এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | 213.184.43.155 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১৫364768
  • গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা গেছিলাম। আমাদের এখান (নিউজিল্যান্ড) থেকে কলকাতা যেতে অনেকটা সময় লাগে, সিঙগাপুর হয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত বারোটা। পরের দিন সকালে উঠে সেল ফোনে স্থানীয় সিম কার্ড ভরব বলে পাড়ায় একটি দোকানে সিম কার্ড কিনতে গেলাম। দোকানের ছেলেটিকে অনেকদিন ধরে চিনি, প্রতি বার গেলে এর কাছ থেকেই কিনি।

    বলল, "দাদা, আধার কার্ড দিজিয়ে, ফটাফট হো জায়গা", আজকাল কলকাতায় দেখলাম সবাই খুব ফটাফট, স্যাটাস্যাট এইসব কথা ব্যবহার করে (মনে হয় প্রোডাকটিভিটী বেড়ে দিল্লির লেভেলে হয়েছে)। আমার আধার কার্ড নেই, খুব সম্ভবত বিদেশে করাও যায় না। জানাতে বলল, আপনি অমুক পার্কের গায়ে দেখবেন আপিস, ওখানে অ্যাড্রেস প্রুফ নিয়ে যাবেন, "ফ***ট" হয়ে যাবে।

    যাই হোক, সেদিন আর করে উঠতে পারিনি, পরের দিন পার্কের ধারের দোতলা বাড়িতে গেলাম। বাড়ির সামনে ভিড়, ছোট্ট একটা কোলাপসিবল গেটের ভেতর কয়েকজন বসে গল্প করছিল, বলল, তিন নম্বর ঘরে যান, আধারের ছবি তুলবেন?

    বহুদিন প্রবাস জীবনে থাকতে থাকতে সরকারী কর্তাদের ঔদ্ধত্য আর অভদ্রতার ব্যাপারটা প্রায় ভুলে গেছিলাম। তবে মনে পড়ে না কলকাতাতেও এরকম অভদ্র ব্যবহার এর আগে শেষ কবে দেখেছি।

    তিন নম্বর ঘরের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি করতে এসেছেন, কি চাই? আমি বললাম আধারের কার্ড করাতে এসেছি। শোনা মাত্রই খেঁকিয়ে উঠলেন, "এতদিন কি করছিলেন? ঘুমোচ্ছিলেন? জুলাই মাসে আধার কার্ডের অভিযান হল, তখন আসেন নি কেন?"
    বললাম, "দেখুন স্যার বড়বাবু, ভুল হয়ে গেছে, তাছাড়া এখানে থাকি না তো, তাই (;-), মগনলালের চেলাদের "ভুল হো গয়ি সরকার, মাফ কিজিয়ে সরকার! স্টাইলে)"। ভদ্রলোকের কি মনে হল কে জানে, একটা ফর্ম ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান, এটা ভরে নিয়ে আসবেন। অমুক দিন (সে বেশ কয়েক দিন পরে, তখন আমার প্রায় কলকাতা ছাড়ার সময়)।

    নির্দিষ্ট দিনে যখন গেলাম, তখন সেই অফিসে লম্বা লাইন। আগের দুদিন ছুটি ছিল হয়ত। ফর্মের প্রিন্ট আউট-টাতে বেশ ছোট ছোট করে দাগ কাটা, হয়ত অনলাইন ভরার মত করে ডিজাইন করা। আমার মিডিয়াম নিবের ফাউন্টেন পেন দিয়ে ভরতে গিয়ে লেখাগুলো সব মাপ মতন ঘরে ঘরে ঠিক ঠিক করে পড়েনি। ভদ্রলোক আবার খেঁকিয়ে উঠে বললেন, দাগে দাগে দেখে লিখতে পারেন না? যত্তসব! দেখলাম, শুধু আমি নই, সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গেই এইরকম আচরণ করছেন (হয়ত রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি ওনার, শরীর খারাপ)। আমাকে ফর্মটা প্রায় ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান ওখানে গিয়ে দাঁড়ান। ছবি তোলা হবে। তখনো জানতাম না, দাঁড়ান মানে প্রায় চার ঘন্টার অপেক্ষা।

    জায়গাটা একটা হলঘর, তাতে ইতস্তত বেনচ পাতা, কেউ কেউ বসছেন, কেউ দাঁড়িয়ে। কোথাও খাবার জলের বন্দোবস্ত আছে বলে মনে হল না। টয়লেট কোথায় তাই বা কে জানে?

    দেখলাম, যারা আধার কার্ড করতে এসেছেন, বেশির ভাগই চেহারা পোষাক আষাক দেখে মনে হয় খুব গরীব। বহু নিরক্ষর (কারণ অপেক্ষা করতে করতে এদের অনেকের কার্ডের লেখা ভরে দিয়েছি), মহিলা, ছোট শিশুও বেশ কয়েকজন। তাছাড়াও বৃদ্ধ বৃদ্ধা, অনেকেই তাঁদের বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের হাত ধরে এসেছেন। আমার সামনে এক ভদ্রলোক তাঁর আশি বছরের বৃদ্ধা মা কে নিয়ে এসেছেন, তিনি কয়েকদিন আগে রিটায়ার করেছেন। মায়ের কার্ড করা হবে তাই নিয়ে এসেছেন। এঁরা সবাই তিন চার ঘন্টা অপেক্ষা করবেন, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কোন আলাদা লাইনের বন্দোবস্ত নেই। আমি অপেক্ষা করতে করতে অবাক হয়ে ভাবছিলাম আমাদের দেশে গরীব বা সাধারণ মানুষের কি অসীম ধৈর্য! কিন্তু গরীব অশিক্ষিত মানুষের প্রতি সরকারী কর্তাদের যে কি অভদ্র আচরণ, কহতব্য নয়। কর্তারা নিজেরা হ্যাহ্যা হিহি করছেন, দফায় দফায় টিফিন ব্রেক নিচ্ছেন, কিন্তু আমরা যারা ক্যাটল ক্লাস ভারতীয়, তাদের সঙ্গে গলা তুলে কি অবলীলাক্রমে অভদ্রতা করে চলেছেন। (:-), এর কিছু ছবি আমি twitter এ পোস্ট করেছিলাম, ;-) বেশ খোরাক হয়েছিল সে সময়)।

    আমার টার্ন যখন এল, যে ভদ্রমহিলা ছবি তুলছিলেন একটা ল্যাপটপে সামনে একটা ফিঙ্গারপ্রিনট রিডার, আর ল্যাপটপের মাথায় সস্তার ওয়েবক্যাম। যে কেউ আমার যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন, ভিড়ে গিজগিজ করছে। ছবি তুলতে গিয়ে হঠাৎ বললেন, এ কি দু কপি অ্যাড্রেস প্রুফ কোথায়? যান, জেরক্স করে আনুন, তারপর ছবি তোলা হবে। হল না, হলে থেকে বেরিয়ে ফটোকপি করতে যেতে হল। যখন ফিরে এলাম ততক্ষণে ছবি তোলা বন্ধ হয়ে গেছে। ভদ্রমহিলা ল্যাপটপ গুছিয়ে নিয়ে উঠে গেলেন, বেরোনর সময় বলে গেলেন, কাল সকালে ফার্স্ট আওয়ারে আসবেন।

    পরের দিন যখন গেলাম, আবার সেই লম্বা লাইন, ওই সকালে। অনেকক্ষণ দাঁড়াবার পরে যখন কোলাপসিবল গেট খুলল, তখন জানানো হল আজ আর ফটো তোলা হবে না, সামনের সপ্তাহে আসবেন। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। কেন জিজ্ঞেস করতে কোন উত্তর পাওয়া গেল না।
    আমার হাতে আর সময় ছিল না। ততদিনে ফিরে আসার সময় হয়ে গেছে।

    আমার আধার কার্ড করা হয়নি, হয়ত কোনদিন আর হবেও না।

    গতকাল দেখলাম নন্দন নিলেকানি বলেছেন, যারা আধার কার্ডের বিরোধিতা করে তারা গোয়েববেলসিয় লেফট লিবেরাল ইত্যাদি।



    সবাই কি তাই?

    (ক্রমশ )
  • pi | 57.29.227.255 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:৪০364779
  • তারপর ?

    আমার দেশে থেকেই এরকম ঘুরঘুরুন্তি ভোগান্তি পর্ব গেছে। যে জায়গার পার্মানেন্ট আড্রেস প্রুফ, কর্মসূত্রে সেখানে থাকিনা বলে। আবার এখন, পার্মানেন্ট জায়গার আড্রেসে আধার বলে কর্মসূত্রে যেখানে থাকি, সেখানে বলে, এখানে এই আধারে হবেনা ! আমাকে জিও ই দেয়নি এখান থেকে।

    কিন্তু অরিনদা, আধারের জন্য দেশে ১৮০ থাকার একটা ক্লজ আছে বলে শুনেছিলাম না ? বাইরে থাকা কিছু বন্ধু সেজন্য করাতে পারেনি বা করায়নি বললো।
  • Du | 57.184.52.56 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:০৯364790
  • যারা নাগরিক নন তাদের জন্য
  • | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২০364801
  • এই খ্যাঁকখ্যাঁকানি, অভদ্রতা, দিনের পর দিন ঘোরানো এইগুলি পশ্চিমবঙ্গের বৈশিষ্ট্য। আমাqর সেই ২০১৩ তে হয়েছে পুণে থেকে, স্থায়ী ঠিকানা কোন্নগরের। ফর্মটা নেটে পাওয়া যায় আধারের সাইটে, ভরে সঙ্গে ডকু নিয়ে গেলে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি সংগ্রহ করে জমা নিয়ে নেবার কথা। আমাদের তাইই হয়েছিল। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে আধার কার্ড স্থায়ী ঠিকানায় পৌঁছে গেছিল। এখনও এখানে আকছার ক্যাম্প বসে, কোথায় যেন একটা গিয়েও জমা করে আসে লোকজন, নিউ জয়েনিরা আর অনসাইট ফেরতরা।

    পশ্চিমবঙ্গে যতদিন থাকতাম সেই ২০০২ অবধি, ভাবতাম এই খ্যাঁকখ্যাঁকানি, অভদ্রতা, ঢিলেমো, কোনও কাজ সময়ে না হওয়া এগুলোই 'আমার দেশ'। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার পর বুঝেছি নাহ তা নয়। দেশে অনেক রকম রাজ্যই আছে।
  • আধার | 185.156.160.30 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৩364812
  • এই সমস্যা কি শুধু পবতে? হরিয়ানাতে আমার বউ ছেলের আধার সাবমিশন এক ঘন্টায় হয়ে গেল। দশদিন বাদ আধার কার্ড বাড়ির ঠিকানায় চলে এল।
  • pi | 57.29.227.255 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৭364823
  • আমার ঘুরঘুরান্তি পবতে হয়নি।

    দমদি, এই ১৮০ দিনের ক্লজ বাইরে থাকা অন্যদের জন্যও বলেছিল না ?
  • dc | 132.174.106.129 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৮364834
  • হুঁ, এরকম অভদ্রতা বোধায় পবতে বেশী। আমি চেন্নাইতে তিনবার আধার করিয়েছি। প্রথমে আমার স্ত্রী আর মেয়ের, একেবারে শুরুর দিকে। তখন আমাদের তিনজনেরই বায়োমেট্রিকের ডেট দিয়েছিল, কিন্তু সেই ডেটে আমি চেন্নাইতে ছিলাম না বলে পরে আবার আমারটা আলাদা করে করিয়েছিলাম। আরো পরে আমার মায়েরটাও করিয়েছিলাম। তিনবারই আধার কার্ড বাই পোস্ট বাড়িতে চলে এসেছিল। এর মধ্যে প্রথমবার বিরাট লাইন ছিল, দ্বিতীয় বার অনেক কম (আমাকে মোটামুটি এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল), আর তৃতীয় বার আরও কম। অভদ্র ব্যবহার, খেঁকুরেপনা কোনবারই দেখিনি।
  • dc | 132.174.106.129 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩১364842
  • আর শুধু আধার না, পবতে প্রায় যেকোন কাজেই বিরাট দেরী হয়, একদিনে তো প্রায় কখনোই হয়না, ফাউ হিসেবে জোটে অভদ্র ব্যবহার। সে কোর্ট, ব্যাংক, পোস্টাপিস, যেখানেই হোক। সেজন্য আমার যেকোন কাজ চেষ্টা করি তামিল নাড়ু থেকে শুরু করিয়ে তারপর লাস্ট স্টেপটা পবতে করতে।
  • | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩২364843
  • ভারতের নাগরিক যারা নয় তাদের তো আধার লাগার কথাই নয় :-) শুনেছিলাম ফর্মে কোথাও একটা ক্লজ করেছে যে অন্তত ১৮০ দিন ভারতে থাকলে তবেই আধারের জন্য আবেদন করতে পারবে। তো, যার কাছে শুনেছিলাম তাকে এটাও বলা হয়েছিল যে এর জন্য মোটেই ওরা ইমিগ্রেশান ডেটা ইত্যাদি চেক করতে যাবে না। কিন্তু সে বেচারী নিজের মরাল দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে পারে নি (মানে চেক না করলেও আসলে তো আর থাকে না ১৮০ দিন) বলে ফর্মটা আর শেষমেষ জমা দেয় নি।
    এদিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সব আধার লিঙ্কড হলে কী করবেভেবে সাড়ে তিনখানা চুল পাকিয়ে ফেলেছে।
  • i | 131.44.83.2 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১০:০১364769
  • আমি তো নাগরিকত্ব নি নি, নেবো ও না। ওদিকে আধার ও করাই নি। তাই ও আমার আধার ভালো বলা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে।
    তবে লাইন খ্যাঁকখ্যাঁকানির বাইরেও কিছু আছে। আমার দুই জেঠিমার পক্ষে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ইত্যাদি-বড়মার তো নব্বই বছর। তো, বাড়িতে এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছে শুনলাম। ই আধারকার্ড পাঠিয়ে দেবে।

    ইতি ছোটাই
  • i | 131.44.83.2 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১০:১১364770
  • আমার দুই জেঠিমার পক্ষে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ইত্যাদি অসম্ভব -আগের পোস্টে অসম্ভব বাদ হয়ে গেছে।
  • Arpan | 24.195.227.177 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১০:২৪364771
  • কী আর বলব। এটা কলকাতা স্পেসিফিক সমস্যা। গরীব হলেই খেঁকুড়ে হবার কোন সম্পর্ক এমনিতে নেই, তবে আমাদের রাজ্যে বোধায় সেটা খাটে না।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:২৬364772
  • দমদি আমার গপ্পটা বলে দিয়েছে। শেষটুকুও বলে দিই, নইলে কনফিউশন থেকে যাবে। ঃ)

    ১৮০ দিনের ক্লজ লেখা যে ফর্ম, সেটাই একমাত্র বলে প্রথমে জানানো হয়েছিলো তাই সে ফর্ম জমা দেওয়া হয়নি। তারপর ইন্টারনেটে পড়াশুনো করে দেখা যায় আরেকটা ফর্ম আছে প্রবাসীদের জন্য, ও প্রবাসী হওয়ার সাথে আধারের কনফ্লিক্ট নাই, তখন আবার যাওয়া হয়। তো, সেই নিয়ম আধার সেন্টারের মালিক জানতেন না (বল্লেন ফর্ম নতুন এসেছে), অনেক খুঁজেপেতে একে তাকে ফোং করে লিংক পেয়ে সেই ফর্মের প্রিন্টাউট দিলেন। সেই দ্বিতীয় ভার্সনে ১৮০ দিনের ক্লজ নেই, অতএব আপাতত সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত না হয়েই আধার করা গেছে। লাইনে ধাক্কাধাক্কি ও নেপোটিজম ইত্যাদির যা বহর, অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে যে কেউ। আর বাড়িতে এসে সব সময় ছবি তুলছেনা, আসব বলেও, আমার এক দিদা (৮৫+) অপেক্ষায় থেকে থেকে শেষে নিজেই গিয়েছিলেন।
  • | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৪৭364773
  • ওঃ তাহলে তো ভাল। যাক শেষটা জানা থাকায় সুবিধে হল, ইনফো দিতে পারব লোকজনকে।
  • | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৫২364774
  • T | 229.75.11.86 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৪৩364775
  • আধার ফাধার গাধার ইত্যাদি নিয়ে কিচ্ছু না কিচ্ছু না, স্রেফ টিমদাকে দেখে প্রচন্ড খুশি হলাম। এইটুকুই বক্তব্য।
  • r2h | 76.87.80.231 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১৯:৫৭364776
  • আমিও।
    আমার ক্ষেত্রে শুধু 'দা'টা বাদ যাবে।
  • পুপে | 120.5.74.2 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ২০:০৬364777
  • আমিও খুশি। 'দা' বাদ যাবে না। :)
  • de | 192.57.121.222 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ২১:১৩364778
  • হুচিতিমি কে দেশে এয়েচে?
    আম্মো এদের নিয়মিত দেখতে পেলে খুশী হঈ!
  • সিকি | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ২৩:২০364780
  • ইয়ে, তিমি বা হুচি গুরুতে লিখবে না বলে কি কোনও রিউমর শোনা গেছিল কখনও?
  • Tim | 108.228.61.183 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:১৬364781
  • ইতনা খুশ হোনেকা জরুরত নেহি হ্যায়। চতুর্দিকে গোসন্তান ডান্ডা লেকে ঘুম রহা হ্যায়। তং মৎ করো, কাফি হো গয়া । ঃ)
  • T | 229.75.11.86 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:০৪364782
  • সিকি, না সেরকম রিউমার আমি কখনো শুনিনি। কিন্তু 'হুচিতিমি', কেসিদা, সোসেনদি, ব্যাঙদি এবং আরো কিছুজনের অনুপস্থিতি তো দেখতেই পাই। মর্মপীড় পাখিয়াল কবিকেও সম্ভবতঃ ব্যস্ত রেখেছেন। ওরা এলে বেশ লাগে। এই আর কি।
  • r2h | 76.87.80.203 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৪364783
  • ইয়ে, টি কি আমাকে কবি বললে? বড় খুশি হলাম। মর্মপীড় সার্কিট পোড়া থেকে রক্ষা করুন।
  • কল্লোল | 233.186.74.126 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:৩৮364784
  • আধার করাবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চালান হয়ে যাবে।
    আধার কোনভাবেই কোনকিছুর জন্যই আবশ্যিক নয় - সুপ্রিম কোর্ট বহুবার বলেছে।
  • dc | 132.164.234.116 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:১১364785
  • এটা বোধায় ঠিক না, যদিও পুরোটা নিয়ে কনফিউশান আছে।

    প্রথমত, "আধার কোনভাবেই কোনকিছুর জন্যই আবশ্যিক নয় - সুপ্রিম কোর্ট বহুবার বলেছে" - এটা ভুল।

    সুপ্রিম কোর্ট বলেছে মোবাইলের জন্য আধার বাধ্যতামূলক, আর আধার ভেরিফিকেশানের জন্য এক বছর সময় দিয়েছে। এক বছর পর আধার নম্বর না থাকলে আর মোবাইল ব্যবহার করা যাবেনাঃ

    http://timesofindia.indiatimes.com/india/sc-asks-centre-to-link-all-mobile-numbers-to-aadhaar-within-one-year/articleshow/56997256.cms

    দ্বিতীয়, যদ্দুর মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নন-ওয়েলফেয়ার সবকিছুর জন্য আধার বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। মানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির জন্য বাধ্যতামূলকঃ

    http://timesofindia.indiatimes.com/india/govt-can-make-aadhaar-must-for-opening-bank-accounts-sc/articleshow/57863405.cms

    তৃতীয়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে শুধুমাত্র ওয়েলফেয়ার স্কিমের জন্য আধার বাধ্যতামূলক করা যাবেনা।

    সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আধার কার্ডের কনস্টিটিউশনালিটি বিচার করে দেখছে। কিন্তু যেহেতু আধার বিল অলরেডি পাশ করা হয়ে গেছে, তাই মনে হয় আনকনস্টিটিউশনাল আর বলতে পারবে না।

    যদ্দুর মনে হয় আধার করানো এখন বাধ্যতামূলক।
  • dc | 132.164.234.116 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:১৫364786
  • আপাতত সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যঃ

    The court clarified that its earlier interim order asking the government to make Aadhaar optional only related to obtaining benefits under social welfare schemes. Even among such schemes, the court had allowed the Centre to insist on Aadhaar for programmes such as MGNREGA, gas subsidies, PDS rations and Jan Dhan Yojna.

    "Minus the benefits under social welfare schemes, we think the government can insist on Aadhaar as identification document. If someone wants to open a bank account or get a mobile phone connection, it can insist on Aadhaar as there is no welfare scheme benefit involved in it. Why cannot the government insist on Aadhaar for filing of income tax returns? For availing benefits under schemes, Aadhaar cannot be insisted, but for other purposes we think it can be," the court said.

    http://timesofindia.indiatimes.com/india/govt-can-make-aadhaar-must-for-opening-bank-accounts-sc/articleshow/57863405.cms

    অর্থাত মনরেগা আর র‌্যাশানেও আধার বাধ্য়্তামূলক।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৩১364787
  • সুপ্রিম কোর্ট দায়সারা কথা বলেছে । সরকার আলাদা আলাদা করে মোবাইল সিম থেকে ট্যাক্স পেইং সর্বত্র আধার মাস্ট করে দিলো । সুপ্রিমকোর্ট এর কিস্যু করার নেই ।
  • dc | 132.164.234.116 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৪০364788
  • সেটাই। আমার যদ্দুর মনে হচ্ছে, আধার বিল পাশ হয়ে যাওয়ার ফলে এখন আর সুপ্রিম কোর্ট বাধা দেবেনা। এমনিতেও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে মোবাইলের জন্য আধার মাস্ট।

    কাজেই "আধার করাবেন না" এরকম আর বলা যাবে না।
  • dc | 132.164.234.116 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৪৮364789
  • আর ট্যাক্স ফাইলিং এর জন্য আধার নং মাস্ট, এটাও তো এবারের ফিনান্স বিলে ঢুকিয়ে পাশ করিয়ে নিল। ফিনান্স বিল সুপ্রিম কোর্ট রিভিউ করবে বলে মনে হয়না।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৫৩364791
  • সুপ্রিম কোর্টের হাতে আর কিছু নেই । আধার এখন মাস্ট । সুপ্রিম কোর্টের ভরসাতেই এতদিন করাইনি । কিন্তু এই ফিন্যান্স বিল তারপর সুপ্রিম কোর্টের আগের দায়সারা রায় গুলো দেখে বুঝলুম , কেস পুরো কোর্টের হাতের বাইরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন