এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ ও প্ল্যানচেট

    Kaju
    অন্যান্য | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ৬৭৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaju | 236712.158.455612.162 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৪388340
  • রাজেন্দ্রলাল আচার্যের "মৃত্যুর পরপারে" বইতে জানা যাচ্ছে ২৩শে ডিসেম্বর ১৯৪৫ রাজেন্দ্রবাবু লোকান্তরিত রবিবাবুকে প্ল্যানচেটে এনেছিলেন ও প্রশ্ন করেন মৃত্যুর পর তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তাতে রবিবাবু তো ডিটেলস বিবরণ দিয়েছেন শরীর কীভাবে কুয়াশা হয়ে গেল। শুনলে লোকে অবিশ্বাস তো করবেই, ঢপ ভাববে, কেউ হাসতেও পারেন। কিন্তু ওরকম একজন লোক কী এক গুলগাপ্পা মারবেন, আমি তো মানতে পারছি না। সে যা বর্ণনা যাঁরা পড়েছেন নিশ্চয়ই জানেন। বইটি অনলাইনে পাওয়াও যায় দেখলাম। স্বয়ং রবিবাবু ১৯২৯ এ জ্যোতিদাদা, কাদম্বরী, আরো অনেককে এমনকি সুকুমার রায়কে পর্যন্ত প্ল্যানচেটে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন বুলা কে মিডিয়াম করে, সে কথা প্রেতচর্চা বিষয়ক বইতে পাই আমরা। সবই ১৯২৯ এর ঐ সময়ে। সুকুমারের সঙ্গে তত্ত্বালোচনা, প্রায় ইন্টারভিউ বলা চলে ওটাকে। " তুমি কেমন আছ ওখানে " বলাতে সুকুমার উত্রর দিতে চান না, "অন্য প্রশ্ন করুন"। প্রশ্ন করছেন সুকুমার - "আপনি নিজের থেকে কতদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন?" রবিবাবুকে বলছেন গান শোনাতে। বলছেন ব্রাহ্মধর্মে আমার আর আস্থা নেই। আরো বহু কিছু, যেন জীবিত কেউ ! তো এসব ক্ষেত্রে আগত আত্মা স্বল্প কথাই বলে থাকে দেখি, বিস্মিত হলাম রবিবাবুর নিজের কথাগুলো দেখে। টানা বলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আলোকপাত করুন কেউ। একেবারে ফেলে দেয়ার মত লাগেনি আমার। আমিও এসবে ঘোর অবিশ্বাসী। অভেদানন্দের "মরণের পারে" বেশি এগোতে পারিনি কোনোদিনই। কিন্তু এগুলো পড়ে একটু আগ্রহ তো হচ্ছেই। যা জানি না তাকেও উড়িয়ে দিতে পারি না, দাহ বা কবরেই পঞ্চভূতে অত সহজে মেলায় না দীর্ঘযাপিত এই দেহ এটা তো নানা জায়গায় পড়েছি।
  • dc | 236712.158.566712.199 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৩৯388351
  • সবথেকে সোজা হলো দাদুকে প্ল্যানচেট করে ডেকে আনা হোক আর ল্যাম্পপোস্টে দাদুর গান বিষয়ে একটা কবিতা লিখতে দেওয়া হোক। সব প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে যাবে।
  • sm | 236712.158.565612.49 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৪৪388362
  • প্রথমে একটু বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা দেওয়া যাক।
    একজন মানুষ দেখে বা শোনে কি ভাবে?
    বস্তু থেকে আলো চোখের কর্নিয়া,লেন্স হয়ে রেটিনায় পড়ে।প্রতি ক্ষেত্রে আলোর প্রতি সরণ ঘটে বা চ্যুতি ঘটে। ওই ইমেজ এর সিগন্যাল ব্রেনে যায় ও মানুষ এর দর্শন এর পারসেপশন তৈরী হয়।
    শোনার ক্ষেত্রেও একই রকম ফিজিক্স।
    এখন কথা হলো,এই লেন্স,কর্নিয়া,এদের প্রতিসারাঙ্ক আলাদা।
    মরে যাওয়ার পর যদি আত্মার অস্তিত্ব থাকে,তবে তো সেটা বায়োবীয় কোন অবস্থা।
    ওই অস্তিত্বের ভেতরে কোন আলাদা আলাদা প্রতিসরণ সম্ভব নয়। সুতরাং শোনা ,দেখা বা কোনরকম ইন্দ্রিয়ানুভূতি সম্ভব নয়।
    কাজে কাজেই, আত্মার পক্ষে দেখা,শোনা,প্রশ্ন বোঝা বা উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।

    এবার আসি পরাবিজ্ঞানের কথায়।আত্মা একটি অস্তিত্ববিহীন অস্তিত্ব।ধরা ও বোঝার বাইরে।কিন্তু উপযুক্ত মিডিয়াম তাঁর অস্তিত্ব বা উপস্থিতি অনুভব করতে পারে।
    একটু গাঁজা বলে মনে হয়।কিন্তু মনের জানালা খোলা রেখেছি।
  • r2h | 237812.68.674512.103 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৪৮388373
  • প্ল্যানচেটের আত্মারা অত জটিল কাজ করেন না, ঐ গান লেখা টেখা। ওরা শুধু হ্যাঁ না এইসব করেন। আমার মা, কাকা ইত্যাদিরা ইমার্জেন্সির সময় মহাত্মা গান্ধীকে প্ল্যানচেট করে ইন্দিরা গান্ধীর নামে নালিশ করেছিল।
  • Atoz | 237812.69.4545.151 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:২৪388384
  • মহাত্মা গান্ধী(মানে ওঁর আত্মা) সেই নালিশ শুনে কী বললেন?
  • অর্জুন | 236712.158.1234.155 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৩৫388395
  • বিখ্যাত মানুষদের প্ল্যানচেট যদি লেখার বিষয় হয় তাহলে আরেকটু ডিটেলে লিখতে পারতেন। লেখাটা ইঙ্কমপ্লিট লাগল। রবীন্দ্রনাথের সুকুমার রায়কে প্ল্যানচেট করার একটা গল শুনেছিলাম, সুকুমার রায় নাকি রবীন্দ্রনাথকে বলেছিলেন 'আমার ছেলেটাকে একটু দেখবেন।' রবীন্দ্রনাথ সে কথা সুকুমার-পত্নী সুপ্রভাকে জানান। যেই হেতু সত্যজিতের স্বল্পকাল শান্তিনিকেতনে ছাত্ররূপে কাটানো।
  • Kaju | 236712.158.895612.20 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪০388406
  • মুখে কেউ বলে না। পেন্সিলে লেখা পড়ে কাগজে এটাই তো জানতাম। এবার তাতে রবিব্ববুর নিজের আসার এতখানি বর্ণনা কীভাবে সেইটা নিয়েই ভাবছি। বাকি সবাই এক আধ লাইনেই উত্রর দিয়েছেন রবিবাবুকে যখন উনি করতেন ১৯২৯ এ। এক কথায় নস্যাৎ করা গেলে তো কথাই ছিল না। ঐ বইটা কি কেউ পড়েছেন? গোটা বইটা পড়ে তিনি কী বলেন? এটা বহুচর্চিত একটা ধোঁয়াশার ব্যাপার। যে প্রশ্নটা সত্যজিৎ ও তাঁর লেখায় বারবার এনেছেন। মানে এই প্রশ্নের দ্বন্দ্ব তাঁর মনেও ছিল।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.155 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৩388417
  • *গল্প

    *সেই হেতু

    কোন বইয়ের কথা বলছেন?

    'মরণের পরে' বইটিতে অভেদানন্দজী কি লিখেছেন? বইটার একটা কপি প্রায় সব বাড়িতেই দেখা যেত।
  • avi | 236712.158.1234.135 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৪388418
  • গুলগাপ্পা জিনিসটা বহুস্তরীয়। মোটিভেশন, প্রেজেন্টেশন, সচেতন জেনেবুঝে করা - অনেক পার্থক্য থাকে। অনেকসময় নিজের আবেগ ও মুডের ওপর নির্ভর করে ভ্রান্তি হয়, এখন এগুলোর নিউরোসার্কিট্রি একটু একটু করে জানা যাচ্ছে। পুরো স্থায়ী ড্যামেজ থাকলে সেটা তথাকথিত মানসিক রোগের মধ্যে চলে আসে, কিন্তু সেটা ছাড়াও অনেক সময় স্ট্রেস লেভেলের ওপর নির্ভর করে সাময়িক তারতম্য হয় বেশ কয়েকটা গেটিং পাথওয়ের। তার ওপর থাকে নিজের বিশ্বাস তথা প্রায়র লার্নিং, সোশ্যাল গ্রূপ বায়াস ইত্যাদি ঝামেলা। সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হিসেবে যে স্মৃতিটি বেরিয়ে আসে, তাতেও প্রচুর জল থাকে। অনেক সময় আবার এরকম হয়, প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন জনের সাথে শেয়ার করতে করতে একটু একটু করে ডালপালা মেলতে থাকে এপ্রিসিয়েশন অনুসারে, পরে তাকে অখণ্ডভাবে সত্য মনে হয়। আবার এই নিয়ে নিজের মনেই যদি সন্দেহ বা অসততা থাকে, সেক্ষেত্রে অনেক মানুষ একে রক্ষার্থে রীতিমতো হিংস্র হয়ে ওঠেন। সবরকম উদাহরণই চারপাশে পাওয়া যায়। আর এইসব ব্যাপার জ্ঞানীগুণী মানুষের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশিই থাকে।
  • Kaju | 236712.158.895612.20 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৬388341
  • অর্জুন, হ্যাঁ সে কথাটা তো আছেই।

    আমি কম্প্লিট তো লিখতে বসিনি, তার জন্যে উপযুক্ত ও বিখ্যাত বই আছে। সে বই এখানে কেউ না কেউ পড়েছেন তো বটেই। আমি শুধু প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি মাত্র আলোচনার স্বার্থে। ভাটের ল্যাঙ্গুয়েজেই লেখা তাই, কিন্তু ভাটে হারিয়ে যাবে, অযথা অন্য একটি বিষয় নিয়ে অলরেডি ভারাক্রান্ত, তাই টইতে আলোচনার খেই ধরানো এটুকুই।
  • Kaju | 236712.158.895612.20 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৮388342
  • অর্জুন, আমি রাজেন্দ্রলাল আচার্যের বইটির কথা বলছি, শুরুতেই উল্লিখিত। ওতেই রবিবাবুর নিজের আসার বর্ণনাটি আছে। আমার আগ্রহ ঐখান থেকেই এল।

    রবীন্দ্রের প্রেতচর্চা নিয়ে কোন বই সে নাম কেউ জানলে বলবেন। আছে একটা যদ্দূর জানি।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.155 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৫৩388343
  • রাণী চন্দের স্মৃতিকথা 'গুরুদেব' এ রবীন্দ্রনাথের প্ল্যানচেটের উল্লেখ আছে।

    মনে হয় আনন্দবাজারে নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে লিখেছেন।
  • এলেবেলে | 236712.158.676712.22 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১১388344
  • @কাজু, আপনার যখন এই বিষয়ে আগ্রহ জেগেছে তখন এই ফাঁকে অমিতাভ চৌধুরীর 'রবীন্দ্রনাথের পরলোকচর্চা' বইটা একবার দেখতে পারেন। আমার কাছে হার্ড কপি আছে, জানি না ওটার সফট কপি আছে কি না।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.135 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৩388345
  • @কাজু

    পড়ুন

    'নতুন বৌঠান কাদম্বরী, স্ত্রী মৃণালিনী, পুত্র শমী, কন্যা মাধুরীলতা, নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মতোই প্রেত-অধিবেশনে একদিন এলেন বিদেহী সুকুমার রায়। তাঁর গানের সমঝদার সুকুমারের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ধরলেন ‘তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়।।।’। মাঝপথে থেমে গেলেন গানটার কথা ভুলে! সুকুমারের আত্মা রবীন্দ্রনাথকে প্রশ্ন করে বসল, ‘‘আমার ছেলেকে আপনার আশ্রমে নিতে পারেন?’’

    সুকুমারের এই ইচ্ছের কথা তাঁর স্ত্রী সুপ্রভাকে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং। এই কথা শুনে কিছু দিন ছেলেকে নিয়ে কবির শান্তিনিকেতনে কাটিয়েও যান সুপ্রভা। কিন্তু সদ্য বাবা-হারানো ছেলেকে কী ভাবে আর একা ছেড়ে আসেন সেখানে! কিন্তু এর ঠিক দশটা বছর পর দেখা যাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের আশ্রমে সত্যজিৎকে পড়তে পাঠিয়ে দিচ্ছেন সুপ্রভা রায়।'
  • Atoz | 237812.69.4545.143 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৭388347
  • প্রিয় পুত্র শমীন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ যখন প্ল্যানচেটে শমীর আত্মাকে ডাকলেন, সেই জায়্গাটা বিস্তারিত জানতে চাই। শমী নাকি এসে বলেছিল সে বৃক্ষলোকে আছে। এই জায়্গাটা ভালো করে জানতে চাই। শমী তো মনে হয় খুবই অল্পবয়সে মারা গিয়েছিল, একেবারে বালকবয়সেই প্রায়, কৈশোরের প্রারম্ভে।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.135 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৭388346
  • এটা আরো ইন্টারেস্টিং

    'স্বামী বিবেকানন্দের উৎসাহে স্বামী অভেদানন্দ, আঠেরো শতকের শেষে পাশ্চাত্যে গিয়েছিলেন বেদান্ত দর্শন প্রচার করার জন্য। আমেরিকার প্রথম সারির প্রেততাত্ত্বিকের সঙ্গে তাঁর ভাবনার আদানপ্রদান হয়। প্রায় দুই দশকের প্রবাসজীবনে পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত পরলোকচর্চার কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া তাঁর বক্তৃতা সমাদৃত হয়েছিল। মরণের পরে আত্মা কোথায় যায়, এই প্রশ্নের উত্তরে সাংখ্যকার কপিল আর অন্যান্য হিন্দুদার্শনিকদের সুরেই একবার অভেদানন্দ বলেছিলেন, মৃত্যুর পর পঞ্চপ্রাণ, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির মতো সতেরোটা উপাদানে তৈরি সূক্ষ্মদেহ ধারণ করে আত্মা যায় স্বপ্নলোকের মতোই মনলোকে'
  • Kaju | 236712.158.455612.210 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:২৫388348
  • রানী চন্দের গুরুদেব পড়েছি অনেক আগে, কোটেশন দেখে মনে পড়ল ভালোমত এবার। তবে আলাদা করে এই বিষয়ের বইয়ের লেখক মনে ছিল না। এলেবেলেদাকে ধন্যবাদ। এটাই চাইছিলাম।

    আগ্রহ প্রধানতঃ রবিবাবুর নিজের ঐ অতখানি বর্ণনায়। সেটা হয়ত ঐ রাজেন্দ্রলালের বইতেই শুধু আছে।
  • Kaju | 236712.158.455612.210 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:২৭388350
  • শমী ১৩ বছরে মারা গেছিল। জ্যোতিরিন্দ্রের সঙ্গে কথাতেও তিনি শমীকে কেমন দেখছেন ওখানে, সে একটা নতুন জগৎ বানিয়েছে এটা বলেছেন জ্যোতিরিন্দ্র।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.155 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:২৭388349
  • রবীন্দ্রনাথকেও প্ল্যানচেট করা হয়েছিল।

    '১৯৪৫। পরলোকে উৎসাহী রাজেন্দ্রলাল ভট্টাচার্য প্ল্যানচেটে ডেকে আনলেন রবীন্দ্রনাথের আত্মাকে। সেখানে রবীন্দ্রনাথ নাকি জানিয়েছিলেন, জনাকয়েক অবাঙালির হাত ধরে পরলোকে কুয়াশাচ্ছন্ন, অন্ধকার এক এলাকা থেকে ক্রমশ এসেছেন তীব্র আলোয় ধুয়ে যাওয়া স্থানে। দিলীপকুমার রায় আর রজনীকান্ত নতুন গান লিখে কবিকে পরলোকে স্বাগত জানিয়েছেন। দেখা হয়েছে বাবা মহর্ষিদেবের সঙ্গেও। চারপাশে আশ্চর্য সুন্দর সব ফুল আর পাখি। রাজেন্দ্রলাল পরলোক নিয়ে বই লিখবেন শুনে রবীন্দ্রনাথের আত্মা বলছিল, ‘‘তুমি তোমার বইতে লিখে রেখো যে এইখানে ভয় পাবার কিছুমাত্র নেই।’’

    তারপরও আরও কথা, ‘‘অবশ্য আমি যে স্তরে আছি নিজের সুকৃতির ফলেই লোক সেখানে আসতে পারে।’’ রবীন্দ্রনাথের আত্মা চলে যাওয়ার সময় তেপায়া নড়ে ওঠে।'
  • অর্জুন | 236712.158.1234.151 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩১388353
  • যারা প্ল্যানচেট করছে তাদের চাইতে যাদের প্ল্যানচেট করা হচ্ছে তারা অনেক বেশী চালাক। ঃ-) ঃ-)

    "পরলোক-উৎসাহীদের উদ্দেশে মোক্ষম প্রশ্নটা কিন্তু রেখে গিয়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির এক খাজাঞ্চি কৈলাস মুখুজ্জেই।

    ‘জীবনস্মৃতি’- তে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, পরলোকের ব্যবস্থা কেমন, গুরুজনেরা প্ল্যানচেটযোগে একবার স্বভাব-রসিক কৈলাসকে এই প্রশ্ন করলে উত্তর এসেছিল, ‘‘আমি মরিয়া যাহা জানিয়াছি আপনারা বাঁচিয়াই তাহা ফাঁকি দিয়া জানিতে চান? সেটি হইবে না।’’
  • Kaju | 236712.158.455612.210 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩১388352
  • অর্জুন ১১ঃ২৭, হ্যাঁ সেটা তো শুরুতেই লিখলাম। এটা কোন বই থেকে কোট করলেন?

    কোটেশনগুলো আলোচনাকে সমৃদ্ধ করছে খুবই। বই সব সময় হাতের কাছে থাকে না, সুবিধেই হল।
  • এলেবেলে | 237812.69.563412.123 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৪৩388354
  • @আতোজ, আপনি শমী সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছেন সেটা তো 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ'-এ আছে। যেখানে তিনি লিখছেন, "শমী বলছে --- 'আমি বৃক্ষলোকে আছি, সেখানে এক নূতন জগৎ সৃষ্টি করেছি'। কে জানে কী তার মানে। যে রকম দ্রুত গতিতে লিখে যেত, আশ্চর্য লাগত। একটা কথা শুনে তার অর্থ বুঝে লিখে যাওয়া, এক মুহূর্ত বিরাম না করে, আমি তো মনে করি না সে সহজে সম্ভব"।
  • Atoz | 237812.69.4545.137 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৪৪388355
  • অনেকে বলেন, এই শমীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ওর বাবার মতন হত, হয়তো আরো ভালো ভালো লেখা লিখত। ওর মধ্যেই নাকি রবীন্দ্রনাথের স্বভাবপ্রকৃতির অনেকটা ছিল।
    তো, এই ধারণার ভিত্তি কী? শমীর বাবা ও অন্য আত্মীয়স্বজনেরা ( জ্যেঠারা, জ্যেঠিরা, নিজের দাদাদিদিরা, তুতো দাদাদিদিরা, পারিবারিক বন্ধুবান্ধবেরা ) কেউ কি কিছু লিখে গিয়েছেন?
  • এলেবেলে | 237812.68.454512.252 | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৫৫388356
  • এমনিতেই আমার খুব চাপ যাচ্ছে, দেদার টাইপাতে হচ্ছে ডেস্কটপে! তবুও শুধু কাজু, আতোজ আর অর্জুনের জন্য অমিতাভবাবুর বই থেকে সামান্য টাইপালাম।

    ১৯২৯ সালের ৯ নভেম্বর রানী মহলানবিশ লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ জানান --- "... বুলা তার পরে একদিন এসে পেন্সিল ধরেছিল। এদিনও ভাববার মতো অনেক লেখা বেরিয়েছে। একটা বড় আশ্চর্য কথা পাওয়া গেছে। শমী এসেছিল। অন্য অনেক কথার মধ্যে সে বললে, --- 'শান্তিনিকেতনের ধ্রুবকে আমার মনে পড়ে'। সে অনেক দিনের কথা। ধ্রুব আর দুটি ছেলে শান্তিনিকেতনে আমারই বাড়িতে শমীর সঙ্গে একত্রে ছিল। বেলা তাদের দেখাশোনার ভার নিয়েছিল --- তাদের পড়াশোনাতেও সাহায্য করত। অপূর্ব [অপূর্বকুমার চন্দ] বললে, হ্যাঁ, ধ্রুব বলে এক ছাত্র ছিল। রাত্রে বিছানায় শুয়ে হঠাৎ ওই তিনজনের কথা মনে পড়ল। ধ্রুবকে বেলা খুব স্নেহ করত। তার কথা শমীর মনে পড়বে এটাই সঙ্গত। কিন্তু বুলার হাত থেকে এ কথা বের হলো কী করে? শমীর কথাগুলি ভারি মজার রকমের। সুকুমারের কথাও যেন তারই মতো। মোহনলাল এগুলো লিখে নিয়েছে, কোনো এক সময়ে দেখতে পারো।"
  • অর্জুন | 236712.158.1234.161 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৪388357
  • @ কাজু

    লেখাটা নেটে খুঁজে পেয়ে জলের ছিটা দিচ্ছিলাম। এই নিন নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাটা। পুরোটা পড়ে নিন।

    বাঙালীর প্ল্যানচেটের ইতিহাস।

    @এলেবেলে নিশ্চয় এ লেখার সঙ্গে পরিচিত।

    https://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/a-planchette-1.469875
  • এলেবেলে | 236712.158.566712.153 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১৫388358
  • @অর্জুন, লেখাটা পড়েছি কিন্তু আমি চরম অগোছালো স্বভাবের তাই আপনার মতো গুছিয়ে রাখতে পারেনি। লেখাটায় নীলাঞ্জন সুকুমার রায়কে গান শোনানোর প্রসঙ্গটা অসম্পূর্ণ রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ সুকুমারের অনুরোধে 'তরী আমার' গাইতে গিয়ে মাঝপথে বাণী ও সুর দুই ভুলে যান। ফলে সুকুমারকে নতুন করে শোনান 'অন্ধজনে দেহো আলো'। তবে প্লিজ, আর টাইপানোর জন্য প্ররোচিত করবেন না!!!
  • অর্জুন | 236712.158.1234.151 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২১388359
  • অনেক ধন্যবাদ @এলেবেলে। অমিতাভ চৌধুরীর বইটার নাম শুনলেও পড়া হয়নি।

    চাপ ত যাবেই। স্বয়ং জাতির জনক আপনার আঙুলে ভার চাপিয়েছেন। ঃ-)

    @আতোজ, কে বেঁচে থাকলে কি হত, এইসব ক্লিশে আলোচনা বাঙালী আজীবন করে গেছে। রবীন্দ্রনাথের চারপাশের লোকজনের কাজই তাই ছিল। 'বাপ-কা-বেটা'কে 'সিপাহি-কা' ঘোড়ার মত হতেই হবে।

    রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের স্বকীয় প্রতিভায় উজ্জ্বল ছিলেন। কৃষি বিজ্ঞানী, শিল্পী, সংগ্রাহক, পর্যটক। বাবাকে নকল করে লেখক, কবি কোনোটাই হতে চাননি। রথীন্দ্রনাথ না থাকলে বিশ্বভারতী ও শ্রীনিকেতন পূর্ণাঙ্গ রূপ পেত। শ্রীনিকেতন হতই না। ভারতীয় হ্যান্ডলুম ও হ্যান্ডিক্র্যাফটসের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব রথীন্দ্রনাথ। কিন্তু আজীবন বাবার মত নিজেকে অ্যাডভারটাইজ না করে আড়ালে রেখে দিলেন নিজেকে, পরে চলে গেলেন নির্বাসনে। রথীন্দ্রনাথকে নিয়ে গত বছর তাঁর ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে শান্তিনিকেতনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে বলতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গবেষক, লেখক এসেছিলেন। রথীন্দ্রনাথকে নিয়ে নূতন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
  • অর্জুন | 236712.158.1234.155 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৬388360
  • *বিশ্বভারতী ও শ্রীনিকেতন পূর্ণাঙ্গ রূপ পেত না ।

    @এলেবেলে, কষ্ট করে আর টাইপাবেন না। বইয়ের নাম তো পেয়েই গেছি। সময় করে পড়ে নেব। নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাটার নীচেও গ্রন্থ তালিকা রয়েছে।
  • b | 236712.158.676712.216 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৩৫388361
  • আচ্ছা, 'খুব মালপোয়া খেতে ইচ্ছে করছে'? এটা কি রবীন্দ্রনাথের আত্মা ঐ সময়েই বলেছিলেন?
  • Atoz | 237812.69.4545.137 | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫১388363
  • কিন্তু মহাত্মাগান্ধী এসে কী বললেন সে তো আর শোনা হল না!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন