এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুশিক্ষা ও বিদ্যালয় অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত

    rimi
    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৭০৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 168.26.215.135 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০১:০২402208
  • ধুর এটা একটা বাজে তর্ক হয়ে যাচ্ছে।

    আর লিখব না। কিন্তু শেষ একটা কথা লিখে যাই। শ্যামলবাবু এই কালকেই বললেন যে রোজগারের বাইরেও অনেক কিছু জানা উচিত, যেমন আইসোটোপ কি। আবার আজ বলছেন স্কুল কেন ক্রিয়েটিভিটি শেখাবে। স্কুল যদি ডিসেন্ট রোজগারের উপরেই জোর দেয় তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা খামোখা আইসোটোপ কি জিনিশ এত কিছু পড়বেই বা কেন আর মনেই বা রাখবে কেন? তাদের ইন্সেনটিভ কি? ইস্কুলে তাহলে খেলার ক্লাস বা লাইব্রেরি থাকারই বা দরকার কি? ওগুলো তো ডিসেন্ট রোজগারের জন্যে কাজে লাগে না।

    স্কুল ছাত্রছাত্রীদের শুধু রোজগারের শিক্ষাই দেয় না, অ্যাটিচিউড, দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী করতেও বিরাট ভূমিকা পালন করে। এভাবেই একটা গোটা জাতির বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে স্কুল তথা শিক্ষাব্যবস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। স্কুলের লক্ষ্য আইন্‌স্‌টাইন বা ভ্যান গগ বানানো না হলেও ভবিষ্যতের নেতা বানানোটাও একটা কাজ। নাকি সেটাও বাপ মার দায়িত্ব? যারা ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্ব নেবে তারা যদি স্বাধীন চিন্তা করতে না শেখে তাহলে যা হয় তাই হয়েছে। নইলে অজদা শ্যমলদা আমেরিকার মাটি কামড়ে পড়ে আছেন কেন?

    যে শিক্ষা ব্যবস্থায় মুখস্ত করে নাম্বার পেয়ে ডিসেন্ট রোজগারের ব্যবস্থা করাটাই মুখ্য, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা ছাত্ররা নিজেদের রোজগারের বাইরে ইতিহাস ভূগোল সাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞানবাণ হবে, হওয়া উচিত - এই দাবী হাস্যকর।
  • aja | 71.106.244.161 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০১:১১402209
  • আইসোটোপ শেখা আর ক্রিয়েটিভিটি কি এক জিনিষ নাকি?

    শ্যামলবাবুর কথা জানি না। আমি আম্রিকায় অল্প বয়সে এসেছিলাম, তারপর আর পাকে চক্রে ফেরা হয় নি। মাইনেটাও একটা ব্যাপার। কনট্যাক্টস একটা ব্যাপার। ক্রিয়েটিভিটি ব্যাপার নয়।

    ইতিহাস ভূগোল জানা আর ক্রিয়েটিভ হওয়া এক ব্যাপার নয়। আর রোজগারের সাথে ওসবের একটু সম্পর্ক আছে বই কি।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০২:১৮402210
  • সিকি ইমেলে ভুল ইংরিজির কথা লিখলে, তাই বলি। আম্রিগানরা কিন্তু ইমেলে গাদা গাদা ভুল লেখে। আমেরিকানরা কনটেক্সট দেখে। যেমন, ইমেলে ভুল হতেই পারে, ব্ল্যাকবেরি থেকে লেখা, তাড়ায় লেখা, অনেক ফ্যাক্টর আছে। কিন্তু এডিটেড ডকুমেন্টে? কভি নেহি। প্রচণ্ড রেগে যায়। আমার ব্যাপারটা লজিকাল মনে হয়েছে। যেখানে দ্রূত কমিউনিকেট করাটাই আসল সেখানে বানাম, গ্রামার নিয়ে না ভাবলেও চলে। কিন্তু আসল ডকু দেখে নামিও। এমনকি অনেকেই ইমেলে চ্যাটের ভাষা ইউজ করে।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:৩১402211
  • ধুর, সিকি যা বলেছে আমি বুঝেছি। ওইরকম প্রিলিমিনারি গ্রামাটিকাল মিস্টেক দেখলে ধরণী দ্বিধা হও টাইপের অভিজ্ঞতাই হয়।

    উদাহরণ তুলে দেবার দরকার নেই। রেডিফ বা অন্য কোন ভারতীয় ইংরেজি সাইটের ফোরামে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কীসের কথা বলা হচ্ছে। যতক্ষণ ফোরামে লেখা হচ্ছে ততক্ষণ ঠিক আছে। কিন্তু যখন বিজনেস কম্যুনিকেশনে সেইসব মণিমুক্তো উঠে আসে তখন হাসব না কাঁদব বোঝা যায় না।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:২০402212
  • স্পেল চেকার আছে তো, লাল আন্ডারলাইন করে দেয়। এমনকি ছোটো খাটো গ্রামার বা সিন্ট্যাক্স ভুল থাকলেও ইঙ্গিত দেয়।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৩৩402213
  • ধুস, যতসব কলোনিয়াল হ্যাংওভার। ঠিক ইংরিজি না ভুল ইংরিজি তাতে কার কটা উৎপটাং হয়। কাজের কথা ঠিকঠাক কমিউনিকেট করা গেলেই হল। চিনেরা আধভাঙা, গ্র্যামাটিকালি ভুল (আমার গ্রামার বিদ্যা অনুযায়ী ভুল) ইংরিজি লিখে জগতের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরপাক খাওয়াচ্ছে কোনরকম লজ্জার লেশ না রেখে। আর ভারতীয়, বিশেষত: বাঙালী, এখনও কার ইংরিজি শুনে সাহেব পিঠ চাপড়েছিল, সেই জল ধুয়ে চরণামৃত করে ঘটে ভরে রাখছে। এই হল সত্যিকারের ভীতিপ্রদ সাহেবী ভূত।

    তবে হ্যাঁ, গ্রামার বই লিখতে গেলে গ্রামার শিখতে হবে।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:৫১402214
  • যাউগ্গা, পরে কখনো তর্ক করা যাবে। এখন শুক্রবারের সন্ধ্যা, আমি চললাম কারণবারি সেবা করতে।
  • siki | 122.162.82.20 | ২২ নভেম্বর ২০০৮ ২০:৫৬402215
  • বেশির ভাগ ডেনিশ ইংরেজি জানে না। বেশির ভাগ জাপানি ইংরেজি জানে না। বেশির ভাগ রাশান ইংরেজি জনে না। বেশির ভাগ তুর্কি ইংরেজি জানে না। কারণ তাদের জানার দরকার পড়ে না। পঠনপাঠনের শেষ স্তর পর্যন্ত বইপত্র তাদের নিজেদের ভাষায় পাওয়া যায়। আমজনতাকে সারভাইভালের জন্য ইংলিশ স্পিকিং কাϾট্রর ওপর নির্ভর করতে হয় না। নিজের দেশেই চাকরি জোটাতে পারে।

    ভারতে প্রধানত কোনও একটা ভারতীয় ভাষা নেই, আছে কয়েকশো ভাষা। ফলে একটা কমন ভাষা, যাতে সবাই যে কোনও রাজ্যে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারে বা চাকরি করতে পারে, সেটার দরকার ছিল। ইংরেজশাসিত দেশ হিসেবে ইংরেজি আর সবচেয়ে বেশি লোক কথা বলে যে ভাষায়, সেই হিসেবে হিন্দি স্বীকৃত হল সংযোগকারী ভাষা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ভারতের কিছু প্রদেশ হিন্দিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করল। হিন্দিও নিজেকে প্রধান ভারতীয় ভাষা হিসেবে দাবি করার অহংকারে অন্য ভাষাগুলোকে হ্যাটা করতে শুরু করল। ফলে অন্য ভাষার অভিমান উত্তরোত্তর বাড়তে লাগল, আর লোকে ইংরেজিতে আশ্রয় নিতে শুরু করল। যেহেতু সেটা কোনও ভারতীয় ভাষা নয়, সেহেতু লোকে নিরপেক্ষভাবে সেটা শিখতে দ্বিধা বোধ করল না। আর ইংরেজি শেখা কোনও ভারতীয় ভাষার থেকে অনেক সোজা।

    তারপর এল বিশ্বায়ন। বিশ্বায়নের ভাষা ইংরেজি। টেকনিকাল স্কিলের পাশাপাশি ইংরেজি জানলেই সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয়। ভারতীয় সেই সুযোগকে কাজে লাগাল এবং এখনও লাগিয়ে যাচ্ছে। কারণ ভারতের ইকোনমি এখন অনেকটাই বিশ্বের বাজারে উন্মুক্ত।

    বিশ্বায়নের স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে দেখুন এখন চীন কেমন হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু যেদিন তারা ঠিকঠাক ইংরেজি শিখে যাবে, সেদিন ভারতীয়দের চরে খাওয়া অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নেই।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ০৭:১৬402216
  • ভারতীয়রা ইংরেজী জানার ফলে অবশ্যই বেশি সুযোগ পাচ্ছে । আর শোনা যায় যে ইন্টারনেট ও ওয়েবের কল্যাণে আজ ইউরোপেও ইংরেজীর ওজন তার রাইভ্যাল ফরাসীর চেয়ে অনেক বেশী। শমীক ঠিক : ইংরেজি বিশ্বায়নের ভাষা।

    রিমিকে : আমরা যখন পড়েছি তখনও মাধ্যমিক হয়নি। কিন্তু যাঁরা দুই দিকই দেখেছেন , যেমন আমার দিদি ৩৫ বছর স্কুলে পড়িয়ে গত বছর রিটায়ার করেছে , তারা বলে আমাদের আমলের হায়ার সেকেন্ডারীর তুলনায় আজকের মাধ্যমিক অনেক জল মেশানো। হায়ার সেকেন্ডারী হত এগারো ক্লাসের পর। তাই তুলনা করা মুশকিল। কিন্তু মোটামুটি,
    তখনকার ৬০% আজকের ৮৫% এর সমান।
    শুনেছি ইদানিং উচ্চ মাধ্যমিকেও অনেক জল মেশানো হয়েছে। যথা মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন।

    রিমিকে : অজ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ক্রিয়েটিভিটি আর ওয়েল-রাউন্ডেড হওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ দুটোই ছিলেন। আমার কথা হল স্কুলের বা বাবামার দায়ীত্ব হল ওয়েল-রাউন্ডেড করা। ক্রিয়েটিভ বোধ হয় চেষ্টা করে করা যায়না।
    আর আজকে ভাল কাজ পাওয়ার জন্য অংক আর বিজ্ঞান জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই স্কুল পাশ করার জন্য এদুটো বেশ কিছুটা জানতে হবে, এটা হওয়া দরকার।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ০৭:৩৪402218
  • হ্যাঁ ইংরিজি তো অবশ্যই জানতে হবে। সেই নিয়ে তো কোনো দ্বিমত নেই। প্রশ্নটা ছিল ইমেলে দু একটা বানান ভুল বা গ্রামার ভুল কতটা ইম্পর্ট্যান্ট। আমার মনে হয় খুব একটা না। মোটামুটি বোঝা গেলেই হল কি বলতে চাইছে। এমনকি বলার ক্ষেত্রেও আমার তাই মনে হয়। নইলে বানাম বা গ্রামার ঠিক করতে গিয়ে অনেক সময়েই ইমেল তার প্রাসঙ্গিকতা হারায়। কিন্তু অন্যদিকে এডিটেড ডকুমেন্টে ভুল করাটা ঠিক নয়। এডিটেড ডকুমেন্টে ভুল করলে দেখায় যথেষ্ট রিভিউ না করে দেওয়া হয়েছে। সেটা ঠিক প্রফেশনাল নয়।
  • siki | 122.162.82.151 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০১402219
  • তা হলে তো এখানে বুননকেও বানান নিয়ে হ্যাটা করাটা রীতিমতো অপ্রাসঙ্গিক। কারুর তো বুঝতে কোনও অসুবিধা হয় না ও কী বলতে চাইছে!
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৩৪402220
  • একটা তফাত আছে, অন্তত: আমার কাছে। সেটা হল, বাংলা ব্ল্যাংকের মাতৃভাষা। ইংরিজি বিদেশী ভাষা। বিদেশী ভাষা ভাল করে জানা নিশ্চয়ই শ্লাঘার ব্যাপার, কিন্তু না জানা লজ্জার নয়। এটাই বক্তব্য।

    হ্যাটা প্রাসঙ্গিক কি অপ্রাসঙ্গিক সেটা ব্যক্তিগত ও কন্টেক্সুয়াল ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আমার অপ্রাসঙ্গিক লাগে।

    বিশ্বায়ন (মালটা ঠিক কী, আমার মনে ধন্দ আছে) নামক বস্তুটির ভাষা ইংরিজি বলে আমার মনে হয়না। তার ভাষা ডলার, ইউয়েন, রুপি, ইউরো ইত্যাদি - যা আবহমান ব্যবসার ভাষা। চীনেরা বিশ্বায়নের স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে কিরকম হাবুডুবু খাচ্ছে?
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৮402221
  • ন্যাড়া যাকে কলোনিয়াল হ্যাংওভার বলে ওভার বাউন্ডারি মারলেন, সেইটা আমার কাছে দেশে মোটামুটি ভাল মাইনের (নিজের চাহিদা মেটানোর মত) চাকরি পাবার পূর্বশর্ত। এমন অনেক ছেলেকে দেখেছি যারা প্রাগ্রামিং মোটামুটি নামিয়ে দেয়, কিন্তু ক্লায়েন্টের সাথে ফোনে স্ট্যাটাস মিটিং করতে গেলে পেন্টুল হলুদ করে ফেলে। অনেকের ইমেল পড়ে কী বলতে চেয়েছে মানে বুঝতে অসুবিধা হয়। তো, ইংরেজি এমন একটা ভাষা, যাতে কেজো জিনিসপত্র খুব সহজে নির্ভুল লিখে ফেলা যায়। তার জন্য কারুর জয়েস পড়ে বোঝার দরকার নেই।

    আর হ্যাঁ, বাইরের কাজের বাজার ধরবার জন্য এইটুকু রিকোয়ারমেন্ট দরকার। যদি সেসব না থাকত, তাহলে শ্লাঘা-টাঘার ব্যপার আসত।

    চাইনিজরা এখনো সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন করে ঢুকতে পারেনি, কিন্তু সেইদিনের দেরিও নেই বেশি। ততদিন অবধি চাইনিজদের উদাহরণ টেনে আনলে ব্যপারটা আপেল আর কমলালেবু হয়ে যাবে।
  • siki | 122.162.81.249 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৪৭402222
  • ন্যাড়াদা, ইংরেজিও আমেরিকানদের মাতৃভাষা। তো তারা যদি এসেমেসের স্টাইলে ইমেল লেখে ইংরেজি বেসিক গ্রামারের পশ্চাদ্দেশে লাথি মেরে, তা হলে বাংলা মাতৃভাষা নিয়ে বুনান কী দোষ করেছে? অন্তত বাংলা লিখতে বা বলতে গিয়ে কোনও বাঙালি তো গ্রামার্টিকাল মিসটেক করে না! "আমি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে' বা "গতকাল আমি মেসেজটা দেখব' লেখা আর I have send কিংবা he have done it লেখা এক ব্যাপার। এইটুকু যে ঠিকভাবে লিখতে পারে না, তার বেসে গড়বড় আছে।
  • siki | 122.162.81.249 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৫০402223
  • ডেনিশরা দেখেছি এর থেকেও খারাপ ইংরেজি লেখে। বাক্যগঠন করতে পারে না। ওদের কারিকুলামে ইংরেজি ছিল কিন্তু জীবনধারণের ক্ষেত্রে তা বিশেষ কাজে লাগে নি। তাই কম্পিউটার জগতের টেকনিকাল বইপত্তর পড়ে ফেলে আরামসে, কিন্তু দু লাইন ইংরেজি লিখতে বা বলতে গেলে বেশির ভাগ ডেনিশেরও পেন্টুল হলুদ হয়ে যায়।

    ডি: আইটি জগতের সাথে যুক্ত ডেনিশরা অবশ্য ব্যতিক্রম, কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকেরই এই ইংরেজি ভীতি আছে, আমি দেখে এসেছি। কুঁতিয়ে কাঁতিয়ে ইংরেজি বলে।
  • san | 123.201.53.144 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ১৭:৪৭402224
  • কলোনিয়াল হ্যাংওভার ইত্যাদি প্রসঙ্গে :

    ন্যাড়াদা : ঠিক ইংরিজি না ভুল ইংরিজি তাতে কার কটা উৎপটাং হয় বললেন । ইন্টার্নাল ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করলে কিসুই হয়না। কিন্তু গরীব দেশের সস্তার থার্ড-পার্টি-ভেন্ডারের থেকে ভুল ইংরিজিতে ইমেইল গেলে কি উৎপটাং হয় বলুনতো? প্রজেক্ট ফিডব্যাক ফর্মে আউটপুট কোয়ালিটি, টাইমলিনেস, ইনোভেশন ইত্যাদি ইত্যাদি সাব টপিকের সঙ্গে 'কমিউনিকেশন' নামক যে বস্তুটি থাকে তাতে দশে তিন র‌্যাংক আসে। ফলে ওভারল র‌্যাংকেরও বারোটা। অত:পর, যে বা যারা ভুল ইংরিজি লেখে তাদের তো বটেই প্রজেক্ট লিড এর অ্যাপ্রেইজালেরও হয়ে গেল। তোমার প্রজেক্টে দশে তিন র‌্যাংক আসবে আর বস ছেড়ে কথা কইবে? সে কি মাদার টেরেজা?

    আজ্জোদা : আম্রিকানরা শুধুই আউটপুট কনটেন্ট দেখে - ইহা একটি আদ্যন্ত ঢপ - অন্তত আউটসোর্সড প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে 'বোঝা গেলেই তো হল' গোছের মেইল করলে তুমি গেলে ,বিশেষত: নানারকম বিপর্যয়ের সময়ে,ক্লায়েন্ট সাইড এবং নিজকোং-সাইড থেকে তোমার সফট স্কিলসমূহ নিয়ে যা কান-গরম-করা কথাবার্তা শুনবে তাতে সব হ্যাংওভারের থিওরি তথা স্মার্টনেসের থিওরি জন্মের মত মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে।অন্যদিকে আমি যদ্দুর দেখেছি ভালোভাবে (স্ট্রাকচারড ওয়েতে) যারা ইমেইল করতে জানে সেই সব ম্যানেজারেরা আল্টিমেটলি নিজের এবং পরের জীবন থেকে চাপ কমাতে বেশ কার্যকরী হয়। প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টে ইমেল তথা কমিউনিকেশনের ভূমিকা নিয়ে অপ্পন বা দমদির কি মত জানার ইচ্ছে রইল :-)

    লজ্জা, শ্লাঘা, হ্যাংওভার মাথায় থাক। কোনো আইডিয়ালিস্টিক পয়েন্টে আমি যাচ্ছিনা। আমি উদয়াস্ত খেটে প্রোজেক্ট তুলব আমার ভালো অ্যাপ্রেইজাল চাই এবং তারজন্য ভালো ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক চাই। সেটা পুরোটাই কিভাবে নিজের টিম এবং প্রোজেক্ট কে সেল করা হচ্ছে তার উপরে। অতএব ইমপ্রেশন খুব জরুরি। পহেলে দর্শনধারী ইত্যাদি।

    ইমপ্রেশনের জন্য প্রোফেশনালিজম জরুরি। এই যে বললে ইমেইলে চ্যাটের ভাষা - এখন কথা হল - see u কে c u লিখলে ঠিক 'এরর' বলা যায়না - কিন্তু i has send you লিখলে সেটা পরিষ্কার এরর।অর্থাৎ যে ইমেল লিখছে তার , এবং যে এর পরেও তাকে দিয়ে লেখাচ্ছে তাদের পারফেকশন নিয়ে তত মাথাব্যথা নেই। আর পারফেকশন মানে শুধু কোড এবং সংখ্যার পারফেকশন নয়, পারফেকশন বেসিকালি একটি অভ্যাস। যা ক্লায়েন্ট চায়, প্রোজেক্ট ম্যানেজার চায়, টিম লিড চায় , এবং খুব যুক্তিযুক্ত কারণেই চায়। আসলে খুব ছোটছোট জিনিস দিয়েই মানুষের ইমপ্রেশন তৈরি হয় তো। সেগুলোকে ছোট জিনিস বলে অবহেলা করে আখেরে লাভ হয়না।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ২০:৩২402225
  • অর্পণ তুমি যেমন বললে ঠিক তেমন ইংরিজি নিয়েই কর্পোরেট ল্যাডারে হুহু করে উঠছে এমন লোক আমি নিজের চোখে একাধিক দেখেছি। বিজিনেস কমিউনিকেশনে অনেক ক্ষেত্রেই শুদ্ধতার থেকে অন্য অনেক জিনিষ বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। যারা দুটোই পারে, তারা পারে, তারা ভালো এবং হুহু করে উঠবে। যারা বানাম ঠিক রাখে কিন্তু বেসিকালি বাজে কমিউনিকেট করে, তাদের বিশেষত ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন করাই উচিত নয়। যারা বানাম ঠিক রাখতে পারে না, কিন্তু ভালো কমিউনিকেট করে তারাও প্রথম দলেরই মতন এফিশিয়েন্ট। যারা কোনোটাই পারে না তারা অটোমেটিকালি ভোগে যায়। বানাম, গ্রামার এবং কমিউনিকেশন রিলেটেড কিন্তু এক নয়।

    মূল বিষয় থেকে আমরা সরে যাচ্ছি। আসলে এই ব্যপারটা নিয়ে তর্ক করার খুব একটা মানে হয় না। তাহলে টই ঘুরে বিজিনেস কমিউনিকেশন কেলাসে পরিণত হবে। তবে শুদ্ধ ইংরিজিতে লেখা বাজে ইমেল এবং অশুদ্ধ ইংরিজিতে লেখা ভালো ইমেল দুইই আমি দেখেছি।

    বুনানকে হ্যাটা প্রসঙ্গে, ওটা সেরেফ বাজে বাওয়াল। যদি তার থেকে বেশি কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়ে থাকে তাহলে আমার দুইখানি নয় দুইশত খানি কথা আছে।
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:০৮402226
  • আজ্জোকে: ভুল বানাম নিয়ে আমি গত দুইখানি পোস্টে কোন প্রসঙ্গের অবতারণাই করিনি। আরেকবার পড়ে দেখতে পার আমার লাস্ট দুটো পোস্ট।

    আমার বক্তব্য ছিল "Has you sent the mail?" বা "I'll looking forward to" এই ধরণের ইংরেজি লেখা নিয়ে (সিকি আর স্যান একই উদাহরণ দিয়েছে)। এইটা কোনভাবে বিজনেস কমিউনিকেশনের গল্প নয়। ইংরেজির বেস কাঁচা থেকে যাবার গল্প। আর সেইটা শুধু বাঙালি ছেলেপুলের হয় কে বলল? অন্ধ্র বা তামিলনাড়ুর প্রচুর ছেলেমেয়ের দেখেছি গ্রামারের বেস একদম কাঁচা।

    আর এইখানে গল্পটা বুনানের থেকে আলাদা। বুনান ইচ্ছে করলেই ঠিক বানান লিখতে পারে। কিন্তু হয়ত ওর কাছে গুরুতে পোস্ট করা আর ফোনে মেসেজ টাইপানোর মধ্যে কোন তফাৎ নেই। কিন্তু আমি যে উদাহরণগুলি দিলাম, সেইগুলির ৯০% ক্ষেত্রে আমি দেখেছি পেটে বোমা মারলেও তারা ঠিক জিনিসটা লিখতে পারবে না।

    স্যানকে ধন্যবাদ। ল্যাদ খেয়ে এত ডিটেলসে আমার লেখা হয়ে ওঠেনি। ওর পোস্টের প্রতিটা কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি।
  • d | 117.195.35.59 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ০৭:৪৫402227
  • স্যনের বক্তব্যে সহমত। স্যান মোটামুটি ডিটেইলসেই বলে দিয়েছে।

    আর্য্যকে একটা কথা বলার ছিল। লার্নিং ইংলিশ পড়ানোর সময় সাহিত্য পড়ানোকে হাল্কা করে দেখানোর গল্পটা তুমি কোথায় পেলে হে? ঐ পদ্ধতির মূল বক্তব্যই ছিল স্কুলের পাঠ্যবইয়ে কোন গল্প কবিতা পড়ে তার সারাংশ মুখস্থ না করে, সরাসরি গল্প কবিতা, সংবাদপত্র ইত্যাদি পড়া। এবারে লার্নিং ইংলিশ জাতীয় সিস্টেম চালু করবার সময় স্কুলগুলোর হাল, তাদের লাইব্রেরী আছে কিনা অথবা ইংরিজি সংবাদপত্র পড়ার ব্যবস্থা আছে কিনা এইসব না দেখেই করা হয়েছে। এই লার্নিং ইংলিশ পাড়ানোর জন্য শিক্ষকদের যে ওয়ার্কশপ হত, তাতেও পাঠ্যের বাইরে বহুকিছু পড়বার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একে তো এরকম ওয়ার্কশপ হয়েইছে হাতে গোণা। তার উপর অধিকাংশ শিক্ষক মানসিকভাবে আদৌ প্রস্তুত ছিলেন না এই মেথডে পড়াতে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিজেদেরই বাইরের বই, ইংরিজি সংবাদপত্র পড়ার অভ্যেস এত কম যে তাঁরা আবার ছাত্রদের কি বলবেন! ফলে তাঁরা ঐ গিলিয়ে দেওয়ার মেকানিজম বের করতেই বেশী ব্যস্ত থাকতেন।

    আরো একটা মজা হল, যাঁরা এইসব চালু করলেন, তাঁরা সম্ভবত: ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইস্যু সম্বন্ধে ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন, কারণ তাঁদের ছেলেপিলেরা সব টপাটপ ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করেছিলেন, কেউ আর বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করে পরীক্ষানীরিক্ষার মধ্যে যান নি।

    এইগুলো নিয়ে অনেকদিন আগে একবার বিস্তারিত লিখেছিলাম তো। আবার টাইপাতে ইচ্ছা করছে না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০৪402230
  • ক্লাস ওয়ান না ক্লাস সিক্স এটা নিয়ে আমি ঠিক সিওর নই। এই নিয়ে কোন কনসেনসাস আছে কি? ব্রিটিশরা কিন্তু সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ (জার্মান বা ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ) শুরু করে সম্ভবত ইয়ার সিক্সে, মানে ক্লাস সিক্সে।

    তবে পদ্ধতিগত দিক থেকে আমি অবশ্যই লার্নিং ইংলিশ পদ্ধতির পক্ষপাতী। ব্রিটিশ ইংরিজী মোটামুটি শুদ্ধ, এবং ওইভাবেই ওরা শেখে - যদিও একটা সেকশন থেকে বলা হয় কিস্যু শেখে না:-) তবে আগের পদ্ধতিগুলোও মোটামুটি সিমিলার লাইনের। গ্রামারে জোর আছে, তবে পরে। আগে নিজে নিজে পড়তে, লিখতে এবং সবচেয়ে বড় কথা - বুঝতে শেখে। যে কোন বই পড়ে যাতে নিজের ভাষায় এক্সপ্রেস করতে পারে। পাঠ্যবই-এর কনসেপ্টটা ভুলভাল - অন্তত অল্প বয়সে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১২:২০402231
  • ইনসেন্টিভ - এটা খুব দরকার, কিন্তু তার জন্যে পরীক্ষা কি খুব জরুরী? মনে হয় না। ক্লাসের কাজটা ভালো করে করলে, বা খুব সুন্দর করে একটা গল্প বললে বা পড়লে ইংল্যাণ্ডে সুন্দর সুন্দর সার্টিফিকেট দেয় - বাচ্চাগুলো সেগুলো পেলেই খুব খুশি হয়। বেশ কয়েকদিন স্কুলের নোটিসবোর্ডে সেগুলো টাঙানো থাকে। ইনসেন্টিভ নয়?

    ব্রিটিশ সিস্টেমে Key Stage ভাগ করা থাকে -

    Key stage 1: Ages 5-7 (Years 1-2)
    Key stage 2: Ages 7-11 (Years 3-6)
    Key stage 3: Ages 11-14 (Years 7-9)
    Key stage 4: Ages 14-16 (Years 10-11)


    প্রতিটা স্টেজের নিজস্ব এইম এবং পদ্ধতি রয়েছে - ওদের ন্যাশনাল কারিকুলামের সাইটে বেশ ভালো করে বোঝানো - কি পড়বে, কেন পড়বে, কিভাবে পড়ানো হবে - এবং আল্টিমেটলি কি শেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।

    পরীক্ষা? প্রথম পরীক্ষা হয় ইয়ার টু-তে - তাও ক্লাস টিচারই ইভ্যালুয়েট করেন - ইংলিশ, ম্যাথস আর সায়েন্স। ইয়ার সিক্সে প্রথম ন্যাশনাল টেস্ট, তারপর আবার ইভ্যালুয়েশন চলতে থাকে, শেষে ইয়ার টেনে গিয়ে GCSE

    http://tinyurl.com/yv2fv7

    এবং এর পরেও ওখানে লোকে "বেশি' পরীক্ষা নিয়ে ক্ষুব্ধ - http://tinyurl.com/yqrkan - ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবর।
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৩১402232
  • কনসাল্টিং-এ আমার সেরকম কাজের অভিজ্ঞতা নেই বলেই ইংরিজির গুরুত্ব খাটো করে ফেলেছি বলে মনে হচ্ছে। কনসাল্টিং-এ কাজ করতে হলে তার মানে মিটনিকের মতন কোড লিখতে হবে, চার্চিলের মতন ইংরিজি, রামনুজমের মতন অংক, দারা সিং-এর মতন কুস্তি ইত্যাদি।

    একটু facetious হয়ে গেল, কিন্তু মূল বক্তব্যটা হচ্ছে, কমিউনিকেশন হল একটি স্কিল - ভাষা নিরপেক্ষ স্কিল। যার ইংরিজিতে কমিউনিকেশন খারাপ, তার খুব সম্ভবত: মাতৃভাষায়ও কমিউনিকেশন খারাপ। তাকে দিয়ে ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন করায় যে ম্যানেজার, সেই ম্যানেজারের চাকরি যাওয়া উচিত। আর যার কমিউনিকেশন সত্যিই ভাল, সে দরকার পড়লে হটেনটটকে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে থিওরি অফ রিলেটিভিটি বুঝিয়ে আসতে পারে।

    আমি গ্র্যাড স্কুলে সদ্য আসা ছেলে দেখেছি যাদের কথ্য ইংরিজি নন-এক্সিসটেন্ট। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার লোকের বিভিন্ন স্কিললেভেলের ইংরিজি শুনে ও পড়ে আমার বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে, কমিউনিকেশনে শুদ্ধ ইংরিজির আলাদা কোন মূল্য নেই। বরং কালচারাল নুয়েন্স অ্যান্ড ভোকাবুলারি জানা অনেক বেশি জরুরী ভাল কমিউনিকেশনের জন্যে।

    ভুল ইংরিজি লিখেছে বলে ক্লায়েন্ট কম নম্বর দিয়েছে, এটা ঐ সেই - কলোনিয়াল হ্যাংওভার। 'I has seen your document' লিখলে ইংরিজিতে লেটার আসবে না, কিন্তু মানে বোঝাতে তো কোন অসুবিধে দেখছি না। যারা যারা এই ইংরিজি বাক্যের মানে বোঝেন না, তাঁদের ইংরিজি ভাল করে শেখা উচিত। অন্যদিকে 'With reference to your missive dated such and such, I am obliged to send you this correspondence for your perusal' ধরণের বাক্য কমিউনিকেশনের মানদন্ডে কত নম্বর পাবে?
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২৮402233
  • দাঁড়ান মহায়। ইংরেজি বলতে গেলে তোতলায় এইরকম ক্যান্ডিডেটের কমিউনিকেশন খারাপ এইটা কি মানেন? যদি মানেন তার মাতৃভাষাতেও "খুব সম্ভবত:" কমিউনিকেশন খারাপ - এইটা কি আপনার হাইপোথেসিস?

    যদি তাই হয়, তাকে দিয়ে ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন কি করানো যাবে তাকে দিয়ে? না করানো গেলে তার ম্যানেজার বড়জোর তাকে কমিউনিকেশনের ওয়ার্কশপ করার জন্য রেকো দেবে। কিন্তু তার পরেও না শুধরোলে বাজে অ্যাপ্রাইজালের দরুণ ওই ছেলের চাকরি যাবে। ম্যানেজারের চাকরি যাবে কোন দু:খে?

    আর যে দুটো উদাহরণ দিলেন, রিটেন কমিনিউকেশনের মানদণ্ডে দুটোই শূন্য পাবে।
  • Arpan | 208.57.131.4 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৬402234
  • দ্বিতীয় কথা, কারো মাতৃভাষাতেও কমিউনিকেশন খারাপ কিনা, সেটা তার ম্যানেজারই বা কী করে বুঝবে?
  • lcm | 71.132.143.23 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:৫৬402235
  • কয়েকটি কথা।
    - চিনারা ইংরিজি ঠিক ঠাক বলতে পারে না বা জানে না বলে হাবুডুবু খাচ্ছে। ভুল। আজকের চীন যেখানে গেছে সেটা ইংরিজি-র খুব একটা তোয়াক্কা না করে। শুধু চীন নয়, অনেক দেশেই ইংরিজি প্রাধান্য পায় না।
    স্রেফ অন্য দেশের সঙ্গে একটা মোটামুটি ভাঙ্গা ভাঙ্গা কমিউনিকেট করতে যতটুকু দরকার তার থেকে বেশী ইংরেজি শেখার প্রয়োজন অনেকে বোধ করে না, এবং তাতে সেই সব দেশের উন্নতির খুব একটা অসুবিধে হয় নি।

    - ভুল ইংরেজির যে সব উদাহারণ এখানে দেখছি, সেগুলো তো এখন আর বিগ ডিল নয়। যেমন, আফ্রিকান আমেরিকান-দের ইংরেজি (ebonics) এখন অনেকটা মেনে নেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা, বই, পেপার লেখা হয়েছে এবং হচ্ছে।

    - আইটি কনসাল্টিং-এ ইংরেজির গুরুত্ব প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ডকুমেন্টেশন, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি এলাকায়। কোর টেকনিক্যাল এক্সপার্টিজ-এ তেমন জোরদার না হলেও চলে। ইষ্ট ইউরোপ-কে যদি ইদানিংকালের প্রোগ্রামিং ট্যালেন্ট হাব ধরা হয়(গুগল কোডিং কম্পিটিশনে এদের একছত্র আধিপত্য) , সেখানে ইংরেজির চল নেই।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১২402236
  • অরিজিত : ব্রিটেনে কি O level , A level চালু আছে? আমার পুত্র কলকাতায় যে স্কুলে পড়েছে সেখানে O level (ক্লাশ ৯-১০) হল Edexcel board আর A level (ক্লাশ ১১-১২) Cambridge University board। ও অবশ্য নাইন অবধি পড়েছে। তাতে যা পড়শোনার পরিমাণ আর চাপ দেখেছি তা আমেরিকা কেন, প: বঙ্গের কারিকুলামকেও হার মানায়। ক্লাস এইটে সেক্সপীয়ার ছিল। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রিও খুব অ্যাডভান্সড। কেমিস্ট্রিতে ভ্যালেন্সী আর ইলেকট্রনের অর্বিট (s,d,p ইত্যাদি) ছিল ক্লাস সেভেন কি এইটে।
    এখন আমি জানিনা প: বঙ্গে এগুলো কোন ক্লাসে পড়ানো হয়। আমরা এগুলো কিছু পড়েছি ১০-১১ এ , কিছু কলেজে। অবশ্যই সময়ের সাথে সাথে এগুলো আরো নিচু ক্লাসে চলে আসে।
    চাপের কথা যদি বল, আমি বলব ঐ O level, A level এ চাপ ভীষণ। তার চেয়ে কম প:বঙ্গ বা ICSE, CBSE বোর্ডে। আরো কম আমেরিকায়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৭402237
  • এইচএসের ইক্যুইভ্যালেন্ট হল এ-লেভেল। ক্লাস টেনেরটাকে বলে GCSE - অনেক আগে মনে হয় ও-লেভেল বলতো। তবে আমি KS1,2 অবধি কি পড়ায় জানি। তার পর জানি না - ওদের ন্যাশনাল কারিকুলামে দেওয়া থাকবে। ওপরের দিকে চাপ তো থাকবেই - সেটা শেখার চাপ, পরীক্ষার এক্সট্রা চাপটা নেই।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৫৬402238
  • আমি বহুদিন কনসাল্টেন্সী করেছি , যদিও ভারতীয় কোম্পানির হয়ে কোনদিন করিনি। ইংরিজি নিয়ে কোনদিন অসুবিধা হয়নি।
    আমার মনে হয় দুটো ভিন্ন লেভেলের কথা আলোচনা হচ্ছে।
    ১) টেকনিক্যাল লোকেদের ইংরেজী : এক্ষেত্রে বিরাট স্কিলের দরকার হয়না কারণ বেশির ভাগ কথাই টেকনিক্যাল জার্গনে ভরা। দুজন লোক , তাদের একজন যদি বস্টনের হয় আরেকজন বাঁকুড়ার, তাতে বোঝানোর কোন অসুবিধা নেই যতক্ষন দুজনেরই টেকনিক্যাল স্কিল উন্নত। কিন্তু বাঁকুড়ার লোক যদি পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইডে ভুল বানান লেখে সেটা অপরাধ।
    ই মেলে ব্যাকরণের ভুল খারাপ, বানান ভুল অত খারাপ নয়।
    ২) অ্যাকসেন্ট আর ডিকশন : আমার মনে হয় দেশিরা এতে মার খায়। আমারও মনে পড়ে ছাত্র হয়ে যখন এসেছিলাম প্রথম, আমার শুদ্ধ ইংরেজি এরা কেউ বুঝতনা। তারপরে এদের স্টাইলে কথা বলা রপ্ত করতে হয়েছে।
    অর্পণ বা কেউ বলেছে নতুন ছেলে এসে কনফারেন্স কলে কথা বলতে পারেনা। সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে সে অন্যদিকের লোকটির আমেরিকান অ্যাকসেন্ট বোঝেনি ।
    ৩) নন-টেকনিক্যাল লোকের ইংরেজী : এক্ষেত্রে কমুনিকেশন আর আর্টিকুলেশনের দরকার বেশী। যার আসল কোন কাজ নেই, ভাটানোই কাজ সেই মানিজারদের তো দেখাতে হবে তাদের বেশি পয়সা দেওয়ার কারণ আছে :(।
    সিরিয়াসলি, এই লোকেদের কাজ হল তথ্য বিতরণ করা। সেটা কথাতেও হতে পারে, পাওয়ার পয়েন্টেও। যেমন ধরুন, কোম্পানি খারাপ করছে, সেখানে জনতাকে উদ্বুদ্ধ করা যে , আরে এটা সাময়িক ঘটনা, ছমাস পরেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে। বা কোম্পানীর ভিশন কি। এগুলো বলার জন্য যথেষ্ট ভার্বাল স্কিল ও ভাষার ওপর দখল থাকা দরকার যা ৮০% দেশির আর ৬০% আমেরিকানের নেই।

    দীপক চোপড়া বা বিল ময়ার্স শুনলে বুঝবেন কি বলতে চাইছি।
  • san | 12.144.134.2 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৭:২৮402239
  • আচ্ছা আমি তো রাস্তাঘাটে যখন হিন্দি বলতে হয় রীতিমত তোতলাই। বেশির ভাগ সময়েই দেখি হিন্দিতে সেনটেন্স শুরু করে এগোতে পারছিনা বলে ইংরিজি দিয়ে শেষ করছি ;-) ন্যাড়াদার কথায় এত্তদিনে রিয়েলাইজ করলাম খুব সম্ভবত: আমি বাংলাও ভুল বলি , ভুল বুঝি, ভুল লিখি ইত্যাদি । কি কেলেংকারি :-))))
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১৭:৪১402241
  • আমি বোর হয়ে গেলো।

    I has becum bore

    ম্যায়নে বহুত বোর হোনা পড়েঙ্গে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন