এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রায় শান্তিনিকেতন

    bodhisattva
    অন্যান্য | ১৭ জুন ২০১৭ | ৫২১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • বোধিসত্ত্ব | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২১:৪৪366331
  • বোধিসত্ত্ব

    এক

    পুরুষ মানুষএর কখন মেমোয়ার লেখা উচিত সে সম্পর্কে রবার্টো বোলানো খুব পরিষ্কার। একমাত্র তখন ই যখন তার অঙ্গটির দৈর্ঘ্য অন্তত ১ ফুট ঃ-))) মানে অসংখ্য মেমোয়ার এ অতিষ্ট হয়ে ইয়ার্কি মেরে বলা আর কি, টিপিকাল চিলিয়ান পুরুষদের ছ্যাবলামি। কিন্তু ঈশ্বরের এই দানটি না থাকলেও, পুরুষ মানুষ কখন মেমোয়ার লিখে ফ্যালে, তার একটা তত্ত্ব আমার আছে, যখন বয়স হয়, রান্না থাকে, এবং যখন প্রোজেক্টে শনি রবি বার কাজ না করলেও আগামে সোমবার চাকরি থেকে যাবে বলে একটা ধারণা প্রায়শঃ ভ্রান্ত হলেও জেগে ওঠে, খুব ই ইউনিভার্সাল থিয়োরি কোন সন্দেহ নেই। তো কিছুটা লিখে ফেলা গেল, সৈকতের কলে। সে কল দিয়েছে, ফন্ট দিয়েছে এবং পয়সা নেয় নি, এ সুযোগ গুরুদ্বারের ফ্রী ও উপাদেয় হালুয়ার মতই উপেক্ষা করা উচিত না।

    ১-

    আমার যেটা মাথায় ঢুকেছে, সেটা হল, শান্তিনিকেতনের সেই সব অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার, যেটার সঙ্গে শান্তিনিকেতনের ইনস্টিটিউশনাল সম্পর্ক ক্ষীণ, রবীন্দ্র চর্চা বলতে যা বোঝানো হয় তার সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং প্রায়শ যেকোনো বিশুদ্ধতা চর্চার বিরোধী, অথচ যেটা শান্তিনিকেতন এর নিরীক্ষামূলক ইগালেটেরিয়ানিজম এর যতটুকু ৭০ ৮০ র দশকে বেঁচে ছিল, বা এখনো ক্ষীণতর হলেও, মারা গেছে ভাবার কোন কারণ নেই, সেই অভিজ্ঞতা গুলো কে রেকর্ড করা। একটা কথা বুঝতে হবে, শান্তিনিকেতনে র ছেলে মেয়েরা আমরা যারা একসঙ্গে বড় হছিলাম, তাদের মধ্যে একটা কয়েকটা বিচিত্র দোটানার একটা সমাহার হছিল। প্রথমত আমরা কোথাকার লোক সেটা পরিষ্কার ছিল না, কলকাতার না না কিন্তু বীরভুমের ও না, তাহলে কি ঐ সেটলার কলোনি ই আমাদের একমাত্র আধার ছিল, যেটা কোলাহল মুখর কৈশোর যৌবনে সীমাবদ্ধ, প্রোফাউন্ড কোন অভিজ্ঞতার অভাবে সেটা পরিষ্কার হছিল না। আমরা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতা শিকার রিফিউজি না হয়েও একটু নো-হোয়ার-ম্যান গোছের লোক তৈরী হছিলাম, যেটা পরে বুঝি যে আসলে একটা আর্বান অভিবাসনের অভিজ্ঞতা এবং একটা শিকড়হীনতার অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা তীব্রতর হয়েছে যখন কিছুতেই প্রতিষ্ঠান টাকে হজম করা যাছে না, এবং তদুপরি, প্রতিষ্ঠান টা কে সম্পূর্ণ গুরুত্ত্বহীন মনে হচ্ছে, অথচ, মানুষ্দের এমনকি ভয়ানক প্রতিক্রিয়ার মানুষ দের ও কাউকে অপরাধী মনে হচ্ছে না। এই এই পর্যায়ে যা মনে পড়বে লিখবো। সৈকতের কলে, পরে এটা যদি মাল আরেকটু স্পেসিফিক করতে পারি, তাহলে অগ্রজপ্রতিম পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীর চৈত্য পত্রিকায় একটা কিচুহ দাঁড় করাবো, তার সঙ্গে আমার গল্পের শেষ নেই। যদিও সে খুব ই খারাপ লোক, কারণ নিয়মিত পড়তে ও লিখতে বলে এবং নিজে কোনোটাই মন দিয়ে করে না, অজ-ভ্রাতা বিশেষ ঃ-))))))))
  • বোধিসত্ত্ব | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২১:৫৬366342
  • অহনা বিশ্বাসের লেখা (মেয়েদের হস্টেল ইত্যাদি) সম্পর্কে মনে মনে অসীম চট্টরাজ, মালিনী মুন্সী র সঙ্গে আড্ডা।

    জানোতো, একটা মজার কেস আছে। অহনা হল আমার জীবনের প্রথম সম্পাদিকা। তার পরের টা সব্যসাচী। অহনার সম্পাদনা করা পত্রিকাতেই আমার প্রথম একটা লেখা বেরোয় উত্তর শিক্ষায় পড়ার সময়। প্রচুর প্যাঁক খেয়েছিলাম, কারণ একটা পনেরো বছরের ছেলে আত্মজীবনী লিখলে লোকে সালা প্যাঁক দেবেই। কিন্তু প্যাঁকের জন্য না, রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় অথবা পুরুশ বা মেন্সস্ট্রীম হেটেরোসেকসুয়াল হওয়ার সুবিধে থাকায়, অথবা ধরো এক ধরণের অ্যাসেকসুয়াল মরালিটি র একটা নর্মালিটি থাকা সব মিলিয়ে আরোপিত রক্ষনশীল কুন্ঠায়, আমার নিজেকে বা নিজেদের কে বিষয় করা যায় এটা অনেকদিন ই মনে হয় নি, বা একজন মানুষের পার্সোনাল প্সাইকোলোজিকাল স্টোরি তে আমি আগ্রহ হারাই। যদিও কিছুদিন পর থেকেই নারীবাদী দের পোলেমিক যেটা, পার্সোনাল ইজ পোলিটিকাল আমাকে একটু ভাবাতে শুরু করে, যে সময়ে আমরা বই পড়তে শিখছি, আশির দশকের শেষে, তখন নেহাৎ বদ্ধ কালা না হলে এ কথা কানে বুকে ঢোকার কথা। কিন্তু তবু আমার কুন্ঠা যায় নি, ইনফ্যাক্ট আমি এরকম সব গপ্প ফাঁদতে আরম্ভ করি, যেখানে পরিস্থিতিটাই গল্প, ব্যক্তি বা মন বা শরীর না। তো সেটা আলাদা। এবার কি হয় হঠাত করে হাতে কুইয়ার লিটেরেচার কিছু পড়তে শুরু করি, বা সমকামী প্রেম এর গল্প। বা প্রেম এর থেকে পরিচিতি টা র বিকাশের গল্প। ব্রিটিশ কমেডিয়ান স্টিফেন ফ্রাই এর একটা লেখা আমাকে খুব নাড়া দেয়। একটা মেমোয়ার। লিখছেন, নিজের পনেরো বছরের স্টীফেন কে যেন চিঠি লিখছেন। গার্ডিয়ানে বেরোয়। তো তাতে একটা হৃদয় মোচড়ানো সিকোয়েন্স আছে বুঝলা, একটা বাচ্চা ছেলে চোখের জলে ভাস্তে ভাসতে লাইব্রেরির অন্ধকারে ক্লাসিক্স আর মেডিয়েভাল ইংলিশ এর বইয়ের মধ্যে নিজের মত টেন্ডেন্সি র ভাবনা খুঁজছে পাগোলের মতো। পরে ছোটোবেলার বন্ধু ম্যাথমেটিশিয়ান সোনার রিভিলেটরি লেখায় দেখেছি ও এরকম ম্যাথমিটিশিয়ান দের কথা খুব যত্ন করে পড়তে চেয়েছিল, যখন ওরিয়েন্টেশন এর কথা বুঝতে পারে। এছাড়া আমি বোলানোর সেই বিচিত্র গল্পটা পড়ি, নাজি লিটেরেচার ইন দ্য আমেরিকাস। একজন ফাসিস্ট আপার ক্লাস মহিলা কবি জীবন ও হরমোনের বিচিত্র কারণে একটি বামপন্থী মেয়ের প্রেমে পড়ছেন পিনোশের আমলে। এবং মেয়েটি ভবিতব্যের হাতে নিখোঁজ হচ্ছে, এবং একে খুঁজতে খুঁজতে ফ্যাসিস্ট কবি পাগোল হয়ে যাছেন, আন রিকুইটেড লাভ এর সম্রাট মার্কেজ, কিন্তু তাকে সারাজীবন 'ব্যাটা ভুতের গপ্প লেখে' বলা রবার্টো বোলানো এই জায়গাটায় হঠাৎ মার্কেজের স্টাইলে লিখছেন, লম্বা অসমাপিকা বাক্য এবং আশ্চর্য্য নরম ভাষা যাতে সালা ফ্যাসিস্ট কবি মহিলা র বিচিত্র অন্তিম মুহুর্ত, এক পেট্রোল স্টেশনে নিজের স্পোর্ট্স কার প্রায় আত্মহত্যার মত করে ক্র্যাশ করছেন এবং আগুনের মধ্যেও শুধু নরম ভালোবাসার কথা ভাবছেন। তো এটা পড়ে, পরে এই তোমার জেমস বাল্ডউইন এর গিওভানি'স রুম পড়ে আমার মাথায় ঢোকে যে আত্মপ্রকাশ টা ই যেখানে কষ্টের, সেখানে পার্সোনাল ইজ পোলিল্টিকাল না হয়ে যায় কোথায়।

    এই শিক্ষা টা কিন্তু অহনার লেখাতেই বছর পনেরো বয়সে (এই বই টা না, ছোটোবেলার লেখা গুলো তে) আমি প্রথম পাই, বা কথা গুলো কর্ণগোচর হয়। পরে ধরো জ্যাক কেরুয়াক, বা পল অস্টার পড়ে তোদের বলেছিলাম তোদের মনে আছে কিনা জানি না, যে মাইরি আমরা কোনদিন নিজেদের শোয়ার কথা এরকম ভাবে লিখতে পারবো না, কুন্ঠা থাকবে।

    ৫০স , ৬০স এ র ইউথ কাল্ট এর উথ্থানের পরে, সেকসুয়াল আর্টিকুলেশন দৃড়তর হয়েছে ঠিক ই, কিন্তু ফেমিনিস্ট পজিশনের থিওরেটিকাল আর্টিকুলেশন ই কিন্তু প্রথম ইনহিবিশন কে চ্যালেঞ্জ ছোড়ে। যদিও ৬০স না হলে আজকে ধরো পুতিন বিরোধী আনার্কিস্ট পুসি সিস্টার্স এর গান বা আমাদের দেশের মহিলা দের রাইটিং এর পোলিটিকাল স্পেস তৈরী হত কিনা সন্দেহ, কিন্তু তাও পার্সোনাল আর্টিকুলেশন এর একটা জায়গা থেকে যাচ্ছে। জয়দেব দা র যে লেখাটা (শান্তিনিকেতন ছাত্র জীবন নিয়ে উপন্যাস, রডি ডয়েলের প্যাডি ক্লার্ক হাহাহা র মত করে পাবলিক স্কুল এর কিশোর জীবন এর উল্লেখ করে লেখা। এটা উল্লেখ করেছিলাম, তাতে নানা সেল্ফ ডেপ্রিকেটরি মজা আছে, সেই ধর নেরুদার সেই চ্যাপটার টার মত, হো তো মকে লোভে ওন হয়্স্ত্ক িথৌত মকিঙ্গ অ সৌন্দ? ;-)))))))

    কিন্তু অহনার লেখা এবং অহনার সঙ্গে গপ্প ছোটোবেলার পরে আর করা হয় নি, যতটুকু মনে আছে, পরে এই বই গুলো পড়ার সময়ে বার বার মনে পড়েছে, আমাদের ক্লাস এর ছেলে মেয়েরা ওর কাছেই শিখেছিল পার্সোনাল ইজ পোলিটিকাল, একটা বড় অর্থে। জয়দেব দার লেখাটা, বা অহনার লেখা, পরে বিক্রম এর গান , বা অর্নব দের সাহানা দের গান এটা শান্তিনিকেতনের সোশাল হিস্টরি র পার্ট। এবং এদের স্মৃতি চারণ মূলক লেখা কিন্তু আর প্রমথ বিশী, অমিতা সেন বা অমিতাভ চৌধুরী বা নিমাইসাধনের লেখার মত সুপ্রিয়দার লেখার মত ইন্স্টিটিউশনাল হিস্টরি লেখার অ্যাটেম্প্ট না, বিশুদ্ধতার চর্চা না, বা বিশুদ্ধতার অভাবে আক্ষেপ না। এগুলো ক্রিয়েটিভ কাজ হওয়ার ফলে অনেক বেশি জীবনে প্রোথিত এবং কোনোটাই কম মূল্যবান না। এবং সত্যি কথা বলতে কি, আশ্রম থেকে , আকাদেমিক সেটলার কলোনি থেকে, একটা একটা সাবার্বান স্পেস হয়ে ওঠার গল্পের পার্ট। এই যাত্রা টা সম্পূর্ণ হবে যখন ধরো আদিবাসী বা বাগ্দী কোন ছেলে বা মেয়ে সেকসুয়াল আঁগস্ট নিয়ে লিখবে, এবং লোকে সেটা নর্মালি পড়বে। এই ঘটি উল্টোনো টা আমাদের হবে একদিন। পার্সোনাল উইল নট হ্যাভ টু বি পোলিটিকাল দেন ঃ-)))
  • h | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২১:৫৮366353
  • সেই ধর নেরুদার সেই চ্যাপটার টার মত, how to make love on haystack without making sound? ঃ-))))))
  • গৰু | 233.191.6.159 | ১৭ জুন ২০১৭ ২২:০০366360
  • প্রসঙ্গক্রমে তুলসীবাবুর যথেষ্ট জটিল চিন্তাভাবনা গুলিও আসবে আশা করি।

    অপেক্ষায় রইলাম।
  • bodhisattva | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২২:০২366361
  • তিন

    অধ্যাপক, লেখক গবেষক অদ্রীশ বিশ্বাস চলে গেছেন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও শান্তিনিকেতন চলে এসেছে। কারণ গুরুচঞ্ডালী প্রকাশিক অদ্রীশ বাবুর একটি বই বাদল সরকারের কাজ নিয়ে, আর আমার বাদল সরকার পরিচয় সেই প্রায়-শান্তিনিকেতন স্রীনিকেতনে।

    কিরকম সব আশ্চর্য্য যোগাযোগ হয়। অদ্রীশ বিশ্বাস এর এই সীমান্ত এই লেখাটার কিছুটা প্রুফ রিডিং , টাইপিং ইত্যাদি আমি বোধ হয় করেছিলাম, একটা ব্রিফ পিরিয়ডে এই কাজ আমি করেছিলাম সম্ভবত। আমার ভাদ্রলোক কে চেনা ছিল না, আলাপ করার খুব আগ্রহ কখনো পাইনি। মনে হয় নি গিয়ে আলাপ করি। তাছাড়া লেখক দের সঙ্গে পাঠকের একটা দুরত্ত্ব থাকা ভালো, সবাই কে চেনার কোন দরকার নাই।

    তো আমার লেখাটা ভালো লাগে নি। আমার মনে হয়েছিল কেন এই লেখাটা সিলেক্ট করছে। আমার মনে হয়েছিল, এই বিক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতা , এবং তাও ধার করা বিক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতার কি অর্থ আছে। আর আমি আজকে, কাছাকাছি মানে না পৌছাতে পারলেও, অর্গানাইজেশন কিসুই না রেখে, বিক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতার , ফ্লিটিং কনভারসেশন রেকর্ড করছি। এবং বলতে নেই সেই গুরুচন্ডালি তেই করছি। এটা আশ্চর্য্য একটা ব্যাপার ঃ-))) আমার তখন মনে হয়েছিল এই ফ্লিটিং বরোড এক্সপেরিয়েন্স এর অর্থ কি, বরোড এক্সপেরিয়েন্স বুঝি, আমি নিজে অত্যন্ত আরামে রয়েছি, আমার নিজের ইমিডিয়েট অভিজ্ঞতা কে প্রোফাউন্ড অভিজ্ঞতা না মনে করার সঙ্গত কারণ রয়েছে, তো তাইলে স্বর ধার করার একটা বস্তু আর্টে রয়েছে। কারণ মানুষ নইলে সুদু আত্মজীবনী লিখতো, আর কিসুই লিখতো না। যত ধার করাই হোক, একটা সংযুক্তি রয়েছে। এখন তিতি দেখলাম ফেসবুকে শেয়ার করেছে লেখাটা, আমার টাইপ করার কথা মনে পড়লো , আর একটা সংযুক্তি বোধ এর কথা মনে হল। এইটা কাটানো যায় না। আলাপ করতে ইচ্ছে না হলেও।
    খুব ই খারাপ লাগছে। ওনাকে যেন লেখা দিয়ে জানাই যথেষ্ট হয়।

    বাদল সরকার এর উপরে এই বইটা আমার কেনা হয় নি। বাদল সরকারের নাটকের সঙ্গে আমার দুটো বিচিত্র পরিচিতি ঘটেছিল। একটা
    হল তখন সম্ভবত ক্লাস সেভেন বা এইটে পড়ি, হঠাৎ একদিন বেশ রাত্রে কয়েকজন স্থানীয় বোলপুরের সিপিআইএমেল করা ছেলে বাবার কাছে হাজির। নাটক করবো চাঁদা দিন। তো বাবা সিপিএম বলে পরিচিত, তার কাছে আসতে কারো বাধা নেই, তবে চাঁদা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকার কথা না, তো খুব ই সুকনো মুখে খুব ই কম চাঁদা নিয়ে ছেলে গুলো ফিরে গেলো। তারা কেউ কেউ নাম করা গুন্ডা টাইপের, তাদের লোকে ভয় টয় পায়, তো তারা যাওয়ার সময়ে আমাকে বলে গেল, নাটক দেখতে যাস কিন্তু। তো আমি নাটক দেখতে গিয়ে দেখি, এখন কানেক্ট করতে পারি, কান্ডটা মোটামুটি এই, বিশ্বভারতী তাদের বাদল সরকারের নাটক করতে দেয় নি, তাদের মানে দার্শনিক সন্তোশ সেনগুপ্তর ছেলে বাবজু দা, সুজিত ঘোষ, বিজয় মিশ্র, রুপালি দি , দেবাংশু মজুমদার দা দের। তো তারা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের জমিতে, বিশ্বভারতীর ঠিক বাইরে, একটা ব্লক অফিসের সামনে চীপকুঠিতে নাটক করছে এ, একটা ইউ শেপ এর রাস্তা মত বানি নিয়ে, আর একটা সাদা পর্দা খাটিয়ে। তো ভালো মন্দ বড় কথা না, আমি এরকম নাটক তার আগে দেখিনি। কারণ আমি তার আগে শুধুই রবীন্দ্রনাথের নাটক দেখেছি। সেটা একধরণের আড়ম্বর হীন বটে, কিন্তু তার একটা নির্দিষ্ট ভাষা ও স্টাইলাইজেশন। আমি কলকাতায় তার আগে কোন নাটক দেখিনি, পথ নাটিকা দেখেছি , কিন্তু ইলেকশনে, সেখানে বাজেটের কাগজ হাতে সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে এত টাকা দেয় নি গোছের সংলাপ, তো স্টেজ দেখা অথচ সত্যি কারের প্রসেনিয়াম না দেখা একটা ছেলে বাদল সরকার দেখছে। শরীরী অভিনয় দেখছে, বাবজু দা দেবাংশু দা সুজিত দা রুপালি দি, শেষোল্লিখিতি তিনজন, এখন সারাজীবনের বন্ধু, তো এই সব দেখলাম। তারা লেবানীজ ওয়ার আর ইইজরায়েল প্যালেস্তাইন এর কনফ্লিক্ট এর একটা ছোটো অংশ নাটকের মধ্যে আনে। আই বছর টা নিয়ে একটু কনফিউজ্ড, যদি ১৯৭৬ হয় বেশি আগে মনে হচ্চে, কিন্তু সেটা মিউনিখ অলিম্পিক এর পরে পরে, যদি ৮২ হয় তাইলে বেশি বড় মনে হছে, নিজেকে, অতটা বড় হয়তো নাটকের সময়ে ছিলাম না, ৮২ হতে পারতো কারন শাবরা শাটিলা কিলিং ৮২ তে। এটা মনে করতে পারছি না। তো এই নাটকের এই অভিনয়ের ইম্প্যাক্ট আমার মনে থেকে গেছিল। এর অনেক পরে ৯১-৯২ সালে চাকরি খুইয়ে যখন শান্তিনিকেতনে ফিরে আসি তখন মালিনি অন্গ্শু স্রোতা আর কলাভাবনের কিছু ছেলে মেয়ে বাদল সরকারের সঙ্গে নাটক করা শুরু করে। তখন উনি ওখানে ভিজিটিং প্রফেসর। তো তখন আমি আর নাটক না দেখা বা না পড়া লোক নই, তবু কোন নাটক মনে করতে পারছি না, একটা দৃষ্য ছিল, একদল ছেলে মেয়ে নিজেদের মনে মনে কথা বলতে বলতে এগোছে কিন্তু কেউ কারো সঙ্গে কথা বলছে না, মিনিমাম গ্রীট ও করছে না, তার এক সেকেন্ড আগেই তারা নিজেরা নিজেদের কে জড়িয়ে ধরে লাফালাফি করছিল তো এটা আমাকে খুব হন্ট করে, আমি মালিনি দের একটা লম্বা চিঠি লিখি, যে তোমাদের নাটকের এই জায়গাটার অর্থ কি, কেন এরকম ভাবে এই জায়গাটা করেছো, তো ওরা অ্যাপারেন্টলি, যত্ন করে গ্রুপের মধ্যে চিঠিটা পাঠ করে এবং নিজের একটু থ মেরে যায় হঠাৎঅ একটা যতই চাকরি ছেড়ে আসা ক্যালানে হোক না কেন তবু তো এস এফ আই এর পুচকে মাল তার আবর নাটকে এতো ফাটার কি হল, পরে সেই নিয়ে হাসাহাসি হয়েছে। থ খাওয়া টা নিয়ে। এইবার যেটা ঘটে সেটা আরো বিচিত্র, উত্তরকাশী তে গিয়ে আমার প্রখ্যাত নাট্যকার এবং নাট্য পরিচালক জুবিন ড্রাইভার এর সঙ্গে পরিচয় হয়। সে ওয়ার্ক শপে এই টেকনিক গুলো ইউজ করতো, এই সঙ্গী কে বিশ্বাস করে জড়িয়ে ধরা, গা ছেড়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, এই ক্যামরাডারি টার একটা অভ্যেস সে ওখানকার লোক দের দিয়ে করাতো। এবার সে একেবারে অরাজনৈতিক ছেলে, এবং দর্শন পড়া ছেলে, পশিমী শপেনহাওয়ার নিৎশে হেগেল কান্ত এবং বৌদ্ধ দর্শন সংক্রান্ত বেনারস এবং থিওসোফিকাল স্কুলের লেখাপড়া তার করায়ত্ত্ব। সে আমাকে ওখানে খুব জ্বালায় আমি থিয়েটার এর গ্রুপ অ্যাক্টিভিটি তে বিশ্বাস করতাম না বলে। আমার মনে হত প্রাইভেসি র ভাওয়্লেটেড হচ্ছে। আমি যে এত কিছুর মধ্যে আবার সময় করে একটু লাজুক ও সেটা ওর রিহার্সালে গিয়ে বুঝতে পারি ঃ-))))))))কিন্তু আমি পার্টিসিপেট করছিনা দেখে, জুবিন বোঝে একে মাল দিলে পড়বে , কিন্তু কিসু করবে না। তো আমাকে সে আন্জুম কাটিয়াল সম্পাদিত সিগাল থিয়েটার কোয়ার্টার্লি পড়তে দেয়, এবং তাতে আমি অগাস্টো ব্লুম এর থিয়েটার অফ দি অপ্রেসড পড়তে দেয়, কিছু দিন পরে সবার সঙ্গে রাগারাগি করে চাকরি ছাড়ে এবং আমাকে ডজন ডজন দর্শনের বই দিয়ে বম্বে তে ফিরে যায়। এবং যোগাযোগ বিছিন্ন হয়। তার প্রায় আট দশ বছর পরে, আমি অগাস্টো ব্লুম এর বইটা যোগাড় করে কিছুটা নাড়া চাড়া করি, এবং কাকতালীয় ভাবে, এক থিয়েটার কর্মী আমাকে বই পড়ছি দেখে এগিয়ে এসে আলাপ করে জানতে চান আমি নাটক করি কিনা, আমি বলি না, তখন বলেন নর্মালি নাট্যকর্মী ছাড়া কেউ এই বই পড়ে না, আমি কোথাকার লোক, তো আমি বলি ভারতের, তখন সে বলে আমি অগাস্টো ব্লুম কে কি ভারতেই আবিষ্কার করেছি, তো আমি বলি হ্যাঁ কিন্তু সেই প্রসঙ্গে জুবিনের কথা আর বাদল সরকারের নাটকের কথা বলি। উনি আমার দু হাত ধরে বলে অ্যামেজিং স্টোরি। তার পরে আমার কফির দাম দিয়ে চলে যান। এতো এই হল একটা বিচিত্র সংযুক্তি র গল্প যা মূলতঃ বিক্ষিপ্ত। তো এইটা আমার এখন মনে হচ্ছে, যে শিক্ষা থাকলে , অদ্রীশ বিশ্বাসের লেখা আমার টাইপ করতে গিয়ে ভালো লাগতে পারতো, সেই শিক্ষা আমার ছিল না তা না, কিন্তু তখন ও প্রোফাউন্ড কিছু নিজস্ব ডিরেকট গভীর অভিজ্ঞতা হবে এই আশাটা ছিল, এখন সেই আশা টা মারা যাওয়ায়, অদ্রীশ বিশ্বাসের লেখা বুঝতে আর কষ্ট হচ্ছে না, আলাপ করতেও ইচ্ছে করছে। কিন্তু উপায় নেই। তিতির শেয়ার ই সই।
  • bodhi | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২৩:২৪366362
  • প্রিয়েম্বল গোছের প্যারাটি তে লিখেছি...."আমরা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতা শিকার রিফিউজি না হয়েও একটু নো-হোয়ার-ম্যান গোছের লোক তৈরী হছিলাম, যেটা পরে বুঝি যে আসলে একটা আর্বান অভিবাসনের অভিজ্ঞতা এবং একটা শিকড়হীনতার অভিজ্ঞতা।"

    যোগ কর উচিত যে এটা এক ই সঙ্গে গ্রৈং মিডলক্লাস ডিসকানেক্টেডনেস এর ও গল্প যেটা সময় হিসেবে ধরলে আশ্চর্য্য কিছু না। যখন শান্তিনিকেতন, ৬০ শেষ হয়েছে, ৭০ প্রায় শেষ, আশি শুরু হয়েছে, বীরভূমে চাষ বছরে তিনবার তখনো শুরু না হলেও, মানুষের হাতে জমি আশ্ছে, খানিকটা ফুলফিলমেন্ট গোছের সময়, মধ্যবিত্ত জীবন প্রায় বর্ষার ডোবার মত ফুলে ফেঁপে যাচ্ছে ৯০ এর দশকে এসে, ফিফ্থ পে কমিশনের পরে, বীরভূমে বছরে তিন বার শ্যালো টিউবওয়েল এর চাষ শুরু হওয়ার পরে, পানাগড় থেকে মুরারই বড় রাস্তা তৈরী হওয়ার সময়। এই সময়টায়, আসতে আসতে জন্মান্তরের গ্লানির দায় কাটিয়ে আমরা বাঙালী মধ্যবিত্তরা গরীব দের সঙ্গে মিছিল না করা শিখছি, বা তাদের সামনে রেখে অরেকটু সিঁড়িতে চড়া শিখছি, তো এ পর্যায়ে ডিসকানেকটেডনেস না আসাই বিচিত্র। যদিও এক ই সময়ে, অসীম দা দুর্বাপুরের ডি ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন দেখছে, তার বাবার চাকরি অনিশিচিত হচ্ছে, সে শান্তিনিকেতন কে বিষয় হিসেবে বাচ্ছে না। অসীমদার কথা বার বার আসবে, কারণ তার লেখা ও আমি প্রায় দুই ভাইয়ের মত একটু একটু করে বড় হচ্ছি, যদিও তরুন বাবাটির এটা জানার কথা না ঃ-))))))))))))))) তো এরকম ধরণের সময়ে উত্তর আধুনিক ধূসর মরুভূমি টাইপের লেখা আমরা যে লিখিনি বা পড়িনি, (ফরাসী ঔপন্যাসিক হুলেবেক এর অ্যাটোমাইজ্ড) তার একটা -ই কারণ ছিল হয়তো, রবীন্দ্রনাথের সব কিছু কে মেরে ফেলতে পারলেও তাঁর গান কে আমরা মারতে পারিনি। হ্যাঁ এটা একটা কনফ্লিকট, ভারতীয় রাষ্ট্রের বৃহত্তম কনফ্লিকট, আধুনিক বনাম ঐতিহ্য র লড়াই, বাড়িতে সন্ধ্যায়, ঠাকুমার গলায়, 'সুদাম রাখিলো নাম , নন্দের ই নন্দন' শুনতে শুনতে লোডশেডিং এ ঘুম পেলেও, পরের দিন বৈতালিক এ , 'শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে' শুনছি এবং গাইছি, আবার বিকেলের দিকে পিল্লাই কাকুর বাড়িতে কফি খাওয়ার শিক্ষা , শীত কালে দিদিদ্দের সঙ্গে দস্তার গয়না বাছার দীঘ ঘন্টা, আবার হাতে এসে পড়া বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর লেখা, কোনোটাই আমায় কোন রকম বিশুদ্ধ হতে দিচ্ছে না আবার প্রোফাউন্ড ও হতে দিচ্ছে না, ন্যাকা করে দিচ্ছে শুধু। তো সেই ন্যাকামো এখনো চাড়িনি, তবে পরিচয় হতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থেকেছি। লড়াই টা বিশুদ্ধতার বিরুদ্ধে। গরু পুজোর র বিরুদ্ধে বল্লেও হয়, কিন্তু সে বেচারি কোন দোষ করে নি, খারাপ গোয়ালে পড়েছে শুধু। তার জন্য আমার মধ্যবিত্তীয় গ্লানির শেষ নেই।
  • h | 184.79.160.147 | ১৭ জুন ২০১৭ ২৩:৪০366363
  • আঅগের প্যারাটা একটু কারেক্ট করে লিখছি, একটা ডাইমেন্সন বাদ গেছে।

    প্রিয়েম্বল গোছের প্যারাটি তে লিখেছি...."আমরা ইতিহাসের নিষ্ঠুরতা শিকার রিফিউজি না হয়েও একটু নো-হোয়ার-ম্যান গোছের লোক তৈরী হছিলাম, যেটা পরে বুঝি যে আসলে একটা আর্বান অভিবাসনের অভিজ্ঞতা এবং একটা শিকড়হীনতার অভিজ্ঞতা।"

    যোগ কর উচিত যে এটা এক ই সঙ্গে গ্রো ই ঙ্গ মিডলক্লাস ডিসকানেক্টেডনেস এর ও গল্প যেটা সময় হিসেবে ধরলে আশ্চর্য্য কিছু না। যখন শান্তিনিকেতন, ৬০ শেষ হয়েছে, ৭০ প্রায় শেষ, আশি শুরু হয়েছে, বীরভূমে চাষ বছরে তিনবার তখনো শুরু না হলেও, মানুষের হাতে জমি আশ্ছে, খানিকটা ফুলফিলমেন্ট গোছের সময়, মধ্যবিত্ত জীবন প্রায় বর্ষার ডোবার মত ফুলে ফেঁপে যাচ্ছে ৯০ এর দশকে এসে, ফিফ্থ পে কমিশনের পরে, বীরভূমে বছরে তিন বার শ্যালো টিউবওয়েল এর চাষ শুরু হওয়ার পরে, পানাগড় থেকে মুরারই বড় রাস্তা তৈরী হওয়ার সময়। এই সময়টায়, আসতে আসতে জন্মান্তরের গ্লানির দায় কাটিয়ে আমরা বাঙালী মধ্যবিত্তরা গরীব দের সঙ্গে মিছিল না করা শিখছি, বা তাদের সামনে রেখে অরেকটু সিঁড়িতে চড়া শিখছি, তো এ পর্যায়ে ডিসকানেকটেডনেস না আসাই বিচিত্র।
    আবার এই সময়টা জুড়েই, কালচারাল আইসোলেশন রাখা শান্তিনিকেতনের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না, সে বীরভুমের একটা চাকরি র জায়গায় পরিণত হচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা আছে, স্থানীয় টানা পোড়েনে, এটার পক্ষে আর আশ্রম থাকা সম্ভব হছে না, ৭০ দশকের ছেলে মেয়েদের বামপন্থী রাজনীতি করা নিয়ে আশ্রমিক দের প্রচুর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের আনুকুল্যের কৃতজ্ঞতা বা ঐতিহাসিক ভাবে নেহরু , ইন্দিরা র কংগ্রেস এর সঙ্গে সা`স্ম্কৃতিক যোগাযোগ অনুভব করায় একট কনফ্লিক্ট ছিল, কিন্তু তাতে সমসাময়িকতা ক্রমশ ভাগ বসাচ্ছে। ৯০ এর দশকে রিয়েল এস্টেট বুম ও হচ্ছে, এটা কে শুধুই আশ্রম বলা যাচ্ছে না, হেরিটেজ এর দেওয়াল তোলা নতুন করে জরুরী হয়ে পড়ছে, এই সময় কালচারাল এবং মতাদর্শগত কনফ্লিক আমাদের বন্ধুদের মনের মধ্যে স্বাভাবিক ছিল, আমি কিছুটা আর্টিকুলেট করার শিক্ষার গুরুদক্ষিনা দিচ্ছি মাত্র, মূলত ললিত দা , কৃষ্ণাদি, সুদীপ দা ব্রতীন দাদের কাছে মনে মনে। আর কিছুটা তথাগত ওয়াসেফর শুভায়ন সাধন সুনু সোনিয়া দের কাছে। কারণ প্রায় শান্তিনিকেতনের প্রায় মেমোয়ার কে পুরো মেমোয়ার হয়ে ওঠা ঠ্যাকাতে, এই শেয়ারিং টা জরুরী, এগুলো আমার একার অভিজ্ঞতা না।

    যদিও এক ই সময়ে, অসীম দা দুর্বাপুরের ডি ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন দেখছে, তার বাবার চাকরি অনিশিচিত হচ্ছে, সে শান্তিনিকেতন কে বিষয় হিসেবে বাচ্ছে না। অসীমদার কথা বার বার আসবে, কারণ তার লেখা ও আমি প্রায় দুই ভাইয়ের মত একটু একটু করে বড় হচ্ছি, যদিও তরুন বাবাটির এটা জানার কথা না ঃ-))))))))))))))) তো এরকম ধরণের সময়ে উত্তর আধুনিক ধূসর মরুভূমি টাইপের লেখা আমরা যে লিখিনি বা পড়িনি, (ফরাসী ঔপন্যাসিক হুলেবেক এর অ্যাটোমাইজ্ড) তার একটা -ই কারণ ছিল হয়তো, রবীন্দ্রনাথের সব কিছু কে মেরে ফেলতে পারলেও তাঁর গান কে আমরা মারতে পারিনি। হ্যাঁ এটা একটা কনফ্লিকট, ভারতীয় রাষ্ট্রের বৃহত্তম কনফ্লিকট, আধুনিক বনাম ঐতিহ্য র লড়াই, বাড়িতে সন্ধ্যায়, ঠাকুমার গলায়, 'সুদাম রাখিলো নাম , নন্দের ই নন্দন' শুনতে শুনতে লোডশেডিং এ ঘুম পেলেও, পরের দিন বৈতালিক এ , 'শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে' শুনছি এবং গাইছি, আবার বিকেলের দিকে পিল্লাই কাকুর বাড়িতে কফি খাওয়ার শিক্ষা , শীত কালে দিদিদ্দের সঙ্গে দস্তার গয়না বাছার দীঘ ঘন্টা, আবার হাতে এসে পড়া বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর লেখা, কোনোটাই আমায় কোন রকম বিশুদ্ধ হতে দিচ্ছে না আবার প্রোফাউন্ড ও হতে দিচ্ছে না, ন্যাকা করে দিচ্ছে শুধু। তো সেই ন্যাকামো এখনো চাড়িনি, তবে পরিচয় হতে না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থেকেছি। লড়াই টা বিশুদ্ধতার বিরুদ্ধে। গরু পুজোর র বিরুদ্ধে বল্লেও হয়, কিন্তু সে বেচারি কোন দোষ করে নি, খারাপ গোয়ালে পড়েছে শুধু। তার জন্য আমার মধ্যবিত্তীয় গ্লানির শেষ নেই।
  • bodhi | 184.79.160.147 | ১৮ জুন ২০১৭ ০৫:০৫366364
  • One shree Sukalpo Hazra, son of legendary student leader of 40s who fought communalism and colonialism at the same time , Shree Saroj Hazra and Shreejuktaa Krishna Hazra ,the most incredible language teacher we did not deserve but we had in the school we probably did not deserve either at almost free tution levels, gave me this book to read in 1988. I was 18 and he was a towering 18 and a half
  • | ১৮ জুন ২০১৭ ০৯:১৪366365
  • ইয়েসসস

    (কিন্তু হ্যাঁরে, টাইপ একটু দেখেশুনে করলে কি সাহিত্যের বা রাজনীতির ক্ষুব ক্ষেতি হবে? মাঝে মাঝে তো একককেও হার মানিয়ে দেয়!! :-((()
  • I | 57.15.12.179 | ১৮ জুন ২০১৭ ২৩:৫৮366333
  • লেখা দিব্য,কিন্তু বাড়াবাড়ি রকম বোধি স্টাইল।মানে দিন দিন আরো বেশী করে লীলা মজুমদারের পাউরুটির মত হয়ে যাচ্ছে।মাঝেমধ্যে বোধ্য শব্দ গাদাগাদা অবোধ্য স্পেস দিয়ে জোড়া ।বাইক্যের পরিধি থেকে কয়েকশো অর্থ দিগন্তের দিকে ফাল দিচ্ছে। এত অর্থ দিয়ে যে আমাদের সারাজীবন সুখেশান্তিতে কেটে যাবে।
    হাল্কা করে আবাজ দিলাম আর কী!
  • h | 184.79.160.147 | ১৮ জুন ২০১৭ ২৩:৫৮366332
  • দমু, আমি একটা কাজ করছি, সত্যি বড্ড আন রিডেবল হয়ে গেছে, সকলে বলছে সালা, আর বাংলা ভুল ও আছে, বোল কে ব্লুম লিখেছি ইত্যাদি, আমি গোটাটা , অ্যাটলিস্ট যত টুকু হয়েছে, পারফেক্ট করে কয়েকটা পোস্টে ভাগ করে নতুন টই করে ফেলছি, এটা শেষ হবে না কারণ এটা বড় প্রোজেক্ট, কিন্তু শুরু টা ঠিক ঠাক হোক। আমার ইচ্ছা ছিল, শান্তিনিকেতনের মেমোয়ার যা পাওয়া যাচ্ছে, আর বীরভুমের ইন্টেলেকচুয়াল মেমোয়ার যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কি কোন গোটাটাই সমান্তরাল না একটু মাঝে মাঝে পয়েন্ট অফ ইন্টারফেসেস আছে। আরেকটা পয়েন্ট ছিল, যে শান্তিনিকেতন এর যেটা আসিসোলেশনিস্ট গল্প সেটা ঠিক কবে শেষ হচ্ছে, ১৯৫১ তে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সময়ে, না আরো পরে, যখন এটা সাবার্বান টাউন হিসেবে ডেভেলপ করছে তার পরে। ইত্যাদি। ক্লিয়ারলি আরেকটা বক্তব্য ও ছিল, যে , যে ধরণের কালচারাল এক্সপ্রেশন পাচ্ছি, তাই দিয়ে এই পটপরিবর্তন টা আদৌ ধরা যাচ্ছে না কি এতটাই ডিসকানেক্টেড যে ধরাই যাচ্ছে না। অথবা বলা ভালো, ইন্স্টিটিউশনাল স্ক্যান্ডাল, কোরাপশন ইত্যাদির যে খবর বেরোচ্ছে, সেটাই সাইন অফ আর্বান এমার্জেন্স কিনা। এবং সত্যি বলতে কি তাতে অবাক হওয়ার মত কিসু আছে কিনা। বা গেল গেল রব তোলার কিছু আছে কিনা। তো এই প্রোজেক্ট শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু কথা হল, মোটাউটি ট্র্যাডিশনাল কালচারাল মেমরি যেটা বেরিয়ে আসে, যে সুধীরঞ্জন দাশের ভিসি হিসেবে টিনিওর এর পরেই, শান্তিনিকেতনের গুড টাইম্স শেষ, তো আমার কোচ্চেন টা হল, ব্যাড টাইম্স এর শুরু ঠিক কখন থেকে। স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তি টা প্রগতির লক্ষন না দুর্গতির। ইত্যাদি। যাই হোক উদ্দেশ্য হল, ব্যাপারটা কে স্মৃতি চারণ কে সোর্স টেক্স্ট হিসেবে ধরা। মেথড হিসেবে নতুন কিসু না, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, শান্তিনিকেতনে অন্তত এটা আগে অ্যাটেম্প্টেড হয় নি। নিমাই সাধন ওয়াজ আ গুড অ্যাটেম্প্ট বাট সো এঙ্গ্রস্ড ইন ইনস্টিটিউশনাল পলিটিক্স, সোসাইটি গন বেগিং। প্রজেক্ট অ্যাম্বিশাস, আমার দ্বারা অতএব হবার ও নয়, কিন্তু প্রস্তাবনা টা করে রাখা পরে যদি কোন স্কলার করে। পার্থ শংখ মজুমদার বলে একজন আছে, তাকে রাজি করানোর ধান্দায় আছি, সে সিউড়ি তে লোকাল হিস্টরি করে আমাদের বন্ধু।
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০০:১৯366334
  • আর গানের দিক টা চৈত্য পত্রিকার সম্পাদক, আমার বড় ভাই য়ের মত, পার্থ চক্রবর্তী কে করতে বলেছি। মানে ধর, রবীন্দ্রনাথের ছাড়া অন্য গান যা শুনছি, তার তো কোনো অফিশিয়াল ফোরাম নাই, পৌষমেলা মাঘমেলার লোকগীতি ছাড়া, কিন্তু সেটার সঙ্গে আমাদের জীবনের যোগাযোগ কতটুকু। অথচ এই আর্বান সেন্টার হিসেবে এমার্জ করার পরেই, বিক্রম বা অর্নব বা টুটুল দিদি বা সাহানা বাজ পায়ী তৈরী হচ্ছে, যদিও ফাইন আর্ট্স এ এটা অনেক আগেই তৈরী হচ্ছে, তো সেটা কেন। সেটা কে বোঝার চেষ্টা করা। মানে প্রশ্ন টা হল, গানে নাটকে, সাহিত্যে(জয়দেব দা/অহনা এটা কিছুটা ভেঙ্গে দিচ্ছে), আমরা বিশ্বভারতী হতে চাইছি, কিন্তু আঁকায় তাহলে বেঙ্গল স্কুল কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারছি কেন, কি করে পারছি, সেটা কি গোটাটাই মনি সুব্র্যমন্যম এর জন্য সম্ভব হচ্ছে, যদি হয় তাহোলে, হোয়াই। ইত্যাদি। এবং গোটাটার মধ্যেই বীরভুম কি শুধু অ্যাসপিরেশনের কারণেই অ্যাবসেন্ট নাকি বীরভুমের লোকেরা কোন ভাবেই শান্তিনিকেতনের কোন আর্টিস্টিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোজেট্ত এর সঙ্গে আদৌ একাত্ম হতে পারছে না, যদিও ক্লিয়ারলি তারা সামাজিক পটপরিবর্তনে স্থানীয় হিসেবে উইনার। ইত্যাদি।
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০০:২৭366335
  • ইন্দো, হ্যা মানে সেটা তে অবাক হওয়ার কি হল, বোঝার জন্য তো লেখা হয় নি, কারণ আমি ই তো ক্লিয়ারলি বুঝি নি, শুধু বুঝতে পারছি, যে বীরভুমের সোশাল অর্গানাইজেশন এর প্রভাব বিশ্বভারতী তে যত বেশি করে পড়ছে, তত গেল গেল রব উঠছে, সেটা সঙ্গত কতটা, আবার অন্য দিকে বিশ্বভারতীর যে দায়িত্ত্ব, রবি ঠাকুরের পাবলিশার, মেমোরাবলিয়া সংরক্ষক এবং তদুপরি ইউনিভার্সিটি বনাম বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ত্ব এবং গোটা জেলায় একমাত্র পেন্সন সোশাল সিকিউরিটি ওয়ালা এম্প্লয়ার হওয়ার দায়িত্ত্ব এটা কন্ট্রাডিকটরি তো বটেই, কিন্তু এটা যে ফান্ডিং এর শর্ত হওয়ার কেস তা জটিল হয়ে যাচ্ছে, সেটা গেল গেল পার্টিদের কাছে হালকা ক্লিয়ার করা। বিষয় টা উপস্থাপনা করার জন্য লেখা হয়েছে, এইবার গুণী লোকেরা এটা ধরবে আশা করছি ঃ-))))
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৯ জুন ২০১৭ ০০:৫৫366336
  • স্পেস-পাঁউরুটি, সঙ্গে টাইম-জিলিপি । ঃ-)
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০১:৪০366337
  • ঃ-))))))))))
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:০৭366338
  • ইন্দো, প্যাঁক দিয়ে ঠিক ই করেছিশ, প্রথমত জায়গাটা এমন কিসু না, সুতরাং সবার আগ্রহ সমান হবে না। আমি শুধু ছোটো বেলায় খাওয়া কতগুলো প্যাঁকের কজালিটি করছি মাত্র ঃ-) প্রশ্ন গুলো যেটা মাথায় আমার ঘোরে সেগুলো মোটামুটি এরকম। যথাসম্ভব সঙ্ক্ষেপে লিখে রাখার চেষ্টা করছি। কেউ আগ্রহ পেলে ঠিকাছে, না পেলেও ঠিকাছে, শান্তিনিকেতন কে আলাদা সোশাল হিস্টরি র ক্যটিগোরি করার ইচ্ছা নেই, বরং উল্টো টা, বীরভূমের ইতিহাসে, দক্ষিন বর্ধমান, পশ্চিম দক্ষিন মুর্শিদাবাদ এর ইতিহাসে বীরভূম যেরকম কিছুটা অনন্য, শান্তিনিকেতন ও সেরকম সম্পূর্ণ সমান্তরাল সেটলমেন্ট ই থেকে যাবে , বরাবরের মত এই টে জানার কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে কিনা , চোখ খুল্লে এভিডেন্স পাচ্চি কিনা সেটা দেখা।

    ক - নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার আগে, দাদু নিজেকে এবং অন্যরা দাদু কে, অক্সিডেন্টাল উইসডম এর প্রতীক বলে মনে করেন নি সম্ভবতত। তাই আমার ধারণা বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠার আগে 'উচ্চ' শিক্ষা/বিদ্যার কথা তার মাথায় এসে ছিল কিনা এটা খোঁজা।
    খ - একটু জাম্প স্টার্ট করে, হরিপুরা কংগ্রেসের সময় থেকে নন্দলাল জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে খানিকটা প্রেসক্রাইব করছেন, কিন্তু তার আগে সম্ভাব্য স্বাধীনতা উত্তর জাতীয় সরকারের সঙ্গে পঠন পাঠন কেন্দ্র টির কি সম্পর্ক হবে সেটা কি তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে না যাচ্ছে না। জাতীয় বিদ্যালয় তো অনেক ছিল, এটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কেন?
    গ - ১৯৫১ য় কেন্দ্রীয় সংস্থা হওয়ার পর থেকেই, নিরীক্ষামূলক গল্প খুব বেশি থাকার কথা না, কিন্তু গঠনগত এবং পারসেপশনের দিক থেকে থাকছে মনে হচ্ছে। এটা ঠিক কেন?
    ঘ - প্রমথ বিশী (১৯২০স), মুজতবা(২০স/৩০স)/শান্তিদেব (১৯৩০স), অমিতা সেন (১৯৪০স/৫০স), দের মেমোয়ার এর থেকে, ১৯৭০স অমিতাভ চৌধুরী দের মেমোয়ার পড়লে বা অন্যদের ১৯৭০স অনোয়ার্ডস মেমোয়ার পড়লে দুটো জিনিস বেরিয়ে আসছে, একটা হল, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্তি চাইলেও, স্থানীয় রাজনীতির ওঠানামা থেকে ইনসুলেটেড হতে চাইছে, প্রতিষ্ঠানটি, এটা কেন? আরেকটাও পপুলার পারসেপশন থেকে বেরিয়ে আসছে, সুধীরঞ্জন দাশ মহাশয় এর উপাচার্য্য হওয়ার আমলেই, উচ্চ শিক্ষার গঠন টা কিছুটা স্ট্যান্ডার্ডাইজ্ড হচ্ছে, আবার মানুষের মনে একটা, লাস্ট অভ দ্য গুড টাইম্স গোছের স্মৃতি, এটা কেন?
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:১০366339
  • ঙ-
    আগের প্রশ্নটার করোলারি হল, এই সময় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে একটা আপত্তি তীব্রতর হচ্ছে, এবং বামফ্রন্ট সরকার আসার পরেও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে রাজনীতি থেকে বাঁচাতে হবে এই আওয়াজ উঠছে, এবং বামফ্রন্টের আমলে এশিয়াটিক সোসাইটি , বিশ্বভারতি, বামেদের কলকাতা/যাদবপুর 'জয়ের' পর কঙ্গ্রেসের ইন্টেলেকচুয়াল দের রিফিউজ তৈরী হচ্ছে, তো এটা কতটা ঘোঁট, নাকি এর যৌক্তিক প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস রচনা করা সম্ভব। বীরভুমের রাজনীতিতে, সত্যি কারের ব্লো ফ্রম বিলো শুরু হচ্ছে ১৯৪০স এই, যদি সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা বাদ দি, কিন্তু দ্যাখা যাচ্ছে, ডেমোক্রাটাইজেশনের একটা পুশ উঠছে, ল্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সময়ে, এবং বোলপুর বা ইলামবাজার বা আদিত্যপুর এই জায়গা গুলো জমি হারানো লোকদের প্রতি সিম্প্যাথেটিক হচ্ছে, এবং উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বভারতী তে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। সে পড়তেই পারে, সকলের ই রিফিউজ দরকার, কিন্তু পয়েন্ট ইজ, তাদের মধ্যে থেকে বড় মাপের ইনটেলেকচুয়াল আশছে না কেন, একেবারে হাতে গোণা কয়েকটি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ব্যতিক্রম ছাড়া। বীরভুমের ইন্টেলেকচুয়াল রা বিশ্বভারতী কে নিজের জায়গা মনে করছেন না কেন?
    চ- শান্তিনিকেতনের ইনটেলেকচুয়াল রা রাঢ়্ভূমি বলে একটা পত্রিকা তৈরী করছেন, ভালোমানের অনেকদিন চলা পত্রিকা, এটা ছাড়া আউটরিচের আর কি এভিডেন্স আছে (শ্রীনিকেতন/পল্লী সংগঠন বিভাগ/শিক্ষা সত্র/ল্যাব টু ল্যান্ড/শিল্প সদন এই বিভাগীয় উদ্যোগ গুলো ছাড়া) ,
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:১১366341
  • ছ- সাহিত্য রচনা/গান এই দুটো ক্ষেত্রে আমাদের স্থানিক প্রভাব কাটাতে যে সময় লাগছে, সেটা কলাভবনের ছেলে মেয়েরা আগে পারছে কেন? সেটা কি শুধু ডিসিপ্লিন এর স্বাধীনতা? নাকি অন্য একটা মজার ঘটনাও ঘটছে, নন্দলালের স্টাইলাইজেশন নিয়ে যাঁরা থাকছেন সেই সব শিল্পী রা যেমন ননী ঘোষ মশাই/ সুখময় মিত্র মশাই এঁরা ক্রমশঃ শান্তিনিকেতন এর অনুষ্ঠানের আর্ট ডিরেকটর হয়ে যাচ্ছেন, আর আর্টিস্ট হিসেবে যাঁরা জায়গা করছেন তাঁরা সারা দেশের স্বাধীনতা উত্তর আর্ট মুভমেন্ট গুলোর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত ভাবছেন, এবং কে জি মনিসুব্রণ্যম নামক বিশাল ঘটনাটি ঘটছে, জিনি প্র্যাকটিকালি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স কে কন্ক্রিটাইজ করছেন, কাউকে পাত্তা না দিয়ে। তো এটা কেন? এটা কি শুধু ফর্মের স্বাধীনতা, নাকি আর্টিস্টিক অয়সপিরেশন? বিভুতিভুশনের গভীর ভাবে আন্তর্জাতিক সাহিত্য দর্শন পাঠের মত কিছু?

    জ - ধর্ম, কাস্ট এবং পারিবারিক আরাধ্য দেবতা এন্দের কে কেন্দ্র করে বসতি স্থাপন হয়েছে বরাবর বীরভূম জুড়ে, উচ্চশিক্ষা র ডিসক্রিমিনেশনের সেখেনে আলাদা কিছু না, কিন্তু সেই ডিসক্রিমিনেশনের বিরুদ্ধে কি ধরণে মুভমেন্ট হচ্ছে, বাম দের বাইরে, কালচারাল মুভমেন্ট ইত্যাদি।

    ঝ- গণ আন্দোলনের শুধু না, কালচারাল ইপোক তিনটে চারটে পর্যায়, ৪০স, ৬০স, ৮০স এবং পোস্ট ৯০স তাতে বীরভুম এবং শান্তিনিকেতন এর ফাইনাল ব্যারিয়ার কি ভাঙ্গছে একেবারে শেষে এসে? মানে দেওয়াল উঠছে ঠিক ই, কিন্তু আর্বানাইজেশন এর জন্য এলিট পারস্পেক্টিভ এর আর বড় শহর এবং জেলা শহর এর মধ্যে আর পার্থক্য থাকছে কিনা?

    ইত্যাদি।।।।।
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:১১366340
  • ছ- যে সময়্টায় সবচেয়ে বেশি গেলও গেল হচ্ছে, ৮০ র শেষ দিক থেকে ৯০ এর শুরু, তখন শান্তিনিকেতন আর্বানাইজ করছে, কারণ ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য থাকলেও আর্বানাইজেশন এর বিরুদ্ধে কারো ই বক্তব্য থাকছে না বড় করে, বড় রাস্তা তৈরী হচ্ছে(এটা আমি রাবন মার্ডি গল্পে রেখেছিলা, সেটিং এর উদ্দেশ্যে) তখন ই কি প্রথম নতুন করে স্থানীয় আর্বান ইন্টেলেকচুয়াল তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে শান্তিনিকেতনে। যদিও খুব বেশি হচ্ছে না, কিন্তু অন্তত কালচারাল এক্সপ্রেশন টা শুধুই কলকাতার প্রায়োরিটিজ বা রবীন্দ্র চর্চার আবহের মধ্যে বাঁধা থাকছে না, এটা কি আমার মনগড়া না এভিডেন্স জেনুইন কিসু আছে, নাকি যেটা কে আর্বানাইজেশন এক্সপেরিয়েন্স বলছি, সেটা শুধুই ফিফ্থ পে কমিশনে বাবার মাইনে বাড়ার ফলে দু পাতা ইংরেজি পড়ার ফল। আমি বুঝতে চাইছি আমি যে বুঝতে পারছিলাম আমি লিখবো এবং না ঘরকা না ঘটকা কন্ডিশন টাকে আর্টিকুলেট না করতে পারলে আই উওন্ট হ্যাভ মাই স্টোরি, এই রাজনীতি করতে গিয়ে জেলার মানুষের কাছে জাস্ট একটা আধা শহুরে কুকুর ছানা হিসেবে প্রতিভাত হওয়াটাকে থিয়োরাইজ না করতে পারলে লেখা সম্ভব হবে না, এটা কি অহনা/অসীমদা/পার্থদা/জয়দেব্দা/টুটুল দিদি/সায়ন্তনী রাও অনুভব করছিল/ পরে কি বিক্রম/অর্নব/সাহানা রাও বোধ করছিল? এখনকার অল্প বয়সী রা কি মনে করছে, এখন শান্তিনিকেতনে বসে লেখা গল্প বা কবিতা কি সিউড়ি বা সাঁইথিয়ায় বসে লেখা গল্প র থেকে বেশি নাগরিক না কি এখন লোকাল অস্মিতায় ভরা বিরোধীহীন রাজনীতির কোন চেহারা সেখানে আছে, নাকি ছেলেমেয়েরা কুঁকড়ে গিয়ে একাকীত্ত্ব চর্চা করছে, সেটাও রেজিস্টান্স হতে পারে। নাকি সকলে ডিসটিন্কট্লি ওয়েটিং ফর বিজেপি টু কাম অ্যান্ড ফাইনালি এসটাবলিশ দ্য আপারক্লাস গ্লোরি, নাকি সেটা হলেই একমাত্র আমরা নতুন তারাশংকর পেতে পারি , গ্রামীন গণতন্ত্রে র কলা চর্চার তেমন সেক্সি জোর নাই, তাই যদি হয়, তাইলে অন্তত আরুজ আলি মাতুব্বর পাবো না কেন, নাকি তৃণমূল ভাংঅলে সরাসরি বিজেপি জামাতি তে ভাগ হবে জেলা, তাতে প্রতিষ্ঠান ও আলাদা থাকবে না, এবং আর্বান সেকুলার এক্সপেরিয়েন্স, অংকুরেই মারা যাবে, ইত্যাদি।
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:১২366343
  • আর সমস্ত কিছুতেই মেমোয়ার বা কালচারাল এক্সপ্রেশন কে সোর্স হিসেবে দেখা, তার বিষয় বা ফর্মে কি পিছিয়ে থাকা জেলার মানুষ গুলো আদৌ আসছে বা অন্তত নিজেদের নন ডেরিভেটিভ স্বর কি কিসু তৈরী হচ্ছে, যেটা এই ডোটানার ফল। অর্নবের একটা সুন্দর কথা আছে, ফিউশন করবো কিনা ভাবতে ভাবতেই গান করে ফেল্লাম, আমি তৌফিক আর সাহানারা মিলে, তো সেটা কতদূর বিস্তৃত। আর এটা কোন একটা প্রসেসের ফল কিনা, কানে রাবীন্দ্রনাথের গান বা সুর তো যাচ্ছেই, আর কি যাচ্ছে, তাতে অনেক জানলা বন্ধ করেও, নিরীক্ষা বিরোধিতা করেও, শুধু মানুষের কাছে পৌছনোর তাগিদে বা নিজেদের আবিষ্কার করা, প্লেস করার তাগিদে কিছু নতুন ফর্ম পাছি কিনা, বাবজু দারা হঠাৎঅ বাদল সরকার কেই কেন বেছে নিচ্ছে, বা অগ্নি দা রা কেন প্রসেনিয়াম এ ফিরে আসছে, বা দেবাংশু দারা কেন রবীন্দ্রনাথের নাটক ই নানা ভাবে করছে বার বার, অসীম দা ছাড়া কেউ নাটক লিখছে না কেন, সেটা কি শুধু ট্যালেন্টের অভাব, নাকি মনে করা হচ্ছে জায়গাটা র আলাদা কোন গুরুত্ত্ব নাই, বীরভূম ও আমাদের কেউ না। ইত্যাদি।
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:১৭366344
  • *নিজেদের নাটক লিখছে না কেন?
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:২১366345
  • এবং অবশেষে সব্যসাচী সান্যাল এবং সৌগত পালের কাজ। দুটো কন্টেম্পোরারি আর্টিস্ট সম্পূর্ণ দুটো প্রান্তে, একজন কবিতা লিখছে কৌরব তার এক্স্প্রেশন যোগাতে সাহায্য করছে আরেকটা সৌগত পাল, যে কিনা সিরিয়াল লেখায় যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও, নিজে পত্রিকা করছে, সেটা কেন, তার কোন পপুলার এক্সপ্রেশন বাকি থাকছে? এটা কি শুধুই ব্যক্তিগত প্রয়াস, শুধুই নতুন মিডিয়া কালচার ইন্ডাস্ট্রির একটা পার্ট হোয়া অথবা শুধুই ইডিওসিন্ক্রেটিক শখ, নাক বীঅর্ভূম/শান্তিনিকেঅন/বিশ্বভারতী স্থান ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে আদৌ কোন অর্থ এদের কাছে বহন করছে কিনা।
  • kaarekashan | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৬:২৩366346
  • ****শান্তিনিকেতন ও সেরকম সম্পূর্ণ সমান্তরাল সেটলমেন্ট ই থেকে যাবে কিনা
  • h | 184.79.160.147 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৭:০৭366347
  • একটা কথা বলার ছিল, অসীম দা একটা সময়ে মিউজিকাল অপেরা লিখছে, যাত্রা ফর্ম আর মেলার গান বা ভিডিয়ো হলের সিনেমার গান এর ফর্ম ধরে, সুর দিচ্ছে সারণ, সেটা তার নিজের ডি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিজ্ড দুর্গাপুরের ডাইলাপিডেশন স্টার্কনেস থেকে সরে এসে, এবং জমিতে ফসল ওঠার সময়ে মেলার সময়ে তাকে প্লেস করে তার অভিনয় হচ্ছে, সেটায় আমি যে দোটানা টার কথা বলছি সেটার একটা ছবি আছে, ওরা নিজেদের মত করে ফর্ম খুঁজছে, যেটা তে স্থানীয় মানুষ একরকম করে সাড়া দিচ্ছে, কিন্তু এই এক্সপেরিমেন্ট পরে আর নানা কারণে করছে না, আবার অন্য দিকে সুকুল দা , শুভায়ন রা নিজেদের মত গান লিখছে, কিন্তু অর্নব দের মত ম্যাচিওরিটি তে পৌচছে না, পার্থ দা আর্ট ক্রিটিসিজম শুরু করছে, শুধুই স্টুডেন্ট আর্টিস্ট দের নিয়ে, তো সেটা টিঁকছে না , সাড়া পাওয়া যাছে না অথচ এক ই সময়ে বাঁধন দাস মানুষ কে কিছু টা অ্যাড্রেস করতে পারছেন , তো এটা কেন? ইত্যাদি। সোশাল হিস্টরি অফ লোকাল আর্টিস্টিক এক্সপ্রেশন, ইফ দেয়ার ইজ আ লোকাল।
  • Ishan | 78.9.134.17 | ১৯ জুন ২০১৭ ০৭:২৯366348
  • এইটা এবার গুছিয়ে বাগিয়ে একটা প্রবন্ধ গোছের ব্যাপারে দাঁড় করানো যায় কি?
  • h | 117.77.70.109 | ২০ জুন ২০১৭ ০১:৪৩366349
  • দেখি একটু কথা বলে খুজে পেতে। ৫০ বা ৬০ এ শান্তিনিকেতনের প্রেক্ষাপটে সান্ঘাতিক সাইকো সেকসুয়াল গল্প লুকিয়ে আছে কিনা একটু কনফাএম করতে হোবেঃ-) প্রতিভা বসু, মহাস্বেতা, ভীষম সাহানী, শিবনারায়ন , অজেয় রায় দিপেন্দু চক্রবর্তি , এরা শান্তিনিকেতনে ছিলেন, আরো অনেকেই ছিলেন কিন্তু পয়েন্ট হল কারও জে অর্থে ফিলিপ রথের, ডাবলিন জে অর্থে জয়েস এর, কলকাতা জে অর্থে অনেকের, উত্তরবম্গ জে অর্থে অমিয় ভূষন এর, ঢাকা যে অর্থে বুদ্ধ দেবের সেটা এই সেটলমেন্টে গড়ে ইঠা কঠিন, তবু খুজে দেখতে হবে , নইলে ফোকাস বদলাবে। ডেখি কথা বলতে হবে, খুম্জতে হবে , ভাবতে হবে।
  • h | 117.77.70.109 | ২০ জুন ২০১৭ ০১:৪৪366350
  • নিউ জার্সি জে অর্থে ফিলিপ রথের
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২০ জুন ২০১৭ ০১:৫২366351
  • স্পেস-পাঁউরুটি দিয়ে খেয়ে নাও ভাই টাইম-জিলিপি,
    এখনো অনেক বাকী প্যাঁচালো খোদাই ব্রাহ্মীলিপি-
    লুপে যদি পড়ো ভাই
    হয়ো না গো চটে কাঁই
    উদ্ধার করিবেন স্যর ফিলিপই ।
    ঃ-)
  • h | 117.77.70.109 | ২০ জুন ২০১৭ ০২:০৫366352
  • স্রেফ এলিমিনেশনের জন্যই একটু পড়তে হবে , আর্কাইভস দেখতে হবে , নইলে নিজের জেনেরাশন কে গ্লোরিফাই করা হয়ে যেতে পারে। জগদীশ গুপ্ত সিউড়ি তে ছিলেন অনেকদিন, প্রায় পাচ বছর কিন্তু এগজ্যাক্ট লোকেল খেয়াল করে দেখতে হবে।
  • h | 117.77.70.109 | ২০ জুন ২০১৭ ০২:০৬366354
  • ঃ-))))
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন