এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • কিছুক্ষণ ৭ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • একটি সাক্ষাৎকারের কাহিনি  
     
    লিফট বন্ধ।
     
    হেঁটে পাঁচতলায় উঠতে হবে। সরু সিঁড়ি , দুজন পাশা পাশি যেতে পারে । বেজায় গরম । সেখানে পৌঁছুতে আমার শার্ট ঘর্মাক্ত হবে , টাই আগে থেকে খুলে রাখাই হয়তো সমীচীন। এসেছি বাণিজ্যের সন্ধানে , বোনাস রূপ মেওয়া পেতে গেলে এটুকু কষ্ট সহ্য করতেই  হবে ।  মনকে প্রবোধ দিয়ে  এভারেস্টের চুড়োর  লক্ষ্যে আরোহণ শুরু করলাম । একা নই, আমার সঙ্গীর নাম  মার্ক,  সোজা জুরিখ থেকে উড়ে এসেছে ।
    মুম্বাইয়ের মেকার চেম্বারে এই শিখর শিবিরের নাম আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক । সেখানে  অধিষ্ঠিতা শ্রীমতী ললিতা গুপ্তে , ম্যানেজিং ডিরেক্টর ।  বাজারে একটি টেন্ডার ছাড়া হয়েছিল – আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক চাইছে দশ বছরের মেয়াদে দশ কোটি ডলারের এমন ঋণ যার অবস্থান হবে সবার শেষে অর্থাৎ কোন কারণে ব্যাঙ্ক দেউলে হলে পর যদি দু চার পয়সার রেস্ত থেকে যায় তা দিয়ে শেয়ার হোল্ডার বাদে আর সবার দেনা মিটিয়েও কিছু বাঁচলে  তবেই এ দেনা শোধ হবে - কেতাবি নাম সাব অরডিনেটেড  ডেট । সবার পিছে সবার নিচে মাঝে তার ঠাই , সবহারাদের পাশে। এক্ষেত্রে বলতেই পারেন জেনে শুনে এমন বিষ কেউ পান করবে কেন? তার একমাত্র উত্তর – বিশ্বাস ! আপনি বিশ্বাস করেন যে আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক ফলে ফুলে উঠবে , আয় করবে  প্রভূত আর তা দিয়ে এই দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ শোধ করবে। আপনি শেয়ার কেনেন সে কোম্পানি টিকে থাকবে , বছর বছর ডিভিডেন্ড দেবে সেই আশা করেই তো!
    প্রসঙ্গত ২০২২ সালে অর্থনীতিতে  নোবেল প্রাইজ বিজেতা সর্বশ্রী দিবভিগ ও ডায়মন্ড অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত ছিলেন বলে মনে হয় না। তাঁরা বিশ্বখ্যাত হলেন এই জানিয়ে যে ব্যাঙ্কের আমানত কেবলমাত্র স্বল্পমেয়াদী,ঋণ দীর্ঘমেয়াদি ;  ফলে স্বল্প মেয়াদি আমানতকারিরা হঠাৎ টাকা ফেরত চাইলে ব্যাঙ্ক লাটে উঠবে । সেটিই ব্যাঙ্কের একমাত্র অর্থ ভাণ্ডার । দীর্ঘ মেয়াদি বন্ড অথবা সাব ডেটের নাম তাঁরা শোনেন নি। এই অজ্ঞানতা তাঁদের পুরস্কার প্রাপ্তির পথে বাধা সৃষ্টি করে নি।   
     
    বছরটা  ১৯৯৬।
     
    পাঁচের দশকে দেশের উন্নয়নের অর্থায়নের জন্য সরকারি উদ্যোগে আই সি আই সি আই ( ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া)  নামক একটি  সংস্থার সৃষ্টি হয়-  , সেখানে বিশ্ব ব্যাঙ্ক , ভারত সরকার এবং  সরকারি মালিকানাধীন কিছু ব্যাঙ্কের শেয়ার ছিল। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সেতু , ব্যারাজ,  বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প  ইত্যাদি উন্নয়নশীল পরিকল্পনায়  ঋণ দান ।  ১৯৯৪ সালে এই নামের আরেকটি সংস্থাকে  ব্যাঙ্কে পরিণত হবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । এবার  সেতু নির্মাণ নয়, সেতুর ওপরে ধাবমান গাড়ির লোন , ক্রেডিট কার্ড , গৃহ ঋণ ইত্যাদির প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের শপথ নিয়ে সেখানে  দুর্বার বেগে খদ্দের সংগ্রহের কাজ চলছে,  নতুন নতুন ব্রাঞ্চ খোলা হচ্ছে।  এই ব্রতে তো স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে সকল সরকারি মালিকানাধীন ব্যাঙ্ক আত্মসমর্পণ করেছিল তাহলে আবার আই সি আই সি আই কেন? হয়তো সরকার চাইছিলেন ব্যাঙ্কিং  নামের পুরনো ব্যবসায় নতুন রক্তের সঞ্চার হোক। সেটা আমাদের মতন ঋণের ফেরিওলাদের ভাবনার বিষয় নয় ।
     নতুন ব্যাঙ্কের প্রয়োজন মূলধন-  তার চেহারা বিবিধ । শেয়ার হোল্ডারদের টাকা , আর তার পরে আসে সাব অরডিনেটেড ডেট - সেটি আবির্ভূত হয় দীর্ঘ মেয়াদি বন্ডের রূপে।  অন্তত দশ বছরের জন্য।
    নয়ের দশক। পশ্চিম ইউরোপ জাপান আমেরিকায় বাণিজ্যের পালে তেমন হাওয়া নেই । এই  এমারজিং মার্কেট বা উন্নয়নশীল দেশগুলির পানে নিবেশকের আগ্রহ আকর্ষিত হয়েছে – ঝুঁকি অধিক এখানে সুদ মেলে বেশি। সে ঝুঁকি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক নিজের ভল্টে রাখে না, অমল বিমল কমলকে বেচে দিয়ে দইটি খায়। তাই  বাজারে ঋণগ্রহীতা পাকড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রচণ্ড ।  আমরা মনে করেছিলাম সদ্য গঠিত এই সংস্থার দীর্ঘ মেয়াদি বন্ড বাজারে বিক্রি করার  জন্য পরিচিত আমেরিকান বা ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ষণ্ডেরা ( যাকে বলি ইউসুয়াল সাস্পেকটস) ক্ষেপে উঠবেন না । সে ধারণা যথাকালে ভুল প্রমাণিত হলো । গোল্ডম্যান মেরিলের সঙ্গে বিস্তর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে, সুদের হারে অনেক কাটাছাঁটা করে  শিকেটি ছিঁড়ল সিটি ব্যাঙ্কের ভাগ্যে।একা কুম্ভের এই গড় রক্ষার সাহস ছিল না , অতএব একটি সুইস ব্যাঙ্ককে দলে জোটানো হলো।দুয়ে মিলি করি কাজ , হারি জিতি  নাহি  লাজ । 
     
    ম্যানডেট জুটেছে , ব্যাঙ্কের  অনুমতিপত্র আমাদের  বুক পকেটে । এমন সময় ললিতা আদেশ দিলেন তিনি আমাদের সঙ্গে আরেকবার মুখোমুখি আলোচনায়  বসতে চান । আমরা ধরে নিয়েছিলাম তিনি হয়তো বন্ডের খুঁটি নাটি নিয়ে আলোচনা করতে চান কিন্তু তার জন্যে কামান দাগা কেন ? টেলিফোনে কথা হতে পারত না ? শাস্ত্রে বলেছে  খরিদ্দার প্রভুর সমান । তাই মার্ক এবং আমি যথাক্রমে জুরিখ ও লন্ডন থেকে এসেছি ।
    সভা কক্ষে তিনজন মহিলা।  ললিতা গুপ্তেকে  চিনি ।  আগেই আলাপ হয়েছে , প্রায় আমার বয়েসি হবেন । তাঁর দু পাশে দুই মহিলা হয়তো তিরিশের বেশি কেউ নন ।  পরিচয় করিয়ে দিলেন,  শিখা শর্মা , ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং দেখেন, এবং চন্দা কোচার অ্যাসিস্ট্যান্ট  জেনারাল ম্যানেজার যিনি আই সি আই সি আই ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অংশ নিয়েছেন । এতো অল্প বয়েসে এঁরা রীতিমত দায়িত্বপূর্ণ পদে অবস্থিত!
    কফির কাপ মুখে তোলার আগেই ললিতা বললেন আপনাদের ডেকেছি দুটো বিষয়ে আলোচনা করার জন্য – বন্ডের সুদের হার  এবং কি ভাবে এটি বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে তার বিশেষ প্রক্রিয়া জানা ও বোঝা ।  মার্ক আর আমি দৃষ্টি বিনিময় করলাম-  সই হবার পরে দরাদরি?
     
    ললিতা বললেন বন্ডের সুদের হার কমানো প্রয়োজন।   
     
    ললিতা গুপ্তে কর্ণধার , একাই একশ । তিনি বাক্য কবেন , অন্য সবে নিরুত্তর রইবে ! সেটাই তাঁর স্বাভাবিক স্টাইল।  তিনি মনোযোগ করলেন বন্ডের সুদের ওপরে । মার্ক ও আমাকে কোণঠাসা করে ফেলে  পরিবর্তিত দামটা  কবুল না করানো অবধি তিনি লড়ে গেলেন। কখনও হেসে ধমকে কখনও প্রায় অশ্রু বর্ষণ করে , কিঞ্চিৎ নাটকীয়তা সহ- এই প্রথম একটি ভারতীয় ব্যাঙ্ক সাব ডেট নিয়ে বাজারে নামছে  ( একবার আমার দিকে তাকিয়ে)  আপনি আপনার দেশের কথা ভাবুন ।  বাকিটুকুর বর্ণনা এখানে অধিকন্তু হবে ।  তিনি দশ পয়সা দর কমালেন , ডিল বাজারে কাটল।   জাপান বাদে বাকি এশিয়ার প্রথম সাব ডেট ইস্যু করার গৌরব অর্জন করে সে ব্যাঙ্ক, অচিরেই  আই সি আই সি আই নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের খাতায়  প্রথম ভারতীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে খাতায় নাম লেখায় ।
    এমন সময়ে ফাইল হাতে ব্যস্ত সমস্ত হয়ে আরেক ভদ্র মহিলার প্রবেশ - পরিচয় করিয়ে দিলেন, কল্পনা মোরপারিয়া, তিনি ক্যাপিটাল মার্কেটের আইনি ব্যাপার স্যাপার দেখেন । ললিতা প্রশংসার সুরে বললেন , কল্পনা সাব ডেট,  বন্ড মার্কেট বোঝে , নিউ ইয়র্কের পোলক কোম্পানিতে ট্রেনিং নিয়ে এসেছে ।  শুনে কল্পনা একটু শরমিন্দা হলেন।
     
    এবার বন্ড ইস্যু করার টেকনিকাল দিক গুলি নিয়ে কথা উঠলেই বলটা অবলীলাক্রমে কল্পনা , শিখা ও  চন্দা কোচারের দিকে ঠেলে দিলেন। অ্যাডাম স্মিথ একেই কি ডিভিশন অফ লেবার বলেছিলেন ? 
     
    শিখা ও চন্দা হাতে কলমে কাজ না করে থাকলেও এ বিষয়ে পড়াশোনা এসেছেন সেটা বেশ বোঝা গেলো ।  গুলি দেওয়া যাবে না ! কল্পনা আবার আইনের ঘাঁত ঘোঁত চেনেন।
    দর কমিয়ে তাঁর কাজ সমাপ্ত হয়েছে।  বাকিটা অন্যের হাতে সমর্পণ করে ললিতা স্মিত মুখে আমাদের পর্যবেক্ষণ করলেন । বাকি সময় তিন মহিলার সঙ্গে আলোচনায় আমরা যে ধারা চোখা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম তাতে বোঝা গেল, তথ্যগত ভাবে  সাব ডেট ও বন্ডের ব্যাপারে এঁরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন।
     
    পরে মার্কের সঙ্গে হাসি ঠাট্টা করেছি – লাইবরের ওপরে ৯৫ পয়সা দর পকেটে নিয়ে মেকার চেম্বারের পাঁচ তলায় উঠেছিলাম, ল্যাজ গুটিয়ে ৮৫ পয়সা দরে রাজি হয়ে নিচে নেমেছি।   মার্ক বললে ফি আরও নিচে নামান নি এই রক্ষে ।
     
    সাত বছর বাদে , তখন সে ব্যাঙ্কের ভীষণ  রমরমা , আমরা তাদের প্রথম বাণিজ্যিক ঋণের আয়োজন করেছি । ততদিনে  আই সি আই সি আইয়ের অফিস  বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে উঠে এসেছে,  মেকার চেম্বারের অচল লিফট অনেক দূরের কোন দুঃস্বপ্ন মাত্র । মহা ধুমধামে সেই ঋণের সই সাবুদ হচ্ছে  । ককটেলের ফাঁকে আমাকে একপাশে নিয়ে কোন ভূমিকা,  রেফারেন্স টু দি কনটেক্সট নয়,  একেবারে সরাসরি ললিতা গুপ্তে আমাকে বললেন ,  ওয়াজ দ্যাট হারটফুল ? 
     
    খুব অবাক হয়েছিলাম , যাকে বলে প্লেজানটলি সারপ্রাইজড ! এতো বছর বাদে সেই দর কমানোর প্রসঙ্গটা  মনে রেখেছেন ? সেদিন আমার সুখ দুঃখ , বোনাসের ঘাটতির কথা মনে রাখেন নি !

    বললাম , বন্ড তো আমরা সেই কম দরেই বেচেছি বাজারে , আটকে গেলে আবার মেকার চেম্বারে আপনার অফিসে দরবার করতে আসতাম !
     
    বাণিজ্যিক মিটিং জীবনে অনেক করেছি । ভারতীয় ব্যাঙ্কিং  এবং বাণিজ্যিক কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে আমার পরিচয় চার  দশকের । ইউরোপ আমেরিকার অনেক আগেই আমার দেশে মহিলা প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতি,  জজ হয়েছেন।  কিন্তু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলাদের অসামান্য অগ্রগতির স্মারক দেখেছিলাম সেদিন মেকার চেম্বারে  আই সি আই সি আই অফিসে – একটি  নব গঠিত ব্যাঙ্ক ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রথম বন্ড আনছে সে বিষয়ে আলোচনা বৈঠকে অংশ নিলেন চারজন মহিলা । সেখানে সে ব্যাঙ্কের একমাত্র পুরুষ প্রতিনিধি কফি সরবারহকারি যুবক ।
     
    পরিপ্রেক্ষিতটা মনে রাখা দরকার ।
     
    যখন জার্মানি পৌঁছুই  পাবে মেয়েদের কাছে শুনেছি ছাত্রাবস্থায় দুটো পয়সার জন্যে সকালবেলায় খবর কাগজ বিলি করেছেন , সেখানে একই কাজের মজুরি ছেলেদের বেশি, মেয়েদের কম। । ১৯৮৫ সালে যখন জার্মানি ছাড়ি , গোটা পশ্চিম জারমানির ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেট দুনিয়া মিলিয়ে কুল্লে দুজন মহিলা কোনো কোম্পানির  বোর্ডে বসতেন, একজন মাত্র ব্যাঙ্ক বোর্ডে ( এলেন রেনে-শ্নাইডার , ডয়েচে ব্যাঙ্ক)। অফিসে জার্মান মহিলাদের কাছে আকছার শুনেছি , আমাদের দৌড় ঐ কফি বানানো অবধি ! ফ্রান্স হল্যান্ড স্পেন পর্তুগাল ইতালিতে  কোথাও উচ্চাসনে অধিষ্ঠিতা মহিলা খুব কম দেখেছি ,  ব্যতিক্রম নরডিকে বিশেষ করে ডেনমার্ক    এবং পরে এস্টোনিয়াতে । সেখানে  মহিলাদের উচ্চ মধ্য সকল পদে দেখেছি।
     
    আজকাল জেন্ডার ইকুয়ালিটি সব আলোচনার শীর্ষে  কিন্তু সেদিন , সেই ইউরোপে এটা কোন  বিবেচ্য বিষয় ছিলো না ।  তবে এটা মানতেই হয় সেই নয়ের দশকেই  অ্যাংলো সাক্সন জগতে বিশেষ করে আমেরিকায় মহিলারা সম্মানের স্থান পেয়েছেন সবার আগে , তার পরেই যুক্তরাজ্যর স্থান।
     
    ট্যাক্সি ধরার জন্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি ।  দরাদরিতে পরাস্ত হয়ে আমরা দুজনেই কিঞ্চিৎ বিমর্ষ ।  হঠাৎ  মার্ক বললে,  একটা জিনিস মানতে হবে তোমাদের দেশে মহিলারা কর্পোরেট জগতে যেখানে পৌঁছেছেন, জুরিখ জেনিভাতে হয়তো কোনদিন তা সম্ভব হবে না!
     
    বন্ডের দর কমে যাওয়ার মর্মবেদনা  ভুলে গিয়ে ভারতীয় হিসেবে সেদিন খুব গর্ব হয়েছিল ।  

    পুঃ
     
    সেদিনের কুশীলবেরা  
     
    ললিতা গুপ্তে : অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্ট বিদ্যায় স্নাতক , ১৯৭১ ।  দীর্ঘদিন আই সি আই সি আই ব্যাঙ্কের যুগ্ম এম ডি ছিলেন । ফরচুনে  বিশ্বের পঞ্চাশজন প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় নিয়মিত তাঁর স্থান ছিল।  
     
    চন্দা কোচার :বিজনেস স্কুল শেষে আই সি আই সি আই যোগ দেন । ২০০৯ সালে ব্যাঙ্কের সি ই ও । ফরচুন ও ফরবস পত্রিকায় অনেকবার বিশ্বের একশ জন প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় উচ্চাসনে ছিলেন ।  ২০১১ সালে পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত । ভিডিওকন কোম্পানির মালিক শ্রী ধুতের সঙ্গে তাঁর স্বামী দীপক কোচারের অশুভ আঁতাতের পিছনে চন্দা তথা আই সি আই সি আই ব্যাঙ্কের কোন  ভূমিকা ছিল এই সন্দেহে বরখাস্ত হন ২০১৯ সালে।
     
    শিখা শর্মা : অর্থনীতির স্নাতক পরে আই আই এম আহমেদাবাদ। তিরিশ বছর আই সি আই সি আইতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করে ২০০৯ সালে আক্সিস ব্যাঙ্কের সি ই ও হন।
     
    কল্পনা মোরপারিয়া : আইনবিদ , আই সি আই সি ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা থেকে পরের তিরিশ বছর নানান বিভাগের দেখাশোনা করেন বর্তমানে ভারতে জে  পি মরগানের সি ই ও।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2b:aaa1:a96b:3393:c457:1a28 | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৩525532
  • দারুন ভালো লাগলো পড়তে। শিখা শর্মা, কল্পনা মোরপারিয়া, আর অবশ্যই চন্দ কোছার ইন্ডিয়ান ব্যাংকিং আর ফিন্যান্স জগতের তিন দিকপাল। একই গল্পে তিনজনের নাম পড়ে দারুন লাগলো। 
  • | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২৯525535
  • ভীষণ ভাল লাগল পড়ে। আইসিয়াইসিয়াই এর সাথে আমার যাকে বলে পুরানে রিস্তা হ্যায়। 
  • Ranjan Roy | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:২৪525549
  • এবার  একদম সিক্সার 
    চন্দা কোচার।এবং স্টেট ব্যাঙ্কের  অরুন্ধতী ভট্টাচার্য  এঁদের বিশেষ  চোখে দেখতাম।
    ভিডিওকন কেসে গ্রেফতার  বরখাস্ত  এবং  স্টক বাজেয়াপ্ত হওয়া  শকিং। 
    একচ্ছত্র ক্ষমতা কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ও দাম্ভিক করে  তোলে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন