এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সেখ সাহেবুল হক | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ১২:২৬368789
  • মহরম ‘হ্যাপি’ নয়...
    -----------------------------------------------------------------
    বয়সটা যখন সবে পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ। হাওড়ার গ্রামের বাড়িতে প্রথমবার মায়ের মুখে শোনা কারবালার বেদনাঘন আখ্যান। হাউহাউ করে কেঁদেছিলাম। মা বুঝিয়েছিলেন জগতে দুটো পথ হয়, একটা সত্যের পথ এবং অন্যটা মন্দের পথ। সত্যের জন্য লড়াই করে বীরের মৃত্যু অর্জনটাও সৌভাগ্যের। বড় হয়ে বিভিন্ন বই এবং সাহিত্যে মহরম সম্পর্কে আরো কিছু আঙ্গিকে জানার দরজা উন্মোচিত হয়।

    মহরম পুরোপুরিভাবে একটি শোকের দিন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রাঃ) অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এজিদের বশ্যতা স্বীকার না করে, এক অসম যুদ্ধের মাধ্যমে মহরম মাসের ১০ তারিখে প্রাণ দিয়ে শাহাদাৎ বরন করেন। সেদিন ফোরাত নদীর পারে কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রাঃ) তাঁর শিশু পুত্রসহ সবাইকে নির্দয়ভাবে শহীদ করেছিল এজিদের দল। সত্য ও ন্যায়ের পথে ইমাম হোসেন(রাঃ) পরিবারবর্গ সেদিন রক্তের বিনিময়ে ইসলামী সত্যের বীজবপন করে গিয়েছিলেন। তাঁদের উৎস্বর্গীকৃত জীবন ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়েছে। ১০ই মহরম দিনটি আপামরসাধারণ মুসলমানের কাছে প্রবল শ্রদ্ধার। কারবালার ঘটনা ছাড়াও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন নবীর সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এইদিনে ঘটেছিলো।

    শরিয়তি বিধান অনুসারে এই দিন শোকের আবহে পালনের উপায় হলো নিয়মমতো নামাজ পড়া, সম্ভব হলে রোজা রাখা এবং আড়ম্বরহীনভাবে দিনটি অতিবাহিত করা। দুঃখের বিষয় খুব কম সংখ্যক মুসলমান এভাবে মহরম পালন করেন।

    মহরমে শোকের নামে অস্ত্র নিয়ে আস্ফালন এক নিম্নরুচির কার্যকালাপ। সভ্য সমাজে যা একেবারে বেমানান। অযথা জানজট করে শহরজুড়ে হল্লা করার মধ্যে ধর্মীয় বিধানের পালন নেই। যদি থাকে তা একান্তভাবে উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ।
    মদে চুর হয়ে প্রকাশ্যে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করাটা বর্বরোচিত। মদ যেখানে ইসলামে নিষিদ্ধ, সেখানে মদ খেয়ে নাচানাচির মধ্যে কোনও নিয়মই রক্ষিত হয় না। গায়ে সূচ ফুটিয়ে, নিজেকে রক্তাক্ত করা ইসলামবিরুদ্ধ।
    এই ধরণের আচরণ চমকে দিয়ে বীরত্ব প্রদর্শণের ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র। গোটা গায়ে সূচ ফুটিয়ে, উন্মুক্ত পিঠ ক্ষতবিক্ষত করে নিজেকে হিরো ভাবার মধ্যে রয়েছে অফুরান অশিক্ষা।

    কোনও প্রিয় মানুষের মৃত্যুদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যম কখনও নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করা বা ডিজে বক্স বাজিয়ে উল্লাস প্রকাশ হতে পারে না। উল্টে লোকদেখানো ন্যাকাকান্নায় অশ্রদ্ধাজনক অনেককিছু প্রকাশ্যে আসে। ভিন্নধর্মী মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। জমা ভিড়ে গুটখার পিকে ভরে যাওয়া চত্বর, মহিলাদের কটুক্তির ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়। ধর্মীয়ভাবেও যা প্রবল নিন্দনীয়। পরিচ্ছন্নতা এবং শালীনতা ইসলামের প্রধান শর্ত।

    অষ্টমীর সন্ধেবেলা বালিগঞ্জ স্টেশনের ভিড়ে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ করে হায় হোসেন, হায় হোসেন বলে প্রবল জোরে চিৎকার করে কয়েকটি ছেলে লম্বা বাঁশকে টানতে টানতে ছুটছে। স্টেশনে বিরক্ত মানুষজনের এটিকেই ইসলাম ভেবে নেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। শুধু বালিগঞ্জ নয়, শিয়ালদা, পার্ক সার্কাস এবং মল্লিকপুর স্টেশনেও এমন হয়। একটু ভুলচুক হলে কারো গায়ে লেগে যেতে পারে। এই অসভ্যতাকে ধর্ম বলে চালাতে চাওয়াই ধর্মের চোখে ভুল।

    পারস্পরিক জানার জায়গাটা তৈরী হয়নি বলে একটা শোকের দিনে ‘শুভ মহরম’ বা ‘হ্যাপি মহরম’ জাতীয় শুভেচ্ছা ইনবক্সে জমে। আজও জমছে। ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগলেও, এই ভুল বার্তার পেছোনে একশ্রেণীর হল্লাবাজ মুসলমানের নাচনকোঁদন দায়ী। ধর্মীয় বিধানের বাইরে গিয়ে ফুর্তি করায় ঘটনা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্মকে সেই নোংরামির উপলক্ষ্য বানাতে চাওয়াটা জ্ঞানে বা অজ্ঞানে গোছানো ধড়িবাজি।

    সর্বোপরি, মহরমে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মহরম অন্ততপক্ষে অস্ত্রমুক্ত হলে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে অশান্তি ছড়ানো কঠিন হবে। সুস্থতা আসবে।

    শিয়া বা সুন্নি মূল বিষয় নয়। অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে যেকোনো অসভ্যতা বন্ধ হোক।

    #হককথা
  • প্রতিভা | 213.163.244.219 | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:২৯368800
  • আমার তো প্রজাতন্ত্র দিবসের অস্ত্র নিয়ে কুচকাওয়াজ ইত্যাদিও অসহ্য লাগে। কেমন যেন একটা আ বয়ল মুঝে মার গোছের ব্যাপার। অস্ত্র জমাচ্ছো আত্মরক্ষা বা নিকেশ করবে বলে তার জন্য অতো দ্যাখানেপনা কেন ! যদি রাষ্ট্র মনে করে তাহলে ঐ অস্ত্রের প্রয়োগ প্রজাগণের ওপরও হতে পারে। এই অস্ত্রের ঝনাঝনানির মধ্যে একটা পুরুষকারের ব্যাপারও রয়েছে। ফলে বন্ধ কি হবে !
  • শিবাংশু | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৩৪368811
  • অস্ত্রের লক্ষ্য বদলে যায়। কিন্তু সতত তা মানুষেরই বুক....
  • Satto Roy | 57.15.13.252 | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৫০368820
  • Thik bishoy theke manush aj dure cole zacche.
    zeta kharap kichu ghotabe.
  • π | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১০:২৬368821
  • প্রতিভাদির কথায় প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা খেয়াল হল, সত্যিই।
  • শঙ্খ | 113.242.197.165 | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১০:৫২368822
  • আচ্ছা, এই (সাঃ) আর (রাঃ) এগুলোর ফান্ডাটা কি?
  • সিকি | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:০২368823
  • প্রজাতন্ত্র দিবসের ঐ রাষ্ট্র কর্তৃক অস্ত্রপ্রদর্শন একই রকমের অশ্লীল।
  • de | 24.139.119.172 | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৩৪368824
  • আমার মনে আছে, মহরম বা ঈদ সম্বন্ধে আমরা টেক্সট বুকেই পড়েছি - আমাদের বাংলা রচনার বইতে মহরমের কথা থাকতো। ঈদে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লেখার টাস্ক ও উদাহরণও বাংলা বইয়েই ছিলো। এখনকার বাংলা বইয়ে বোধ্হয় আর সেসব থাকে না। সিবিএসইর কোন বইতেই অন্য ধর্মীয় লোকেদের কোন বিশেষ দিন পালন নিয়ে কিছু থাকে না। এও একধরণের অশিক্ষা! "হ্যাপি মহরম" লেখার জন্য কি পরিমাণে অশিক্ষিত হতে হয়!

    অস্ত্র প্রদর্শনী সবার জন্য আইন করে বন্ধ হওয়া উচিত - লালকেল্লাতে অস্ত্র প্রদর্শনীর বদলে বিভিন্ন ট্রাইবালদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখালে পারে!
  • h | 194.185.177.155 | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:২৪368825
  • এই ধরণের লেখার কোন অর্থ হয় না। অকারণে মুসলমান এবং সেকুলার প্রোগ্রেসিভ রা এত ডিফেন্সিভ ই বা হবেন কেন বুঝি না। কতগুলো মুসলমান দের ঘৃণা করা ছাগল বলতে আরম্ভ করলো, আমরা রামনবমী তে আমরা অস্ত্র বার করবো, কারণ 'ওরা' মহরমে করেন, অমনি সবাই মিলে সেই বোকা বোকা যুক্তি গিলে এই তো ওটাও বন্ধ হওয়া উচিত এটাও বন্ধ হওয়া উচিত বলার অর্থ কি?

    একটা যুদ্ধের কাহিনী, অসম্ভব কষ্টের কাহিনী। কিন্তু যুদ্ধ তার পার্ট। এবার সেই যুদ্ধের ডেপিকশন করছে মূলতঃ সাধারণ মানুষদের মিছিল, সর্বত্র করছে না, কোথাও কোথাও করছে। তাতে একটু সং সাজা গোছের জিনিস , সেল্ফ ফ্ল্যাজেলেশন করে কমৌনিটি তে হিরো হওয়া ইত্যাদি আছে, তো তাতে অত নাক সিঁটকোনোর কি আছে। অনেক ট্র্যাডিশন ই ইনভেন্টেড, তার সঙ্গে স্ক্রিপচারের সম্পর্ক থাকে না, অথচ সেটা একটা উৎসবের চেহারা নেয়। তাতে হয়েছে টা কি? এই যে বিশুদ্ধ দুঃখের দিনে লোকে রাস্তায় সং সাজতে পারবে না, এই নিদান এর ই বা কি প্রয়োজন।

    দেখুন কতগুলো তথ্য দি। সত্যেন ঠাকুরের বম্বে মেমোয়ার্স এ দেখা যাচ্ছে, মুম্বাই এর সবচেয়ে বড় উৎসব মহরম। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেটা তিলকের তৈরী করা গণেশ উৎসব এর আগেকার কথা। আমাদের এদিকে বাঙলার নবাবের হেরে যাওয়াকে সেলিব্রেট করতে গিয়ে অকাল বোধন শুরু করছেন, কলকেতে বড়লোক রা, তার সঙ্গে পুরাণের দেবীর সম্পর্ক ক্ষীণ, বা আরোপিত। তো কার্নিভালে এসব হয়। ব্রাজিলের কার্নিভালে গিয়ে কেউ বলে না, মেয়েদের শরীর দেখাতে গিয়ে মেয়েদের প্রেসিডেন্ট হওয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজার জন্মদিন বা পপুলার রেজিস্টান্স দুটৈ সেলিব্রেট করে ইউরোপে রাস্তায় নেমে ওয় ওয় করে, তো হয়েছে টা কি, ইনভেন্টেড ট্র্যাডিশন এর বৈশিষ্টই হল, এর রিগ্রেসিভ দিক থাকতেই পারে, কিন্তু স`গঠিত রাজনীতি খুব থাকে না।

    রামনবমীর সঙ্গে এটাই মহরম এর মূল পার্থক্য। মার্শাল ইতিহাস অনেক সময়েই থাকে, সেতা কি উদ্দেশ্যে উ`দযাঅপিত হচ্ছে সেটা দেখা উচিত।

    আর এই লিবেরাল হাঁটু কাঁপা রিয়াকশন ও বুঝি না, কতগুলো অবভিয়াস রেসিস্ট বাঁদর এসে বল্লো, ঐ তো ঐতো মুসলমান রা অস্ত্র বের করে ,অতএব আমরা রামনবমী ইনভেন্ট করবো, স্কুলের বাচ্চাদের হাতে অস্ত্র দিয়ে মিছিল করাবো , অমনি আমরা ডিভিসিভ রানৈতিক প্রচার পদ্ধতির সঙ্গে একটা যুদ্ধের ডেপিকশন এবং সঙ সাজা গোছের উ`দযাপন কে এক করে দেখতে আরম্ভ করলাম। ডিবেট টাকে আরো দক্ষিনপন্থী দের সুবিদার্থে সরিয়ে আনলাম। ভাই পলিউশন এর কারণ ছাড়া এই ধরণের রাজনৈতিক কারণে, রাজপুত বিয়েতে বন্দুক চালানো, দিওয়ালি তে বোম ফাটানো বন্ধ করা যাবে। মুসলমান রা বা যদি বলেন, আমরা বিয়েতে বন্দুক ফাটাবো, কারণ আমরা আস্তে আস্তে ভারতীয় রাজপুত হয়ে উঠতে চাই, কেউ মেনে নেবে? তখন লোকে বলবে, এই মুসলমান রা অ্যাগ্রেসিভ, এই সব তো আফগানিস্তানে হয়।

    মেজরিটারিয়ান পার্সপেক্টিভকে আরো সাবধানে কমব্যাট করুন প্লিজ।

    এবার রিপাবলিক ডে র বিষয়ে আসা যাক, দেখুন, প্রজাতন্ত্র দিবসে র মিলিটারি মাইট দেখানোর রেওয়াজ টাই বোকা বোকা। এসব সোভিয়েত ছাগল ট্র্যাডিশন। দেশ ভিশন যুদ্ধে ভালো এই প্রমাণটা র অডিয়েন্স এক্ষেত্রে দেশের লোক ই, বিদেশী সরকার না।কিন্তু সমসয়া আছে একটু। আমাদের দেশে এই সেকুলার ট্য়্রাডিশন, রাষ্ট্র কে তৈরী করে নিতে হয়েছে। সুতরাং এটা র একটা দিক হল, রাষ্ট্র যখন ফর্ম করছে, তার নিজের একটা অর্গানাইজিং লজিক সে তৈরী করছে যেটা আমাদের দেশের বহু ধরণের রিলিজিয়াস চিহ্নের বাইরে সে একটা একটা সোভারেন এন্টিটি কে সেলিব্রেট করার কারণ খুজে বের করছে। এখন এর সঙ্গে 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' গোছের কালচারাল সিম্বল খুব অবভিয়াস ভাবে আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় পাওয়ার স্ট্রাকচার কে ডিফেন্ড করতে গিয়ে এটা করতে হচ্চে, এবার এটা নেচার কিন্তু সেকুলার এটা মানতে হবে। হ্যা ঘটনা হল, প্রতিরক্ষাকে বোকা বোকা ভাবে ডিফেন্ড করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য না হলে ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র হলে একটু বেশি উপকার হত, সে অন্য প্রসংগ।

    এত ডিফেন্সিভ হওয়ার কিছু হয় নি।
  • dd | 59.207.61.182 | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ২২:২৮368790
  • হানু বাবুর সাথে আবার একমত হয়ে গেলাম।

    এই কিছুদিন আগেই তো একবার হানুবাবুর কথা খুব মনে ধরেছিলো। এই আরেকবার হোলো। ইইশ।
  • h | 117.77.70.63 | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ২৩:১২368791
  • ঃ-))))))
  • Du | 182.56.7.126 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৪৪368792
  • মহরম পালনের একটা বর্ণনা জসীমুদ্দিনের কবিতায় ছিল আইসিএস ই র ২০১৫ সিলেবাসে কিন্তু ঐ সিলেবাস বোধহয় আর নেই। মহাশ্বেতা দেবী আর অজয় গুপ্তের সংকলন।
  • hu | 140.160.124.6 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৫368793
  • যদ্দুর জানি শিয়া আর সুন্নিদের মহরমের পালনের নিয়ম আলাদা। সুন্নিরা উপোষ করেন। শিয়ারা কারবালার যুদ্ধের পুনরাভিনয় করে শোকপালন করেন। শিয়াদের মধ্যে মহরমের শোকপালনের ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। এর সাথে বাংলায় রামনবমীতে অস্ত্রমিছিলের তুলনা টানা যায় না কারন রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা কোনদিনই বাঙালী ঐতিহ্য নয়।
  • h | 117.77.70.63 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৬368795
  • ট্বিক বলেছো দু। থাকলেও কেউ পড়ে না। দুঃখ এবঙ্গ উচ্চকিত বিলাপ , এটা র থেকে ই পাবলিক সেল্ফ ফ্ল্যাজেলেশন আসছে সেটা হতেই পারে। সেমোগ ফ্ল্যাজেলেশন ক্রিশ্চিয়ানিটি তেও ছিল। এবার বিজয় দশমীতে মায়ের চলে যাওয়ার দিনে লোকে শুধু না কেন্দে বিসর্জনে বিচিত্র রাম্পা রাম্পা নাচলে তো এক ই সমস্যা হছে না। অথচ বাগদীপাড়ায় বা বস্তিতে হিজড়ে নাচলে হচ্ছে। আমি তো বলবো বিসর্জনে নাচলে মেয়েদের সেকশুয়াল ফ্রিডম বাড়ছে ঘরের মেয়ে বউ রা প্রাণ খুলে রাস্তায় নচতে পারছে, এটা দিয়ে নারী প্রগতি নাই হতে পারে , কিন্তু এটা একটা সেকসুয়াল ফ্রিডম এর এক্সপ্রেশন এর প্রথম ধাপ হতেই পারে।এটার সঙ্গে থিয়োলোজির কি সম্পর্ক? প্লেবিয়ান সেলিব্রেশনে এসব থাকবে। বিজেপি স্ট্রেট বদমায়েসী করছে , ইমপারশিয়াল হওয়ার নেশায় তাদের তৈরী ফ্রেম অফ ডিবেটে যাব কেন?
  • h | 117.77.70.63 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৬368794
  • ট্বিক বলেছো দু। থাকলেও কেউ পড়ে না। দুঃখ এবঙ্গ উচ্চকিত বিলাপ , এটা র থেকে ই পাবলিক সেল্ফ ফ্ল্যাজেলেশন আসছে সেটা হতেই পারে। সেমোগ ফ্ল্যাজেলেশন ক্রিশ্চিয়ানিটি তেও ছিল। এবার বিজয় দশমীতে মায়ের চলে যাওয়ার দিনে লোকে শুধু না কেন্দে বিসর্জনে বিচিত্র রাম্পা রাম্পা নাচলে তো এক ই সমস্যা হছে না। অথচ বাগদীপাড়ায় বা বস্তিতে হিজড়ে নাচলে হচ্ছে। আমি তো বলবো বিসর্জনে নাচলে মেয়েদের সেকশুয়াল ফ্রিডম বাড়ছে ঘরের মেয়ে বউ রা প্রাণ খুলে রাস্তায় নচতে পারছে, এটা দিয়ে নারী প্রগতি নাই হতে পারে , কিন্তু এটা একটা সেকসুয়াল ফ্রিডম এর এক্সপ্রেশন এর প্রথম ধাপ হতেই পারে।এটার সঙ্গে থিয়োলোজির কি সম্পর্ক? প্লেবিয়ান সেলিব্রেশনে এসব থাকবে। বিজেপি স্ট্রেট বদমায়েসী করছে , ইমপারশিয়াল হওয়ার নেশায় তাদের তৈরী ফ্রেম অফ ডিবেটে যাব কেন?
  • h | 117.77.70.63 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১২368796
  • হুচি ঠিক বলেছে। আরেকটা দিক ও দৃশ্টিঅকর্ষ্ণ করছি। তুলসীদাসের রাম এর সঙ্গে রাম-মনদির আন্দোলবের মাস্কুলার রাম এর সম্পর্ক কম , রাম তো শুধু ওয়ারিয়র প্রিন্স হিসেবে জন মানসে নেই, তার বিচিত্র মেরুদন্ডহীনতা , ইন্ডিসিশন এসব দিক আছে।
  • h | 194.185.177.155 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:২৮368797
  • মানে কি বলছি বলতো, একটা জায়গায় একটা ট্র্যাডিশন থাকলেও সেটার অপ ব্যবহার ঠ্যাকানো মুশ্কিল, বিশেষ ত ফ্যাসিস্ত রা যদি সক্রিয় হয়, রাজনৈতিক মোকবিল এবঙ্গ প্রোতিরোধ ছাড়া রাস্তা কম। কানহাইয়া একটা কথা চমত্কার বলে, জয় রহ্মনের কি বা জয় শিয়া রাম বলে যে সেহরি গ্রিটিঙ্গ আছে সেটার সঙ্গে জয় শ্রী রাম এর পর্থক্য আছে, দ্বিতীয়টি পরিকল্পনা ফ্যাসিস্ত শ্লোগান। বা ধর ম্যুনিখ বিয়ার হল পুশ, ১৯৩০স এ ফ্যাসিস্ত মোবিলাইলাইজেশনের একটা বিরাট উদাহরণ, অথচ এখনো তো বিয়ার ফেস্টিভালে হই হই হয়, আগেও হয়েছে।
  • h | 194.185.177.155 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:৩০368798
  • *জয় রামজি
    **দেহাতি গ্রিটিঙ্গ
  • h | 194.185.177.155 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:৫১368799
  • এবঙ্গ এটাই বাঙ্গালি ন্যাশনালিজম দিয়েই
    বা এ জিনিস তো আমাদের ছিল না বলে ঠ্যাকানো র পরিকল্পনা র সীমাবদ্ধতা। সিরাজ এর হারের পরে যে অকালবোধন হচ্ছে, তাকে কিছুটা সোশাল রিফর্ম, কিছুটা আধুনিক তার পাবলিক প্রাইভেট ডিভাইড, কিছু টা নাগরিক কমারস, শারদ শিল্প সম্মান ইত‍্যাদি দিয়ে ঠ‍্যাকানো গেছে, প্রকৃত ইনক্লুসিভ করা যায়নি। ধর কোন বেটা যদি অসুরের চেহারা য় খাগড়াগড় অভিযুক্তদের আদল এনে পুজো করে, তখন তুই ম‍্যাক্স বলতে পারবি, আহা আমাদের বাগ্দি বা সাওতাল কাটিঙ অসুর ই ভালো, যদিও তোর মনে খচ খচ করছে, পরিচারিকা কুপন নিয়েও খেতে পায়নি। এটা রেকগনাইজ করতে হবে রে।
  • de | 24.139.123.36 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৫:১২368801
  • মহরমে একটা রক্তারক্তি মিছিল হয় যেটাতে মদে চুর হয়ে লোকে নিজেকে আঘাত করে। আমি দুয়েকবার সেটা দেখেছি এবং আমার অতি অসহ্য লেগেছে। একই ভাবে আমার গাজন বা দক্ষিণ ভারতে আগুনের ওপর হাঁটা টাইপের জিনিসপত্তর বাজে লাগে। এই ধরণের টেন্ডেন্সি গুলো সভ্য সমাজে বন্ধ হওয়াই ভালো।

    বাকি রইলো অস্ত্রের প্রদর্শনী -

    নিয়ম তো আর ট্রাডিশনের দোহাই মানবে না! রামনবমীর অস্ত্রের মিছিল বন্ধ করার কথা উঠলে, মহরমের মিছিল বা গুরু নানক জয়ন্তীর মিছিলের কথা উঠবে। সেই হিসেবে সকলকে অস্ত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বললে ক্ষতি কি? ওই তরোয়াল ইঃ দেখে কি এমন আহ্লাদ এক্সট্রা হয়!
  • h | 117.77.76.123 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:২৩368803
  • যারা এই সেলিব্রেশনে এর পার্ট, তারা এই ব্যান মানবে কেন, জাল্লিকাট্টু ই ব্যান মানানো যাচ্ছে না। সমাজ এর অনেকটাই সভ্য না , কি করা যাবে।
  • h | 117.77.76.123 | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:২৩368802
  • যারা এই সেলিব্রেশনে এর পার্ট, তারা এই ব্যান মানবে কেন, জাল্লিকাট্টু ই ব্যান মানানো যাচ্ছে না। সমাজ এর অনেকটাই সভ্য না , কি করা যাবে।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:২০368804
  • কেন কেন ব্যান হবে ক্যানো ? গথিক কালচারে বডি পিয়ার্সিং সংস্কৃতি আর গাজন হলে অপো ? যে যা কচ্ছে সবাই করুক । রাষ্ট্র এত ইতিহাস পাতিহাস বিচার করার অধিকার পাবে ক্যানো ? কাল রামনবমির অস্ত্রপুজো হয়নি তো কী হয়েছে , আজ হবে । নুইস্যান্স ক্রিয়েট করলে মেরে গাঁড় ফাটিয়ে দাও । কিন্তু অধিকার দেওয়ার সময় এত প্রেক্ষিত বিচারের দায় রাষ্ট্রকে দিলে কাল ওই অস্ত্রেই দলিত পার্টি ক্ষমতায় এসে অসুর নিধন উত্সব নিষিদ্ধ করবে । ওসব নিয়ে একাডেমিক রা পবন্ধ চোদাক , পার্টিরা দই বসাক কিন্তু রাষ্ট্র একদম বুদ্ধুচোদার মত আইনের বাইরে বেচাল দেখলেই গাঁড় মেরে দেবে । এই বোকামিটা দরকার ।

    আর বিচিপিরা রাজনীতি করার জন্যে অস্ত্রপুজো করছে এসব কোনো দমদার যুক্তিই না । ওনেক মেয়ে ছেলেদের মুখে ধোয়া ছাড়বে বলেই সিগ্রেট ফুঁকছে । তো ? আইডেনটিটি পলিটিস এরমই হয় । সেখেনে গিয়ে আহা ছেলেদের তো ধূমপানের লম্বা ইতিহাস আছে এসব বলেও লাভ নেই বা গুরু ঠাকুরের মত সিগ্রেট ফোঁকার ছপি তে ডিজলাইক দিয়ে "আম্মো তো ধূমপানের অপকারিতার কথা ভেবে বলছিলুম" বলেও লাভ নেই । সবাই যথেষ্ট দামড়া হয়েছে । ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে । সিগ্রেট খেলে আঙ্গার জমবে সেজন্যে বড়জোর মেডিক্লেম ক্যানসেল করা যেতে পারে , ব্যাস । অন্যকে আয়্ফেক্ত না করলে বাকি যুক্তি লেম । এক্ষেত্রেও , ধারালো নয় এমন অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা করুক বা পিঠ ফুঁড়উক যা খুশি করুক মায়ের বাপের ভোগে যাক । একদলের রাস্তায় হাগার অধিকার দিয়ে রাখলেই আরেক দল ও কাপড় তুলে বসার অধিকার চাইবে । যা বহুকাল দিয়ে রাখা হয়েছে । ফ্যাসিস্ট ত্যাশিস্ট ওসব বাহারি নাম দিয়ে ব্যর্থ লিবারালিজ্ম চাপা দেওয়া যাবেনা।রাস্তায় খালিপায়ে হাঁটার যুগ আর নেই , সবাইকে সব অধিকার দিয়ে চটি পায়ে হাঁটুন ।

    পুনশ্চ : সাহেবুল বাবুর বিভিন্ন টই এর দুঃখেতিহাস এযাবৎ পাঠোত্তর কনফিউশন এটাই যে , আমোদগেঁড়ে হিন্দু জনতা ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে প্রকৃত বিনিময় করেনি বলেই এখনো ওই "ত্যাগ " এর স্যাংটিটি বজায় আছে মশাই । হিন্দু দের সবেতেই আনন্দ । শ্রাদ্ধ থেকে বিজয়া । সেইজন্যেই মার্কেট আধিপত্যবাদ এত সাকসেসফুলি জাঁকিয়ে বসে । সো কল্ড হিন্দুধর্ম বেসিক্যালি আমোদগেঁড়ে উদ্গান্দু দের ধর্ম । ওই "হ্যাপী মুহাররাম" টাও হিন্দুদের সঙ্গে অসত্সঙ্গের প্রাপ্তি :)) কাজেই ইসলামিক ত্যাগের শুদ্ধতা না হিন্দুদের সঙ্গে বিনিময় কোন নৌকো তে চড়বেন একটু ঠিক করে এগোলে ভালো হয় :):))
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৫:১৭368805
  • ভীম-একাদশীও চালু করা দরকার। গদা নিয়ে শোভাযাত্রা হবে। আর তুমুল রাম্মা রাম্পা নাচ। তারপরে এলাহি আয়োজনের খাওয়া-দাওয়া। ঃ-)
  • dd | 116.51.30.192 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৯:৩২368806
  • "পুনশ্চ ঃ সাহেবুল বাবুর বিভিন্ন টই এর দুঃখেতিহাস এযাবৎ পাঠোত্তর কনফিউশন এটাই যে , আমোদগেঁড়ে হিন্দু জনতা ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে প্রকৃত বিনিময় করেনি বলেই এখনো ওই "ত্যাগ " এর স্যাংটিটি বজায় আছে মশাই । হিন্দু দের সবেতেই আনন্দ । শ্রাদ্ধ থেকে বিজয়া । সেইজন্যেই মার্কেট আধিপত্যবাদ এত সাকসেসফুলি জাঁকিয়ে বসে । সো কল্ড হিন্দুধর্ম বেসিক্যালি আমোদগেঁড়ে উদ্গান্দু দের ধর্ম । ওই "হ্যাপী মুহাররাম" টাও হিন্দুদের সঙ্গে অসত্সঙ্গের প্রাপ্তি ঃ)) কাজেই ইসলামিক ত্যাগের শুদ্ধতা না হিন্দুদের সঙ্গে বিনিময় কোন নৌকো তে চড়বেন একটু ঠিক করে এগোলে ভালো হয় ঃ)ঃ))"

    ওহ। মহর্ষি একক তো ব্যাপক দিলেন। এইটা আমার দারুন পসন্দো হয়েসে। সত্যি হিঁদুদের বারো মাসে তেরো মোচ্ছোব। পুজো (ঠাকুর)ছাড়াও ভাই ফোঁটা, দোল,রাখী, কড়েয়া চৌথ, রবি জয়ন্তী, .... সবেই হুল্লাট হুল্লোর। এরম মজা আর কোথায় পাবেন?
  • de | 69.185.236.53 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৩:১০368807
  • ভেবে দেখলাম - সীতার পাতালপ্রবেশ, দ্রৌপদীর অপমান, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অতো লোকের মৃত্যু, কর্ণের মৃত্যু, মুষলপর্ব, কৃষ্ণের মৃত্যু, পান্ডবদের মহাপ্রস্থান ইঃ আরো কতো দুঃখের বিষয় সেলিব্রেট করা যেতো - কিন্তু কিস্যু হয় না! সত্যি কি দুঃখের কোন অনুষ্ঠান নেই হিন্দুধর্মে?
  • h | 194.185.177.155 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৪৬368808
  • একক (53.224.129.42) সম্পূর্ণ বোকা বোকা কথা লিখেছে, এবং লিবেরেটেরিয়ান রা যে আসলে ইনটলারেন্ট সেটা প্রকাশ পেয়েছে। এখন মহর্ষি একক এত রুপে প্রকাশ পেয়েছে এযাবৎ , যে সে ইয়ার্কি মেরে লিখছে না জাস্ট বলদামি করার ইচ্ছে হয়েছে বলে লিখছে ঠাহর করা যায় না।

    এবং সবচেয়ে মজার কথা হল এই অবস্থানের সঙ্গে হাঁটু কাঁপা লিবেরাল অবস্থানের কোন পার্থক্য বিশেষ নেই, কারণ দু পক্ষের দাওয়াই তেই রাষ্ট্র শক্তির উপরে চক্ষুমুদে ভরসা। একজন ব্যান এর কথা বলেন, আরেকজন পাবলিক অর্ডার ইত্যাদি র স্বার্থে কড়া দমনের কথা বলেন, ভাষার অপূর্ব কারুকার্যে আর যাচ্ছি না।

    এবং সবচেয়ে ডেঞ্জারাস হল, ইনটলারেন্স টা, এমনিতেই অকারণে অ্যাপোলোজেটিক মুসলমান ভয়েস, যারা নিজের বিশ্বাস নিয়ে সামাজিক না হোক, রাষ্ট্রীয় মেন স্ট্রীমে জাস্ট সামান্য জায়গা খুজছে, তাকে সাংস্কৃতিক তুলনায় জর্জরিত করা। এ মানে একেবারেই ক্ষমা করা গেল না, একক হ্যাজ টু অ্যাপোলোজাইস টু সাহেবুল, যদিও ধরে নেওয়া যেতেই পারে, তার অপমানিত হওয়ার অভ্যেশ আধুনিক ভারতে বাঁচতে গিয়ে তার এদ্দিনে হয়ে গেছে। নইলে আমি মামলা করার কথা ভাব বো। একটা লিমিট আছে মানুষ কে স্টোন ওয়ালিং করার।

    সমস্যাটা আদৌ সাংস্কৃতিক তুলনার না, সমস্যাটা বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সংস্কৃতি আর সাধারণ মানুষের কার্নিভাল গোছের সংস্কৃতির এটা বোঝা দরকার। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ যখন দেবীর বোধনে আবেগ থরো থরো হন, তখন অনেকেই আমরা কবে মালের দোকান খোলা থাকবে বা থাকবে না তার খোঁজ নি। এই যে প্রতিবার থীম পুজো ভালো না, চালচিত্র বা বাড়ির পুজো ভালো , সে নিয়ে লোকে ডিবেট করে, তখনো সমস্যাটা সেটা একটাই। আর একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কখন কোন টাকে সেলিব্রেট করবে সেটা একক বলে দেওয়ার কে, হু দ্য ফাক আর উই টু ডিসাইড থ্যাট?

    আমার সাহেবুল (নাম/পরিচয়/আই পি র যে কোনো একটা) এর লেখায় আপত্তি ছিল, বিকজ হি ওয়াজ সাউন্ডিং ডিফেন্সিভ, অ্যান্ড হি ডাজ নট নিড টু, আমরা সংখ্যাগুরু রা চিন্তাশীল মুসলমান ইনটেলেকচুয়াল দের সম্মান করতে পারিনি ঠিক ই কিন্তু তাতে তাঁদের ডিফেন্সিভ হওয়ার কিছু হয় নি। আরেকটা আপত্তি ছিল, কার্নিভাল গোছের জিনিসটা নিয়ে একটা এমব্যারাসমেন্ট প্রকট হছিল, আমি তাতেই বললাম, সব সেলিব্রেশন ই যে স্ক্রিপচার মেনে সবসময়ে হয় নাই হতে পারে।

    কিন্তু এককের পোস্ট যেটা করলো, নির্লজ্জ ভাবে, রাশ্ট্র শক্তির উপরে প্রচুর ভরসা রাখলো, যেটা আমাদের আইনের শাসন আদৌ আছে কিনা সন্দেহ হয়, এরকম দেশে করাই যায় না, এবং একটা অবান্তর সংস্কৃতি বনাম সংস্কৃতি বনাম ডিবেট আনলো, যেটা কে অ্যাভয়েড করাই সব আলোচনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। দায়িত্ত্বজ্ঞানহীন মুর্খের মত কাজ।

    ফাউন্ডেশনাল এথনিক মিথোলোজির কোন দুঃখের মোমেন্ট কে কি ভাবে মনে রাখা হবে সে ব্যাপারে আলোচনা টা সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ।
  • h | 194.185.177.155 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৫২368809
  • দে সঠিক উদা ই দিয়েছে, ঠিক ই বলেছে, মেয়েদের দিক থেকে দেখলে এই সব শক্তি প্রদর্শন গোছের সেলিব্রেশন অনেকটাই অসম্ভব অসম্মানজনক এবং নানা বিচিত্র কম্প্লেক্স অবজেক্টিফিকেশন ও রয়েছে, সে আর কি বলবো, কিন্তু সেটার মিথোলোজি বা ট্র্যাডিশনের বিচার অন্য প্রসঙ্গ। ধর্ম জিনিসটার একটা বা একাধিক মহিলা ভার্সন হলে উপকার হত সন্দেহ নেই, তবে আমি তর্ক টা অন্য প্রসঙ্গে করছিলাম, বিজেপি উদযাপিত বোগাস ম্যাসকুলিনিটি নিয়ে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য সমাজে র পাওয়ার ব্যালান্স কে নতুন ভাবে কমিউনাল টার্ম্স এ আর্টিকুলেট করা।
  • h | 117.77.70.75 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৪৬368810
  • আরেকটাও খুব ডেন জারা কথা বলছে এবঙ্গ সম্পূর্ণ না জেনে অথবা না ভেবে। ত্যাগ, অস্টারিটি ইত্যাদি র বিশুদ্ধতার সমস্যা হিন্দুদের মধ্যে নেই,অতএব হিন্দু সন্স্কৃতিটাই প্লেবিয়ান এবঙ্গ বাই ইম্প্লিকেশন অতএব গ্রহণ্জোগ্য এবঙ্গ এমতাবস্থায় বিনিময় সম্ভব না। এটা এমন একটা অনৈতিহাসিক কথা এবঙ্গ ইনসেন্সিটিভ কথা বলার না।

    ত্যাগের আদর্শ , সেলিবেসী র গ্লোরিফিকেশন এসব হিন্দুদের ফাউন্ডেশন মিথে নেই?
  • h | 117.77.70.75 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ২০:০৯368813
  • এবোঙ্গ শুধু তাই না, যাকে বলে লাফটার ট্র্যাডিশন ইসলামিক ট্র্যাডিশনে নেই? সেলিব্রেশন নেই? পয়েন্ট স্কোর করার অন্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু বলার নেই। এমতাবস্থায় যদি বিণিময় সম্ভব না হত, তাহোলে আমাদের দেশ অনেক আগে ছারখার হয়ে যেত।ভক্তি ট্র্যাডিশন, উর্দু ও হিন্দী ভাষা তৈরী হত না, সুফীর কতগুলো স্ট্র্যান্ড হয়তো হত না। বিশ্বাসী মানুষ কে শক থেরাপি দিতে গিয়ে অনৈতিহাসিক , অন্ধ সিলঙ্গ কথা বল্লে নানা যাবে না, সরি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন