এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রগতিশীল বা লিবারাল স্বভাবের আইটি চাকুরীজীবীদের ফেসবুকীয় চরিত্র বিশ্লেষণ

    অরূপ
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২০৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 120.227.245.142 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:২২371274
  • কিন্তু এই গোটা আলোচনাটায় ফেসবুকীয় চরিত্র বিশ্লেষণ দেখছি না তো! টইএর উদ্দেশ্যটাই তো ব্যাহত হচ্ছে!
  • h | 213.99.211.132 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:০৯371275
  • গভীর মনস্তাত্বিক আলোচনায় মুশকিল, এই নশ্বর সরিল টি স্বাভাবিক বয়সে পৌঁছে গেছে কিনা বোঝা যায় না। আর রিডানডান্সি যে যে যথেষ্ট গাল বসে যাওয়া ছাঁটাই এর ই মত সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ না করার মত অভিজ্ঞতা অস্বাভাবিক বয়সে আমারো হয়েছে। ছাঁটাই হয়েছি, আবার ভাগ্য ক্রমে সংসার চালানোর ব্যবস্থা হয়েছে, কিন্তু মাইরি বলছি, সেটাকে স্বাভাবিক প্রমাণ করার পরিশ্রম টা করতে হয় নি। তো প্রশ্ন টা করে আর বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছি না, আগে ডেটা আসুক।

    আমার সমবেদনা নেই তা না, ডেটা যে যেকোনো জায়গায় গেলেই খুব সহজে পাওয়া যাবে না এটা মেনে নিতে অসুবিধে নেই। সুধু যে ডেটা দোকানে গেলেই পাওয়া যায় সে ডেটা ওয়েব সাইটে কেন টাঙানো থাকবে না সেটা প্রায় শিশিবোতলের মত কঠিন ঠেকছে, ছাগলের সেজমামা হওয়া সত্ত্বেও বুঝতে পারছি না। এটাও বোঝা যাছ্হে না, রিডাডান্সি প্যাকেজিং এর যে হায়ারর্কিকাল বায়াস তাকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া টা অনতত এই ভর সন্ধেতেই ঠিক হবে কিনা।

    অসত্য কেন হবে, আসলে ডেটা যে সহজলভ্য না, তার মূল কারণ যে ইলিগালিটি সেটা বোঝাও কঠিন না। তবে অল্প অস্বাভাবিক হতে পারে।

    বিদেশের ছাঁটাই বলতে , ধরে নিচ্ছি, পশ্চিমের উন্নত অর্থনীতির দেশ গুলো, তো তাতেও ছা`টাই এর এবং ক্ষতিপূরণ পরিমাণ বের করার নানা পদ্ধতি রয়েছে, অসংখ্য লিগাল রেফারেন্স রয়েছে, দেশ বা ইন্ডাস্ট্রি তে তারতম্য রয়েছে। ব্রিটেনে বা আমেরিকায় ছাঁটাই করা ডেনমার্ক, বা জারমানীর থেকে সোযা। বড় কারখানায় চাঁটাই হলে এম পি এম এল এ রা ব্রিটেনেও হেরে যান। ফ্রান্সের পাবলিক সেকটর ছাড়ুন প্রাইভেট সেকটর এর হোয়াইট কলার কর্মী দের প্রচুর ইউনিয়ন রয়েছে। ব্রিটেনে এনটারটেনমেন্ট, ফাইনানসিয়াল সার্ভিসেস এর ইউনিয়ন রয়েছে। সবাই মেম্বার নন, যে যার নিজের মত ফাইট দিচ্ছেন, বা বুঝে নিচ্ছে, লিগাল এড এর সাহায্য নিয়ে বা না নিয়ে। এবং আর্বিট্রারিনেস কে চ্যালেঞ্জ করার উপায় রয়েছে। এবং তা সত্ত্বেও ছাঁটাই হচ্ছে, ছাঁটাই ও হচ্ছে, অবস্থা বিভেদে সরকার বা জনপ্রতিনিধি বিপদে পড়ছেন বা উতরে যাচ্ছেন। কিন্তু সর্বস্তরে কোথাও বিন্ধু মাত্র অয়্কাউন্টেবিলিটি র কথা উঠলেই চটকল এর উদাহরণ বিশেষ ডিসকোর্সে আসে না। কারণ অর্গানাইজ্ড বার্গেন করা বা প্রতিটি মিটিং নিজের লিগাল কাউন্সেল কে উপস্থিত করার অধিকার টার জন্য গুরুচঞ্দালি তে অস্বাভাবিক হতে হয় না , এই আর কি।

    ঘটনা এই যে শিশু রাষ্ট্র আর শিশু নাজুক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পরিস্থিতির অজুহাতে, এবং উন্নয়ন ও বিনিয়োগের অজুহাতে একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশে শ্রমিক অধিকারের নামে ধাষ্টামো চলছে। কখনো বোকা মিলিটান্সি, কখনো ছেন্ছিটিভ সিল্পপতির জন্য সেটা ধাক্কাও খেয়েছে। কিন্তু সরকার বা আইনের স্ট্রাকচার তো সিসু ও না, স্বাভাবিক ও না ছেন্ছিটিব ও না, তাদের আইনের প্রভিসন গুলো খাড়া করতে অসুবিধে কোথায়, নইলে যেরকম হয় হবে, কন্টিনিউয়াস নেগোশিয়েশন চলবে, গণতন্ত্রে যেটা হতেই পারে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকম ফল হবে ঠিক ই , কিন্তু সরকার সরকারী ভাবে বা পরিস্থিতির চাপে নেগোশিয়েট করবে। না করলে তার সামাজিক কনসিকোয়েন্স থাকবে, যাঁরা সাহস করে নানা ভাবে অর্গানাইজ হচ্ছেন, তাঁরা বরঞ্চ সমস্ত ধরণের কর্তৃপক্ষ কেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থার তীব্রতা টা, বেকারিত্ত্বের যন্ত্রনা টা, সামাজিক সুরক্ষার না থাকাটা বুঝতে সাহায্য করছেন।
    সামাজিক সুবিধেভোগী রা সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষদের সহায়তা করবেন কিনা তাঁদের ব্যাপার। আই টি ইউনিয়ন না চাইলেও ডেমোক্রাটিক নেগোশিয়েশন চলবে, তাঁদের আগ্রহের এলাকার বাইরেই চলবে, সবটা নিয়ন্ত্রিত স্বাভাবিক চটকল করা যাবে না।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৪৬371276
  • এতো বড় পোস্ট ;হাঁফিয়ে উঠি।
    সে যাক একটা বিষয় স্বীকার করলেন ছাঁটাই সবদেশেই হয়।
    কোথাও বাতাসা দিয়ে কোথাও সন্দেশ দিয়ে। আটকানোর পদ্ধতি কারো জানা নেই।
    ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক দের কতটা সুবিধা করেছে অন্তত পব এর লোকজন জানে।
    যতদিন আই টি সেক্টর বিরাট লাভ করেছে তত দিন কেউ ইউনিয়ন ভীষণ দরকারী চিজ বলে পাতা ভর্তি করেছে?
    ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু রমরম করে চলেছে।
    ডাইরেক্ট প্রশ্ন, আপনার বাড়িতে ধরুন পাঁচজন কাজের লোক।
    আপনার ইনকাম কমে গেলে কি করবেন?অনেক বাকবিতণ্ডা করবেন কিন্তু পরে থাকবে দিন শেষে- ছাঁটাই।
    আমি ইউকে তে বহুদিন কাজ করেছি। ট্রেড ইউনয়ন খুব স্ট্রং । কিন্তু রিডানডেন্সি তে খরচা বেশি বলে এম্প্লয়া র ১-২ বছরের বেশি কনট্র্যাক্ট দিতে চায়না। কনট্র্যাক্ট শেষ হলে অন্য সংস্থায় যাও বা একটু নাম বদলে অন্য পোস্ট নাও।এতে করে সংস্থা কে কোন কম্পেনশেশন দিতে হয় না ,কিন্তু।
    এন হেইচ এস সেজন্য প্রচুর ট্রাস্টে বিভক্ত। প্রত্যেকে স্বাধীন।
    সুতরাং ইউনিয়নের বিশেষ কিছুই করার নেই।
    ইউনিয়ন খালি বেতন বাড়ানো ও লিগ্যাল সাপোর্ট দেবার জন্য আছে।
    আই টি তেও ট্রেড ইউনিয়ন বিশেষ কিছু করতে পারবে না।
    কিন্তু ক্ষতি হতে পারে বিস্তর। যেটা আগের পোস্টএ লিখেছি।
    আপনি সোজাসুজি ভাবে বলুন এই ইউনিয়ন কিরকম ভাবে কোম্পানি গুলো কে বাধ্য করাবে ছাঁটাই কমাতে।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৪৮371277
  • যদি বলতে পারেন রসগোল্লা খাওয়াব।
  • h | 213.99.211.132 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:১৭371278
  • হাঁপানির ওষুধ টুকু নিজেকেই লিখে নিতে হবে ঃ-)))
    তবে চোখের ওষুধ ও লাগতে পারে, কারণ অন্ধত্ত্ব টা খুব ই প্রকাশিত হয়ে পড়ছে।

    ছাঁটাই সব দেশেই হয় এটা আমি না স্বীকার করলে হচ্ছিল না? কিন্তু এটা অস্বীকার করা যাবে কি যে উন্নত ইকোনোমির দেশে ইউনিয়ন নেই, বিদেশের গপ্প তো অনেক শুনলাম। আমারো নয় নয় করে ২৫ ২৬ বছর হল।

    তেমন ই যেখানে ইউনিয়ন বা অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেখানে ক্ষতি পূরণ নেগোশিয়েশন এর একটা অপশন খোলা যাছে, রুল অফ ল থাকার কারণে অন্য রাস্তাও থাকছে। কিন্তু এম্প্লয়ার এর আর্বিট্রারিনেস কে চ্যালেঞ্জ করার ব্যবস্থা বাড়লেই, চোখে সর্ষেফুল দেখা হাঁপানির রুগীর সংখ্যা কম। কারণ কর্পোরেট কে ওমনিপোটেন্ট বা অর্থব্যাবস্থা কে ভবিতব্য হিসেবে দেখার লোকের সঙ্খ্যাও কম। যেখানে সেটা অনেকটাই পলিসির ফল মাত্র।

    ক্যাজুয়ালাইজেশন, শর্ট টার্ম কন্ট্রাক্ট, এগুলো এম্প্লয়ার রা যেখানে যা পারেন অ্যাপ্লাই করেন, রেজিস্টান্স ব্যক্তিগত বা সংগঠিত যেরকম করে পারে লোকে করে। কিন্তু পার্মানেন্ট জবে লোক কে নিয়ে রিসাইন করতে বলতে পারেন না, কারণ অনেকাংশেই না দেখিয়ে। বা সম্পূর্ণ আর্বিট্রারি ভাবে ক্ষতিপূরণ এর পরিমাণ ইউনিল্যাটারালি ঠিক করতে পারে না। সেটুকু র রাস্তা করতেই যতটুকু বুঝি যে যেরকম ভাবে পারেন চেষ্টা করছেন।

    একেবারে হালের অ্যাক্টিভিটি র তালিকা চাইলে বা সীমিত সাফল্যের খতিয়ান চাইলে ইউনিয়ন বা অ্যাসোসিয়েশন গুলোর পেজ বা এফ বি ত দেখা যেতে পারে। তবে সেটা অন্ধত্ত্বের পক্ষে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় কড়া ওষুধ হবে কিনা বলা মুশকিল।
  • h | 213.99.211.132 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:২৫371279
  • আর ওসব ডিরেক্ট প্রশ্ন করে কি লাভ বুঝি না, কারণ দেখা যাচ্ছে কর্পো পরিবারের রোজগার কমলেই প্রায়শই কর্পোর অভিভাবক দের মাইনে বা রিটায়ারমেন্ট প্যাকেজ বেড়ে যাছে, ২০০৮ থেকে ফিনান্সিয়াল নিউজ গুলো পড়লেই এ কথা পরিষ্কার হবে। ঘরের নক্কি ইন্ফি তেও তাই অবস্থা, এদিকে তো কত ক্রাইসিস, তো এক বাবার ভাগ্যে অনেক শিকে ছিঁড়েছে বলে আবার অন্য বাবা দের হিংসুটি ও হয়েছে।

    একটু কড়া ড্রপ লাগবে। নিজের ডিরেক্ট অভিজ্ঞতা কে পৃথিবীর শেষ কথা বলে ধরলে, কিচেন ক্যাবিনেট ছাড়া আর সব ই অসত্য হয়।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৩৩371280
  • এই দ্যাখ কান্ড!আমি যেটা এতক্ষণ ধরে বলতে গিয়ে হাঁফিয়ে গেলাম সেটা আপনে শেষ লাইনে বললেন। পার্মানেন্ট জব ছাঁটাই করলে কোর্ট খোলা আছে সবদেশে। ইউনিয়ন বা মালিক পক্ষের বিশেষ জারিজুরি করার কিছু নাই।
    ইম্পর্ট্যান্ট থিং বা বটম লাইন হলো শর্ট টার্ম কনট্র্যাক্ট নিয়ে। যতো বেশি ইউনিয়ন বাজি চলবে ততো নিত্য নতুন ফিকিরে শর্ট টার্ম কনট্র্যাক্ট আসবে। আখেরে ক্ষতি এম্প্লই দের। কারণ আইন গত ভাবেই বহিষ্কার হবে বা রিনিউ হবে না।
    এ ব্যাপারে বাম সরকার একটা চালাকি এনেছিল। ৬মাসের কনট্র্যাক্ট দিচ্ছিল। ১৭৯ দিনের মাথায় নতুন কনট্র্যাক্ট কর্মীদের সাইন করাচ্ছিল। আইনত ভালো দাওয়াই।
  • sm | 52.110.202.229 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৪১371281
  • ভারতে টপ টেন সি ই ও এর মাইনে ৩০- ৬০ কোটির মধ্যে। যতোই ইউনিয়ন বাজি হক এদের মাইনে কি ক মবে?এতটা গোল গেল বক্তব্য অন্তত আপনার থেকে আশা করিনি।
    কর্পোরেট এর কর্তারা নিজেদের মধ্যে সাঁটিয়ে মাইনে বাড়াবে ব চুরি করবে। কোম্পানি দেউলি়াত্বের দোর গোড়ায় গেলেও নিজেদের চাকরী বজায় থাকবে। এত আপনি ভালই জানেন।
    ডাইরেক্ট প্রশ্ন একটা ক্লোস এড করলাম আপনার ইনকাম বাড়লেও আপনি বাড়ির কাজের লোক ছাঁটাই করতে পারেন।,,
  • Rabaahuta | 37.59.96.69 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৫৩371282
  • কোর্ট খোলা থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে কর্পোরেটের বিরুদ্ধে সেখানে যাওয়া নিতান্ত সোজা না।
  • Rabaahuta | 37.59.96.69 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৫৯371284
  • মোদ্দা কথা যা বুঝছি ঘুর পথে ছাঁটাই হবে, কর্পোরেট চুরি করবে, এইচার গুন্ডা লেলিয়ে দেবে।
    কিন্তু ইউনিয়ন করা চলবে না, কারন চটশিল্পে মন্দা দেখা দিয়েছিল।
  • sm | 52.110.196.183 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:১৯371285
  • মোদ্দা কথা যা বুঝলাম নিজেরা পার্মানেন্ট হলে চরম ইউনিয়ন বাজি চলুক। বিস্তর ফাঁকি ও পেছনে লাগা চলুক। টেম্পোরারি কনট্র্যাক্ট বেশী বেশী করে হোক। ছাঁটাই নিয়ে বেশি মাথা না ঘামালেও চলবে। ইউনিয়ন জিন্দাবাদ! তাইতো?
  • h | 213.99.211.132 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৪৫371286
  • আলোচ্য কোথাও এক্সপ্লিসিট শর্ট টার্ম কন্ট্রাক্ট নেই। রিলেটিভ পাওয়ার অফ নেগোশিয়েশন যে যেভাবে পারবে বাড়াবে, কর্মবীর এটুকু না বুঝলে কি আর করা। এন এইচ এস এ গিয়ে স্মাইল কারেকশন করতে বলা যেতে পারে।
  • sm | 52.110.196.183 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:০০371287
  • দেখুন এন হেইচ এস এ কসমেটিক ব্যাপার স্যপার বেশি ডিল করা হ য় না খরচ বেশি বলে। কিন্তু ডিমেনশিয়া ক্লিনিক এর রমরমা!
    আমার বক্তব্যের মূল নির্যাস হলো আই টি তে বেশী ইউনিয়ন বাজি হলে ভবিষ্যতে শর্ট টার্ম কনট্র্যাক্ট বেশি আসবে।উপরি পাওনা হবে ইউনিয়নের দাদা গিরি। পব ,বেশি এফেকটভ হতে পারে কারণ এ রাজ্যের একটা উজ্জ্বল অতীত আছে।
    সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইউনিয়ন বাজি ভালো অপশন নয়।
    এই আলোচনায় কর্মীরা পার্মানেন্ট বা কনট্র্যাক্ট দুই ই হতে পারে। তাতে করে ছাঁটাই আটকাবে কি?
  • h | 213.99.211.132 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:৩৩371288
  • আপাতত অভিজ্ঞতা বলছে আটকাতে পারে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন গুলির সীমিত সাফল্যের খতিয়ান দেখা যেতে পারে তাদের ই পেজ এ।
    কিন্তু তার থেকেও বড় হল, না না ভাবে নেগোশিয়েটিং পাওয়ার বাড়ানো, ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত ভাবে। তার মধ্যে ইউনিয়ন একটা পদ্ধতি, অ্যাসোসিয়েশন আরেকটা পদ্ধতি, লিগাল এইড আরেকটা পদ্ধতি, আইনের প্রভিসন গুলো ব্যবহার করা আরেকটা পদ্ধতি, নিরন্তর প্রচার আরেকটা পদ্ধতি, এবং প্রয়োজনে আইন বদলানোর পরিস্থিতি তৈরী আরেকটা পদ্ধতি, যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা নিজেদের রাস্তা খুঁজে নেবেন। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যাবেন না যাবেন না তাঁদের ব্যাপার, কোন ক্ষেত্রে যাবেন কোন ক্ষেত্রে যাবেন না তাঁদের ব্যাপার।

    দরদী বা বিরোধী রা টেনিস খেলতে পারেন, খুব কিছু যায় আসে না।

    ভবিতব্যের কথা ধরে নিলে তো কোথাও কিসুই বদলায় না। আজকের কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে পার পাওয়া আগের থেকে সামান্য হলেও কঠিন, প্রেগনান্সি লিভ না দেওয়া অল্প কঠিন, অর্গানাইজ্ড ক্ষেত্রে পি এফ না দেওয়া কঠিন, ইনশিয়োরেন্স এর একটা পার্ট না রাখা কঠিন, ছুটির হিসেবে, সর্দার শ্রমিক দের হাতে ছেড়ে দেওয়া কঠিন, ব্যাংকে ছাড়া ক্যাশ দিয়ে মাইনে দেওয়া কঠিন, ভুয়ো ভাউচারে সই করানো অল্প কঠিন, এগুলো সব ই কপড় কল, চটকল, কয়লাখনি, কৃষিক্ষেত্রে কমন ছিল, সেখানেও অলপ হলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উন্নতি যে হয়েছে বোঝা যায়, এবং দয়ায় হয়নি তাও বোঝা যায়। আইন কানুনে র প্রভিসন আনা গেছে বলেই যায়। ফাডনবিস কে আইন আনতে হচ্ছে, খুব বড় কারখানা না হলে, যখন তখন লক আউট করা যেতে পারে, তার মানে এখন যায় না। তো বিজেপি র দেশভক্তি এই উপকার টা করছেন। তো ১৯২৮ থেকে ট্রেড ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আইন এর কোন প্রগতি না হলে, ভবিতব্যের হাতে ছেড়ে দিলে এটুকুও হত না, কেউ ভালো বেসে কিছু দিচ্ছে না। তো যাদের লড়াই তাঁরা লড়েছেন, পরবর্তী তে কিছু কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আবার যখন তখন কাজে ডাকা এখন আর কঠিন না, কিছু রেগুলেশন এই এঁরাই এই ভীতু , সুবিধেভোগী, চাকরি হারানোর ভয় পাওয়া মানুশেরাই আনবেন, তামিল নাডু তে কিছু আইনি প্রভিসন বেড়েছে, কলকাতায় কিছু জায়গায় ট্রাইপার্টাইট নেগোশিয়েশনে আসা গেছে, যদিও কোথাও ফর্মাল রেকগনিশন হয় নি। তো মোদ্দা হল, সকলে শুধুই চটকল শ্রমিকের ঐতিহাসিক পাপস্খালনে সচেষ্ট নন।

    অসম্মান জনক বাজি শব্দে আপত্তি রইলো, কারণ এটা শুধু আমাকে করা ব্যান্টার না, সেটাতে খুব আপত্তির কিসু দেখি না।

    ন্যান এবার হাঁপান।
  • sm | 52.110.196.183 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:১১371289
  • দেখুন অযথা উত্তেজিত হলে লাভ নাই। আপনি একটা দিক ধরে বলছেন আর আমি আর একটা দিক। এমন নয় আপনার বা আপনার কারোর যুক্তি ই সঠিক।
    আপনি বেশ কিছু উদাহরণ দিলেন ইউনিয়ন এর সুবাদে প্রাপ্তি হয়েছে। অন্যদিকে অপ্রাপ্তির ভাঁড়ার কম নয়। ইউনিয়নের দাদাগিরি লোকজন কম দেখেনি। ইউনিয়ন ধোয়া তুলসি পাতা নয়; যে সব সময় শ্রমিক স্বার্থেই নিবেদিত প্রাণ।মালিকের পা চাঁট এ দালাল, ওয়াক থু, এসব তাদের ওই ইউনিয়ন এর লোকজনই আমদানী করেছে। অযথা ঘেরাও করেছে সহকর্মী কে ,এটা জানা সত্ত্বেও যে ওই ব্যক্তি উঁচু পোস্ট অধিকার করে থাকলেও বিশেষ ভাবে দায়ীনন। কেবল মাত্র কান টানলে মাথা আসবে এই নিউটনিয়ান থিওরির ওপর ভর করে। বাজি শব্দে আপত্তি থাকলেও, দাদাগিরির ওপর নেই তো! বা অবহিত নন, এমন টাও হতে পারে। তো, সেটাও উইথ দ্র করে নেব।
    বাকী রইল মতামত নিয়ে। আপনি বা আমি কারোরই বিশেষ ভাবে জবের দরকার আছে বলে মনে করিনা। আমার মত হল এই মুহূর্তে বেশি বেশী ইউনিয়ন গিরি চললে ভবিষ্যতে আরও জব সংকুচিত হবে ও শর্ট টার্ম কনট্র্যাক্ট বাড়বে। আখেরে ক্ষতি হবে ফ্রেশার দের। অন্তত আই টি র ক্ষেত্রে । ইউনিয়ন এর নগণ্য হস্তক্ষেপ ই সঠিকস্ট্র্যাটেজি । লেবু বেশী কচলালে তেঁতো হয়।
    আগামী কয়েক বছর পর যদি সরকার অধিগ্রহণ করা আই টি কোম্পানির সংখ্যা বাড়ে বা সরকারের অংশীদারিত্ব বাড়ে একমাত্র তখন ই ইউনিয়ন নেগোশিয়েশন এর টেবল এ বেশী জোর দেখতে পারবে।
  • ছাগলছানা | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:১৭371290
  • মানে সংক্ষেপে দাঁড়াচ্ছে যে সরকার যেহেতু গোবেচারা। তাই সরকার মালিকানা নিলে তাকে ইউনিয়ন বানিয়ে চমকায় :P
    বাকি সময় চেপে যাও :D
  • sm | 52.110.196.183 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:৩১371291
  • অনেক টা তাই। সরকারের ভোটের দায় আছে।
    তাই সময় সময় সরকার গোবেচারা সাজে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবিশ্যি হাটুরে মার দেয়।
  • অরূপ | 126.193.134.41 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:৩৮371292
  • চায়ের কাপে বা হুইস্কির গ্লাসে চুমুক দিয়ে ফেসবুকে, গুরুতে জ্ঞান চোদাতে সবার ভালো লাগে। ভালো এন্টারটেন্মেন্ট। যাদের চাকরি গেছে তারা যেটা ঠিক বুঝছে, করছে। এইরকম এমপ্লয়ীদের নিয়ে তৈরি হওয়া ফোরাম, যেটা ঠিক বুঝছে সেটা করছে। গাঁড়লরা জ্ঞান চোদাতে থাকুক।
  • sm | 52.110.196.183 | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:৫২371293
  • এই যে এসে গেছেন জগতের ভার নেওয়া এটলাস!কিছু লিখে জগৎ কে ধন্য করে দিয়েছেন এক্কেরে!
    বিরুদ্ধে বা অন্যরকম ভাবে কিছু বললেই গালে ঠোনা পড়ে যায়, ঠোঁট ফুলে ওঠে। দশ বছরের ছেলের হাত থেকে মার্বেল গুলি নিয়ে নিলে যেমন খিস্তি ফোয়ারা বেরোয় ,তেমনি ভস ভস করছে।
    আরে ভাই ,একটু আবেগ কন্ট্রোল করতে পারো না?ভাবতে পারো না অন্যেরাও সহানুভূতিশীল হতে পারে।খালি চেঁচিয়ে দেশ উদ্ধার হয়? কত শির ফোলা বিপ্লবী তো দেখলাম মালিকের পাপোশ হয়ে দিন কাটালো।
    অন্যের দৃষ্টি ভঙ্গিকে বুঝতে শেখো।
    গালা গালি ভালো নয়। স্বাস্থ্য খারাপ করে। যাও ,কি বলতে চাও গুছিয়ে বলো। লেখা পড়ছি।ভালই তো লিখেছ।
  • Debarati Chatterjee | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩১371295
  • চটকলগুলো বা অন্যান্য কারখানাগুলো শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য উঠে গেছে এমন কথা যারা বলেন তারা নিজেদের পা ধোয়া জল খাবেন একটু। না,খারাপ কিছুই বলিনি।আপনাদের হাত, পা খুবই পরিষ্কার। ঘরের বাইরে বেরিয়ে কিছুই তো দেখেন নি তাই বাস্তবের ধুলোও লাগেনি।
  • amit | 213.0.3.2 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩১371296
  • h-কে বা অন্য দের অনুরোধ, কাদায় নেমে লাভ নেই। কারণ নিশ্চয় জানেন। ইচ্ছে ছিল না , কিন্তু না বলে পারছি না, যিনি বা যারা এখানে চটকলের কথা টেনে আনছেন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ভাবে, তারা জীবনে কোনো চট কল শ্রমিক দের দুরবস্থা নিজের চোখে দেখেছেন কিনা । আমি নিজে দেখেছি বলেই বলছি, কি ভাবে ইন্ডিয়াতে চটকল বা অন্য শ্রমিক দের এক্সপ্লইট করা হয়, কি রকম সাব হিউমান কন্ডিশন এ শ্রমিক কলোনী গুলোকে রাখা হয়, নিজে প্রিভিলেজড ক্লাস এর হলে সেটা জাস্ট কল্পনাও করা যায়না। হয়তো তাদের সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারিনা , সবাইকে সমাজসেবী হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু একটা মিনিমাম মানবিক সহানুভূতি থাকা কি খুব কষ্টের কাজ ? নাকি তাতেও পয়সা লাগে ?

    যাই হোক, চটকল ইস্যু এখানে মুখ্য বিষয় না। আই টি কম্প গুলোতে এইভাবে জোর করে, বাউন্সার দিয়ে ভয় দেখিয়ে রেসিগনাসন দেওয়ানো হচ্ছে, সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই বেআইনি। বাইরের দেশে অন্তত আইনি সাহায্য অনেক তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, ইন্ডিয়া তে আইন তো যার পয়সার জোর বেশি তার ট্যাকে গোজা, সারা জীবন ধরে কেস চলবে। কোম্পানি গুলোর সাথে একা লড়ে বিশেষ সুবিধা হবে না, প্লাস দাগ পরে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই যদি অনেক জন মিলে বেটার সেভেরান্স প্যাকেজ এর জন্য লড়াই করতে পারেন, তাহলে মন্দ কি। এখানে আইনি দিক বা ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি দিক টা বেশি ভাবা দরকার। ঘেরাও বা মারামারির কথা এখানে কেও বলেছেন বলে তো দেখিনি।

    এমপ্লয়ী দের দাবি আদায় আর মালিকদের লাভ মুনাফা ভাগ করে নেওয়া, এটা একটা ক্যাট এন্ড মাউস গেম, চলতেই থাকবে সব দেশে। যদি একটা substantial নাম্বার দাবি জানাতে পারেন, তাহলে বেটার সেভরেন্স প্যাকেজ আইন আসলেও আসতে পারে, সরকার থেকেও চাপ আসতে পারে বেটার আইনের জন্য, ভোটের দায় বলেও একটা জিনিস আছে। অন্তত একটা ছাতার তলায় যদি কয়েকজন আসতে চান তাহলে বাউন্সার দিয়ে ভয় দেখানো টাও ওতো সোজা হবে না। যারা আসতে চান না তারা অন্য ভাবে দেখে নেবেন। সেই অপসন থাকলেই হলো।

    এই ভাবেই আস্তে আস্তে আইন তৈরি হয়। আজকে যে মিনিমাম স্যালারি আইন, প্রভিডেন্ড ফান্ড সব সভ্য দেশে, এসব একদিনে আসে নি। অনেক ঘাম ঝরেছে এসবের জন্য। কথা বলার একটা প্লাটফর্ম থাকা জরুরি।
  • h | 52.110.171.130 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৮371297
  • দেখুন গালাগালি রাগারাগি করবেন না। ব্যান্টার ঠিক আছে। ইউনিয়ন বিরোধিতা একটা পরিচিত রাজনৈতিক অবস্থান, পার্টি নিরপেক্ষে। বিশেষত যারা অরগানাইজ করছেন তারা অনেক ধইর্য্যের পরীক্ষায় এমনিতে উতরেছেন, সামান্য সোশাল নেটওয়ার্ক ট্রোলে ঘাবড়াবেন না
  • dc | 120.227.234.178 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:৪২371298
  • "এমপ্লয়ী দের দাবি আদায় আর মালিকদের লাভ মুনাফা ভাগ করে নেওয়া, এটা একটা ক্যাট এন্ড মাউস গেম, চলতেই থাকবে সব দেশে" - একদম একমত।
  • h | 212.142.90.102 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০০371299
  • নেগোশিয়েটিঙ্গ পাওয়ার বাড়ানোর অ্যাফেক্টেড সোশাল গ্রুপ করবেই, উত্তেজনা বিরোধিতা নিরপেক্ষে।লোকে অসন্খ্য ইন্ডাস্ট্রি আর ট্রেডিঙ্গ বডি করে , লবি করে গুশ্টি উদ্ধার করে দিছে কর্মী রা নিজেদের ইন্টারেস্টে অরগানাইজ করবেন না কেন, আমার মত খুব পরিষ্কার, স'মবিধান
  • h | 212.142.90.102 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০৬371302
  • ইউনিয়নাইজ করা স্বীকার করে , ইন ফ্যাক্ট সেটাই অথরেটারিয়ান রেজিম এর সঙ্গে আমাদের পার্থক্য, অতএব ইউনিয়নকে রেকগনিশন ন দেওয়াটাই বে আইনি। এবার সবাই তাতে যোগ দেবে না তো কি হয়েছে, অ্যাকটিভ বিরোধিতা করবে ডিবেট করবে, মিটে গেল, দিনের শেষে মাল খেয়ে প্রেম করে বাড়ি যাবে, এই কাপালিক রা এখনো আছে টাইপের ভীতি প্রচার হাস্যকর
  • h | 212.142.90.102 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০৬371301
  • ইউনিয়নাইজ করা স্বীকার করে , ইন ফ্যাক্ট সেটাই অথরেটারিয়ান রেজিম এর সঙ্গে আমাদের পার্থক্য, অতএব ইউনিয়নকে রেকগনিশন ন দেওয়াটাই বে আইনি। এবার সবাই তাতে যোগ দেবে না তো কি হয়েছে, অ্যাকটিভ বিরোধিতা করবে ডিবেট করবে, মিটে গেল, দিনের শেষে মাল খেয়ে প্রেম করে বাড়ি যাবে, এই কাপালিক রা এখনো আছে টাইপের ভীতি প্রচার হাস্যকর
  • amit | 213.0.3.2 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০৬371300
  • পুরোপুরি একমত। কোনো কিছুকে স্বাভাবিক বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকাটা কোনো সমাধান নয়, বরং সেটাকে ইমপ্রোভ করার চেষ্টাটাই সারভাইভাল। সব ক্ষেত্রে সেটা ওভারনাইট সাকসেস হবে ভাবার কোনো কারণ নেই,, কিন্তু চেষ্টাটা থাকা জরুরি।
  • h | 212.142.90.102 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৫371303
  • আরেকটা কথাও , খুব পরিষ্কার করে বলে রাখা দরকার। দেখুন মিলিটান্সি , সেকটারিয়ানিজম এবং অ্যাফিলিয়েশন ইউনিয়ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকশন কি নেবে সে নিয়ে দীর্ঘ ডিবেট আছে। মোটামুটি ডিবেট গুলো এই।

    --ইউনিয়ন স্ট্রাইক কল করবে কিনা।
    -- গো স্লো করবে কিনা
    -- ইউনিয়ন জেনেরাল স্ট্রাইকে যোগ দেবে কিনা
    -- ইউনিয়ন ঘেরাও ইত্যাদি করবে কিনা
    --পোলিটিকাল অ্যাফিলিয়েশন রাখবে, না কি পোলিটিকাল সেটাপে শুধু রিপ্রেজেন্টেশন করবে, ধরুন বিধান সভার স্পিকারের কাছে, বা সরকারী বা বিরোধী নেতার কনস্টিটিউশনাল অফিসে নিজেদের সমস্যা জানিয়ে আসবে কিনা ইত্যাদি
    -- ইউনিয়ন প্রচারের কাজে পোস্টারিং করবে কিনা, অফিস প্রিমাইসে প্রকাশ্য মিটিং করবে কিনা
    -- ইউনিয়ন মেম্বার রা ম্যানেজমেন্ট কে জানাবেন কিনা তাঁরা ইউনিয়নে জয়েন করবেন কিনা

    এগুলোর প্রায় সবকটারি উত্তর হল, মেমার ব্যালট বা মেম্বার দের মতামত। এবং তার ও পরে, যাঁরা মেম্বার নন বা জেনেরাল পাবলিক তাঁদের কে কতটা সমর্থন কোন বিষয়ে করছেন। আদৌ সমর্থন নাই করতে পারেন, ভাবতেই পারেন, যাদের মাইনে চল্লিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার মাসে, তাদের জন্য পাবলিক সমবেদনা নাও থাকতে পারে। আবার বিচিত্র কারণে থাকতেও পারে। জেট এয়ার ওয়েজ এর কর্মী দের ছাঁটাই এর দিন প্রচুর কন্নাকাটি করা ছেলে মেয়েদের ছবি কাগজে ফ্ল্যাশ হয়েছিল, কটা কারখানা বা সরকারী আপিশ বন্ধ হলে খবর পাওয়া যায়? অতএব কাকে কে কখন সমর্থন করবেন সেটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতি উপরে।

    কোনটাই প্রয়োজন আদৌ নাও হতেই পারে।

    ইউনিয়ন কে রেকগনাইজ করানো টা সম্মান জনক সিভিয়ারেন্স বিল বের করার থেকে কঠিন হতেই পারে। আইন সভায় ইন্ডাস্ট্রি র ব্যাপারে আলোচনা উঠুক এটা সবাই চাইতেও পারেন বা না চাইতেও পারেন, কিন্তু দাক্ষিন্য না, এমনকি কয়েকটি সফল নেগোশিয়েশন ও না, আইনের ফ্রেমওয়ার্ক শক্ত করাটা একটা দীর্ঘমেয়াদী কাজ হতে পারে, কিন্তু যাঁরা কোনমতে বন্ধু দের রক্ষা করছেন, তাঁদের ইমিডিয়েট কনসার্ন নাই হতে পারে।

    অতএব গোটাটাই পরিস্থিতির বিচার এবং মেম্বার দের ইচ্ছে। এবং জেনেরাল সোশাল অ্যাকসেপ্টিবিলিটি। একটাই কথা বলার, ডিরেক্ট কনফ্রন্টেশন (ঘেরাও/স্ট্রাইক কল) ইত্যাদির পরিস্থিতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আসে নি, কিন্তু বাউন্সার দিয়ে কর্মী দের হ্যান্ডল করা হলে (যেমন হায়্দেরা বাদে হয়েছে) তখন ইন্ডিভিজুয়াল কর্মী রা কনফ্রন্টেশন এ জড়িয়ে পড়তেই পারেন, যদিও খুব ই ক্লিয়ার, সামাজিক পরিস্থিতি এই, শিক্ষিত , সামাজিক অবস্থানে হারানোর আছে লোক জন কনফ্রন্টেশনে যাবেন না। শুধু এটুকু বোঝা দরকার, কয়লা খনির শ্রমিক যদি ফোরম্যান কে কেলিয়ে থাকে ৭০ দশকের আন্দোলনে, বা মারুতী তে যেরকম ঘটেছে, সেই শ্রমিক দের সামাজিক অবস্থান, এবং তাঁদের কাজ করানোর পদ্ধতি , ফিজিকাল অপ্রেশন, হোয়াইট কলার ওয়ার্কার দের নাই, সেই জন্যেই তাঁরা হোয়াইট কলার, এটা বোঝা দরকার, শখ করে কেউ ট্রেড ইউনিয়নে মিলিল্টান্ট হয় না, প্রশ্নটা যেখানে মেনলি সামান্য চাগরি বাঁচানোর এবং পারিবারিক দায়িত্ত্ব সামলানোর, এবং সেটা মোটামুটি অ্যাকসেপটেবল সোশাল নর্ম্স রেখে। আগের বা কোন কোন ক্ষেত্রে এখনকার অন্য ক্ষেত্রের শ্রমিক আন্দোলনের টেন্ডেন্সি গুলোর উপরে রাগারাগি করার আগে, নিজেদের পরিস্থিতি আলাদা এটা বুঝে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে, এটাও মাথায় রাখা দর্কার, সর্বদা খুব শান্তিপূর্ণ ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না, মারুতী শ্রমিক দের ভার্সন অফ দ্য স্টোরি শুনলেই সেটা বোঝা যাবে। প্রেগনান্ট মেয়ের থার্ড ট্রাইমেস্টারে চাকরি গেলে সে আজ করুন ভাবে কাঁদছে, কাল কাঁচা খিস্তি দিতেই পারে।
  • h | 212.142.90.102 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৮371304
  • এত তর্কাতর্কির পরেও আমি মনে করি না, এস এম ইউনিয়ন বিরোধিতা করে গালাগালি খাওয়ার মত অন্যায় কিছু করেছেন। বেশ করেছেন বিরোধিতা করেছেন। দ্বিমত পোষণ করলে ডিবেট করুন।
  • sm | 52.110.195.69 | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৩৮371306
  • দু তিনটে কথা বলে নিতে চাই। কখনই বলা হয়নি চট কল বন্ধ হওয়ার জন্য ইউনিয়ন দায়ী। এটা হানুর আমদানি। হানু জানে আর ক্লাস সিক্সে পড়ে বাচ্চা ও জানে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারন একটি নয়; দশটি।
    দুই, আইটি তে ইউনিয়ন লাগবেনা এমন টিও বলিনি। এটিও আগের টির মতই হানুর সৃষ্টি।
    বলা হইয়াছে, বেশি বেশি ইউনিয়ন করলে চট কলের অবস্থা হবে।
    ভবিষ্যতে বেশি বেশি শর্ট টার্ম কনট্র্যাক্ট আসবে। আখেরে ফ্রেশার দের ক্ষতি।
    ইউনিয়ন তখন ই কাজে আসবে যখন আই টি কোম্পানি গুলিতে সরকারি অংশীদারিত্ব বাড়বে।
    আমার অভিমত আই টি তে ইউনিয়ন বা এসোসিয়েশন যে নামেই থাকুক;সেটি যেন রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা ধারী না হয়। কেন নয় পরে আসছি।
    দুই, এই ইউনিয়ন বা এসোসিয়েশন যেন নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া , টিভি এগুলোতে সরকারি অংশীদারিত্ব বাড়াতে বক্তব্য রাখে।
    কর্মীদের লিগ্যাল এইড দে য়। কারণ ভারতে বিচার ব্যবস্থা ও লেবার কমিশন আছে।
    ---
    অনেকে কুম্ভিরশ্রু ফেলছে কারখানা শ্রমিকের দুর্দশার কথা কেবল তারাই দেখেছে অন্যেরা জানে না। ভালো। ইগ্নরানস ইস ব্লিস।

    আর ব্যান্টার প্রসঙ্গে। হানু আমাকে হাঁফ এর রোগী, অন্ধ কত কি বললো। এগুলো তে মাইন্ড করার কি আছে?
    কাঁচা খিস্তির জবাব(হানু নয়) আগেই দিলাম। বুঝতে পারলে বুঝবে। না বুঝলে ক্ষতি নাই। অন্যের বক্তব্য কে একটু ধৈর্য্য ধরে শুনলেই হল।
    কো ই পারফেক্ট নে হি হোতা স্যার। যো কাম কো ই নেহি করতে ও হাম কর লেতা হ্যায় ;স্যার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন