এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন পেনশন স্কীম

    shyamal
    অন্যান্য | ০২ মে ২০০৯ | ৩৮১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০২ মে ২০০৯ ০০:৪৩410755
  • কিছুদিন আগে কোন একটি টইয়ে লিখেছিলাম যে সরকারী কর্মিরা ভারতে এখন নিজের পেনশন ফান্ড নিজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। প্রতি মাসে বেতন থেকে একটা অংশ পেনশন ফান্ডে যাবে করমুক্ত ভাবে।
    তাতে গুরুর অনেকেই হাঁহাঁ করে উঠলেন যে সরকারের এরকম কোন স্কীম নেই। কিন্তু সত্যিই আছে। যারা ২০০৪ এর পরে ভারত সরকারের কর্মি হয়েছেন তাঁরা কেউ অটোমেটিক পেনশন পাবেন না, এই পদ্ধতিতে টাকা জমাতে হবে।
    আর আজকের খবর হল যে ভারতের প্রত্যেক রোজগেরে নাগরিক এই স্কীমে অংশ নিতে পারবেন।
    http://tinyurl.com/dbefvj

    এটা প্রায় আমেরিকার 401K র মত। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী আয়ের একাংশ টাকা সরকারি বন্ড, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, বেসরকারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদিতে ছড়িয়ে রাখতে পারবেন। আপনার ঝুঁকি, আপনার টাকা, আপনার দায়।

    আমার মতে এটা একটা চমৎকার স্কীম। এতে ব্যাক্তির অবসরের দায়িত্ব ব্যাক্তিকে দিয়ে দেওয়া হল।
  • Samik | 122.162.236.201 | ০২ মে ২০০৯ ০৯:১৮410766
  • শ্যামলদা,

    এই স্কীমটা সত্যিই ছিল না। জাস্ট কাল থেকে চালু হয়েছে। অনেকদিনের টালবাহানার পরে। কালকেই আমি ব্রোশিওরটা ডাউনলোড করে নিয়ে এসেছি।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০২ মে ২০০৯ ০৯:৫১410777
  • সাধারণ মানুষের জন্য এটা সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু এই স্কীম প্রথম চালু হয় সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের জন্য যারা ২০০৪ বা তার পরে চাকরিতে ঢুকেছেন।
  • dri | 117.194.228.148 | ০২ মে ২০০৯ ১৩:৪১410788
  • এই নতুন স্কীমটা সম্বন্ধে একটু আলোকপাত করা যাবে?

    আগে সরকারী চাকরীতে পেনশানের জন্য নিজের মাইনে থেকে কোন টাকা কোন ফান্ডে রাখতে হত না। শুধু চাকরী করলেই রিটায়ারের পর মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট টাকা পাওয়া যেত। এখন কি ব্যাপারটা বদলে গেল? এখন কি নিজের মাইনে থেকে কিছু টাকা জমা রাখতে হবে? তার বদলে কি পাওয়া যাবে? রিটায়ারের পর মাসে মাসে নির্দিষ্ট কিছু পাওয়া যাবে? নাকি মার্কেটের যা ভ্যালু হবে তাই পাবে?
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০২ মে ২০০৯ ১৬:০৪410799
  • যেটুকু বুঝেছি লিখছি। আগে চাকরি করলেই পেনশন পাওয়া যেত সরকারি চাকরিতে। সেটা উঠে গেল যারা ২০০৪ এর পরে চাকরিতে ঢুকবে তাদের জন্য।

    তার বদলে এসেছে নিউ পেনশন স্কীম । এতে যারা সরকারি চাকুরে তাদের বেসিক+ডিএর ১০% NPS এ জমা রাখতে হবে ম্যান্ডেটারি। সরকার আরো ১০% ম্যাচ করবে। এই টাকা কি করে খাটানো হবে সেটা ঠিক করবে কর্মচারী with some constraints। যেমন ৫০% এর বেশী স্টক ফান্ডে(হাই রিস্ক) রাখা যাবেনা। সরকারি বন্ড, বেসরকারী বন্ড, মিউনি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, ডেট ফান্ড ইত্যাদিতে ছড়িয়ে রাখা যাবে। এজন্য ফান্ড ম্যানেজার থাকবে যেমন স্টেট ব্যাঙ্ক, কোটাক ইত্যাদি।

    গত চার বছরে গড় রিটার্ন ছিল ১২ থেকে ১৬%। যে ১০% কর্মচারী দিচ্ছে সেটা করমুক্ত। ৬০ বছরে সে টাকা তুলতে পারবে। মোট টাকার ৪০% (করমুক্ত) ম্যান্ডেটারি একটা অ্যানুইটি স্কিমে রাখতে হবে যার থেকে সরকার আজীবন কর্মিকে ও পরে তার স্পাউসকে একটা অ্যানুইটি দেবে ( অনেকটা পুরোন পেনশনের মত)। বাকি ৬০% সে একবারে বা অল্প অল্প করে তুলতে পারে ও যা ইচ্ছা করতে পারে। তবে সেই টাকায় কর দিতে হবে। সেটাকে করমুক্ত করার প্রোপোজাল এসেছে।

    এবারে এমাস থেকে এই স্কীম চালু হল সব বেসরকারি ও সেল্ফ-এমপ্লয়েড মানুষের জন্য। সে ক্ষেত্রে সরকার কোন টাকা দেবেনা। আর কর্মির ন্যুনতম মাসে ৫০০ টাকা এই স্কিমে রাখতে হবে। ১০% নয়। কোন আপার লিমিট নেই। বাকি নিয়ম একই।

    একটি হিসেবে দেখা গেছে যে সরকারি কর্মি যদি সবচেয়ে ঝুঁকিহীন ভাবে টাকা রাখে অর্থাৎ শুধু ফিক্সড ডিপোজিট আর সরকারি বন্ড ইত্যাদিতে , তবে ৬০ বছরের পর সে যা টাকা পাবে (অ্যানুইটি ও থোক মিলিয়ে) তা পুরোন পেনশনের সমান বা বেশী হবে।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০২ মে ২০০৯ ১৬:২৫410810
  • এটা সারা দেশে হয়ে যাচ্ছে এ মাস থেকে। তার বিশাল দীর্ঘমেয়াদী ফল আছে দেশের পক্ষে। প্রথমত: বহু মানুষ যাদের পেনশনের কোন স্কোপ ছিল না তারা পেনশন ফান্ডে টাকা রাখতে পারবে।

    সারা কলকাতায় সিপিএম পোস্টার দিয়েছে, দেখেছেন মধ্যবিত্তকে আমরাই বাঁচিয়ে দিলাম। নয়তো UPA সরকার চেয়েছিল পেনশন,প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা স্টক মার্কেটে লগ্নী করতে। মার্কেট যে ২১০০০ থেকে পড়ে ৮০০০ হয়ে গেছে তাতে আপনার ভবিষ্যতের কি হাল হত বুঝছেন কি?

    এগুলোকে বলে নির্বোধের মিথ্যা। এটা মিথ্যা তো বটেই কিন্তু সিপিএম বিশ্বাস করে তারা মধ্যবিত্তের ভাল করেছে।

    কেন বলছি? আমি NDTV তে কয়েকজন এক্সপার্টের মত শুনেছিলাম। তারা বলছেন, সেন্সেক্স যে চড় চড় করে উঠেছিল, আবার হুড় হুড় করে পড়ল তার কারণ ভারতে খুব কম লোক মার্কেটে লগ্নী করে। সে তুলনায় বিদেশী লগ্নী (FII) বেশি। তাই যখন বিদেশিরা মার্কেট থেকে বেরিয়ে এল, তখন মার্কেট শার্পলি পড়ল। যদি বিদেশি লগ্নী হত রিলেটিভলি কম, তবে তারা বেরিয়ে গেলে মার্কেটের বিশেষ পরিবর্তন হতনা। একই যুক্তিতে মার্কেট মাত্র চার বছরে ৫০০০ থেকে ২১০০০ হতনা।

    অন্য দেশে এটা হয় না কেন? কারণ সেখানে ব্যক্তিগত লগ্নী না থাকলেও প্রত্যেক মানুষের পেনশন বা 401Kর টাকা মার্কেটে খাটছে। সেজন্য অল্প কিছু লোক নয়, প্রায় সব কর্মির কিছু লগ্নী আছে মার্কেটে। ভারতে যদি এটা হত তবে FII চলে গেলেও মার্কেটের পরিবর্তন হত সামান্য। কারণ পেনশন ফান্ডরা দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে। তারা দুম করে সব টাকা তুলতনা।

    নতুন পেনশন স্কীমের ফলে বিশাল টাকা স্টক মার্কেটে আসবে। শুধু তাই নয়, ফান্ড ম্যানেজারদের যেহেতু লংটার্ম ভিউ থাকবে তার ফলে মার্কেট রাতারাতি ডাবলও হবেনা আবার রাতারাতি আদ্ধেকও হবেনা। এতে মার্কেটের ব্রেডথ আসবে, স্টেবিলিটি আসবে।

    তাছাড়া এই টাকা ঘুরে ব্যবসায়ে লগ্নী হওয়ায় চাকরির সংখ্যা অনেক বাড়বে।
  • h | 61.95.144.10 | ০২ মে ২০০৯ ১৬:৫৬410813
  • ১। পয়লা মে থেকে ইমপ্লিমেন্টেড।
    ২। এটা নতুন কি হল বুঝলাম না। বিভিন্ন রকম রিস্ক এর ফান্ডে এখনো মানুষ মিলিয়ে মিশিয়ে ইনভেস্ট করে।
    ৩। এফ আই আই এর উপরেই ইন্ডেক্স ডিপেন্ড করে, অন্য দেশেও করে এদেশেই। ফান্ডের ন্যাভ টা ইন্ডেক্সের সঙ্গে ওঠানামা করবে ও করে, সর্বত্র। শ্যামল দা কি বলতে চাইছেন, স্টক মার্কেট বিদেশে ক্র্যাশ করলেও, পেন্সন ফান্ডের ন্যাভের কোন নড়চড় হয় না।
    ৪। ব্যক্তির পেন্সনের ভার ব্যক্তি র চিরকালই ছিল। এখনো আছে। আমি নিজের পেনসন নিজেই জমাতে পারি। একেকটায় একেক সময় একেক রকম ট্যাক্স ছাড় দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। নতুন করে ব্যক্তির দায়িঙ্কÄ ব্যক্তির হল। এটা ডাহা ও বোকা মিথ্যা। কারণ এখনো সকলেই নিজের দায়িঙ্কÄ নিজেরাই নিচ্ছে না, স্টেট নিচ্ছে না। সেটাই ডিবেট। প্লাস এই দায়িঙ্কÄ দিয়ে সাবালক করে দেওয়ার ভাঁওতার সঙ্গে দৈনিক ন্যুনতম মজুরি র কোন যোগাযোগ রাখা হয় নি, হবেও না। সেটাই মূল ভাঁওতা।

    কালাহান্ডি ও মতান্তরে বিদর্ভে এই ব্যক্তির দায়িঙ্কÄ ব্যক্তির নেওয়ার নাটক টা পয়লা মের আগে থেকেই একটু অন্যরকম ভাবে সলভড হয়েছে। লোক কে আগে ভাগে মরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্টেট :-) যাতে পেনশনের দায়িঙ্কÄ ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের কারোরি না থাকে। সৎকার খরচ নিয়ে সরকার নীরব।
    ভোটের আগে মে দিবসের সর্কারী ঢ্যামনামো ছ্‌হাড়া এই স্কিমে আপাতত কিছু চোখে পড়ে নি। নির্বাচনের সময় নিয়ন্ত্রন এবং স্কিম চালু হওয়ার তারিখ নিয়ন্ত্রনের কো- ইন্সিডেন্টালিটি টা নিয়ে আর কিসু কইলাম না।
  • h | 61.95.144.10 | ০২ মে ২০০৯ ১৭:০৬410814
  • তাছাড়া কর্মীদের ভাল পেনসন স্কিম ও ভালো মেডিকাল কেয়ার স্কিমের জন্য-ই মূলত: যে জিএম আর ক্রাইসলারের ব্যবসা চালাতে অসুবিধে হছিল, এমনকি ফোর্ডেও অসুবিধে হচ্ছে, এই যুক্তি শুনে শুনে তো কান পচে গেল। তো প্রাইমারী মার্কেট এক্সপোজড পেন্সন স্কীম 'ভালো' হলে লাভ কী, মার্কেটে ধ্বস নামলে তো সেই পেনসন স্কীমের জন্য কর্পো পরিচালনায় 'ফ্যাট' জমার যুক্তি দেওয়া হবে। নাকি শ্যামলদা বলছেন যে মার্কেটে আর কখনো ধ্বস নামবে না, নাক মলছেন , কান মলছেন, এই লাশ্‌ট? না কর্মীদের ভাল পেন্সন স্কীম -ই যে কর্পো চালানোর পক্ষে নষ্টের গোড়া এই যুক্তি আর আসবে না? কোনটা?

    হাসিও পায় মাইরি। এই সব তর্ক করলে মনে হয়, অর্থনীতির বই টই আর পড়ার দরকার নাই, মানুষের কথা ভাবার দরকার নাই, এই ধরণের যুক্তিকে এক্সপোজ করার জন্য রেটোরিক ই যথেষ্ট:-)
  • h | 61.95.144.10 | ০২ মে ২০০৯ ১৭:০৯410815
  • এই বিচিত্র পেনশন ফান্ডে আসা টাকা, মার্কেটে এলে, কোন বিচিত্র উপায়ে প্রাইস স্পেকুলেশন, শর্ট সেলিং, ডেরিভেটিভ চর্চা কমবে? হাসিও পায় মাইরি।
  • bb | 117.195.176.202 | ০২ মে ২০০৯ ১৮:১৯410756
  • শ্যামল তথ্যের দিক থেকে সঠিক এই scheme টি ২০০৪ থেকে চালু এবং এখন সর্বসাধারণের জন্য চালু হল।
    । এই মূহুর্তে ছয়টি ফান্ড এই national pension scheme ম্যানেজ করছে icici, IDFC,SBI, UTI, Kotak, Reliance। ৫০% অবধি লোকের টাকা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে।কিন্তু এই লংটার্মের গল্পটা এক বিরাট ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়।এই স্কিম রিটার্ন গ্যারান্টেড নয়, তাই সারাজীবন টাকা জমিয়ে রিটায়ার করার পর, একজন যখন টাকা তুলতে যাবেন, তখন ফান্ড ম্যানেজার যদি বলেন এখন মার্কেট ভালো নয়, দুই বছর অপেক্ষা করুন, তখন তিনি কোথায় যাবেন?

  • shyamal | 24.117.212.59 | ০২ মে ২০০৯ ২২:০৩410757
  • bb ঠিক পড়েননি স্কিমটার বিষয়ে। এখানে টাকা কিভাবে খাটাবেন তার দায়িত্ব যাঁর টাকা সেই কর্মির , ফান্ড ম্যানেজারের নয়। কর্মি চাইলে ফান্ড ম্যানেজার বদলাতে পারেন। কেউ যদি লগ্নী সম্বন্ধে প্রচুর পড়াশোনা করতে না চান ও বেশী ঝুঁকি নিতে না চান তবে ডিফল্ট স্কীমে রাখুন টাকা।
    এতে আপনার চাকরির শুরু থেকে ৩৬ বছর বয়েস অবধি টাকা থাকবে ৫০% স্টক ফান্ডে ( হাই রিটার্ন, হাই রিস্ক), ৩০% মিডিয়াম রিস্ক আর ২০% সরকারি সিকিউরিটিতে ( লো রিটার্ন, লো রিস্ক)।
    ৩৬ এর পরে প্রতি বছর আপনার লগ্নী প্রথম দুটোর থেকে কমিয়ে তৃতীয়টায় ঢোকানো হবে। অর্থাৎ আপনার হাই রিস্ক লগ্নী ক্রমশ: কমে আসবে।
    আপনার বয়েস ৫৫ হয়ে গেলে প্রথম দুটোতে থাকবে ১০% করে আর তৃতীয়টায় , যা কিনা ঝুঁকিবিহীন, তাতে ৮০%।

    এখন আপনি ডিফল্ট স্কিমে রাখবেন না নিজে ঠিক করবেন তা আপনার ডিসিশন।

    লগ্নীকারিদের একটা কথা আছে , you decide if you want to eat well or sleep well.
  • bb | 117.195.174.201 | ০৩ মে ২০০৯ ০৯:৫৬410759
  • শ্যামল , যখন তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে কিছু হদিশ দিতে পারেন না, তখন কি করে আশা করেন সাধারণ কর্মচারী যেমন ট্রেন ড্রাইভার বা চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কি করে নিজে নিজে টাকা কোথায় খাটবে এই বিশয়ে ডিসিশন নেবেন?
    আর Default স্কিম বা যাই হোক রিটার্ন তো আর গ্যারান্টেড নয়, তাহলে বাজারে লগ্নী করার ঝুঁকি কেন সবাইকে নিতে হবে? এই ব্যাপারটা কার নির্দেশে হচ্ছে? সারা পৃথিবীতে যখন শেয়ার বাজারে লগ্নি করা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে তখন সাধারণ মানুষের টাকা শেয়ারে লগ্নি করা কি সঠিক?
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৩ মে ২০০৯ ১০:১২410760
  • প্রথমত: বাজারে লগ্নী করাটা আবশ্যিক নয়। কেউ যদি মনে করেন একেবারে ঝুঁকি নেবেন না, তবে স্টক ফান্ডে এক পয়সাও রাখবেন না। কিন্তু আপনার টাকা, আপনার দায়িত্ব। সরকার আপনার বাবা মা নয়। আপনি ( অর্থাৎ কর্মি) বড় হয়েছেন, নিজের জীবনের দায় নিজে নিতে হবে।
    যদি ঝুঁকি না নেন, গ্যারান্টীড টাকা পাবেন কিন্তু কম পাবেন। ঝুঁকি নিলে অনেক বেশি পেতে পারেন আবার ঝাড়ও খেতে পারেন। আপনার চয়েস। একটা কথা আছে, taking no risk is the biggest risk one can take

    বিশেষজ্ঞরাও যখন বাজারের ভবিষ্যৎ বলতে পারেন না, তখন ট্রেন ড্রাইভার বা চতুর্থ শ্রেনীর কর্মি আর বিশেষজ্ঞের মধ্যে তো ফারাক রইল না। কাজেই ট্রেন ড্রাইভার হলে তিনি খারাপ লগ্নী করবেন আর ফিজিক্সে পি এচ ডি হলে ভাল করবেন, এটা বলা যায়না।

    ডিফল্ট স্কীমটা এজন্যই আকর্ষণীয় যে দেখা গেছে লংটার্মে স্টক সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দেয়। প্রথম জীবনে সেই ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব। আবার বলছি,এগুলো ট্রেন্ড। কোনকিছু ১০০% গ্যারান্টিড নয়। আমরা এভাবেই বেঁচে থাকি। কাল গাড়ি চাপা পড়ে, বা টর্নেডোতে মরে যেতে পারি। তখন কি ভগবানকে কমপ্লেন করব যে আপনি মাইরী জীবনে গ্যারান্টিড রিটার্ন দেন নি?
  • bb | 117.195.175.215 | ০৩ মে ২০০৯ ১৩:৩৪410761
  • শ্যামল এই কথাগুলি বলা খুব সোজা। ম্যানেজমেন্ট স্কূলে পাখি পড়ানোর মত করে পড়ান হয়, আমিও পড়েছি। কিন্তু all this is crap। মানুষ পাঁকে পড়লে কি হয় তার প্রমাণ সারা পৃথিবীজুড়ে চলা এই বেল আউট। ডারউইন তঙ্কেÄর প্রবক্তারা আজ সরকারের আঁচলের তলায় লুকোচ্ছেন কেন?
    নাহলে আজ এই প্রবক্তারা আজ inclusive growth, human growth ইত্যাদি বলে নতুন নতুন তঙ্কেÄর উদ্ভাবন করতেন না।
  • Samik | 122.162.236.167 | ০৩ মে ২০০৯ ২৩:৫৩410762
  • জনতা এইখান থেকে ব্যাপারটা আগে পড়ে ফেলুন। তারপরে তক্কো করা যাবে?

    http://pfrda.org.in/indexmain.asp?linkid=180

    ২০০৪ অনওয়ার্ডস সরকারি কর্মচারিদের গল্পটা শ্যামলদা এখনও ঠিক বলেন নি। আমি কাল লিখব সেটা।

    জিনিসটা মোটেই নতুন কিচু নয়। লোকে আগে নিজে নিজে বা ব্যাঙ্কের এজেন্টের মাধ্যমে ইউনিট লিঙ্কড বিভিন্ন ফান্ডে টাকা জমাত। এখন সরকার সেই দায়িত্ব নিল। আমার টাকা সরকার খাটাবে বিভিন্ন ফান্ডে। সরকার বলেই অনেকে নিশ্চিন্ত হয়ে টাকা লাগাবে, এই আর কি। আর এতে বিভিন্ন ট্রান্সাকশনের লেভিও প্রাইভেট ফিনান্সিয়াল ইনস্টিট্যুশনগুলোর থেকে অনেক অনেক কম। বাকি গল্পটা পুরোটাই এক। সেনসেক্স পড়লে এই টাকাও পড়বে। সরকারের শ্বশুরও কিছু করতে পারবে না।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৪ মে ২০০৯ ০১:৪১410763
  • তা শমীক আমি ভুলটা করলাম কোথায়?

    জিনিষটা নতুন এজন্য যে এখন সব কর্মির হয়তো ৫% মানুষ স্টকে টাকা খাটায় কারণ তারা জানেনা ও ভয় পায়। ফান্ড ম্যানেজার আসায় সেই ভয় কিছুটা কাটবে। আশা করা যায় অনেক লোক এই পেনশন ফান্ড খুলবে।
    সরকারী চাকুরেদের কাছে তো এটা আবশ্যিক কারণ সরকার ১০% ম্যাচ করছে। আশা করা যায় এরপর আমেরিকার মত অনেক বড় বেসরকারী সংস্থাও কিছু % ম্যাচ করবে। সেক্ষেত্রে ফান্ড খোলার ইচ্ছা আরো বেড়ে যাবে।

    আরেকটা কথা যেটা আগেই বলেছি যে এত লোক দীর্ঘমেয়াদী লগ্নী করায় মার্কেট দুম করে ডাবল বা আদ্ধেক হবেনা। দীর্ঘমেয়াদে মার্কেট বেড়ে থাকে বিশেষত: ভারতের বাজার বাড়বে কারণ ভারতের ইকনমির বাড়ার প্রচুর স্কোপ আছে। মার্কেট টাইম করা যায় না। মার্কেট বাড়ে কমে। দেখুন ১৯৯৮ এর পর তো মার্কেট অনেক বেড়েছে , কমেছে। আপনি যদি ১০০০ টাকা সে সময়ে মার্কেটে রাখতেন সেন্সেক্সের কোন ইন্ডেক্স ফান্ডে আজ সেটা হত ৩০০০ টাকা। ১১ বছরে তিনগুণ। অর্থাৎ বছরে ১৮% রিটার্ন। কোথায় আপনি এমন রিটার্ন পাবেন?

    পেনশন ফান্ডে আপনি আরো বেশী রিটার্ন পাবেন কারণ মাসে মাসে টাকা ঢালায় রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং হচ্ছে।
  • Samik | 122.160.41.29 | ০৪ মে ২০০৯ ১৬:০৯410765
  • একটু ভুল এই কারণে:

    ২০০৪ থেকে সরকারি কর্মচারীদের পেনসন বন্ধ হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু এই নতুন পেনসন স্কিম চালু হয় নি। টাকা একটা কাটা হয়ে এসেছে এতদিন, কিন্তু সেই টাকা কোথায় রাখা হবে সেই নিয়ে কোনও ফাইনাল ডিসিশন এখনও নেওয়া হয় নি। এইবার, পয়লা মে থেকে নেওয়া হল, এবং এতদিন ধরে কাটা টাকা সেই ফান্ডে রাখা হবে।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৪ মে ২০০৯ ১৭:০৫410767
  • এটা জানতামনা।
  • Bhuto | 203.91.206.167 | ০৪ মে ২০০৯ ২০:২৭410770
  • আই মীন, টই খোলার জন্য, জানতাম বটে,তবে আরো বেশি জানতে পারবো এখান থেকে।
  • Bhuto | 203.91.206.167 | ০৪ মে ২০০৯ ২০:২৭410769
  • মন্দ নয়, তবে চাগ্রিটা থাকলে দেখব। নইলে এখন এসব ভেবে লাভ নাই, মাথায় খাঁড়া ঝুলছে। যাই দেখে আসিগে,তারপর এখানকার ইনফরমেশনগুলো খুঁটিয়ে পড়ব। ধন্যবাদ শ্যামলদা এটার জন্য :))
  • lcm | 128.48.7.72 | ০৪ মে ২০০৯ ২২:৪৭410771
  • এদিকে 401k ভোগে গেছে, এতদিন ভাবতাম যে যাক তবু দেশের লোকজনের রিটায়ারমেন্ট সেভিংস ঠিক আছে। সেটাও এবার ভোগে যাবার চান্স তৈরী হল। একেবারে গ্লোবাল ভোগিং যাকে বলে!
    নাহ! বুড়ো অবধি বেঁচে থাকতে গেলে মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার এসবে পন্ডিত হতেই হবে, নইলে ফ্যাইন্যান্স মার্কেটের ফড়ে/দালাল... রা সব ঝেড়ে ফাঁক। আর একটা অপশন হল, রিটায়ার করার ঠিক মোক্ষম মুহুর্তে প্লানড্‌ পটল প্লাকিং...
  • dri | 117.194.232.82 | ০৫ মে ২০০৯ ১১:৫৫410772
  • রেটরিকে পরে আসব। কিন্তু ফাস্টে আরেকটু ক্ল্যারিফিকেশান চাই।

    আগেকার পেনশান স্কীম কিন্তু কোন ফিক্সড অ্যামাউন্ট ছিল না। আপনি যদি সত্তর বছর বাঁচেন তাহলে আপনি দশ বছর ধরে পেনশান পেতেন। নব্বই বছর বাঁচলে তিরিশ বছর ধরে পেতেন। কিন্তু এখনকার স্কীমে আপনি রিটায়ারমেন্টের পর একটা থোক টাকা পাবেন। তো শ্যামলবাবু যে বললেন এই স্কীমে আগের স্কীমের সমান বা তার বেশী হবে সেটা কিভাবে? আপনি কি বলতে চান ঐ থোক টাকার মাসে মাসে ইন্টারেস্ট আগের স্কীমের পেনশানের সমান বা তার বেশী হবে? রিয়েলি! এটা সত্যি যদি হয়, তাহলে এই হিসেবে ইন্টারেস্ট রেট কত ধরা হয়েছে?

    শ্যামলবাবু বলতে চেয়েছেন, যদি এই স্কীম আগে থেকেই থাকত, এবং মানুষের পেনশানের টাকা লার্জ স্কেলে স্টক মার্কেটে ঢুকত তাহলে স্টক মার্কেট অনেক স্টেবল হত এবং মাত্র চার বছরে ৫০০০ থেকে ২১০০০ হত না। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। খুব সিম্পল ম্যাথ। এই চার বছরে পেনশানের টাকা ছাড়াই এত টাকা স্টকে ঢুকেছে যে সেটা ২১০০০ হয়েছে। এর ওপরে পেনশানের টাকা ঢুকলে সেটা আরো বেশী বাড়ত। পেনশানের টাকা জোর করে স্টক মার্কেটে ঢোকানোর একটাই উদ্দেশ্য। স্টক মার্কেটকে আর্টিফিশিয়ালি বাড়ানো। কোম্পানীর ভ্যালুয়েশান, পি ই রেশিও এইসবের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে দেখো-বাড়ছে-বাড়ছে-তুমিও-কেনো মানসিকতার হিস্টিরিয়া তৈরী করা।

    ১৯৯৮ থেকে এখনকার হিসেবটা ভারতীয় স্টক মার্কেটের ক্ষেত্রে বুঝলাম। এই একই হিসেব ডাও জোন্সের জন্য করলে দেখা যাবে, টাকা খুব সামান্যই বেড়েছে। আর ন্যাসড্যাকের জন্য করলে দেখা যাবে টাকা একটু কমেছে। তো স্টক মার্কেটে টাকা শুধু বাড়তেই থাকে, এই বক্তব্য মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারদের মুখে মানায়। কিন্তু আম জনতা যখন মিডিয়ার কথা শুনে এই একই কথা রিপিট করতে শুরু করে তখন বিপদের গন্ধ পাই।

    আর নিজের টাকা নিজে ম্যানেজ করবার রেটরিকটা ভালোই। কিন্তু সে তো একজন ইন্ডিভিজুয়াল নিজের টাকা যেখানে খুশি রাখতে পারে। রাখুক না। পেনশানের স্কীমটা নিয়ে এই টানাটানি করার কি দরকার ছিল বুঝলাম না। আরো আশ্চর্য্য ব্যাপার হল লেফ্‌ট পার্টিরা এই নিয়ে কোন হৈচৈ করল না কেন?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৫ মে ২০০৯ ১২:০০410773
  • হৈচৈ অনেক হয়েছে/হচ্ছে। তবে অ্যাজ ইউজুয়াল যাদের কাছে পৌঁছনোর ছিলো সেটা পৌঁছয়নি। বাই দ্য ওয়ে - ঠিক জানি না, তবে এর পর কনট্রিবিউটারি প্রভিডেন্ট ফাণ্ড ব্যাপারটা উঠে যাবে (রাদার তুলে দেওয়া হবে) এরকম একটা কথা শুনেছি।

    ইউকেতে কিন্তু এমপ্লয়ী সুপারঅ্যানুয়েশন স্কীমগুলোতে এমপ্লয়ার কϾট্রবিউশন থাকতো - আমাদের ইউনিতেই ছিলো।
  • Samik | 122.160.41.29 | ০৫ মে ২০০৯ ১৪:০২410774
  • এই পেনসন স্কিমটা ২০০৪ অনওয়ার্ডস সরকারী কর্মচারীদের জন্য যখন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, তখন পরিমাণটা হচ্ছে বেসিক প্লাস ডিএ প্লাস আরেকটা-কী-যেন; তার ১০%। এটা স: ক: দের জন্য বাধ্যতামূলক। এর সাথে সরকারও সমপরিমাণ টাকা ঐ ফান্ডে ঐ এমপ্লয়ির জন্য জমা করবে। মানে আমাদের ইপিএফ-এর ফান্ডা আর কি! ফিফটি ফিফটি কϾট্র।

    আর ২০০৮-এর আগে স:ক:দের জন্য যে জিপিএফ ছিল, মানে, পার্সোনাল কϾট্রবিউটারি General Providend Fund, সেটা ২০০৪ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, স:ক:রা আর জিপিএফে টাকা রাখতে পারবে না। এই পেনসন স্কিমই সব হবে। তাদের জন্য। কিন্তু, তার বদলে, তাদের জন্য একটা Tier II অপশন আছে, সেখানে স:ক:র নামে একটা ফিক্সড ডিপোসিট অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হবে, স:ক: তাতে ইচ্ছেমত টাকা রাখতে পারবে, আর বাজার অনুযায়ী রিটার্ন পাবে (এই ফান্ডাটা আমার একটু গাঁজু লাগল, কারণ এটা তো রেকারিং ডিপোসিট হল, ফিক্সড কোথায় হল?)

    আম আদমির জন্য মিনিমাম ৬০০০, ম্যাক্সিমাম কিছু নাই, আর সরকারেরও কোনও কϾট্রবিউশন নাই, আর Tier II-ও নাই। টায়ার টু এর অ্যাকাউন্ট পরে খোল অযেতে পারে, সে যখন পিএফআরডিএ মনে করবে আম জনতার জন্য টায়ার টু খোলা যেতে পারে, তখন চালু হবে।

    এই পর্যন্ত বুঝেছি। :-)
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৬ মে ২০০৯ ০৪:৩৬410775
  • দ্রি দেখি বোঝাতে পারি কিনা। আপনি যেটা বলেছেন, হঠাৎ করে যদি পেনশন ফান্ডের প্রচুর টাকা মার্কেটে আসে সেটা খারাপ হবে। কিন্তু পেনশন ফান্ড তো একটা অনগোয়িং প্রসেস। প্রতি মাসে কিছু কিছু টাকা মার্কেটে আসছে। তাতে শেয়ারের দাম নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ভোলাটাইলিটি কমবে। কেন বলছি।
    ধরুন মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের মোট ভ্যালু এক লাখ টাকা। এবারে FII রা টাকা ঢালতে শুরু করল আর আরো এক লাখ টাকা ঢালল। কি হল? গড়ে শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হল। স্টকের কোয়ালিটি অনুযায়ী কোন স্টক দশগুণ হল আর কোনটা বাড়লইনা। কিন্তু গড়ে দ্বিগুণ হল। কাজেই দেশের লোকও মার্কেট বাড়ছে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্টক কিনতে লাগল। তারা আরো এক লাখ ঢালল। গড় প্রাইস তিন গুণ হল। তাতে FIIরা আরো এক লাখ ঢালল। গড় স্টক প্রাইস হল চারগুণ। মোটামুটি এরকম ঘটনাই ঘটেছিল যদিও আমার সংখ্যাগুলো কাল্পনিক।
    এবারে ধরুন পেনশন ফান্ডের বিশাল টাকা মাসে মাসে আসতে লাগল। তাতে যেমন স্টকের দাম বাড়বে তেমনি অনেক নতুন কোম্পানি IPO করবে। তাতে দেশে ব্যবসা বড়বে। ধরুন স্টক এক্সচেঞ্জের মোট ভ্যালু হল কুড়ি লাখ টাকা। এবারে যদি FIIরা দুলাখ টাকা ঢালে, মার্কেট বাড়ল মাত্র ১০%। তাতে দেশের লোকের ফ্রেঞ্জি হবেনা ঝাঁপিয়ে পড়ে স্টক কেনার। অর্থাৎ FII দের ক্ষমতা অনেক কমে গেল যদিও তারা তবুও মার্কেট থেকে লাভ করল।
    আপনি বলতে পারেন দ্বিতীয় ক্ষেত্রে FIIরা যদি ৪০ লাখ ঢালে একই ফল হবে। কিন্তু FIIরাও ডাইভার্সিফিকেশন করে। তারা এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখবেনা।
  • shyamal | 24.117.212.59 | ০৬ মে ২০০৯ ০৭:৪৬410776
  • দ্রি প্রশ্ন করেছেন অবসর নেওয়ার পর সারাজীবন মানুষ কি করে মাসে মাসে একটি পরিমাণ টাকা পাবেন। NPS স্কীমে অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মিকে ৪০% টাকা একটি অ্যানুয়িটিতে রাখতে হবে। এটা আগেও বলেছি। অ্যানুয়িটি হল পেনশনের নিকটবর্তি একটা জিনিষ। এই অ্যানুয়িটি কর্মি যতদিন বাঁচবেন, প্রতি মাসে একটি পরিমাণ টাকা কর্মিকে দিতে বাধ্য। তবে পেনশনের মত মুল্যবৃদ্ধির সাথে এর পরিমাণ বাড়বে কিনা বলতে পারব না।
    বাকী ৬০% টাকা কর্মি নিজের ইচ্ছে মত খরচ বা লগ্নী করতে পারবেন।
  • Samik | 122.160.41.29 | ০৬ মে ২০০৯ ১৪:৩০410778
  • যতদিন বাঁচবেন ঠিক নয়। ৭০ বছর বয়েস পর্যন্ত। ৭০ বছর বয়েস হয়ে গেলে পুরো টাকাটাই তুলে নিতে হবে। বাধ্যতামূলক।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন