এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুশিক্ষা ও বিদ্যালয় অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত

    rimi
    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৭০৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫১402308
  • ইংরেজি শেখা আর লেখাপড়া শেখা এইদুটো মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ কেন হবে? এইভাবে তো বলাই যায় ভৌত বিজ্ঞান শেখা আর লেখাপড়া শেখা দুটো আলাদা। যত্তসব। :)
  • sayan | 160.83.72.211 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫২402309
  • হায়ার সেকেন্ডারিতে পাশ করতে হলে গ্রামার কম্পোজিশন ব্যাতিরেকে ঢালাও "নোটস'এর ব্যবস্থা গ্রামবাংলার কোণে কোণে। ইংরেজি না "শিখে'ও পরীক্ষা পাশটা একটু ব্রাইট ছেলেমেয়েদের (স্যানের ঐ বন্ধুর মত) কাছে বোধহয় খুব একটা চাপের নয়।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫৬402311
  • বাংলায় 'কৃ' ধাতুর ইম্পর্ট্যান্সটা একটু বাড়লে সবই 'হত' । :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫৬402310
  • স্যানকে।

    স্যান যা বলছে সেটা কিন্তু বাস্তব চিত্র না। গাঁয়ে গঞ্জে সরকারি প্রাথমিক ইশকুল গুলোতে, আজকে, স্রেফ যারা নিরূপায় তারা যায়। আমি সিঙ্গুরের যে ইশকুলে পড়েছি, সেখানে এখন ছাত্র হয়না। কারণ, দুটো না তিনটে "ইংরিজি মাধ্যম' স্কুল হয়েছে ওখানেই। একটা একটু বেশি খরচসাপেক্ষ। সেখানে "বাবু'দের ছেলেমেয়েরা পড়ে। অন্যটায় একটু নিম্ন আয়ের লোকজন। বাজারের মাছওলা থেকে শুরু করে সাইকেল গ্যারেজের মালিক, যারই হাতে একটু পয়সা, আর ছেলে-মেয়েকে "বড়ো' করার স্বপ্ন, সে আধপেটা খেয়েও ছানাপোনাকে ঐসব স্কুলে পাঠাচ্ছে। আশা, ফরফরিয়ে ইংরিজি বলে একদিন ছেলেমেয়ে বাপ-মায়ের মুখ উজ্বল করবে।

    ঘুপচি ঘর, মামুলী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে তৈরি ঐসব স্কুলে কি পড়াশুনো হয় কে জানে। কিন্তু ইংরিজি পড়ানো হয়। তাই ভিড় বাড়ছে। আর পুরোনো স্কুলগুলো মাছি মারছে।
  • sayan | 160.83.72.211 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫৮402312
  • তার মানে "মুখস্ত বিদ্যা'র জোরে "রচনা লিখ' নামানো আর ইন্টিগ্রেশান করা একই? নাকি?
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০১402313
  • রিমি অংক শেখা, স্বাস্থ্য শেখা আর ইংরিজী শেখা কি এক? ভাষা একটা মাধ্যম। ইংরিজী পড়াশোনার মাধ্যম না হলে সেটা ঠিক শেখা যায় না। শুরুতে দুটো/তিনটে ভাষা শেখানোর কোন উদাহরণ আছে কি?
  • san | 123.201.53.144 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০৩402314
  • কঠিন লাগার কথা হয়তো, কিন্তু কথা দিয়ে সবকিছু হয়না, সে অংকে খুবই ভালো। খুবই।

    হায়ার সেকেন্ডারিতে বন্ধুদের থেকে স্যারের ম্যাডামের নোটস নিয়ে, মুখস্থ করে, ইত্যাদি উপায় ছিল। সেও টায়েটোয়ে পাশ। কিন্তু ক্লাস থ্রি-ফোর-ফাইভে সেটা সম্ভব হতনা। দুবার ফেল করলে স্কুল ছাড়াতে হত, কেননা না বাড়িতে কেউ দেখাতে পারবে, না টিউশনির মত টাকা।

    ওয়ান আর সিক্স নিয়ে তো আমি একমত তোমার সঙ্গে।
  • san | 123.201.53.144 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০৬402315
  • ঈশানকে : আমার বন্ধু তো আমার বয়েসী, বছর কুড়ি আগের কথা যখন সে স্কুলে ভর্তি হয়েছে।প্লাস স্কুল লাইফে সে গ্রামে থাকতো। মফস্বলেও না।
  • san | 123.201.53.144 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০৭402316
  • দুনম্বর, তার বাবামা এরকম স্বপ্ন জন্মেও দেখেননি যে লেখাপড়া শিখে অনেক উঁচুতে উঠবে। দেখলে কি করতেন জানিনা হয়তো ধারধোর করতেন। তবে সে দু:সাহস তাঁদের ছিলইনা।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:১০402318
  • এটা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের একচেটিয়া নয় - যারা নিজেদের ভাষায় একটু বেশিদূর গেছে তারা সবাই এটা করে -

  • rimi | 24.214.28.245 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৫৬402319
  • আহা ইশান তুমি তো গোড়ার কথাটাই ধরতে পারো নি? দেরিদা সা®œÑ তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের ইংরিজি মিলস অ্যান্ড বুনসই বা পড়ার দরকার কি? এগুলো কি রুজি রোজগারের কাজে লাগে? ইস্কুলের কাজ হল শুধু কাজ চালানোর ইংরিজি শিখিয়ে দেওয়া। "আই একটু বেশি ইট স্যার" বলে টলেও কুট্টিমামা দিব্বি সায়েবদের চা বাগানে চাগ্রি পেয়েছিলেন তো, তাই না? কমিউনিকেশনে কোনো অসুবিধাই হয় না।

    ব্যস। দেরিদা সা®œÑ টা®œÑ ওসব শুধু প্রিভিলেজড ক্লাসের জন্যে। আর গবেষণা যারা করতে আসে তারা যথেষ্ট মেধাবী, অতএব তারা "ভুল করতে করতে শিখে নেবে" ঠিকই।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৫৭402320
  • স্যানকে। কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে তো জিনিসটা চালু করা হয়েছিল। তার ফল কি তাহলে তোমার কুড়ি-পঁচিশ বছর আগের বন্ধুকে দিয়ে বিচার করা যায়?

    দুই নম্বর। লেখাপড়া শিখে "বড়ো' হবে, এটা চিরকালই ছিল। কতো বড়ো হবে, এই নিয়ে স্পেসিফিক ধারণা ছিল না আগে। বাপ-মার। গরীব বাপ-মার তো একেবারেই ছিলনা।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:০১402321
  • পশ্চিমবঙ্গে শেক্সপিয়র শেখার সুযোগ নেই কে বলল। তার সঙ্গে তো ক্লাস ওয়ান/টেন এর সম্বন্ধ নেই।
    স্কুল লেভেলে ভাষার সাবজেক্ট সিম্পলই তো ভালো।
    বাংলা-ও খুব সিম্পল। বংকিম, রবীন্দ্রনাথ..., বা, প্রত্যয়/সমাস ইত্যাদি ভালো করে না জানলেও চলে। সালোক সংশ্লেষ, বা, নিউটনের তৃতীয় সূত্র, বা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ... ইত্যাদি বোঝার জন্য যতটুকু বাংলা দরকার সেই টুকু জানাই বাধ্যতামূলক। একদম ফাস্টো ক্লাস সিস্টেম। যার বাড়তি জানার ইচ্ছে সে জেনে নেবে।
  • rimi | 24.214.28.245 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:২২402323
  • এল সি এম, শেখার সুযোগ নেই তা বলি নি। সুযোগ এখনও কিছু আছে। বলছিলাম এইটুকু সুযোগও রাখার দরকার কি? এতো রুজি রোজগারের কাজে লাগে না, এটুকুও তুলে দিলে মফস্বলের ছেলে মেয়েরা যারা ইংরিজির ভয়ে স্কুলে আসে না তাদের তো আরো সুবিধা হবে। একই কারণে রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি পড়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ যারা বাংলা অনার্স পড়ে পরে বাংলার টিচার হবে তারা ছাড়া রবি বংকিমের লেখা কাজেই লাগবে না তো কিছু। খামোখা ছোট্টো থেকে বাংলা ব্যাকরণও পড়ানোর দরকার নেই। এটাই বলছিলাম। :-))
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:২২402322
  • রিমির 26 Nov 7:56 এর পোষ্টের সঙ্গে একমত। ইংরেজি সাহিত্য পড়লে ভাল কথা। কিন্তু দেশে ইংরেজি শেখানোটা ৫-৬ বছর বয়েস থেকে দরকার কারণ ঐ বয়সে ভাষা শেখার ক্ষমতা অনেক বেশী থাকে। দেশে প্রতিটি মানুষের ইংরেজি জানা উচিৎ কারণ সেটা সরকারি মাধ্যম। বাইশটা ভাষায় কমুনিকেট করার চেয়ে একটা ভাষা অনেক ভাল। সরকারী বা বেসরকারী কাজে এই ভাষা জানলে প্রত্যক্ষ অতিরিক্ত সুযোগ পাওয়া যায়। কেন কেউ কেউ এই সুযোগ পাবে অথচ সবাই নয়?
    সুনীল গাঙ্গুলির অর্জুন উপন্যাসে থানার ওসি এসেছেন কলোনিতে গন্ডগোল বেধেছে দেখে। তিনি বাঙালি। কিন্তু অর্জুন তবুও তাঁকে ইংরেজিতে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলল। তাতে তিনিও অর্জুনকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করলেন। অর্জুনও জানে কলোনিতে থেকে ইংরেজি জানাটা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা জায়গা দিল। এটা সত্তরের দশকের গল্প। এখনও কি বদলেছে?
    ******************************
    অ্যাকসেন্ট নিয়ে মার্কিনিদেরও হিপক্রিসি আছে। চীনেদের অ্যাকসেন্ট নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। কিন্তু ফরাসীরা যখন ভাঙা ইংরেজি বলে ওদের অ্যাকসেন্টে তখন বলে দেখেছ, কি সেক্সি অ্যাকসেন্ট!
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:২৩402324
  • সর্বভারতীয় সমস্যা এটা, পশ্চিমবঙ্গ আর চীনের জিনিস ভাবলে আমোদ পাওয়া যায় যদিও, আর চোখের সামনে একটা - 'এই ব্যাটাকে ধর' টাইপের টার্গেটও পাওয়া যায়।

    এখানে এবং এই সাইটের অন্য লেখাগুলোতে বেশ কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে ভারতের মত বহুভাষিক দেশে শিক্ষা নিয়ে - http://www.languageinindia.com/junjulaug2001/school.html

  • sayan | 160.83.72.211 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৩০402325
  • দু'এর সাথে একমত। শিক্ষার পরিকাঠামোয় গাফিলতি বা লার্নিং ইংলিশের প্রচলন ইত্যাদির সঙ্গে ব্যক্তিগত চাঁদমারি বানানোর ব্যাপারটা একটু মামু মামু (ইশেন্দা নয়)।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৩৫402326
  • এই আমি কিন্তু ইশেন্দাকে কিছু বলিনি। মামু বলে আজকাল এমনিতেই এত কম আসে আর আমার দুপয়সার কথা শুনে আরও না আসুক সে আমি চাই না।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৩৭402327
  • ঠিক, ইংরিজি আমাদের দেশে এখন আর বিদেশী ভাষা নয়। ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সুতরাং, শেক্সপিয়র বা বিক্রম শেঠ পড়ার জন্য নয়, ব্যবহারিক কারণে অন্তত "কাজ চালানো' ইংরেজি শেখা জরুরি। এবং, ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করলে কনফিডেন্সটা বাড়ে।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৫৬402329
  • ওকে। বাট ইজ ইট অ্যান আর্টিফিশিয়াল রিয়ালিটি?
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:১৪402330
  • অর্পণ বোধ হয় বলছে একটি বিদেশী ভাষা যোগাযোগের সুত্র -- এটা আর্টিফিশিয়াল রিয়ালিটি। এটা তো ঐতিহাসিক বাস্তব। যেমন মামলা, মকদ্দমা, এক্তিয়ার, ফিরিস্তি এগুলো আজ বাংলা শব্দ কারণ আরবী-ফারসী জানা লোকেরা অনেক দিন আমাদের শাসন করেছে। এটা ঐতিহাসিক বাস্তব। একইভাবে ইংরেজরা দুশো বছর শাসন করেছে বলে এটা জাতীয় যোগাযোগের ভাষা। ইংরেজরা না এলে হয়তো ফারসী হত। প্রাক-ইংরেজ যুগে সব শিক্ষিত বাঙালিকে ফারসী শিখতে হত সরকারি চাকরি পেতে। সেটাও বিদেশী ভাষা।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:২৫402331
  • যাক্কলা, শ্যামল আপনি পুরো টই পড়েন নাই। আই ডিড নট কয়েন ইট, জাস্ট বরোড ইট। :)
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:৫৬402332
  • সরি, অর্পণ। "আর্টিফিশিয়াল রিয়ালিটি' যে অরিজিতকে খোঁচা সেটা বুঝতে পারিনি :(
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:১৪402333
  • অন্য প্রাক্তন ব্রিটিশ কলোনীগুলোতেও কি এভাবেই ইম্রিজীর প্রভাব রয়েছে? জাস্ট জানতে চাইছি। যদি তারা সেই প্রভাব হঠিয়ে থাকতে পারে তাহলে কি করে পারলো, এবং কেনই বা করলো?

    এবং দুই - ইশেনের কথার সাথে একমত। এই ইস্যুতে। এই কথাগুলোও আমিও আগে অনেকবারই বলেছি।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৪৬402334
  • ইশানের কথার সবটাই ঠিক। শুধু অর্ডারিং একটু উল্টে দিতে চাই। আগে কাজ ঠিক হবে, নিজ ভাষায় উচ্চশিক্ষার বন্দোবস্ত হবে এবং এতগুলো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কার্যকরী হলে তবেই প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরিজি তোলার কথা ভাবা যেতে পারে। আই রিপিট ভাবা যেতে পারে। কারণ এই কাজগুলো ছেলের হাতে মোয়া তুলে দেওয়া নয়, হতে সময় লাগে। ত্রিশ বছর ও মনে হয় কিছুটা কম সময়। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরিজি তুলে দেওয়া বাংলা ভাষা প্রসারের প্রথম পদক্ষেপ তো কখনোই হওয়া উচিত নয়। এমনকি প্যারালাল ও হওয়া উচিত নয়।

    স্যান, বাবা মার দোষ কথাটার একটা প্রতিবাদ রেখে গেলাম। প্রথমত বাবা মা বা পরিবারের কর্মক্ষম লোকেরা হয় অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত নয়ত সংসার প্রতিপালনে। তাঁরা প্রতিটা দিন খুব প্রচণ্ড ভাবে বেঁচে থাকার এবং বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। শুধু মাত্র ফার্স্ট জেনারেশন লার্ণার না হলেই সরকার প্রদত্ত লার্ণিং ইংলিশ খায় না মাথায় মাখে জেনে নিয়ে নিজ নিজ সন্তান কে একটি বিদেশী ভাষায় পারদর্শী করে তুলে ফেলতে হবে, এটা নাগরিক জীবনের কাছে অবাস্তব দাবী। মনে রেখো এই ""উত্তর আধুনিক"" সিস্টেমে কি করে পড়াতে হবে সে সম্বন্ধে কোনো সম্যক ধারণা ছিল না। এত কিছুর পরেও যাঁরা তাঁদের সন্তানের শিক্ষার দিকে সুনজর দিয়েছেন তাঁরা অবশ্যই খুব ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু যাঁরা পারেননি, তাঁদের দোষ বলে চালিয়ে দেওয়াটা ওভার সিম্পলিফিকেশন। দু একটি উদাহরণ দেখে উপপাদ্য প্রমাণ করার মতন। যদি বলো ঐ দু একটি উদাহরণই তোমার আলোচ্য বিষয় - হতেই পারে - তাহলে অবশ্যই বলার কিছু নেই।

    অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা টানার আগে ভারতের সাথে অন্যান্য দেশের পার্থক্যটা বোঝা খুব জরুরী। বাংলা ভারতের একটি আঞ্চলিক ভাষা। বাংলা ভাষায় কাজ পাওয়ার জায়গা এক, পব: দুই বাংলাদেশ। তো, সেই ভাষাতেই সব কাজ করে ফেলব, সেই ভাষা ছাড়া আর অন্য কোনো ভাষা জানার দরকার নেই, এটা একটু বেশিই উচ্চাশা।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০১402335
  • ভারতের সাথে ইইউ-এর তুলনা চলতে পারে তো? সাইজের দিক থেকে ইইউ অল্প বড় হলেও ফর অল প্র্যাক্টিক্যাল পারপাসেস ভারতের সাথে বিশেষ তফাত তো দেখি না (ওইসব পার্টলি ফেডারাল পার্টলি ইউনিটারি দাবিদাওয়া বাদ দিলে)। তো খান কুড়ি ভাষা নিয়ে তারা কিভাবে চলার প্ল্যান করছে?

    দুই - পুরো কাঠামো খাড়া করে তারপর কিছু ইমপ্লিমেন্ট করবো - এভাবে ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট চলে, অন্য কিছু নয়। তাহলে সারাজীবন বসেই থাকতে হয়। সত্তর বছরে এই সব কাঠামো তৈরী হবে (কারণ "তিরিশ বছর কম সময়'), তারপর কোনো প্ল্যান (যেটা তখন অলরেডি সত্তর বছর পুরনো) ইমপ্লিমেন্ট হবে। আর সেই মূহুর্তে নতুন যেটা করা যেত, কাঠামোটা তার উপযুক্ত নয়। সেই জন্যে পুরো "প্যারাল্যাল' না হলেও এক দুই বছরের "লীড' নিয়ে দুটোকেই পাশাপাশি চালানো অনেক বেশি কাজের। দু বছর কাঠামোর কাজ হল, এবং তার পর সেই ফেজটা যখন ইমপ্লিমেন্টেড, তখন পরের দুবছর কাঠামোর পরের পার্ট...

    এবং তিন - পুরোটা না হলেও বাবা-মায়েদের ওপর থেকে দায়িত্বটা তুলে নেওয়াটাও বেশ দায়িত্ব এড়ানো মার্কা চিন্তাভাবনা। আমাদের স্কুলেই শেখানো হত - বাড়ির চেয়ে বড় স্কুল আর কিছু হয় না। এবং আবার সেই অন্য দেশের তুলনা আনতে বাধ্য হচ্ছি - সেখানেও রীতিমত গাইডেন্স থাকে বাড়িতে কিভাবে বাচ্চাকে গাইড করবেন পড়াশোনার ক্ষেত্রে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০৮402336
  • এবং ইশেনের বলা ওই কথাটা - "আশা যে ফড়ফড়িয়ে ইংরিজী বলে মুখ উদ্ধার করবে' - এইটে হল কিলার লাইন। এইটে বাস্তব, এবং এই মেন্টালিটিতেই আমার প্রভূত আপত্তি রয়েছে। শিক্ষিত সেকশনে মুখ উদ্ধার করা পাল্টে হয়ে যায় "বিরাট বড় কেউকেটা হবে'।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৩০402337
  • ভারতের সঙ্গে বোধ হয় ই ইউএর তুলনা চলেনা।
    ১) ভারতে এক রাজ্যের লোক অন্য রাজ্যে গিয়ে স্থায়ীভাবে বা কয়েক বছরের জন্য কাজ করে। ইইউতে তা হয়কি? টার্কিশরা যখন জার্মানীতে গিয়ে কাজ করে সবাই জার্মান শিখে নেয়। সেই ভাষা শেখার ব্যাপারটা আসছেই।
    ২) আমার মনে হয় ভারতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মাইগ্রেশন ইইউএর চেয়ে অনেক বেশী। বিহারী শ্রমিকরাও কাজের খোঁজে বম্বে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা যায়।
    ৩) ভারতের সৌভাগ্য যে ইংরেজির পরিকাঠামো রয়েছে আর এই ভাষা ক্রমশ: আন্তর্জাতিক ভাষা হয়ে উঠছে। আমার চারটে রাজ্যে যদি কাজ থাকে আমি কি চারটে ভাষা শিখব না একটা কমন ভাষা শিখে কাজ চালাব?
    ৪) শিক্ষার ব্যাপারে মাবাবার দায়িত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিৎ যাতে খুব কম বয়স থেকে নতুন ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। যদিও ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে মতভেদ আছে, একটি মত হল critical period হল বারো বছরের আগে। বারোর পরে বাচ্চাদের ভাষা শেখার ক্ষমতা ভীষণ কমে যায়। আর ক্লাস সিক্স কত বছরে পড়ে যেন?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৩৬402338
  • সিক্স = ১১/১২ বছর।

    হ্যাঁ - শেখার ব্যাপার আসছেই, আর সেটাই বলার। যে, লোকে শিখে নিতে পারে - চাইলে। না চাইলে অবশ্যই কারো ঘাড়ে চাপানো যায়। ইজি ওয়ে আউট।
  • r | 125.18.104.1 | ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:০৭402341
  • কেউ ফড়ফড়িয়ে ইংরিজি বলতে চাইলে আপত্তি কিসের? ভালো তো। ফড়ফড়িয়ে ইংরিজি বলতে পারলে অনেক চাকরি পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ বাংলা বলতে পারলে কচু হয়। আগে এলিটরা বাংলা বলার সামর্থ্যের জন্য ভালো মাইনের চাকরিবাকরির ব্যবস্থা করুন, তারপর ফড়ফড়িয়ে ইংরিজি বলার বিরুদ্ধে বক্তব্য শোনা যাবে। বিশেষত: যেখানে এলিটদের এলিটত্ব এবং বাজারে করে খাওয়ার একটা মূল উপায়ই হল ইংরিজিপটুত্ব। মাতৃভাষার প্রতি দরদ, কৃষি ও পরিবেশের প্রতি দরদ- এইগুলো সব এক ধাঁচের। নিজেরা সব সুযোগসুবিধা পেয়ে যাওয়ার পরে অন্যদের প্রিচ করা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন