এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভাঙা প্রেম

    Paramita
    নাটক | ১৩ জুন ২০০৯ | ৩৬৩০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:২০417120
  • টইতে প্রোজেক্ট নামবে কেন? সকলে তো অলরেডি এত বাড় খাওয়ালাম - এইবারে অটোবাড়ে একটু চলুক। পোজেক্ট তার মনে চলুক, যবে শেষ হবে তবে পড়তে পারলেই হলো।
  • Samik | 12.170.106.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৪৯417121
  • আইজকাইলকার বাচ্চাগুনো অটোবাড়ে চলে না।
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৫৪417122
  • ওক্কে, অটোবারে অতিবাড় তবে :-)

    শমীক, ডিলিটেড কপিটা দাও শিগ্গির। ওগুলোই তো আসলে সেই সব অপ্রকাশিত লেখালেখি :-)
  • Samik | 8.4.8.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৪২417123
  • :-) চলছে।
  • jani na | 12.170.106.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:১৩417124
  • তখন সদ্য হরমোন জেগেছে। আনুষঙ্গিক হিসেবে চারপাশে বেড়েছে মেয়ের দল। কিছুদিন আগেও তাদের দিকে আড়চোখেও তাকাই নি। তারা ছিল বালিকা। নেহাৎই। হঠাৎ কখন যে তারা পাল্টে গেল, টের পাই নি। যখন পেলাম, তখন বড় দেরি হয়ে গেছে। ফুলের বনে যারেই দেখি, তারেই লাগে ভালো। আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ফুলপ্যান্ট। তুলসীবাবুর বাড়িতে বাংলা ইংরেজি পড়তাম। সাতটা ছেলের সাথে ছটা মেয়ে। আজন্ম বাংলা বয়েজ স্কুলে পড়ে আসা আমার সেই প্রথম যে মেয়েদের সাথে গা-ঘষাঘষি করে বসা, তা নয়, তবে সপ্তাহে তিনদিনের ফ্রিকোয়েন্সি, সেই প্রথম। সেই প্রথম অনুভব করা, পম্পির হাতে হাত ঠেকে গেলে, কেমন যেন একটা ফিলিং হয় মনের মধ্যে। পৌষালীর ঝুঁটি করে চুল বেঁধে লেডিস সাইকেলে চড়ে আসাটা দেখতে যে আমার কী ভালো লাগত! নিত্যকার হাসি খুনসুটির মধ্যে অল্পস্বল্প আদিরস, পান সফলভাবে ঢুকিয়ে দিতে পারলে বড় আত্মশ্লাঘা অনুভব করতাম। কটাক্ষ শব্দটার সাথে তেমনভাবে পরিচিত না হয়েও কটাক্ষ চিনে গিয়েছিলাম সেই বয়েসেই। চার্চের মাঠে বন্ধুদের সাথে রোজ বিকেলের গ্যাঁজানি থাকলেও মাঝে মাঝেই পম্পি-শর্মিলা-শ্রাবণীদের বাড়িতে বসে ভাটাতে খুব ভালো লাগত।

    প্রভুর হাত ধরে নষ্ট হয়ে যেতে পারতাম। অনায়াসেই। নষ্ট হওয়াটা খুবই সোজা ছিল। কেবল বাঁচিয়ে দিয়েছিল আনা ফ্র্যাঙ্ক। জীবনের দিকে অন্যভাবে তাকাতে শিখেছিলাম। একলা সময়ের সঙ্গী করে নিয়েছিলাম গোপন ডায়েরিকে।

    সে ছিল এদের মধ্যেই। আলাদা করে কখন যে তাকে লক্ষ্য করেছি, মনে নেই, কিন্তু কিছু একটা ছিল তার মধ্যে, যা তাকে আলাদা করে ফেলেছিল আর পাঁচটা মেয়ের থেকে। সম্ভবত অন্য টাইমস্লটে পড়ত। যখন তাকে দেখলাম তখন আমি অলরেডি ক্লাস ইলেভেনে উঠে গেছি। এবং সেই যে দেখতে থাকলাম, চোখ সরাতে পারলাম না। ...
  • d | 117.195.35.30 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:১৯417125
  • তেকেনার লেখাটা নিয়ে আর ২-১ টা কথা বলব কিনা ভাবছি ..................
    :)
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৬417126
  • বলে ফেলুন। তেকোনা ছ'কানে রেডি :-)
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৪১417127
  • শমীক
    আহ্‌হ্‌হ্‌হাআআ.. তারপর?
  • aishik | 122.166.22.73 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৫৪417128
  • এইবারে "জানি না " ( যদিও সব্বাই জানে কে সেটা )লিখছে.......চলুক.......
  • jani na | 12.170.106.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:২৩417130
  • জীবনে ছন্দ কমতে থাকল। চিরকালের মেনিমুখো ছেলে আমি, মনের ব্যথা মনে গুমরে মরল, কাউকে বলে উঠতে পারলাম না। কী সাংঘাতিক সব ঝামেলা তৈরি হয়ে গেল। পড়তে বসে পড়ায় মন বসে না। খালি তার নাম লিখে চলি পেছনের পাতায়, আর রাতে উঠে পড়ার আগে কাটাকুটি করে সব লুকিয়ে দিই কালির আড়াল।

    দুমাস এইভাবে কাটার পরে আমার সাইকেল সঙ্গী ধ্রুবজ্যোতিকে অবশেষে জানাই। সাইকেলে করে আমরা টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম এ পাড়া সে পাড়া। ওখানকার অধিকাংশ মেয়ে যে দুটি গার্লস স্কুলে পড়ত, সেইখানে স্কুল শুরু হবার সময়ে আর ছুটির সময়ে সাইকেল চড়া, সিটি মারতে পারা অনেক ছেল জুলজুলে দৃষ্টি নিয়ে ভিড় জমাত। আমরা ঠিক সেই দিকে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করি নি কোনওদিনই, আমাদের গতিবিধি ছিল মফস্বলের অলিতে গলিতে, গঙ্গার ধারে, এমনিই, জাস্ট এমনিই। তেমনি একদিন, ধ্রুবকে নিজের প্রিয় বন্ধু ভেবে, খুলে বললাম সব কথা।

    বলে কিছু লাভ হল না। কারণ ধ্রুব ছিল অন্য গ্রুপের। ক্লাসে ও আমার থেকে এক বছরের জুনিয়র। তখন খুঁজে বার করলাম অন্য একটা ছেলেকে, প্রবীরই কি নাম ছিল তার? এতদিনে ভুলে গেছি। খুব চুপচাপ রিজার্ভ টাইপের ছেলে, পেছনের দিকের বেঞ্চে বসত, কিছু প্রশ্ন করলে মৃদুস্বরে উত্তর দিত বড়জোর।

    আমিও ছিলাম স্বভাব-ই®¾ট্রাভার্ট, প্রয়োজনের তুলনায় বড় বেশি লাজুক টাইপের। কথা বলে নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা একেবারে ছিল না, যতটা ছিল লিখে প্রকাশ করার ক্ষমতা। ফলে আস্তে আস্তে জমে গেল প্রবীরের সাথে। সে-ও অন্য স্কুল থেকে আসা ব্র্যাঞ্চ স্কুলে, আমিও তাই।

    প্রবীরের কোনও প্রেমিকা ছিল না। কিন্তু হাবভাব ছিল স্বল্পবাক কিশোর প্রেমিকের মতই। কীভাবে যে কথায় কথায় "তার' কথা উঠেছিল মনে নেই, তবে প্রবীর নামটা শোনামাত্র জানালো, সে ওর বন্ধু।

    আহ্‌হা, সে তো বন্ধু আমিও। তুলসীবাবুর ব্যাচে একসাথে পড়ি, কখনো সখনো একই টেস্ট পেপার শেয়ার করে চর্যাপদের উত্তর লিখি বা হাউ দে ব্রট দা গুড নিউজ ফ্রম ঘেইন্ট টু এইক্স, তাই নিয়ে আলোচনা করি। স্যার মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বাজারে গেলে আর পাঁচজনের মত আমরাও এই ঐ তাই নিয়ে আলোচনা করি। তো, বন্ধু নই তো কী?

    -- না, সে বন্ধু নয়। আমরা ছোটবেলায় এক স্কুলে পড়তাম চুঁচড়োতে। ওর বাড়ি যাতায়াত আমার বহুদিনের। তুই চাইলে আমি তোকে একদিন নিয়ে যেতে পারি ওদের বাড়ি।

    আঁতকে উঠলাম আমি। না-না, ওদের বাড়ি যাবো কেন? কী করব ওদের বাড়ি গিয়ে? এই সব অনুভূতি নিয়ে কখনও যাওয়া যায় নাকি ওর বাড়িতে? আমি তো মুখ তুলেই তাকাতে পারব না, আর আমার মুখ দেখেই ও স-অ-ব বুঝে যাবে। যদি কিছু মনে করে? ন্‌নাহ্‌, একেবারেই সম্ভব নয়। তা ছাড়া আমাদের পরিচয় এখনও এত পুরনো হয় নি যে হুট করে কারুর সঙ্গী হয়ে ওদের বড়ি চলে যাওয়া যেতে পারে। সবকিছুর তো একটা সময় টময় থাকে, নাকি?

    প্রবীর হাল্কা হাসল। ঠিক তেমনিই মৃদুস্বরে বলল, সেটা অবশ্য ঠিকই বলেছিস। তা তুই কি চাস? তুই চাইলে আমি ওকে তোর কথা বলে দিতে পারি।

    এইখানে আমার পৌরুষ জেগে উঠল। না, আমার কথা, তুই বলতে যাবি কেন? আমিই বলব, যখন সময় হবে, আমিই বলব।

    আমি তাকে ভালোবেসেছিলাম (এটা ঐ বয়েসের চিন্তা, এখন বুঝি ওটা ভালোবাসা ছিল না), কিন্তু আমি তো জানতাম না, সে-ও আমাকে পছন্দ করে কিনা, আমাকে চায় কিনা! সমস্ত কিছুর উর্দ্ধে আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড, বন্ধু। আমার কোনও কথায় যদি ও কিছু মনে করে, যদি আর কোনওদিন আমার সঙ্গে কথা না বলে, যদি আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে আমি নিজের কাছে নিজেই দোষী হব।

    তার চেয়ে সময় নিই। আরও কিছুদিন মিশি। পালিয়ে তো আর যাচ্ছে না কেউ। এই যে সপ্তাহে তিনদিন করে দেখা হয়, এর মাধুর্যই বা কম কীসের?

    দিন গেল। ডায়েরির পাতায় পাতায় তার নাম ভরে উঠতে লাগল। আমার নিজের একটা ঘর ছিল, নিজের একটা অ্যাটাচি কেস ছিল। মানে বাবার বাতিল করা অ্যাটাচি কেস। তাতে লুকিয়ে রাখতাম সেই ডায়েরি। এবিটিএর টেস্টপেপারের মার্জিনে তার মুখ ফুটে উঠতে লাগল, দূরত্ব বাড়তে লাগল পড়াশোনার সঙ্গে।

    মনের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। পিটুইটারি কোত্থেকে যেন জোগাড় করে এনে দিত রতিক্রিয়ারত পুরুষ-নারীর রঙীন ছবি-ওলা বই, ক্লাসে ফেল করা মানব-বা অয়নের হাত দিয়ে। স্বপ্নে অবাধে ঢুকে পড়ত মুখহীন কিছু নারীশরীর, তাদের শরীরে সুতোটুকুও নেই, কেবল তাদের মুখ দেখতে পেতাম না কখনও স্বপ্নে। ঘুম ভেঙে যেত অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে, সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ত পাপবোধ। কৈশোরের টানাপোড়েন।

    হাফ ইয়ার্লির পরীক্ষাটা ধাক্কা দিল বড়। ছোটোবেলা থেকে আমি ক্লাসে স্ট্যান্ড করা ছেলে, সেই আমি, ইলেভেনে ফেল করলাম সায়েন্সের তিনটে মেন সাবজেক্টেই। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়ো। আর অঙ্কতেও।

    আমি একা ছিলাম না। ইলেভেনে ফেল করাটা কোনও বড় ব্যাপারও ছিল না। ক্লাসের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই আমার মত, কেউ দুটো, কেউ চারটে সাবজেক্টে ফেল। হেডু এসে লম্বা চওড়া বক্তৃতা দিয়ে গেল। মনের মধ্যে খুব ধিক্কার এল। এ কী করছি আমি?

    মনে প্রচন্ড জোর এনে দত্ত-পাল-চৌধুরি-সৌরেন দে-দাস মুখার্জি আর রণজিৎ দাসের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলতে চাইলাম নিজেকে। কিন্তু ফল হল না কিছুই। পড়ায় ফেরাতে পারলাম না নিজেকে। একটু একটু করে সরে যেতে থাকলাম খাদের কিনারায়।
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৩২417131
  • প্রতিবাদ। কবি কি এই কথা বলতে চাইছেন যে ক্লাসে ফেল করা ছেলেরা ওনাকে কিসব বই এনে দিত এবং তাতে ওনার হাত অদৃশ্য ছিল? কবিকে অনৃতভাষণজনিত কারণে ধিক্কার। দলে দলে যোগ দিন।
  • jani na | 12.170.106.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৬417132
  • কবি তো সর্বদাই পরিস্থিতির শিকার! জালিম দুনিয়া এবং ততোধিক জালিম টেস্টোস্টেরন তাঁকে দিয়ে নেওয়া করিয়েছিল সেই সব বই, স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে সেই হরমোনই তাঁকে টেবিল টেনিস বোর্ড থেকে দূরে সরিয়ে খালপাড়ের গাছতলায় নিয়ে যেত, যেখানে পাতা ওল্টানো হত সেই সব রঙীন বইয়ের। সাক্ষী থাকত খালের নোংরা জল, আর তার পেছনে চার্চের উঁচু চূড়ো।

    কবি কী-ই বা করতে পারেন এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে?
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৪২417133
  • কবি ঠিক তাই করছেন যা তিনি করতে পারতেন। আমরাও পড়ে চলি তার সব করে ফেলা আর না করতে পারা কাব্য...
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৪417134
  • এখন পড়বো, পরে ভাববো
  • nidhiram | 219.64.155.159 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৯417135
  • daarun
  • jani na | 12.170.106.12 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৩417136
  • কেমিস্ট্রির ব্যাচটা ছিল আবার আলাদা। সেখানে আমি হংসমধ্যে বক যথা। অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে ছিল সুদেষ্ণা, ছিল অক্সিলিয়ামের সেকেন্ড গার্ল যাজ্ঞসেনী, সুজাতা, মৌমিতা, অদ্রিজা, স্বর্ণালী, পৌষালী, চন্দনা। অক্সিলিয়ামে ছিল ক্লাস টেন পর্যন্ত, তাই সেখানকার মেয়েরা ইলেভেনে ভর্তি হয়েছিল হুগলি মহসিন কলেজে, আর বিনোদিনীর মেয়েরা বিনোদিনীতেই কন্টিনিউ করত।

    কবিতা না লিখিলে বাঙালির বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হয় না। এই আপ্তবাক্য মথায় রেখে আমিও টুকটাক লেখালিখির চেষ্টা করতাম। পোচোন্ডো লাজুক স্বভাবের হওয়া সত্বেও কীভাবে যেন আমার এই কাব্যপ্রতিভা ছড়িয়ে পড়ল কিশোরীমহলে। কেমিস্ট্রির ব্যাচে। তুলসীবাবুর বাংলা ইংরেজির ব্যাচে অবশ্য কেউ কখনও জানতে পারে নি।

    অদ্রিজা একদিন চেয়ে নিয়ে গেল আমার কাব্যির খাতা। এক সপ্তাহ বাদে ফেরৎ এল। আরও কে কে যেন নিয়েছিল। লাস্টে নিয়েছিল স্বর্ণালী বলে একটা মেয়ে। তিনদিন বাদে সেই খাতা আমাকে ফেরৎ দেবার সময়ে তার স্বভাবসিদ্ধ "খি-খি' মার্কা হাসিটাকে যথাসম্ভব মোলায়েম করে হেসে জানালো, বাড়ি গিয়ে খাতাটা খুলে দেখিস।

    আমি তো তখনই খুলে দেখি আর কী! সাথে সাথে ছোঁ মেরে আমার হাত থেকে আবার তুলে নিল খাতাটা, একদম এখানে নয়। বলেছি না বাড়ি গিয়ে? অবশেষে কৌতূহল বুকে চেপে খাতাটা ব্যাগে ঢুকিয়েই রাখলাম।

    কিন্তু এ-সব কেন বলছি এখন? আমার তো তখন মন জুড়ে কেবলই সে, সে এবং সে। রসায়নে রস নেই, সমস্ত রস বাংলা আর ইংরেজিতে।

    সেখানে আরেকটা মেয়ে পড়তে আসত। শ্যামলা রঙের, একটু মঙ্গোলয়েড ধাঁচের মিষ্টি মুখখানা। নীলাঞ্জনা। মুখ থেকে কখনও হাসি নিভত না তার, যে-কাউকে বন্ধু করে নেবার ক্ষমতা ছিল তার অসাধারণ।

    ডেল্‌ পরিমাণ আঁকাআঁকির শখ ছিল আমার। পেনসিল স্কেচ। ফিগার স্কেচিং। মূলত সেই আঁকার সূত্র ধরেই নীলুর সাথে আমার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে যায়। নীলু খুব ভালো আঁকে বলে দাবি করেছিল ওর বন্ধুরা; শর্মিলা, মহুয়া-কটকটি, এরা। একদিন বায়না ধরলাম, তোর আঁকা দেখব। নীলু বলল, চল আমার বাড়ি।

    সেই যাওয়া শুরু।
  • omnath | 117.194.198.68 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:০৮417137
  • হুম্‌ম্‌ম, আমি কটা মেয়ে বন্ধুর বাড়ি গেছি জীবনে? হাফ... দেড় .... আড়াই ... সড়ে তিন ... সাড়ে চার। ব্যস।

    বটে, ঐজন্যেই এখনো বিয়ে হলনা।

    ইয়ে হাফ মানে বন্ধ গেটের বাইরের বারান্দা। ইত্যাদি।
  • debu | 170.213.132.253 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৪৩417138
  • শমিক এতো মনে হোচ্ছে আমার জীবনি লিখ্‌ছ
    চালিয়ে যাও বস
  • ani | 148.87.1.172 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৩৭417139
  • "হাফ মানে বন্ধ গেটের বাইরের বারান্দা" --- যথার্থ্য বলেছ দাদা
  • aishik | 122.166.22.73 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৯417141
  • খুউউউউউউউউউউব ভালো, আমার ও স্কুলের কথা মনে পোড়ে যাছে।
  • arindam | 202.56.207.56 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:২২417142
  • শমীক
    ভেবোনা সৌরভের জন্য ডোনাতো আছেই। না পেলে চারাপোনা। নামাবো।মাঝবয়েসের প্রেমের কাহিনি চলবে?

  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩০417143
  • ওমনাথ রে আমি তো মোটে এক - ওই একজনই। কিন্তু হলো তো;-) আপসোস করিস নে, ওই সাড়ে তিনজনের মধ্যে একটায় জিরো ডাউন কর।
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:০৭417144
  • পরের এপিসোড এখোনো আসেনি??
  • aishik | 122.166.22.73 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৮417145
  • আমার কিন্তু মনে হচ্ছে পরের কিস্তি খুব তাড়াতাড়ি ই আসতে চলেছে।
  • jani na | 8.4.8.12 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৫৫417146
  • না রে। বেজায় চাপে আছি আবার। সন্ধ্যের পরে দেখব।
  • dd | 122.167.45.75 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪২417147
  • স্যার তেকোনা
    আমার সুচিন্তিত মতামত একটা,দেই?

    গল্পটা খুব স্মার্টলি রওনা হয়ে, যেনো উড়ছিলো , তাপ্পর লাস্ট দুটো এপিসোডে ক্যামন একটা ঝিমুনি এসে গেলো আর তখনই ঝুপ করে জলে পরে শেষ হয়ে গ্যালো। মানে, প্রথমটায় মনে হলো আপনের বেদম ল্যাখা পাচ্ছে তাই ভস ভসিয়ে লেখাটা বেরোচ্চিলো একদম ন্যাচারালি। তারপর বোধয় এট্টু সেল্ফ কনসাস হয়ে গ্যালেন । তাই ?

    আমি বলি কি শেষ হয়েছে একেবারে নিঁখুত যায়গায়। যদি ভবিষ্যতে বড় করে ল্যাখেন তো এখানেই শেষ করবেন- এইটা আমার অযাচিত ফীডব্যাক।
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:১৬417148
  • :-) ডিডিদা, একদম ঠিক। আমার নিজেরও লিখতে লিখতে মনে হল এখানেই শেষ হওয়া জরুরী :-)
    মনে রাখব অবশ্যই কারণ এটা নিয়ে আমি এর পরেও আরো কিছু এগোবো এবং এটা তখন আর 'গল্প' থাকবে না। সেখানেও বিভাস এখানেই শেষ হবে, হয়তো বা আরো একটু শার্প হবে। আসলে গল্পটাতে যত চরিত্র আছে ততগুলো শেডস আসার কথা। সেটা শেষের দিকে আর আনতে ইচ্ছা করল না। শুধু আমি আর বিভাসেই থিতু হলাম। এটা তো আসলেই ভাঙা প্রেমের থ্রেড। শুধু ভাঙাতেই আটকালাম তাই।
    আরো লিখব হয়ত। যদি লিখি, প্রতিবারই এই মন্তব্যগুলো অপেক্ষায় থাকব। এই জন্যেই বলেছিলাম নেটে লেখালেখি আমাদের মত এলোমেলোদের জন্য খুব পুষ্টিকর :-)
    থাংকু বল্লে কম বলা হবে, তবু, আর কি বা বলি
    থাংকুউউউউউউউউউউ
  • Samik | 8.4.8.12 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৫৭417149
  • না। নীলাঞ্জনা আমার এই গল্পের সে¾ট্রাল বা সাইড কোনও ক্যারেক্টারই নয়। আসলে সেই ভাঙা প্রেমের গল্প লিখতে বসে এত সব বন্ধুরা ভিড় করে আসে স্মৃতিতে ... কাউকেই বাদ দিতে মন চায় না।

    নীলু খুব গুণের মেয়ে। ওর হাতের আঁকা যেন কথা বলত। সে-যে কী অসাধারণ আঁকত, বোঝানো যাবে একটা ঘটনায়: একবার ইংরেজি নিউ ইয়ারে ও আমাকে একটা কার্ড দিয়েছিল। সাদামাটা কার্ড, লম্বাটে, পাতলা সাদা আর্ট পেপারে। ওপরে একটা নৃত্যরত মজাদার খরগোশের ছবি। আমি সেন্ট পার্সেন্ট নিশ্চিত ছিলাম ওটা দোকান থেকে কেনা কার্ড। বাবা কার্ডটা হাতে নিয়ে অন্তত পনেরো মিনিট খরগোশটাকে পর্যবেক্ষণ করে জানালো, ওটা হাতে আঁকা। একেবারে বোঝার উপায় নেই, খরগোশের দেহের প্রতিটা লোম এত যত্ন নিয়ে আঁকা! কেবল চোখের ভেতর হাল্কা সবুজ রং এক জায়গায় একটু বেশি কম গাঢ় হয়ে গেছিল। সেইটা দেখে বোঝা গেছিল।

    নীলুর বাড়ি যাওয়া আসা আডা মারা বেড়ে গেল। বেড়ে যাবার আরেকটা বড় কারণ, নীলু ছিল ইস্কুলে "তার' কাছের বন্ধু। একই বেঞ্চে বসত। ততদিনে মানসিক দ্বন্দ্ব বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। কেবল সেই নচিকেতা কেস। অঙ্কের খাতা ভরা থাকত আঁকায়, তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়। পড়শোন সম্পূর্ণ গোল্লায়। পড়তে যেতাম, নোট নিতাম, কিন্তু স্পেশাল আকর্ষণ ছিল তুলসীবাবুর বাড়ি বাংলা ইংরেজির ব্যাচ। সোম বুধ শুক্র সকাল সাতটা। অনেক চিন্তা ভাবনা করে তাকে মনের কথাটা বলে ফেলাই ঠিক করেছিলাম। কিন্তু বুকে তেমন সাহস সঞ্চিত হচ্ছিল না। যদি খারাপ মনে করে? যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়? তার থেকে বাজে ব্যাপার আর কিছু হবে না।

    ততদিনে নীলুর কাছ থেকে জেনে নিয়েছিলাম যে ওর আর কারুর সাথে প্রেম ট্রেম নেই। মানে, "খালি আছে'। মুখচোরা আমি মনের ভেতর আরও উৎসাহ পেয়ে গেলাম।

    সিনেমা দেখতাম না তেমন। ফলে কী কী উপায়ে একজন মেয়েকে প্রোপোজ করা যেতে পারে, সে সম্বন্ধে সম্যক ধারণা ছিল না। মফস্‌সলের ছেলে হিসেবে যথেষ্ট ক্যাবলাও ছিলাম। অতএব ধর তক্তা মার পেরেক স্টাইলে ঠিক কী ভাবে আমি তোকে ভালোবাসি বা আই লাভ ইউ বললে ব্যাপারটা আনস্মার্ট লাগবে না, তার জন্য সেরা উপায় বেছে নিলাম আয়নাকে।

    কয়েক মাস গেল। প্র্যাকটিসে কোনও ইমপ্রুভমেন্ট ঘটল না। কাছের বন্ধুরা যারা জানত, রোজই আমাকে খুঁচিয়ে যায়, কী রে, কবে বলবি? কবে বলবি? আর আমি ফ্যাকাশে হাসতাম। বলবর মত বুকের পাটা আমার ছিল না। সেটা আমার থেকে বেশি কে-ই বা জানে? ... বন্ধুদের উৎসাহ বেশি, পারলে ওরাই আমার হয়ে বলে দেয় আর কী! কত ভাবে যে তাদের নিরস্ত করতে হয়েছে!

    ইত্যাকার সামাজিক এবং মানসিক চাপে আমি জর্জরিত হলাম। পেছন থেকে মদনদেবও নিয়মিত কাঠি করে গেলেন। তুলসীবাবুর ঘরটায় বসে আমি লক্ষ্য করতাম কখন ও এদিকে তাকাচ্ছে না। অন্যদিকে তাকালেই আমি নির্নিমেষে চেয়ে থাকতাম ওর দিকে, আর এদিকে মুখ ফেরালেই আমি চোখ সরিয়ে নিতাম।

    জানুয়ারি মাস। ক্লাস ইলেভেনের শেষের দিক। একদিন ঘুম থেকে উঠে মনে হল, এমন দিনে তারে বলা যায়। অনেক প্র্যাকটিস হয়েছে। এবার নয় তো নেভার ইত্যাদি।

    শীতের সকাল। চেনা চেনা চায়ের দোকান পেরিয়ে স্যারের বাড়ি। চেনা দেওয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা সেই হিরোরেঞ্জার সাইকেল, ততদিনে একটু পুরনো হয়ে এসেছে। কেউ এসে পৌঁছেছে, কেউ আসছে। সে-ও এল। অ্যাজ ইউজুয়াল।

    কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছিল। ওপরে ঘিয়ে কালারের সোয়েটার।

    পড়া হল নির্বিঘ্নে। মাথায় বা কানে ঢুকল না কিছুই। কেবলই অ্যামপ্লিফায়েড হয়ে বেজে যাচ্ছে নিজের হার্টবীট। জীবনের প্রথম নার্ভাসনেস, যা কারুর সাথে শেয়ার করা যায় না।

    সাড়ে নটায় ছুটি। নিজের উত্তেজনা, মুখচোরানেস্‌ যথাসম্ভব নর্মালাইজ করে, সবার মাঝেই, খুব নিরীহ মুখে বললাম, দু মিনিট বাইরে দাঁড়াবি? একটা দরকার ছিল।
  • aishik | 122.166.22.73 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:১৭417150
  • এই রকম জায়গায় এসে ব্রেক!!!!!!!!!!! তাড়াতাড়ি শেষ কর।
  • tkn | 122.173.178.222 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৪০417152
  • বোঝো! ইনিও দেখি আমার মত "টেলিসিরিয়াল স্ক্রীপ্ট রাইটার' :-))

    বেশি ওয়েট করিও না। পিস্তল আমার হাতেও আছে :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন