এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • রিয়েল বনাম ভার্চুয়াল আমরা

    pi
    নাটক | ১৩ মে ২০১৮ | ২৩৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | 167.40.205.189 | ১৩ মে ২০১৮ ২১:০৩375721
  • যাঃ। দুটো সুতো খুলে গেল ! মামু, একটা ডেল মেরে দিও।

    এনিয়ে লিখতে গেলে লেখার অনেক কিছু আছে, বলা ভাল, ধন্দ , প্রশ্ন আছে অনেক। কিন্তু আপাততঃ সময় যেহেতু কম, যেজন্য এই মুহূর্তে টই খোলার কথা মনে হল, তা হল এই লেখাটি, বলা ভাল, লেখাটির কিছু লাইন।
    -----
    http://www.anandabazar.com/editorial/we-have-take-the-onus-to-wipe-out-this-shame-dgtl-1.796432?ref=hm-editorschoice
    ' কলকাতা আলিঙ্গনাবদ্ধ প্রেমকে গণধোলাই দিয়ে সুখনিদ্রায় যায়, সেই কলকাতা দিনেদুপুরে বাসে প্রকাশ্য হস্তমৈথুনে প্রতিবাদ করতে পারে না? এমনকী কোনও এক তরুণীর আর্ত আহ্বানেও সাড়া দেয় না এই কলকাতা? আলিঙ্গনের আপত্তিতে যে অন্যায় স্পর্ধার প্রকাশ, তার ছিটেফোঁটাও কেন দেখা যায় না প্রকাশ্য অশালীনতার প্রতিবাদে? এই কলকাতা কি আমাদের পরিচিত?

    জানি, দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনার থেকে কলকাতার সাধারণীকরণ করাটা সঙ্গত নয়। যুক্তি এ-ও বলবে, এই কলকাতাই নীতি পুলিশির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। এই অশালীনতার ঘটনাতেও গর্জে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। আক্ষেপ এটাই, নিরালম্ব মাধ্যমে এই গর্জনের পাশাপাশি যদি বাস্তবেও তার লক্ষণ দেখা যেত! যে আম মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করলেন তিনি কি ওই অশালীন ঘটনার সাক্ষী ছিলেন না বাসে? অথবা বাসে যাঁরা সাক্ষী ছিলেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার কেউ নন? নাকি এমনটা দাঁড়াচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যথাযথ হচ্ছি আর বাস্তবে হচ্ছি ঠিক উল্টোটা। আলিঙ্গনের প্রাপ্তি সেখানে গণপিটুনি আর হস্তমৈথুনের প্রতিক্রিয়ায় উদাসীন নৈঃশব্দ।'

    ----

    তো কথা হল, বা প্রশ্ন হল, না এই ঘটনা স্পেসিফিক কিছু জানতে চাইছি এমন না, বরং সাধারণ ভাবে। এর কোনটা ঠিক ? মানে, এই যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেছেন, মেট্রো কাণ্ডে ক্যালানি দেবার, বা, এই বাসের কাণ্ডে মেয়েটি সাহায্য চাইবার পরেও। সেই লোকজন মেট্রোতে নীরব দর্শকের মধ্যে ছিলেন না বা নীরব দরশকেরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও নীরবই থেকেচেন , যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, সেরকম কেউ রিয়েলিটিতে অকুস্থলে থাকলেও প্রতিবাদ করতেন , নাকি বাস্তবে যাঁরা নীরব থেকেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল দুনিয়াতে তাঁদের অনেকেই প্রতিবাদে গলা মিলিয়েছেন ? সোশ্যাল দুনিয়াতে গলা মেলানো সহজ বলে ? এই ঘটনার পরে রিয়েল দুনিয়ার প্রতিবাদে তাই সোশ্যাল দুনিয়ার প্রতিবাদের চেয়ে লোক অনেক কম ? নাকি সেই লোক কম হবার কারণ, সবাই সব সময় রিয়েলিটিতে উপস্থিত থাকার মত সুবিধেজনক অবস্থানে থাকেন না। সেটা ইচ্ছাকৃত না, অনেকটাই বাস্তবিক অসুবিধার জন্য ? বা, তেমন অসুবিধে না হলেও, শারীরিক ভাবে প্রতিবাদে উপস্থিত হবার্র জন্য যতটা আর্জ লাগে, অসুবিধে পেরিয়েও, সেটার ড্রাইভিং ফোর্স স্বাভাবিক ভাবেই সবার থাকবে না, সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট করায় ততটা পরিশ্রম নেই। না, পরিশ্রম নেই, ঘরে বসে সজজ প্রতিবাদ করা, এটাকে ছোট করে বলছিনা, এটা প্র্যাকটিকালি ভাবতে গেলে বোঝা তত কঠিন নয় । কথা হল, যাঁরা ভার্চুয়ালি প্রতিবাদ করছেন, সেটা প্রতিবাদযোগ্য মনে করছেন বলেই করছেন কিনা, বাস্তবে ওখানে থাকলে প্রতিবাদ করতেন কিনা, বা একা করতে সাহস না পেলেও ( সেটাও প্র্যাকটিকাল সমস্যা, এক কথায় এটারও নিন্দে করা যায়না, সবার পক্ষে বাস্তবে মবের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে)।
    প্রশ্নটা হল লোকজন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ফেক করেন কিনা ?

    আমার যদিও মনে হয়, এই সবরকম সম্ভাবনাই থাকতে পারে। বাকিদের কী মনে হয় ? তবে লিখতে লিখতে মনে হল, সেতো বাস্তব দুনিয়াতেও লোকে মনে এক , মুখে আরেক বলতে পারে। বা ইমেক তৈরির জন্য একেক ক্রাউডের কাছে একেকরকম। সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল বনাম রিয়েল কি বড্ড গোদা সাদা কালো অবাস্তব ছায়াযুদ্ধ ? রিয়েলিটিতেও অনেক আমি থাকতে পারে। তার একটা সত্য, বাকিগুলো ফেক নাও হতে পারে, প্রেক্ষিত পরিস্থিতিতে একাধিক সত্যও সম্ভব তো, কিছু ক্ষেত্রে।

    এটা অনেকেই বলেন, যে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অনেক ফেকিং হয়। কারণ করাটা সোজা। এই যেমন কদিন আগেই কোন এক গ্রুপে কেউ নিজের আঁকা বলে একটি ছবি পোস্ট করেন, রবীন্দ্রনাথের পোট্রেইট। পরে ধরা পড়ে, কোন বিখ্যার শিল্পীর আঁকা ছবি। তো, এই ফেকিং গুলো ভার্চুয়াল দুনিয়ায় করা সহজতর , এ কি বাস্তবে এর এরকম করত না ? এরকম প্রচুর কেসই সোশ্যাল মিডিয়ায় আকছার দেখি। এর ওর তার লেখাও নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া। ভার্চুয়াল দুনিয়া এগুলো করার সুযোগও বেশি দিচ্ছে বটে। আবার আরেকদিক দিয়ে দেখলে, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এগুলো ধরা পড়ার সুযোগও আবার বেশি। একটু সচেতন লোকজনের সার্কেল হলে। যারা এগুলো করে, তারা সেটা জেনেই করে নাকি একটা সার্কেলে এক্সপোজড হলেও অন্য অনেকের কাছেই নাও হতে পারে, এটা ভেবে চান্স নেয়?

    তাহলে ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও পাব্লিক পোস্ট আর অডিয়েন্স সিলেক্ট করা পোস্ট, ক্লোজড বা সিক্রেট কম্যুনিটিতে করা পোস্ট, এসবেরও ফারাক হবে বিস্তর, আবার সেটা দেখতে গেলে রিয়েল লাইফেও হতে পারে। বেশি কম কিছু আছে কি ?

    তো, আমার তো মনে হয় সম্ভাবনা অসীম ও প্রান্তর সত্যই ধূসর।

    বাকিদের মনে হওয়া শুনি। কেস স্টাডিও।

    এক দু লাইন লিখব ভেবে একগাদা কথাই লিখে ফেললাম। যাহোক। বাকিদের মত শুনি।
  • dc | 181.49.169.219 | ১৩ মে ২০১৮ ২২:২৭375732
  • আমি রিয়েল লাইফে একেবারে টোটাল ভীতুর ডিম। কখনো কোন কিছুর প্রতিবাদ করিনা, রাস্তা দিয়ে যাবার সময়ে সামনে গন্ডগোল দেখলে পাশের গলি দিয়ে অন্য রাস্তায় চলে যাই (অবশ্য তেমন কোন গন্ডগোল দেখিওনি)। লাইফে কোনদিন কোন আন্দোলন বা মিছিলে অংশ নিইনি, কোন মিছিলে হাঁটার জন্য কেউ ডাকতে এলে পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘরে বসে থাকবো। এগুলো একদম সিরিয়াসলি লিখলাম।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৩ মে ২০১৮ ২৩:১৬375743
  • ডিসি,
    যদি ওরা বলে হাঁটলে "বিস্কুট" দেবে? ঃ-)
  • dc | 132.164.24.82 | ১৪ মে ২০১৮ ০৬:৫৫375753
  • কত ক্যারাটের আর কত গ্রামের "বিস্কুট" দেবে সেটা বললে হয়তো ভেবে দেখতেও পারি, তবে তাতেও চান্স খুব কম। এমন কিছু করবো না যাতে সরকারের বা পুলিশের বা পলিটিকাল পার্টির নজরে পড়ি। ভোটের ক্যাম্পেনিং এর সময়েও যখন যে পার্টির লোক আসে তার সাথে ভয়ানক ভাবে একমত হয়ে যাই, তারপর হয়তো ভোট দিতেই যাই না।
  • avi | 57.11.203.5 | ১৪ মে ২০১৮ ০৮:৫৫375754
  • আর যদি বলে, না হাঁটলে দানা খাইয়ে দেবে?
  • dc | 132.164.24.82 | ১৪ মে ২০১৮ ০৯:০৫375755
  • দৌড়বো :p
  • pi | 167.40.205.189 | ১৪ মে ২০১৮ ১১:২১375756
  • কিন্তু ডিসি, ভার্চুয়ালিও তো আপনি তাই করবেন?
  • dc | 116.203.72.87 | ১৪ মে ২০১৮ ১২:২৪375757
  • হ্যাঁ ভার্চুয়ালিও এমন কিছু করবোনা যাতে দেশের সরকারের নজরে পড়ি।
  • dc | 116.203.110.165 | ১৪ মে ২০১৮ ১২:২৯375758
  • আর হ্যাঁ ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কিছুটা নিজেকে অ্যানোনিমাইজ করা যায়, কিছুটা স্পুফিং করা যায়। কিন্তু সেসবের লিমিট আছে, এমনকি কানাঘুষো শোনা যায় যে টরও নাকি আনব্রেকেবল না। তো অনলাইনে যেকোন কিছু পোস্ট করার আগে সেটা খেয়াল রেখে পোস্ট করি।
  • B | 127.194.234.14 | ১৪ মে ২০১৮ ১২:৪৯375722
  • "............
    প্রশ্নটা হল লোকজন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ফেক করেন কিনা ?

    আমার যদিও মনে হয়, এই সবরকম সম্ভাবনাই থাকতে পারে। ...... তবে লিখতে লিখতে মনে হল, সেতো বাস্তব দুনিয়াতেও লোকে মনে এক , মুখে আরেক বলতে পারে। বা ইমেক তৈরির জন্য একেক ক্রাউডের কাছে একেকরকম। সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল বনাম রিয়েল কি বড্ড গোদা সাদা কালো অবাস্তব ছায়াযুদ্ধ ? রিয়েলিটিতেও অনেক আমি থাকতে পারে। তার একটা সত্য, বাকিগুলো ফেক নাও হতে পারে, প্রেক্ষিত পরিস্থিতিতে একাধিক সত্যও সম্ভব তো, কিছু ক্ষেত্রে।

    এটা অনেকেই বলেন, যে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অনেক ফেকিং হয়। কারণ করাটা সোজা। এই যেমন কদিন আগেই কোন এক গ্রুপে কেউ নিজের আঁকা বলে একটি ছবি পোস্ট করেন, রবীন্দ্রনাথের পোট্রেইট। পরে ধরা পড়ে, কোন বিখ্যার শিল্পীর আঁকা ছবি। তো, এই ফেকিং গুলো ভার্চুয়াল দুনিয়ায় করা সহজতর , এ কি বাস্তবে এর এরকম করত না ? এরকম প্রচুর কেসই সোশ্যাল মিডিয়ায় আকছার দেখি। এর ওর তার লেখাও নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া। ভার্চুয়াল দুনিয়া এগুলো করার সুযোগও বেশি দিচ্ছে বটে। আবার আরেকদিক দিয়ে দেখলে, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এগুলো ধরা পড়ার সুযোগও আবার বেশি। একটু সচেতন লোকজনের সার্কেল হলে। যারা এগুলো করে, তারা সেটা জেনেই করে নাকি একটা সার্কেলে এক্সপোজড হলেও অন্য অনেকের কাছেই নাও হতে পারে, এটা ভেবে চান্স নেয়?

    তাহলে ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও পাব্লিক পোস্ট আর অডিয়েন্স সিলেক্ট করা পোস্ট, ক্লোজড বা সিক্রেট কম্যুনিটিতে করা পোস্ট, এসবেরও ফারাক হবে বিস্তর, আবার সেটা দেখতে গেলে রিয়েল লাইফেও হতে পারে। বেশি কম কিছু আছে কি ? ...."
    --------------------------------------------------
    দেখা যাচ্ছে এত পড়া, এত প্রতিটি লেখা পড়ে মতামত দেওয়া ব্যক্তির মনে ধন্দ আছে, সন্দও আছে, সংশয়ও আছে প্রবল..... ক্রমাগত প্রশ্ন ও সাথে সাথে অনেকটা ভাসা ভাসা উত্তর দিতে দিতে, যাকে যাচাই করতে বা ঝালাই করতে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন সবার কাছে।
    -------------------------------------------------
    ..... কিন্তু মনে হল শেষে তিনিই উপসংহার টেনে বলেছেন,
    "তো, আমার তো মনে হয় সম্ভাবনা অসীম ও প্রান্তর সত্যই ধূসর।"
    -------------------------------------------------
    নতুন কিছু বলার আর কিই বা থাকলো?

    শুধু মনে হল, তিনি যথেষ্ট সংযত হয়ে লিখেছেন "ধূসর", আরও প্রযোজ্য শব্দ না লিখে।
  • | ১৪ মে ২০১৮ ২১:৫১375723
  • সাইবার ল তৈরী হবার আগে অনেক লোক ভাবত ফেক আইডি আর ফেক ইমেজ বিল্ডিঙের আড়ালে লুকিয়ে যা খুশী বলা যায়। এই সময় সেক্সিজম, মিসোজিনি আর বাইগট্রি একেবারে তুঙ্গে ছিল। আইন তৈরী হবার পর একটু কমল আবার টর ইত্যাদি অ্যানোনিমাইজার এসে যাওয়ায় আবার বেড়ে উঠেছিল। এখন ল এনফোর্সমেন্ট হচ্ছে কিছু কিছু ফলে আবার কমের দিকে যাবে, যাচ্ছেও কিছু কিছু।

    আজ মনমেজাজ বহুত খারাপ। পরে এসে কেস স্টাডি দিয়ে যাব।
  • B | 127.194.228.244 | ১৫ মে ২০১৮ ০০:১৫375724
  • জলের ওপর পানি না
    পানির ওপর জল........
    জলের ওপর পানি না
    পানির ওপর জল.......
    বল খোদা বল খোদা বল
    বল খোদা বল খোদা বল.....

    আলির ওপর কালী না
    কালীর ওপর আলি........
    আলির ওপর কালী না
    কালীর ওপর আলি........
    বল খোদা বল খোদা বল
    বল খোদা বল খোদা বল....
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৫ মে ২০১৮ ০৩:৫৫375725
  • কাকমার্গ
    করাতমার্গ
    মিরচাইমার্গ
    ....
    জিলিপিমার্গ

    ভিন্ন ভিন্ন সাধনমার্গ সব। ঃ-)
  • B | 69.92.144.166 | ১৭ মে ২০১৮ ১৬:৫৮375726
  • সাধন মার্গ না প্রসাধন সাবুন মার্গো, কি জানি, কিন্তু মার্গ শুনলেই বামুনদের খাওয়া নিয়ে ছোটকালে শোনা অনেকগুলো গল্পের মধ্যে একটা গল্প মনে পড়ে যায়- দেব কি দেব না করে দিয়েই দিলাম এই রসিক-রসিকা সমাগমের মধ্যে-

    সেই যে 'এখনও তো চাবিখাড়া হয় নি', খাটিয়ায় শুয়ে বাড়ি ফিরে আসা, ইত্যাদি নানা গল্পের মধ্যে সেই ব্রাহ্মণ ব্যক্তির এক অনুষ্ঠানগৃহে খেতে খেতে ঘনঘন নিজের আঙুল শোঁকা দেখে আয়োজকদের একজন শেষমেশ জিজ্ঞেস করার গল্প। সেই যে প্রশ্ন, 'পণ্ডিতং, পণ্ডিতং! অঙ্গুলি কেন নস্যিতং।'-এর উত্তরে পণ্ডিতের কাতরমুখে বা চোখমুখ কুঁচকে অস্ফুট উত্তর, "মার্গং গলিতং..."

    তার আর পর নেই ....
  • B | 69.92.144.166 | ১৭ মে ২০১৮ ১৭:১৪375727
  • এখানে তো আবার ভাষা সন্ত্রাস, রুচি অধোগমন ইত্যাদি, প্রভৃতি নিয়ে বেশ ছুৎমার্গ আছে দেখা যায়, যদিও তা অনেকের কাছেই ভীষণভাবে selective মনে হয়, তাই একটু আমড়াগাছি করে নিয়ে এই কথাটাও লিখেই দিলেম; এক নৈহাটি ভট্টপল্লীর এক বেদজ্ঞ, শাস্ত্রজ্ঞ ব্যাক্তির কাছে শোনা।

    আমরা যে এই মাগী শব্দটি শুনলে আঁতকে উঠি, কানে আঙুল দিই, সেই শব্দের ব্যুৎপত্তি বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, "মার্গ দর্শন করান বলেই তাঁকে মাগী বলা হয়। এই শব্দটি বহুদিন ধরেই আমাদের সাহিত্যে, কবিতায় ও গানে, ব্যবহৃত হত। তখন অবিশ্যি এযুগের সিউডো ভদ্দরনোক শ্রেণী তৈরী হয় নি।"
  • | ২৮ মে ২০১৮ ২২:৫৯375728
  • এহ স্প্যামে ভত্তি।

    যাই হোক কেসস্টাডি দেবো বলেছিলাম। লিখি।

    ১)
    সে অনেককাল আগের কথা, বাংলা ভাষাভাষি ইউজারদের কাচে নেট বিশেষতঃ নেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার বেশ নতুন। সাহিত্য পত্রিকা বলতে 'পরবাস' শুধুমাত্র এক এবং অদ্বিতীয়। সামহোয়ারইন, গুরুচন্ডা৯, সচলায়তন ইত্যাদি তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। জুকু তখনও মাঠে নেমেছে কিনা ঠিক জানি না, বোধহয় না। আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগের কথা। তো আড্ডা কাইন্ড অফ ফেসিলিটি দিতে শুরু করল বাংলালাইভ।

    তো বা-লাতেও এমনি লগিন করেই কেবলমাত্র লেখা ফেখা যাবে এমন রেস্ট্রিকশান সে কালে ছিল না। তার অপব্যবহার হত প্রচুর। মডারেশান সত্ত্বেও হত। মানে কারো যদি বাংলাভাষাটার উপরে যথেষ্ট কন্ট্রোল থাকে সে সুন্দর করে গালিগালাজসহ পোস্ট মডারেশানের ছাঁকনি দিয়ে পাস করিয়ে দিতেই পারে, এরকম কেস।

    তা ঐ যেমন হয় আর কি অল্প কিছুদিন লেখালেখির পরই বিভিন্ন ইউজারের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদান হতে শুরু করে। আমি তখন আম্রিকায়। তো আমার সাথেও কিছু লোকজনের আলাপ সালাপ হয়। অজ্জিত সিকিদের সঙ্গে তখনই আলাপ। তা এইসময় একজন নিজেকে খুবই স্নেহময় দাঁতের মাজন হিসেবে প্রোজেক্ট করে টরে বেশ অনেকের সাথে ফোনে আলাপ সালাপ করত। করত মূলতঃ নিজের টাইমপাস করতে ও চুকলিবাজি করতে। সেটা পরে বোঝা গেছিল। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত ঐ স্নেহময় দাঁতের মাজন ইমেজ আর কি।

    তো এই ব্যক্তি আমাকে ফোন করে একদিন সাইটের অপর দুই মহিলা ইউজার সম্পর্কে বলছে " -- আর ## কে দেখলেই মনে হয় প্যাড পাল্টাতে পাল্টাতে আসছে"। আমি না পুরো হতভম্ব হয়ে গেছি, তখনও পিরিয়ড প্রায় ট্যাবুই। সেইটা নিয়ে ওরকম ইমেজ বানানো একটা লোক এরকম ভাবতে এবং বলতে পারে --- জাস্ট বিয়ন্ড এনি ওয়াইল্ড ইম্যাজিনেশান। প্রথমেই মাথায় এলো তার মানে কি এই মক্কেলের বাড়ির মহিলারা ওপেনলি প্যাড পাল্টায়? বাড়িতে বাথরুম নাই? কিন্তু বলে উঠতে পারলাম না। প্রচন্ড আপত্তি করে কিছু বলায় উল্টোদিক থেকে কান পুড়িয়ে দেওয়া কুৎসিৎ হাসি।

    মিঠুকে বলেছিলাম এই ঘটনাটা, সোসেন শ্রাবণীদেরও পরে বলে থাকতে পারি। মিঠু শুনেই বেজায় হেসেছিল ঐ ইমেজের সাথে এই বাক্যি শুনে। মিঠুও চেনে এ মক্কেলকে।

    আমি পরে অবশ্য এর বাড়িয়ে গিয়ে মহিলাদের দেখেও এসেছিলাম স্রেফ এইটা দেখতে যে ... যাক সেকথা।

    এইটে আমার #MeToo তে দেবার ঘটনা। সেই সময় ফোনে রেকর্ডিঙের সুব্যবস্থাটুকু থাকলে কি সুবিধেই না হত রে ইপ্পি।
  • π | ২৯ মে ২০১৮ ০০:১৫375729
  • কী অদ্ভুত! কিন্তু এখন ফোন রেকর্ড হয় কি হচ্ছে জেনেও যারা বলে যায়, তারা কী লেভেলের সেটা ভেবে সত্যি ভয় লাগে। তবে আমার কেমন জানি মনে হয় যারা এসব করার, করবেই
  • | ২৯ মে ২০১৮ ০০:২৩375730
  • আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি রেকর্ড করছি বললেই পটাং করে কেটে দেয়। সে ফ্রড কলারই হোক কি সেক্স অফেন্ডার কি ভার্বাল অ্যাবিউজার সবাই কেটে পালায়।

    আমার ধারণা এরা ভাবে যে মেয়েদের যা খুশী বলে পার পাবে। রেকর্ড করে পুলিশের কাছে সত্যিই যাবে এটা ভাবে না। পুলিশও অনেকসময় যথেষ্ট হ্যারাস করে কাজেই ঘাগু অফেন্ডারগুলো সেই সুযোগই নেবার চেষ্টা করে।
  • B | 127.248.137.166 | ২৯ মে ২০১৮ ১২:৪০375731
  • "এটা অনেকেই বলেন, যে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অনেক ফেকিং হয়। কারণ করাটা সোজা। ..............তো, এই ফেকিং গুলো ভার্চুয়াল দুনিয়ায় করা সহজতর , এ কি বাস্তবে এর এরকম করত না ? ..................... যারা এগুলো করে, তারা সেটা জেনেই করে নাকি একটা সার্কেলে এক্সপোজড হলেও অন্য অনেকের কাছেই নাও হতে পারে, এটা ভেবে চান্স নেয়?"
    --------------------------------------------------
    কোই শক্‌?? মানে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ আছে কি?

    সন্দেহ আর নেই !
    ---------------------------------------------------
    "তাহলে ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও পাব্লিক পোস্ট আর অডিয়েন্স সিলেক্ট করা পোস্ট, ক্লোজড বা সিক্রেট কম্যুনিটিতে করা পোস্ট, এসবেরও ফারাক হবে বিস্তর, আবার সেটা দেখতে গেলে রিয়েল লাইফেও হতে পারে। বেশি কম কিছু আছে কি ?

    তো, আমার তো মনে হয় সম্ভাবনা অসীম ও প্রান্তর সত্যই ধূসর।"
    ........
    ---------------------------------------------------
    প্রান্তর ধূসর নয়, বরঞ্চ একদম কালোই।

    বারবার প্রমাণ হয়, সময় সবই প্রমাণ করে দেয়।

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেবল একটু দেরী হয়, সেটা কেন, কে বলবে? আর কেনই বা বলবে?।
  • ছাগলছানা | 113.219.46.128 | ৩১ মে ২০১৮ ০০:৩৩375733
  • আমি আবার দেখেছি বাস্তবে রেগে গেলে আমি অনেকটাই বেশি violent এবং aggresive হয়ে পরি. ভার্চুয়াল জগতে অতটা হইনা
  • aka | 202.69.82.249 | ৩১ মে ২০১৮ ০১:২৪375734
  • আচ্ছা এইটা না অনেক ভেবেও বুইতে পারি নি, প্যাড পাল্টাতে পাল্টাতে আসা মানে কি? খামোকা কেন কেউ প্যাড পাল্টাতে পাল্টাতে আসবে? এই মেটাফরটি ঠিক ধরতে পারি নি।
  • S | 202.156.215.1 | ৩১ মে ২০১৮ ০৩:০৩375735
  • জুলাই আগস্টে কোলকাতায় কিছু হচ্ছে?
  • সিকি | ৩১ মে ২০১৮ ০৬:১৬375736
  • হুঁ, বৃষ্টি।
  • | ৩১ মে ২০১৮ ০৭:০২375737
  • ওই কিছু লুইচ্চা মেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের কথা জোরে জোরে বলে ডিসকমফোর্ট তৈরী করে আনন্দ পায় না - সেই কেস।

    দ্যাখ আকা এই ২০১৮তে আমরা মেনস্ট্রুয়েশান নিয়ে কথা বলতে সংকোচ লজ্জা বোধ করি না। অজ্জিতের সাথে পরশুই কথা হচ্ছিল এটা নিয়ে যে গত কিছু বছরে আমাদের চিন্তাভাবনা প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে
    কিন্তু সেই সময় এটা উল্লেখ করাই কাউকে কুঁকড়ে দেবার চেষ্টা এবং বহুলাংশে সফল।

    ইন ফ্যাক্ট ২৮শে মে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে ছিল, আমি ফেবুতে এই ঘটনা শেয়ার করে লিখেছিলাম মেনস্ট্রুয়েশান হাগুমুতুর মতই একটি নিতান্ত প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। তার জন্য লজ্জিত হওয়া অস্বস্তি বোধ করার কোন কারণ নেই। আর প্যাড বদলানো নির্দিষ্ট সময় অন্তর খুবই দরকার ও স্বাস্থ্যসম্মত। তা তাতে আমার লিস্টেরই কিছু মেয়ে খুব অবাক ও ক্রুদ্ধ হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রকাশ্যে এই লোচ্চাটার কথাটা সম্পর্কে কমেন্ট করতেও সঙ্কোচ বোধ করেছে।
    এই সঙ্কোচ এখনও অনেকের মধ্যেই আছে রে।

    কিন্তু এরকম একটা দৃশ্যকল্প দুজন সম্পুর্ণ অপরিচিত মহিলার সম্বন্ধে ভানতে গেলে কি লেভেলের পার্ভারশান দরকার ভাব শুধু।
  • | ৩১ মে ২০১৮ ০৭:০৩375738
  • *ভাবতে
  • Sumit Roy | ৩১ মে ২০১৮ ১১:৫৩375739
  • রিয়াল বনাম ভারচুয়ালের আলোচনায় রিয়াল বনাম ভারচুয়াল জগতে মানুষের আচরণের পার্থক্যের কারণ হিসেবে যাকে ধরা হয় তার নাম "অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট"। এটার জন্যই মানুষকে দুই জগতে দুইরকম আচরণ করতে দেখা যায়। অনলাইন ডিজইনহিবিশন বলতে বোঝায় অনলাইনে মানুষের নিজের অনুভূতিগুলোকে কম দমন করা। সামনাসামনি কথা বলার সময় মানুষ নিজের অনুভূতিগুলোকে যেভাবে দমন করত, অনলাইনে দেখা যায় তারা এর চেয়ে কম দমন করে, এটাই অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট। সাইকোলজিস্ট জন সুলার ২০০৪ সালে প্রথম সাইবারসাইকোলজি এন্ড বিহ্যাভিয়র জার্নালে এই টার্মটাকে নিয়ে আসেন। এরপর এটা নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।

    এই অনলাইন ডিজইনহিবিশনেরও আবার বিভিন্ন কারণ আছে। নামহীনতা (কেউ আমাকে চেনেনা, এরকম অনুভূতি) (anonymity), অদৃশ্যতা (invisibility), অসঙ্কালিক যোগাযোগ (asynchronous communication), সহমর্মিতার অভাব (empathy deficit), এবং সেই সাথে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণ যেমন ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তির সাংস্কৃতিক অবস্থার বিভিন্ন বিষয় এই অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্টের ফ্যাক্টর হয়। সাইকোলজিস্ট ক্রিস্টোফার টেরি ও কেইন জেফ মিলে ২০১৬ সালে একটা জার্নালে এর কারণগুলোকে সামনে নিয়ে আসেন।

    নামহীনতা অনলাইনে ব্যক্তিকে নিরাপত্তার অনুভূতি দান করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের পছন্দ মত যেকোন ব্যক্তিত্ব ধারণ করতে পারেন, যা নিজে তিনি নন। অর্থাৎ এখানে তিনি একজন ভিন্ন মানুষ হয়ে যেতে পারেন। এর জন্য তিনি মনে করতে পারেন যে, এখানে যেকোন কিছু বলা বা করা সম্ভব, কারণ বাস্তব জীবনে এর জন্য তাকে তিরস্কার করা হবে না, কেউ সামনে এসে তাকে কিছু বলতে যাবে না। সঙ্কালিক যোগাযোগ এমন একরকম যোগাযোগ যা একাধিক ব্যক্তির মধ্যে লাইভ বা সরাসরি হয় না। এখানে অরিজিনাল বার্তাটি পাঠাবার পর তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায় না, প্রত্যুত্তর পেতে সময় লাগে। এই অসঙ্কালিক যোগাযোগ অনলাইন ডিজইনহিবিশনকে প্রভাবিত করে কারণ এখানে একজন ব্যক্তি ইন্টারনেটে কিছু লিখবার পর পরক্ষণেই তার প্রত্যুত্তর পান না, এবং সেখান থেকে চলে যান। আর একারণে সে কী বলছে এটা নিয়ে তাকে তেমন চিন্তা করতে হয় না। অন্যদিকে এটা একই সাথে একজন ব্যক্তিকে সময় নিয়ে চিন্তাশীল উত্তর দেবার সুযোগ তৈরি করে দেয় - এটাও সত্য।

    সহমর্মিতার অভাব বলতে বোঝায় অন্যের আবেগকে বুঝতে পারার ক্ষমতা কমে যাওয়া (এই বিশেষ ঘটনার জন্য সহমর্মিতার অভাবের অবদান সম্ভবত ছিল না, কিন্তু মানুষ অপরাধীর প্রতিও এমপ্যাথি দেখায়, এটা অস্বীকার করা যায় না)। অবাচনিক প্রতিক্রিয়ার (non-verbal feedback) (বডি ল্যাংগুয়েজ, ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ইত্যাদি) অভাবের কারণে অনলাইন যোগাযোগে এই সহমর্মিতার অভাব দেখা যায়। মাধ্যমায়িত যোগাযগ ব্যবস্থায় অপরপক্ষ কোন ভয়েস টোনে এবং কিরকম ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন নিয়ে বার্তাগুলো পাঠাচ্ছেন তা বোঝা মুশকিল। তাই এক্ষেত্রে অন্যের সাথে সহমর্মায়ন করা (আমার বানানো শব্দ, empathizing) কঠিন হয়ে যায়। নামহীনতা এবং সহমর্মিতার অভাব - এই দুইয়ে মিলে অনলাইনে অন্যদের অনুভূতিকে বোঝা অনেক কঠিন হয়ে যায়, যার মূলে থাকে অন্যদেরকে সামনা সামনি পেয়ে তাদের ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন না দেখতে পাওয়া। এই অভাবকে পুরণের উদ্দেশ্যে এখন অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ইমোজির প্রচলন হয়েছে। (আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বেশিরভাগ কথা বলার সময়ই আমি ইমোজির ব্যবহার করব যাতে অপর প্রান্তের লোকেরা আমার ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন কিছুটা হলেও কল্পনা করতে পারে :পি )

    এই অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট এর সামাজিক ইমপ্যাক্ট এর মধ্যে ভাল মন্দ সবই আছে। ভালর মধ্যে আছে যে, অনলাইনে বিভিন্ন মুভমেন্ট এর কারণে সম্ভব হচ্ছে। এখানে যেমন বলা হল, পাবলিক প্লেসে হস্তমৈথুন নিয়ে সামনাসামনি কেউই কিছু বলেনি, কিন্তু অনলাইনে প্রচণ্ড সমালোচনা শুরু হয়। অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্টের কারণেই এটা অনেকটা সম্ভব হয়। খারাপ দিকের মধ্যে আছে এটা সাইবারবুলিং অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে, সাথে সাথে বাড়ছে অনলাইন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট। উইকিপিডিয়াতে এটা নিয়ে নিবন্ধ লিখছি, আস্তে আস্তে ডেভলপ করব। এখানে আরও বিস্তারিত পাওয়া যাবে:
    https://bn.wikipedia.org/s/ba01

    তবে অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট ছাড়াও আরেকটা ব্যাপার আছে যা বাস্তবের সাথে ভারচুয়াল জগৎকে আলাদা করে দিতে পারে। আর তা হল মানুষের ভেতরের কনফারমেশন বায়াজ। এর কারণে দেখা যায়, মানুষ নিজে কি ভাল মন্দ বোঝে সেদিকে না গিয়ে, আশেপাশের সব মানুষ যা করছে সেদিকেই যেতে চায়। সলোমন এশের একটা বিখ্যাত এক্সপেরিমেন্ট আছে এটা নিয়ে, যেখানে সাবজেক্ট অন্যদের ভুল উত্তর শুনে নিজের ঠিক উত্তরকে চেঞ্জ করে ফেলেছিল। বাস্তব জগতে এটা দেখা যায়, কিন্তু অনলাইনে যেমনটা দেখা যায় তেমনটা না। বাস্তবে কোন অন্যায় দেখলেও মানুষ চেপে যেতে পারে, কিন্তু অন্য কাউকে যদি এর প্রতিবাদ করতে দেখ তখন আরও অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সেই প্রথম মানুষকেই এগিয়ে আসতে কম দেখা যায়। অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্টের কারণে কিন্তু অনলাইনে এই বায়াজ মানুষকে বেশি আক্রান্ত করে। কারণ একসাথে অনেক মানুষ এরকম প্রতিবাদে জড়িয়ে পড়ে, যা দেখে আরও অনেকে এফেক্টেড হয়, সেও তখন প্রতিবাদ করে। এভাবে অনলাইন এখন অন্যতম প্রতিবাদের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

    যাই হোক, প্রকাশ্যে চুমু দেয়াতে বিরোধিতা করলেও হস্তমৈথুনে মানুষ বিরোধিতা করছে না এটার ব্যাখ্যা করতে চাইলে আমার মতে একটু অন্য দিকে যেতে হবে। আমাদের সমাজ নারীর একটিভ সেক্সুয়াল বিহ্যাভিয়র সহ্য করতে পারে না। আর কেন সমাজ, অর্থাৎ পুরুষশাসিত সমাজ এটা সহজে নিতে পারেনা- তার বিশ্লেষণে যেতে হলে আমাদেরকে যেতে হবে বেটম্যান প্রিন্সিপল, ইন্টার-জেন্ডার কম্পিটিশন এর মত ইভোল্যুশনারি সাইকোলজির কিছু কনসেপ্টে। এজন্য পাবলিক প্লেসে হস্তমৈথুনের প্রতিবাদ হয় না, কিন্তু প্রকাশ্য চুম্বনে প্রতিবাদ হয়। যাই হোক, এই রিয়াল বনাম ভারচুয়াল জগতের আলোচনায় বিষয়টা অপ্রাসঙ্গিক হবে বলে সেদিকে আর যাচ্ছি না।
  • dc | 132.164.30.35 | ৩১ মে ২০১৮ ১২:০২375740
  • ইন্টারেস্টিং পোস্ট, অনেক কিছু জানলাম। সুমিতবাবুকে ধন্যবাদ। অনলাইনে অ্যাননিমিটির জন্য আর জিওগ্রফিকাল সেপারেশানের জন্য অনেকে অনেক কিছুই লিখে ফেলে যা সে অফলাইনে বলবে বা করবে না, এটা আগেও কোথাও পড়েছি।
  • | 144.159.168.72 | ৩১ মে ২০১৮ ১৫:৫১375741
  • হুঁ ইন্টারেস্টিং।

    চুমুতে বিরোধীতা করা সম্পর্কে সুমিত বলছেন আমাদের সমাজে নারীকে যে অবস্থানে দেখতে চাওয়া হয় সেটার কথা। সেটা অস্বীকার করছি না, সেটাও একটা কারণ বটে, যথেষ্ট প্রবল কারণও বটে।

    কিন্তু ... কিন্তু ... দুটি সমপ্রেমী ছেলে মেট্রোয় চুমু খেলে কি ঐ দাদুরা ছেড়ে দিত বলে মনে করেন?
    আমি মনে করি না।
  • π | ০১ জুন ২০১৮ ১৯:১৮375742
  • সুমিতবাবু, ইন্টারেস্টিং। কিন্তু অনেক প্রশ্ন আছে। এক এক করে।

    আপনি লিখেছেন,
    '
    এই অনলাইন ডিজইনহিবিশনেরও আবার বিভিন্ন কারণ আছে। নামহীনতা (কেউ আমাকে চেনেনা, এরকম অনুভূতি) (anonymity), অদৃশ্যতা (invisibility), অসঙ্কালিক যোগাযোগ (asynchronous communication), সহমর্মিতার অভাব (empathy deficit), এবং সেই সাথে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণ যেমন ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তির সাংস্কৃতিক অবস্থার বিভিন্ন বিষয় এই অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্টের ফ্যাক্টর হয়।'

    তো ফেসবুকে তো সাধারণভাবে নামহীনতা, অদৃশ্যতা তুলনায় অনেক কম। মানে সারকল শুরুটা বহু ক্ষেত্রেই নিজের রিয়েল লাইফে কোন না কোন সময়ে চেনা লোক দিয়েই, তাহলে কি ডিজইন্হিবিশন ফ্যাক্টর কম? অন্ততঃ গুরুর মত এরকম সাইটের তুলনায়, যেখানে এই ফ্যাক্টর অন্তত অনেক বেশি? তাহলে গুরুর মত সাইটের ভার্চুয়াল আমি আর রিয়েল আমির তফাত ফেবুতে ঐ ঐ এর মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে অনেক বেশি হবে?

    ২। ইর্রেস্পেক্টিভ অব আগের প্রশ্ন, এম্প্যাথির অভাবের কথা বলেছেন, তো এটা কি মনে হয় যে এম্প্যাথির জন্য রিয়েল প্রেজেন্স খুব জরুরি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদির জন্য? এটা নিয়ে কোন স্টাডি আছে?

    ৩। ভার্চুয়াল ইন্টারাকশন কিন্তু আবার অনেক ইন্টারাকশন অনেক গভীরে ও বেশি সময় নিয়ে করারও সুযোগ দেয়, রিয়েল লাইফের যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে একই কোঅর্ডিনেটে একসাথে অবস্থানের ক্ষেত্রে স্থান, সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকে। সেসব না থাকলেও কোথাও, আশেপাশে সর্বক্ষণ থাকা লোকের ( যা বাই ডিফল্ট, জন্ম বা কর্মসূত্রে, তেমন কোন বাছাবাছির চয়েজ নাই) সাথে ইন্টারেস্ট দৃষ্টিভঙ্গি জনিত বড়সড় মিস্ম্যাচ ইন্হিভিবিশন তৈরি করতে পারে, কেউ সেখানে খাপ খুলতে পছন্দই করল না,নিজেকে গুটিয়ে রাখল, সেটাও তো হয়।

    বাকি প্রশ্ন উত্তরের পরে ঃ)
  • Sumit Roy | ০২ জুন ২০১৮ ০০:৫৭375744
  • "দ" এর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে

    আমার যুক্তিতে ভুল ছিল। আমি নারীর সক্রিয় যৌনাচরণকে প্রতিক্রিয়ার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে অন্যান্য কারণগুলোকে অবমূল্যায়িত করেছি যার কারণে প্রতিক্রিয়ার দুটো ক্যাটাগরি তৈরি হয়েছে, এক. যেখানে নারীর সক্রিয় যৌনাচরণ উপস্থিত, দুই. যেখানে এটি অনুপস্থিত। কিন্তু আসলে বিভিন্ন রকম যৌনাচরণেই মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। অবশ্য এটাও ঠিক যে কিছু মাত্রায় ক্যাটাগরাইজেশন থাকবেই, কেননা আমরা দেখেছি পাবলিক প্লেসে পুং হস্তমৈথুনে কেউ প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া দেখায় নি।

    চুম্বনরত সমপ্রেমীর ক্ষেত্রে মানুষের প্রত্যক্ষ্য প্রতিক্রিয়া থাকবে কিনা, এই বিষয়টি আমাকে ভাবিয়েছে। হোমোফোবিয়ার কারণে মানুষ এরকম আচরণের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। হোমোফোবিয়া অর্থ সমকামী, সমপ্রেমীদের উপর কেবল বিতৃষ্ণা নয়, একরকম ঘৃণা। তিন রকমের হোমোফোবিয়া আছে: ইনস্টিটিউশনাল হোমোফোবিয়া, ইনটারনালাইজড হোমোফোবিয়া আর সোশ্যাল হোমোফোবিয়া। ইনস্টিটিউশনাল হোমোফোবিয়ার জন্য ভেতর থেকে সরাসরি ঘৃণা তৈরি হতে হয় না, ধর্মে সমপ্রেম, সমকাম নিষিদ্ধ তাই এটার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ কাজ করে। কোথাও চুম্বনরত সমকামী জুটি দেখলে এর ফলে সরাসরি ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে, তাই সহ্য হয় না। পাব্লিক প্লেসে হস্তমৈথুনও ধর্ম দ্বারা স্বীকৃত না হতে পারে, কিন্তু পুরুষের এই বিশেষ ধরণের ইচ্ছার সাথে অনেকেই পরিচিত, এমনকি এরকম একসিবিশনিজম, ইনডিসেন্ট এক্সপোজার বর্তমানে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর একটা কমন ফর্ম হয়ে গেছে, কিন্তু চুম্বনরত সমপ্রেমী মানুষকে এমন কিছুর এক্সিস্টেন্স সম্পর্কে জানান দেয় যা তারা অস্বীকার করে, যা তার অস্তিত্ব তারা চায় না, যাকে তারা দমন করতে চায়, এক্ষেত্রে ধাক্কা বেশি।

    ইন্টারনালাইজড হোমোফোবিয়া ভেতর থেকে আসে, এর সাথে আমাদের ছোট থেকে বড় হবার সময় সোশ্যালাইজেশন এর ভূমিকা আছে, সমকামীদের নিয়ে প্রচলিত নেগেটিভ স্টেরিওটাইপ জড়িত, সেই সাথে আছে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অভাব, যেটা ব্যক্তি নিজে করে না, পছন্দ করে না, অন্য কেউ করলেও তা সহ্য করতে না পারা, ছোট বেলা থেকে এফেমিনেট, এলজিবিটিদেরকে হেয়ো করতে শেখা ইত্যাদি থেকে। পাবলিক প্লেসে হস্তমৈথুন নিয়ে বা এরকম অন্য কোন অপরাধ নিয়ে কখনও সমাজে নেগেটিভ স্টেরিওটাইপ এভাবে তৈরি হয় নি।

    আরেকটা যেটা বাকি থাকল তা হল সোশ্যাল হোমোফোবিয়া। এই বিশেষ রকম হোমোফোবিয়া আসে পুরুষের ম্যাসকুলিন ইনসিকিউরিটি থেকে। অনেক পুরুষই একরকম ইনসিকিউরিটিতে ভোগে, পাছে যদি অন্যেরা তাকে গে মনে করে, রিয়েল ম্যান না মনে করে, কম ম্যানলি মনে করে, এজন্য দেখা যায় তারা আসলে সমকামীদেরকে ঘৃণা না করলেও সবার সামনে নিজেকে পুরুষ প্রমাণ করতে এটা দেখায়। সমাজে এটার চর্চা অনেক বেশি, স্টেডিয়াম সহ অনেক জায়গায়, যেখানে অনেক পুরুষ জমায়েত হয়, সেখানে এটা দেখা যায়। এমনকি অনেক হোমোসেক্সুয়ালকেও সোশ্যাল হোমোফোবিক হতে দেখা যায়। পরিবেশের চাপে তারা এমন করে, এরকম সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সকে বলে নরমেটিভ সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্স। কনফারমেশন বায়াজের সাথে এর সম্পর্ক আছে। এটা এখানে যেন একটু বেশি ইম্পরটেন্ট, কারণ নারীর এক্টিভ সেক্সুয়াল বিহ্যাভিয়রের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রতিবাদের কারণ হিসেবে যে পুরুষের ইন্টার জেন্ডার কম্পিটিশনের কথা বলেছিলাম, তারও একটা অন্যতম কারণ হল পুরুষের এই ম্যাসকুলিন ইনসিকিউরিটি। কাজেই হোমোফোবিয়ার সাথে নারীর এক্টিভ সেক্সুয়াল বিহ্যাভিয়রকে সহ্য করতে না পারার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম সম্পর্ক আছেই। যাই হোক, এই সবগুলো কারণ মিলে চুম্বনরত সমপ্রেমী জুটিকেও প্রত্যক্ষ প্রতিবাদের বিষয় করে তোলে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন