এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • from FB | 127.194.204.46 | ১৪ মে ২০১৮ ০৭:৪৮366887




  • কল্লোল | 37.63.152.64 | ১৫ মে ২০১৮ ১০:০৯366888
  • এটা ঘটনা যে ঋত্বিকের কোন ছবিই কোন ফিল্মোৎসবে যায় নি। উৎকর্ষহীণতার জন্য নয়, সে আর বলার অপেক্ষা থাকে না। তাহলে কেন যায় নি? কমিউনিস্ট পার্টির যোগাযোগ? নাকি কমিউনিস্ট পার্টির কারনে?
    এটা হতেই পারে তখনকার তথ্যমন্ত্রক ঋত্বিকের কমিউনিস্ট পার্টির যোগাযোগ ভালো ভাবে নেয় নি।
    এটাও হতে পারে, তখনকার কমিউনিস্ট পার্টিও ঋত্বিককে ভালো চোখে দেখতো না। বিশেষ করে অযান্ত্রিকে মার্কস ও ইয়ুঙ্গ নিয়ে নিরীক্ষা পর্টি পছন্দ করেনি। ওনার বিরুদ্ধে পার্টির এক সদস্যের কমিশন বসেছিলো। কমিশনের একমাত্র সদস্য ছিলেন প্রমোদ দাশগুপ্ত। সেই কমিশনের রায় ঋত্বিকের বিরুদ্ধে যায়। ফলে..........
    তা নইলে নাগরিক, অযান্ত্রিক, বাড়ি থেকে পালিয়ে, কোমল গান্ধার, মেঘে ঢাকা তারা, সুবর্ণরেখা একটাও কোন উৎসবে যেতে পারলো না এটা হজম করা বেশ চাপের।
  • B | 127.194.29.189 | ১৫ মে ২০১৮ ১১:৪১366889
  • "নাগরিক, ....., সুবর্ণরেখা....."
    আর 'যুক্তি, তক্কো, গপ্পো' ???
    এই ছবিটি কি কল্লোল'দা ইচ্ছে করেই বাদ দিলেন?
  • S | 194.167.2.96 | ১৫ মে ২০১৮ ১১:৪৮366890
  • বেশিরভাগ সিনেমা ১৯৫২-১৯৬২ এর মধ্যে। তখন বামেদের এতো পাওয়ার ছিলো?
  • এলেবেলে | 212.142.80.141 | ১৫ মে ২০১৮ ১২:০১366891
  • টই যিনি খুলেছেন তিনি যদি এইভাবে হাইপোথিসিসের চাষ করেন তখন সেটাই বরং চাপের! হয় বয়সজনিত বিভ্রম নয় তথ্যের অপ্রতুলতাই এর কারণ। আসলে ঋত্বিকের দুটি ছবি ফিল্মোৎসবে গিয়েছিল এবং 'সুবর্ণরেখা' না যেতে পারার জন্য কোনোভাবেই কমিউনিস্ট পার্টি দায়ী ছিল না, যেমন দায়ী ছিল না তখনকার তথ্যমন্ত্রকও। নন্দিনী শতপথীর সাথে ঋত্বিকের তুইতোকারির সম্পর্ক ছিল এবং ইন্দিরাও ঋত্বিক সম্বন্ধে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

    ‘অযান্ত্রিক’ কিন্তু ভেনিস গিয়েছিল এবং জর্জ সাঁদুল সিনেমাটি সেখানেই বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রথম দেখেন।‘অযান্ত্রিক’ লন্ডনেও পাঠানো হয়েছিল কিন্তু ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর James Quinn ১৯৬১র ১৫ ডিসেম্বর ঋত্বিককে চিঠিতে জানান ‘We considered carefully the possibility of including ‘Ajaantrik’ in the London Film Festivl, but owing to pressure on screen time I am afraid we were not able to do so.’ ১৯৬৩ সালে ‘অযান্ত্রিক’ কোনো সাবটাইটেল ছাড়াই দেখানো হয় জার্মানিতেও এবং ১৯৬৫ সালে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ দেখানো হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

    'সুবর্ণরেখা'-র গল্প কিঞ্চিৎ অন্যরকম। ভেনিস ও কানে দেখানোর কথা ছিল ‘সুবর্ণরেখা’রও। ১২জুলাই ১৯৬৫ সুরমাকে ঋত্বিক লিখছেন ‘সুবর্ণরেখা Veniceএ Selected হয়েছে। এখানের সরকার বাঁদরামো না করলে ওটাও একসপ্তাহের মধ্যে Venice যাবে’। সে ছবি না যাওয়ার কারণ লুকিয়ে আছে ৬অগাস্ট ‘৬৫তে লেখা ঋত্বিকের চিঠিতেই। ইন্ডিয়া ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপালকে তিনি লিখেছিলেন “After the invitation from Mr. Georges Sadoul I asked my distributors to spnd money for sub-titling and making new copies etc. For this work quite a few thousands of rupees we have spent already. Then came the relase letter from the Ministry for necessary foreign exchange so that the film could be subtitled in Paris. I may point out here that there is no subtitling facilities in India. Unfortunately the Ministry saw fit to release foreign exchange on condition that the film will be shown in Non-Competitive Section. I and my distributors both felt that such an entry is not worth spending so uch money upon and taking so much trouble with."

    'নাগরিক', 'তিতাস' এবং 'যুক্তি তক্কো'-র কোনো উৎসবে যাওয়ার সুযোগই ছিল না কারণ সেগুলো ঋত্বিকের জীবদ্দশায় এদেশে মুক্তিই পায়নি। তাই অন্তত এক্ষেত্রে কল্লোলবাবু 'ইচ্ছে করেই বাদ' দেননি বলেই মনে হয়।
  • এলেবেলে | 212.142.80.141 | ১৫ মে ২০১৮ ১২:০৫366892
  • *London Film Festival
  • pi | 167.40.167.204 | ১৫ মে ২০১৮ ১২:২০366893
  • এনিয়ে মামুর পোস্টটাও রইল।

    '

    প্রবল হইচই হচ্ছে দেখে ঋত্বিক ঘটক সম্পর্কে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যগুলি পড়লাম। মোটামুটি তিনটি জিনিস বলেছেন।
    ১। ঋত্বিকের শিল্প সম্পর্কে সৌমিত্র শ্রদ্ধাশীল। 'অসাধারণ পরিচালক'। যদিও ঋত্বিক সম্পর্কে সত্যজিৎ রায়ের মূল্যায়নকে উনি একটু বাড়াবাড়ি মনে করেন।
    ২। ব্যক্তি ঋত্বিক মদ খেয়ে গালিগালাজ করায় সৌমিত্র তাঁকে ঘুষি মারেন। ব্যক্তি মৃণাল সেন ব্যাপারটির সাক্ষী এবং সৌমিত্রকে সমর্থনও করেছিলেন।
    ৩। স্ট্রাইকের সময় সংরক্ষণ কমিটি থেকে সত্যজিৎ সহ সমস্ত বড় পরিচালকরা বেরিয়ে যান। ব্যতিক্রম ঋত্বিক। অতএব তিনি প্রোডিউসারদের দালাল হয়ে গিয়েছিলেন সে সময়।

    এর মধ্যে সমস্যাটা কোথায় বুঝিনি। ঋত্বিক যখন সিনেমা বানিয়েছেন, তাঁর সমালোচনা হবেই। মূল্যায়নও হবেই। সে মূল্যায়ন কারো পছন্দ না হলে অন্যরকমও বলতেই পারেন, আমার নিজেরই যেমন সম্পূর্ণ অন্যরকম মূল্যায়ন আছে। কিন্তু ভক্তকুল যেমন 'ভাবাবেগ' দেখাচ্ছেন, তার কোনো কারণ দেখিনা।

    দুই এবং তিন নিয়েও বিশেষ সমস্যা দেখছিনা। সৌমিত্র দুখানা ঘটনা বলেছেন। দুটিরই নানা সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা উচিত। ঋত্বিক মদ খেতেন, সর্বজনবিদিত। খেয়ে মাতলামো করতেন তাও অজানা কিছু না। বাকি রইল সৌমিত্রকে মাতলামো করে গালিগালাজ করেছিলেন কিনা, আর সৌমিত্র জবাবে ঘুষি মেরেছিলেন কিনা। এইটার সত্যাসত্য আমাদের মতো অর্বাচীনদের জানার কথা নয়। আমরা তখন জন্মাইনি। কিন্তু যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন, এবং এখনও জীবিত, তাঁদের কাছ থেকে ভেরিফাই করে নিলেই ল্যাটা চুকে যায়।

    একই গপ্পো সংরক্ষণ কমিটি ইত্যাদি নিয়ে। সেই কমিটি থেকে বাকি পরিচালকরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন কিনা এবং ঋত্বিক থেকে গিয়েছিলেন কিনা, একদম যাচাইযোগ্য তথ্য। করে নিলেই হয়। এর মধ্যে একমাত্র 'দালাল' শব্দটা আপত্তিজনক। কারণ কমিটিতে থাকলেই যে কেউ দালাল হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য বক্তব্য নাও হতে পারে। কিন্তু বাকিটা যাচাইযোগ্য। যাঁরা এত তীব্র রিঅ্যাকশন দিচ্ছেন, একটু সোজাসাপ্টা তথ্য দিন না, এই দুটো ঠিক না ভুল। ঠিক হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবেনা। মাথায় বাজ পড়বেনা। ঋত্বিক পরিচালক হিসেবে অধ্ঃপতিত কিছু হবেননা। আর ভুল হলেও সৌমিত্র সৌমিত্রই থাকবেন। মহাপাতক হয়ে যাবেননা। কাজেই এই নিয়ে এত উচ্চতারে ভাবাবেগ প্রকাশের কোনো কারণই দেখিনা।

    '
    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10156178721032534&id=604947533
  • b | 135.20.82.164 | ১৫ মে ২০১৮ ১৬:৩৭366894
  • ঋত্বিক সম্পর্কে একটা গল্প আমার স্টকে আছে, যেটা কখোনো সত্যজিৎ/মৃণাল এনাদের বিষয়ে শুনি নি। অদ্ভুত গল্প। তবু, ঋত্বিক বলেই, সত্যি বলে ভাবি।
  • এলেবেলে | 212.142.80.229 | ১৫ মে ২০১৮ ১৯:০৭366895
  • পাই যে লেখাটা তুলে দিয়েছেন সেটা তো সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। উনি এখানে 'মামু' নামে পরিচিত? জানি না অবশ্য। যাই হোক, মূল লেখাটার প্রসঙ্গে আসি।

    ১। "ঋত্বিকের শিল্প সম্পর্কে সৌমিত্র শ্রদ্ধাশীল। 'অসাধারণ পরিচালক'।"
    ওসব এখন বলতে হয় তাই বলা। 'নাগরিক' তাঁর বিবেচনায় খারাপ ছবি এবং ঋত্বিকের জীবদ্দশায় তা মুক্তি না পেয়ে ভালোই হয়েছে। 'অযান্ত্রিক' বা 'মেঘে ঢাকা তারা' সম্পর্কে সৌমিত্রের মূল্যায়ন আমি অন্তত কোথাও পড়িনি। উনি উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন 'তিতাস' নিয়ে যে তিতাস মুক্তি পাচ্ছে ঋত্বিকের মৃত্যুর পর! তাহলে ঋত্বিকের কোন কোন ছবির প্রেক্ষিতে তাঁকে 'অসাধারণ পরিচালক' মনে হল সেটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে। দ্বিতীয়ত 'কোমল গান্ধার' নিয়ে তিনি একেক জায়গায় একেক রকম বলেছেন যা চূড়ান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। কোথাও বলেছেন 'meagre' পারিশ্রমিকের জন্য ও ছবি করেননি; কোথাও Tapan Sinha, Mrinal Sen, Tarun Majumdar… you’ve worked with all the big directors barring Ritwik Ghatak, even though he offered you Komal Gandhar (1961). Any regrets? প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন No. It never materialised. I believe it would’ve been a bad chemistry between us. Personally, I never liked him, plain and simple. But as a director, I admire him. আবার কোথাও 'কোমল গান্ধার'-এ অভিনয় না করতে পারার আফশোস থেকে বলেছেন There was another occasion when I was supposed to work with him. Remember the film he did on the IPTA and theatre movement (`Komol Gandhar'). We spoke but finally the role went to Abanish (Banerjee). In fact, we had had long discussions about the film. Keno paliye gelen ke jane (laughs)? He had told me that I would have to study a lot. I agreed. When he asked me to read a certain book, I said I have already read it. He then referred to a book on the theatre movement. I had read that as well. Surprised, he had said, 'The book has just hit the market'. My reply was that I had still managed to read it after it had been released in Kolkata. But finally , he cast Abanish instead of me. I never got to know why. এর মধ্যে কোনটা সত্যি বলে ধরা হবে? একজন অশীতিপর অভিনেতা ঋত্বিককে নিয়ে এই লুকোচুরি খেলছেন কেন?

    ২। "ব্যক্তি ঋত্বিক মদ খেয়ে গালিগালাজ করায় সৌমিত্র তাঁকে ঘুষি মারেন।" এবং ৩। "স্ট্রাইকের সময় সংরক্ষণ কমিটি থেকে সত্যজিৎ সহ সমস্ত বড় পরিচালকরা বেরিয়ে যান। ব্যতিক্রম ঋত্বিক।"
    সে তিনি মারতেই পারেন কিন্তু এত বছর পর এই ঘটনাটা কাগজে ফলাও করে বেরোচ্ছে কেন? এ সম্পর্কে তো তিনি আগেও বলেছেন কিন্তু প্রতিদিন-এর সাতের পাতায় একটা বিশাল হেডলাইন এবং গৌতম ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকারে কিছু অর্ধসত্যের চাষ করার প্রয়োজন কোথায়? ঋত্বিক মারা গেছেন, সুরমা মারা গছেন, সংহিতা মারা গেছেন, ঋতবান অসুস্থ - এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ আবারও বাজার গরমকরা কেন? ২০১৬র এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন In the 1960s, there was a movement going on within the Bengali film industry. It became divisive and film-making had stopped altogether. The government got together many of us to debate the issue. While Ray, Mrinal Sen, Tapan Sinha and others were on one side, Ritwik was on the other. সেই মুভমেন্ট হঠাৎ 'স্ট্রাইক'এ পরিণত হচ্ছে কেন প্রতিদিন-এর পাতায়? সেই স্ট্রাইকের একদিকে সৌমিত্র-সত্যজিৎ-মৃণাল আর অন্যদিকে ঋত্বিক? সেই ঋত্বিক যিনি লিখেছিলেন “আমাদের দেশে ছবি করার ব্যাপারটা এমনই যে তাকে একটা ফুটো চৌবাচ্চার সঙ্গে তুলনা করা চলে। ... ছবিঘরের মালিক তিসির ব্যবসা করবেন, চালকল করবেন, ছেলের সুবিধের জন্যে সুইজারল্যান্ডে বাড়ি করে দেবেন, কিন্তু ফিল্মে? নৈব নৈব চ। ও বড়ো ঘোঁটালো ব্যাপার। পয়সা চোট খেয়ে যেতে কতক্ষণ? যদিও পয়সাটা আসছে ঐ চোট খাওয়ার জায়গা থেকেই। তার ওপরে এমন লাভ তো কোনো ব্যবসায় নেই। ... একমাত্র গোলাগুলির কারখানা আর ছবিঘরে শতকরা ছয়শো-সাতশো শতাংশ লাভ। ভাবা যায়? তার ওপরে এই একটা ব্যবসা, যেখানে নিম্নতম লাভের অঙ্ক বাঁধা ...। আবার এই ছবিঘরগুলোর অন্যান্য আয়ও আছে যেগুলো শুল্কের আওতায় পড়ে না। যেমন Slide দেখানো, বিজ্ঞাপনের ছবি দেখানো, ... আমদানি এ-সবেও মন্দ হয় না। এরাই প্রধানত ছবি তৈরির রুচি তৈরি করে দেন। আর এঁদের সাথে হাত মিলিয়ে চলেন এই ব্যবসার কুসীদজীবীর দল। ... সাধারণত প্রযোজক এবং পরিবেশক হচ্ছেন ঠুঁটো জগন্নাথের দল — ফালতু ফড়ে। ” (‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’, চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু, দে’জ, ২০০৫, পৃ. ১৮৭) তিনি প্রযোজকদের 'দালাল'? দালালির বিনিময়ে কী পেয়েছিলন তিনি? প্রচুর ছবির অফার? আর সৌমিত্র যে বলেছেন তারপর আর ঋত্বিককে পাত্তা-টাত্তা দিতেন না তো 'সংসার সীমান্তে' কার সাথে করার কথা হয়েছিল ঋত্বিকের? 'মাতাল', 'অসহায়' একটা মানুষকে মেরে কোন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন সৌমিত্র? তাঁর ক্ষমতা হয়েছিল ওই 'ছবিঘরের মালিক'দের ঘুসি মারার?

    যাঁরা আগ্রহী তাঁরা এই সাক্ষাৎকারগুলোও পড়তে পারেন
    https://www.livemint.com/Leisure/sqHrAba9wpANf37VpPfr1N/If-I-stop-acting-I-wont-exist-Soumitra-Chatterjee.html
    https://timesofindia.indiatimes.com/entertainment/bengali/movies/news/Soumitra-Chatterjee-I-was-supposed-to-do-Komal-Gandhar/articleshow/50655739.cms
    https://www.filmfare.com/interviews/exclusive-interview-in-conversation-with-bengal-thespian-soumitra-chatterjee-22459.html

    প্রসঙ্গত বলি, আমি নিজে সৌমিত্রভক্ত এবং ঋত্বিকভক্তও বটে। এই সাক্ষাৎকারের জন্য সেই ব্যাপারে কোনও স্থানবদল ঘটছে না।
  • pi | 167.40.177.61 | ১৫ মে ২০১৮ ১৯:২৮366897
  • এহ, এটা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছিল? আমি ভেবেছিলাম মামুর লেখা।
  • pi | 167.40.177.61 | ১৫ মে ২০১৮ ১৯:৩৫366898
  • কিন্তু কথা হল, আপনার এই পোস্টে এক জায়গায় হোঁচট খেলাম, পরস্পরবিরোধী মনে হল।

    ১। "ঋত্বিকের শিল্প সম্পর্কে সৌমিত্র শ্রদ্ধাশীল। 'অসাধারণ পরিচালক'।"
    ওসব এখন বলতে হয় তাই বলা।

    আর,

    But as a director, I admire him.

    দেখাই যাচ্ছে, আগেও বলেছিলেন।

    আর সৌমিত্রর কোটে পরের কথাটাও কিছু পরস্পরবিরোধী লাগল না।
  • T | 129.74.180.59 | ১৫ মে ২০১৮ ২০:৫০366899
  • 'অসাধারণ পরিচালক' তো মৃত্যুর পরেও মনে হতে পারে, মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য ছবিগুলো দেখে।
  • এলেবেলে | 212.142.71.165 | ১৫ মে ২০১৮ ২১:৫৫366900
  • @পাই, 'পরস্পরবিরোধী' কেন হবে?
    আমি তো লিখেছি ''নাগরিক' তাঁর বিবেচনায় খারাপ ছবি এবং ঋত্বিকের জীবদ্দশায় তা মুক্তি না পেয়ে ভালোই হয়েছে। 'অযান্ত্রিক' বা 'মেঘে ঢাকা তারা' সম্পর্কে সৌমিত্রের মূল্যায়ন আমি অন্তত কোথাও পড়িনি। উনি উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন 'তিতাস' নিয়ে যে তিতাস মুক্তি পাচ্ছে ঋত্বিকের মৃত্যুর পর! তাহলে ঋত্বিকের কোন কোন ছবির প্রেক্ষিতে তাঁকে 'অসাধারণ পরিচালক' মনে হল সেটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে।" এখন সৌমিত্রের মাপের একজন অভিনেতা যিনি নিজেকে 'মানিকদার' অল্টার-ইগো ভাবতে ভালোবাসেন তিনি ঋত্বিকের মূল্যায়ন করছেন তাঁর মৃত্যুর পর? তো এহেন অসাধারণ পরিচালকের অসাধারণ ছবি 'তিতাস' যখন এক না কি দু'হপ্তার জন্য বুকিং হল এবং তারপর হল থেকে উঠে গেল তখন উনি কিছু বলেছিলেন-টলেছিলেন?

    "But as a director, I admire him. দেখাই যাচ্ছে, আগেও বলেছিলেন।"
    সেই 'আগে'টা কবে? সাক্ষাৎকারগুলোর তারিখ দেখে এটা বলছেন?

    আর আপনি -- কে তা জানেন, অমিয়ভূষণের টইতে কোত্থাও কিচ্ছু না লিখে মোক্ষম সময় জানিয়েও যান অথচ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় 'মামু' কিনা মনে করতে পারেন না? সব্বাই লাইন লাগিয়েছেন নাকি সৌমিত্র হওয়ার?!!!
  • pi | 167.40.177.61 | ১৫ মে ২০১৮ ২৩:২৭366901
  • না দাদা, যদি এই বুঝে থাকেন, যে মনে করতে পারিনা, তো কী আর করা ঃ)
  • pi | 167.40.177.61 | ১৫ মে ২০১৮ ২৩:২৯366902
  • তবে সত্যি ভাল করে পুরো পড়লে দেখতে পেতেন মামুর পোস্ট বলে ফেবু লিন্ক ও দিয়েছি। লিন্ক্টা সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়েরই।
  • PT | 213.110.242.15 | ১৬ মে ২০১৮ ০০:২০366903
  • প্রকাশিত শ্রদ্ধাঃ
  • এলেবেলে | 212.142.71.165 | ১৬ মে ২০১৮ ০০:২৮366904
  • @পাই, আমিও মজাই করেছি প্রশ্নচিহ্নের পর গুচ্ছের !!! বসিয়ে তবে ফেবু লিঙ্কটা দেখিনি কারণ লেখাটা খুব চেনা লেগেছিল তাই।

    @পিটি, অনেকদিন পর এই টইতে তবে কিনা ওই 'যুক্তি তক্কো' সম্বন্ধেও একই কথা তিতাসের মতো - এখন সৌমিত্রের মাপের একজন অভিনেতা যিনি নিজেকে 'মানিকদার' অল্টার-ইগো ভাবতে ভালোবাসেন তিনি ঋত্বিকের মূল্যায়ন করছেন তাঁর মৃত্যুর পর? তো এহেন অসাধারণ পরিচালকের অসাধারণ ছবি 'যুক্তি তক্কো' যখন এক না কি দু'হপ্তার জন্য বুকিং হল এবং তারপর হল থেকে উঠে গেল তখন উনি কিছু বলেছিলেন-টলেছিলেন?
  • এলেবেলে | 212.142.71.165 | ১৬ মে ২০১৮ ০০:৩৯366905
  • @পিটি, আরেকটা কথা না বলে পারছি না। যিনি এই টইয়ের এক্কেবারে শুরুতে livenint.com এর লিঙ্ক দেন সেই একই ব্যক্তি কী করে এই ভিডিওটিকে সৌমিত্রের 'প্রকাশিত শ্রদ্ধা' বলেন। বস্তুতপক্ষে 'আত্মজৈবনিক' ছাড়া আর কী বলেছেন ছবিটা নিয়ে? আদ্দেক কথা তো সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের আর বাকি আদ্দেক গানটা। 'যুক্তি তক্কো' এইটুকুই ডিজার্ভ করে তাহলে?
  • PT | 213.110.242.15 | ১৬ মে ২০১৮ ০০:৪৮366906
  • সেতো বলতে পারব না। সৌমিত্রের নিজেরই কত ছবি চলেনি কে জানে আর তার জন্য সৌমিত্র নিজেই বা কি করতে পেরেছেন!! তবে ঋত্বিকের ছবি হলে চালানোর দায়িত্ব তো সৌমিত্রের নয়,। ঋত্বিক যে নিজেই নিজের ছবির ব্যাপারে দায়িত্বশীল ছিলেন না সেটাও সত্যি। তৃপ্তি না থাকলে বোধহয় যু-ত-গ শেষ হত না আর যু-ত-গ-র বিশেষ প্রথম প্রদর্শনীতে ঋত্বিক নিজেই অনেক পরে মাতাল হয়ে ঢুকে, "এ ছবি কিশ্যু হয়নি" এমনটাই কিছু বলে টলে আছড় খেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন, বা ঐ রকম একটা কিছু-নীললোহিতের লেখায় দেশ পত্রিকায় পড়েছিলাম কৈশোরে।

    অন্যদিকে সত্যজিতের নাম করে সৌমিত্রকেও "ওভাররেটেড" ইত্যাদি বলে ছোট করার কোন মানে হয়না। সত্যজিত ছাড়াও সৌমিত্র দিব্য বেঁচে থাকতেন যেমন কিনা অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সত্যজিতের ছবিতে অভিনয় না করেও দিব্য নাম ও পয়সা করেছেন। সত্যজিত সৌমিত্রকে স্ব-ইচ্ছায় বেছেছিলেন-সেটা সৌমিত্রের দোষ নয়।

    তবে ঋত্বিক আমার প্রাণের মানুষ-বাংলায় আরো অনেকগুলো ঋত্বিক (ও মাইকেল) জন্মালে মন্দ হত না!!
  • এলেবেলে | 212.142.71.63 | ১৬ মে ২০১৮ ১৮:৫২366908
  • 'তবে ঋত্বিকের ছবি হলে চালানোর দায়িত্ব তো সৌমিত্রের নয়' - একশো শতাংশ ঠিক কথা। তবে আমি তো সৌমিত্রকে সে দায়িত্ব পালন করতে বলিনি, বলেছি 'এহেন অসাধারণ পরিচালকের অসাধারণ ছবি 'যুক্তি তক্কো' যখন এক না কি দু'হপ্তার জন্য বুকিং হল এবং তারপর হল থেকে উঠে গেল তখন উনি কিছু বলেছিলেন-টলেছিলেন?' মানে এটা যে খারাপ হল, আগ্রহী দর্শক সত্ত্বেও যে ছবিটা তুলে নেওয়া হল সে ব্যাপারে কোনো স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন? তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কোনো অনুরোধ করেছিলেন এই 'অসাধারণ পরিচালক'-এর ছবিটি যাতে আরও দু-চার সপ্তাহ চলতে পারে সেই সম্পর্কে? নাকি সেটাও তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?

    ঋত্বিক 'যুক্তি তক্কো' করেছেন, সেটা রিলিজ হয়ে যাওয়ার পর আর সেটা ঋত্বিকের থাকে না। ঋত্বিক সে ছবিকে ভালো বললেও থাকে না, 'এ ছবি কিস্যু হয়নি' বললেও। সেটা দর্শকরা বিচার করেন। কাজেই ওটাকে গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ নেই। সে অর্থে 'কোমল গান্ধার' ঋত্বিকের খুবই প্রিয় ছবি ছিল, দর্শকদের তা প্রিয় নাও মনে হতে পারে।

    সৌমিত্রকে ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনোদিনই 'ওভাররেটেড' মনে করি না। সত্যজিতের চোদ্দটা ছবি দিয়ে ওঁর কেরিয়ার শুরু ও শেষ হয়নি এবং মৃণাল সেন-তপন সিংহ-তরুণ মজুমদার ওঁকে এমনি এমনি ছবিতে নেননি, যেমন নেননি অজয় করও। ওটা ফালতু আলোচনা। কিন্তু আমার জিজ্ঞাস্য এই যে 'তিতাস' নিয়ে তাঁর এই উচ্ছ্বাস সেই সিনেমা তো নন্দনে দেখানো হচ্ছে ১৯৯১তে। সৌমিত্র ৯১তে এসে ঋত্বিকের মূল্যায়নে আগ্রহী হলেন? অযান্ত্রিক, মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা সম্বন্ধে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব কেন?

    শেষে বলি বাংলায় আরও অনেকগুলো মাইকেল-ঋত্বিক-মানিক জন্মালে মন্দ হত না।
  • PT | 213.110.242.23 | ১৬ মে ২০১৮ ২১:১৭366909
  • আমরা যারা বুড়োর দলে ও সিনেমাসক্ত, তাদের কাছে ঋত্বিকের মূল্যায়ন হয়ে গিয়েছিল সম্ভব্তঃ সত্তরের দশকের শেষে বা আশির শুরুতেই। আমি কোন একটি সিনে ক্লাবের সদস্য ছিলাম ও সেই সুবাদে দেশী-বিদেশী বেশ কিছু ছবি দেখি আশির শুরুতে দেশ ছাড়ার আগেই। আর কিছু অ-কমার্শিয়াল অ-বাংলা ভারতীয় ছবি দেখেছি JU-তে ছাত্রাবস্থায়। তখন কোথায় নন্দন?

    তিতাস ১৯৭৩-এর ছবি। সৌমিত্র কি ১৯৯১-তে প্রথম সেই ছবি দেখেন? আর অযান্ত্রিক, মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা ইত্যাদি সম্পর্কে সৌমিত্র কোন সন্দেহজনক কারণে "নীরব" থাকলে সেটা সৌমিত্রর দুর্ভাগ্য বলেই ধরে নিতে হবে। তবে ৯১ সালে দেওয়া বা না দেওয়া কোন স্টেটমেন্ট ২০১৮-তে ট্র্যাক করা খুব কঠিন কাজ। ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে সেসব খুঁড়ে বের করতে হবে।

    সর্বোপরি ঋত্বিক মারা যান ১৯৭৬-এ (সত্যজিৎ ১৯৯২)। কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্য না থাকায় ঋত্বিকের প্রতিভা সময়ের কারণেই আড়ালে চলে যায়।
  • এলেবেলে | 212.142.119.150 | ১৬ মে ২০১৮ ২২:০০366910
  • তিতাস ১৯৭৩-এর ছবি ছবি ঠিকই কিন্তু সে ছবি তো মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। আপনারা কি সেই ছবি ৯১-এর আগেই দেখেছিলেন? পুরো ছবিটাই? এ বাংলায় কিন্তু তিতাস ৯১তেই প্রথম দেখানো হচ্ছে। সৌমিত্রের কি সেই ছবি তার আগেই দেখা? আর স্টেটমেন্ট তো তারও আগের মানে যুক্তি তক্কো কলকাতায় দেখানো হচ্ছে ৭৭এ। কাজেই সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য খোঁজা আরও কষ্টদায়ক। কেউ যদি এই ছবিগুলো সম্বন্ধে সৌমিত্রের মূল্যায়ন সম্পর্কে অবহিত থাকেন তাহলে তাঁদের মন্তব্য আমি এ টইয়ে দিতে অনুরোধ করছি। প্রসঙ্গত আমার প্রথম ঋত্বিক দর্শন ১৯৮৮ কি ১৯৮৯ নাগাদ দূরদর্শনে রেট্রোস্পেকটিভে। সেই হিসাবে এখানে যাঁরা আলোচনা করছেন তাঁদের থেকে এ ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা অনেকটাই কম।
  • PT | 213.110.242.8 | ১৬ মে ২০১৮ ২২:১৬366911
  • ১৯৮৩ থেকে ২০০০ পর্যন্ত আমি পব-র বাইরে ছিলাম। খুব জোর দিয়ে বলতে পারব না। কিন্তু যতদূর মনে হচ্ছ ২০০১-এর আগেই আমি তিতাস, যু-ত-গ ইত্যাদি দেখি। তবে সিনে ক্লাবগুলি সাধারণভাবে মুক্তি না পাওয়া দেশী-বিদেশী ছবি অবশ্যই দেখাত। অ-ইংরেজি ভাষী বেশ কিছু ছবি দেখেছি। সাবটাইটেলের সঙ্গে সেই প্রথম পরিচয়!
  • কল্লোল | 116.203.142.38 | ১৬ মে ২০১৮ ২৩:০২366912
  • তিতাস, আমার যদ্দুর মনে পড়ে দেখেছিলাম ১৯৭৮এ শিশির মঞ্চে বাম সরকার অয়োজিত ঋত্বিক রেট্রতে। ঐ সময়েই গৌতম ভদ্রের সমালোচনা বের হয় ফিল্মক্লাবের পত্রিকায় - মালোর চোখে তিতাস - ভদ্রলোকের চোখে তিতাস - এরকমই কিছু একটা নামে। সে নিয়ে তখন বেশ হৈচৈ হয়েছিলো।
    http://sensesofcinema.com/2017/cteq/a-river-called-titas/
  • PT | 213.110.242.8 | ১৬ মে ২০১৮ ২৩:১৩366913
  • আম্মো বোধহয় শিশির মঞ্চেই তিতাস দেখেছি।

    চিত্রবীক্ষণ নামে একটি চমৎকার পত্রিকা প্রকাশিত হত সেই সময়ে। তাতে অনেক রকমের উচ্চমানের প্রবন্ধ থাকত। পুরনো সংখ্যা ঘাঁটলে অনেক কিছু জানা যেতে পারে।
  • এলেবেলে | 212.142.119.162 | ১৭ মে ২০১৮ ০০:২২366914
  • ঠিক লিখেছেন কল্লোলবাবু। গৌতম ভদ্রের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৬এ চিত্রকল্প-র ১৫ সংখ্যায়। সে হিসেবে ওই ছবি তিনি ৭৬ কিংবা তার আগেই দেখেছিলেন। প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৯তে রজত রায় সম্পাদিত 'ঋত্বিক ও তাঁর ছবি'তে। ওই প্রবন্ধেই 'ক্ষুধিত পাষাণ' ও 'মণিহারা'কে যথাক্রমে তপন সিংহ এবং সত্যজিৎ ছেলেভোলানো ভূতের গল্পে রূপান্তরিত করেছেন বলে চরম সমালোচনা করেছিলেন গৌতম ভদ্র।

    B এই টইতে লিখলে বড় ভালো হত।
  • B | 69.92.144.166 | ১৭ মে ২০১৮ ১১:২৮366915
  • এরকম লেভেলের স্মৃতিসঞ্চালিত উদ্ধৃতির পর উদ্ধৃতি, তাও একেবারে দলিল, তথ্য উল্লেখ করে করে.......

    এলেবেলে, আপনি একাই এক অর্বুদ....

    আমার দৌড়ও তো ঐ চিত্রবীক্ষণই, আর এদিক ওদিক কিছু পত্রিকা, সেও যখন ঋত্বিক ভক্তদলের মাঝে যাতায়াত ছিল, তখনকার সংগ্রহ...., যার অধিকাংশই আপনার লেখায়ই উঠে এসেছে।

    তাছাড়া ওসব পত্রিকা, কাগজাদি পরিবারের প্রজন্মান্তরে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে।
    বাষট্টিতে শুধু স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে লিখলে ভুলের সম্ভাবনা প্রচুর..... আর তাতে করে পুকুরপাড়ের বগা পুলিশদের (সেই 'তুতু ভুতু'র) আবার খাটা খাটনি বেড়ে যেত। কে জানে, হয়তো বা, এই টইয়ের আলোচনার মানই পড়েও যেতে পারত।

    চরৈবেতি ! চরৈবেতি !
  • B | 69.92.144.166 | ১৭ মে ২০১৮ ১৭:২৩366916
  • আরেকটি প্রামান্য দলিলরূপী মহাভারত মাপের একটি পত্রিকা আছে, নামটা পেটে আসছে, মুখে আসছে না..... নির্মাল্য আচার্য্য আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সময়ের 'এক্ষণ' কি.... কিছুতেই মনে আসছে না। সময় লাগবে। কেউ যদি সাহায্য করেন.....
  • কল্লোল | 116.203.186.73 | ১৮ মে ২০১৮ ০৮:১৩366917
  • এক্ষণ-ই তো নাম ছিলো।
  • কল্লোল | 116.203.186.73 | ১৮ মে ২০১৮ ০৮:২২366919
  • এলেবেলে। আপনি কি নিশ্চিত যে, গৌতম ভদ্রের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৬এ চিত্রকল্প-র ১৫ সংখ্যায়। কারন, কলকাতায় তিতাস প্রথম দেখানো হয় ১৯৭৮এর ঋত্বিক রেট্রোতে। তার আগে কোন বিশেষ শো হয়েছিলো কিনা জানি না। কেননা, ঐ রেট্রোর প্রতিটি সিনেমা দেখার দিন সকালে গৌতমদার বাসায় সেদিনের ছবিটি নিয়ে কথা হতো। কথা বলতেন সে সময়ের কিছু ফিল্মোৎসাহী মানুষ, যাঁরা আগে ফিল্মটি দেখেছেন। তিতাস নিয়ে তেমন কিছু কথা হয়নি, কারন তিতাস কারুর দেখা ছিলো না। বরং গৌতমদা সেদিন উপন্যাসটি নিয়ে বলেন। মানে, গৌতমদাও তার আগে দেখেন নি সম্ভবতঃ। আমার যতদূর মনে পড়ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন