এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জল থৈ থৈ ...... দুবাই  !!

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জল থৈ থৈ ……. দুবাই!

    একেবারে সাতসকালেই আমাকে খবর দিয়েছিল নাটাই - আমার ভাইপো। বলরামের বাঁশি থুরি হুইসেলের আওয়াজ কানে ঢুকলেই সবাইকে ধড়মড়িয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে আসতে হয় ময়লার বালতি হাতে। একটু দেরি করার জো নেই! দেরি দেখলেই বলরাম হুইই হুইইই করে হুইসেল ফুঁকে হুলিয়া জারি করে দেবে! প্রতিদিন এই কাজটা আমাকে আর ভাইপো নাটাইকেই করতে হয়। রোজকার রুটিন মেনে আজকেও বাবাজীবন নাটাই বালতি হাতে ঘুমজড়ানো চোখে অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলে উঠলো – “জ্যাজাই, আর ভাল্লাগেনা! এখানে বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই, সবাই রোদে পুড়ছে,আর ওদিকে মরুভূমির দেশ দুবাই বন্যায় ভাসছে। ষোলো জন মারা গেছে। কি হলো আমাদের পৃথিবীর!” এই পক্ষপাতিত্ব বিলকুল না - পসন্দ তার। ময়লার সদগতি করে খালি বালতি হাতে নাটাই আবার থপথপিয়ে ওপরে উঠে যায় ঘুমের অসমাপ্ত পর্বটিকে সম্পূর্ণ করার জন্য। দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকি।
     
    বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে আমিও দুবাইয়ের বন্যা নিয়ে নানা কথা ভাবতে থাকি। মরুভূমির দেশে বন্যা !?
     
    ইদানিং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চেনা বোধবুদ্ধির সীমারেখাকে যেন ছাপিয়ে যেতে চায়। কি হলো ব্যাপারটা তা জানার জন্য এক পরিচিত জনকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে অপেক্ষায় থাকি। জবাব আসে বেশ কয়েক ঘন্টা পর। সে জানায় - “মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল নটা নাগাদ শুরু হয় প্রবল ঝড় । 

    চারিদিক উথাল পাথাল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতা বাড়ে ঝড়ের। সারাদিন ধরে চলে এই ঝড়ের দাপট। বৃষ্টির সঙ্গে বড়ো বড়ো শিল গোলার মতো আছড়ে পড়তে থাকে ‌। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা এই মরু রাষ্ট্রের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের থেকে বেশি।” শেষের কথাগুলো বারবার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে – একদিনের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ = সারা বছরের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ! 
     

    কি! অবাক হচ্ছেন তো? খুব স্বাভাবিক এই অবাক হ‌ওয়া। মরু অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের বর্ণনায় দুটি ইংরেজি শব্দ বহুল প্রচলিত - Sporadic এবং Torrential । শব্দ দুটো খানিকটা যেন পরস্পরবিরোধী । কেননা প্রথম শব্দটির বাংলা অর্থ যদি হয় অনিয়মিত, অনির্দিষ্ট , বিক্ষিপ্ত তাহলে দ্বিতীয় শব্দের অর্থ প্রবল। দুটো শব্দকে জুড়ে দিলে দাঁড়ায় - অনিয়মিত প্রবল বৃষ্টিপাত। বর্ষণের এই চরিত্রটিও দুবাই বাসীর কাছে খুব অপরিচিত নয়। কেননা দুবাইতে বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে মেরেকেটে ২৫ দিন বৃষ্টি হয় যার সবটাই হয় শীতকালে মানে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে। নভেম্বর মাসে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে শুরু করে যার অধিকাংশই ঘটে বজ্র ঝড়ের হাত ধরে।
    এহেন দুবাইতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এমন বৃষ্টির দাপট অবাক করে বৈকি!

    এমন একটা ঘটনা দুবাইয়ে শুধু নয় সারা দুনিয়া জুড়ে বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। এমনটা কেন ঘটলো তার কারণ খুঁজতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তথাকথিত বিশেষজ্ঞেরা। নানা মুনির নানা মুখরোচক মতামতগুলোকে একটু বুঝে নেবার চেষ্টা করা যাক্ ।
    প্রথমে যে কারণটিকে দায়ি করা হয়েছে তা হলো, এই সময়ে দুবাই তথা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থা বিরাজ করছে। ওমান উপসাগরের ওপর ঘনায়মান এই নিম্নচাপ সিস্টেমের জন্য‌ই নাকি এমন বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের রেশ কেবলমাত্র আমীর শাহীর সীমাতেই আটকে থাকেনি পার্শ্ববর্তী বাহরিন, ওমান ও পূর্ব ইরাণেও প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে।
     
    মিগজাউমকে মনে পড়ে? গতবছরের ডিসেম্বর মাসে এই প্রবল সামুদ্রিক ঝড়টি আছড়ে পড়েছিল উপকূলীয় ওড়িশা ,অন্ধ্রপ্রদেশ আর ‌তামিলনাডুর ওপরে।প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি হয়েছিল তামিলভূমি বিশেষ করে চেন্নাই মহানগরী। রাস্তা বরাবর বৃষ্টির জল তোড়ে প্রবাহিত হবার সময় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িগুলোকে । সেই ছবি দেখে আমরা শিহরিত হয়েছিলাম ‌। আজকের বর্ষণ বিধ্বস্ত দুবাইয়ের‌ও যে এক‌ই হাল। ওমান উপসাগরের ওপর তৈরি হ‌ওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে এমন কিছু ঘটে যাওয়া যে

     একেবারেই অসম্ভব নয় তা মেনে নিচ্ছেন একদল গবেষক। তবে ঝড় বৃষ্টির সময়ের হিসেব তাঁদের খানিকটা বিভ্রান্তিতে রেখেছে।
     
    এই সিস্টেমের দোহাই দিয়েও একদল বিশেষজ্ঞ মনে করছেন গ্লোবাল ওয়ার্মিংই হলো এমন অভাবিত অবস্থার জন্য মূলত দায়ি । একথা মানতেই হবে যে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আমাদের বায়বীয় আচ্ছাদনের ভারসাম্য একেবারে নেড়েঘেটে গিয়েছে। আমরাই অবশ্য তার জন্য অভিযুক্ত। সেই সত্যকে আড়াল করতে নেতাদের মতো করে বললে বলতে হয় - ইয়ে তো আভী ট্রেলার দিখা রহা হু ,অসলি পিকচার তো বাকি হ্যায়। ট্রেলার দেখেই ত্রস্ত বিশ্ববাসী, পিকচার দেখতে “সাধ নাহি চায়”।  

    এল নিনোর প্রভাব স্থিমিত হয়ে আসছে বলে কোনো কোনো মহল থেকে বলা হলেও সমুদ্র জলের উষ্ণতা ক্রমশ‌ই বাড়ছে। অথচ পার্থিব উষ্ণতার ভারসাম্য বজায় রাখতে জলভাগের ভূমিকা কম নয়। তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বাড়ছে বাষ্পীভবনের পরিমাণ, বাড়ছে বায়ুমণ্ডলে সংযোজিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ, বাড়ছে বায়ুমণ্ডলীয় বিশৃঙ্খলা কেননা শুষ্ক বায়ুর তুলনায় জলীয় বাষ্পে ভরপুর আর্দ্র বায়ুর গণ্ডগোল তৈরির ক্ষমতা অনেক অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, কোনো স্থানের গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বায়ুর জলধারণ ক্ষমতা ৭ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। এর ফলে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে ঝড়, বাড়ে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা , সময়কাল - যার পরিণতিতে হয় প্রবল বন্যা। নগরায়ন শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে গোটা বিশ্ব। সক্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রীন হাউস গ্যাসেরা। প্যান্ডোরার বাক্স খুলে ফেলে এখন গেল গেল রব তুলে লাভ কি!

    ঠিক এমনই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট আবহবিজ্ঞানী Friederike Otto, লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের বিশিষ্ট অধ্যাপক। তাঁর মতে, “উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে প্রকৃতি নিয়ত‌ই তাঁর নিজের তৈরি নিয়মকানুনগুলোকে ভাঙচুর করে চলেছে, তার ওপর বাড়ছে মানুষের খবরদারি। যার দরুণ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এমন ঘটনার হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে আমাদের ভোগবাদী জীবনের পথ থেকে অবিলম্বে সরে আসতে হবে।
     
    দুবাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে Otto সাহেব মানুষের হস্তক্ষেপের কথা প্রসঙ্গে আরও একটি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, আর তা হলো ক্লাউড সিডিঙ্ বা মেঘ বীজ বপনের ঘটনা। তাঁর মতে, সংযুক্ত আরব আমীর শাহীর মতো অত্যন্ত খরাগ্রস্থ একটি দেশে এমন প্রবল বৃষ্টির পেছনে মানুষের কলকাঠি নাড়ার সম্ভাবনাকে একদম উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে মেঘ বীজ বপনের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ঘটানোর চেষ্টা দায়ি হতে পারে।

    আসুন ,এই মেঘ বীজ বপনের বিষয়টি নিয়ে দু এক কথা ইত্যবসারে আলোচনা করে নিই। মেঘ থেকে বৃষ্টিপাতের ঘটনাটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং তা জটিল‌ও বটে। সূর্যের তাপে নদী নালা খাল বিল সমুদ্রের জল বাষ্পে পরিণত হয়। সাধারণ বায়ুর তুলনায় জলীয় বাষ্প হালকা, তাই তা তরতরিয়ে ওপরে উঠে যায়। মাটির কাছাকাছি থাকা বায়বীয় পরিমন্ডলের তুলনায় ওপরের বায়ুমন্ডল অনেক শীতল। পাশাপাশি জলীয় বাষ্প ভরা হালকা বায়ু ওপরে উঠে ছড়িয়ে পড়ে আরও ঠাণ্ডা হয়ে যায়, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বাষ্পকণা চেহারা বদলে জলকণায় পরিণত হয়। আরও ওপরে উঠে তা রূপান্তরিত হয় সম্পৃক্ত জলকণায় । অবশ্য মেঘের মধ্যে উপস্থিত অতি ক্ষুদ্র আকারের ঘনীভবন নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি এই প্রক্রিয়াকে খানিকটা উস্কে দেয়। যেমন একটি গ্লাসে রেফ্রিজারেটর থেকে খানিকটা ঠাণ্ডা জল ঢালা হলে গ্লাসের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জলবিন্দু দেখা দেয়, ঠিক একই ভাবে মেঘের ওপরের দিকে উপস্থিত প্রাকৃতিক হিমকণার সংস্পর্শে এসে ছোটো ছোটো জলবিন্দুগুলো ঝরে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায় এবং একসময় বৃষ্টির আকারে মাটিতে নেমে আসে। সুতরাং বলা যায়, প্রাকৃতিক উপায়ে বৃষ্টিপাতের অন্যতম দুটি প্রধান শর্ত হলো - মেঘের উচ্চতা এবং মেঘের উচ্চতর অংশে যথেষ্ট পরিমাণে ঘনীভবন নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি । ঊর্দ্ধগামী বাষ্পপূর্ণ বায়ু যত বেশি সংখ্যক সম্পৃক্ত জলকণায় পরিপুষ্ট হবে বৃষ্টির পরিমাণ তত বাড়বে।
     
    বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার পেছনে থাকা এই সহজ প্রাকৃতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই মেঘ বীজ বপন বা ক্লাউড সিডিঙ্ এর ( Cloud Seeding ) পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। দুবাইয়ে এমনটাই করা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হলে মেঘের মধ্যে কিছু রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিমানের সাহায্যে। বলাবাহুল্য যে এই পদার্থগুলো কৃত্রিম উপায়ে মেঘের ঘনীভবনের জন্য কনডেনসেশন নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করে, মেঘের মধ্যে উপস্থিত জলকণাকে ঘনীভূত হতে সাহায্য করে। এই কাজে যেসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো সিলভার আয়োডাইড, পটাশিয়াম আয়োডাইড এবং ভক্ষ্য লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড। আসলে ভাসমান অবস্থায় জলকণা গুলোর আশ্রয়ের প্রয়োজন হয়। ছড়িয়ে দেওয়া লবণ কণারা সেই আশ্রয়ের কাজ করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। দুবাইয়ের আকাশে সম্ভবত পটাশিয়াম ক্লোরাইডের মতো প্রাকৃতিক লবণকে কাজে লাগানো হয়েছে। খোদার ওপর খোদকারি করতে গিয়ে এখন নাজেহাল অবস্থা দুবাইয়ের। জলহীন মরুপ্রদেশ এখন জল থৈ থৈ।

    এখন প্রশ্ন হলো,কেন হঠাৎ করে আমীর শাহীর প্রশাসনের তরফে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? একটু পেছনে তাকালে আমরা দেখতে পাবো,বিগত সাড়ে সাত দশক ধরে তিলতিল করে বেড়েছে আমীর শাহীর বিত্ত - বৈভব-জাক - জমক। পেট্রোডলারের কল্যাণে দুবাই আজ ফুলেফেঁপে উঠেছে অকল্পনীয় ভাবে। দুবাইয়ের আকাশ আজ আড়াল হয়েছে কংক্রিটের সামিয়ানায়, মাটি ঢেকেছে অ্যাসফল্টের চাদরে, সারা দুনিয়া থেকে খুঁজে নিয়ে আসা বিবিধ পণ্য সম্ভারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সুবিশাল সব শপিং মল, তৈরি হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি পরিষেবা যুক্ত বিমান বন্দর আরও কত কি! কিন্তু তাদের পেয় জলের ভাণ্ডার যে মোটেই পর্যাপ্ত নয়। অথচ এতোসব কায়েমী ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে গেলে যে দেশের জলের ভাণ্ডারটিও সমৃদ্ধ হ‌ওয়া প্রয়োজন! গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির পরিমাণ একটু একটু করে কমেছে কিন্তু লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে উপভোক্তার সংখ্যা, বেড়েছে পর্যটকদের গতায়াত। এমন অবস্থায় জলের ভাণ্ডার যদি টলটলায়মান হয় তাহলে যে বিশ্বের দরবারে মাথা হেঁট হয়ে যাবে! অত‌এব ওড়াও বিমান,ছড়াও লবণ কণা।ওরাই ঘটাবে বৃষ্টি, জগৎসভায় মান মান্যতা দুইই বজায় থাকবে এরফলে। এমন করতে গিয়েই নাকি দুবাইয়ে বন্যা, বানভাসি নাগরিক সমাজ। বিজ্ঞান বুমেরাং হলো?
     
    এভাবে মেঘ বীজ বপনের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ঘটানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। “ওমান উপসাগরের ওপর যখন একটা গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে এবং তা থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে প্রচার চলছে, তখন বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ঘটানোর কোনো দরকার ছিলোনা।”-- এমনটাই মনে করেন আবু ধাবির খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূপদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডিয়ানা ফ্রান্সিস। 
     
    সংবাদ সংস্থা বিবিসির আবহবিজ্ঞানী Matt Taylor মনে করেন, “ যখন নিম্ন চাপ 
    পরিস্থিতির অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর আবহবিজ্ঞানীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন, তখন আগ বাড়িয়ে এক বছরের বৃষ্টিকে একদিনে ঘটিয়ে ফেলা মোটেই ঠিক হয়নি। আর বৃষ্টি তো শুধু দুবাইকে ভেজায়নি। এর প্রভাব সংলগ্ন ওমান ও বাহরিনেও পড়েছে। আমীর শাহীর মতো সেই দেশের মানুষ‌ও এই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের শিকার।” এতো নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা!
     
    আরও একটা কথা বাতাসে ভাসছে। নিন্দুকেরা বলছে – এমনটা যে হবে,তাতো বিলক্ষণ জানা ছিল। যে দেশে উপযুক্ত পয়:প্রণালীই নেই সেখানে জল তো জমবেই। বুঝুন অবস্থা!
     
    প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানুষ যেন মুখিয়ে আছে। এ খেলা চলছে সর্বত্র। গোটা দুবাই জুড়ে এখন এক চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। এই মুহূর্তে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিষেবা ব্যবস্থা। একের পর এক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফলে উদগ্রীব মানুষ ভিড় জমিয়েছে বিমানবন্দরে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীর অভাবে সুষম যাত্রী পরিষেবা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। 

    এই অসুবিধাগুলো হয়তো সাময়িক, কিন্তু এর প্রভাব আগামী দিনে সুদূরপ্রসারী হতে পারে। এক কালে মানুষ তার কৃতকর্মের ফল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাতেই এগিয়েছে সভ্যতার বিজয়রথ । আর আজকের মানুষ তার উল্টো পথেই যেন হাঁটছে । হায় কালিদাস! মিছেই তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা করেছি এতকাল!!
     
    *পুনশ্চ 
    মেঘ বীজ বপনের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও জোর আলোচনা চলছে ‌। দুবাইয়ের আকাশে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ঘটানোর চেষ্টা নতুন নয়।এর আগেও একাধিকবার এমন প্রয়াস করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে মরুভূমির দেশে বারংবার এমন উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে কেন ? যেখানে পদ্ধতিটি শুধু ব্যয়সাপেক্ষ‌ই নয় জটিল‌ও বটে। দুবাইয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে কোনো কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়নি। এইটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। তাঁদের বক্তব্যকে মান্যতা দিলেও বলতে হয় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর এতদিনের জলবায়ু তথা বৃষ্টিপাতের চেনা ছন্দটাই বিলকুল বদলে যাচ্ছে। এটা ঘোরতর উদ্বেগের বিষয় । এর ফল ভুগতে হবে গোটা পৃথিবীকে। যেসকল বিজ্ঞানী এই বিপর্যয়ের বিষয়টিকে মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় বলে দাবি করেছিলেন তাঁদের একাংশ এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা বলে নতুন চিন্তা ভাবনার ওপর জোর দিচ্ছেন ‌। দুবাই প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
    *তথ্য সূত্র ও ছবি 
    এই নিবন্ধটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। সমস্ত উৎস সূত্রের কাছে নিবন্ধকার ঋণী।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit Sengupta | 106.51.165.157 | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৫530740
  • প্রথমত দুবাই বা তার আশেপাশে মরু অঞ্চলে কৃত্রিম বৃষ্টি এনে জলসংকট মেটানোর কথা পাগলেও ভাববেনা। বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা না থাকলে, মানে লেক বা মাটির নিচে water bearing aquifer বা rain water harvesting এর ব্যবস্থা না থাকলে বৃষ্টির জল কিছু সময় বাঁধানো জায়গায় জমে থাকবে তারপর বালিতে শোষিত হয়ে যাবে। তাই জলের অভাব মেটানোর গল্পটা জাস্ট ঢপ। 
    তাছাড়া দুবাইয়ের DEWA (Dubai Electricity and Water Authority) বা আবুধাবির ADWEA কোনদিন water availability constraint এর গল্প বলেনা। Sea Water Desalination is the norm and both RO based and Thermal Desalination (using spent heat from adjacent power station), both MED and MSF technologies are the mainstay for all gulf countries. 
    Cloud seeding করতেই পারে তবে not for water crisis. 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৭530743
  • মতামত দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। যেসব তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে সেখানে দুবাই প্রশাসনের দ্বারা  ক্লাউড সিডিঙ্ এর সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে ‌। আমার প্রতিবেদনে জলের অভাব মেটানোর তাগিদের বিষয়টিও ঐ তথ্যসূত্র থেকেই পাওয়া। সারা বছরের মোট বৃষ্টি একদিনেই ঝরে পড়ার বিষয়টি তাহলে রহস্য‌ই থেকে গেল!
  • sarmistha lahiri | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০১530747
  • অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সমস্ত বিষয় টিকে তুলে ধরা হয়েছে।প্রকৃত অর্থে দুবাই ও সন্নিহিত অঞ্চলের এই অবস্থা যথেষ্ঠ উদ্বেগ বৃদ্ধির কারন‌।প্রকৃতির এই প্রতিশোধ আমাদের স্বেচ্ছাকৃত উদাসীনতা র ফল। লেখক আমাদের চিন্তা ভাবনার জায়গাটা উস্কে দিয়ে ছেন। তাক সাধুবাদ জানাই।
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:3bed:d788:2908:de6b:3ae2:2083 | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৭530752
  • অত্যন্ত  প্রয়োজনীয়  তথ্য  ভরা  সমৃদ্ধ  লেখা টি .
    পড়ে  অনেক  জ্ঞান  বাড়লো .  অসাধারণ !
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2409:4060:2e35:799c:8143:7d12:1d81:4edd | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১১530787
  • লেখাটি পড়ে নতুন একটি বিষয়ে জানতে পারলাম- ক্লাউড সিডিং। ভাবছি টেকনোলজিস কোথায় চলে গেছে, প্রকৃতিকে সে বশ করবে, রিক্ত হবে আরও! এই বৃষ্টির কারণ যাই হোক না কেন, সেটা সায়েন্টিস্টরা দেখুক, আমি এই লেখা পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।
  • বকলম -এ অরিত্র | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৮530789
  • ক্লাউড সিডিং নিয়ে আগে পড়েছিলাম, সেটা এক্ষেত্রে হোক বা নাহোক, ব্যাপারটা নিয়ে নীতিগত সমস্যা আছে। দুবাইয়ের আকাশ মানেই কি দুবাইয়ের জল যে ওরা নামিয়ে ফেলবে? একি বাড়ির ছাতের ওপর দিয়ে যাওয়া ঘুড়ি নাকি (সেটাও ধরতে পারলে কপালে দুঃখ আছে)! জলটা হয়তো অন্য কোথাও নামার কথা, সেটা তো আর হবে না। এত জলচুরি, মানে ডাকাতি। জল ডাকাত! 
     
    এই যে আমাদের সবার আদরের নগরশ্রেষ্ঠ লুরু শহর, যারা নিজেদের ক্যাপাসিটির অনেক বেশি মানুষ এনে হাজির করে নিজেদের জল ভাণ্ডারের বারোটা পাঁচ বাজিয়ে ছেড়েছে। আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার জল তারা জোর করে আগেই নিয়ে নিয়েছে খবরে পড়েছিলাম, এখন যদি (অবশ্য যদি ট্যাঁকের জোরে কুলোয়) রিয়েল এস্টেট বাঁচাতে মেঘ গুলোকে নামিয়ে ফেলে তাহলে তো খুব আপত্তিকর গা জোয়ারি হবে।frown
  • Arindam Basu | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৫৬530800
  • ক্লাউড সিডিং আদ্যি কালের জিওইঞ্জিনিয়ারিং, ৮০ বছরের পুরনো টেকনোলজি, https://climateviewer.com/2014/03/25/history-cloud-seeding-pluviculture-hurricane-hacking/, ভিনসেন্ট শেফার ১৯৪৬ সালে আবিষ্কার করেন, খোদ দুবাইতেই বহু দিন ধরে চলছে, তবে এবারের বন্যা ক্লাউড সিডিং এর জন্য হয়নি (https://www.theguardian.com/world/2024/apr/17/cloud-seeding-dubai-floods), হয়েছে মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে, এবং তাকে বাড়িয়েছে উপসাগরের উষ্ণ জল, গ্লোবাল ওযার্মিং এর দয়ায। এ জিনিস আরো হবে, যত বছর যাবে। 
    সবে তো কলির সন্ধ্যে!
  • অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:4060:381:63b6:b97d:29e3:ab7f:6389 | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৬530836
  • বিষয়টি এর মধ্যেই যথেষ্ট বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এমন প্রবল বৃষ্টি ঠিক কেন হলো,এর পেছনে মানুষের হাত আছে কি না, থাকলেও তার ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া কী হবে? এসব‌ই আজ আলোচিত হচ্ছে। এই সব উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে উচ্চ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দেশগুলো জল দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়লে পৃথিবীর পক্ষে তা ঘোরতর বিপদ ডেকে আনবে। মনে রাখতে হবে যে প্রকৃতি কিন্তু প্রত্যাঘাত হানতে শুরু করেছে। জলহীন ব্যাঙ্গালুরু এবং জলভাসি দুবাই, দুইই আজ এক‌ই ক্যানভাসে ঠাঁই পেয়েছে। এখন গভীর ভাবনায় ডুব দেবার সময় সমাগত। 
    লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
  • Subhrangsu | 103.26.224.159 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৭531030
  • প্রতিটি লেখাই ভীষণ তথ্যসমবৃদ্ধ! 
    লেখককে   প্রণাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন