এবার আমাদের নামতে হবে। আমিওতো আজ পঞ্চাশ ঘন্টা পরে নিজের চেনা আস্তানায়, আমার হৃদয়পুরে ফিরছি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী | 2405:201:8016:d7:e55a:2d2c:51fe:e760 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:০৪524960
  • বাইরের জগতের সাথে প্রত‍্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে উঠলেই একটি লেখা  সার্থক হয়ে ওঠে। আজ এই রচনা সর্বাত্মক ভাবে সার্থক।
  • অহীন চক্রবর্তী | 2405:201:8000:b1a1:41c7:cda0:3c10:1284 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:২৮524979
  • আমিও গতকাল সকালে দেশের বাড়িতে ফিরেছি সুদূর প্রবাস থেকে। অনুভূতিগুলো মিলে গেল লেখকের বর্ণনা অনুসারে। তাই আনন্দ পেলাম।
  • H Roy | 2405:201:8000:b1a1:41c7:cda0:3c10:1284 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৬525008
  • Great reading experience Feelings are the same when I return back home after a long time. This year I couldn't join my family members.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন