এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভাঙা প্রেম

    Paramita
    নাটক | ১৩ জুন ২০০৯ | ৩৬২৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • teman keu na | 122.163.79.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:০২416953
  • এবং, কবিতাটা খুব ভালো লেগেছে :-)
  • a x | 143.111.22.23 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০০416954
  • আচ্ছা ভাঙ্গা প্রেম আর গোটা প্রেমের মধ্যে তফাৎ কি? মানে যে প্রেমে কাছে আসতে আসতে এই এলো বলে বলেও আসেনা, সেটা ভাঙ্গা? ঐ চারুলতার শেষ সিনের ফ্রিজ শট কিম্বা মিকেলেঞ্জেলোর "সৃষ্টি"র মত হাত দুটো এই ন্যানো মিটার দূরত্বে থেমে যাওয়া? আর হাত মেলালে গোটা?
  • h | 61.95.144.10 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:৩৩416955
  • বৈজ্ঞাণিক একটা ন্যাচারাল ল চাইছে ;-) আরে ওরকম হয় না, প্রেমে পড়াটাই আসল কথা, ভাঙা জোড়াটা কোন ফ্যাক্টর না।
  • arindam | 59.93.240.82 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:১২416956
  • অরে বাবা প্রেমের গতিপথ আর নদীর গতিপথ একইরকম, এক পাড় ভাঙে তো অন্য পাড় গড়ে.....প্রথম প্রেমের ভুল-ত্রুটি ঠিক করে দ্বিতীয়, আর দ্বিতীয়্‌টাকে ঠিক করে তৃতীয় আর শেষ পর্যন্ত- ছেঁড়া গেল বলে বসে থাকা। বসে বসে অন্যের প্রেম দেখা.....
  • h | 203.99.212.224 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:০৭416957
  • ঠিক। যখন তুমি বাঁধছিলে 'পাড়' সে যে বিষম ব্যাথা - ইত্যাদি। আমার সমস্ত বান্ধবী -ই আমাকে প্যাটিস দেওয়ার পরেই এই সব নানা কথা বলে ফিলোসোফাইজ করেছে ;-)
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:১৪416958
  • তেকোনা র লেখা গুলো নিয়ে কোনো কথা হবে না। এক লাফে সেই ১১-১২ র দিন এ পৌছে যওআ যায়। খুউউউউউউউউউব ভালো।খুব সুন্দর। আর খুউউব মিস্টি।
  • Samik | 122.162.236.36 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০৭416959
  • ঐশিক আর বাংলা লিখতে শিখল না।
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:০১416960
  • মাত্র ১ত টাইপো হয়েছে, তা বোলে এইভাবে যাতা বোলবে?
  • pi | 72.83.80.253 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:০৬416961
  • কিন্তু তেকোনাদিদির প্রেম তো চারকোনার মধ্যেও আর ধরছে না। আপাতত পেন্টাগন।
    ও:, তার মানে কি গুণে গুণে আর ন' দিন বাদেই পেন্টাগন প্রেম কে ভগ্ন করার জন্য সেই অ্যাটাক নামতে চলেছে ? :)
  • pi | 72.83.80.253 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:০৯416964
  • তবে মাঝেসাঝে এসব আটভাট ফুট কাটানিতে কান দেবেননি যেনো তেকোনাদিদি। আপনি জোরকদমে মাউস চালিয়ে যান। :)
  • t k n | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:০৯416963
  • আমি তেকোনা মানেই প্রেম তেকোনা হবে এমন কোনো কতা ছিল না তো ও ও!!!!
    :-((((
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:২৬416965
  • কি হল? আজ আর একটা এপিসোড হবে না? পড়ে টড়ে শান্তিতে ঘুনু কত্তে যেতাম।
  • teman keu na | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৮416966
  • বড়দের গ্রুপে গাওয়ার কথা নয় আমার, কিন্তু পিসিমণি জোর করল বসন্ত গাওয়ার জন্য। মোমদি নাচবে ঐ কম্পোজিশনটায়। সিনিয়রদের গ্রুপে গাইতে আমি বেশ ভয় পাই কিন্তু মোমদির জন্য সব করতে পারি। মোমদি আমার আইডল। নাচে খুব সুন্দর সত্যিই কিন্তু যখন নাচেনা তখনও ভালো। দারুন মজার মজার কথা বলে আর দুটো এমন জিনিস পারে যা আমি পারি না। এক, মুখে আঙুল ঢুকিয়ে সিটি দিতে, দুই, মাইরি বলতে। সিনিয়র গ্রুপের ঐ একটাই দিদি ছিল যে আমাদের একটুও হ্যাকথু করত না। বাকিরা সব এমন করে তাকাতো :-(। আমরা মোমদিকে পেলেই 'মোমদিই, সিটি দাও একটা' বলে ঘিরে ধরতাম। মুগ্‌ধতার চুড়ান্ত ছিল আমার মোমদিকে ঘিরে। সেই মোমদির নাচে আমি গাইব ভেবেই এক কথায় রাজী।
    রিহার্সালে গিয়ে দেখি পিসিমণি নেই। মোমদি রুটির মধ্যে কি একটা তরকারী মুড়ে ভেজ রোল বানিয়ে খাচ্ছে। আমাকে দেখেই হাত বাড়াল "নে এক কামড়'
    'নাহ। তুমি খাও। আমি খেয়ে এলাম' (আসলে আমি একদম এঁটো খেতে পারি না)
    'আরে খা। দেখ পিসিমণি পটলের তরকারী করেছিল। রুটির মধ্যে দিয়ে ওপরে পেঁয়াজকুচিটুচি দিয়ে কেমন রোল বানিয়েছি দ্যাখ খেয়ে'
    'এ: পেঁয়াজ দিয়েছ? বিচ্ছিরি গন্ধ বেরোবে মুখে এবার'
    'তাতে কি? তুই গাইবি আমি নাচ প্র্যাকটিস করব। তোকে চুমু খেতে তো যাচ্ছি না যে তোর গন্ধ লাগবে"
    জোরে হেসে ফেললাম আমি "আমাকে চুমু খাবেই বা কেন? আর তুমি খেলেও আমিই বা কেন খাবো?"
    'খেয়েছিস চুমু কখোনো? মানে রিয়েল চুমু? খেয়েছিস?"
    "যা:, চুমু খাবো কি???" আমি আকাশ থেকে পড়লাম (তখোনো টিভিতে বোর্ণভিটার পরে ওয়াশিং পাউডার নিরমা বা কোলগেট কা ছোটা প্যাকেট ইত্যাদি আসতে ঠিকঠাক। এখন অবশ্য বোর্ণভিটা আর আই পিল পরপর আসে। মা এবং খুকি দুজনেই যাতে পছন্দমতো খেতে পারে)
    "খাসনি? প্রেম করিস?' (যেন উল বুনিস? এমন ভাবে জিগালো)
    হাসলাম। কি বলব? করি? জানিনা ঠিক। এই কনফিউশনে মোমদি পার লাগাতে পারে। ভাবলাম বলি মৌদিকে সব। কিন্তু বাইরে দরজা থেকে পিসিমণির গলা পাচ্ছি।
    "পরে বলব, এখুনি পিসিমণি এসে যাবে'
    'হুম্‌ম্‌ম, যাগ্গে। প্রেম কর বা না কর চুমুটা খাস। ভালো খেতে' রুটি, পটলের তরকারী আর কাঁচা পেঁয়াজ ভর্তি মুখে সাজেশন দিয়ে দিল মোমদি।
    আরো একটু বিশদে যাওয়ার আগেই পিসিমণি বকুনি দিতে দিতে ঢুকল। আমরাও লক্ষ্মী মেয়েদুটি হয়ে নাচে গানে মনোনিবেশ করলাম তখুনি। পিয়া সঙ্গ খেলুঁ হোরি... গাইছি আমি, মোমদি নাচছে, ঘামছে, সোমে ফিরছে প্রতিবার ভুল সময়ে। পিসিমণি খুব রাগ রাগ মুখ করে বকে দিল "কোথায় মন রে তোর!"
    আমি ফিকহাসি দিলাম। চুমু খায় যে মেয়ে তাকে কি আর বকা যায় এরকম? বকে কিস্যু হবে না :-)
    বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। আজ খুব ক্লান্ত সত্যিই। ফিরে পড়তে যেতে হবে ভাবতেই কান্না পাচ্ছে। তাও অত্তটা হাঁটা। মাকে বলে একটা সাইকেল ম্যানেজ করতে পারলে হয়। বেশ আমি আর বিভাস পাশাপাশি সাইকেল চালাতে চালাতে ..... মনে করে কেমন উদাস হয়ে গেলাম। হিরো আর লেডিবার্ড পাশাপাশি চলেছে প্রেমের পথে, আহা......
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৫৭416967
  • ওফ্‌ফ্‌ফ্‌ফ্‌ফ্‌ফ
    আমার ও তো সাধ ছিলো,আশা ছিলো মনে,
    সাইকেল চালিয়ে প্রেম করবো দুজনে।

    সে আর হোলো না :-((

  • pinaki | 131.151.102.250 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:১০416968
  • এত ছোট এপিসোড? :-x

    পোতিবাদ।
  • Samik | 219.64.11.35 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:০০416969
  • সাইকেল বলাতে মনে পড়ল। আবার একটা কবিতা। জয় গোঁসাই। কিন্তু এখন বলব না।
  • tkn | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:১২416970
  • না বললে লিখব না
  • T | 203.101.108.91 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:১৮416971
  • কি জ্বালা রে বাবা...... ও হে শমীক, ন্যাড়ার মতো না করে, কবিতা-টা বরং লিখেই দাও, দশের স্বার্থে :)
  • Samik | 219.64.11.35 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৯416972
  • এই ছেমড়িডা ...

    শোনো, কবিতা টুকে রাখি এমন খাতা আছে। সেটা বাড়িতে। রাতের আগে টুকতে পারব না। এখন বরং অন্য একটা সাইকেলের গান শোনাই।

    ক্লাস ইলেভেন। একটা বহু পুরনো স্টেটমেন্ট, এপাড়ার পুরনো লোকজন অনেকবার শুনেছে, তাও তোমার জন্যে আরেকবার বলা, আমি কেমিস্ট্রি কোচিং পড়তাম একজনের কাছে। টোটাল বারোজন। তারমধ্যে এগারোজনই মেয়ে। আমি ছিলাম হাঁসের দলে বক।

    সুদেষ্ণা বলে মেয়েটা ছিল মারকাটারি সুন্দরী। ঐশ্বর্য রাইয়ের মত গায়ের রং, চোখের মণিটা আমার আর ঐশ্বর্য রাইয়ের মাঝামাঝি কোনও একটা কালার, এত ফর্সা যে কপালের ওপর এসে পড়া চুলের গুছিগুলো ছিল সোনালি রংয়ের। ন্যাচারাল বিউটি। ঝারি মারতাম অবশ্যই, কিন্তু মেয়েটি ছিল এনগেজ্‌ড। সুন্দরী মেয়েরা কোনও যুগেই আমাদের জন্য খালি পড়ে থাকে না। তার আশিক ছিল বাপি নামে একটা ভুলভাল টাইপের ছেলে। তার জন্য সুদেষ্ণা পাগল ছিল। প্রায়ই আমাদের কাছে বাপির গল্প শোনাত।

    আমি ছিলাম ব্যান্ডেল বালির মোড় এলাকার উঠতি কাপ্তান। পৈতেয় একটা নীল রংয়ের হিরো রেঞ্জার সাইকেল পেয়েছিলাম, তার সোজা হ্যান্ডেল, স্কুটার / মোটরসাইকেলের মত। সেইটা নিয়ে টইটই করে বেড়াতাম, স্যারের বাড়ি "কেমিস্ট্রি' পড়তেও যেতাম। তখন ব্যান্ডেলে খুব বেশি ছেলের কাছে হিরো রেঞ্জার ছিল না।

    সেই সুদেষ্ণা, বাপি, আর আমার সাইকেলকে নিয়ে একটা প্যারডি লিখেছিলাম। ১৯৪২ আ লাভ স্টোরির কুছ না কহো-র সুরে। সুদেষ্ণা শুনে খুব খুশি হয়েছিল :-)

    বাপি এবং সুদেষ্ণা
    প্রেম করে তারাবাবা তো জানে না
    আমি কিন্তু জানি তোমরাও জানো
    বাপিকে এত পছন্দ কেন
    প্রেমিকাকে পেতে বহু খুঁজেপেতে
    আসে বালির মোড়ে স্কুটার চড়ে।

    যেন পাহাড়ী নদী
    হোয়াইট ওয়াশ করা বডি
    চেহ্‌রা হাসিনা
    মোটেই পেঁচি না
    এমন বউ আমি পেতাম যদি
    সেই দুরাশাতে জেগে থাকি রাতে
    ঘুরি বালির মোড়ে হিরো রেঞ্জার চড়ে।

    সেন্ট জন্‌স, এবং কনভেন্ট
    আই লাভ ইউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট
    দুই ভাষা মাধ্যম
    ঘটালো বন্ধন
    বাপি, সুদেষ্ণার জয়েন্ট

    তাই দেখে আমি এইখানে থামি
    যাবো না বালির মোড়ে ভাঙা সাইকেল চড়ে।

    এই গানে যে প্যাথোস ছিল, যে কাব্যপ্রতিভা ছিল, তা কেউ অস্বীকার করতে পারে নি, সুদেষ্ণাও নয়। তাও আমার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে নি। এটাকে কি ভাঙা প্রেম বলা যায়?
  • teman keu na | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৪৬416975
  • এই ছেলেটা...
    আমারো একটা কবিতার খাতা আছে যাতে আমি টুকি। তাতে এই গানটা টুকছি। আর সুরটা না বলে দিলেও "কুছ না কহো ও ও'র সুরে গাইছি।

    হুঁ এটাকে প্রেম বলা যায়। আমি তো আগেই বলেছি - ভাঙা প্রেম আবার কি? প্রেমের ভাঙা টুকরো হয়। প্রেম একটি কেক ইত্যাদি :-)

    হায়, এই প্রথম আমি "মারকাটারী সুন্দরী" না হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ কল্লুম :-)। তবে তুমি যে বলেছিলে কখোনো চিঠি লেখোনি তাই পাওনি, তাহলে কি ধরে নেব এমন বহু গান লিখেছ ও পেয়েছ?? সে গানগুলো (তোমার লেখাগুলো) পাওয়া যাবে?

    আর হ্যাঁ, কবিতাটা রাতে বাড়ি ফিরে রি-টুকে দিলেই .... :-)

    এই প্রেমের গল্পটাও বেশ বেশ ভালো, চোখ মুছলাম ....
  • Samik | 219.64.11.35 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:০০416976
  • ইয়ে, আমি ছেলে তেমন সুবিধের নই। ঐ এগারোজনের একজন ছিল সুদেষ্ণা। বাকি দশজনের মধ্যে একজন আমার বর্তমান স্ত্রী। রসায়নের ক্লাসেই রসালাপ হয় কিনা!

    কবিতা আজ রাতে রি-টুকে দেব। তুমি লেখো। তারপরে না-হয় আমি চেষ্টা করব তোমার মত করে কিছু লিখতে। :-)

    আর আমার চিঠির কিস্‌সা এখানে সব্বাই জানে। রঙ্গন, অজ্জিত, দময়ন্তী, এই সব বুড়োবুড়িদের জিজ্ঞেস করে দ্যাখো! আমি আবার সে গল্প পাড়লেই সব খ্যাঁক্‌খ্যাঁক করে তেড়ে আসবে।
  • tkn | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:০৭416977
  • "বর্তমান স্ত্রী?"
    (এখানে হাইলাইট করা যায় না ) :-(
    :-)

    শোলের রিমেক হয়ে গেল কেউ কিছু বলল না আর .... য্যা:

    সবশেষে - ছেলেরা চিরকালই অসুবিধার
    :-) মেয়েরা তাদের সুবিধামত সুবিধার করে নেয় আর কি :-)
  • teman keu na | 122.163.3.34 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫৯416978
  • একসঙ্গে এলো সব। ফাংশন, বর্ষা, আর গেটের মুখে বিভাস :-)। মেঘলা ছিল দিন আর একলা ছিলাম আমি। লাইব্রেরীতে বসে খানিক বই উল্টে নোটস নিলাম। বন্ধুদের অনেকেই আসে নি আজ। করিডোর দিয়ে ইউনিয়নের ছেলেদের একটা হালকা মিছিল বয়ে গেল। আমার ক্ষিদে পাচ্ছে মনে হচ্ছে অথচ মা যা দিয়েছে তা খেতে ইচ্ছে করছে না। ক্যান্টিনের মটরসাঁতারু ঘুগনী খেতে ইচ্ছে করছে গরমগরম। কিন্তু একা একা কি খাওয়া যায়? ধুত। বাড়ি চলে গেলে হয়। পায়ে পায়ে গেটের কাছাকাছি গিয়েই দেখি বিভাস, গেটের পাশের রেলিং-এ একটা পা ভাঁজ রেখে সামনের চায়ের দোকানের দিকে তাকিয়ে আছে। আনলাইক সিনেমার হিরোস, ও ওদিকেই তাকিয়েই রইল। আমি একপা একপা করে ওর দিকে এগোচ্ছি আর ও হাঁ করে চা ছাঁকা দেখছে।
    "তুমি? এখানে?' আমি ওর পাশে প্রায়
    চমকে তাকিয়েই একগাল হাসি "হ্যাঁ। খুব ইচ্ছা করছিল দেখতে তোমায়' খুব নরম করে কথা বলল কথাটা। আসলে ও এমনিই নরম করেই কথা বলে। বলতে বলতে অন্যমনস্ক হয়ে যায়, আবার খেই খুঁজে খুঁজে ফিরেও আসে ঠিক।
    "চলো, কোথাও বসি, বসবে?"
    'এতো সুন্দর মেঘ করেছে, হাঁটবে?' কলেজস্ট্রীট টানছে আমায় খুব।
    প্রথমবার মেঘের সামিয়ানার নিচে হাঁটছি আমরা দুজন। বিভাস সত্যিই অল্প কথা বলে, ওর চিঠির মতই। আর আমি যদিও বকমবুড়ি, কিন্তু নিজে নিজে কিই বা কথা বলব এতো। তবু বলছিলাম। টুকটাক কথা, এলোমেলো, একটা লোক মাথায় একটা বিরাট বস্তা নিয়ে হেঁটে আসছিল, বিভাস আলতো হাতে আমার হাতটা ধরে টেনে সরিয়ে নিল নিজের দিকে আর আমি প্রথমপরশসুখের রং এড়াতে উল্টোদিকের মুচিটার জুতো সেলাই দেখতে দেখতে হাঁটতে লাগলাম। ভালোলাগছিল আমার, খুব খুব ভালোলাগায় ডুবছিলাম আমি।

    আজকাল আর একসঙ্গে পড়তে যাই না আমরা। মৌ বাড়ি থেকে আসে আর আমি কলেজ থেকে সোজা যাই। গল্পের সময় তাই অর্ধেক হয়ে গেছে। শুধু ফেরার পথে। আগে পড়তে পড়তেও টুকটাক গল্প করতাম। কিন্তু এখন কমলাক্ষ নামে একটা ছেলে আমাদের সঙ্গে পড়ছে। তার আবার কি বেড়ালে ভয় ! (যদিও সে বড় হয়ে ঋতুপর্ণ হতে পারে নি :-)) স্যারের তো পোষা বেড়াল আর পোষ্যদের গেস্ট বন্ধু বেড়ালে ঘর বারান্দা ভর্তি। এই তারা খাটের নিচে তো এই আমাদের ব্যাগের ওপরে গুটি মেরে শুয়ে পড়েছে। কমলাক্ষ সেই বেড়ালের দাপটে বেশিরভাগ সময়েই ইঁদুর হয়ে থাকে আর কান দিয়ে আমাদের দেখে। ওর সামনে তাই কিছুই বলা যায় না। আমার ইচ্ছা করছিল মৌকে বলি সব। অন্তত: এটা বলি যে বিভাস এখন কলেজে গিয়ে আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু কোথাও একটা আটকাচ্ছিল। কিন্তু কাউকে একটা না বললে কেমন খুশিটা খুশি মনে হয় না। এখন বুঝতে পারছি কেন মিতালী সারাদিন এতো গল্প শোনায় .... ফেরার সময় কথাটা তুলি তুলি করেও তুলতে পারলাম না। মৌও আমাদের ফাংশানের প্রিপারেশন ইত্যাদিন নিয়ে বকছিল। আমি হুঁ হাঁ করতে করতেই বাড়ি এসে গেল ওর। না:, কাউকে বলতেই হবে। এভাবে থাকা যায় নাকি? ছটফট করলাম একটু, ছাদে গেলাম.... মেঘ আজও, গুমোট। মনে মনে কথা বলতে লাগলাম ওর সঙ্গে। তারপর নিচে এসে খাতা খুলে পেন বাগিয়ে বসলাম। লেখা হল আমার প্রথম চিঠি...

    ডাকা হয়নি সৌরভকে। কার্ড দেওয়াই হয়নি। ওর সঙ্গে দেখাই হয়নি আসলে। স্বপ্নেও। বিভাসের সঙ্গে বরং দেখা হচ্ছে টুকটাক। ওকে জিজ্ঞেস করলেই হয় সৌরভের কথা, কিন্তু পারিনা। কেন পারিনা জিগাবেন না প্লিজ। জাস্ট পারিনা। বিভাসকে বললাম আমাদের ফাংশনের কথা। আজকাল সিলেবাস বেড়েছে আমাদের। কলেজ রাজনীতির অপ্রয়োজনীয়তা (বিভাসের চোখে, প্লিজ আমার দিকে অমন করে তাকাবেন না, এটা আমার মত নয়) থেকে শুরু করে আসছে বছরের ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতের আশা নিরাশা অবধিও কভার করছি কখোনো সখোনো। শুধু গান নিয়ে কথা কম হয় আমাদের মধ্যে। যদিও বা হয় একটা দুটো, তাও আমিই বলি। সেই জন্যেই বোধহয় ঘুরে ফিরে হাসিভরা টোলটেপা মুখটা মনে পড়ে "আপনি খুব সুন্দর গান করেন..... ফাংশানে বুঝি শুধু বন্ধুরাই যেতে পারবে?... এখোনো অবধি শুধু বিভাসেরই বন্ধু আমি...' মনে পড়ে তোমাকে সৌরভ। বিভাসকে চিঠি লিখতে বসেও তোমাকে লিখতে ইচ্ছা করে রিহার্সালের কথা, মোমদির সঙ্গে কথোপকথন, এসব বলতে ইচ্ছা করে তোমাকে.... বিভাসের সামনে যে লজ্জা, যে জড়তা আছে, তোমার সামনে নেই কেন তা ?? রাগ ধরে যায় ওর ওপরেই। জাস্ট একটা মাত্র টোল নিয়েই জিতে যাবে নাকি তুমি বিভাসকে হারিয়ে!! বললাম বিভাসকে "আমাদের গানের স্কুলের ফাংশন, কাল সন্ধ্যেবেলায়'
    "বা:, তুমি গাইছ?'
    "হুঁ, গাইছি তো। ভানুসিংহের পদাবলী হচ্ছে। আর...'
    "তাহলে কাল সন্ধ্যেবেলায় পড়তে যাচ্ছ না তুমি....'
    "না, যাচ্ছি না...'
    "আমি কাল সন্ধ্যেবেলায় বাগবাজার যাব। দিয়াকে নিয়ে যেতে হবে একজায়গায়" দেওয়ালী (দেয়ালী?) বাড়িতে ওদের কাছে দিয়া হয়ে গেছে আগে জেনেছি।
    "দিয়া তোমার বেশ ভালো বন্ধু হয়ে গেছে,না? ভালোই হয়েছে। তোমাদের তো বোন নেই"
    "বোন! বোন কে?'
    "বা রে! দিয়া তো তোমার থেকে দু বছরের জুনিয়ার..' আমি থতমত খেলাম।
    উত্তর দিল না বিভাস। তেতো হয়ে গেল আমার দুপুরটা। একবার বললও না যে আমিও শুনতে চাই তোমার গান। আমিও যাব...
    আগে কেমন সুন্দর ছিল সব। কোনো এক্সপেক্টেশনস ছিল না কারুর থেকে। আজকাল এই এক আপদ হয়েছে। দুনিয়ার সকলের বয়ফ্রেন্ডদের ভালো গুণগুলো বিভাসের মধ্যে দেখতে চাই আর হতাশ হলেই চোখে বালি উড়ে এসে পড়ে।

    সকাল থেকে বৃষ্টি হবে হবে ভাব করে আকাশ চমকাচ্ছিল। শেষপর্য্যন্ত হল না। গাইছিলাম আমি "গহন রয়ন মে না যাও বালা নওলকিশোরকে পাস ... গরজে ঘন ঘন বহু ডর পাওব কহে ভানু তব দাস..." পিসিমণি চোখের ইশারায় বোঝালো ভালো হয়েছে। আমি উঁকি দিয়ে অডিয়েন্সের রিঅ্যাকশন দেখতে গিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। ভরা হলঘর, তবু কেউ নেই। কেউ না...... বিভাস আগ্রহ দেখায় নি, আমি সৌরভকে ডাকিনি। সামনে হলভর্তি দর্শক অথচ আমার সব ফাঁকা লাগছিল.....
  • intellidiot | 59.164.204.79 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১৩416979
  • তেমন কেউ না খুব জেনারালাইজড একটা নাম। তেকেনা এবার বকমবুড়ি নাম নিক।

    প্রত্যাশা মতই অসাধারন :-)
  • teman keu na | 122.163.79.110 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৩০416980
  • প্রোগ্রাম শেষ হতে রাত হল। আমি, মা, মৌ,কাকিমা, বোন সবাই একটা ট্যাক্সিতে। মৌ একবার খুব আস্তে করে জিজ্ঞেস করল "আসেনি?'
    বুঝুন! এদ্দিন ধরে বিভাসের বি উচ্চারণ করে নি যে এখন এক ট্যাক্সি ভর্তি মা, কাকিমাদের মাঝে ফিসফিসাচ্ছে! আমি চোখ দিয়ে বকে ঘাড় নেড়ে উত্তর দিলাম। পরের দিন কলেজ ছুটি। মৌ এলো আমাদের বাড়ি, অনেক দিন পর। বিকেল হয়ে আসছে। ভালো লাগছিল বেশ। একটা আয়েসি দিন।
    "ছাদে যাই চল"
    'চল। আমিও ভাবছিলাম এটাই' মৌ হাসল
    "কেমন চলছে তোদের?'
    "ভালো' অল্প একচামচ হাসলাম আমি
    "কত ভালো? দেখা করছিস খুব, না? খুব ঘোরা হচ্ছে..'
    "মোটেই না' আমি মজা পেলাম "কে বলল তোকে খুব ঘুরছি আমরা!'
    "কে আবার বলবে? বিভাসই বলল"
    বিশ্বাস করুন, কোনো গান, কোনো কবিতা, কোনো উপমা যথেষ্ট নয় আমার অবস্থা বোঝানোর জন্য। ও বলেছিল মৌয়ের সঙ্গে ও আর কোনোদিন কথা বলবে না। ও নাকি কখোনো ক্ষমাই করতে পারবে না মৌকে
    "বিভাস? ওর সঙ্গে কথা হয় তোর??'
    "হ্যাঁ, হবে না কেন? পরশুই তো দেখা হল, ওদের বাড়িতে যেতে বলল'
    "বাড়ি? ওদের বাড়িতে গেছিস তুই?'
    "হুঁ, দুবার। তোকে বলেনি বিভাস??'
    মৌ! তুই যখনি আসবি এক আঁজলা চমক আনবি আমার জন্য!! মুখ ফিরিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম আমি (চোখে জল এলে আর তা লুকোতে চাইলে আকাশের দিকে তাকান, বা সিলিং ফ্যানের দিকে। ফিরে যাবে জল)
    মৌও একটু থমকে গেছে। ও কি জানত না সত্যিই যে বিভাস এসব বলে নি আমায়?
    খুব কান্না পাচ্ছিল আমার। ওপরে তাকিয়েও কিচ্ছু হচ্ছিল না। তুই যা মৌ, প্লিজ আজ যা.. মনে মনে বললাম আমি
    "শোন, তুই সত্যিই বিভাসকে ভালোবাসিস খুব, না?'
    ঘাড় নাড়লাম আমি
    'কেন?'
    কেন? সত্যিই তো। আসলে কেন বাসি? আদৌ বিভাসকেই কি ভালোবাসি? নাকি বিভাসের ভালোবাসাটাকেই ভালোবাসছি আমি। সেই ভালোবাসা যা ছমাস আগে বিভাস জানিয়েছিল, এখন তো সেভাবে দেখায়ও না... আমিও কত সময় সৌরভের কথা ভাবি, হয়ত অন্যরকম করে, তবু ভাবি তো।
    "জানিনা রে। বোধহয় ঠিক বুঝিও না আমি"
    মৌ, বিশ্বাসঘাতিনী চমকজাগানি মৌ আমার হাত ধরল "তোর মনে হয় বিভাস তোকে সত্যি খুব ভালোবাসে?'
    ও কি আমার থেকেও বড় হয়ে গেছে? কেমন গম্ভীর ভিজে ভিজে গলায় প্রশ্ন করছে আমায় "মনে হয় তোর?'
    "বাসেনা? একথা বলেছে তোকে ও? বাসে না ভালো আমায়???'
    "না না, তা বলিনি। তুই টের পাস ওর ভালোবাসাটা?'
    পাই? পাই তো। যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ছুঁয়ে যাই, বা .... বা??? বা কি??? আমি মনে করতে পারছি না। সত্যি তো! যা কথা বলি তা নেহাতই কথা। কিন্তু কাজরীদের কাছে যা শুনতাম তেমন কথা তো হয় না। এতদিনে একবারও আমরা কোনো পর্দাঢাকা কেবিনে বসতে যাইনি (ভাগ্যিস যাই নি!! আমার ধারণা ঐ পর্দায় সকলে হাত মোছে আর কোনোদিন কাচা হয় না), সিনেমাও যাই নি। আমার তো সবসময় মনে হয় ও অন্যরকম তাই এসব চায় না। তবে কি আসলে ভালোই বাসে না!!
    চুপ করে রইলাম আমি। কি করে বলব যে পাইনা টের সেভাবে। অথচ কেমন বিশ্বাস করি এটা যে ও ভালোবাসে আমায়, আমিও।
    ভালো লাগছিল না কিচ্ছু। কিচ্ছু না। মৌ আবার অসহ্য হয়ে উঠছে আমার কাছে। তবে এবার আর মিথ্যে বলার জন্য না, বরং অপ্রিয় সত্যি সামনে আনার জন্যই ওকে সইতে পারছি আমি আর......

    জানতাম এমনটাই হবে। সারারাত একটা প্রশ্নের পাশবালিশ আঁকড়ে আমি এপাশ ওপাশ করলাম। কি যে করছি! পড়াশুনো সব লাটে উঠে যাবে এমন হলে। কিছু একটা করতেই হবে। এসব থেকে দূরে যাওয়া দরকার আমার। বিভাস, দেয়ালী, মৌ, সৌরভ...... কতদিন সৌরভকে দেখিনি। আজকাল পড়ে ফেরার সময়ও দেখতে পাই না। সেই যে ফাংশন দেখতে যেতে চেয়েছিল, তারপর আর দেখা হয়নি ওর সঙ্গে। কোথায় থাকো তুমি সৌরভ? বন্ধু নও তুমি আমার?? শুধু বিভাসের বন্ধু? মৌও তাই! বিভাসেরই বন্ধু। আমার বন্ধু কে সৌরভ?? ভোরের আলো ফোটার আগেই আমি বুঝলাম আমার সৌরভকে দরকার। খুব খুব দরকার। ওর সঙ্গে কথা বলতে পারলে হয়ত ঠিকমতো চিনতে পারব এই সম্পর্কটাকে আমি। তাছাড়া এমনিতেও বোধহয় দেখা হয় না বলেই ওকে নিয়ে একটা ফ্যান্টাসী আছে আমার, যেমন ছিল বিভাসকে নিয়ে। এক এক করে সব ফ্যান্টাসী গুঁড়িয়ে দিতে চাইছি আমি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আর বড়ো হতে চাই না, আর শিখতে চাইনা কিচ্ছু, আমি শুধু আমি হতে চাই................
  • dipu | 59.164.99.43 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:০৬416981
  • হেব্বি। অসা। গুচ্ছ।
  • aishik | 122.166.22.73 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:১৯416982
  • তেকেনা লেখা গুলো টুউউউউ গুড
  • san | 121.50.4.34 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:০৩416983
  • "কোথায় যাব ভেবেছিলাম হয়নি যাওয়া
    বন্ধ ঘরের শার্সি কাঁপায় দমকা হাওয়া
    কাঁপাক, তবু ঘরেই আছি
    ভাবনাগুলোর পোকা বাছি
    জ্বালায় যখন তাড়াই মাছি
    ঠিক জেনেছি, চক্ষু দুটি ঢাকলে পরেই ফুরোয় চাওয়া"
  • Samik | 219.64.11.35 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৫২416984
  • আজ লিখবে না নাকি তেকেনা?
  • tkn | 122.163.79.110 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:১৩416986
  • লিখি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন