এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • জগ্গা জাসুস এবং

    pi
    সিনেমা | ১৬ জুলাই ২০১৭ | ২৪৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | 57.29.196.45 | ১৬ জুলাই ২০১৭ ২১:২৭367303
  • নাঃ, এটা একটা আলাদা টইই ডিজার্ভ করে।
    হাফটায়াইমে বসে হাল থেকে যে পোস্টটা করেছিলম, আপাততঃ সেটাই থাক।
    আপাততঃ ঘোরে যেহেতু, ক্রিটিকাল হতেও ইচ্ছে করছেনা।

    আরে! জগ্গা জাসুস তো জাস্ট অন্য লেভেলের হয়েছে! জানিনা, সবার কেমন লাগবে,তবে যত দেখছি ছিটকে যাচ্ছি! এখনো আধখানা বাকি আছে ভাগ্যিস। এমন ভিশ্যুয়াল মিউজিকাল মেন্টাল ম্যাজিকাল ট্রিট শেষ হয়ে গেলে দুঃখ হবে।
    রণবীর কাপুর, অনুরাগ বসু, মিউজিক আর সিনেমাটোগ্রাফি টিম ক'টা পুরস্কার বাগায়, দেখার।

    আর, আর, আর, মণিপুর এত্ত এত্ত সুন্দর!!
  • Saikat Bhattacharya | 59.206.123.252 | ১৬ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩০367314
  • ছোটবেলায় টিনটিন পড়েছেন?
    আচ্ছা, ছোটবেলায় নাহয় ষাট শতাংশ শিক্ষিত বাঙালীই টিনটিন পড়ে। এখন পড়েন টিনটিন? এই বয়েসে? কত বয়েস? এই ধরুন, কুড়ি বা পঁচিশ বা এট্টু বাড়িয়েই ধরলুম চল্লিশ? কী বললেন? তার চেয়েও বেশী বয়েস? সে আবার হয় নাকি? আমরা তো চল্লিশের পর আবার ঘুরিয়ে দিই। তখন আবার ঊনচল্লিশ, আটত্রিশ, সাঁইত্রিশ....
    সে যাই হোক, আপনার বয়স আপনার পছন্দ - কত রাখবেন! কথা হল আপনার এই কৈশোর পার হওয়া যৌবন বা প্রৌঢ়বেলায় টিনটিন পড়েন কি না! পড়লেও কেমন করে পড়েন? আমার মত? অফিসে ল্যাপটপে খুলে, বসের দিকে হাল্কা নজর রেখে আর আঙুল alt+tab এ রেখে? অথবা অফিস বেরোনোর আগে স্নান করে চুলে চিরুনি বুলিয়ে তারপর হাত দিয়ে একটু দেখে নেওয়া ক্যুইফটা এখনো হয় কিনা! এরকম করেন না? রাতে বাড়ি এসে অথবা রোববার সকালে মাঝে মাঝে তাক থেকে নামিয়ে? বেশ তাও চলেগা। কিন্তু বলুন, মনে আছে তো সেই কাঁকড়া রহস্য (The crab with the golden claws) বা কৃষ্ণদ্বীপের রহস্য (The Black Island)? মরুরদেশে টিনটিনের বাইপ্লেন চালানো? ক্যাপ্টেন হ্যাডকের দমাদ্দম উলটে পড়ার মধ্যে নির্মল হাস্যরস? স্যাটায়ার আর রাজনীতির সাথে হাস্যরসের একটা সমসত্ত্ব মিশেল এর চেয়ে ভালো কোথাও পেয়েছি কিনা সন্দেহ।
    টিনটিনের কথায় কথায় খেয়াল পড়ল সোনার কেল্লার কথাও। মরুভুমির মধ্যে দিয়ে সেই উটের দৌড়? উফ, প্রায় তেত্রিশবার দেখেছি ছবিটা। আবার পেলে আবার দেখব। না মশাই, আমি গাছপাকা আঁতেল নই। "সত্যজিত ফেলুদা দুটো না বানালেই পারতেন" - মার্কা ডায়লগ মারিনা। আমার একটা ছোটবেলা ছিল। এবং সেখানে ফেলুদার এই সিনেমাদুটো অনেক আলো হাওয়া এনে দিয়েছিল। আজকালকার ফিল্ম বোদ্ধাদের মত বুনুয়েল ত্রুফো গোদার মুখে নিয়ে তো জন্মাইনি। যাই হোক, যে কথা বলছিলাম। গুগাবাবার কথা। গুগাবাবার সাথে টিনটিনের আলোকবর্ষ অবধি কোনও মিল নেই। গুগাবাবা ফ্যান্টাসি। টিনটিন রিয়েলিস্টিক ফ্যান্টাসি। গুগাবাবা তার বাকি চরিত্র মিলে তৈরী একটা ক্রাইসিসের রেজোল্যুশন করার মধ্যে দিয়ে কিছু agenda রেখে যায়। গুগাবাবার বাঙলা ঘেঁষা মজা, আপাত স্মার্ট বাঘা আর গুপির গান - এই সব মিলিয়ে একটা এক্সক্লুসিভ ছোটবেলা। নাহ, বড্ড নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছি।
    আসলে 'Jagga Jasoos' দেখে এলাম। একটা স্বপ্নের ছবি। ফ্যান্টাসির ছবি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সুপার হিরোর ছবি। এ হিরো ওড়ে না, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেনা, সাংঘাতিক ভিলেনকে জব্দ করার জন্য হাড় হিম করা পরিস্থিতি আনেনা। বরং "ক্ষেতে ফসল আছে, গাছে ফুল আছে ফল আছে, পাখী আছে" -কে রেসোনেট করে বলা যায়, এ হিরোর কথায় সুর আছে, চুলে ক্যুইফ আছে, ক্যাপ্টেন হ্যাডকের মত দমাদ্দম আছাড় খাওয়া সঙ্গী আছে, পাহাড়ি বন্ধু আছে। এ হিরো হাড় হিম করেনা, গুলি করে মানুষ মারেনা। ভিলেনরা নিজেদের অস্ত্রেই নিজেরা ঘায়েল হয়, ঠিক যেমন টিনটিনে হত। টিনটিনের মতই অপটু হাতে বাইপ্লেন উড়িয়ে ফেলে মরুশহরের উপর দিয়ে। পালক বাবাকে খুঁজে ফেরে অজানা দেশে নানা রকম মজাদার adventure এর মধ্যে দিয়ে।
    যদি আপনি ফিল্ম বোদ্ধা না হন, যদি আপনার শৈশবে উপেন্দ্রকিশোর থেকে থাকে, লীলা মজুমদার থেকে থাকে, থাকে যদি আস্টেরিক্স, টিনটিনের সঙ্গ, এবং যদি এখনো সেই ছেলেবেলার ছোঁয়া মাঝে মাঝে হযবরল বা গুপীর গুপ্তখাতা তাক থেকে পেড়ে ফেলতে প্ররোচিত করে আপনাকে, আপনার এ ছবি ভালো লাগতে বাধ্য।
    যান মশাই দেখে আসুন - Jagga Jasoos.... মনের 'আগাপাশতলা' ভালো হয়ে যাবে।
  • গবু | 57.15.15.145 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৬:২৮367325
  • বাচ্চাদের নিয়ে যাবার মতো তো? সিরিয়াসলি জিজ্ঞেস করলাম।
  • Du | 57.184.8.117 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৭:৪২367331
  • একদম
  • pi | 57.29.217.10 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৭:৪৫367332
  • বাচ্চারা খুবই এনজয় করছে শুনলাম।
  • Tuti-footi | 125.97.128.244 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৮:১৯367333
  • সামনের সীটে একটা বলিয়ে কইয়ে বাচ্চা বসেছিল, ন দশ বছরের হবে, খুব মজা পাচ্ছিল সিনেমাটা দেখতে দেখতে, তার হাসি আর লাফানো পেছনের সীট থেকেও দিব্যি বোঝা যাচ্ছিল।

    কিন্তু একদম ক্লাইম্যাক্স এর কাছে এসে সে হতাশ হয়ে পড়ে, বলতে থাকে আমি কিছুতেই এই সিনেমাকে একটা স্টারের বেশী দেবো না, দেবো না না। কেননা সে বশীর আলেকজান্ডারকে দেখতে পেলোনা। ঠিক তক্ষুণি .....

    মনে হল অনুরাগ বসু বোধহয় হলেই কোথায় বসে বাচ্চাটার কথা শুনছিলেন।

    অসাধারণ, অবশ্যই দেখবেন, বড় ছোট সব বাচ্চাদের নিয়ে।
  • gobu | 127.194.44.186 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৮:২৭367334
  • ধন্যবাদ। spoiler না দেবার জন্যে আরো একবার ধন্যবাদ :)
  • pi | 57.29.195.105 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪৭367335
  • তবে ওটা মণিপুর নয় শুনলাম, ওখানে শুটিঙ্গ করা যায়নি। থাইল্যাণ্ড।
  • de | 24.139.119.174 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১১:২০367336
  • অসাধারণ মিউজিক্যাল - অনবদ্য অভিনয় - ক্যামেরার ছবি -

    স্বপ্নের ঘোর লেগে আছে চোখে-

    গানগুলো তো এসে থেকে গাইছি -

    তবে আমাকে আরেকবার দেখতে যেতে হবে - আমার পাশে বসে এক (অ)ভদ্রমহিলা কন্টিনুয়াসলি হো অ্যা চালিয়ে গেলেন - সেই আলো চোখে পড়চিলো - তাতেও সুখ না হওয়ায় তিনি কাকে যেন একটা ফোন করে সাসের নিন্দের ঝাঁপি খুলে বসলেন - আমি অনেক রকমের বিরক্তির প্রকাশ করেও কাজ না হওয়ায় তাকে বলতে হোলো - "অর একবার ভি বাত করেঙ্গে তো আপকি সাসকো বুলাকে লাতি হুঁ" - তাতে সে চটেমটে বাত বন্ধ করলো-

    আমি সিনিমা দেখতে বসলেই এ'রম সব লোক কোত্থেকে যে আসে -
  • অর্ঘ্যদীপ | 212.142.107.35 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১১:৪৩367304
  • জগগা জাসুসঃ অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান

    “And now here is my secret, a very simple secret: It is only with the heart that one can see rightly; what is essential is invisible to the eye.”
    - Antoine de Saint-Exupéry, The Little Prince

    শুধুমাত্র চোখ দিয়ে দেখে আর মস্তিষ্কের উর্বরতর কিছু কোষ দিয়ে যা কিছু দেখছেন সেই দৃশ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্য নিয়েই যারা অনুরাগ বসু পরিচালিত "জগ্‌গা জাসুস" দেখবার কথা ভাবছেন, তাদের এইবেলা বলে রাখি, ছবিটা প্লীজ দেখবেন না। মানে ছবিটা দেখলে হয় আপনার খুব, খুব খারাপ লাগবে, বিচ্ছিরিরকম বোর হবেন, অথবা আংশিকভাবে কিছু উপাদান ভালো লাগলেও সার্বিকভাবে মনঃপুত হবে না কিছুতেই। কিন্তু দ্য লিটিল প্রিন্সের ওই কোটেশনটার প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস থাকে, আপনি যদি সত্যিই মনে করেন যে শুধু চোখের দেখাতেই জীবনের সবটুকুকে প্রত্যক্ষ করা যায় না, তার জন্য মনের দৃষ্টিও দরকার হয় অনেকখানি, আর সাহায্য নিতে হয় কল্পনার...তবে জগ্‌গা জাসুস ছবিটা বোধহয় আপনার সাথে থেকে যাবে অনেক, অনেকদিন।

    যেহেতু সিনেমাটা আদতে একটা থ্রিলার , তাই গল্পের ব্যাপারে বেশী কিছু না বলতে যাওয়াই শ্রেয়। তবু একটা আভাস হয়ত দিয়ে রাখাই যায়। জগ্‌গা একটা ছোট্ট ছেলে। তার মা নেই, বাবা নেই, অন্য কোনও আত্মীয়স্বজন নেই, এই পৃথিবীতে কেউ নেই তার। সে মানুষ হয়েছে ময়নাগুড়ির একটা হাসপাতালে। কথা বলতে গেলেই তোতলায় বলে, সে বড় বেশী চুপচাপ। একদিন জগ্‌গার সাথে দেখা হয় অদ্ভুত একটা লোকের। যার নাম টুটি ফুটি। এমন উদ্ভট নাম কেন? এর কারণ লোকটার ছিল টুটি টাঙ্গ আর ফুটি কিসমত। এই লোকটাই জগ্‌গাকে শেখায় কীভাবে গান গেয়ে কথা বললে, শব্দগুলো আটকে যাবে না আর। আর শেখায় বাঁচার মতো করে বেঁচে থাকার নানান উপায়। এই লোকটা আসার পরে এই পৃথিবীতে জগ্‌গা আর একা থাকে না। কিন্তু আমাদের কারোর জীবনই তো সরলরৈখিক নয়। তাই টুটি ফুটি যেমন হঠাৎ করে এসেছিল জগগার জীবনে, তেমন হঠাৎই একদিন হারিয়েও যায় তার জীবন থেকে। এরপর আবার কি তাদের দেখা হবে কখনও? জগ্‌গা কি কোনওদিনও খুঁজে পাবে টুটি ফুটিকে? সেই অনুসন্ধানের, সেই অপেক্ষারই গল্প বলে চলে বাকি সিনেমাটা...

    জয় গোস্বামীর একটা কবিতা ছিল, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান"। আপাতভাবে একটা রূপকথার গল্পের আড়ালে, এই ছবিটা যেন সেই কবিতারই এক সার্থক রূপায়ণ। বেশ কিছু মজার সিক্যুয়েন্স, মন ভালো এবং মন খারাপ করে দেওয়া অনেকগুলো গান, গল্পের প্রয়োজনে নিরন্তর বুনে চলা রহস্য-রোমাঞ্চের জাল - এই সবকিছুকে ছাপিয়ে জগ্‌গা জাসুস আসলে তো একটাই বার্তা দেয় - সেটা শান্তির, সেটা ভালোবাসার। সেটা এই পৃথিবীর সব যুদ্ধ আর সমস্ত হানাহানির বিরুদ্ধে। ছবিটার এক জায়গাতে রয়েছে শুন্ডির রেফারেন্স। রয়েছে আকাশ থেকে নেমে আসা বাক্সবোঝাই কেক-পেস্ট্রির অব্যর্থ মেটাফোর। শতকের পর শতক ধরে হাল্লা রাজার সেনাদের যুদ্ধ করে চলাটা কি সত্যিই খুব জরুরি? অনুরাগ বসু হয়ত সেই প্রশ্নটাই রেখে গেলেন আরেকবার।

    জগগা জাসুসের অভিনেতারা অনবদ্য অভিনয় করেছেন প্রায় সকলেই। "প্রায়" শব্দটা ব্যবহার করলাম কেন তার কারণটা আশা করি সবাই বুঝবেন। লেখাটার হিউমর কোশেন্ট বাড়াতে চাইলে, "নো ক্যাটরিনা কাইফ, নট ইউ!" গোছের কিছু হয়ত লিখতে পারতাম আমি । কিন্তু ওসব ওপরচালাকি করতে সত্যিই ইচ্ছে করছে না। জগ্‌গার চরিত্রে রণবীর কাপুর আশ্চর্যরকমের ভালো। এই প্রজন্মের অন্যান্য অভিনেতাদের থেকে তিনি যে অনেকখানি আলাদা, সেটা আবারও প্রমাণ করলেন এই ছবিতে। বাদল বাগচী ওরফে টুটি ফুটি হিসেবে মুগ্ধ করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সৌরভ শুক্লা, রজতাভ দত্ত এবং অন্যান্য অভিনেতারা নিজেদের চরিত্রে সকলেই যথাযথ।

    সিনেমাটোগ্রাফার রভি ভর্মনের জন্য কোনও প্রশংসাই হয়ত যথেষ্ট নয়। সেই সঙ্গে ছবির সেট ডিজাইন, লোকেশন নির্বাচন, স্পেশাল এফেক্টস ইত্যাদি সবকিছুই খুব সুন্দর। ফলে ভিজুয়ালি জগগা জাসুস অত্যন্ত নয়নাভিরাম এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে প্রতিটা দর্শকের কাছেই। তবে এই ছবিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করেছেন সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম এবং লিরিসিস্ট নীলেশ মিশ্র, অমিতাভ ভট্টাচার্য প্রমুখ। যেহেতু অধিকাংশ সংলাপই গান হিসেবে এসেছে ছবিটাতে, ফলে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব ছিল অনেকটাই বেশী। প্রত্যেকটা গান এবং নেপথ্য সঙ্গীতই ন্যারেটিভের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে উঠতে পেরেছে এবং সেগুলো শুনতেও লাগে চমৎকার। সবশেষে পরিচালক হিসেবে অনুরাগ বসুকে কুর্নিশ জানাতেই হয়, এমন একটা ছবির কথা ভাবার জন্য। ছবিটাতে যে কোনও ভুলভ্রান্তি, কোনও খামতি নেই এমন নয় কিন্তু। কথক ঠাকুরানী হিসেবে ক্যাটরিনার অসহ্য উচ্চারণ, অতিরিক্ত সাবপ্লটের ব্যবহার, পর্যাপ্ত এডিটিং-এর অভাবে দীর্ঘায়িত সময়সীমা - ভুল ধরতে চাইলে, ধরা যায় অনেকই হয়ত। কিন্তু ভাবনাটা আর পাঁচটা বলিউডি ছবির থেকে এতখানি আলাদা, এতটাই অভিনব যে ভুলগুলো ধরতে তেমন ইচ্ছে করে না।

    শেষে একটা অন্য কথা বলি। জগ্‌গা জাসুস ছবিতে একটা বৌদ্ধিক দর্শনের কথা ফিরে ফিরে এসেছে অনেকবার। সেটা হল - এই পৃথিবীতে যার সাথে যার দেখা হওয়ার থাকে, তাদের দেখা হয় ঠিকই। একটা অদৃশ্য বৃত্ত আঁকা হয়ে যায় তাদেরকে ঘিরে। তারপর যদি তাদের পথগুলো আলাদাও হয়ে যায়, যদি তারা দূরে সরেও যায় একে অন্যের থেকে, তবুও তারা ওই বৃত্তের ভেতরেই থেকে যায় আজীবন।

    "দুনিয়া ইয়ে থোড়ি থোড়ি হ্যায় ব্যহেতর ল্যগে
    মিলকে খোনে কা ড্যর ল্যগে
    যানা ভী তো, ফির সে আনা তু..."

    আমাদের সাথেও তো কখনও কখনও দেখা হয়ে যায় এমন কিছু মানুষের। যারা আমাদের অনেক কিছু শেখায়, নতুন করে বাঁচার কথা বলে। তারপর হয়ত তারা একদিন চলেও যায় আমাদের ছেড়ে। হয়ত ফিরে আসে অথবা আসে না আর কোনওদিনই। সেই চলে যাওয়ার পথের দিকে তখন আমরা তাকিয়ে থাকি অনন্ত অপেক্ষা নিয়ে, আর আমাদের দু'চোখ ভরে আসে জলে। অনেক কিছু বলার থাকলেও বলা হয়ে ওঠে না কিছুই। মনে মনে শুধু বলি,

    যাই বলতে নেই, বলো আসি...
  • PM | 149.5.230.166 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩০367305
  • প্রতিটা লেখাই দারুন... ছেলে মেয়েকে নিয়ে দেখতে উন্মুখ
  • sinfaut | 52.106.119.221 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ০৯:১৮367306
  • কাল হলে গিয়ে দেখে এলাম। সে কী বৃষ্টি! তার মধ্যে স্কুটারে রেনকোট পরা তিনজন।

    হলে দেখলাম বলে ভালোই লাগলো। কম্পুতে দেখলে ধৈর্য ধরে রাখতাম কিনা সন্দেহ।

    এই স্পীলবার্গের টিনটিনের মতন বাবলগাম ছবিওয়ালা ফিল্ম দেখলে, তাতে ক্রমাগত মূহুর্মুহু ঘটনা ঘটে গেলে কেমন অসাড় লাগে। তায় আবার একচিলতে মনিপুর আফ্স্পা কৃষক আত্মহত্যা ও ক্যাটরিনার ককটেল থাকলে তো কথাই নেই। পদযাত্রায় নাইকি জুতা পরিবেন।

    তারউপর ঘন্টু মিনিটে তিরিশটা প্রশ্ন করলো। বাবারে বাবারে বাবা।
  • Du | 57.184.8.117 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ০৯:২৬367307
  • চক্লেটি চুন্নু গানটা পাচ্ছি না।
  • de | 69.185.236.52 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১০:৫৪367308
  • ই কি!! দু, আম্মো ওটা খুঁজে বেড়াচ্চি!! ঃ))

    ঘন্টুর প্রশ্নসকল শিশুটকে তুলে দেবা হোক - আমরাও এট্টু পড়ি ঃ)
  • Arpan | 212.172.247.110 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৭:১৫367309
  • এইত্তো, সিঁফো ঠিক ধরেছে। স্পিলবার্গের টিনটিন দেখতে গিয়ে যেটা বারবার মনে হচ্ছিল যে সবকিছু রুদ্ধশ্বাসে হয়ে চলেছে। তোয়াজ করে টিনটিন পড়ার যে মজা, মার্লিনস্পাইকের চরিত্রগুলোর মধ্যে আয়েস করে পাইপ ধরানো, বা কান্ট্রিসাইডে কুকুর নিয়ে উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটতে বেরনো - এসবের কিছুই খুঁজে পাইনি। ওটা টিনটিন আর হ্যাডকের বদলে হার্ডি বয়েজ করে দিলেও কোন ক্ষতি হত না।

    ডিঃ জগ্গা জাসুস দেখিনি। মেয়ের পরীক্ষা হয়ে গেলেই দেখে ফেলব।
  • Arpan | 212.172.247.110 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৭:১৭367310
  • ঐটার আগেপরে এই মুভিটা দেখলেই তফাত্টা বোঝা যাবে।

    http://www.imdb.com/title/tt0970179/
  • Du | 182.58.107.63 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ০০:৩৪367311
  • এতো সুন্দর নাম দিয়ে শেষে ঘন্টু বলে ডাকা হচ্ছে ঃ(
  • Mala | 125.97.128.244 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ১৪:২৬367312
  • বিদিশা বেজবড়ুয়া কি মিস মালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন?
  • pi | 57.29.196.27 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ২০:৪৯367313
  • কোনদিকে যাব। আমার দেওয়ালে সিনেমাটার পলিটিকাল ইন্কারেক্টনেস নিয়ে যা শুরু হয়েছে, ঘাবড়ে যাচ্ছি!
  • sswarnendu | 113.77.46.63 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:১৬367315
  • ঘাবড়ে যাচ্ছো কেন? সেখানেও তো বেশ উপভোগ্য আলোচনা হচ্ছে।
  • aka | 75.205.190.115 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:২৬367316
  • ইহা কি অনলাইনে পাওয়া যায়? এইচ্ডি ভার্সন।
  • pi | 57.29.194.180 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:৪১367318
  • হ্যাঁ, আলোচনা তো ভাল। কিন্তু জগ্গা জাসুস এরকম আদ্যন্ত রেসিজম প্রোমোট করেছে, ট্রাইবালদের এত খারাপভাবে দেখিয়েছে, মেয়েদের এত অসম্মান করেছে, এগুলো কিছুই দেখার সময় বুঝতে পারিনি বলে ঘাবড়ে আছি। নইলে পলিটিক্যাল ইস্যুগুলোর অতিসরলীকরণ নিয়ে, সব সমস্যাকে একটা সুতোয় বেঁধে দেওয়া আর তার এত সহজ সমাধান দেখানো নিয়ে খুঁতখুতানি আমারো ছিল, কিন্তু অন্য অনেক কিছু ভাল লাগার ঘোরে সেগুলোকে ইগ্গি মেরেছিলাম।
  • JJ | 127.194.200.42 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:৪১367317
  • একবারের বেশি দুবার দেখার মতো না। অথচ আলটপকা থিওরাইজ করার খনি ছেড়ে গিয়েছে। নানা সম্ভাবনাময় ব্যবসাজননের প্রকল্পবীজও ছেড়ে গেছে এন্তার। শাশ্বত ফাটিয়ে দিয়েছে বলা যেত, কিন্তু কমিকোভিনয় থেকে সিরিয়াস মোডে গতায়াতের খুব কম সুযোগের জন্য আর উচ্চারণে 'বাঙালি' প্রোটোটাইপটির খোরাক নিরবচ্ছিন্নভাবে দিয়ে যাওয়ায় নম্বর কেটে দিলুম। রজতাভর ফোনের সিকোয়েন্সটা কোথা থেকে যেন কপি মনে পড়ছে?
  • pi | 57.29.194.180 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:৪২367319
  • নানা সম্ভাবনাময় ব্যবসাজননের প্রকল্পবীজগুলি কীরকম ?
  • Du | 182.58.107.102 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০১:০৮367320
  • হলে দেখো আর বাড়িতে থেটার থাকলে কদিন অপেক্ষা করো আকাঃ)
  • JJ | 127.194.200.42 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৬:৪০367321
  • ১। কমিকস সিরিজ
    ২। মডেল খেলনা
    ৩। গেমিং অ্যাপ ও গেম সফটোয়ার
    ৪। সিকোয়েল সিরিজ
    ৫। অ্যানিমেশন সিরিজ
    ৬। আইকনিক ও লোগো সম্বলিত প্রোডাক্ট সিরিজ (ডোরেমন, বেন টেন জাতীয়)

    ইত্যাদি।
  • PM | 113.219.44.37 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০০:৩৪367323
  • দেখে এলাম সপরিবারে--সক্কলে এনজয় করেছে--- ময় ক্যাটেরিনা শুদ্ধু ঃ) পাই, দে সহ সকলকে ধন্যবাদ
  • gobu | 113.197.82.244 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০১:২৬367324
  • কাল যাবো। জয় গুরু!
  • pi | 57.29.215.195 | ০১ আগস্ট ২০১৭ ০৯:২০367326
  • ফ্লপ করল ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন