এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রগতিশীল বা লিবারাল স্বভাবের আইটি চাকুরীজীবীদের ফেসবুকীয় চরিত্র বিশ্লেষণ

    অরূপ
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২০৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরূপ | 160.107.213.172 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:২৫371250
  • আমাদের দেশে, ফেসবুক ব্যাবহারকারী শিক্ষিত চাকুরীজীবী শ্রেণীর একটা বড় অংশ আইটি বা আইটিইএস কোম্পানিতে চাকরি করে। এই শ্রেণীর সিংহভাগ মোদী সাপর্টার হলেও অনেক মানুষই আছে যারা যুক্তিসঙ্গত, প্রগতিশীল বা লিবারাল টাইপের। তারা ফেসবুকে রোজ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে বেড়ায়, অনেক বিষয়ে প্রতিবাদ করে। কিন্তু যখন এই প্রগতিশীল লিবারাল শ্রেণীর অপর বিপদ আসে তখন তারা কি করে? আদৌ কিছু করে কি?

    গত সপ্তাহে ভেরিজন ইন্ডিয়া প্রায় ১২০০ এমপ্লয়িকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে। তাদেরকে জোর করে রিজাইন করানো হয়েছে, আইটিতে যাকে বলে ফোর্সড রেসিগ্নেশন। জোর করে বের করে দেওয়া এমপ্লয়িদের মধ্যে একজন বলেছেন, এইচআর রুমে এক একজন করে তাদেরকে ডেকে রিজাইন করানো হয়েছে এবং সেই সময় এইচআর রুমে, বাউন্সার, সিকিওরিটি গার্ড ও ডাক্তারকে এনে রাখা হয়েছিল। জোর করে রিজাইন করানো এমনিতেই বেআইনি তার ওপর আবার বাউন্সার, ডাক্তার রেখে, মোবাইলে কেড়ে নিয়ে জোর করে রেজিগনেশন পেপারে সই করানোকে গুন্ডাগিরি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। এক মহিলা এমপ্লয়ি যে তিন মাসের অন্ত্বসত্তা ছিল তাকেও কোনোরকম আইন না মেনে বের করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে ফেসবুকে প্রতিবাদী আন্দোলনকারী অসংখ্য আইটি চাকুরেজিবীদের কাউকেই কোনো বক্তব্য রাখতে আমি শুনিনি। না আমি ওই গান্ডুদের দলে পড়ি না যারা বলে আপনি অমুক বিষয়ে বলেছেন তাহলে তমুক বিষয়ে বলবেন না কেন? আমি সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলছি যে বিষয় তাদের জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত। এই বছর কগ্নিযান্ট কোম্পানি প্রায় ১০,০০০ এমপ্লয়ি বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রায় ৫০০০-এর মত হয়ত বের করেছে। কোনো প্রতিবাদ করেছে ফেবসুকের এই আইটি শ্রেণী? ২০১৪ সালে টিসিএস কোম্পানি প্রায় ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ এমপ্লয়িবের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কোনো প্রতিবাদ? শুধু এই দুতিনটে কোম্পানি না ছোটো থেকে শুরু করে মাঝারি, মাল্টীন্যাশনাল, দেশি বিদেশি, কম বেশি হলেও অনেক আইটি কোম্পানিই ইদানিং কালে গন ছাটাই করেছে। এসব নিয়ে কোনো প্রতিবাদ চোখে পড়েছে? অন্য ১০ খানা বিষয়ে নিশ্চই প্রতিবাদ করবেন কিন্তু যে জিনিস দিয়ে নিজের সংসার চলে সে বিষয়ে কিছু বলবেন না কিছু করবেন না? চাকরি চলে গেলে বাড়ির ইএমআই-এর টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কয়েকমাস ইএমআই না দিলে ব্যাঙ্ক এসে আপনাকে আপনার ফ্ল্যাট থেকে তাড়িয়ে চাবি মেরে দেবে আপনি এই বিষয়ে কিছু বলবেন না? চাকরি চলে গেলে এক শহর থেকে অন্য শহর, সংসার ছেড়ে, বৌ, স্বামী ছেড়ে যাযাবরের মত জীবন যাপন করতে রাজি কিন্তু এই বিষয় প্রতিবাদ করার মুখ নেই?

    আমি অন্য চাকরির লোকেদের কি বলব? আমার নিজেরই চেনা পরিচিত আইটিতে চাকরি করা অসংখ্য মানুষ আছে যারা ফেসবুকে তাবড় তাবড় লিখে, লাইক ও কমেন্টসের মাধ্যমে বিপ্লব করে বেড়ায় কিন্তু আইটি চাকরি হারানোর বিষয়ে কথা বললে বা এই বিষয়ে কি করা যেতে পারে এসব নিয়ে বললে, তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তারা মোদীর রাজনৈতিক জয় / পরাজয় বিশ্লেষণ করতে, ডক্যুমেন্টারি সিনেমা দেখতে ব্যাস্ত অথচ একজন চাকরি হারানো মানুষের পাশে দাঁড়াতে বা তার সাথে লেবার কমিশনের অফিস যেতে এদের সময় নেই। আইটি ও আইটিইএস মিলিয়ে ভারতে প্রায় ৪০ - ৪৪ লক্ষ মানুষ চাকরি করে (ডায়রেক্ট এমপ্লয়মেন্ট) এবং এর দ্বিগুন চেয়েও বেশি পরোক্ষ কর্মসংস্থান (ইন্ডায়রেক্ট এমপ্লয়মেন্ট)। প্রায় ১ কোটি মানুষযে যে ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত সেখানে একটা ইউনিয়ন অব্দি নেই অথচ ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িদের ইউনিয়ন আছে। আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কেন ইউনিয়ন নেই সেটা অন্য প্রশ্ন কিন্তু যে কাজ ইউনিয়ন করে অর্থাৎ এমপ্লয়িদের অধিকারের পক্ষে কথা বলা, সেই ব্যাপারে আইটি ইন্ডাস্ট্রির এমপ্লয়িদের নিজেদেরই কি সেরকম উতসাহ আছে? একজন আইটি এমপ্লয়ি, শিক্ষিত হওয়ার এবং আধুনিক সুবিধা ও সামগ্রি পাওয়ার সুবাদে আইনের সমস্ত দিক গুলো সহজেই জেনে নিতে পারে সেই অর্থে সে একজন কয়লা শ্রমিক থেকে বেশি ক্ষমতাবান হওয়া উচিৎ নিজের অধিকার আদায় করার ব্যাপারে কিন্তু আমাদের দেশের আইটি এমপ্লয়িদের কি কোনও আইডিয়া আছে নিজের অধিকারের ব্যাপারে? না থাকলেও জানার ইচ্ছে, সংগঠিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?

    আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে বহু মানুষ আছে যারা এই জোর করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়াকে নির্দ্বিধায় সমর্থন করে। তাদের কথা হল, এটা চাকরির একটা অংশ, সব কোম্পানিই বের করে, নতুন কিছু না। সেই মানুষগুলো অন্য ব্যাপারেউ ঠিক এতটাই অনিহা দেখায়। কিন্তু আমি আইটিতে চাকুরীজীবী এমনও লোকজন দেখেছি যারা বাকি ১০টা বিষয়ে যুক্তিতর্কের সাথে কথা বলবে অথচ নিজের বেলায় সমস্ত যুক্তি নর্দমায় ফেলে দিয়ে বলবে "যে ভালো পার্ফরম করবে সে কোনোদিনই চাকরি হারানো নিয়ে ভাববে না। তার মধ্যে ট্যালেন্ট থাকলে সে অন্য চাকরি পেয়ে যাবে"। এইসব বিপ্লবীয় মানুষজনদের দেখে খুব খারাপ লাগে। হামেশাই দেখছি, নিজের আশেপাশে, ফেসবুকে, অফিসে। সাধারনভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার করলেও বোঝা যাবে ক্রমহ্রাসমান আইটি চাকরির প্রভাব শুধু আইটিতেই নয় সমগ্রভাবে পুরো অর্থনিতিতে পড়বে। ট্রিকেল ডাউন অর্থনিতি অনুসারে যদি ওপরের শ্রেণীর লোকজনের ক্রয় করার ক্ষমতা কমে যায় তাহলে তার প্রভাব সেই শ্রেণীর চেয়ে বেশি তার নিচের শ্রেণীর ওপর বেশি পড়বে। সরকার এইসব বুঝলেও কোনো কিছু করতে ইচ্ছুক নয়। অর্থাৎ সমীকরণটা এইরকম দাঁড়াচ্ছে, কোম্পানিগুলো গনহারে ছাঁটাই করছে কিন্তু এমপ্লয়িরা কিছু বলছে না সরকারও কিছু করছে না এবং আইটি চাকুরীজীবী ফেসবুকিয় প্রতিবাদীরা মোদী নিয়ে ব্যাস্ত।

    তবে এতকিছু বাজের মধ্যেও আশার একটা ছোট্ট আলো আছে। গত তিন বছর ধরে Forum for IT Employees বা FITE নামে আই ও আটিইএস ইমপ্লয়িদের একটা ফোরাম বিভিন্ন রাজ্যে এমপ্লয়িদের নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করা থেকে শুরু করে, আইনি সহায়তা করা ও সংগঠিত করার কাজও করছে। দেখা যাক তারা কতদুর সফল হয়।

    https://www.facebook.com/FITEKolkata/
  • স্বাতী রায় | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১৯371261
  • আমার আবার একটু অন্য ধারণা আছে। সেটা লিখতে শুরু করেহিলাম। কিন্তু এতই বড় হল যে মনে হল এটা কমেন্টে লেখার থেকে নিজের ব্লগে লেখা ভাল। লিঙ্কটা দিয়ে গেলাম এখানে ...http://www.guruchandali.com/blog/2017/12/20/1513712683281.html?author=swatir1509
  • Ishan | 202.189.128.15 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩১371272
  • আমারও লেখার আছে। বিশেষত বাউন্সারের গপ্পোটা পড়ে শিহরিত হলাম।
  • amit | 213.0.3.2 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৬371283
  • জোর করে রেসিগনেশন- এটা বুঝতে পারলুম না। কোম্পানি যদি ছাড়াতে চায় বিসনেস ডাউন সাইজিঙ এর জন্য বা ব্যবসা গোটানোর জন্য বা অন্য যাই কারণ হোক না কেন , তাহলে সেপারেশন লেটার দিতেই পারে, প্লাস যা যা সেপারেশন বেনিফিট পাওনা আছে এস পার কন্ট্রাক্ট, সেটা দিলে লিগালি কিছু বলার নেই। যারা এই জোর করে রেসিগনেশন লেটার দিয়েছেন, তাদের কি কোনো সেপারেশন বেনিফিট আটকে রাখা হয়েছে ? তাই যদি হয়, তারা আদালতে যাচ্ছেন না কেন ?

    আই টি বেশির ভাগ কোম্পানি বিদেশের কোম্পানিগুলোর অউটসোর্সিঙে কাজ করে, তারা কোনো ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস এ কাজ করছে না, সুতরাং সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা কেন থাকবে ? সরকার যথেষ্ট এক্সপোর্ট ট্যাক্স বেনিফিট দেয় সব আই টি কোম্পানি গুলোকে, যেটা অন্য ইন্ডাস্ট্রি পায়না। সেটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই কারণ ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আর ইন্ডিয়াকে একটা মেজর আই টি হাব বানানোর জন্য ওই সব ইন্সেন্টিভ খুব দরকার ছিল। এর পর সরকারের আর কি রোল থাকতে পারে ?

    আর ট্রিকলে ডাউন ইফেক্ট যদি বলা হয়, প্রত্যেকের কাজের ই কোনো না কোনো ট্রিকলে ডাউন ইফেক্ট আছে, যারা ঘরের কাজ করেন বা সবজি বিক্রি করেন তাদের ও । আই টি কে আলাদা করে ভাবা হবে কেন ?
  • স্বাতী রায় | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৫371294
  • @অমিত এটা আমারও জানা। কোম্পানিগুলো কোন এক কারণে চায় লোকে যেন রেজিগনেসন দেয়। আমার ধারণা রেজিগনেশন টা লিগ্যালি ক্লীনার দ্যান সেপারেসন। সেপারেসনে বোধহয় প্রুফ রাখতে হয় যে তাকে কম্পানীতে অন্য কাজের জন্য বিবেচনা করার চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু করা যায় নি। তবে এইচ আরের লোক বা লিগ্যাল এক্সপারট রা বেশি ভাল বলতে পারবেন।
  • amit | 213.0.3.2 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৩371305
  • স্বাতী, এটাই একটু অদ্ভূত লাগছে। যদিও বহু বছর ইন্ডিয়ার বাইরে, জানিনা ওখানে লিগাল সিস্টেম কি ভাবে হ্যান্ডেল করে এই ইসু গুলো কে। কিন্তু ডাউন সাইজিঙ করতে চাইলে সেটা সরাসরি বলতে অসুবিধা কোথায় ? জাস্ট জানতে চাইছি।

    আমি যে দেশে আছি, সেখানে আমারও চাকরি গেছে একবার, কিন্তু কোম্পানি সরাসরি সেপারেশন লেটার এ লিখে দিয়েছে যে কোম্পানি বিসনেস এর অবস্থা ভালো না থাকার কারণে বাধ্য হয়েছে হেডকাউন্ট কমাতে এবং আমার পারফরমেন্স নিয়ে তাদের কোনো প্রব্লেম নেই।

    কেও যদি রেসিগনেশন লেটার লিখে দেন তাহলে কিন্তু কোম্পানি এর কোনো দায়িত্ব থাকে না। সেটা কনসিডার হবে ভলান্টারী রেসিগনেশন। কোম্পানি এর তরফে সেটা সুবিধার , কিন্তু এতগুলো লোক যাদের চাকরি গেলো তারা কেও এই এঙ্গেলটা চিন্তা করলেন না ?
  • ... | 214.145.114.6 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮371308
  • দাদা, দেশটার নাম ভারতবর্ষ! এখানে ওভাবে সোজাসুজি ডাউনসাইজিঙ্গ হয় না। একটা বড় কোম্পানীর নাম করুন যারা লসে চলছে? এখানে যদি প্রেডিকটেড মার্জিন কমে যায় তখুনি শুরু করে দেয় ছাঁটাই। প্যাটার্ণ টা সোজা, অ্যাপ্রেইসালে র সময় ইচ্ছে করে বেশী বেশী লোক কে খারাপ রেটিঙ্গ দাও, সেই বিখ্যাত বেল কার্ভ মনে করুন। সুপার্ভাইসার দের বাধ্য করা হয় খারাপ রেটিঙ্গ দিতে। তারপর সেইসব হতভাগ্য দের খারাপ পার্ফর্মেন্স এর জন্য ছাঁটাই এর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যকমেইল করা হয়, যাতে তারা নিজেরাই রিসাইন করে। এভাবে কোম্পানীকেও আর কোনো compensation দিতে হয় না।
  • Ishan | 202.189.128.15 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৫371309
  • ওহো এ তো সোজা জিনিস। ছাঁটাইয়ের নানারকম লিগালিটি আছে। কমপেনসেশন দিতে হতে পারে। সেসব ছাড়াও আরেকটা জিনিস আছে। নোটিস পিরিয়ড। চাকুরেরা যাতে ঝট করে অন্য কোম্পানিতে লাফিয়ে না যেতে পারে, তাই এই নোটিস পিরিয়ড এখন তিন বা চার মাসের কম রাখা হয়না দেশীয় আইটি কোম্পানিতে। তার চেয়ে কম নোটিস দিলে, পয়সাটা চাকুরেকে কোম্পানিকে দিয়ে দিতে হবে। এবং ওই একই সূত্রে, কোম্পানি যদি ওই নোটিস না দিয়ে একদিনে চাকরি নট করে দেয়, তাহলে কোম্পানিকে ওই পয়সাটা দিতে হবে চাকুরেকে।

    যেটা করা হয়, সেটা হল, চাকুরেকে বলা হয় পদত্যাগ করো। পদত্যাগ না করলে তিন বা চার মাসের মাইনে চাকুরের প্রাপ্য। আর পদত্যাগ করলে সেটা তো সে পাবেইনা, উল্টে হিসেব অনুযায়ী সে-ই কোম্পানিকে তিনমাসের মাইনে দেবে। সেটা অবশ্য দিতে হয়না, মহানুভব কোম্পানি মকুব করে দেয়।

    প্রশ্ন হল, চাকুরে পদত্যাগ করে কেন? তাতে তো তার লাভ কিছু নেই। করে এই জন্য, যে, তাকে ভয় দেখানো হয়, পদত্যাগ না করলে তার ছাঁটাইয়ের চিঠিতে লিখে দেওয়া হবে সে অকর্মন্য, তাই তার চাকরি গেছে। ফলে পরের চাকরি আর পেতে হবেনা। এমনিতেই ভারতে চাকরি যাওয়া একটা কলঙ্ক, লোকে সন্দেহের চোখে দেখে। তার উপর চিঠিতে এইসব লেখা থাকলে আর দেখতে হবেনা। তাই সে ভয়ে ভয়ে পদত্যাগ করে ফেলে। বেনিফিটের চেয়ে পরের চাকরি আর সম্মানের দায় বেশি।

    সবাই এমন করে তা না। তবে বেশ কয়েকটা গপ্পো এরকম শুনেছি। যা মনে হয় মিথ্যে না। প্রথম বিশ্বের ছাঁটাইয়ের সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেললে হবেনা। দুটোই বেসিকালি চাঁটাই, কিন্তু প্রথম বিশ্বে, যাকে বলে জিলেট স্মুদ, আর ভারতে ধরে বেঁধে গদাম। এই আর কি।
  • Ishan | 202.189.128.15 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০১371310
  • ওই তো আরেকজনও লিখে দিয়েছেন। শুধু আরেকটা জিনিস বাদ গেল। এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা হয়তো নেওয়া যায়। কিন্তু লিগাল সিস্টেমও তো তথৈবচ। উকিলে কত পয়সা নেবে, কেউ জানেনা। আর আইটি কোম্পানিদের উকিলের জোর অনেক বেশি, এও সকলের জানা। অন্য কিছু না হোক, তারা স্রেফ ঢিলে দিয়েই কেস ঝুলিয়ে দিতে পারে। মামলা কত দশক চলবে কেউ জানেনা। এবং তার পরে গায়ে "এ তো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে" স্ট্যাম্প পড়ে যাবে। "এ তো ইউনিয়ন করে" স্ট্যাম্পের চেয়ে সে কিছু কম ক্ষতিকারক নয়।
  • aranya | 172.118.16.5 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৬371251
  • ছাঁটাইয়ের চিঠি পরের কম্পানি দেখতে চায়?
  • Ishan | 202.189.128.15 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৩371252
  • হ্যাঁ, দেশে 'রিলিজ লেটার' বলে একটা জিনিসের চল আছে। এক কোম্পানি থেকে আপনি যথাযথভাবে বেরিয়েছেন কিনা সেটা এতে তারা লিখে দেয়। পরের কোম্পানি সেটা চাকরি দেবার সময় দেখে। এবার 'যথাযথভাবে' মানে যা খুশি। বন্ড জাম্প করেছেন কিনা, পয়সাকড়ি মিটিয়েছেন কিনা। কোনো গোলমাল পাকিয়েছেন কিনা। ইত্যাদি। এসবের অথেন্টিসিটিও যাচাই করা হয়। নানারকম আড়কাঠি এজেন্সি আছে।

    আমেরিকা টামেরিকায় বন্ড বে-আইনি। একদিনের নোটিসে চাকরি ছাড়া যায়। গোলমাল পাকালে, যদি ক্রিমিনাল অফেন্স হয়, তো পুলিশে কমপ্লেন করতে পারে কোম্পানি, আর কিচু পারেনা। এবং রিলিজ লেটার বলে কোনো বস্তু এক্সিস্ট করেনা। ফলে আমেরিকার লেবার মার্কেট দিয়ে ব্যাপারটা বোঝা যাবেনা। দেশের তথাক্থিত 'মুক্ত বাজার' হল, কোম্পানিদের স্বার্থে, কোম্পানিদের জন্য এবং কোম্পানিদের দ্বারা পরিচালিত বাজার।
  • dd | 59.207.59.22 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:৫৮371253
  • যেমন ঈশেন লিখলো "প্রশ্ন হল, চাকুরে পদত্যাগ করে কেন? তাতে তো তার লাভ কিছু নেই। করে এই জন্য, যে, তাকে ভয় দেখানো হয়, পদত্যাগ না করলে তার ছাঁটাইয়ের চিঠিতে লিখে দেওয়া হবে সে অকর্মন্য, তাই তার চাকরি গেছে। ফলে পরের চাকরি আর পেতে হবেনা। এমনিতেই ভারতে চাকরি যাওয়া একটা কলঙ্ক, লোকে সন্দেহের চোখে দেখে। তার উপর চিঠিতে এইসব লেখা থাকলে আর দেখতে হবেনা। তাই সে ভয়ে ভয়ে পদত্যাগ করে ফেলে। বেনিফিটের চেয়ে পরের চাকরি আর সম্মানের দায় বেশি।"

    শোনা নয়, আমার জানা গল্প। আর আই টি নয়। আমি চিরকালই ম্যানুফ্যাকচারিং'এ কাজ করেছি, আর কন্স্ট্রাকশনে। সর্বত্রই এই জিনিস ঘটে। অহরহ।

    আইটিতে যেমন হাজারে রিক্রুট করে, ছাঁটাইও সেরকমই হয়, সংখ্যাটা তাই খবরের কাগজে ওঠে। অন্য সেকটরে আর সেটা তেমন "নিউস" হয় না।

    এটা আদৌ কিছু আই টি স্পেসিফিক সমস্যা নয়।
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 233.191.53.25 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:২৩371254
  • বাউন্সারের ব্যাপারটা নতুন কারণ সিটিএস আর টেক মাহিন্দ্রায় ওই বন্ধ ঘরের কথোপকথনের রেকর্ডিং বাজারে বেরিয়ে গেছিলো। তাতে এই কোম্পানিগুলোর "সম্মানহানি" হয়।
  • | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০৬371255
  • ট্রিপল ডট একদম ঠিক লিখেছেন। কোন কোং বলবেনা তারা লসে চলছে সে তাদের এবিটা নেগেটিভে চলে গেলেও। সবসময় 'লো পার্ফর্মারদের ছাঁটাই'করে।

    ভেরাইজনে শুনেছি ছাঁটাই কর বললেঅ বাউন্সার দিয়ে রেজিগন্রশান লেটারে সাইন করানো হয়েছে।
  • dc | 120.227.238.70 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:২৩371256
  • আইটিতে নাকি সব চাকরি এআই খেয়ে নিচ্ছে? এআইদের নিয়ে কি ইউনিয়ন করা যাবে?
  • BCP | 195.220.101.33 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৫২371257
  • লিবারালরা মূলত বড় বড় ব্যাপারে ব্যস্ত থাকেন । বিপ্লবের জন্য ভিয়েতনাম বা কিউবা জরুরি । নিজেদের বিষয়ে বক্তব্য রাখলে লোকে কি বলবে ? আইটিতে চাকরি যাওয়া, তিন বছরের dormant পিএফে সুদ বন্ধ হওয়া বা টিবোর্ড বাংলা থেকে সরানো এসব অতি তুশ্চু । যে বিপ্লবে মোদি নাই, মুসলমান নাই, এলজিবিটি নাই, নিদেনপক্ষে মানবধর্ম নারীবাদ আন্তর্জাতিকতা নাই, রবীন্দ্রনাথ যে বিষয়ে কিছু বলে যাননি, সেই আউট অফ সিলেবাস বিপ্লব লইয়া উঁহারা কি করিবেন ?
  • shibir | 59.206.203.160 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:২১371258
  • ঈশান যা লিখলেন তার সাথে বিজিসি যোগ করি । আমি এখন যে দোকানে আছি সেখানে ঢোকার সময়ে আমার ক্রিমিনাল ভেরিফিকেশন হয়েছিল লোকাল পুলিশ স্টেশন থেকে । তারা দেখেছিলো আমি গত ১ বছরে কোনো কেস খেয়েছি কিনা এছাড়াও আমি ড্রাগ এডিক্ট কিনা সেটাও ভেরিফাই করেছিল । আমার কলকাতার বাড়িতে গিয়ে আমার এড্রেস ভেরিফাই করেছিল, আমার পুরোনো ম্যানেজার কে ফোন করেছিল এবং সম্ভবতো আমার univ গিয়ে আমার সার্টিফিকেট ও ভেরিফাই করেছিল । সুইচ করা ওতো সোজা না ।
  • h | 213.132.214.86 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:২৪371259
  • দেখুন বিতর্ক থাকবে। কে কোন বিষয়ে কেন প্রতিবাদ করবেন বা করবেন না সেটা মানুষের নিজের ব্যাপার। সবটাই চয়েস নয়, বাধ্য বাধকতাও থাকতে পারে। কলকাতায় বড় করে সভা ডাকা হলে আমি অন্তত আছি। এটা একটা সেকটরের সমস্যা না। কমন মিনিমাম কনসার্ন সমূহর একটা ড্রাফ্ট লেখা যেতে পারে। অন্য একটা টই এর প্রস্তাব গুলো ভালো লেগেছে।
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 128.185.75.71 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:২৮371260
  • কলকাতায় চালু হয়েছে তো - http://itsef.in/
  • h | 52.110.173.6 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:৩৬371262
  • বাহ ধন্যবাদ ল্যাগবাগার্নিস।
  • Rabaahuta | 233.186.244.79 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:০৭371263
  • ২০০৫ বা ২০০৬এ বৃন্দা কারাত সেক্টর ফাইভে একটা পথসভা করেছিলেন।
    সে কি হাসাহাসি, বামপন্থীরা কি আইটিগাইদের কর্মসংস্কৃতিহীন মজুর ভাবে নাকি।
  • de | 69.185.236.56 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৫৩371264
  • চাগ্রী গেলে মজদুর ইউনিয়নের উপযোগীতা বোঝা যায় - যদিও ইউনিয়ন থেকে যে বিশাল কিছু হয়, তা নয় - তবুও দাবী-দাওয়াগুলো জানানোর মতো উপায়টুকু থাকে -
  • amit | 149.130.200.184 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:০১371265
  • তাহলে নিজের পেছনে বংশদণ্ড পড়লেই সবার বামপন্থার কথা মনে পড়ে যায় - ? :)
  • S | 55.112.70.176 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৩৬371266
  • খ্যাক খ্যাক।
  • h | 213.132.214.86 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৫২371267
  • দেখুন প্রত্যেকটাই দামি কথা। কিন্তু আমার একটা অবস্থানে আপত্তি আছে। যাদের কে অরগানাইজ্ড হতে বলা হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত সমস্ত সমস্যার জন্য, তারা যে সমস্যায় ভুক্ত ভোগী তার জন্য দায়ী করা আমার একটু আপত্তি আছে। কারণ এই অ্যাপ্রোচ টার সঙ্গে, ম্যানেজমেন্টের যে অ্যাপ্রোচ, আহা তুমি এ আঅই শেখো, তোমাকে কাল ই ব্যাপক রোল দেব, কাল ই কিন্তু আবার মেনফ্রেম একটু শিখে নিয়ো, কারণ আমাদের ফুল স্ট্যাক লোক লাগবে বলার কোন দার্শনিক অবস্থান গত পার্থক্য নাই, মানুষকে তার অবস্থার জন্য দায়ী করা।

    এটা বোঝা দরকার, যে সিস্টেম টার, ব্যবস্থা গুলোর, সরকার বা বড় কর্পোরেট এর একেক্বারে মাথা দের ভুল সিদ্ধান্ত , অপ্রস্তুত অবস্থা, সময়, সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতি বা প্রযুক্তির অবস্থা এগুলোর খানিকটা দায় আছে। যাঁদের কে জেগে উঠতে বলছেন, তাঁদের দোষারোপ করা গালাগাল করা ঠিক না।

    এটা খানিকটা ইভানজেলিস্ট অ্যাপ্রোচ আমার পার্সোনাল আপত্তি আছে। যদিও লেখক মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই বলেছেন।
  • অরূপ | 160.107.213.62 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৭371268
  • অনেক কমেন্ট তাই একবারে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।

    ১) ফোর্সড রেজিগ্নেশন কেন? - Industrial Dispute Act 1947 অনুযায়ী টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হলে তাকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বের করা যাবে না কারণ টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হল, রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে। একজন আইটি এমপ্লয়ি Industrial Dispute Act 1947 আওতায় পড়ে তাই তাকে পারফরমেন্সের ভাঁওতা দিয়ে বের করতে গেলে আইনি বাধা আসবে। তাই কোম্পানি গুলো এমপ্লয়িদের জোর করে রেজিগ্নেশন করায় যার ফলে আইনতভাবে কোম্পানিগুলো সেফ সাইডে থাকে। পরে সেই এমপ্লয়ি লেবার কমিশনে কেস করলে, কোম্পানি সহজেই প্রমান করে দেবে এমপ্লয়ি নিজেই রিজাইন করেছে।।

    ২) কেন ছাঁটাই? - বিভিন্ন সময়ে ছাঁটাই করার বিভিন্ন কারণ থাকে। এমনকি কোম্পানি -টুঁ - কোম্পানি, কারণগুলো পাল্টাতে থাকে। সবচেয়ে সহজে যেসব ধারনা আসে, "কোম্পানি লস-এ চলছে তাই ছাঁটাই", "খারাপ পারফর্ম করেছে তাই ছাঁটাই", "আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মার্কেটে চলে এসছে তাই ছাঁটাই" - এসব ভুল ধারনা। গত ৩০ বছরে আইটি কোম্পানি গুলো বা বরং বলা যাক সমগ্র আইটি ইন্ডাস্ট্রি একত্রে এখনও অব্দি লস-এর মুখ দেখেনি। ৩০ বছর ধরে এখনও গ্রোথ চলছে। তবে গত কয়েক বছরে গ্রোথ-এর গাড়ি স্লো হয়ে গেছে। এই অবস্থায় লভ্যাংশের হার আগের মত রাখার জন্যেই প্রধানত কর্মি ছাঁটাই করা হয়।

    ৩) নতুন টেকনোলজি শেখানো? - এটা প্রথমবার নয় যে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন টেকনলজি (যেমন এ.আই.) এসছে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে যেভাবে একটা কম্প্যুটার প্রোগ্রাম লেখা হত, ২০ বছর আগে সেই একই প্রোগ্রাম লেখার জন্য নতুন টেকনোলজি চলে এসছিল তাই পুরনো প্রোগ্রামারদের নতুন টেকনোলজি শেখানো হয়েছিল। একইভাবে ১০ বছর আগে একজন প্রোগ্রামারের জন্য, সেই ২০ বছর আগের টেকনোলজি অচল হয়ে গেছিলো তাই তাকেউ নতুন করে শিখতে হয়েছে। গল্পটা হল, এই নতুন করে শেখানোর ব্যাপারটা সর্বদা কোম্পানি লেভেল থেকেই করা হত। কেউ নিজের ইচ্ছায় করে থাকলে আলাদা ব্যাপার কিন্তু কোম্পানিতে সবরকম সুবিধা থাকতো। সমস্যটা হল এখন কোম্পানিগুলো আর নতুন করে ট্রেনিং দিতে বা যাকে বলে "রি-স্কিলিং" করতে ইচ্ছুক নয় কারণ তাদের কথা হল ১০ লাখ টাকা নেওয়া ৯ বছরের পুরনো এমপ্লয়িকে নতুন টেকনোলজি শেখানোর চেয়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে একজন ৪ বছরের নতুন এমপ্লয়ি নেওয়া ভালো। এই ডিসিশন নেওয়ার কারণ হল, ১০ বছর আগে অব্দি একেকটা কোয়াটার-এ কোম্পানির গুলো প্রফিট আগের কোয়াটারের চেয়ে ৪০%-৪৫% বেশি থাকতো যেটা এখন ২%-৩% হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রফিট বাড়াতে এমপ্লয়ি ছাঁটাই।

    ৪) এমপ্লয়িরা কেন প্রতিবাদ করে না? - শুধু যদি আইটি এমপ্লয়ি ধরি (আইটিইএস বাদ দিয়ে), তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েক শতাংশ বাদ দিলে প্রায় সবাই প্রাইভেট কলেজ থেকে। প্রাইভেট ইঞ্জিয়ারিং কলেজে কোনো ইউনিয়ন নেই তাই অধিকারের সচেতনাও নেই। এই অবস্থায় কলেজ পাস করার পর সে যখন আইটি কোম্পানি জয়েন করে তখন সেখানে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যা সত্য শেখানো হয় সেটাকেই ধ্রুব সত্য মেনে চলে, যেমন "পারফরমেন্সে খারাপ হলে বের করা ঠিক" বা "প্রাইভেট কোম্পানি নিজের মত করেই চলবে" ইত্যাদি। আরেকটা ব্যাপার আছে, সেটা হল "ব্লাক-লিস্ট" করা। প্রায় সমস্ত আইটি কোম্পানি ন্যাসকম-এর সদস্য। ঠিক কি ভুল জানি না তবে প্রায় সব আইটি এমপ্লয়িদের ধারনা, নাসকম এক ধরনের লিস্ট মেন্টেন করে যে লিস্ট সমস্ত কোম্পানিগুলো দেখতে পায়। এই লিস্টে যদি কারুর নাম চলে আসে তাহলে তাকে কোনো কোম্পানি চাকরি দেবে না। এই ভয়ে বেশিরভাগ এমপ্লয়ি রেজিগ্নাশন দিয়ে দেয় যখন তাকে জোর করে রেজিগ্নেশন দিতে বলা হয়।

    ৫) কম্পেন্সেশন - প্রায় সমস্ত আইটি কোম্পানিতে নোটিশ পিরিয়ড থাকে। যেহেতু ফোর্সড হলেও ব্যাপারটা রেজিগ্নেশন তাই ওই নোটিশ পিরিয়ডের টাকাটা দেয়, দিতে হবেই। তবে ব্যাস ওইটুকুই, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেসিজনেশন করতে বলা হলে, দু-এক দিনের মধ্যেই (বা তৎক্ষণাৎ) এমপ্লয়িরা রেজাইন করে দেয় তাই কোম্পানিগুলো বেশি টাকা পয়সা দেওয়ার চাপ নেয় না। তবে কেউ যদি একটু কাকুতি মিনতি করে কিংবা চাপাচাপি করে তখন হয়ত এক-দুমাস বা তিন-ছয় মাসের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এটা সাধারনত ম্যানেজমেন্টের এমপ্লয়িদের ক্ষেত্রে হয় কারণ ম্যানেজমেন্টের থাকার দরুন তারা জানে আইনতভাবে বের করতে পারবে না বলেই ফোর্সড রিজাইন করাচ্ছে তাই তারা একটু বার্গেন করে নেয়।

    ৬) কি করা যায়? - ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে যখন টিসিএস বলল ১২ থেকে ১৮ বছরের এক্সপিরিয়েন্স ওয়ালাদের বের করে দেবে, যেটা প্রায় ২৫০০০ - ৩০০০০ মত ছিল তখন চেন্নাই-এ কয়েকজন আইটি এমপ্লয়ি মিলে ফোরাম ফর আইটি এমপ্লয়ি বা FITE বলে একটা ফোরাম বানায় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বেঙ্গালুরু, কোলকাতা, হায়দেরাবাদ, পুনে, কোচি ও গুরগাও-এ ফাইট-এর ফোরাম গড়ে ওঠে। মুলত আইনি ব্যাবস্থা ও মিডিয়ার মাধ্যমে ফাইট এই গন ছাঁটাই ব্যাপারটাকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসে যার ফলে টিসিএস পিছতে বাধ্য হয় এবং কর্মি ছাঁটাই তখনকার মত থামিয়ে দেয়। গত তিন বছরে ফাইট অনেকটাই এগিয়েছে তবে এখন মুলত চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, হায়দেরাবাদ ও কোলকাতায় সক্রিয়। চেন্নাই-এ ফাইট ইতিমধ্যে ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন পেয়ে গেছে REG. No 3598/CNI বাকি রাজ্যেও ইউনিয়নের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোনোরকম পার্টি ও রঙ ছাড়াই ফাইট লড়ে চলেছে তাই ফাইট সম্পুর্নভাবে এমপ্লয়িদের নিজেদের সংগঠন এবং তাই কি করা যায় সেটা তার, লড়াই-এ থেকেই রাস্তা খুঁজে নেবে।

    https://www.facebook.com/FITEKolkata/
    http://fite.org.in/
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৫৬371269
  • আই টি র কথা ছাড়ুন। অন্য কর্মক্ষেত্র গুলোর দিকে তাকান। প্রাইভেট ব্যাংক বা ইন্সুরেন্স কোম্পানি গুলোতে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই হয়। এক্কেরে স্বাভাবিক নর্মে। তারা কি ঐ একট এর আন ডার এ পরে না?
    প্রাইভেট হাসপাতালে ভাল পারফরমেন্স না করলে; মানে কেস বেশী দিতে না পারলে -ডাক্তার ছাঁটাই।
    এয়ার লাইন্স গুলোতে বেশী বয়সের এয়ার হোস্টেস দেখেছেন? এয়ার ইণ্ডিয়া ছাড়া।
    রিসেপশনিস্ট এর জব বা সুপার মার্কেট এর জবে ও একই চিত্র দেখা যায়। মূলত ৭-৮ বছরের পুরোনো কর্মীকে যা মাইনে দিতে হবে, তাতে দুজন নতুন কর্মী রাখা যায়।
    আই টি কর্মীরা কোন দিক থেকে আলাদা?
    আমার মতে, রাজনৈতিক দলের ছএ ছায়া য় ইউনিয়ন বাজির চাইতে পৃথক ফোরাম বা এসোসিয়েশন করে লিগ্যাল সাপোর্ট দিলেই কাজের কাজ হবে।
    নতুবা 'চট কলের' পথে যেতে চাইলে জনতা যেতেই পারে।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:২৩371270
  • আসলে বাড়ীতে ও চারপাশে ছোট বেলা থেকে সরকারী কর্মচারী দেখে ই মনে মনে এমন ধারণা গড়ে উঠেছে। একবার চাকরিতে ঢুকলেই ,আর ছাঁটাই করা যাবে না। বছর বছর ইনক্রিমেন্ট আর বোনাস! পারফরমেন্স আবার কি?
  • h | 213.99.211.135 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:০৯371271
  • স্বাভাবিক নর্মের বয়স টা ঠিক কত এটা বিনীত ভাবে জানতে চাই। পাঠকেরা নিজেরা অস্বাভাবিক না স্বাভাবিক হতে চলেছে জানতে চাইতেই পারে। এই রকম বিনে পয়সার উইসডম আজকাল দুষ্কর। আর "স্বাভাবিক" এর উপরে আর নীচে কতজন কোথায় কোন পদে আছে তার স্ট্যাট চাই। আর এই স্বাভাবিকতা কে ঠিক করে জানতে চাই, আর যারা ঠিক করে তারা স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক কোন ধরণের বয়সে আছে স্পেসিফিকালি জানতে চাই। প্রতি উল্লেখিত সেকটরে একটা ডেটা শিট চাই। কোম্পানী পলিসি ডকুমেন্ট হলে খুব ভালো হয়, ভালো করে মামলা করা যায় কিনা আলোচনা করা যায়। কারণ যেকোন কারণেই হোক লিগাল এড সার্ভিস স্বাভাবিক , মানে যে ছাঁটাই স্বাভাবিক নর্ম তার জন্য কেন লিগাল এড কেন লাগবে বুঝি না, সুলভ শৌচালয় বানালেই হয়। অতিরিক্ত স্বাভাবিকতা সবসময়েই বর্জনীয়।

    যেকোনো রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দল এর ছায়ায় যাদের ইউনিয়ন করতে ইচ্ছে করবে তারা করবে, যাদের ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিয়ন করতে ইচ্ছে করবে করবে, অন্য যে কোনো সেক্টরে যে গুলো স্বাভাবিক সেগুলো আই টি আর আইটি এনাবল্ড এ হবে নাই বা কেন বোঝা গেল না।

    যাঁরা ইউনিয়ন চান না, তাঁরা জড়িত হবে না, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ লিগাল সাহায্য ও নাই চাইতে পারেন, নিজের ডিল নিজে করে নেবেন হতেই পারে, সিনিয়রিটি নিরপক্ষে। অ্যাসোসিয়েশন যাঁদের পছন্দ তাঁরা তাই করবেন, তাঁরা প্রতি মে দিবসে আইস্ক্রিম খাওয়ার পার্টি দিতেই পারেন, শ্রম দিবসের আইডিয়া কে প্যাঁক দেওয়ার জন্য সেটা তে কারো কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু স্বাভাবিকতার এই দুর্দমনীয় জগতে, অন্য সেক্টরে যা হয় , প্রযুক্তি তে কেন হবে না, বোঝা গেল না।

    চেম্বার অফ কমার্স ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাক্ট এ রেজিস্টার্ড হতে পারবে, আর অ্যাসোসিয়েশন পারবে না, এটা আজব। লিল্গাল প্রভিসন গুলোর আলোচনার একটা ধারা তৈরী হওয়া দরকার।

    চটকল শুধু ইউনিয়ন এর জন্য উঠে গেছে এই দাবী কে স্বাভাবিক বয়সে নেওয়া যাবে না, অস্বাভাবিক হওয়া অব্দি অপেক্ষা করতে হবে মাইরি।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৪২371273
  • এই দেখো, নিজে নিজে কল্পনা করে নিয়ে লিখলে তো মুশকিল। চট কল খালি ইউনিয়নের জন্য উটে গেছে কোথাও এমন লেখা বা উল্লেখ হয়েছে?বলা হইয়াছে এগুলো চট কল হতে চলেছে। হানুর মনের মধ্যে ফিক্সড আইডিয়া রয়ে গেছে যে লোক জন ইউনিয়ন কে দায়ী করে চট কল উঠে যাবার জন্য, তাই সেটা লেখায় ফুটে উঠলো।
    এনিওয়ে, যেকোন প্রাইভেট ব্যাংক ব ইন্স্যুরন্সের কোম্পানির অফিসে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেই পাওয়া যাবে ,কি রেটে ছাঁটাই হয়।
    যদি মনে হয় অসত্য তো বাদ দেন। ডেটা শিট দেওয়া সম্ভব নয়।
    এগুলো কি কোম্পানি তার ওয়েব সাইটে বড় বড় করে লিখে রাখবে?
    আমি বিদেশেও প্রচুর ছাঁটাই দেখেছি। গাল ভরা নাম দেয় রিডানডেন্সি। তো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন