এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিজিৎ মন্ডল | 18.37.235.189 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৬370308
  • এই লেখাটি দেবশ্রী মিত্র লিখেছেন।

    কার্ণী সেনার মূর্খামি আর গাম্বাটপনা বাদ দিয়ে অন্য কিছু বলা যাক।

    রাজতন্ত্র ব্যাপারটাই গোলমেলে জিনিস। অসীম ক্ষমতা হাতে এলে মানুষের যা খুশি করার অভ্যাস তৈরী হতে দেরী লাগে না। ভারতে সনাতন ধর্ম তাই কতগুলি নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল রাজত্ব আর যুদ্ধ করার। রাজার রাজ্য তাঁর সম্পত্তি নয়। রাজা ঈশ্বরের প্রতিভূ। তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে রাজ্য চালান। তাই রাজস্থানে রাণারা ছিলেন "একলিঙ্গজীর দেওয়ান" বা শিবাজী মহারাজের রাজ্য আসলে তাঁর গুরুর চরণে অর্পিত, তিনি গেরুয়া পতাকাধারী সেবক মাত্র। এই প্রথার সবচেয়ে বড় সুফল হল, ধর্মভীরু রাজা সজ্ঞানে অপরাধ করতে ভয় পান। রাজ্য ঈশ্বরের, তাঁর দেওয়ান হিসাবে তাঁর রাজ্য কুশাসন করলে, অনন্ত নরকবাস হবে। যুদ্ধেরও নিয়ম ছিল। রাতে যুদ্ধ করা যাবে না, যুদ্ধজয়ের পর কোন নাগরিকের প্রাণহানি বা লুটতরাজ নিষিদ্ধ ছিল। মহিলাদের অপমান করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হিসেবে দেখা হত। এমনকি বিজিত "রাজার সাথে রাজার মত" ব্যবহার ছিল যুদ্ধের নিয়ম। দূত ছিল অবধ্য। এমনকি তার অঙ্গহানি বা অপমান অবধি নিষিদ্ধ। শান্তিকালে একমাত্র ভিন্ন রাজ্যের গুপ্তচর ছাড়া অন্য কারো প্রাণ নেওয়া অপরাধ বলে গণ্য হত। নিয়মকানুনের ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই হত। মানুষ কিছু আর সবসময় আদর্শ হয় না। তবে রুলবুক বলতে এগুলো বোঝাতো। এর বাইরে যাওয়া রাজাকে মোটামুটি খারাপ রাজা হিসাবেই দেখা হত। অশোকের স্ত্রী তাঁকে ত্যাগ করেছিলেন অন্যায় ভাবে নিজের ভাইদের হত্যা করায়। রাজ্যশ্রীর ভাইয়ের প্রতিশোধস্পৃহা যত না বোনের স্বামীর যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুতে, তার চেয়ে বেশী তার বোনকে বন্দী করায়। প্রসঙ্গত, তাঁর সাথে বন্দী করা ছাড়া অন্য কোন অপরাধ হয়েছিল বলে প্রমাণ নেই। তবুও রানীকে বন্দী করা ছিল অমার্জনীয় অপরাধ। শিবাজী যেকোন দুর্গ দখল করার সময় কোন মহিলার অসম্মান যাতে না হয় তার পরিষ্কার নির্দেশ দিতেন, অন্যথায় অসম্মানকারীর কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ছিল।

    ফলতঃ এদেশে মুসলিম শাসকরা আসার সাথে সাথে হিন্দুরাজ্যশাসন পদ্ধতি একটা বড় ধাক্কা খায়। ইসলামে ধর্মযুদ্ধের কোন পদ্ধতি নাই। মারি অরি পারি যে কৌশলে হল তাঁদের পদ্ধতি। ঠিক কি ভুল, সে প্রশ্ন পরে, আগে তো হিন্দু রাজাদের বুঝে উঠতেই সময় গেল যে এদের সাথে কিভাবে লড়বেন। কোন রাজা যে নারীলুন্ঠন করতে পারেন, এ তাঁদের স্বপ্নেরও অগোচর ছিল। রানীকে, সে বিজিতের রানী হলেও, যে কেউ কামনা করতে পারে, বা জোরপূর্বক অঙ্কশায়িনী করতে পারে, এ তাদের কাছে ভাবনার বাইরে। হিন্দুধর্মে বালীর পত্নীকে সুগ্রীব বিবাহ করেন বটে, কিন্তু তা জবরদস্তি বিবাহ নয়। সে কারণেই তারাকে সতীশ্রেষ্ঠার মধ্যে গণ্য করা হয়। রাবণ পর্যন্ত সীতাকে স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখায় নি। কিন্তু এই যে নতুন শত্রু, এর হাত থেকে বাঁচার জন্যই জহর প্রথার উদ্ভব।

    রাজস্থানীরা বলে, আমাদের রানীরা তাঁদের ইজ্জত রক্ষার জন্য সানন্দে প্রাণ দিতেন। ইজ্জত শব্দটা আজকের নারীবাদীদের কানে লাগে, সঙ্গত কারণেই। নারীর ইজ্জত তাঁর শরীরে বা যোনিতে থাকে না, এ একটা অত্যন্ত জরুরী শিক্ষা। এবং সঠিক শিক্ষা, কোন সন্দেহ নেই তাতে। ইজ্জত রক্ষায় প্রাণ দেওয়াটা সঠিক শব্দচয়ন নয় বটে, কিন্তু এই লুন্ঠিত মহিলাদের কী ভবিতব্য হত, খুব পরিষ্কার। কমলার মত দু'চারজন হয়ত শুধুমাত্র একজন দ্বারাই ধর্ষিতা হতেন। বাকিরা হাত বদলাতো। যৌনদাসী রাখা ইসলামে হারাম নয়। দাসদাসী কেনাবেচাও নয়। কাজেই মৃত্যু আর নাহলে হাত বদলে যৌনদাসী হওয়া, এ ছাড়া এই মহিলাদের সামনে অন্য কোন রাস্তা খোলা থাকতো না। এখনই আমরা মেয়েদের পালটে মারতে শেখাই না, তখনকার অসূর্যস্পর্শা রানীরা কিছু লড়ে মরতে জানবেন, এ মূর্খের আশা। সে হিসেবে, মৃত্যু ছিল মুক্তিস্বরূপ। তাঁরা মৃত্যু বেছে নিতেন। যখন দুর্গের পতন অবশ্যম্ভাবী, পুরুষরা যেতেন শেষ যুদ্ধে আর নারীরা যেতেন জহরে। আগুনকে পুজা করে, প্রদক্ষিণ করে, গান গাইতেন তাঁরা, তাতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে। হিন্দু ধর্মে অগ্নি অতি পবিত্র বলে মান্য, সকল সংস্কারে অগ্নির ব্যবহার হিন্দুদের প্রথার মধ্যে পড়ে, এবং বিবাহসংস্কারে অগ্নিকে সাক্ষী করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই অগ্নিদেবের কাছে আশ্রয় চাইতেন নারীরা। সালঙ্কারা নারীরা শিশুসন্তান সহ অগ্নিতে ঝাঁপ দিতেন। এবং যেটা সম্ভবত অজানা, জহর ব্রত শেষ হলে তবেই পুরুষরা, অর্থাৎ দুর্গের অবশিষ্ট মানুষজন বেরোতেন "সাকা"য়। সাকা এবং জহর দুই অবিচ্ছেদ্য প্রথা। একটি হলে আরেকটি পালন অবশ্যম্ভাবী, জহর সম্পন্ন হওয়ার পর সাকা না করা অপরাধ। এই প্রথায় পুরুষরা কখনো দুই বা তিনজন এক এক দলে দুর্গের বাইরে যেতেন, যাতে মৃত্যু নিশ্চিন্ত হয়। যেহেতু যুদ্ধে অস্ত্র বিনা মৃত্যু ক্ষত্রিয়ের পক্ষে পাপ বলে গণ্য হয়, তাই তাঁদের হাতে নিয়মরক্ষায় অস্ত্র থাকত বটে, কিন্তু এ একরকম বিনা যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করার প্রথা ছিল। সংসারের সব হাসি আর আনন্দ মুছে যাওয়ার পর কে আর লড়তে চায়? জহর এবং সাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তখনই, যখন যুদ্ধে জয়লাভের আর কোন সম্ভাবনাই নেই এবং সসেই সিদ্ধান্তগ্রহণ সভায় অবরোধের আড়ালে থেকে রানীকে সম্মতি দিতে হত সমস্ত নারীর পক্ষ থেকে। চিতোরের বিখ্যাত জহর এবং সাকার আগে অবরোধ চলেছিল প্রায় আট মাস। দুর্গে খাদ্য এবং জলের সম্ভার শেষ হয়ে যেতে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং চিতোর একমাত্র দুর্গ নয়, যা খিলজীর আক্রমণের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেয়। জয়সলমীর এবং রণথম্ভোরেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটে।
    আজকের দিনে, যখন আইএসের কব্জায় থাকা ইয়াজিদি মহিলারা সকাতর অনুরোধ করেন ন্যাটোকে তাঁদের ওপর বোমাবর্ষণ করতে, যাতে তাঁদের নিয়মিত হাত বদলে বদলে ধর্ষিতা হওয়া বন্ধ হয়, আমি অন্তত রাজপুতদের জহর ব্রতকে রাজপুতানীর "চয়েস" হিসেবেই দেখবো। মৃত্যু এই পরিস্থিতিতে মুক্তিমাত্র ছিল তাঁদের কাছে। অবশ্যই পরিস্থিতি বদলেছে, তাই আজ বা সে অর্থে দেড়শো বছর আগের সেই মহিলার কাছেও মৃত্যু "অপশন" ছিল না, যিনি তাঁর শিশুপুত্রকে পিঠে বেঁধে রাতের অন্ধকারে অশ্বপৃষ্ঠে সওয়ার হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্রুবাহিনীর মধ্যে। আজও তাঁর কিল্লায় গেলে গাইড দেখায়, কোন দুর্গ প্রাকারের উচ্চতা থেকে তিনি, অশ্বারূঢ়া জননী, লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিলেন তরবারি হাতে।
    বুন্দেলে হরবোলে কে মুহ শুনি হামনে কহানী থি।
    খুব লড়ি মর্দানী উয়ো তো ঝাঁসিওয়ালি রানী থি॥
    আজ তাঁর জন্মতিথি। আমরা নিশ্চয়ই চাইবো আমাদের সন্তান মনিকর্ণিকা হোক, কিন্তু যে রাজপুতানীরা সাহসী মৃত্যু বেছে নিয়েছেন অগ্নিতে, তাঁদের দিকে তাকিয়ে যেন নাসিকাকুঞ্চন না করি। সেই অর্থে তাঁরাও প্রমাণ করে গেছেন যে, আমার শরীরে আমারই অধিকার, অন্য কারো না। হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের সময়ে এবং পরিস্থিতিতে হয়তো তাঁদের মৃত্যু তেমন মহান লাগে না, তবে সময় বদলেছে বলেই তাঁদের সাহস আর ধৈর্য কিছু ছোট হয়ে যায় না।
    আমি এঁদেরকেও লক্ষ্মীবাইয়ের মত সাহসী নারীদের মধ্যেই স্থান দেবো।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২২370309
  • বাপ্স ! চাড্ডি ফেমিনিজম আংগেল !
  • S | 184.45.155.75 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৩৪370310
  • না সত্যিই ভালো লেখা। খুব দরদ দিয়ে লেখা। অনেক কিছু জানতে পারলাম, বুঝতে পারলাম।

    শুধু একটা জিনিস বুঝলাম না। দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কেটে গুজরাতে-রাজস্থানের বিজেপি এমেলেদের ছাড়া আর কার কার ইজ্জত রক্ষা করা হবে?

    তবে কি জানেন, পদ্মাবতী করতে প্রায় ২০০ কোটি খরচ হয়েছে। বাহুবলী ১ এর প্রায় সমান। এই কন্ট্রোভার্সি না হলে কজন গিয়ে দেখতো, সেটা অজানা রয়ে গেলো।
  • dd | 59.207.56.153 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৩৭370311
  • দেবশ্রী মিশ্রের লেখাটা ভালো লাগলো।

    জওহর ব্রতের সম্বন্ধে সব সময়েই একটা নাক কুঁচকানো ভাব ছিলো আমার। এখন এই লেখাটা পড়ে মনে হল এটাও একটা অন্য দৃষ্টিকোন থেকে দেখা যায়।

    আর রাজস্থানে সতীপ্রথা নিয়ে একটা দুর্দান্ত আবেগ উদ্বেলতা আছে । বহ বহু বছর ধরেই। অনেক প্রজন্ম ধরে। যেটা অন্য প্রদেশে বাস করে টের পাওয়া যায় না।
  • S | 184.45.155.75 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৪370312
  • " রাবণ পর্যন্ত সীতাকে স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখায় নি।"
    এটাও ইতিহাস বইতে লেখা আছে?

    আর সেতো সত্য না ত্রেতা যুগের কথা। তখনকার রুলবুক নিস্চই আরো একদম ইসে মানে পবিত্র ছিলো। তাইলে দ্য গ্রেট রামচন্দর তার ওয়াইফকে এমন বারে বারে পরীক্ষা দিতে পাঠাতেন কেনে?
  • S | 184.45.155.75 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৫370313
  • আর মহাভারতের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
  • | 144.159.168.72 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:০৬370314
  • আহেম ... রূপ কানোয়ারকে খুন তথা সতী বানানোর পর কিন্তু আইনে খুব স্পষ্ট করে এই সতী বানানোর গ্লোরিফিকেশানকেও মানা করা হয়েছে।
  • amit | 213.0.3.2 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:০৯370315
  • বিতর্ক হোক, কাউন্টার যুক্তি, কেস স্টাডি সাজানো হোক। কিন্তু দেবশ্রী মিশ্রের লেখাটির প্রেক্ষিতে "চাড্ডি ফেমিনিজম আংগেল " ধরণের মন্তব্য খুব প্রয়োজনীয় কি ?
  • sm | 52.110.180.154 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১২370316
  • রাজস্থানে অনেক সতী মন্দির আছে। লোকজন পুজো ফু জো ও দেয় শুনেছি। তো সুপ্রিম কোর্ট সেগুলো কে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় নি কেন?
  • T | 165.69.191.252 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১৫370318
  • ইয়ে, এইরম রুলবুক ইত্যাদির রেফারেন্স কি?
  • | 144.159.168.72 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১৫370319
  • দুর বাবা রামচন্দোর তিন তিনবার পুড়িয়ে মারতে না পেরে শেষে বউকে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল।
  • | 144.159.168.72 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১৬370320
  • আর ইয়ে উনি মিশ্র নন মিত্র, দেবশ্রী মিত্র। উনি সম্ভবতঃ জানেনও না এখানে ওঁর লেখা রেফারড। নামটা অন্তত ঠিক করে লিখুন মশাইরা।
  • amit | 213.0.3.2 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:২১370321
  • রাম চরিত্র টাই তো কাল্পনিক। কোনো প্রমান আছে কি সেটা রিয়েল ? তো তিনবার পুড়িয়ে না একবার পুঁতে, এই নিয়ে এতো লড়তে গেলে তো সেটাকে ঐতিহাসিক চরিত্র বলেই ধরে নিতে হয়।
  • T | 165.69.191.252 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:২৪370322
  • এই যে, শুধুমাত্র দিনের বেলায় যুদ্ধ করা যাবে, গুপ্তচরকে মারা যাবে না, বা রাজার সাথে রাজার মতো ব্যবহার, এইসব যে হ'ত ইত্যাদির রেফারেন্স জানতে চাইছি। পড়তাম।
  • একক | 53.224.129.47 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৩০370323
  • যৌনদাসী হতে সমস্যা কি "যৌন" বলে না দাস বলে ? ইজ্জত যখন যৌনতায় যুক্ত নয় , তাহলে বোঝাই যাচ্চে "দাসী" বলে । তো , দাস হিসেবে থেকে বিদ্রোহ করা বা জাল কেটে বেড়িয়ে আসার ঘটনাও তো খ্রিস্টজন্মের আগেও ঘটেছে । তাহলে শুধুইদাসত্বের ভয়ে আত্মহত্যা নাকি "যৌন " বলে ? সেক্ষেত্রে তো ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান :)

    বা ধরুন , এতই যখন শহীদ হবার ইচ্ছে , তখন মোল্লাদের সঙ্গে শুয়ে আর না হোক পাঁচটা মোল্লা সিপাহসালার বা একটা বাদশাহ কে বিষ খাইয়ে মারতে পারলে তো দেশ ও জাতির আর ও উবগার হতো তাই না ? সেটাই বা অপশন নয় কেন ।যুদ্ধ করতে না শিখুন , বিষ খাওয়াতে কি মেয়েরা জানতেন না ?

    অবিশ্যি .....................এই গুরুতেই এক জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধে পড়েছিলুম , কীভাবে বাংলাদেশের মহিলারা যাঁরা কিনা ঘরে কুটনো কুটছিলেন , অকস্মাৎ খান সেনার আক্রমণে ধর্ষিত হন এবং "শহীদের " মৃত্যু বরণ করেন । ভলান্টারি একশন নয় । একেবারে ঝড়ে কাগ মরে ধর্ষিতা । তাতেই "শহীদ " । সে তুলনায় চিতোরের মহিলারা তো ভলান্টারি , সে সানি ধাপা যাই হোক ।

    ভালো নাটক চলছে চাদ্দিকে ........

    ও হ্যা , লেলীরা ভীসহম সাহানির তমস এর সেই কুয়োতে ঝাঁপ দেওয়া নিয়ে কী মনে করেন ? :)
  • dc | 132.174.116.6 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৩৫370324
  • জহরব্রত আর সতীদাহ নিয়ে আমারও নাক কুঁচকানো ভাব ছিল বা আছে। এতোটাই যে পদ্মিনী/পদ্মাবতীর গল্প সেই কোন ছোটবেলায় পড়ে তখ্নই ব্যপারটা অসহ্য লেগেছিল। সে অবশ্য সীতার অগ্নিপরীক্ষাও অসহ্য লেগেছিল।

    "ঐ সিনেমার এক প্রোডিউসার ভায়াকম ১৮র মালিক মুকেশাম্বানি।"

    এটা কদিন ধরে আমারও মনে হচ্ছে। এই কন্ট্রোভার্সি কিন্তু ফিলিম প্রোডিউসার, ডিরেক্টার, বিজেপি, সবার জন্যই উইন উইন। একদম গ্রাসরুট লেভেলে অস্মিতাও হলো, আবার সিনেমাটা যখন রিলিজ হবে তখন লোকজন হৈহৈ করে দেখতেও ছুটল :d
  • S | 184.45.155.75 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪১370325
  • খুব মিষ্টি করে সফ্ট হিন্দুত্ব ছাড়া আর কিছু দেখালেই বরন্চ অবাক হবো।
  • | 144.159.168.72 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪৬370326
  • #ঝুড়ি্‌কোদাল
    এঁজ্ঞে কাইব্যেই তিনবার পুড়িয়ে মারার চ্যাষ্টা করে না পেরে তারপর পুঁতে দেবার কাহিনী আছে। রূপক ফুপক দিয়ে। তা আমি যখন লিখছি সেই কাইব্য রেফার করছি, নিজের বিশ্বাস ফিশ্বাস নয়।
  • | 144.159.168.72 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪৯370327
  • একক,

    পান্জাবে তিন রকমভাবে অনার কিলিং হয়েছিল পার্টিশানের সময়। আফিম ধরিয়ে দিয়ে নে খা, কুয়োতে ঝাঁপিয়ে আর কৃপাণে গলা কেতে (এইটে সবচেয়ে কম)। ঐ কুয়ো বেশ ফেমাস হয় পরে। নেহেরু গিয়ে ম্যালা কান্নাকাটি করে কুয়ো বুজিয়ে দেন। ওয়েল ডকুমেন্টেড ফ্যাক্ট।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১১:০৫370329
  • এই লেখাটার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সোশ্যাল কণ্ডিশনিং কাকে বলে বুঝছি। ওরকম পরিস্থিতিতে না থাকা লোকজনকেই এত ভাল করে বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওখানকার মেয়েদের ঐ আবহে ব্রেনওয়াশ তো সহজ ব্যাপার।

    তা, মেয়েরা নাহয় প্রাণ যায় পর 'সম্মান' না যায় করতে দলে দলে ঝাঁপ দিলেন ( সেখানে একটি আলাদা মেয়ের আলাদা মতামত বলাই বাহুল্য কিছু থাকবেনা), কারণ কে না জানে, মেয়েদের 'সম্মান' এর থেকে বড় আর কিছু হতেই পারেনা, প্রাণ তো নাই, কিন্তু বাচ্চাদের ঝাঁপ দেওয়াবার ব্যাখ্যাটা কী ?
    আরেকটা লেখায় আবার দেখলাম, এই জওহর বিনয় বাদ্ল দীনেশ প্রীতিলতা মাতঙ্গিনীর সাথে তুলনীয়। কীভাবে কেউ বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়।
    আর তার সাথে এটাও বুঝিয়ে দিলে, এটাতে নতুন কী কারণ পাওয়া গেল ? ছোট থেকেই এই সম্মান, ভবিষ্যতের অত্যাচারের হাত থেকে মরে বাঁচা, এসবই তো বরাবর পড়ে আসছি। যুক্ত হয়েছে মেয়েদের জন্য হিন্দুদের সব ভাল ছিল, অনেক 'সম্মান' ছ্হিল ( যেন হিন্দু রাজাদের অনেক রাণী থাকতেন না ! ) মুসলিমদের সব খারাপ, এই ধাঁচটা তো আর কম দেখছিনা ইদানিং । সেই নামাজ টামাজ নিয়েও দেখলাম। এই লেখাও এখন দেখছি গ্রুপে গ্রুপে শেয়ারড ।

    আচ্ছা, আর এস এস বা ক্লোজেট আর এস এস ফেমিনিজম আংগেল বলি। যেটা যা, তাকে তো তাই বলতে হবে।
  • de | 69.185.236.55 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১১:০৮370330
  • এইসব মেয়েরা না মরে অনেক বেশী শত্রু ধ্বংস করতে পারতো তো! এই ইজ্জতের বারটা না খেলে আর ঠান্ডা মাথায় ভাবলে পুরো রাজপুতেদের মৃত্যুর বদলা নিতে পারতো। সেটা না করে আত্মহত্যায় আমি গ্লোরি একটু কমই দেখি -

    এইসব সা নি থেকেই এখনো ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করার আগে পরিবারের কত্তা স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে মেরে তারপর আত্মহত্যা করেন।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১১:০৯370331
  • এই একই ভাবে নিশ্চয় অনার কিলিং ও জাস্টিফায়েড হয়। এই গণহারে আত্মহত্যা, বাচ্চাদের মারা, গ্লোরিফায়েড অনার কিলিং ছাড়া আর কি ?

    ঐ ধর্ষিতা যখন আত্মহত্যা করেন, সেও একই জিনিস আদতে।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১১:১৪370332
  • দেদি, ব্লগে অভিজিতের লেখাটা দ্যাখো।
  • hu | 108.228.61.183 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৪১370333
  • অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে কারোর তো আত্মহত্যার ইচ্ছা হতেও পারে। শত্রুশিবিরে গিয়ে লড়াই করতে হবে ভেবে কারোর ক্লান্তি আসতে পারে, ভয় হতে পারে। মনে হতে পারে এর চেয়ে নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু শ্রেয়। আত্মহত্যাকে ধিক্কার দেওয়ার মধ্যেও একটা মরালিস্টিক চিন্তাভাবনা কাজ করছে না তো? আত্মহত্যায় গ্লোরি নেই ঠিকই, আবার কেউ তার নিজের জীবন নিজের সিদ্ধান্তে শেষ করছে, এতে সমালোচনারও যুক্তি পাই না। জীবনের অধিকার তো যার জীবন শুধু তারই। এবার এটা বলা যেতেই পারে জহরের মত একটা রীতি, যেটা পুরোটাই সংস্কার, সে জিনিস চয়েস নয় কিছুতেই, কারণ স্বাধীন চিন্তার সুযোগও পায়নি সে মেয়ে। সতীদাহকে একসময় স্বেচ্ছায় স্বামীর চিতায় প্রাণ দেওয়া বলে গ্লোরিফাই করা হত সেটাও সত্যি। আবার নিজের জীবনের ওপর একটা মানুষের অ্যাবসলিউট অধিকার, এটাও তো সত্যি। আসলে এতগুলো সত্যি রয়েছে যে জোর গলায় "এটি ঠিক, ওটি ভুল" বলা একটু কঠিন।
  • pi | 24.139.221.129 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:০৪370334
  • আমি আগেরবার একটা লাইন লিখতে গিয়েও মুছে দিয়েছিলাম, যে জহর নিয়ে এত সমস্যার লাগত না, একটি দুটি মেয়ে এরকম ভেবে আত্মহত্যা করলে। কিন্তু এতো আত্মহত্যাই প্রথা, এতগুলো মেয়ে, ভাবতে বাধ্য হচ্ছে যে এটাই তাদের জন্য একমাত্র রাস্তা, আর এতেই গ্লোরি। সমস্যা এই চাপিয়ে দেওয়ায়। তখন মুছে দিয়েছিলাম, কারণ মনে হল, একা একজন ধর্ষিতার আত্মহত্যা নিয়েও তো আপত্তি করছি। কিন্তু ভেবে দেখলাম, দুটো নিয়েই আপত্তিতে বিরোধ নেই। ধর্ষিতার ক্ষেত্রেও তার চয়েজ কতটাই বা, সমাজের মেনে না নেওয়া, সমাজের ছিছিক্কার বা সমাজ সংজ্ঞাত সম্মান হারিয়ে যাওয়া, এসবই তো চাপ।
    সে অর্থে ধরতে গেলে, তর্কের খাতিরে তো আরোই, কোন আত্মহত্যাই হয়তো একেবারে বাইরের কোন চাপ রহিত, বিশুদ্ধ চয়েজভিত্তিক না। কিন্তু তবু তারতম্য থাকে। আর কোন গণাত্মহত্যাকে এভাবে গ্লোরিফাইও করা হয়না।
  • i | 212.159.136.80 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:১৩370335
  • সেই পথের পাঁচালীতে দুর্গা কেন স্কুলে যায় নি বিতর্ক মনে পড়ে যাচ্ছে। ঃ))

    সে যাই হোক, নিজেকে নিয়ে লজ্জিত কুণ্ঠিত থাকি। আপনাদের সেই কোন ছোটোবেলায় পদ্মিনীর গল্প পড়ে অসহ্য লেগেছিল অথচ আমার তো এখনও রাজকাহিনী পড়তে , পদ্মিনীর গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। চিতোরেশ্বরী উবেরদেবীর ম্যয় ভুখা হুঁ-সেই পদ্মিনীর বাপের বাড়ির লোক গোরা আর বাদল-বারো হাজার রাজপুতের মেয়ে অগ্নিকুন্ডের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে গাইছে-লাজহরণ , তাপবারণ-অবন ঠাকুরের ভাষায়' প্রচন্ড আলোয় রাত্রির অন্ধকার টলমল করে উঠল-বারো হাজার রাজপুতানীর সঙ্গে রাণী পদ্মিনী অগ্নি কুন্ডে ঝাঁপ দিলেন-চিতোরের সমস্ত ঘরের সমস্ত সোনামুখ, মিষ্টি কথা আর মধুর হাসি এক নিমেষে চিতার আগুনে ছাই হয়ে গেল'-তারপর সেই অজগরের মিথ-

    চারণের মুখে মুখে ফেরা গল্পই তো-কিছু ইতিহাস, কিছু বিচ্যুতি-
    তার পাল্টা গল্পই বা কেন লিখতে হবে প্রতিবাদ হিসাবে তাও বুঝি না-মরমে মরে থাকি।
  • dc | 132.174.116.6 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:২৬370337
  • এই রে, আমাকে যদি বলে থাকেন তাহলে আসলে আমিই ঠিকমতো লিখতে পারিনি, ভুল করেছি।

    "পদ্মিনী/পদ্মাবতীর গল্প সেই কোন ছোটবেলায় পড়ে তখ্নই ব্যপারটা অসহ্য লেগেছিল। সে অবশ্য সীতার অগ্নিপরীক্ষাও অসহ্য লেগেছিল।"

    দুটোই ভুল লিখেছি। আসলে এ দুটোর কোন গল্পটাই পড়িনি, অবন ঠাকুরের গল্পটাও পড়িনি, রামায়নো পড়িনি। এমনি এদিক ওদিক ভাসা ভাসা একদুলাইন পড়ে বা কারুর মুখে শুনে ব্যপারটা জেনেছি, তার বেশী পড়ার ইন্টারেস্ট পাইনি। এমনিতেও রাজাগজাদের গল্প সেভাবে কোন কালে পড়েছি বলে মনে পড়ছে না। ছোটবেলার থেকে অ্যাসিমভ আর ক্লার্ক পড়তে শুরু করে আর কোনদিকে তাকাতেই পারিনি ঃ( তবুও, কোনভাবে যদি আঘাত দিয়ে থাকি তো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

    আর পাল্টা গল্পটা প্রতিবাদ হিসেবে না, এমনি গল্প হিসেবেই ভাল্লেগেছে। স্টিমপাংক যেমন ভাল্লাগে আর কি, বা ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড একটা অল্ট-হিস্টরি হিসেবে ভাল্লেগেছিল, কিছুটা সেরকম। অল্ট-পদ্মাবতী হিসেবে ভাল্লাগলো।
  • Rabaahuta | 233.186.225.170 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:২৬370336
  • রাজকাহিনী মুগ্ধ হয়ে পড়ি বটে। বাপ্পাদিত্য সবচে প্রিয়।
  • dc | 132.174.116.6 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:২৭370338
  • যাগ্গে আপাতত সরি চেয়ে কাটলাম ঃ)
  • i | 212.159.136.80 | ২১ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৩১370340
  • দূর সরি চাওয়ার কি আছে? আপনার কথা আপনি লিখলেন, আমার কথা আমি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন