এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পলিগ্যামি সম্বন্ধে বাঙ্গালি কি ভাবে?

    adheesha
    অন্যান্য | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ৪০৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • indo | 195.10.45.200 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০০401476
  • ভাবাভাবির কি আছে? পৃথিবী আনন্দময়, যার যাহা মনে লয়। হাসিখুশী একপাল ছেলেমেয়ে কেউ-কাউকে না ঠকিয়ে হুল্লাট কল্লে করবে।
  • indo | 195.10.45.200 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০401479
  • কি মুস্কিল! 'শরীর', 'হৃদয়', এই নিয়ে এখনো বর্ণভেদ! শরীর বলে কি মানুষ নয় গা!
  • Damayanti | 61.246.28.9 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৩:০০401486
  • হ্যাঁ নিশ্চয়ই। কিন্তু তেনারা স্বীকার করবেন কি?
  • tan | 131.95.121.251 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৪:০০401487
  • আর পুলিশ? মারামারি হলে কি হবে? স্পেশাল পুলিশ লাগবে না?
    সে খরচা করবে কে?
  • tan | 131.95.121.251 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৫:০০401488
  • ঘুরে শেষে গরীবেই পড়বে।বাঙালির অত সামলানোর টাকা কই?
    তো দ্যাখো কতদিকে লাগবে,প্রথমে আলগা পুলিশ,পরে জটিল স্পেশাল পুলিশ, তারপরে ডাক্তার,তারপরে ওষুধ,তাও আবার পচ্চিমের পেটেন্ট নেয়া ওষুধ,দাম অনেক পড়বে-তাপ্পরে লাগবে ঝানু ঝানু ধুরন্ধর উকিল-তাছাড়া আরো বহু খরচ তো আছেই!
    এর চেয়ে গরীবের পলি বাঙালির সুবিধার।মন নিয়ে এত ডাক্তার ওষুধ পুলিশ উকিলের বালাই নাই,ফোনে আর চিঠিতে কতই বা খরচ?
    আহা র কই? সে থাকলে ভালো কঠিন তর্ক দিতে পারতো।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০০401489
  • পলি নিয়ে একটা কাল্পনিক কেস ধরা যাক।
    এক ব্যক্তি নিয়মমতে বে থা করে সংসারী হয়ে দ্যাখেন বৌটি ভারী তেরিয়া,কথা শোনেনা,চাকরি ছাড়তে বল্লে ছাড়ে না।বহুৎ মারধোর,গালাগাল,নিজের বৌয়ের মিথ্যে কুচ্ছো রটিয়ে শেষে স্বামীদেবতা গেলেন পলিগ্যামিতে।
    বিশেষ পাড়া থেকে একটি সাদাসিধে গরীব মেয়ে কিনে আলাদা ফেলাটে রাখলেন,ডমিনেট কত্তে পারবেন বলে খুশী হলেন আর সেখানেই সব খরচ কত্তে লাগলেন,সংসারে টাকা দিলেন না।
    বৌ নিজের টাকায় ছেলেপিলেকে মানুষ কত্তে লাগলো,মামলাও করলো না, ডিভোর্সও চাইলো না সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে।
    এই কেসের বিচার কিভাবে হতে পারে?
    বৌটি স্বামীর বিরুদ্ধে বা বড়ো হওয়া ছেলেপিলেরা কি বাপের বিরুদ্ধে অ্যাবিউসের কেস আনতে পারে ও ক্ষতি পূরণ চাইতে পারে? জেতার সম্ভাবনা কতটা? ক্ষতিপূরণই বা ম্যাক্সিমাম কত পেতে পারে এরা?

  • m | 24.166.170.155 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০401490
  • আমার এক সাদা যুবকের খড়গের মত নাক খানি ভারী পছন্দ,আমি তো চান্স পেলেই তার নাক খানি দেখি।একে কি কব?সামনের বাড়ির এক ব্যক্তি আমারে দেখিলেই হাসিয়া হাত হেলান ,যদিও আমি মুখ খানি গম্ভীর করিয়া রাখি,তিনি হাসিলেন আমি কেমনে জানি,আমি ও চোখের কোন দিয়া দেইখ্যা লই- ইহারে কি পলিগ্যামি কমু??
  • m | 24.166.170.155 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৩:০০401491
  • দময়ন্তী,
    শরীরের মেদ,মাংস,অস্থি,মজ্জা আমাদের সব ই তো গোপন।চামড়া দিয়ে ঢাকা,চামড়া সরালে যা বেরিয়ে আসবে দেখে তো আমরাই ভয় পেয়ে যাবো।তাই প্লেটোনিক হলে অনেক সুবিধে,সব ই চলবে ,শুধু উপরের আবরণ খানি সযতনে রাখা থাকবে।তেমন ঝড় না এলে সারাজীবন ও দিব্যি পাশাপাশি গোপন প্রকোষ্ঠ নিয়ে কাটিয়ে দেয়া যাবে।মনের তরঙ্গ রুধিবে কে?
  • adheesha | 193.61.255.84 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৫:০০401492
  • ঠকানো, প্রোটেক্‌শন, শরীর, মন, ইকোনমি, দায়বদ্ধতা, মারামারি......

    আমি যদি একের অধীক পুরুষ-কে ভালোবাসি, যে ভালোবাসায় শরীর , মন দুইই আছে?

    অপরাধ? অসম্ভব? নীতিগতভাবে অনুচিত?

    কেন?

    কে ঠিক করে দিয়েছিল যে ভালোবাসা একজন-কেই যায়? সমাজ।

    সমাজ কে তৈরি করেছে? আমরা।

    আমরা যে নিয়ম বানিয়েছিলাম তা কি মাঝে মাঝে আমাদের দিকেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে না?

    তাই তো শরীর, মন আলাদা করতে হয়, প্লেটোনিক-এর প্রোটেক্‌শন নিতে হয়।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৮:০০401493
  • সমাজ আসলে কিছুই ঠিক করে দেয় নি কোনোদিন।মানুষে দল বেঁধে ঠিক করেছে,যে যত বেশী সমর্থকের পাল যোগাড় করতে পেরেছে পিছনে,সেই ক্রমে জিতে গিয়ে মতপ্রতিষ্ঠা করেছে। সমাজ একটা ধারনামাত্র!
    একের বেশী কেন একজনকেও যে সবসময় ঠিকমতো ভালোবাসা যায়,এটাও কেউ জোর দিয়ে বলতে পারেনি,কারণ ভালোবাসা ব্যাপারটাও একটা ধারনামাত্র!
    যে লোকটাকে শরতের ভোরে সুস্নাত পরিপাটী একগাল হাসা অত্যন্ত প্রসন্নবদন দেখে সত্যি সত্যি ভালোবাসা যায়,তাকেই শীতের রাত্রে মাতাল ও অসংলগ্ন এবং হিতাহিতজ্ঞান্‌শূন্য প্রহারোদ্যত দেখলে অত্যন্ত ঘৃণা হওয়া অসম্ভব নয়।
    পুরুষের পক্ষ থেকেও একইরকম ভাবে তারাও বলতে পারে।
    কথাটা ভালোবাসা নিয়েও নয়,কথাটা আরো জটিল!পরিবার তৈরী মানে একটা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি,সময়ের মধ্যে সন্তত হবার প্রচেষ্টা! সেখানে অনেক কিছু থাকে মজা লোটার বাইরেও,থাকে দায়িত্ব, নির্ভরতা, অনিশ্চয়তার ভয়, সেই ভয়কে জয় করার চেষ্টা আরো আরো বহু কিছু।
    সেখানে কোনো ক্ষেত্রে সূচীমুখ একাগ্র সম্মিলিত কাজের দরকার,পরস্পরের সমস্ত পার্থক্য ও অপারগতা বিস্মৃত হয়ে।
    মাত্র দুজনেই এটা করতে বহুৎ কসরৎ,অধিক লোক ঢুকে পড়লে পুরা গাজন নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
    কিন্তু,এগুলোও আসলে মেজরিটির কথামাত্র! লোকে মেনে নিয়েছে।অন দ্য অ্যাভারেজ মোটামুটি স্টেবল আছে,তাই চলছে।
    সংস্কৃতি যদি উপযুক্ত শক্তিমান হয়ে অন্যদিকে ঘুরতে বলে,মানুষের গড্ডলিকাপ্রবাহ সেদিকেই ঘুরে যাবে।
    এই নিয়ে আরো ভালো বলতে পারবেন মামা।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:০০401494
  • মাঝে মাঝে সেই পুরানো যুগের রাজা,সেনাপতি,আমীর ওমরা বা অন্যন্য হোমরাচোমড়াদের কথা ভেবে ভারী দু:খু হয়।
    একটিমাত্র লোক সে,তার শতখানেক সঙ্গিনী! তাদের মধ্যে এনেকেই আবার বেশ উঁচু ইনফ্লুয়েনশিয়াল মহিলা।তাদের খুশী রাখতে না পরলে সমূহ ক্ষতির আর বিপদের সম্ভাবনা।এমনকি সিংহাসন নিয়ে টানাটানি পড়ে যেতে পারে! একটিমাত্র লোক এতজনকে কি করে সুখী করতে পারে?
    এর তো রীতিমতো সবদিকে কষ্ট!দৈহিক মানসিক! নিত্য জ্বালা!একটি মানুষের এতজন ভাগীদার!
    এইসব নিয়ে পুরুষেরা কখনো লেখেনা কেন,কোনোদিন লেখেনি কেন,এটাও একটা ঘোরতর প্রশ্ন।
  • Riju | 71.197.107.131 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০০401495
  • সেকি মহাকবি নচিকেতা কি বলেছে শোনোনি?
    যদি ভালোবাসো কোনো এক জনকে
    তবে নিশ্চই বোলো I love you
    যদি ভালোবাসো একাধিক জন কে
    তবে দ্বিধাহীন হয়ে থেকো
    নিজেকে ঠকিয়ে নাকো
    চিৎকার করে বোলো বার বার...

    সে আরো বলেছে -
    সংকীর্ণ মনের মানুষ যারা
    তারাই তো ভালোবাসে একবার
    যার মন বড় যত
    ভালো ভাবে অবিরত
    তারাই তো ভালোবাসে বার বার
    :-)
  • Kunti | 203.197.96.56 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৮:০০401496
  • অধীশা,

    তোমার প্রশ্নগুলো একদম যুক্তিযুক্ত। এটা সত্যি যে সমাজ এমন অনেক নিয়ম তৈরি করেছে যেগুলো লজিক্যালি ঠিক নয়। কিন্তু কোনো নিয়ম লজিক্যাল কি ইললজিক্যাল - তার থেকেও বড় কথা সেটার প্রভাব সমাজের বৃহত্তর অংশে কিভাবে পড়বে। তুমি যে কম্যুনিটির কথা বলছ সেখানে সন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা, ব্যক্তির মানসিক ও সামাজিক সিকিওরিটি, STD এবং আরো অনেক সমস্যা সত্যি সত্যিই আছে। এটা গেল একটা দিক, অন্য দিকটা হল, সমাজের একটা বড় অংশ সবসময় যে কোনো নিয়মের নেগেটিভ দিকগুলো খুঁজে তাকে একসপ্লয়েট করার জন্য মুখিয়ে আছে। নিয়ম তৈরি করার সময় তাদের কথাও মাথায় রাখতে হয়। যতদিন না তাদের সচেতনতা বাড়ানো যাচ্ছে সেই নেগেটিভ এফেক্টগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করে। মোদ্দা কথা হল সমাজ কতটা তৈরি কোনো নিয়ম সৎভাবে গ্রহণ ও ব্যবহার করার জন্য। যেমন একটা উদাহরণ দিতে পারি। আমি লিভ টুগেদারকে সমর্থন করি ভীষণভাবে। কিন্তু আজকের দিনে যদি ভারতে একটা ভোট হয় লিভ টুগেদার আইনসিদ্ধ হওয়া নিয়ে তাহলে আমি লিভ টুগেদারের বিরুদ্ধে ভোট দেব। কারণ আমি মনে করি ভারতীয় সমাজ এখনও এটার জন্য প্রস্তুত নয়। বেশীরভাগ মানুষ শুধু শারীরিক প্রয়োজনের জন্যই কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই অন্যের সঙ্গে থাকতে শুরু করবে। অথচ লিভ টুগেদার মানে একেবারেই দায়বদ্ধতাহীনতা নয়।

    তাই সমষ্টির কথা ভেবেই বেশীরভাগ সামাজিক নিয়মগুলো তৈরি হয়েছে। সেই নিয়ম ভেঙ্গে নতুন নিয়ম (যেটা লজিক্যাল মনে হয়) তৈরি যে হচ্ছে না তাতো নয়। লিভ টুগেদার আগে কোনো দেশেই বৈধ ছিল না। এখন কিছু কিছু দেশে হয়েছে, কারণ সেসব দেশের সমাজ প্রস্তুত তাকে গ্রহণ করার জন্য। যেদিন পলিগ্যামীকে গ্রহণ করার জন্য সমাজ প্রস্তুত হবে সেদিন সেটাও আইনসিদ্ধ বা বৈধ হয়ে যাবে।
  • indo | 195.10.45.200 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:০০401497
  • তাইলে? কি দাঁড়ালো?
    'দেহতত্ব দূর হটো, মনোপলি জিন্দাবাদ'?
  • indo | 195.10.45.200 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:০০401498
  • মারপিট কল্লেই পলিগ্যামিতার ট্যাক্সো দিতে হবে। সুখে থাকলে লাগবে না।
    ঝঞ্ঝট না কল্লে পলিগমন ভালো।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ১২:০০401505
  • এই যে এতক্ষণে আসল কথাগুলো আসতে শুরু করেছে।
    রঙ্গন, এতদিন কোথা ছিলে? এই যে মাঝখানে কারা বাঁকা বাঁকা কাট অ্যান্ড পেস্ট করে পরের মুখের ঝাল খাইয়ে গ্যালো,তাদের ধরে দুঘা দাও দিনি!
  • adheesha | 193.61.255.85 | ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:০০401506
  • অবশ্যই পলিগ্যামি এবং পলিঅ্যান্ড্রির কথা হচ্ছে।

    ১) কেতাবী অর্থে যদিও 'পলিগ্যামি' শব্দটির মানে বহুবিবাহ, কিন্তু আমার মতে আসলে বহুগমন আর বহুবিবাহের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য-টা আমরাই তৈরী করে নিয়েছি, সেফ সাইডে থাকার জন্য। একজন মানুষ যদি 'বহুবিবাহ' করে, তাঁকে দোষী ঠাওরানো যায় খুব সহজেই, কারণ তখন সেটা আইনের আওতায় আসে। কিন্তু 'বহুগমন' যে করে তাকে দোষী ঠাওরানো -টা একটু মুষকিল, সেইজন্যই বোধহয় অধিকাংশ মানুষ বহুবিবাহের নামে কানে আঙুল দেন, কিন্তু সহজেই বহুগমনে যান।

    ২) শোয়াশুয়ি তো বহুগমনেও চলতে পারে। তার জন্য 'বিবাহের' দরকার পড়ে কি? আসলে বিষয় টা হলো যা করছি তার দায়িত্ব নিতে পারছি কিনা।
  • m | 24.166.170.155 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৭:০০401507
  • মনের অগণিত গমন কে কি বলা যায় রঙ্গন?এর কি ব্যাখ্যা দেওয়া যায়?+:-))))
  • rangan | 202.144.91.204 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৮:০০401508
  • ১) পলিগ্যামি ও পলিঅ্যান্ড্রির সমস্যা তো ঠিক একরকম নয়। যেহেতু নারী ও পুরুষ অসম অবস্থানে রয়েছে, কাজেই এই দুইকে এক থালে বসাই কি করে?

    ২)বহুগমন ও বহুবিবাহ এক নয়, তার কারণ বহুবিবাহে শুধু মন ও শরীরের প্রশ্ন ছাড়াও উঠে আসে সম্পত্তি, উত্তরাধিকার এবং সামাজিক ও আইনী সংগঠনের কূট প্রশ্ন। বহুগমনের সমস্যা অপেক্ষাকৃত ব্যক্তিগত সমস্যা কারণ অন্তত: অবিবাহিত/তা পুরুষ বা মহিলার বহুগমনে কোনো আইনী বাধা নেই।

    ৩) বহুবিবাহে শারীরিক সংযোগ অনিবার্য। বহুগমনে হতেও পারে বা নাও হতে পারে, কারণ মানসিকভাবে বহুগমনের প্রশ্নও এখানে উঠে এসেছে। মানসিক গঠনের দিক থেকে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় বহুগামী।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৯:০০401509
  • মারপিট হবেই, গ্রান্টি। একের একেশ্বর একেশ্বরী হয়ে থেকেই এত মারামারি হয়,আর একপাল নোকে গোয়ালে গুঁতাগুঁতি করলে মারপিট হবে না? এ কি কুচোচিংড়ির আমসত্ব? নাকি আমেথিস্টের সোনার বাটি?
  • adheesha | 193.61.255.86 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:০০401510
  • রঙ্গন

    ১) নারী-পুরুষের অসম অবস্থান আমাদের দেখার ওপর নির্ভর করে। সেইরকমই পলিগ্যামি এবং পলিঅ্যান্ড্রি তখন-ই আলাদা যখন আমরা আলাদা করে দেখি। নারীর খিদে কি পুরুষের চেয়ে আলাদা, নারীর ঘুম কি পুরুষের চেয়ে আলাদা? তাহলে এক্ষেত্রে আলাদা করি কি করে? আলাদা নয়, শুধু আলাদা 'করে দেওয়া' হয়েছে।

    ২) বিবাহে সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, এই জিনিস গুলো-ও সমাজের আরোপিত। নিয়মগুলো বানানো হয়েছিলো এটাই মাথায় রেখে যে মানুষের একের বেশী সঙ্গী থাকতে পারে না।
    এবার তোমার কথাই তুলে দিলাম - "মানসিক গঠনের দিক থেকে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় বহুগামী।"
    অর্থাৎ সামাজিক নিয়ম বানানো হয়েছিল মানুষের স্বাভাবিক চরিত্র এবং প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে গিয়ে। পদ্ধতি-টাই ভুল ছিল, তাই এটা আরো অনেক সামাজিক নিয়মের মতো অযৌক্তিক।

    ৩)বিবাহে শারীরিক সংযোগ অনিবার্য্য কারণ সেটাও একটা 'তৈরী করে দেওয়া' নিয়ম। স্বাভাবিক নয়। দাম্পত্য নির্ভর করে দু'টো শরীর এবং মনের স্বাভাবিক মিলনে। এবং সেটা যেকোনো সময় বিবাহের বাইরেও হতে পারে। আর শরীর এবং মন আলাদা তখনই যখন মনের দিক থেকে স্পন্টেনিয়াস , স্বাভাবিক আকর্ষণ গড়ে উঠছে, যে আকর্ষণে শারীরিক টান-ও অনিবার্য্য, কিন্তু সেই আকর্ষণ কে কৃত্রিম ভাবে দাবীয়ে রাখা হচ্ছে সমাজের ভয়ে।

  • tanu | 131.95.121.251 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০401511
  • নারী গর্ভধারণ করেন,দুইশ আশিদিনের দীর্ঘ বহনের শেষে সন্তানের জন্ম দেন।এই পুরো সময়টা খুব কমিটমেন্টওলা পুরুষও শুধু সাক্ষীগোপাল মাত্র,এটাই সত্য। এই তফাৎ আছে বলেই মনের গঠনেও নারী পুরুষের কিছুটা তফাৎ আছে।তাই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মেই বেশীর্ভাগ নারীকে বেশী সিরিয়াস,বেশী প্র্যাকটিকাল ও ম্যাচিওর দেখা যায়।ব্যতিক্রম আছে,আছেই।
    সময় বদলাচ্ছে বলে আজকাল নানারকম নতুন নতুন খবরো আসছে,কোথাও কোথাও খুব ভালো প্রেমিক স্বামীরা বলেছেন যে সন্তান আসার সময় স্ত্রীর সঙ্গে তাদেরও নানারকম মর্নিং সিকনেস,নসিয়া এইসব হচ্ছিলো,তবে মনে হয় না এখনো এটা মেইনস্ট্রীমে সমর্থিত সত্য।:-)তবে ক্রমশ পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েও যেতে পারে,দিনেদের স্বভাব বদলে যাওয়া কিনা!(সৌজন্য ইন্দো)
    খোলস ছাড়াতে থাকলে অনেক অদ্ভুত ব্যাপার বেরিয়ে আসতে থাকে,পোশ্নো জাগে মানুষও কি আসলে যন্ত্রমাত্র?
  • Ishan | 144.226.173.69 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৪:০০401512
  • অধীশা,

    যৌনতার মনোপলির সঙ্গে একটা জিনিস কিন্তু ওত:প্রোতভাবে জড়িত। সেটা হল ব্যকতিগত সম্পত্তি এবং তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার। এই বাড়ি, এই ধনসম্পদ আমার, আমি একে আমার নিজের লোকের কাছে দিয়ে যাব, এই হল মূল অ্যাজেন্ডা। এবার আমার সন্তান কে, চিনব কিকরে? অতএব একমুখী যৌনতা, প্রেম, মানবিক গুণাবলী, ইত্যাদি ইত্যাদি।

    তো কথাটা হল, ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকবে, তার উত্তরাধিকার থাকবে, কিন্তু পলিগ্যামি ও চলবে, এটায় একটু ব্যথা আছে।

    ঈশান

    ** এছাড়া এমনিতে পলিগ্যামি বেশ ভালো জিনিস সন্দেহ নেই :-)
  • adheesha | 193.61.255.84 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৫:০০401513
  • সন্তানধারণের ব্যাপারটা অবশ্যই একমাত্র নারীর। আমি তনু-র সঙ্গে একমত।

    তবে নারী তার এই ক্ষমতা ব্যাবহার করবে কিনা সেটা শুধুমাত্র তার নিজের ডিসিশন হওয়া উচিৎ, কোনো রকম চাপে পড়ে নেওয়া ডিসিশন নয়।

    সে যদি বলে - আমি সন্তানধারণ করবো না, তাহলে তার সেই ডিসিশণ-কেও সম্মান জানানো উচিৎ। এই জায়গায়-ই আমরা 'মানুষ' থাকবো, যন্ত্র' নয়।
  • tanu | 131.95.121.251 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৮:০০401514
  • সে ক্ষেত্রে পুরুষ বেচারা কি করবে? তার তো এই ব্যাপারে পুরোপুরি পরনির্ভর অবস্থা এখনো অবধি।
    পুরুষ যদি চান তার ভালোবাসার নারীটি তার সন্তান ধারণ করুক,কারণে মনে মনেও তাদের মিল আছে,সেই স্বপ্নসন্তান তিনি চান,যে ওদের দুজনের মিলিত প্রতিশ্রুতির ফসল।
    এক্ষেত্রে কিন্তু পুরুষের কিছু করার নেই নারী অস্বীকার করলে,সে একদম ভাড়ানেওয়া মানুষ।নিজের কোনো উপায় নাই।
    অন্যক্ষেত্রে নারীর কিন্তু উপায় আছে ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গিয়ে মা হবার যদি সে টাকা খরচ করতে পারে।

  • Riju | 192.55.52.10 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০401515
  • তনু তোমার এই লাস্ট লাইন টা বায়োলজি কে ক¾ট্রাডিক্ট করে।স্পার্ম ব্যাংক থেকে স্পার্ম নিয়ে অবশ্য ই মা হওয়া যায় কিন্তু স্পার্ম টা তো পুরুষের।দুই নারী নিজেদের মধ্যে বিয়ে করে মা হতে পারে না ।সুতরাং নারী ও কিছুটা পর মুখাপেক্ষী।
  • rimi | 71.109.249.195 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৭:০০401520
  • আরে মারামারির থেকেও বেশী ভয়ংকর ব্যাপার হল STD। অনেকটা rumourএর মতন, exponential হারে ছড়িয়ে পড়বে, যাকে বলে মহা মহামারী। এ থেকে ভালো probabilityর অঙ্ক বানানো যায়। :্‌))
  • tanu | 131.95.121.251 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৯:০০401526
  • একটি ওভাম পিছু কত লাখ স্পার্ম যেন লাগে?
    কি বেচারা এরা! কি ক্ষুদ্র! কি ভয়ার্ত!
    আহা রে!
  • indo | 62.6.139.14 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:০০401527
  • এট্টু অপোস্কার কথা বল্লাম মনে হল- নিজেই পড়তে গিয়ে বুইতে পাল্লাম না।
    মিন করেছিলাম, পুরুষ বহুনারীগমন করলে বহু অপত্য সৃষ্টি হবে; উল্টোটা সত্যি নয়।
    আদতে এই নাকি পলিগ্যামি টেন্ডেন্সির যাথার্থ্য-অভিযোজনবাদীদের মতে।
  • Riju | 71.197.107.131 | ১৮ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:৩১401529
  • কিন্তু যদি ঠিক ঠাক protection নিয়ে কেউ নিজের ইচ্ছে তে পলিগ্যামি তে যায়?
    নাকি এক্ষেত্রেও শ্রেনী বিভাগ আছে - "অমুক শিল্পী চারজনের সাথে শুলে দোষ নেই কিন্তু তুই কেন শুবি?"
    আসল কথা হল জনতা কে সব কিছু খোলখুলি জানানো উচিৎ যে দ্যাখো ভাই/বোন এই জিনিস টা ইউজ কর,ঐ সময় টা ওটা করবে না ইত্যাদি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন