এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ছবি

  • Vermeer-- Golden age of Dutch art

    Blank
    ছবি | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ | ৪০৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:৩৭395730
  • রাইখস মিউজিয়াম - আমস্টারডাম। দারুণ কালেকশন।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:২০395741
  • আমি শুধু ওয়াশিংটনে দেখেছি খালি।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:২৪395752
  • Vermeer এই নাম টা উঠলে, সবার আগে মনে আসে আলো আঁধারির একটা অদ্ভুত খেলা। ক্যানভাসের এক কোনো থেকে আসা একটু আলো, আর খুব সাধারন কয়েকজন মানুষ। প্রথম বার আমার Vermeer দেখা সেই ছোট বেলার আঁকার স্কুলে, কোনো একটা বিদেশী বই তে। বুঝতাম না camera obscura, বুঝতাম না Baroque period (এখনো বুঝি না)। কিন্তু ছবি গুলো একদম অন্যরকম লেগেছিল তখন। ঐ বইয়ের বাকি ছবি গুলোর মতন ছিল না, Vermeer এর ছবি গুলো(Vermeer নামটাও মনে ছিল না আমার, অনেক পরে যকহ্ন ফের ছবি গুলো চিনতে পারি, তখন ঐ নাম টা মাথায় গেঁথে যায়)।
    প্রথম বার চোখের সামনে Vermeer দেখাত সুযোগ মেলে ন্যু ইয়র্কে, Met এ। অনেক গুলো ছবি আছে ওনার। Girl Aseelp, Young woman, Woman with jug এরকম কিছু। এছারা Frick museum এ গেলে চোখে পরবে Mistress and maid, Officer with a Laughing Girl (নাম গুলো গুগল থেকে নেয়া, আমার মনে ছিল না)।
    Vermeer এর আরো কিছু ছবি পাওয়া যায় DC র ন্যশানাল গ্যলারী তে। A lady writing টা তো বেশ বিখ্যাত। এছারাও আছে Girl with red hat, Woman holding balanceetc
    আমাদের চেনা জানা ছবি আঁকার স্টাইল থেকে অনেকটাই আলাদ স্টাইলে আঁকা ছবি। চেষ্টা করছি নিজের দেখা টা শেয়ার করতে সবার সাথে (এগুলো ছারাও বই পত্রে দেখা ছবি গুলোর কথা বলবো। ইউরোপের জনগন ওখানে দেখা ছবি গুলোর কথা জানাবে আমাকে)।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৪০395763
  • ভার্মিয়ের ছবি আঁকা শুরু হয় বিখ্যাত ডাচ আর্টের গোল্ডেন পিরিয়ডের কিছু টা শেষের দিকে। ততদিনে বিখ্যাত হয়ে গেছেন রেমব্রান্ট। রেনেসাঁসের সময় পেরিয়ে Baroque art এর সময় সেটা। পাল্টে গেছে ছবি আঁকার ধরন।
    রেনেসাঁসের সময়ের ছবি ছিল অনেক বেশী স্ট্যাটিক আর সিমেট্রিকাল ডিস্ট্রিবিউশানের ওপর নির্ভরশীল। 'লাস্ট সাপার' ছবি টা দেখো একবার। একটা স্ট্যাটিক ব্যপার আছে ছবিটার মধ্যে, তার চেয়েও বেশী ছবিটা বেশ বোরিং। যীসাস আর তাঁর অনুগামীরা খাচ্ছেন এক টেবিলে বসে। একটা মনোটোনাস ব্যপার, কোনো পরিবর্তন নেই কিছু তে। আমি, আপনি যদি বাইবেল না পড়ে থাকি, যীসাসে গল্প না জেনে থাকি, তবে ঐ ছবি আপনার মনে কোনো অলোড়ন ফেলবে না (একটা খাওয়ার দৃশ্য ছারা আর কিছু নেই ওখানে)।
    এই কনসেপ্ট টা পাল্টে গেলো Baroque art এর সময়ে এসে। শুরু হলো ড্রামাটিক ছবি আঁকা। এমন একটা মুহুর্ত কে ধরা ,যেটা দেখে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে। বিষয় সমন্ধে আপনি যদি কিছু নাও জেনে থাকেন, তাহলে ঐ ছবি দেখার পর আপনার আগ্রহ হবে দুটো বই পত্র ঘাঁটার। ছবিতে নাটকীয়তা আনাটা এই Baroque art এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঐ 'লাস্ট সাপার' ছবি টাই যদি ক্যারাভ্যাগিও বা রেমব্রান্ট বা রুবেন আঁঅক্তেন তাহলে হয়তো দেখতে পেতাম বাইরে অপেক্ষা রত রোমান সৈন্য দের, অথবা ষড়যন্ত্র কারী জুডাস কে, যে দুর থেকে হয়তো যীশু কে চিহ্নিত করছে। মনোটোনাস ঘটনা নয়, বরং একটা নাটকীয় মুহুর্ত কে ধরা টাই ছিল আইডিয়া।
    এছারা ছিল অ্যাসিমেট্রিক ডিস্ট্রিবিউশান। আবার লাস্ট সাপার দেখুন। এক টেবিলে সবাই পাশা পাশী বসে, মধ্যে স্বয়ং যীসাস। একটা অদ্ভুত সিমেট্রী। এই ফর্ম টাকে ভেঙে দেওয়া হয় নতুন যুগের আঁকায়। তাছারা রঙের ব্যবহার ও সম্পুর্ন আলাদা। রেনেসাসে ছবি তে যেখানে অনধকার খুব কম, সেখানে এই নতুন যুগের ছবিতে আলো আর অন্ধকারের সীমারেখা গুলো খুব স্পষ্ট। অনেক টা , অন্ধকার স্টেজে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যারেকটার দের ওপর আলো ফেলার মতন। পুরো স্টেজ অন্ধকার, শুধু মুল চরিত্র দের ওপরে ফেলা হয়েছে আলো।
    কয়েকটা ছবির লিংক দিচ্ছি এখানে, আলো আঁধারি বোঝার জন্য,



  • Abhyu | 128.192.7.51 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৪২395774
  • এই ছবিটা আমার খুব ভালো লাগে।

  • Blank | 59.93.241.59 | ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৪৭395776
  • অভ্যু দা, এটা খুব বিখ্যাত ছবি ভার্মিয়ের। কিন্তু এই ছবি টা তোমার কেন ভাল লাগলো একটু লেখো না? কেনো হঠাৎ এই ছবি টা তোমাকে টানলো ...
  • dri | 129.46.154.111 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৩৮395777
  • বড়সড় কিছু লিখব না। একটা ছোট্ট পয়েন্ট করে যাই।

    ভার্মীরের 'দা লিট্‌ল স্ট্রিট' ছবিটা আমার খুব প্রিয়। এই ছবিটাকে স্ট্রিট ফোটোগ্রাফি জন্‌রের জনক বলা যেতে পারে। আজকের দিনের পোট্রেট যেমন ভীষনভাবে ইনফ্লুয়েন্সড রেমব্র্যান্টের ছবি দিয়ে।
  • kali | 160.36.240.225 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:১৭395778
  • 'girl asleep at a table', খুব ভালো লাগে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:১২395779
  • একি এতো পুচকে পুচকে এϾট্র কেন? এরপর আমি ছবি নিয়ে লিখতে শুরু করলে ভালো লাগবে?
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:১৬395731
  • http://www.rijksmuseum.nl/index.jsp - রাইখসমিউজিয়ামের কথা বলেছিলুম - এখানে কিছু ভারমিয়ের আছে। যদিও রাইখসমিউজিয়ামের রেমব্র্যাণ্ডট্‌ কালেকশন সম্ভবত সেরা।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:২৭395732
  • ভার্মীরের কিছুর বেশী ছবি কোথাওই নেই। ওনার টোটাল ছবি পাওয়া গেছে খান তিরিশ মত। এখানে চারটে ওখানে চারটে এইভাবেই আছে। আমি বোধ হয় টোটাল খান দশেক দেখেছি। কি বারো।

    তুলনায় রেমব্র্যান্ট তো কাঁড়ি কাঁড়ি। প্রায় ফ্যাক্ট্রির মত প্রোডাকশান।

    এই ব্যাপারটা আমার ভার্মীরের খুব কিউরিয়াস লাগে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে উনি তখনকার দিনের ছবির বিজনেস থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। (ভার্মীরের জীবন সম্মন্ধে খুব বেশী কিছু জানা যায় না)। অথচ উনি যে কোয়ালিটির পেইন্টার ছিলেন, ইচ্ছে করলেই প্রচুর পয়সা করতে পারতেন।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:২৭395733
  • ভার্মীরের ছবি মনে হয় ৪০ টা মতন আছে। তবে সত্যি এই ভদ্রলোক খুব অদ্ভুত ছিলেন। শোনা যায় যে ইনি নাকি অন্য আর্টিস্ট দের ছবি বিক্রী করতেন। অথচ নিজে এঁকেছেন খুব কম। এমনিতেও মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মারা যান ভার্মীর। আলো-আঁধারির ঐ খেলা শেষ এখানেই।
    ওনার আঁকার মুল বিষয় বস্তু ছিল দৈনন্দিন জীবনের ছোট খাট কাজ। জামা সেলাই থেকে শুরু করে মুক্ত মালা গাঁথা, মিল্ক মেড এই সমস্তই ছিল ছবির বিষয়। আর বেশীর ভাগ ছবির ই কেন্দ্রে আছে কোনো না কোনো মেয়ে। Male figure খুব ই কম। যে সামান্য কটা আছে, সেগুলো সব নাকি ওনার নিজের আদলে আঁকা (এটা শোনা কথা, নিজের বোঝা কথা না)। আর একটা ব্যপার যেটা চোখে পরে, সেটা হলো বেশীর ভাগ ছবি আঁকা কোনো একটা ঘরের ভিতর। এবং ঘর টা কোনো একটা বিশেষ ঘর, সামান্য অদল বদল করে ঘরের পরিবেশ পাল্টানো হয়েছে। নীচের ছবি গুলো দেখুন,





    ঘর টা যেন একই ঘর। সবার ই বাম দিকে জানলা, একই রকম দেখতে জানলাটা। আর ঐ জানলা দিয়ে আসা আলোয় পরেছে ছবির মুল চরিত্রের ওপর। ঘরের আসবাব টা পাল্টেছে সামান্য। এই জন্যই অনেকে মনে করেন যে উনি হয়তো Camera Obscura ব্যবহার করতেন ছবি আঁকার সময়। Camera Obscura একটা বিশাল পিন-হোল ক্যামেরার মতন। ভার্মীয়ের ওনার ঐ বিশেষ ঘর টিকে ব্যবহার করতেন Camera Obscura তে। আর ইমেজ টা এসে পরতো ওনার ক্যানভাসে। সেই ইমেজের লাইন ধরে শুরু হতো ড্রয়িং।

  • Blank | 203.99.212.224 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:৫৬395734
  • ভার্মীয়ের ল্যান্ড স্কেপ এঁকেছেন বড্ড কম। খান তিনেক ল্যান্ডস্কেপ আছে মাত্র। সব ই শহর কেন্দ্রীক। কোনো টাই আমি নিজের চোখে দেখিনি। বই থেকে দেখা ছবি গুলো। গুগল থেকে লিংক খুঁজে দিলাম এখানে।

    A Street in Delft
    --------------------


    ছবি টার আগে দেখুন ভাল করে। একটা সরু গলি। সামনের তিন ভাগের ওপর দখল করে আছে একটা খুব পুরনো বাড়ি। ফাটল ধরা দেয়াল। ভাঙা জানলা। পুরনো কোলকাতার নোনা ধরা বাড়ি গুলো থেকে আলাদা কিছু নয়।
    পুরনো বাড়ির মধ্যে যিনি বসে আছেন তাঁকে দেখে এক বয়স্কা মানুষ বলে মনে হয়। একটা খুব অলস সময়। আরো কয়েকজন মানুষ আছেন ছবি তে। অল্প স্বল্প গা ছারা ভাবে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। সব কিছু অদ্ভুত শান্ত। ছায়া ঘেরা, পুরনো দেয়ালের গন্ধ যেন সব দিকে। ব্যস্ততা নেই, তাড়া হুড়ো নেই, ঔঙ্কÄল্য নেই জীবনে। শুধুই একটা পুরনো প্রাচীন গন্ধ।
    de Hooch ও অনেক ল্যান্ড স্কেপ এঁকেছেন এই ধরনের সাবজেক্টে। কিন্তু বড্ড বেশী গোল্ডেন বা হলুদ ভাব বেশী তাতে। রোদে পোড়া খুব বেশী দম বন্ধ হওয়া শহর মনে হতো সেই ছবিকে। ভার্মীয়ের এর এই ছবি অনেক বেশী 'ছায়া সুনিবিড়' যেন।

    (এবারে বাকি রা লিখুন এই ছবি টা দেখে, অথবা কেউ শুরু করুন অন্য কোনো ল্যান্ডস্কেপ)।
  • d | 192.85.47.2 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ১৭:২৮395735
  • আমার এই ছবিটা দেখে কিরকম দমবন্ধ লাগল। জীবন যে থেমে গেছে একেবারে, এরকম একটা ভাব।
  • Jay | 90.200.160.225 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:২৬395736
  • এব্যাপারে লেখার মত জ্ঞানগম্যি কোনোটাই আমার নেই। ব্ল্যাংকিকে ধন্যযোগ অসাধারন একটা টই খোলার জন্য। এই সুবাদে কিছু পড়াশুনো হল। আর অজ্জিতকেও- রাইখ্‌স মিউজিয়ামের সাইটের লিংকটা গোলা। ওখানে ভার্মীয়েরের চারটে ছবি আছে। ল্যান্ডস্কেপ- ঐ দ্য লিটল স্ট্রীট। 'জনার পেন্টিং' বাকী তিনটে- দ্য কিচেন মেড (বা মিল্ক মেড), ওম্যন রিডিং আ লেটার আর লাভ লেটার। প্রতিটাতেই জীবন বয়ে যাচ্ছে নিজের খাতে আর শিল্পী তাকে ভরে রাখছেন এক মায়াবি আলি আঁধারিতে। অনেক ছবির মডেল ছিলেন নাকি ওঁর স্ত্রী ক্যথারিন? উনি ভার্মীয়েরের চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন, ওঁর এগারো সন্তানের জননী। শেষ জীবনের, জীবনের রীতি মেনেই, যখন চরম অর্থ কষ্ট চার পাশে, এই ক্যাথরিন বুক দিয়ে ছবিগুলো আগলে রেখেছিলেন। ভার্মীয়েরের ছবি অনেক দিন প্রচার পায় নি, অন্যের নামে চলেছে তার কারন ছবিগুলো ছিল অল্প ক'টি লোকের কাছে। আরো জানতে পারি, অন্যান্য সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায় ভার্মীয়েরের ছবির দাম ছিল চড়া। বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন পর্যটক শিল্প সমালোচকদের, কিসের অভিমানে কে জানে দেখতে দেন নি কোনো ছবি। ডাচ গোল্ডেন এজ বলতে র‌্যামব্রান্টের কথা হৈ হৈ করে চলে আসে। ব্ল্যাংকিকে আবার ধন্যযোগ আলোটা আরেক বার এই গুনী মানুষটার ওপরে ফেলার জন্যি। আর অভ্যু যে ছবিটার কথা লিখেচে- সেটা (লেডি উইথ দ্য পার্ল বা কিছু) কি ভার্মীয়ের একমাত্র ( না অল্প কটির একটি) পোট্রেট? আরো দেখবেন চরিত্রগুলো পোষাকের বা পর্দা/ আপহোলস্ট্রির টেক্‌স্‌চার- অনেক সিল্ক। বাবা রেশম শিল্পী ছিলেন বলেই কি। বাবা অবশ্যি যদিও পয়সাওলা ছিলেন না- তিনিও আর্ট ট্রেড করতেন (পানশালাও চালাতেন) ছিলেন আর্ট কলেজের/ গিল্ডের সদস্য। সেই আর্ট কলেজ বা গিল্ডেই ভার্মীয়ের শিক্ষা নেওয়ার কথা ছিল ছয় বৎসর। সহশিক্ষার্থী কে- ডি হুচ কি? ( একজনকে বড় করার জন্যি অন্যকে ছোট করতে হবে এমন কথা নেই, কিন্তুক, ঐ যে ব্ল্যাংকি বলেচে ডি হুচের ছবিতে এত আলো কেন, কেমন ঝলসে যাচ্ছে) যাইহোক জীবনের নিয়ম মেনেই শিক্ষার মাঝ পথেই পালান ভার্মীয়ের। ভাগ্যিস পালিয়েছিলেন! তবে ফিরে এসেছিলেন, সারা জীবন ছিলেন নিজের ছোট শহর ডেল্‌ফ্‌টএ। পরিচিত হয়েছিলেন ডেলে্‌ফ্‌টর এক অসাধরন শিল্পী হিসেবে। লিটল স্ট্রীট ডেল্ফেরই রাস্তা। কিংবা দ্য ভিউ অফ ডেল্‌ফ্‌ট। আরো দেখার ব্যাপার হল ভার্মীয়েরের দৌলতে ব্ল্যাংক বানাম্ভুল করচে না, খাই খাইও নয়।
  • Jay | 90.200.160.225 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ২২:৫০395737
  • এই দ্য লিট্‌ল স্ট্রীট ছবিটিতে একটা অদ্ভুত সেরেনিটি আছে। ভীষন শান্ত কিছুটা বিষন্ন। আকাশ মেঘ্‌লা হলেও নীল। বাড়ীর জানলাগুলো ফ্যাকাশে আকাশী বা রং ছাড়াই- ভাঙ্গা ভাঙ্গা- কিন্তু কালো নয়। পাঁচিলের ওপর গুল্মজাতীয় গাছটা সবুজ নয় কিন্তু ফলে ভরা। দুটি বাচ্চা একমনে মাথা নিচু করে কিছু একটা খেলছে- এই বোধহয় উঠে দাঁড়াবে। কারোরইমুখ পষ্ট নয়, কেউই শিল্পীকে ভ্রুক্ষেপ করছে না। গলির ভেতরের মহিলাটি বুঝি এই এক্ষুনি গলি ঝাঁট ফাঁট দিয়ে উঠলেন। গাটার দিয়ে জল বয়ে আসছে। সামনে পেবলস্টোনের রাস্তাটা খুব ডিটেল নয়- কিন্তু আলো ছড়াচ্ছে।

  • Blank | 59.93.200.178 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৪৫395738
  • অসাধারন Jay। দারুন। অসা। এই আলো ছরানো রাস্তা টার কথা অসা লিখেছেন। হ্যাটস অফ।
    আচ্ছা একটা কথা, আমি কিন্তু ড হুচ কে ছোট করি নি, বা ভার্মিয়ের কে বড় করি নি। আমি এই ধরনের ছবি তে ডি হুচ আর ভার্মিয়েরের অ্যাপ্রোচের তফাৎ বলছিলাম।
    ভার্মিয়ের ছবির দুপুর টা হলো যেখান, সুর্য হাল্কা মেঘে ঢাকা। আলো আছে, কিন্তু মন খারাপ আলো সেটা। যে দুপুরে সাইকেল নিয়ে কল্যানীর রাস্তায় টহল মারা যায়, আর আলসে কুকুর টা কে দেখে ঢিল মারতেও ইচ্ছে করে না, এমন দুপুর।
    ডি হুচের অ্যাপ্রোচ টা আলাদা। ডি হুচের দুপুর গুলো, সেই জানলা দিয়ে বাইরে দেখা রবিবারের দুপুর। ঘরের ভেতর টা ছায়া, বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না তাই। ঘরের ভেতর ফ্যান চলে ফুল স্পীডে। এমন এক দুপুর।
    ভার্মিয়ের ও এমন ছবি এঁকেছেন। সেটা দেবো, এই নিয়ে সবার লেখা শেষ হলে। আগে অন্য রা লিখুক।
  • kali | 160.36.240.113 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:১১395739
  • ভার্মিয়ের বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। আমি কোন আর্ট মিউজিয়ামে ভার্মিয়ের দেখিনি, আমি ক্যামেরা অবস্কিওরা কাকে বলে জানিনা, কোন ধরণের অঙ্কণ শৈলী কোন সময়ে প্রচলিত ছিলো বা শুরু হয়েছিলো,বা শেষ, সে নিয়ে আমার কোন পড়াশোনা নেই। কিন্তু ভার্মিয়ের নিয়ে যখন কথা চলছে, এই ছবিটার কথা না লিখে থাকা মুশকিল খুব আমার পক্ষে। আসুন দেখি,"ঘুমন্ত মেয়ে" টিকে।

    ভার্মিয়েরের বেশির ভাগ ছবিতে জানলার আলো ব্যপারটা দেখি।'অফিসার অ্যান্ড দি লাফিং গার্ল' দেখুন, 'জিওগ্রাফার দেখুন','গার্ল রিডিং বাই দি উইন্ডো' দেখুন,'দি মিউজিক লেস্‌ন্‌' দেখুন.... জানলা দিয়ে এসে পড়া আলো ভার্মিয়ের-আলোছায়া ব্যাপারটায় বড় অংশ নেয়। 'ঘুমন্ত মেয়ে' ছবিতে কিন্তু সেই জানলা দেখা যাচ্ছেনা। দেখা যাচ্ছেনা, কিন্তু আছে বৈকি। টেবিলের ওপরে রাখা পাত্রটিতে দেখুন, সাদা আলো এসে পড়েছে। একই আলো মেয়েটির ওপরে, দরজার পাশে ডানদিকের দেওয়ালে, স্পষ্টতই বোঝা যায়, এখানেও সেই জানলার আলো, যে জানলাটা রয়েছে নিশ্চয়ই ঘরের বাঁ কোণে।

    এইখানে আলোর রং নিয়ে কিছু বলার আছে।দরজা দিয়ে যে ঘরের কিছুটা দেখা যায় সেখানের আলোটা যদি লক্ষ্য করেন,দেখবেন এ আলো ঐ 'অদৃশ্য' জানলা দিয়ে আসা আলোর থেকে একদম আলাদা। রঙের তফাৎ দেখুন,ঠিক কোথায় কোথায় আলো পড়েছে দেখুন। আমার যেটুকু ছবি দেখার চোখ,তাতে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে আলো খানা ও ঘরের ঐ লম্বা টেবিলের বাঁ প্রান্তে রাখা আছে। ও ঘরেও একটা জানলা থাকা সম্ভব অবশ্য। কেননা দরজার ডানদিকের ফ্রেমে যে আলোর প্রতিফলন হছে তার তার সাথে সামনের ঘরের জানলা দিয়ে আসা আলোর রঙের মিলই বেশি। প্রতিফলনটা ঠিক যত জোরালো, ঘরে রাখা বাতির জোর তত টা বলে মনে হচ্ছে না। এই দুরকম আলো,তাদের রং, পোজিশন,জোর, কোন আলোর উৎস না এঁকেই এঁকে দেওয়া, এইখানেই আছেন ভার্মিয়ের।

    (বাকি আরো লিখছি একটু পরে)।
  • kali | 76.114.73.146 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:২৭395740
  • ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটি আমাকে চমৎকৃত করে। মেয়েটির মুখের দিকে ভালো করে তাকালে মনে হয় কোন স্বপ্ন দেখছে। চেতন সঙ্কÄ¡ ঘুমিয়ে। কিন্তু একটু দেখলেই বোঝা যায় ওর সমস্ত ঘুমন্ত শরীর জুড়ে রয়েছে একটা অবচেতন সতর্কতা। বসার ভঙ্গীতে, টেবিলে ও ভাবে কনুই রাখায়, হাতের চেটোয় ওভাবে মুখের ভার দেওয়ায় একটা প্রতীক্ষা দেখতে পাচ্ছেন না কি? ঘুমন্ত মেয়ের ঘুম কিন্তু শুধু ভাঙবার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

    অনেক দিন যাবৎ এই ছবি দেখে আমি ভাবতাম যে মেয়েটি কারুর আসার অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। দেখুন, দরজার পাশে ঝোলানো ভুস্কো মতন কোট, মলিন দেওয়াল, চেয়ারের পিঠে চটা উঠে যাওয়া দেখে মনে হয়না এখনও খুব ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল রয়েছে এই বাড়ি। কিন্তু মেয়েটির পরণের গাউনের রং,তার ফ্যাব্রিক বেশ দামী বলেই মনে হচ্ছে। আমার মনে হতো, নিশ্চয়ই কোন স্পেশ্যাল অকেশনের সাজ।স্পেশ্যাল কেউ আসবে বলে। ওর গালের লালচে আভাও তাই। স্বাভাবিকের থেকেও বেশি মনে হয়,হয়তো যত্ন করে একটু প্রসাধন করা। বিশেষ কেউ আসবে বলেই। তাই আমি কেবলই ভাবতাম,ও অপেক্ষা করছে,কোথাও যেন কিছুটা "কি জানি সে আসবে কবে" সেন্স দেখতাম।
    পরে এই ধারণা বদলে গেছে। কেন বদলে গেছে বলি। অন্য চেয়ারটিই মূল কারণ,ধরাণা বদলানোর। চেয়ারের অবস্থানটা লক্ষ্য করুন। কারুর আসার অপেক্ষায় থাকা চেয়ার ওভাবে থাকেনা। বরং বেশ বোঝা যাচ্ছে চেয়ার থেকে কেউ উঠে গেছে। হঠাৎ। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে,যাবার কথা ছিলোনা,কিন্তু উঠে যেতে হয়েছে। হঠাৎ। একই কথা বলছে কুঁচকে থাকা টেবিল রানার। টেবিলে রাখা ফলগুলো দেখুন। সযত্নে সাজানো হয়েছিলো, তখনো খাওয়া শুরু হয়নি। কেউ এসেছিলো, সেই বিশেষ জন। এসেছিলো, বসেছিলো টেবিলে। নাড়াচাড়া করেছিলো এটা সেটা। তারপরে কোন কারণে 'আসছি' বলে উঠে গেছে। কিন্তু আসেনি আর বহুক্ষণ হলো। আপনার কল্পনাকে ভীষণ ভাবে প্রোভোক করছে না কি? ঐ খোলা থাকা দরজা, ঐ বেঁকে থাকা চেয়ার, ঐ কোঁচকানো টেবিল রানার।আপনি মনে মনে গল্পটার খানিকটা বানিয়ে ফেলেননি কি? ফেলেছেন, দেখুন ভেবে। এইই ভার্মিয়ের। না বলে অনেক কথা বলে দেন। একটা মাত্র ঘর থেকে অনেক বড় একটা ছবি এঁকে ফেলেন অবলীলায়। সেটা এই ফ্রেমে নয়। সেটা দর্শকের মনে।

    * খুব কম সময়, খুব তাড়াহুড়োয় লিখলাম, বানান ভুল টুল গুলো ইগনোর করে যান প্লিজ।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৪৬395742
  • এই ছবিটা আমি সম্ভবত দেখেছিলাম নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটান মিউজিয়ামে। ছবিটা সম্মন্ধে ডিটেল হয় লেখা ছিল নিচেই অথবা ওদের হেডফোনে শুনেছিলাম মনে পড়ছে যে, ছবিটার রেডিয়েশান দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ঐ খোলা দরজার পেছনে এক ভদ্রলোক আঁকা হয়েছিল, পরে কোন কারণে সেটা মুছে ফেলা হয়। কে এই মুছে ফেলা লোকটি? আমরা হয়ত কোনদিন জানব না।

    আর্টিস্টের মাথায় নিশ্চয় একটা গল্প ছিল যখন তিনি আঁকছিলেন। সেটা আমরা জানি না। আমাদের গেসওয়ার্কই সম্বল।
  • kali | 76.114.73.146 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৫০395743
  • মুছে না ফেললে হয়তো ছবিটা এত ভালো লাগতো না।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৫৯395744
  • সেটা আমার ওখানে দাঁড়িয়েই মনে হয়েছিল। ওখানে লোকটা না থেকেই ভালো হয়েছে। কি হয়েছে, বা কি হতে যাচ্ছে সেই নিয়ে দর্শকের কিউরিওসিটি আরো জমাট হতে পারছে।

    তবে ছবিটা দর্শককে এনগ্রস করতে পারে। প্রথম চোখ পড়ে মেয়েটার মুখে। তারপর একটু একটু করে আসপাশের ডিটেল। গল্পটা রিকনস্ট্রাক্ট করতে চায় মন। প্রত্যেকেই অবশ্য গল্পটা নিজের মত করে বানায়।
  • Shuchismita | 141.218.225.160 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:৩৮395745
  • অসাধারন! কলি, অসাধারন! আমি একেবারেই ছবি বুঝি না। মাঝেমাঝে কোন কোন ছবি দেখে ভালো লাগে - এইটুকু। ব্ল্যাংকের দেওয়া লিটল স্ট্রীট ছবিটা দেখার পর থেকে যেমন সারাদিন ধরে আমার আমাদের পুরোনো বাড়িটার কথা মনে হচ্ছিল। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি মটকা মেরে পড়ে আছি। বড়ো দালানের কড়িকাঠের চড়ুইগুলো খালি পিড়িং পিড়িং করে যাচ্ছে। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি ছোটো কাঁটাটা কখন চারের ঘরে পৌঁছাবে আর আমি শুয়ে থাকার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবো। লিটল স্ট্রীট দেখে কেন যে বাড়ির কথা মনে পড়লো বুঝতে পারছিলাম না। তোমার লেখা পড়ে বুঝলাম সব ছবির পেছনেই একটা গল্প থাকে। সেই গল্পটাকে খুঁজে বেড়াতে হয়। ভবিষ্যতে ছবি দেখতে হলে আমি সবসময় এই কথাটা মনে রাখবো। এইটুকু লিখে তুমি আমায় যেভাবে ছবি দেখতে শেখালে, আমি নিশ্চিত কোন বই সেটা শেখাতে পারতো না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:৫৪395746
  • মেয়েটির কপালে এক চিলতে চকচকে রিফ্লেকশনেই তো বোঝা যাচ্ছে দর্শকের ঠিক পেছনে একটা জানলা আছে, নয়? আর মেয়েটির মাথার চরপাশে একটা হেলো দেখছি। নাকি সেটা আমার দেখার ভুল? ওটা কিস লিয়ে?
  • Jay | 90.200.160.225 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ১১:০১395747
  • ব্ল্যাংক ভুল বুঝোনা প্লীজ। আমি বলিনি তুমি ডি হুচকে ছোট করছ বা কিছু। আমি আমার ভালো লাগা খারাপ লাগা নিয়ে বলেছি। ডি হুচ নিজেই বিখ্যাত এবং বড় মাপের শিল্পী। আমায় তবু ওঁর ঐ রৌদ্রকরোজ্জল ছবি কম টানে, যতটা ভার্মীয়ের টানেন।
  • kallol | 122.167.97.169 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ১২:৪০395748
  • কলি আর ব্ল্যাঙ্ক, আমার অনেক অনেক ভালোবাসা আর মুগ্‌ধতা তোমাদের জন্য। ছবি বিষয়ে নিপাট অশিক্ষিত আমি (অবশ্য কোন বিষয়টাই বা ঠিকঠাক বুঝি !)। কলি যেভাবে গল্পটা গেঁথেছে - গায়ে কাঁটা দেয়। ব্ল্যাঙ্কের আলোচনা - লা জবাব ।
    আমার একটা আবদার আছে। ভারমিয়েরকে উপলক্ষ করে অন্যদের কথা-ছবি-ছবির গল্প আসুক। একটু ছবি দেখতে শিখি।
    ১০/১২ বছর আগে বইমেলার বাইরে মাটিতে বই নিয়ে বসতো অনেকে। ওদের কাছে ইউরোপের ওল্ড মাস্টারদের অ্যালবাম, চটি বইয়ের মত থাকতো। ১০ টাকা মত দাম ছিলো। দারুণ কাগজ, দারুণ ছাপা। আমার কাছে গোটা কতক ছিলো। ছবিগুলো দেখতাম। ভালো লাগতো। কিন্তু কিছুদিন পরে আর দেখতে ইচ্ছে করতো না। ও:, কলি রে ! তখন যদি তুই অমন করে গল্পগুলো গেঁথে দিতি !
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ১৬:২০395749
  • কলি দি,
    যাস্ট অসাধারন হয়েছে লেখাটা। অদ্ভুত ভাল। ছবির পেছনে লুকনো গল্প হয়তো এই ভাবেই বেড়িয়ে আসে। একটা আস্ত ছবি একটা করে গল্প তৈরী করে মনের মধ্যে।

    Jay,
    ডি-হুচের ব্যপারে আমার আর আপনার চিন্তা ভাবনা মিলে গেছে পুরো :)

    কল্লোল দা
    এই টা চলুক, এর সাথে সাথেই শুরু করবো ছবি আর গল্পের হোম-ওয়ার্ক।
  • d | 192.85.47.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ১৭:৩৯395750
  • কলিকে একটা মস্ত সেলাম। অদ্ভুত ভাল লাগল। ইশ আগে যদি এইগুলো পেতাম। আমি রাইখস মিউজিয়ামে দেখেছি বটে, তবে খুব একটা কিছু মুগ্‌ধ হই নি। বরং রেমব্রান্ট আমার বেশী ভাল লেগেছে।

    আচ্ছা ব্ল্যাংকি, কলি, জয় কেউ রেমব্রান্টের ছবির আলো আলো ভাবটা সম্পর্কে একটু বলবে। আমার অশিক্ষিত চোখে মনে হয়েছে শিরস্ত্রাণ, অস্ত্র বা গয়নাগাঁটি থেকে কিরকম যেন একটা আলো দেখা যায় -- যেটা আমার খুব ভাল লেগেছিল।
  • kali | 160.36.240.109 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ২০:১৩395751
  • আমার লেখা পড়ে সবাই ছবিটা আবার করে দেখলেন, আর আপনাদের ছবিটা নতুন করে ভালো লাগলো দেখে কি ভালো লাগছে।

    কল্লোলদা, আমি তো খুব বেশি ছবি দেখিনি। যে অল্প কটা দেখেছি,তার মধ্যে আমি যা দেখতে পেয়েছি, নিশ্চয়ই বলবো। বইমেলার কথা বলে মনটা খারাপ করে দিলেন। জানিনা কবে আবার যাবো। তবে এখন কি নিজেদের আঁকা ছবি ঘাসের ওপর সাজিয়ে শিল্পীরা বসেন? আমি ২০০৫ এ শেষ গেছি বইমেলায়। দেখতে পাইনি ওঁদের।

    দময়ন্তীদি, শুচিস্মিতা, ব্ল্যাংক, এই টই চলতে থাকুক। সবাই লিখতে থাকো। আমার যত টুকু দেখা, আমি নিশ্চয়ই লিখবো।
  • pragati | 202.164.128.187 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:০৪395753
  • হ্যাঁ, চলতে থাকুক এই টই।

    একটু লিখি।

    ১) ভারমিয়ের-এর ব্রাশে এক অদ্ভুত মিনিয়েচার-কুশলতা আছে।
    মেয়েদের পরণের হলুদ বোলেরো-স্টাইলের কোটের এর্মাইন-ফারের হাতায়, কপালের সামনের কোঁকড়া ঝাপটা ফ্রিঞ্জ,আর পেছনে বিনুনি-বাঁধা খোঁপা,মুক্তোর মালার গাঁথা হলুদ রিবন, জানালার বরফি-কাটা শার্শি, দেওয়ালে আটকনো একটি ম্যাপ, লাল রঙের টুপি পরা মেয়েটির একটু লম্বাটে ধাঁচের ডিমালো থুতনি, আরেক মেয়ের মাথায় জড়ানো এক্সোটিক , তুর্কী টুপীর মতন নীল রঙের ওড়্‌না -- সব রঙ আর ফর্মের মধ্যে দেখি মিনিয়েচার-সূক্ষ্মতা।
    এমনিতেও খুব একটা বড় মাপের ছবি আঁকেন নি তো ভারমিয়ের। ছোটো, ছোটো ছবি । পরম উঙ্কÄল। রঙে খাদ নেই , নিজের স্টুডিও'র অ্যাপোথিকারি তে হামান দিস্তায় গুঁড়ো করা ল্যাপিস লাজুলি, মেসিকট ইত্যাদি...

    ২) ভারমিয়েরের আরেক টা দিক উত্তর ইয়োরোপের সতেরো শতকের জেগে ওঠা বিজ্ঞান কে কাজে লাগানো। ক্যামেরা অবস্কিউরা হয়তো আছে, হয়তো নেই---- কিন্তু শুদ্ধ ভৌগোলিক ট্রিভিয়া আছে ছবি গুলির মধ্যে টাঙ্গানো ম্যাপের মধ্যে।
    উত্তরের দেশেই ক'এক শতাব্দী আগে-পিছে জন্মেছেন টাইকো ব্রাহে, কোপারনিকাস কেপলার--- চারপাশের পৃথিবীকে বৈজ্ঞানিক ভাবে জানার একটি স্বচ্ছসরিৎ বয়ে যাচ্ছিলো বহুদিন ধরেই, ভারমিয়ের ছবি আঁকতে বসে সেটা অবহেলা করেন নি, তাই হয়তো ক্যামেরা অবস্কিউরা...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন