এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যেখানে বাঁচাবাড়া নেই সেখানে ধৰ্মের নামে পৈশাচ নৃত্য চলছে-শ্রী শ্রী ঠাকুর

    PJ Roy Jit লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৭৩৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • PJ Roy Jit | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৪৩369779
  • “জগতে তুমি প্লাবনের মত ঢলিয়া পড়, সেবা, উদ্যম, জীবন ও বৃদ্ধিকে লইয়া প্রতি ব্যষ্টি ও সমষ্টিতে ……..”
    জীবন-চৰ্য্যা সবার সেরা বাঁচা বাড়ার নিঝুম হল
    ঈশ্বরই যার প্রধান পুরুষ পড়শী উছল হলো না
    সেই চৰ্য্যাইতো ধৰ্মচৰ্য্যা কিরে বলতে চাস
    বাঁচে বাড়ে সকল মানুষ । তুই ধৰ্মে করিস বন্দনা ?
    শ্রীশ্রীঠাকুর
    যুগাবতার শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, যেখানে বাঁচাবাড়া নেই সেখানে ধৰ্মের নামে পৈশাচ নৃত্য চলছে।
    ভক্ত শ্রেষ্ঠ স্বামী বিবেকানন্দজী বললেন,
    “যে ধৰ্ম বা যে ঈশ্বর বিধবার অশ্রুমোচন অথবা পিতৃহীন অনাথের মুখে এক টুকরা রুটি দিতে পারে না, আমি সে ধৰ্ম বা সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। যে ধৰ্ম গরীবের দুঃখ দূর করে না, তা কি আবার ধৰ্ম ? আমাদের কি আর ধৰ্ম ? …..সে ধৰ্ম, না পৈশাচ নৃত্য।”
    আগে আধিভৌতিক কল্যান করুন । তারপর আধিদৈবিক ও আত্মিক কল্যানের পথে এগিয়ে চলুন। মৃতপ্রায় রোগীকে ICU তে নিয়ে সুস্হ করে না তুললে কাজের কথা বাদ দিন, সে তো কঠিন কিছু খেতেও পারবে না। সুস্হ হয়ে উঠার পর ভরণ-পোষণ, কৰ্ম ও সাধনা এবং দৈবিক কৰ্মকান্ড ইত্যাদি simultaneously এগিয়ে নিতে পারবে।
    মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ রক্ষায় অনুকূল দৰ্শন:
    শ্রীশ্রীঠাকুরের দৰ্শন রুঢ় বাস্তবতার উপর প্রতিষ্ঠিত। শব্দের Etymological meaning ধরে তিনি তাঁর প্রতিটি শব্দের ব্যবহার করেছেন। হাওয়ায় ঝুলানো কোন মনগড়া ভাবনা রাশির উপর নিৰ্ভর করতে বারণ করেছেন বারবার। তাঁর প্রণীত অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সহ শতাধিক গ্রন্হরাজি নিয়ে অনুকূল-সাহিত্য বিশ্ববাসীকে শান্তির হাতছানি দিয়ে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষ আজ তাঁর দৰ্শণের ছায়াতলে শান্তির আশ্রয়প্রাৰ্থী। অনুকূল-সাহিত্য আজ বিশ্ববাসীর দুৰ্দিনে অশ্রুতপূৰ্ব ঐশী সমাধান।
    বিশ্বের সকল জাতি ও সম্প্রদায় নিজ নিজ ধৰ্ম মতে ও সংস্কৃতিতে অটুট বিশ্বাসী হয়ে কিভাবে নিজে ও অপরকে সাৰ্বিকভাবে বাঁচতে ও বাঁচাতে পারে এবং জীবনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত বিষয়কে কিভাবে manipulate করে সামনে প্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং মানব জীবনের চূড়ান্ত গন্ত্যবের পথে যাওয়া যায়, তথা উৎসমুখী কিভাবে হওয়া যায় ইত্যাদি অসংখ্য বিষয় এবং ক্ষুদ্র ইলেকট্রন, প্রোটন ইত্যাদি থেকে সৃষ্টির আদি ও অন্ত এবং অখণ্ড ব্রক্ষ্মের অনন্ত ব্যাপ্তীর ব্যাখ্যা নিয়ে অনুকূল দৰ্শন বিশ্ব সমাজের সামনে দেদিপ্যমান।
    *
    বিশ্বশান্তি কিভাবে সম্ভব ? *
    প্রথম প্রশ্ন, মানুষ বাঁচতে চায় কিনা ? এর উত্তর যদি “হাঁ ” হয়, তাহলে বিশ্বশান্তি সম্ভব।
    কিভাবে সম্ভব – আমরা জানি ও বুঝি, মানুষ একা বাঁচতে পারে না। তাই নিজে বাঁচতে হলে অন্যকেও বাঁচাতে হবে, এই সূত্র ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের সূত্র বিজ্ঞানের সূত্রের চাইতে কোন অংশে খাট বা লঘু নয়। রসায়নের সূত্র না জেনে এসিড নিয়ে খেলা খেললে যেমন বিপদ অবশ্যম্ভাবী, তেমনি জীবন সূত্রও জানতে হয়, মানতে হয়, অন্যথায় মহাবিপদ।
    জীবন বিজ্ঞানী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবচাইতে বেশী বলেছেন জীবনের কথা। কারণ জীবনকে সবাই ভালোবাসে। তাই জীবন ও জীবনের স্বাভাবিক পরিণতিকে নিয়েই তাঁর দৰ্শনের ভিত্তি রচিত। যুগের দাবীও তাই।
    সৎসঙ্গ ও সৎসঙ্গীর প্রকৃত অৰ্থ
    * Etymological meaning or
    root meaning of
    ‘Satsang’ or “সৎসঙ্গ”
    শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাষায় –
    Word origin or History of – সৎ, a. ‘সৎ’ বা (sat) সৎ- এসেছে ‘অস্ ‘ ধাতু থেকে।
    অস্ – বাঁচা, থাকা, বৰ্দ্ধন।
    অৰ্থাৎ যে যে আচরণ করলে বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধি পাওয়া তথা জীবন-বৃদ্ধি অক্ষুন্ন থাকে তাহাই ‘সৎ’।
    ” সৎ এ সংযুক্তির সহিত তৎ-গতি সম্পন্ন যারা তারাই ‘ সৎসঙ্গী ‘। আর তাদের মিলন ক্ষেত্রই হল ‘ সৎসঙ্গ ‘ “।
    “আমি সৎসঙ্গী মানে I am the companion of every one’s life and growth” (আমি প্রতি প্রত্যেকের জীবন বৃদ্ধির সঙ্গী)।
    এই হল সৎসঙ্গ সম্পৰ্কে ঠাকুরের ব্যাখ্যা।
    শব্দের অৰ্থ যদি মানুষ না বুঝে সে কাজ করবে কিভাবে, তখন মানুষ গৃহে ফিরে যাওয়ার সময় ভুলে হাসপাতালে চলে যাবে অথবা পাগলের মত ঘুরতে থাকবে। যা বৰ্তমানে ঘুরছেও অনেকে। জীবনের গতি ঠিক থাকবে না।
    ঠাকুরের বাণী কাজ করছে কি , না করলে তা কেন কাজ করছে না ?
    শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র এবং বিশ্ব উন্নয়ন উপযোগী যে সব যুগান্তকারী সমাধান দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে প্রকল্প মাফিক শুরু করতে হবে, বিষয়গুলো প্রচুর জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের জানতে হবে, তারপর গবেষণা করতে হবে। এরপর মাঠে ফসল ফলানোর মত জন জীবনে তা প্রয়োগ করতে হবে, এই দৰ্শনানুগ চলন থেকে জাত ফসল ঘরে না আসা পৰ্যন্ত তার (প্রকল্পের) অবশ্যই পরিচৰ্যা করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য নিষ্ঠা ও সুদক্ষতার সাথে maintenance প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে। এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার উদ্ গাতা যিনি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অনুরাগ থাকা চাই, অন্যথায় তা বিশ্বাসঘাতকতার সামিল হবে না কি ?
    Note: (উক্ত নিয়মে সফলতা লাভ হবে বলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি।)
    আরও একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করতে চাই, অবতার পুরুষ যখন পৃথিবীতে আসেন তখন তিনি সবাইকে আহ্বান জানান তাঁর কায়দা (system) গ্রহণ করতে, কারণ তাতে কল্যাণ নিহিত আছে। তাই এখানে সবাই অংশ গ্রহণ করতে পারেন। আর এই অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অবিকৃত বাণীগুলো বের করে সেগুলোর উপর গবেষণা করে ফলিত রুপ দিতে হবে। যারা বিকৃতকারী এবং অৰ্ধেক পালনকারী তাঁরা স্বাৰ্থ-বুদ্ধি বশতঃ চালাকিপূৰ্ণ কথা বলেন এবং নবাগত বা বাস্তববাদীদের কণ্ঠ চেপেও ধরেন সুযোগ বুঝে। আমি দেখেছি, এই কারণে পরম পুরুষের দেয়া অমৃত নিষ্যন্দী বাণী থেকে বষ্ণিত জনগোষ্ঠী সুফল পায় না। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়ের উপর দাৰ্শনিকত্বব্যঞ্জক কথার ফুলঝুড়ি ছড়ায়, কিন্তু পাতি বাংলা ভাষায় বলা ঠাকুরের বাণীগুলো নাকি দূৰ্বোধ্য। শ্রীশ্রীঠাকুরের সমসাময়িককালে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাঁর কাছে গিয়েছিলেন এবং তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি কে ? কিন্তু প্রদীপের কোলে আঁধার হেতু তাঁর পারিপাৰ্শ্বিক তাঁকে বুঝে নাই।
    ** উক্ত কাজগুলো করা এবং তাঁর উদ্দেশ্যে প্রাৰ্থনার জন্য যে সব মন্দির নিৰ্মান হচ্ছে সেখানে গবেষণা সেল খুলেও করা যায় অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বিভাগ করেও করা যায় অথবা ধনাঢ্য ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে স্ব-গৃহে গবেষণা করেও করতে পারেন, অথবা সমমতাবলম্বী লোক দলবদ্ধ হয়েও উক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে পারেন।
    **** কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ঠাকুরের উদ্দেশ্যে নিৰ্মিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছাচারী, দৰ্শন সম্পৰ্কে অজ্ঞানী, আধিপত্যবাদী, পদবীবাজী, দলবাজী, অহংকারী ও বিকৃতকারী লোকদের দখলে। ফলে পরম পুরুষের দেয়া জীবন-বৃদ্ধি রক্ষা পাওয়ার সুফল থেকে বঞ্চিত বুভুক্ষু, মৃতপ্রায়, আৰ্ত ও পীড়িত জনগোষ্ঠী; যাঁরা কোন পক্ষ বুঝে না। এরা শুধু দু’ মুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে চাই।
    জীবনের যাবতীয় বিষয় বেঁচে থাকার সঙ্গে জড়িত। যথাৰ্থভাবে বেঁচে থাকা আজ কঠিন ব্যাপার। আঠার মাসে বছর সেই দিন আর ফিরে আসবে না। তাই স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার প্রশ্নে
    শ্রীশ্রীঠাকুরের দৰ্শনে সমস্ত বিষয় অন্তৰ্ভূক্ত হয়েছে। এই দৰ্শনকে পুঁথিবদ্ধ করতে সৃষ্টি হয়েছে অনুকূল-সাহিত্য। অনুকূল সাহিত্য পাঠ করলে বুঝা যায়, তাঁর বাণী থেকে কত দূরে আছি সবাই।
    জীবন ও জগতের প্রতিটি ক্ষুদ্র ও দূৰ্বোধ্যতম বিষয় তাঁর দূরদৃষ্টির দূরবীনে প্রতিভাত হয়েছে।
    ধৰ্ম্ম (ধৰ্ম) সম্পৰ্কে তাঁর অকাট্য যুক্তি সংগত ব্যাখ্যা
    ধৰ্ম মানে শুধু মঠ, মন্দির, গীৰ্জা বা পেগোডা নয়।
    ধৰ্ম মানে শুধু উপাসনা, prayer বা আরতি নয়।
    ধৰ্ম মানে শুধু মন্ত্র উচ্চারণ, ফুল-তুলসী, বিল্বপত্র নয়।
    ধৰ্ম মানে শুধু নিৰ্দিষ্ট পুস্তকাবলী ও তা পাঠ করা শুধু নয়।
    Note: উল্লেখিত জিনিস গুলো যে প্রয়োজন হীন তা মোটেই নয়, বরং উল্লেখিত জিনিস বা বিষয়ের মৰ্ম অনুধাবন করা এবং তার অৰ্থ যে বাঁচা বাড়া, তা যেন আমরা বুঝতে পারি। যেমন আমরা পূজা করি, সেখানে প্রচুর টাকা খরচ করে আলোক সজ্জা করি এবং বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে বেমানান গানের জলসা করি । প্রতিমা নিৰ্মানে ও বাহ্যিক চাকচিক্যে ব্যয়বাহুল্য বজায় রাখি, আরও অপ্রাসংগিক অনেক কিছু করা হয় । এসবের কোনটিই পূজার সাৰ্থকতার সঙ্গে জড়িত নয়। কারণ পূজা মানে- জীবন বৃদ্ধি। পূজা শব্দের অৰ্থ জীবন বৰ্দ্ধনা।
    পূজা শব্দটি এসেছে ‘পূজ’ ধাতু থেকে যার অৰ্থ – বৰ্দ্ধনা। মানুষ লেখা পড়া শিখে শব্দের অৰ্থ ব্যৰ্থ করে দিতে নয়।
    পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় কেউ কি বিদ্যালয়ে না গিয়ে সিনেমা হলে যায় ? ঠিক সেরকম আর কি।
    দেখতেই তো পাচ্ছেন, মানুষ বাঁচার জন্য ডিম্বানু বিক্রি করছে, কেউ অঙ্গ বিক্রি করছে, আর কেউ নীচে নেমে যাচ্ছে।শ্রীশ্রীঠাকুরের বাঁচা বাড়ার সূত্রের সঙ্গে রাজনীতি, অৰ্থনীতি, কৃষিনীতি, শিল্পনীতি, Hygiene, Eugenics, Education, Meditation , নাম-ধ্যান, পরিবেশ ও প্রকৃতি সহ যাবতীয় বিষয় জড়িত। তাই তাঁর দৰ্শন যুগের চাহিদার পরিপূরক বলে এত সমাদৃত।
    শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাষায় –
    যে আচরণ, বাক্য, কৰ্ম
    বাঁচা বাড়ার উৎস হয় –

    তাকেই জানিস ধৰ্ম বলে
    নইলে ধৰ্ম কিছুই নয়।।
    অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে
    বাঁচা-বাড়ার মৰ্ম্ম যা
    ধৰ্ম বলে জানিস তাকে।।
    ঠিকই জেনো ধৰ্ম তা।।
    বাঁচতে হলে লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া শিখতে হলে শিক্ষক লাগবে। শিক্ষক লাগলে তাঁদের বেতন ভাতা লাগবে। শিক্ষার পদ্ধতি, বিষয়, curriculum, সময়
    ইত্যাদি ঠিক থাকার পরেও নূন্যতম বেঁচে থাকার প্রশ্ন প্রথম এসে দাঁড়িয়েছে। অনশনরত শিক্ষকরা বলছেন অভূক্ত শিক্ষক দিয়ে মান সম্পন্ন পাঠ দান অসম্ভব। যে কোন কিছুর জন্য প্রথম বাঁচতে হবে, এমনকি ব্রক্ষ্ম সাধনার জন্যেও। নিরপরাধ ও ভালো লোক বাঁচার জন্যে আরও মহৎ একটি কারণ রয়েছে।
    সঠিক বাঁচা বাড়া
    সঠিক বাঁচা বাড়া সহজ কথা নয়, বিশ্বে কিছু দেশ (জনগোষ্ঠী) ঠাকুরের বাণীর আগে আগে চলছে কতিপয় ক্ষেত্রে। আর কিছু দেশ(জনগোষ্ঠী) কতিপয় ক্ষেত্রে তাঁর বাণীর বহু পিছনে রয়ে গেছে এখনও। এই বাঁচা বাড়ার সমাধান করতেই অনেকেই জীবন সংগ্রামে পরাজিত, কেউ হাঁপিয়ে যাচ্ছে বা কেউ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এর এত গুরূত্ব।
    বুঝলাম বাঁচা বাড়ায় ধৰ্ম, তারপর কি? হ্যাঁ, তারপর আরও কিছু আছে। তারপর আমরা জানি, কৰ্মের শেষে মানুষ গৃহে ফিরে যায়। কিন্তু জীবনের শেষে মানুষ কোথায় যাবে? এই প্রশ্নেরও সমাধান দিয়েছেন পরম প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। আর মানুষ ও জীবের এই আসা যাওয়ার পেছনে রহস্য কি তারও উত্তর তিনি দিয়েছেন। ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে এত সব বিষয় ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে । সম্ভব হয়ত হবে না। পূৰ্ণ জ্ঞান নাকি লাভ করা যায়। সিদ্ধি লাভ হলে নাকি জ্ঞানের পূৰ্ণতা প্রাপ্তি ঘটে। আর সিদ্ধির একটি সময় সীমাও নাকি আছে। হয়ত কয়েক জনম লাগতে পারে ! সে যাই হোক, তবে শুরুর কথাই বলি।
    সঠিক বাঁচা বাড়ার শুরুটা কিভাবে করতে হবে ? তার পূৰ্বে একটি শক্তিশালী হিন্দি বচন স্মরণ করা যায় – ” হাম শুধরেঙ্গে যুগ শুধরেগা, হাম বদলেঙ্গে যুগ বদলেগা।” আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
    ক্ষুধার জ্বালা ও সমাজের উপহাস
    একটি জেলায় দেখেছি সেখানে তেঁতুল বীজের সাইজ একটা হিন্দু ফাউণ্ডেশন আছে । সেখান থেকে দরিদ্র ও মেধাবী হিন্দু ছাত্র/ছাত্রীদের বছরে ৬০০ (ছয় শত)টাকা বা $ 8 (eight) dollar বৃত্তি দেয়া হতো।
    এখন হয়তো দুই একশত টাকা বেড়েছে। কিন্তু উক্ত জেলায় এবং পাৰ্শ্ববৰ্ত্তী জেলায় হত দরিদ্রের সংখ্যা লক্ষ- লক্ষ। আশ্রম বা মন্দিরে মেয়ের বিবাহে সাহায্য দেয় চার/ পাঁচশত টাকা অথবা ধরে নিলাম হাজার টাকা। এগুলো দরিদ্র লোকের সঙ্গে তামাশা করা নয় কি? অথচ ধৰ্মীয় শোভাযাত্রা করে হাতি দিয়ে। নিজের মেয়ে বিবাহ দেয় ২০/৩০ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে। এক, দুই হাজার মানুষের মধ্যে নেতা হওয়ার কি তীব্র উন্মাদনা, অথচ সঠিক ধৰ্মাচরণের ক্ষেত্রে পাথরের মত শক্ত। একজন, দুইজন হয়তো স্কুল -কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বড় বড় দান,ধৰ্ম করেন, তাঁদের অবদান শীরোধাৰ্য, কোন সন্দেহ নাই। তাঁদের প্রচেষ্ঠায় কয়েকটি গ্রাম হয়ত উপকৃত হয়। কিন্তু বাকীদের কি উপায় হবে? এই উপায়ের কথা বেদ, পুরাণ, গীতা সহ সকল ধৰ্ম গ্রন্হে বলা আছে যেমন পবিত্র বেদে পঞ্চ মহাযজ্ঞের কথা বৰ্ণিত হয়েছে। ঋষি যজ্ঞ, দেব যজ্ঞ, নৃ-যজ্ঞ, পিতৃ যজ্ঞ ও ভূত যজ্ঞ মানুষের নিত্য পালনীয় বিধান, কিন্তু সমাজের একটি বিশাল অংশ এর ধারে কাছেও নেই। উন্নত দেশে FreeFood Center গুলো প্রায় প্রতিদিন খোলা থাকে। কিন্ত কোন কোন সমাজে Free Food Center কাকে বলে জানেও না। আমিও জানতাম না একদিন। Food Center প্রতিদিন কেন খোলা থাকে, কারণ সচ্ছল লোকেরা যেমন দৈনিক অনেকবার বার খাবার খায়, তেমনি গরীব লোকদেরওতো পেট আছে,ক্ষুধা আছে। ক্ষুধার তাড়নায় আত্মহত্যা, ধৰ্মান্তরিত হওয়া, দূৰ্বিসহ জীবন যাপন ইত্যাদি কে না জানে ?
    অভাব সমাজের একটি স্বাভাবিক সংকট। সমাজবদ্ধ জনসমষ্টি সমাজের কোথায় ঘাটতি, কেন ঘাটতি, কি করণীয়, কখন করণীয়, কেন করণীয়, কিভাবে করণীয়, না করলে কি ঘটতে পারে ইত্যাদি বিষয় সম্পৰ্কে সম্যকভাবে সবসময় অবগত নাও থাকতে পারে বা থাকতেও পারে। পরমপুরুষ ঘুমন্ত মানব সমাজকে জাগানোর কাজও মহাগুরুত্বের সাথে করতে আসেন এবং তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কৰ্মী বাহিনী তৈরী করে যান।
    .চলবে
    ব্রক্ষ্মের উপাসনা মানেও জীবন-বৃদ্ধির উপাসনা
    ব্রক্ষ্ম শব্দের অৰ্থ বৃদ্ধি বা বৰ্ধন। ব্রক্ষ্ম শব্দটি এসেছে ‘ বৃণহ্ ‘ ধাতু থেকে। বৃণহ্ ধাতুর অৰ্থ বৃদ্ধি পাওয়া।
    নারায়ণের উপাসনা মানেও জীবন-বৃদ্ধির উপাসনা
    নারায়ণ কথাটির অৰ্থ –
    বৃদ্ধির পথ । ‘ নার ‘ + ‘ অয়ণ ‘ = নারায়ণ।
    ‘ নার ‘ মানে বৃদ্ধি ‘ অয়ণ ‘ মানে পথ। বৃদ্ধির পথে চলা মানেই নারায়ণের পথে চলা। বা নারায়ণের সেবক হওয়া।
    মহেশ্বরের উপাসনা মানেও
    জীবন-বৃদ্ধির উপাসনা
    মহেশ্বর যদিও ধ্বংস বা প্রলয়ের প্রতীক, কিন্ত সৃষ্টি বিনা তো ধ্বংস নাই। তাই আশ্চৰ্যজনকভাবে মহেশ্বর শব্দের অৰ্থও বৃদ্ধি পাওয়া বুঝায়। মহেশ্বর শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে দেখা যায় – মহা + ঈশ্বর= মহেশ্বর।
    মহা শব্দের অৰ্থ শ্রেষ্ঠ। ঈশ্বর(Spirit) শব্দের অৰ্থ সৃষ্টির অধিপতি।
    ঈশ্ ধাতুর অৰ্থ তাই। ঈশ্ ধাতুর সাথে বরচ্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ঈশ্বর শব্দটি নিস্পন্ন হয়েছে। অতএব শব্দগতভাবে মহেশ্বর মানে সৃষ্টির মহা অধিপতি। তিনি স্রষ্টা এবং পালন কৰ্তা। আর সৃষ্টি মানে বৃদ্ধি। সৃষ্টি হলেই তো বেড়ে যায় সংখ্যা। আর সৃষ্ট জিনিষ গাছ- পালা, পশু-পক্ষী, মানুষ, গরু, ঘোড়া ইত্যাদি সবই তো সৃষ্টির পর বেড়ে উঠে। তাই মহেশ্বরের উপাসনা মানে জীবন বৃদ্ধি বা বাঁচা-বাড়ার উপাসনা। সৃষ্টি এবং বৃদ্ধি আগে, তারপর হয় ধ্বংস বা ক্ষয়। সৃষ্টি হয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্তই যদি না হল তাহলে ধ্বংস হবেটা কি
    ?
    বাঁচা-বাড়া কেন শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম তার আরও কারণ আছে। বাঁচা বাড়ার জন্য পবিত্র বেদে যজ্ঞের কথা গুরুত্বের সাথে কেন উল্লেখ আছে, কেন বাঁচা বাড়ার জন্যে যুগাবতার শ্রীকৃঞ্চ গীতায় অনেকগুলো যজ্ঞের কথা বললেন, কেন ত্রিকাল দৰ্শী আৰ্য্য ঋষিরা এত গুরুত্বের সাথে বাঁচা বাড়ার বিধান দিলেন, কেন যুগাবতার ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বাঁচা বাড়ার জন্যে দেব ভিক্ষা, অৰ্থ ভিক্ষা, মানুষ ভিক্ষা চাইলেন, এর আরও গুরুত্ব বিশ্লেষণ করব শীঘ্রই। যজ্ঞ মানে বিভিন্ন ধরনের দান যজ্ঞের কথা বলতে চাইছি। প্রতিটি দানযজ্ঞ ঘৃতাহুতি দিয়ে করতে হয় না এবং সম্ভবও নয়।
    পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ধৰ্মস্হানগুলো দয়া, দাক্ষিণ্য, মানবতা, মহানুভবতা ইত্যাদি মানবিক সহানুভূতির কেন্দ্রস্হল করে রেখেছে। অখন্ড ভারত একদিন এসবের শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। যদি তা না হতো তাহলে ‘ভারত বিশ্ব ঋতায়িনী’ কথাটির মত এত বড় মহান অভিধায় ভারত অভিসিক্ত হতো না।
    বাঁচা -বাড়া কেন শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম – চলবে
    শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীর বিকৃতি ও সমাজের উপেক্ষা
    পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর পঞ্চ মহাযজ্ঞের একত্রিভূতরুপ যে ইষ্টভৃতি যজ্ঞ প্রবৰ্তন করলেন তাতে এই সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে।
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৪৮369790
  • চন্দ্রবিন্দুটা এক্কেবারে ঠিকঠাক জায়্গাতে পড়েছে।
  • PJ Roy Jit | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:০০369801
  • মানে?
  • j | 24.142.249.114 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৩০369806
  • b :-))))))
  • রোবু | 213.132.214.83 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৩৬369807
  • :-)
  • শঙ্খ | 52.110.153.219 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:০০369808
  • আরেকটি রানারা ইন দা মেকিং?
  • 2>&1 | 113.252.27.233 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:৩১369809
  • একটা চন্দ্রবিন্দু কম পড়েছে।
  • Rabaahuta | 233.186.11.77 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৮:২২369810
  • আর রানারা হবে না। গুরু ও চণ্ডালদের নির্মোহ ব প্রাপ্তি হয়েছে। এইসবে আর উত্তেজনা হয় না।
    এমনিতেও নতুন নতুন ধর্মগুরু বেরিয়ে গেছে, এদের নিয়ে আর কদ্দিন?

    বিটিডাব্লু আপনারা মর্মপীড়কে ট্রাই করতে পারেন, খুবই জাগ্রত। মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন তবে মাপমতো কোলাহল করলে জেগে ওঠেন।
  • সিকি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:০৯369811
  • :))))
  • paps | 57.15.4.130 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:৫৬369780
  • 'বাঁচাবাড়া'ঃ বেশ নুতন ধরণের শব্দবন্ধ এটি কিন্তু কেমোন জেনো অসইব্য মত শুনতে। আর টই হিসাবে এটি একটি নির্মল অনন্দের আকর। ঃ)
  • PP | 159.142.103.12 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২৪369781
  • হু কেমন যেন বাড়া-বাঁচাও কমিটি তৈরি হল বলে।
  • PJ Roy Jit | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৪১369782
  • কোন কিছুর স্বরুপ বুঝতে হলে জানতে হয়।আর না জেনে কথা বললে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেসি থাকে
  • সিকি | 158.168.40.123 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৪369783
  • হুঁ। আর এমন পাতার পর পাতা লিখতে হলে বাংলা পড়তে হয়। আর না পড়ে লিখতে গেলে বানাম্ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেসি থাকে।
  • PJ Roy Jit | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৫৯369784
  • ভুলটাই তেই চোখ যায়?
  • amit | 213.0.3.2 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:৫০369785
  • ভুলে কোথায় চোখ গেলো ? আমার তো বাঁচা-র পরেই চোখ গেলো।
  • সিকি | 158.168.40.123 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:১৬369786
  • শ্রীশ্রী অনুকূলঠাকুরের উন্মুক্ত বক্ষদেশের দিকেও মাঝে মাঝে চোখ যায়। আহা, কী ফিগার! পাপী মন কিনা।
  • আরেকটু | 186.126.237.214 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৮369787
  • বুঝিয়ে না বললে তো হচ্ছে না। বাঁচার জন্য বাড়া চাই নাকি বাড়ার জন্যই বাঁচতে চাই? বাড়া নিয়ে ঠাকুর কেন বাড়াবাড়ি করেছেন, আর বাড়ার ধর্মই বা কি? যজ্ঞ করলে কি বাড়া বাড়ে? খোলাখুলি লিখুন।
  • সিকি | 158.168.40.123 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:০৩369788
  • বারো হাঁড়ি রাবড়ি বড় বাড়াবাড়ি।
  • বাপি | 155.239.29.201 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:১৬369789
  • বাড়া, বাড়ি যা
  • PJ Roy Jit | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:৩৫369791
  • আমরা জানি ও বুঝি, মানুষ একা বাঁচতে পারে না। তাই নিজে বাঁচতে হলে অন্যকেও বাঁচাতে হবে, এই সূত্র ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের সূত্র বিজ্ঞানের সূত্রের চাইতে কোন অংশে খাট বা লঘু নয়। রসায়নের সূত্র না জেনে এসিড নিয়ে খেলা খেললে যেমন বিপদ অবশ্যম্ভাবী, তেমনি জীবন সূত্রও জানতে হয়, মানতে হয়, অন্যথায় মহাবিপদ।
    জীবন বিজ্ঞানী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সবচাইতে বেশী বলেছেন জীবনের কথা। কারণ জীবনকে সবাই ভালোবাসে। তাই জীবন ও জীবনের স্বাভাবিক পরিণতিকে নিয়েই তাঁর দৰ্শনের ভিত্তি রচিত। যুগের দাবীও তাই।
  • Sourav | 52.110.167.216 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২২:৫৫369792
  • অনুকূল বা অন্য কোনো ঠাকুরকে মানা, না মানাটা একান্ত ব্যক্তিগত। কারুর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথা এখানে বলতেই পারেন। কিন্তু বয়ঃসন্ধির বখে যাওয়া ছেলেদের মতো কটা শব্দকে বিকৃত করে প্রায় আক্ষরিক অর্থেই hitting below the belt করা, এর কি সত্যিই কোনো দরকার আছে ? অনুকূল ঠাকুরের বিরুদ্ধে বা তাঁকে দেবতা বানানোর বিপক্ষে তো যুক্তি দিয়ে কিছু লেখা যেত। সেটা সুখপাঠ্য হতো, অনেকটা নির্মোহ সিরিজের মতো। খিস্তি কি রাস্তায় কম পড়েছে যে গুরুচণ্ডালিতে তা প্রায়োগিক ভাবে আমদানি করতে হবে? খিস্তির ব্যুৎপত্তি নিয়ে তাত্বিক আলোচনা চলতে পারে, কিন্তু এতো প্রায় বালখিল্য কাজ কারবার।
  • সিকি | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:৫৩369793
  • খিস্তি কে মেরেছে? আদ্যন্ত রিগ্রেসিভ মিসোজিনিস্ট একটা গুরুবাবার ভক্তিগদগদ ভক্তকে নিয়ে খিল্লি করা হয়েছে। খিল্লি আর খিস্তির তফাতটা তো বুজ্গতে হবে মহায়।

    অনুকূল ঠাকুর কি যুক্তি দিয়ে কাটার যুগ্যি কোনও চরিত্র?
  • PJ Roy Jit | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:০৪369794
  • ঠাকুর কে যখন চিনতে পারলেন না তখন আপনার মনে যা তা মনে হতেই পারে। কিন্তু দাদা আপনি বাস্তব সমাজের সমসসাগুলকে কিভাবে সমাধান করবেন?
    আজ দেখবেন সারাবিশ্বে মানুষের কত অভাব আর এর কারনে সাধারন কতগুল বৈশ্বিক অশান্তি লেগেই আছে। ঠাকুর এই গোটা বিশ্ব শান্তির কথা বলেছেন তাই বেশী করে
  • Sourav | 52.110.161.223 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২২:৪৮369795
  • খিল্লির কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম হয়তো, বালখিল্য শব্দটি ব্যবহার করে। যাইহোক, কাউকে রিগ্রেসিভ ও মিসোজেনিস্ট বলা যাবে, কিন্তু সেই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেওয়া যাবেনা, এটা ভক্তি গদগদ ভাবের থেকে অবস্থানগতভাবে খুব দূরে নয়।
  • শঙ্খ | 113.242.197.187 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:২০369796
  • আরে ঠাকুর, রানারা এঁরা হলেন ফ্যাশনের মতন, ঘুরে ফিরে আসেন। পুরোনো টই খুঁজে দেখুন না, আরামসে অনেক নমুনা, নিদেন পক্ষে নির্মোহ ব পেয়ে যাবেন। যুক্তি প্রতিযুক্তি সবই পেয়ে যাবেন। গ্রহণ বর্জন ব্যক্তিগত। পাই ভালো মুডে থাকলে অনেক সময় লিংক দিয়েও দ্যায় ;)
  • amit | 213.0.3.2 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:০২369798
  • এই বাঁচা বাড়া মার্কা ঢপের টইগুলোকে একটা আলাদা ফোল্ডার বানিয়ে গ্যারেজ করে দেওয়া যায়না ? দরকারি ভালো টইগুলো এই ঢপের কীর্তনের জ্বালায় হারিয়ে যাচ্ছে।
  • paps | 113.218.236.161 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:০৪369799
  • আপনারা শুধু বাঁচাবাড়া নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এটা অন্যায়। মড়াবাড়া কি বানের জলে ভেসে এসেছে নাকি?
  • paps | 113.218.236.161 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:০৪369800
  • আপনারা শুধু বাঁচাবাড়া নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এটা অন্যায়। মড়াবাড়া কি বানের জলে ভেসে এসেছে নাকি?
  • ঠাকুর | 75.49.14.152 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:১৬369802
  • এটা সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছিলেন। ঠাকুর বলেছিলেন, হাতি আর বাড়ার পার্থক্য কি? মরা হাতির দাম লাখ ঠাকা, কিন্তু মরা বাড়ার কোন দাম নেই। বাড়া যতোদিন বাঁচে ততোদিনই তার দাম থাকে। বাঁচো আর বাড়ো, আঙ্গুল না তুলে বাড়া তোলো।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন