এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিজিৎ মন্ডল | 18.37.235.221 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:০৪370284
  • সোশ্যাল কন্ডিশনিং বা সামাজিক নির্মাণের এর নাম শুনেছেন? আপনার মনন, চিন্তাভাবনা যখন সমাজ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গড়ে ওঠে, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা কে আপনি কিভাবে বুঝছেন (পড়ুন পারসিভ করছেন) , কিভাবে গ্রহণ করছেন, সেইটা যখন সমাজ সেই ঘটনা কে কিভাবে দেখছে,তা দ্বারা নির্দেশিত হয়, তাকেই সোশ্যাল কন্ডিশনিং বলা হয়। সোজা কথায়, মাধ্যমিকে ৯১% নম্বর পাওয়া ছাত্রের কলা বিভাগে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত তে ভ্রূ কোঁচকানো, হাঁটুর উপরে শেষ হয়ে যাওয়া পোশাক পরিহিতা মহিলাকে মনে মনে (কখনও বা সামনা-সামনিই) বেশ্যা বলে গাল দেওয়া, কালো পলিথিনের প্যাকেটে স্যানিটরি ন্যাপকিন মুড়ে নিয়ে যাওয়া, খবরের কাগজের ‘পাত্রী চাই’ কলামের বিজ্ঞাপনে ‘ফর্সা ও প্রকৃত সুন্দরী কাম্য’ ইত্যাদি লেখা, পাঁচ বছর বয়সী ছেলের জন্মদিনে ফুটবল ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের জন্মদিনে পুতুল উপহার দেওয়া ---- এসবই সোশ্যাল কন্ডিশনিং এর কারণে। নিজের আশেপাশের সমাজ দ্বারা প্রবল্ভাবে কন্ডিশনড একজন মানুষ যেকোনো ঘটনা কে নিজের চোখে নয়, বরং গোটা সমাজের চোখে দেখতে শুরু করে। এইভাবে সে নিজের ইন্ডিভিজুয়ালিটি কে হারিয়ে ফেলে। সমাজের ‘একজন’ হয়ে যায় সে, জাস্ট অ্যান এন্টিটি ইন দা এফিং সোসাইটি।
    পদ্মাবতী ও তার সাথে চিতোরের জওহর কুন্ডে নিজেকে নিক্ষেপ করে প্রানত্যাগ করা ওই বারো হাজার রাজপুত ভদ্রমহিলা রা ওই রাজপুত সমাজেরই এক একটা এন্টিটি ছিলেন মাত্র। প্রবল্ভাবে সোশ্যালি কন্ডিশনড। পদ্মাবতী একটু বেশিই ফুটেজ পেয়ে গেছেন কারন তিনি চিতোরের রানী ছিলেন এবং তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েকপিস কেতাবও লেখা হয়েছিল। এনারা নিজেদের কে কেবলমাত্র কোনো রাজপুত ‘বীর’ এর স্ত্রী, কন্যা বা মা ছাড়া আর কিছুই ভাবতে শেখেননি। কারন তখনকার সমাজই এদের এই ছাড়া আর কিছু ভাবেনি। সেই কারনেই হয়ত তারা ভেবেছিলেন যে বিধর্মী পুরুষের হাতে নিজের ‘সম্মান’ হারানোর চেয়ে প্রাণত্যাগই ভালো। তাদের এটুকু রিয়েলাইজ করবার ক্ষমতাও ছিল না (র‍্যাদার, তৈরি হয়নি) যে সম্মান শুধুমাত্র দু ঠ্যাঙের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে না। কারন টা ওই, সোশ্যাল কন্ডিশনিং। :)
    এতকিছু লেখার প্রয়োজনই হত না, যদি না সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ চেঁচামেচি শুরু করতেন যে পদ্মাবতীর জওহর ব্রত পালন টা তাঁর নিজের ‘চয়েস’ ছিল। হয়ত চয়েস ছিল, কিন্তু সেটাই তাঁর একমাত্র চয়েস ছিল। কারণ এর বাইরে যে কোনো চয়েস থাকতে পারে, সে কথা তিনি ভাবতেই শেখেননি। কারণ সমাজই তাঁকে এইভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। সময় হয়ত এগিয়েছে, সমাজ কিন্তু পাল্টায়নি। এই কারণেই পাকিস্তানি আর্মি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধকে দমন করার জন্য ধর্ষণ কে একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করে এবং যুদ্ধ শেষে প্রচুর সংখ্যক মহিলা নিজেদের বাড়ি কিংবা স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে চান নি। এই কারণেই ধর্ষিতা কে নিজের পাড়া ছাড়তে হয় ও কালক্রমে আত্মহত্যা করতে হয়।
    জওহর কে গ্লোরিফাই করা বন্ধ হোক। মণিকর্ণিকা সোশাল কন্ডিশনিং ভাঙতে পেরেছিলেন, তাই তিনি ইতিহাসে পরিচিত।পদ্মাবতীরা পারেননি। পদ্মাবতীরা ভাবতেই শেখেননি যে স্বামীর পরাজয়ের পরেও বেঁচে থাকা যায়। সমাজ তাঁদের তা শেখায়নি। বা বলা যায়, সমাজের কাছ থেকে তাঁরা শেখেননি। কারণ একটাই। সোশ্যাল কন্ডিশনিং।
  • dc | 132.164.124.147 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৪৭370295
  • আচ্ছা পদ্মাবতী নাকি পুরোটাই গল্প, বা ভালো কবিতা? কে একজন কবে নাকি একটা কবিতা লিখেছিল আর সেখান থেকে নাকি পদ্মাবতীর লিজেন্ড শুরু হয়েছিল অনেকটা প্রাচীন অরন্য প্রবাদের মতো?

    (এমনিতে আমি পদ্মাবতীকে নিয়ে একটুও ইন্টারেস্টেড না, কোনকালেও ছিলাম না, বরং গুজরাট ইলেকশানের আগে বিজেপি পুরো ব্যাপারটা যেভাবে ম্যানেজ করছে সেটা দেখতে বেশী ইন্টারেস্টিং লাগছে)
  • dc | 132.164.124.147 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৪৭370306
  • *বা বলা ভালো
  • | 144.159.168.72 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:১৯370317
  • হ্যাঁ ডিসি, সেরকমই। :-)
  • dc | 132.164.124.147 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৪৮370328
  • বোঝ অবস্থা! :d
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:০৬370339
  • হুম। ইন্টারেস্টিং টপিক। আমি বেশ কয়েকবার ভেবেছি একটা টই খুলব, কোনটা সোশ্যাল কণ্ডিশনিং মানে সামাজিক নির্মাণ , আর কোনটা কাঁচা বায়োলজি, এই নিয়ে। সে আর সময় করে হয়না।

    জওহর সামাজিক নির্মাণই বটে। অবশ্য এর পর , সিয়াচেনে সৈনিকও দাঁড়িয়ে পড়বে এই লাইনে।

    পদ্মাবতীর কাহিনি পুরোই গল্প, সেরকম কিছু পোস্ট পড়ছিলাম। মণিকর্ণিকার কাহিনিটা বিস্তারে শুনতে চাই।
  • jsl | 132.172.150.53 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:১৩370350
  • অর্ণব গোস্বামী রিপাবলিক টিভি পেজে পদ্মাবতীকে ছাড়পত্র দিয়েছে, সেখানে রাজপুতপ্রাইডপন্থীরা চিলুবিলু করছে।
  • S | 184.45.155.75 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৩২370370
  • অপ্পন বাবুর দেওয়া লিন্কের গল্পটাই জানতাম। পদ্মাবতীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন খলজি তাকে পাওয়া জন্য চিতোর আক্রমণ করেছিলেন।

    চিতোরে গেছিলাম ইস্কুলে পড়ার সময়ে। সেখানে গিয়ে একটা গল্প শুনেছিলাম গাইডের মুখে। যতটা মনে আছে আর বুঝেছিলাম, সেটাই বলছি। খলজি রাণীর রূপের অনেক খ্যাতি শোনেন। ফলে রাণীকে দেখতে চান। রাজা রাজি না হলে ঠিক হয় যে একটা পুকুরের মধ্যে একটা বাড়ি টাইপের ছিলো। সেখানে তিনি দাঁড়াবেন, তার মুখের প্রতিবিম্ব পড়বে জলে, আর জলের রিফ্লেক্শন আসবে একটা আয়নায়। সেই আয়নার রিফ্লেক্শন খলজি দেখতে পাবেন। কিন্তু রাণীর বদলে নাকি রাণীর ভাইকে সেখানে সাজিয়ে গুজিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। পরে খলজি জানতে পেরে, রাগে, চিতোর আক্রমণ করে। ঐ পুকুর, বাড়ি, আয়্না (নিস্চই তখনকার নয়) এসব দেখে এসেছি। তা সেই কাহিনী কি এখনো একই রকম আছে, না বদলেছে?

    এইবারে দলের কেউ কেউ জিগালেন যে এতো সুন্দরি মহিলা ছিলেন, কই এখানে (রাজস্থানে) তো কাউকে তেমন সুন্দরী দেখিনা। সেকাল ছিলো বলে, এখন হলে সেক্সিস্ট বলে গালি দিতাম। তাতে জানা গেলো যে রাণী শ্রীলন্কার মহিলা। তাতে লোকে আরও কনফিউজড হয়ে পড়লো। ততদিনে শ্রীলন্কার ক্রিকেট টীমের সাথে লোকেদের পরিচয় হয়েছে বলে মনে হয়।
  • dc | 132.164.124.147 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৫370285
  • আমিও ছোটবেলায় মাবাবার সাথে রাজস্থানে ঘুরতে গেছিলাম, সেখানে একটা দুর্গের মধ্যে একটা এঁদো পুকুর দেখিয়ে গাইড বলেছিল এই সেই লেক যার জলে রানীর ছায়া পড়েছিল। এখন শুনছি নাকি পুরোটাই স্রেফ গল্প, তাই কনফিউজড হয়ে গেছিলাম।
  • T | 165.69.191.250 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১১370286
  • স্থান গোলকুন্ডা ফোর্ট। ঢুকেই কিছুটা এগিয়ে রাজার প্যালেস শুরু হচ্চে। রাজা কোথায় চান কত্তেন, গোসল কত্তেন, সেইসব। রাজা না নিজাম কে জানে! তা গাইডটা খুব সোৎসাহে দেখাচ্ছিল, রাজা কিভাবে পাছা ধুতেন। কিরম শুনুন।

    এক সুবিশাল ট্যাঙ্ক মতন। তাতে জলে বিবিধ মাণিক, গোলাপ সুগন্ধি ইত্যাদি রয়েছে। ট্যাঙ্কের উপরে উঁচু সিলিং থেকে দড়িতে একটা দোলনা ঝুলছে। দোলনার বসার পিঁড়ির মাঝখানে একটা বেশ বড় গত্ত। বোঝাই যাচ্ছে রাজা প্রথমে ওখানে পাছাটি সেট করে নিতেন। আর তারপর দোলনায় দুলতেন। সরল দোলগতিতে দুলতে দুলতে অই শ্রীপশ্চাত ট্যানজেনশিয়ালি ট্যাঙ্কের জল ঠাআআচ করে যেত। সেইসময় রাজার রাণীরা দোলনায় দোল দিতেন আর গান গাইতেন।

    এইত সব অবস্থা।
  • S | 184.45.155.75 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১৬370287
  • ঐ গোলকোন্ডার থেকেই নিস্চই জাপানীরা টয়্লেট বাট স্প্রের আইডিয়াটা পেয়েছে। বললে হবে, সব আগে আমাদের দ্যাশেই হয়েছে।
  • de | 24.139.119.174 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১৭370288
  • এত্থেকে ভার্টিকাল মোশনে চুবিয়ে নিয়ে এলে তো সুবিধে হোতো! তাও ভালো মিন পোজিশনে কারোকে দাঁড় করিয়ে রাখতো না! ঃ))
  • de | 24.139.119.174 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:১৯370289
  • পদ্মিনীর গপ্পো সবচে ভালো আছে রাজকাহিনীতে - আয়নায় দেখানো হয়েছিলো তো -

    আর পদ্মিনীর সাথে আরো কতো হাজার মেয়ে নাকি পুড়ে মরেছিলো - পুড়ে মরার চাইতে যুদ্ধক্ষেত্রে মরাই তো বেশী সম্মানের ছিলো - জহর ব্রত পুরোপুরিই বার খাওয়ানো সোস্যাল প্রেসার!
  • | 144.159.168.72 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২০370291
  • zI তা :-))))
  • dc | 132.164.124.147 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২০370290
  • আর রাজা গাইতো

    ঝু-উ-লে ঝু-উ-লে দু-উ-লে দু-উ-লে পা-আ-ছা ধুলে বেশ লাগে।
  • de | 24.139.119.174 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২৬370292
  • :))))))
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:২৯370293
  • :D
  • hu | 108.228.61.183 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ২১:১৮370294
  • পদ্মাবতী নামটা নতুন শুনছি। রানী পদ্মিনী বলেই তো জানি। রাজকাহিনীতে প্রথম পড়েছিলাম। টড সাহেবের রাজস্থানেও খুব সম্ভব উল্লেখ আছে। তাতে অবশ্য পুরোটাই গল্পকথা হওয়া আটকায় না। নব্বইয়ের প্রথমভাগে রাজস্থান বেড়াতে যাওয়া হয়েছিল। একটা দেওয়াল লিখন মনে আছে - "গড় তো গড় চিত্তোর গড়, বাকি সব গড়ৌয়া, রানী তো রানী পদ্মিনী, বাকি সব গধৌয়া"। "গড়ৌয়া" মানে জানি না। "গধৌয়া" দেখে খুব মজা লেগেছিল, লাইনদুটো তাই মনে থেকে গেছে।
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ২২:১৯370296
  • এই সত্যি মিথ্যা নিয়ে শম্ভুনাথ মজুমদার গ্রুপে লিখেছেন,

    জানিনা সত্যি পদ্মাবতী বলে চিতোরের কোনো ঐতিহাসিক চরিত্র ছিল কিনা বা রাজা রত্ন সেন নামে চিতোরের কোনো রাজা বা পদ্মাবতী নামে তার কোনো রানী ছিলেন কিনা , নাম করা ঐতিহাসিকেরাই এই নিয়ে ধন্ধে আছেন আমিতো কোন হরিদাস পাল , তবে রতন সিংহ নামে এক রাজা ছিলেন চিতোরের ১৩০৩ সাল নাগাদ , যে সময় আলাউদ্দীন খলজী দিল্লীর শাসক ছিলেন । রাজা রত্নসেন নিজ পত্নী পদ্মাবতীর জন্য যে বিড়ম্বনা পুইয়েছেন আজকের দিনে চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীকে রাজা রত্নসেনের থেকে কম বিড়ম্বনা পোয়াতে হয়নি । সঞ্জয় লীলা বনশালীর রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের সুটিং এর সেটের সমস্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে , শারীরিক ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে , দীপিকা পাড়ুকোনকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনা রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু অধ্যাপক এবং ভারতের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও আলোড়িত করেছে । কারণ রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেদের কিছু অংশ বলেছে তারা নতুন ভাবে ইতিহাস নির্মাণ করবে পদ্মাবতী কাহিনীর । আজকাল তাজমহলের নীচে শিব মন্দির পাওয়া যাচ্ছে সুতারাং কোনো কিছুই অসম্ভব নয় । তবে এটা বোঝা যাচ্ছে এই নব্য নাতসির দেশে ইতিহাস নির্ভর বা রাজনীতি নির্ভর সিনেমা করতে আর কোনো পরিচালক সাহস পাবেনা ।
    --------- বিখ্যাত আরবিয়ান কাব্যকার মালিক মহম্মদ জইসি পাদমুবৎ নামে রূপক ধর্মী এক কাব্যগ্রন্থ ১৫০০ সালে রচনা করেন । সেসময় বাংলার আরবী জানা সাহিত্যিকারেরা আরবিয়ান সাহিত্যের প্রণয় কাহিনীগুলি বাংলায় নিজেদের মতো করে রচনা করতেন । আরাকানের অমার্ত্য মগন ঠাকুরের নির্দেশে সেই সময়কার বাংলার বিখ্যাত সাহিত্যিক শিরোমনী আলাউল ১৬৪৮ সালে পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে । এর চরিত্র গুলি ছিল সিংহলী ্রাজকন্যা পদ্মাবতী , তার পিতা গন্ধর্ব সেন , পাখি হীরামন , চিতোরের রাজা রত্নসেন , দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন , রত্নসেনের প্রথমা স্ত্রী নাগমতী , রাজা দেবপাল , রত্নসেনের অমার্ত্য রাঘবচেতন ---- প্রভৃতি । চিতোর থেকে সিংহল দ্বীপের দূরত্বের ব্যাপারটা মাথায় রাখা উচিত । গল্পটা সংক্ষেপে বলছি , যদিও এটা কবিতা ফর্মে লেখা অর্থাৎ কাব্যগ্রন্থ । আলাউল ব্যতীত বাংলাদেশে অনেকেই এই পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেছেন । গবেষক আব্দুল করিম প্রায় ৩৬ টি হাতে লেখা পদ্মাবতী পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন ।
    -------------- সিংহল রাজা গন্ধর্ব সেনের এক রূপবতী কন্যা ছিল তার নাম ছিল পদ্মাবতী । রাজকন্যা পদ্মাবতী অসাধারণ রূপ ও গুণের অধিকারী ছিল ।রাজকন্যার পোষা কথা বলা শুক পাখি হীরামন ছিল তার সব সময়ের সঙ্গী । রাজকন্যা বড় হলে শুক রাজাকে পদ্মাবতীর বিবাহের কথা বলে , কিন্তু রাজা এতে বিরক্ত হয়ে শুক হীরামতীকে হতার আদেশ দেয় । পদ্মাবতীর অনুনয় বিনয়ে রাজা হীরামতীকে মুক্ত করে দেয় । শুক পদ্মাবতীর খুব প্রিয় কিন্তু মহারাজের অপ্রিয় । শুক তাই প্রাসাদ থেকে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো । একবার রাজকন্যা মানস সরোবরে স্নান করতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে বনে চলে গিয়ে ব্যাধের কাছে ধরা পড়ে । ব্যাধ বাজারে শুককে বিক্রীর জন্য নিয়ে এলে চিতোর থেকে আসা এক ব্যবসায়ীর নজরে পড়ে । ওই ব্যবসায়ী পাখিটিকে কথা বলতে দেখে অনেক স্বর্নমুদ্রা দিয়ে কিনে নেন । পরে চিতোরে গিয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে রাজা রত্নসেনকে বিক্রী করে । রাজা রত্নসেনের প্রাসাদে তার রানী নাগমতী শুকের মুখে পদ্মাবতীর রূপ গুণের কথা শুনে ভয় পেয়ে যান । যদি রাজা পদ্মাবতীকে বিয়ে করেন তাহলে তার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে ভেবে সে ধাত্রীকে শুককে হত্যা করার আদেশ দেন । কিন্তু ধাত্রী পরিণামের কথা ভেবে শুককে হত্যা না করে কুকিয়ে রাখে । একদিন রাজার সাথে শুকের সাক্ষাত হয় এবং শুক হীরামতী রাজাকে পদ্মাবতীর কথা বলে । তখন রাজা শুকের সাথে সিংহল যাত্রা করেন । শুক গিয়ে পদ্মাবতীকে রাজা রত্নসেনের রূপ গুণের কথা বলে এবং জানায় রত্নসেনই পদ্মাবতীর উপযুক্ত পাত্র । রাজকন্যা বলে দেন বসন্ত পঞ্চমীর দিন সাক্ষাৎ হবে রাজার সাথে । সেই কথামতো দুজনের সাক্ষাৎ হয় এবং দুজনেই দুজনের প্রেমে পরে এবং বিবাহ করতে চায় । কিন্তু গন্ধর্ব সেন এই বিয়েতে রাজি নয় , তখন মহাদেব এসে এই ঝামেলা মেটান এবং গন্ধর্ব সেন রাজী হন । দুজনের বিয়ে হয় , সমুদ্র রত্নসেনকে পাচটি রত্ন দেয় । রাজা চিতোরের কথা ভুলে যায় । এমতাবস্থা প্রায় এক বছর পরে আর এক কথা বলা পাখি রানী নাগমতীর দুঃখ দেখে বলে সে সিং হলে গিয়ে রাজাকে জানাবে চিতোরের এবং রানীর দুঃখের কথা । রানী নাগমতী চিতোরের দুঃখের কথা চিঠিতে লিখে দিল , সেই পাখি ঐ চিঠি নিয়ে সিং হল গেল এবং রাজা রত্নসেনকে দিল । রত্নসেন রানী নাগমতীর চিঠি পেয়ে পদ্মাবতীকে নিয়ে চিতোরে ফিরে এল । চিতোরের রাজসভায় রাঘবচেতন নামে এক কুট ব্রাহ্মিণ ছিল , তিনি রাজাকে ২য়া সম্পর্কে কটুক্তি করায় রাজা তাকে অপমান করে চিতোর থেকে বিরাড়িত করে । ব্রাহ্মণ সেই জ্বালায় দিল্লী যান এবং এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দীনের কাছে পদ্মাবতী ও সমুদ্রের দেওয়া রত্নের কথা বলেন । আলাউদ্দীন পদ্মাবতীকে পাওয়ার আশায় চিতোর আক্রমণ করেন এবং অবরোধ করেন প্রায় আট বছর । কিন্তু রাজপুত রাজাকে হার মানাতে না পেরে কৌশলের আশ্রয় নেন , বলেন আমার পদ্মাবতী চাইনা আমাকে সমুদ্রের রত্ন দিন । রাজা এই কৌশলে ভুলে আলাউদ্দীনকে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানায় । আলাউদ্দীন পদ্মাবতীকে দেখার আশায় একদিন ঝারোখায় এক আয়না রাখেন এবং ছল করে দাবা খেলতে থাকেন রাজার সাথে । পদ্মাবতী কৌতহল বশত ঝারোখায় দেখা করতে আসে তখন আয়নায় পদ্মাবতীর রূপ দেখে পাগল হয়ে যায় । চিতোর ত্যাগ করার দিন অষ্টম ও শেষ গেটে এসে কৌশলে রাজা রত্নসেনকে বন্দী করে দিল্লীতে নিয়ে এক ছোট্ট কুঠুরিতে রেখে দেন । কিন্তু বুদ্ধিমতী রানী পদ্মাবতী গোরা ও বাদলকে দিয়ে কৌশলে রাজাকে মুক্ত করে । পদ্মাবতী আলাউদ্দীনকে খবর পাঠায় রানী পদ্মাবতী নিজে আসবেন দেড় হাজার পালকি নিয়ে । কিন্তু পালকিতে প্রশিক্ষিত রাজপুত সেনা ও একজন দক্ষ লোহারুকে পাঠায় । সেই পাল্কির দল দিল্লী পৌঁছায় এবং রাজা রত্নসেনের সাথে দেখা করতে চায় । তখন পালকি থেকে লোহারু বেরিয়ে রাজাকে মুক্ত করে , বাদল রাজাকে নিয়ে রওয়ানা দেয় । এই কথা জেনে আলাউদ্দীন রাজাকে তাড়া করে কিন্তু রাজপুতদের সাথে প্রবল যুদ্ধ করেও রাজাকে ধরতে পারেনা । রাজা চিতোরে পৌঁছায় । কিন্তু সেখানে গিয়ে পদ্মাবতীর কাছে আরেক রাজা দেবপালের ধৃষ্টতার কথা শুনে তাজে দ্বৈরথে আহবান জানায় । দেবপাল সেই দ্বোইরথে নিহত হয় এবং রাজা রত্নসেনও কিছুদিন পরে ঐ আঘাতে মারা যান । তখন আলাউদ্দীন পদ্মাবতীকে পাওয়ার আশায় আবার চিতোর আক্রমন করে চিতোরে প্রবেশ করে এবং দেখে রানী পদ্মাবতী জহর ব্রত অবলম্বন করে জ্বলন্ত চিতায় জ্বলছে । এই হল পদ্মাবতী কাহিনী । আল্লাউদ্দীন পদ্মাবতীকে সরাসরি কোনোদিন দেখেননি পর্যন্ত নিজের চোখে , সেখানে আলাউদ্দীনের সাথে পদ্মাবতীর প্রেমের সম্পর্কের কথা বলে সঞ্জয় লীলা বনশালীর কোটি কোটি টাকার সুটিং এর সেট নষ্ট করে দেওয়ার মধ্যে কি থাকতে পারে । সঞ্জয় লীলা বনশালী এই পদ্মাবতী গীতিনাট্য প্যারিসে করিয়েহেন পর্যন্ত । আসলে বর্তমানে নাতসি বাহিনীর মতো একটা ওয়েভ ভারতে চলছে তাই পদ্মাবতীরা বিড়ম্বিতই থেকে গেলেন ।
    ------------- আবুল ফজল , হাজি-এল-দাবির এই ঘটনার সত্যাতা বর্ণনা করেছেন যদিও তাদের লেখায় অনেক অসঙ্গতি আছে এবং কর্নেল টড তাঁর সুবিখ্যাত ANNALS AND ANTIQUITIES OF RAJASTHAN নামক গ্রন্থে উক্ত ঘটনার অসঙ্গতি থাকা সত্বেও উক্ত ঘটনাকে ইতিহাস বলে প্রতিপন্ন করেছেন । কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকগণ বিশেষ করে জি এস ওঝা , কে এস লাল মনে করেনোই ঘটনার কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা নেই । আলাউদ্দীন যখন চিতোর আক্রমণ করেন তখন চিতোরের রানা ছিলেন রতন সিং হ । পদ্মিনী বা পদ্মাবতী রতন সিং হের স্ত্রী ছিলেন না । পদ্মিম্নী ছিলেন ভীম সিং হের রানী এবং তা দেড়শো বছর পরে । আলাউদ্দীনের আক্রমনের সময় পদ্মিনী ছিল প্রকৃতির গর্ভে ।
    --------- তাই বর্তমানে হিটলারকে খুশী রাখতে যেমন তার স্তাবক বাহিনী তৈরি হয়েছিল সেই রকমই বর্তমান কালে শাসকদের খুশী রাখতেই রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তাবক অধ্যাপকেরা নতুন ভাবে পদ্মিনীর নির্মাণ করে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চায় । সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমা বন্ধ করতে চায় । হিটলারের পরিণতি সবাই জানে , এদের পরিণতি কি ?
  • Du | 182.58.104.166 | ২০ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৫৪370297
  • বাহ গল্পটা জেনে খুব ভালো লাগলো।
    বিজেপি হাওয়া না দিলে এত কিছু হত না। বিজেপি বিহনে কর্নি সেনার আওয়াজ আন্না হাজারের মতই মিলিয়ে যেতো।
  • শঙ্খ | 92.145.220.196 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৭370298
  • আচ্ছা, পুরোটাই ভনশালির পেইড পাবলিসিটি না তো? ফুটেজ খাবার জন্যে এরা অনেক কিছু করতে পারে।
  • শঙ্খ | 92.145.220.196 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৫370299
  • আর দাদা, ‘পাত্রী চাই’ কলামের বিজ্ঞাপনে ‘ফর্সা ও প্রকৃত সুন্দরী কাম্য’ টাই চোখে পড়লো? 'পাত্র চাই' তে 'উচ্চপদস্থ, সুউপায়ী, সুপ্রতিষ্ঠিত ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার কাম্য' (আজকাল আবার IIT/IIM এবং নির্দিষ্ট মিনিমাম প্যাকেজও বলা থাকে, এই যেমন ১৫/১২ LPA) সেটাও দেখুন। কেউ সৌন্দর্য দিয়ে প্যাকেজ কিনছে, কেউ প্যাকেজ দিয়ে সৌন্দর্য।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪২370300
  • আহা, আলাউদ্দিনকেও কাল্পনিক বলে দিচ্ছে না তো? তাহলে বেশ হত । আপদ যেত তবে । ঃ-)
  • PT | 213.110.242.20 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৩৭370301
  • শুধু নাচ দিয়ে বিচার করলে অবিশ্যি বনশালীর বিচার-বোধের বা সামাজিক অথবা ইতিহাসের বিবেচনার তারিফ না করেই পারা যায় না। পার্বতী আর চন্দ্রমুখীকে দুগ্গা পিতিমের সামনে একঘর শাউড়ি-ননদের উপস্থিতিতে একসাথে নাচতে দেখে কত বাঙালী শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল তার খবর কে রেখেছে?
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০২370302
  • তাও ভালো। শাশুড়ীদেরও যে নাচতে লাগিয়ে দেয় নি সেই তো অনেক । ঃ-)
  • ??? | 116.208.74.139 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২৩370303
  • ঐ সিনেমার এক প্রোডিউসার ভায়াকম ১৮র মালিক মুকেশাম্বানি। এই বার দুয়ে দুয়ে চার করে নিন। আপাতত হাওয়া গরম করে বড়দিনের ঠিক আগে রিলিজ হবে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২৭370304
  • তা এরা ওই ব্যাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? আফ্ট্রল, সবাই তো একই দল । ডাকাতিয়া ।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪১370305
  • অরিজিৎ, শঙ্খদা, সেতো সোশ্যাল কণ্ডিশনিং এ মেয়েদের গৃহকর্মনিপুণা আর ছেলেদের সুউপায়ী , এই দুটোই পড়বে, একই কণ্ডিশনিং এর এপিঠ ওপিঠ।

    পদ্মাবতী তর্ক থামলে এই সামাজিক নির্মাণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কাল ভাটের আলোচনা থেকেই মনে হচ্ছিল, এই ছেলেরা রান্না তেমন পারে না, আর মেয়েরা পারে ( করা না করা বলছিনা) , এ কাঁচা বায়োলজি না সোশ্যাল কণ্ডিশনিং। বস্তুতঃ জেন্ডার স্টিরিওটাইপিং এর বেশিরভাগ ট্রেইট নিয়েই প্রশ্ন করা যায়।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৪370307
  • পারফেক্ট জিলিপি ভাজনের বিষয়, বছরের পর বছর চলতে থাকবে গোল গোল গোল গোল । ঃ-) অনন্ত সার্কাস। ঃ-)))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন