এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পশ্চিম্বঙ্গের রাজনীতিতে এতো হিংসা কেন

    কল্লোল
    অন্যান্য | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | ২১৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 116.51.22.122 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১২:০৬374031
  • অনেকেই হয়তো একমত হবেন না, কিন্তু আমার বারবার মনে হয়েছে ১৯৬৭ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে পরিমান হিংসার চাষ হয়েছে, অন্য কোন প্রদেশে তা অনুপস্থিত।
    এটুকু বললেই লোকজন হৈহৈ করে উঃপ্রঃ, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এসব রাজ্যের কথা বলবেন।
    আমার প্রশ্নটা অন্য পরিসরে। উঃপ্রঃ, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এসব রাজ্যের রাজনীতিতে যে হিংসা সেগুলি মূলতঃ জাতপাত ও ধর্মভিত্তিক। নীচুজাত/উঁচুজাত, হিন্দু/মুসলমান/খ্রিস্টান, অন্য প্রদেশের মানুষ এসব নিয়ে হিংসা। এই তো সারা ভারত জুড়েই আছে।
    কিন্তু পব্তে এসব নিয়ে হিংসা প্রায় নেই। এখানে কংগ্রেস/সিপিএম/তৃণমূল/নকশাল নিয়ে হিংসা। এখানে ধর্ম নেই, জাত নেই, অন্য প্রদেশ নেই, এমনকি গরীব বড়লোকও নেই।
    আমার এই এতোকালের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকার সুবাদে কিছু মনে হয়েছে সেটা বলি।
    রাজনীতি নিয়ে মারপিট ১৯৬৭র আগেও ছিলো। ১৯৬২তে কংগ্রেসীরা "চীনাপন্থী" কমিউনিস্টদের নিগৃহীত করেছে। অনেককে ঘর ছাড়তে হয়েছে। তারপর থেকে কংগ্রেস সিপিএম মারামারি খুব দুর্লভ ছিলো না, তবে সেটা আজকের মতো মহামারী আকার ধারণ করে নি। পড়ায় পাড়ায় ঝামেলা সত্ত্বেও রকে বসে আড্ডায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, উত্তম-সৌমিত্র, রাজকাপুর-দিলীপকুমার, ঘটি-বাঙ্গাল এসব নিয়ে ফাটাফাটি চলতো। হাতাহাতিতে পৌঁছালে পাড়ার বড়রা কং-কমি নির্বিশেষ থামাতে আসতেন।
    ১৯৬৭তে নতুন এক রাজনীতি এলো। নকশাল। সশস্ত্র বিপ্লব নতুন কিছু নয়। ট্রাম-বাস পোড়ানো, বোম, গুলি এসব বাঙ্গালী বহু দেখেছে। কিন্তু এই প্রথম একটা পার্টির প্রধান ডাক দিচ্ছেন - শ্রেণীশত্রুর রক্তে হাত না রাঙ্গালে সে কমিউনিস্ট নয়।
    শ্রেণীশত্রু কে? ঐ তো পাড়ার যে ছেলেটা সিপিএম বা কংগ্রেস করে।
    গতকাল যার সাথে ইস্টবেঙ্গল/মোহনবাগন জিতেছে বলে চা ভাগ করে খেয়েছি, গতকাল যার মায়ের হাতে লক্ষীপুজোর নাড়ু, গতকাল যার বাবার হাত থেকে বাজারের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে বয়েছি, তাকে খুন করতে, হ্যাঁ পেটে ভোজালী বা কানপুরীয়া চালিয়ে দিতে এতোটুকু হাত কাঁপেনি।
    অনেকেই বলবেন, যেন এর আগে খুনখারাপী হয় নি? গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর নৃশংসতা ভুলে গেলেন?
    না, ভুলিনি। কিন্তু আবারও ভাবুন। কারা খুন করতো? মূলতঃ সমাজবিরোধীরা। রাজনৈতিক দলের পোষা গুন্ডারা চিরকালই ছিলো। গোপাল পাঁঠা, রাম চটুজ্যেরা ছিলো। কিন্তু আমার আপনার ঘরের সন্তান? অসীম, সন্তোষ, বিমান, সুধীন, বাচ্চু, ভোন্তাই, সঞ্জু, দিলীপ, প্রদীপ..................এরা???
    আমি জানি না আপনাদের কেউ কখনো খুন করতে গেছেন কি না। আমি গেছিলাম। পরিনি। তিনি আমদের শিক্ষক ছিলেন। তাকে খুন করতে আমাকে আর একজনকে পাঠানো হয়েছিলো। আমরা ওনার সামনে দাঁড়িয়ে এতো ভয় পেয়েছিলাম, যে কোনমতে পালিয়ে আসি। উনি বুঝতে পেরেছিলেন কি না, আজও জানি না। একজনকে, বিশেষ করে পরিচিত কাউকে খুন করতে গেলে যে প্রবল হিংস্রতার দরকার হয়, মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের বেড়ে ওঠার মধ্যে সেই হিংস্রতা সাধারণতঃ থাকে না। নকশাল রাজনীতি মধ্যবিত্ত মননে সেই হিংস্রতাকে মান্যতা দিয়েছে।
    এটাই শুরু।
    এরপর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় অন্য রাজনীতিতেও খুন মান্যতা পেয়েছে।
    আর এখন তো অন্য রাজনীতির লোককে খুন করাটা জলভাত।

    উৎসাহীজনে লিখুন। আমি তো ভুলও হতে পারি।
  • S | 194.167.2.96 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১২:২৯374042
  • অন্য রাজ্যে রাজনীতির মুল স্ট্রাকচারটাই জাতপাত, ধর্ম এইসব দিয়ে তৈরী। তাই আপাত দৃষ্টিতে জাতপাত, ধর্ম নিয়ে খুনোখুনিগুলো আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা হয়তো সেটা বুঝতে পারিনা। কারণ আমাদের এখানে রাজেনীতির সাথে এতোদিন অবধি জাতপাত আর ধর্মের কোনও সম্পর্কই ছিলোনা। সে সুদিনও বোধয় শিগ্গিরিই দেখতে হবে।

    পুলিশ যতদিন রাজ্য সরকারের পুতুল হয়ে থাকবে, ততদিন এইসব চলতেই থাকবে। অবশ্যি ভারতের অনেক রাজ্য (ইনক্লুডিঙ্গ পব) পুলিশের গুন্ডামিও কম দেখেনি।
  • T | 165.69.191.251 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৪৪374053
  • আহা, শুদু রাজনীতিতেই হিংসে নাকি! সবেতেই লোকে কাঠি কচ্চে।
  • কল্লোল | 116.51.22.122 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:০৫374075
  • পিটি। লিংকটা ঠিকমত আসেনি। আরএকবার দাও।
  • কল্লোল | 116.51.22.122 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:১৯374097
  • প্রথম লিংটা দেখতে পাই নি। কিন্তু লিংকটা পড়ে মনে হচ্ছে প্রাচীন ভারতে হিংসা গোছের। পরেরটা আজকের ভারতে হিংসার খতিয়ান।
    এমনিতে প্রথমটা নিয়ে খুব অদ্ভুত লাগলো। প্রাচীন রোম বা গ্রীসে, কিংবা ১৭শতকে সারা পৃথিবী জুড়েই হিংসা। কোথায় আর কবে লোকে হিংসা ছাড়া রাজত্ব বাড়িয়েছে, সম্পদ বাড়িয়েছে?

    পরেরটা নিয়েও বলার কিছু নেই।

    কিন্তু পবতে এই যে রাজনৈতিক দলাদলির চরম হিংসা - এটা কেন? আমার এটা নিয়েই সকলের সাথে মত বিনিময় করতে ইচ্ছে হলো।

    S। লিখছেন "আপাত দৃষ্টিতে জাতপাত, ধর্ম নিয়ে খুনোখুনিগুলো আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা হয়তো সেটা বুঝতে পারিনা।"
    বুঝতে না পারার কিছু নেই। উঁচুজাতের দল নীচুজাতের দলকে বা উল্টোটা - মারছে। হিন্দু দল মুসলমান দলকে মারছে। এগুলো বুঝি।
    কিন্তু একজন উঁচুজাত অন্য উঁচুজাতকে মারছে বা একজন নীচুজাত অন্য নীচুজাতকে মারছে, একজন বড়লোক অন্য বড়লোককে মারছে, একজন গরীব অন্য গরীবকে মারছে - স্রেফ অন্য দলের লোক বলে।
    এটা কেন?
  • PM | 103.168.70.199 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৪১374108
  • শুরুর ও শুরু আছে। নকশাল আন্দোলনের মরাত্মক সামাজিক প্রভাব নিয়ে একমত কল্লোলদার সাথে।

    কিন্তু শুরুর ও শুরু আছে। আমার মতে নকশাল আন্দোলনের বিজ আছে অনুশীলন সমিতির মধ্যে। KKK র এর মতো নিশ্ছিদ্র গোপোন সংগঠন আর আদর্শ ভিত্তিক নৃশংশ নৈরাজ্যের শুরু বোধ হয় তখন ই যার চরম ম্যনিফেস্টেসন হয় নকশাল আন্দোলনের মধ্যে।

    এখন যা হচ্ছে তা ভয়ন্কর কিন্তু অতীতের প্যারোডি মাত্র। আদর্শ নেই কিন্তু নৈরাজ্যের প্রতি মোহ টা পুরোমত্রায় অছে
  • S | 194.167.2.96 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৪৭374118
  • "উঁচুজাতের দল নীচুজাতের দলকে বা উল্টোটা - মারছে। হিন্দু দল মুসলমান দলকে মারছে।"

    কল্লোলদা, কেন মারছে? আপনি উত্তর দিয়ে দিয়েছেন "স্রেফ অন্য দলের লোক বলে।"

    পবে মারেনা কেন? কারণ একই দলের লোক।
  • j | 24.142.249.114 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৫০374032
  • আচ্ছা তিনোদের বদমাইশি-খুন-জখম-ডাকাতি বেড়ে গেলেই কি সুন্দর পুরনো রেফারেন্স (৩৪টা তো ক্লিশে) , গবেষণধর্মী লেখাপাত্তর, কে কবে কি হিংসা করেছিল , বর্গী, খিলজি , মুঘল হইতে কংসমামা হইতে অন্ধকারে চৌরাশিটা , ঠ্গী যোগী সব কেমন সুড়্সুড় করে এসে যায়

    অন্য সময় কিন্তু হিংসার কারণ দলের বা ব্যক্তির ওপরই চাপে
    কোথাও বোধহয় একটা তিনোদের নিয়ে একটা দার্শনিক দায় রয়ে গেছে , আহা রে একদিন সেঁকে টেকে ডেকে হেঁকে যাকে নিয়ে এলুম তাকেই কিনা তোমরা গালাগাল দিচ্ছ ! বেচারারা তো ইতিহাসের পুতুল
  • | 144.159.168.72 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৫৮374033
  • অজ্জিত এইরকমই একটা টই খুলেছিল, রাজনীতিতে হিংসার প্রাবলয় কবেথেকে কেন ইত্যাদি নিয়ে। সে তখন সিঙ্গুর নিয়ে মারামারির সময়ই বোধহয়। বেশ আলোচনাও হয়েছিল তাতে। এখন নামটা মনে পড়ছে না।
  • | 144.159.168.72 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০০374034
  • ওহোহো জে'র কমেন্ট খেয়াল করি নাই।
    ওঃ তার মানে অজ্জিতও তখন ঐ জাস্টিফাই করতেই টই খুলেছিল। আমি আবার ভাবলাম আলোচনা হচ্ছে পুরানো রেফটাও দিয়ে যাই।
    এহেহে ইশশ
  • PT | 213.110.242.18 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০৫374035
  • "The fertile East produced food and raw materials which the West consumed and the industrialised West produced manufactured goods which were consumed by the East. This mutually beneficial trade and exchange was severely disrupted by the partition. Rail, road and water communication routes were severed between the two. After partition West Bengal suffered from a substantial food shortage as the fertile rice producing districts of Bengal went to the eastern half. The shortage continued throughout the 1950s and 1960s. By 1959, West Bengal faced an annual food shortage of 950,000 tones. Hunger marches became a common sight in Kolkata.

    বাংলা ভাগ ও তৎপরবর্তি হিংসা একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। সাতচল্লিশের বাংলা ভাগের মধ্যেই যেমন বাংলাদেশের জন্মের বীজ লুকিয়ে ছিল, এপারে উদ্বাস্তুদের বেঁচে থাকার অসম লড়াইয়ের ও দিনগত পাপক্ষয়ের কারণে হিংসার snowballing এফেক্ট তৈরি হতে হতে থাকে। কোন আশ্চর্য কারণে নকশাল আন্দোলনের শুরু ও তার প্রসারের সময়কাল বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলনের ঘটনাচক্রের সঙ্গে প্রায় একই সময়কালে সমান্তরাল ভাবে দানা বাঁধতে থাকে থাকে। পব-র বাঙালীর (ও বাংলাদেশের বাঙালীর) জীবনে ৪৭ থেকে ৬৭-র হিংসা গুলি-বন্দুক ও হত্যার ভিত্তিতে মাপা যাবেনা। (একজন চেষ্টা করেছিলেন মাপতেঃ "দাদা আমি বাঁচতে চাই"-সেটা যক্ষার হাত থেকে বাঁচার আর্তি নয়)।

    তাই "১৯৬৭ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে পরিমান হিংসার চাষ হয়েছে" তার আলোচনাতে ভারতের অন্য রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার আলোচনা আমার কাছে অনেকাংশেই অপ্রাসঙ্গিক ও অ-তুলনীয় বলে মনে হয়!!

    পব-র রাজনৈতিক হিংসা ১৯৬৭-র বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।
  • | 144.159.168.72 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:১৪374036
  • এখানে দুটো কথা।
    ১) হিংসার ম্যাগনিচ্যিউড বোধহয় পঞ্জাবের দিকে অনেক বেশী। পশ্চিম সীমান্তভাগের আগের বেশ কয়েকমাস থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত বাংলার তুলনায় বেশী বলেই আমার মনে হয়েছে। এখন যে সমস্ত ওরাল হিস্ট্রি বা অন্য পার্টিশান রিলেটেড বইপত্র আসছে সেগুলো পড়ে।
    ২) বাংলাভাগেরও আগে ধরুন বর্গীহানা বা মাঝে যে দুশো আড়াইশো বছরের বাংলা লেখাপত্র ইত্যাদির ঠিকঠাক তথ্যাদি পাওয়া যায় না (রেফঃ সুকুমার সেন) সেই মাৎস্যন্যায় পিরিয়ডেও অত্যুগ্র হিংসা ছিল না? (এই নিয়ে আমার ত্যেমন পড়াশোনা নেই, গল্পকাহিনী থেকে মনে হয় আর কি)
  • কল্লোল | 116.51.22.122 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:২৪374037
  • S আপনার Date:24 Apr 2018 -- 01:47 PM - সেটাই তো কোশ্ন, পবতে জাতপাত, ধর্ম, অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে দল এতো প্রবল কেন?
    অনেকেই জাতপাত ও ধর্মের ভেদটিকে অর্থনৈতিক বৈষম্যের জায়গা থেকে ধরতে চেয়েছেন। আমি পুরোটা একমত নই। তবু ভারতে নীচুজাতের লোকেরা গরীব, মুসলমানেরা বেশীরভাগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা, মানতে খুব অসুবিধা নেই। কিন্তু কংগ্রেস-তৃণমুল-নকশাল-সিপিএম এই ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৈষম্য কোন কাজই করে না। অর্থনৈতিক বিষয় থাকে না এমন নয়। প্রোমোটারী, সিন্ডিকেট এসব আছে। তবু, নিজের দলের লোককে খুন করে দেওয়া খুব সুলভ নয়, নেই যে না, তা নয়, কিন্তু সেটা খুব হরহামেশা হচ্ছে না। এখন সেটাও বাড়ছে।

    ধরুন দেশভাগ। পাঞ্জাবে যে পরিমান হিন্দু-মুসলমান খুনোখুনি বাংলায় এক গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং, কিছুটা নোয়াখালি ছাড়া তেমন কিছু হয় নি।
    উদ্বাস্তুদের মধ্যে শ্যামাপ্রসাদ, আরএসএস দাঁত ফোটাতেই পারে নি। বরং পবর মানুষদের মধ্যে কিছুটা হলেও আরএসএস ছিলো। উত্তর কলকাতায় পার্কেটার্কে খাকি হাফপ্যান্ট দ্যাখা যেত।
    অথচ উদ্বাস্তুদের মধ্যে মুসলমান বিদ্বেষ স্বাভাবিক কারনেই প্রবল হওয়ার কথা। তখন হয় নি।

    অনেকে অনুশীলন, যুগান্তরের কথা তুলেছেন। হ্যাঁ, তাতে মধ্যবিত্ত ছিলো। কিন্তু মারছে কাকে? ইংরাজ রাজপুরুষ। প্রচুর অত্যাচরী বাঙ্গালী পুলিশ, রায়বাহদুর খেতাবলোভী জমিদার ছিলেন, যারা এদের ধরিয়ে দিয়েছেন। কোই তাদেরকে মারার কথা শুনি না তো।
  • PT | 213.110.242.7 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:২৯374038
  • পঞ্জাবের প্রসঙ্গ অবশ্যই আসতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় উদ্বাস্তু সমস্যা সেখানে অনেকটাই মিটিয়ে দেওয়া গিয়েছিল। তারপরে বাংলার উদ্বাস্তুদের জন্যে প্রায় কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।

    কেউ বলছেন প্রাচীন ভারতে হিংসার রমরমা ছিল। সেই হিসেবেঃ Naxalism is just a recent part of a much longer and very complex and troubled history of violent conflict between the state and the forest.
    https://www.firstpost.com/living/ancient-indias-political-history-is-based-on-violence-historian-upinder-singh-on-new-book-4181671.html

    তাই সব মিলিয়ে পব-র হিংসার জন্য ১৯৬৭-কে নির্দিষ্ট দায়ী করা মোটেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না।

    (তবে j: 01:50 PM-তে যা লিখেছেন সেটা আমারও মনে হয়েছিল......)
  • কল্লোল | 116.51.22.122 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০৯374039
  • হ্যাঁ, লেখাটা পড়লাম। বইটা পড়ার ইচ্ছে রইলো।
    কিন্তু দুইটা কথা।
    ১) এই প্রাচীন ভারতের হিংসাত্মক কার্যকলাপে বাংলার ভূমিকা কি ও কতোটা? ভারত বলতে তো দ্রাবিড় ও আর্য ভারত। মগধের পূবকে তো গুনতির মধ্যেই রাখতো না কেউ। গঙ্গাহৃদিরা খুবই প্রবল ছিলেন কিন্তু যুদ্ধটুদ্ধ ততো শোনা যায় নি।
    ২) একইভাবে পোলিটিকাল ভায়লেন্স ইন ব্রিটেন, ফ্রান্স, কামস্কাটকা, হাইতি বা পেরু কি আর্জেন্টিনাও লেখাই যায়।
    উপিন্দরের ধরার জায়গাটা আলাদা। এই যে ভারত বুদ্ধ-অশোক-গান্ধীর দেশ। এখানে সেই কবেত্থে অহিংসার চাষ হয় - এই মিথ ও মিথ্যাটিকে ভাঙ্গতে চেয়েছেন। ভারত অন্য আর সব দেশের মতোই হিংসার আশ্রয় নিয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।
    তাতে বাংলার অবদান কতোটা, যে আজ এই হানাহানি।

    বাংলার সশস্ত্র বিপ্লবের কর্ণধারদের কথা আগেই লিখেছি। তারা মধ্যবিত্ত ঘর থেকেই ছিলেন। কিন্তু শুনেছো কি যুগান্তর আর অনুশীলন মারপিট করছে। আকচাআকচি কিন্তু খুব ছিলো। সেটি খুনোখুনিতে রূপ পায় নি।
    এমনকি দেশী মানুষকে খুন সেও তো ততো নেই!
    এই তো সেদিন টেলিগ্রাফ নিয়ে একটা লেখায় (সম্ভবতঃ আবাপতে) পড়লাম, প্রফুল্ল চাকীকে ধরার ব্যাপারে দায়ী একজন বাঙ্গালী পুলিশ। তাকে কি কেউ মেরেছিলো? না বোধহয়।
    নক্শাল রাজনীতি বলাটা হয়তো একটু ভুল, বলা ভালো সিপিআইএমএলের রাজনীতি। কারন সে সময় সিপিআইএমএল ছাড়াও অনেক নকশাল দল ছিলো যারা ঐ নির্বিচার খুনোখুনিকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন।
    শ্রেণীশত্রুর রক্তে যে হাত রাঙ্গায়নি সে কমিউনিস্ট নয় - এটা চারুবাবুর বাণী। চারুবাবুর মত ছিলো বন্দুক-পিস্তল নয়, দা, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারতে হবে শ্রেণীশত্রুদের - সেটাই হচ্ছে প্রকৃত শ্রেণীঘৃণার প্রকাশ। ইদানিংকালে জামাতীদের কথা মনে পড়িয়ে দেয় যারা চাপাতি দিয়ে নাস্তিক খুন করে। তাদেরও একই কথা বলা হয়।
  • dc(kol) | 113.242.190.11 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ২২:১৭374040
  • পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এতো হিংসা কেন আর সবকিছুর সূত্রপাত নক্সালদের দিয়ে এটা পরিষ্কার যুক্তি হলোনা । অধুনা রাজনৈতিক হিংসা শুধুমাত্র ক্ষমতা ভোগদখলের নিমিত্ত মাত্র মনে হয় । নকশালদের হিংসার পেছনে কিন্তু রাজনৈতিক মতবাদ ছিল , রাজনৈতিক আদর্শের একটা স্পষ্ট প্রভাব ছিল । দিনবদলের স্বপ্নতাড়িত বহু যুবক আগুপিছু না ভেবে শুধুই আবেগের সততাকে পুঁজি করে এই আগুনে ঝাঁপ দেয় ।আজকের হিংসা মোটেও তার সাথে সমার্থক নয় । সেই পথ রাজনৌতিক হটকারিতা ছিল কিনা সে প্রশ্ন অন্য , কিন্তু অগ্নিযুগের বিপ্লব কেও তাহলে শুধুই হিংসা বলে আজকের সাথে সমার্থক করে দেখতে হয় !
  • PT | 213.110.242.7 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ২২:৪৮374041
  • অন্ন আলো, অন্ন জ্যোতি, সর্বধর্মসার
    অন্ন আদি, অন্ন অন্ত, অন্নই ওঙ্কার।
    সে অন্নে যে বিষ দেয় কিংবা তাকে কাড়ে,
    ধ্বংস করো, ধ্বংস করো, ধ্বংস করো তারে।
    (বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

    ১৯৪৩-এর মন্বন্তরের মাত্র দেড় দশকের মধ্যে চালের দাম বাড়ার কারণে ১৯৫৯-এর ১০-ই ফেব্রুয়ারী লোকে রাস্তায় নামে। ২৫ শে জুন হরতাল। ১৪-ই জুলাই থেকে আইন অমান্য আন্দোলন। ৩১ শে অগাস্ট লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়। ঐ দিন নাকি ৮০ জন গুলিতে মারা যান। আরো যা যা হয় তা নাকি পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পরিচালনা করেছিলেন।

    ১৯৬৬-তে আবার রেশনে চাল নেই। আন্দোলন, বিক্ষোভ। ১১ মার্চ ১৯৬৬ পর্যন্ত সরকারি হিসেবঃ নিহত ৫০, আহত ৩০০, গ্রেপ্তার ৭ হাজার। এক মন্ত্রী নাকি এইকথা বলেছিলেনঃ
    "দেশের সব মানুষকে দুবেলা খেতে হবে তার কোন মানে নেই। সব দেশেই কিছু না কিছু উপোসি লোক আছে। পূর্ববাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তুরা মূলত গুন্ডা প্রকৃতির, তারা প্রায়শি মারমুখী ও লুন্ঠনবাজ। খাদ্য আন্দোলনের নামে কলকাতা ও তার আশেপাশে এই শ্রেণির মানুষেরাই গন্ডগোল পাকাচ্ছে।"

    সূত্রঃ
    ক্ষুধার্ত বাংলাঃ রাষ্ট্র ও বেনিয়াতন্ত্রের গণহত্যার দলিল।
    সম্পাঃ মধুময় পাল, দীপ প্রকাশন।

    এই একটি মাত্র ইন্ডিকেটর দিয়ে বোঝা যায় যে রাষ্ট্রের হিংসা মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম রসদ কেড়ে নিচ্ছিল। রাষ্ট্র জানত না বোধহয় যে ঠিক হোক, ভুল হোক, প্রতিহিংসা নেওয়ার ইচ্ছাটা মানুষের মধ্যে চাড়িয়ে যাচ্ছে। কাজেই প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর মত ১৯৬৭-র হিংসার জন্ম দিয়েছিল অধিকতর হিংস্র ও অমানবিক এক রাষ্ট্রব্যবস্থা।

    অর্থাৎ কিনা পব-র রাজনৈতিক হিংসা ১৯৬৭-র বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৩৬374043
  • কল্লোলদা অন্য রাজ্যে থেকে, তাদের সঙ্গে মিশে যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো সেখানে লোকে শুধুমাত্রই নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করে। মানে আমি যদি অমুক দলের সাথে জড়িত থাকি তাহলে আমার সুবিধে হবে, অতেব আমি অবশ্যই সেই দলের সঙ্গেই থাকবো। সেই দল যদি রাজ্য আর দেশের সর্বনাশও করে দেয় এবং আমি সেটা জানি, তবুও আমি আছি। সেখানে সার্বিক রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা কম। জানি খুব ডেন্জারাস জেনারালাইজেশন করছি, তবু এটা মোটামুটি ভাবে সত্যি।

    কিন্তু আপনি দেখুন নক্শাল আন্দোলনকে। বা প্রথম কয়েক দশকের সিপিএম। বা এমনকি দিদির প্রথম দিকের রাজনীতি। সেখানে লোকে নিজের পরিবারকেও শ্রেণী শত্রু ঘোষণা করেছে। নিজের আরামের জীবন ছেড়ে দিয়ে বাম রাজনীতি করেছে। রাজনৈতিক মনোভাবটা খুব প্রবল বাঙালীদের মধ্যে। নিজের পরিবারের রাজনৈতিক কাঠামোর থেকে বেড়িয়ে রেবেল হওয়া খুব কঠিন। কিন্তু সেটাও হয়।
  • PM | 56.152.100.168 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৫২374044
  • নকশাল আন্দোলনের সাথে এখনকার হিংসার তুলনা চলে না এটা সত্যি। কিন্তু মধ্যবিত্তের মধ্যে মানুষের ওপর অত্যচার করা, খুন করা, ভায়োলেট করা এসবের প্রতি যে ট্যবু ছিলো , সামাজিক অগ্রহনীয়তা ছিলো সেটা ধারাবাহিক ভাবে ভাঙে অনুশীলন সমিতি ( লোকে এদের হিরো ওয়ার্শিপ করত), ১৯৪৭ এর দাঙ্গা, আর ১৯৭১ এর খুনোখুনির ধারাবাহিকতায়।

    পরবর্ত্তীতে পুজি বাদের একাধিপত্তের পরে আদর্শ চুলোয় গেছে, খুনোখুনির ট্যাবু ও ভেঙ্গে গেছে আগেই--- তার ফলে আজকের পরিস্থিতি।

    ৩৪ বছরে একটা আপাত শান্তি ছিলো ( অনেকে যেটা শ্মসানের শান্তি বলত)-- সেটার কারন অন্তত রাজনীতির ওপোরের স্তরে একটা " ভদ্রলোকের" আবরন ছিলো ( সরকার বা বিরোধী) আর নিচের স্তরের ওপোর নিয়ন্ত্রন ও ছিলো। ব্যতিক্রম ও হয়েছে-- সেটা ডিস্ক্রিট-- শেষের দিকে ওপোরের নিয়ন্ত্রন যতো কমতে থাকে সন্ত্রাস বাড়তে থাকে।

    এখন পুরোটাই গো অ্যাস ইউ লাইক। পুলিশের গুতো ও নেই। চারটে লোক এক হলেই যা খুশী করা যায় নির্ভয়ে।
  • pinaki | 90.254.154.99 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০১:০৪374045
  • তৃণমূলের আমলে সব হিংসা অপরিকল্পিত হুলিগ্যানিজম - এটা আমার কেন জানি না ঠিক মনে হয় না। যদিও আমি রিয়েলিটি থেকে অনেক দূরে, কিন্তু আমার মনে হয় তৃণমূল যেটা করছে সেটা অনেকাংশেই পরিকল্পিত আর নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস। খেয়াল করলে দেখা যাবে এত মার দাঙ্গা হচ্ছে, কিন্তু সেই অনুপাতে বডি কাউন্ট কম। অর্থাৎ পরিষ্কার নির্দেশ আছে ওপর থেকে, কেলিয়ে পাট করে দিবি, কিন্তু কেউ যেন না মরে। তার ফাঁক গলে দু চারটে লাশ পড়ছে ঠিকই, কিন্তু যে ব্যাপকতায় সন্ত্রাস হচ্ছে তার তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। এটা কিন্তু একদম অনিয়ন্ত্রিত হলে সম্ভব ছিল না বলেই আমার মনে হয়।
  • amit | 213.0.3.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:১৯374046
  • কল্লোলদা at আরো সবার কমেন্ট গুলো ভালো লাগলো। 60-এর দশক এর হিংসা হয়তো হটাৎ করে শুরু হয়নি, তার আগের বেশ কিছু বছরের সলতে পাকানো র ভূমিকা আছে। হয়তো একটা থ্রেশহোল্ড লেভেল পর্যন্ত লোক সহ্য করেছিল, তারপর বাঁধ ভেঙে যায়।

    কিন্তু 60-৭০ নকশাল আন্দোলন এর হিংসার সাথে এখনকার গুন্ডারাজের অনেক তফাৎ আছে। তখন যেটা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই, রাষ্ট্র একুয়াললি পাল্টা সন্ত্রাস চালিয়েছিল যেটা সব জায়গাতে হয়ে থাকে, যেমন Kashmir বা নর্থ ইস্ট এ হচ্ছে এতো বছর ধরে। এখন যেন মনে হয় রাষ্ট্র জিনিসটাই অনুপস্থিত। একটা মব যা ইচ্ছে করতে পারে আর তাদেরকে ঠেকানো তো দূরের কথা, পরে তাদের গ্রেফতার করার সাহস ও রাষ্ট্র বা পুলিশের নেই। এতটা সরকারি ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভাঙতে হয়তো দেখা যায়নি আগে।
  • sm | 52.110.144.102 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:০২374047
  • কল্লোলদার কমেন্ট খুব ভালো লাগলো, শু কি? নোটা নিয়ে কি বললো বলো তো?
  • T | 121.65.61.14 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:২৩374048
  • অমিতের জন্য একটা লিংক দিচ্ছি।
    https://en.m.wikipedia.org/wiki/Information_Technology_Act,_2000
    নোটা নিয়ে উঠোনে লাপালেই এইটা ধরিয়ে দেবেন। :)
  • amit | 213.0.3.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:৩২374049
  • T-কে থ্যাংকস। ভালো ইনফো। কেও জেনেবুঝে তর্ক করতে এলে তার সাথে কাজে লাগবে।

    কিন্তু কোনো পাঁড়েজির ছাগল উঠোনে নাপালে তাকে কে দেয় ?
  • T | 121.65.61.14 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:৩৭374050
  • না না, প্রেক্ষিত ক্লিয়ার করে দিই। রেসিডেন্ট খোরাকটি কিছুদিন আগে 66A নিয়ে গলাবাজি কচ্চিলেন। ওঁর ধারণা ছিল সঙ্গত কারণেই আইনটি সাংবিধানিক এবং বর্ত্তমান। :) যেমন হয় আর কি! উনি আইনে আছে, আইন জেনো এসো মোডে ছড়িয়েছিলেন। :)
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:৩৯374051
  • এসেম, বিজেপি কি জমি ফেরৎ দেবে বলছে? কোটা ফোটা তুলে দিয়ে উচ্চবর্ণকে উঁচু উঁচু পোস্টে নেবে বলছে? তাই আপনারা এত আশা করে ওদের আনতে চাইছেন? কিন্তু যদি এসে জমি না দেয়? জমির বদলে যদি বাঁশ দেয়? কোটা ফোটা কিছুই যদি না তোলে? অ্যাকাউন্টে কত লাখ করে দেবে বলেছিল, কিছু তো দেয় নি, বরং উল্টে সবার অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ে নিয়ে পাচার করে দেবার প্ল্যান করছে।
  • amit | 213.0.3.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:৪৪374052
  • আহা, এনার খোরাক বাজি বন্ধ হয়ে গেলে ফ্রীতে এমন নির্মল আনন্দ আর কোথায় পাবো ? চলুক।
  • sm | 52.110.144.102 | ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৮:০৭374054
  • নোটা টা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন