এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভাঙা প্রেম

    Paramita
    নাটক | ১৩ জুন ২০০৯ | ৩৬৩১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nam bolbona | 122.167.212.60 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৩:৪৭417374
  • মাতাজি---ডাক শুনে চমকে ওঠেন দময়ন্তী। দেখেন সামনে রিয়া । রিয়া এইবার উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। রিয়া--কিছু বলবে ?
    হ্যা মাতাজি।।আজকে কি আপনি একবার আমাদের নাটকের রিহার্সাল দেখতে আসবেন,পরশুদিন তো স্টেজ পারফর্মেন্স। তাই আজ আপনি যদি একবার দেখে নেন।।
    ও হ্যাঁ ,পরশুদিন তো কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস। মনে পড়ে গেল দময়ন্তীর। ছাত্রীরা তাই জোরকদমে তারি প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন।
    ঠিক আছে তোমরা বিকাল ৫ টায় তৈরী থেকো,ঐ সময়ে দেখব। বলেন দময়ন্তী ।
    রিয়া চলে যায়।

    দময়ন্তী ফিরে যান স্মৃতির সরনী তে ।কফি হাউসের সেই আড্ডা। সেদিন প্রফেসর ঘোষ আসেন নি।তাই সবাই মিলে গেছিলো কফি হাউসে। এমন সময়ে সেখানে অরুনাভের আবির্ভাব । দময়ন্তী তখন ওকে চিনতেন না। শৈবালের বন্ধু ছিলো ও । শৈবাল ওকে দেখতে পেয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। এই অরুনাভ!!।তুই এখানে ,এদিকে আয়। সে আসে। ফর্সা গাল। বুদ্ধি দীপ্ত চেহারা,লম্বায় প্রায় ৫-১০ । নিল শার্ট এ যেন ফিল্ম স্টার।
    আয় বস এখানে ,শৈবাল বলে। আলাপ করিয়ে দি ।এ হলো অনির্বান ,সন্দীপ, অদিতি, দময়ন্তী, অর্ক,অভিজিত ,আর আমি হলাম শ্রীমান শৈবাল সেন। আর এ হল অরুনাভ দত্ত। জাদবপুরে পি এইচ ডি করছে।ও হোলো সত্তিকারের জেম বুঝলি তোরা। অরুনাভ শৈবালের কথায় হেসে ওঠে। হাসলে ভারি সুন্দর দেখায় তো একে। দময়ন্তী মনে মনে ভাবেন। প্রথম দর্শনেই ভাল লেগে যায় ওকে। তারপরে শুরু হল গল্প।কিন্তু এই ছেলে তো একেবারেই দময়ন্তী কে দেখেনা। বরং ওর প্রিয় বন্ধু অদিতির সাথেই যেন বেশি কথা বলছে।
  • tkn | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৩:৫৮417375
  • এখন দিব্যি সুগারফ্রি দেওয়া এগলেস ফ্রুটকেক পাওয়া যায়। এট্টু অখাদ্যি বটে, তবে কানুপ্রেম না হলেও কানাপ্রেম তো বটে!
  • tkn | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৩:৫৯417376
  • উ: আবার!! এখানে লেখা দেখি প্রেম করার থেকেও কঠিন! ধ্যাত্ত
  • teman keu na | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৪:১০417377
  • ফ্রিজের কেকে মরা মাছি???? পিঁপড়ের লাশ??
    বুড়ো নিজে জ্যান্ত?
    তবে অন্যভাবেও দেখা যায়। বাঁচার জন্য কি সারাদিন ধরে খেতে লাগে নাকি? দিনে চারটে মিলই তো এনাফ। গোটা জীবন ধরে কি প্রেম বিলোবে/নেবে নাকি? গোটা কয়েক দেওয়া/নেওয়ার পুষ্টিতেই তো কেটে যাওয়া উচিত লাইফটাইম
  • tkn | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৪:১১417378
  • অসম্ভব্‌ব্‌ব্‌ব্‌ব্‌ব। ধুত। একদিকে মন দিই
  • arindam | 202.56.207.56 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৪:৪৮417379
  • তেকোনা
    মেরেছিস কলসীর কানা
    তাই বলে কী প্রম দেব না?
    নামা গুরু, আর কত পথে হবে দেরী?
  • sinfaut | 203.91.193.7 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৪:৫৬417380
  • এইটা আমি বুইতে পারছিনা। তেকোন তো বেশ প্রেমটেম ভেঙ্গে দিয়ে গল্প শেষ করল। তো , আবার কি দাবী? নতুন গল্প লেখার নাকি ঐ গল্পেরও কিছু বাকি আছে? ভালো বুঝি নাই মনে হচ্ছে।
  • teman keu na | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৫:৪৫417381
  • কিন্তু চিঠিগুলো নিয়ে জীবন কাটাতে গেলে রাখতে হবে তো কোথাও। সে কোথাও টা কোথায়?? আমার নিজের বলতে গোটা বাড়িতে শুধু একটা ব্রাশ, একটা তোয়ালে, একটা বালিশ, আর জামাকাপড়। বাকি সব তো বারোয়ারী। বইয়ের তাক, বিছানার তোষকের তলা, আলমারীর ড্রয়ার, সোফার খাঁজ, ঠাকুরঘরে কালীপুজোর খিচুড়ির হাঁড়ি, গোটা বাড়িটারই একটা স্লাইড শো নিয়ে নিলাম মনে মনে। কিন্তু না: :-( একমাত্র রিজার্ভারের জলে ফেলে দিলেই কারুর চোখে পড়ার সম্ভবনা নেই। অনেক ভেবে চিন্তে সেদিনের মত হারমোনিয়াম বক্সের ভেতরে পাতা মায়ের পুরোনো শাড়ির নিচে রাখলাম। বোন জন্মেও হারমোনিয়াম নিয়ে বসে না। ওটাতে একমাত্র আমিই হাত দিই। সুতরাং..
    মা রান্নাঘরে ছিল। আমাকে দেখেই ভুরু কোঁচকালো "কি হয়েছে? মুখচোখের একি অবস্থা?"
    "কি আবার হবে? যা গরম! আর কি জ্যাম!"
    (কি ভীষন খারাপ যে লাগল কথাটা বলতে!)
    লোডশেডিং হল। পরীক্ষার পরে মন খারাপ থাকলে লোডশেডিঙের মত বড় বন্ধু আর কিচ্ছু হয় না। তার ওপর যদি ছাদ, মাদুর আর ট্রানজিস্টারে ব্যাটারী থাকে তো কথাই নেই। মা চিঁড়ের পোলাও করেছিল। কিন্তু আমার বুঝি এখন খাওয়ার সময়? এই মাত্র নিজের হাতে নিজের কবরনামা লিখে এসেছি মৌদের বাড়িতে, এখন বুঝি এসব ভালোলাগবে আমার?
    "খিদে পাচ্ছেনা। অনেক কিছু খেয়েছি" বলতে বলতে সিঁড়ি টপকে ছাদে।
    সব এলোমেলো লাগছিল। মৌয়ের ঘর, চিঠি, পেনসিলের আঁকিবুকি, কাজরী মিতালীর প্রেমের লাইভ শো, আর সবশেষে মৌয়ের বলা কথাগুলো সব কিছু মাথার মধ্যে নেওয়ার মত বড় বোধহয় হই নি তখনো। রেডিও চালালাম। আজীব দাস্তাঁ হ্যায় ইয়ে, কাঁহা শুরু কাঁহা খতম্ম ..... লতাও কি এমনি কনফিউজড ছিলেন গাইবার সময়! সেই সময়ে এটা খুব বুঝেছিলাম যে আমার মত দু:খী পৃথিবীতে আর কেউ নেই শুধু সীমান্তে বসে থাকা ফৌজি ভাইরা ছাড়া। বেশিরভাগ দিনই "ফৌজি ভাইয়োঁ কে লিয়ে" যা গান বাজানো হত, সবই আসলে আমার জন্য গাওয়া, আমার হয়ে গাওয়া।
    পরের দিন মেজমাসিরা এলো। অনেক কাঁচের চুড়ি আর প্যাঁড়া এনেছে স্পেশালি আমার জন্য। হায় মাসিমণি :-(( আমার কি আর চুড়ি পরার দিন আছে?? এসব আর আমার কোন কাজে লাগবে? কেই বা দেখবে সে সাজ! মা খানিকটা প্যাঁড়া আলাদা তুলে রাখল ছোটোপিসিদের আর মৌয়ের জন্য। ও ও আমার মত প্যাঁড়া ভালোবাসে। শুধু প্যাঁড়া? আমি যা যা ভালোবাসি সবই বাসে। প্যাঁড়া থেকে বিভাস অবধি :-(
    বিকেলে বোন লাফাতে লাফাতে বাড়ি ঢুকল "দিদিভাইইই, মৌদিকে ধরে এনেছি। দেখ কেমন চুল কেটেছে "
    দেখলাম। স্টেপ কাট করেছে। অন্যরকম দেখতে লাগছে। ভালো। সেজেগুজে থাকুক
    "কি করছিলিস?" মৌ আস্তে করে জিজ্ঞেস করল
    "কিছু না তেমন। গান নিয়ে বসব ভাবছিলাম"
    মৌয়ের গলা খুব বেসুরো। ইচ্ছাকরেই তাই গানের খোঁচা দিলাম। (কুটিল হয়ে উঠছি আমি, ছি:)
    "এখনই বসবি? ভাবলাম গল্প করব" (কি সাহস!!)
    "ঘরে আয়, মা তোর জন্য প্যাঁড়া রেখেছে"
    "দিদিভাই, লুডো খেলবি?" বোন লুডো বার করে এনেছে (প্রাক বেলাদি ঐতিহাসিক দিনগুলোতে আমরা সকলেই বিন্দাস লুডো খেলতাম)
    আমার তো মীরাবাঈ দশা। কিছুতেই হ্যাঁ না বিশেষ কিছু বলিনা। কি বা যায় আসে এ কোনোকিছুতেই :-(
    "চল, খেলছি"
    "মৌ দি, খেলবে তো?"
    "আমি? বাড়ি যাবো না? মাকে বলে আসিনি"
    গা জ্বলে গেল। বিভাসের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করার সময় যেন কাকীমাকে কত বলে যাস! (বিশ্বাস করুন, আমি আগে মোটেই এমন ছিলাম না। মৌয়ের বিশ্বাসঘাতকতাই আমায় এমন হিন্দি সিরিয়ালিশ ভিলেন বানিয়ে তুলছিল)
    খেলতে বসলাম তিনজনে। কে যে কি দান দিচ্ছে সেদিকে মন নেই। বরং ইচ্ছা করছে ওকে জিজ্ঞেস করি কি গল্প করেছিল সেদিন ওরা। কতবার এসেছে বিভাস ওদের বাড়িতে? ওর কাছে কি অ্যাড্রেস আছে বিভাসের? উ: এভাবে খেলা যায়? চোখের সামনে দিয়ে মৌয়ের পাকা ঘুঁটি বেরোচ্ছে। পাঁচ ফেললাম আমি। একদানে কাটা। কাটলাম না, নিজের পাকা ঘুটি এগিয়ে দিলাম।
    "কাটলিনা আমার ঘুঁটিটা?"
    "না:, যা তুই" ( বিভাসকেই তোকে দিয়ে দিয়েছি আর একটা পাকা হলুদ ঘুঁটি কেয়া চীজ হ্যায়...)
    মৌও একটু ছটফট করছিল। কোনোরকমে খেলা শেষ হলে বাঁচে। আমায় একবার বলল "আমাদের বাড়ি যাবি?"
    "না"
    "এরকম করছিস কেন? চল ছাদে যাই'
    গেলাম।
    "চুল কাটলি কেন?'
    "এমনিই। মা কাটল, আমিও'
    একটু চুপচাপ
    'শোন। বিভাস তো এসে যাবে নেক্সট উইকে। আমি ওকে বলে দেব'
    বুকের ভেতর চড়চড় আওয়াজে ব্যথার গাছ নুইয়ে গেল "হুঁ, বলে দিস'
    'কি বলব বলতো?'
    'সত্যি কথাই বলিস, যে তুই ওকে ভালোবাসিস'
    'ধুত। ওটা ও জেনে কি করবে? আমি স্বীকার করে নেব যে আমিই তোকে চিঠিগুলো দিই নি। তাই তোর সঙ্গে দেখা হয় নি ওর'
    (ইস্‌স্‌স, কি ফিল্মি!!)
    'কোনো দরকার নেই। চিঠি গুলো পেলেও আমি যেতাম না হয়ত'
    'বাজে বকিস না। তুই যেতিস। আসলে আমি ঠিক বুঝিনি রে... সেদিন তুই যাসনি... ও খুব ভালো... খুব কষ্ট পেয়েছিল তুই গেলিনা দেখে... বার বার জিজ্ঞেস করছিল তুই কি বলেছিস.... আমি ওকে সত্যিকথাটাই বলেছিলাম। বলেছিলাম তুই দেখা করতে চাসনা '
    (বা: মিস হরিশচন্দ্র! আমি কিন্তু বলতে বলেছিলাম আমি বাড়ি নেই। যাকগে, কি আসে যায় ....)
    "এরকম চুপ করে থাকবি? আমি তো বলছিই যে ও ফিরে এলে আমিই সব বলে দেব। দেখিস। সব ঠিক হয়ে যাবে। সরি রে..."
    "না, এসব বলিস না। আমিই দেখা করে নেব..."
    ওর হাত ছাড়িয়ে নিচে নেমে গেলাম আমি। গান নিয়ে বসব। চিঠিগুলোও ছুঁয়ে নেব একবার। মা আর মেজমাসিমণি বেরিয়েছে। হারমোনিয়ামের নিচ থেকে চিঠিগুলো বার করে আনলাম। এতো অল্প কথা লেখে। দেখা হলেও তো খুব কম কথাই বলে। অথচ মৌয়ের সঙ্গে এত্তো গল্প করেছে যে বন্ধু হয়ে গেল!!
    গানের স্কুলে ভানুসিংহের পদাবলী হবে। পিসিমণি গান তুলিয়েছিল আগের দিন। প্র্যাকটিস করে না গেলে কানে মোচড় অবধারিত। বসলাম। কখন মা রা ফিরেছে খেয়াল করি নি। গান শেষ হতে মা এসে বসল "কি হয়েছে রে তোর?"
    "কিছু না তো!"
    "শাওন গগনে গাইছিস তুই? খুব ভালো হচ্ছে.... এত দরদ দিয়ে আগে গাইতিস না তো! ....... সত্যি বলছিস কিছু হয়নি?'
    (মায়ের এই বুঝে ফেলাটাকে বড্ড ভয় পেতাম)
    'না, পড়া নেই এখন। বোর হয়ে যাচ্ছি'
    "গল্পের বই পড়। টিভি দ্যাখ। তাছাড়া রিহার্সাল তো চলছেই.....'একটু চুপ থেকে একদম অন্য গলায় 'যদি এমন কিছু হয় যা আমাকে বললে ভালো লাগে তো বলিস'
    "কিছু হয় নি মা' কোনোরকমে চোখ সরিয়ে পাতা উল্টালাম "মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান'... অনেক্ষণ ধরে চোখ বুঁজে গাওয়া যাবে
    বড় হচ্ছি আমি। অনেক বড়। বন্ধুকে অবিশ্বাস করতে শেখা বড়, মা কে মিথ্যে বলতে শেখা বড়, একজনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাকি সবকিছুকে উপেক্ষা করার মত বড়...........
  • intellidiot | 220.225.245.130 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৫:৫৬417382
  • বা:... তারপর...
  • dipu | 207.179.11.216 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:০০416864
  • "প্রাক বুলাদি......' গুচ্ছ :-))
  • r | 125.18.104.1 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৩৬416865
  • টিকেনের ভাঙা প্রেমের গপ্পোকে উৎসর্গ করে একটি লেন কোহেন:

    I loved you in the morning, our kisses deep and warm,
    your hair upon the pillow like a sleepy golden storm,
    yes many loved before us, I know that we are not new,
    in city and in forest they smiled like me and you,
    but let's not talk of love or chains and things we can't untie,
    your eyes are soft with sorrow,
    Hey, that's no way to say goodbye.

  • intellidiot | 220.225.245.130 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৫৩416866
  • জোন বায়েজের এইটাও হয়তো থাকে কোন এক দৃশ্যে:


    Seems like only yesterday
    I left my mind behind
    Down in the Gypsy Café
    With a friend of a friend of mine
    She sat with a baby heavy on her knee
    Yet spoke of life most free from slavery
    With eyes that showed no trace of misery
    A phrase in connection first with she I heard
    That love is just a four-letter word

  • r | 125.18.104.1 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৫৪416867
  • ডিলান। ওরিজিনালি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৫৮416869
  • হুঁ ডিলান। কিন্তু ডিলানের গলায় কখনো শুনিনি।
  • intellidiot | 220.225.245.130 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৫৮416868
  • এটা কি ডিলান গেয়েছেন? আমি যদ্দুর জানি উনি তো লিখেছিলেন গানটা, আর গেয়েছিলেন বায়েজ। ডিলানের গলায় আছে নাকি র-দা? থাকলে ঘ্যান ঘ্যান করে চইতে থাকবো :-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৬:৫৯416870
  • যদ্দুর জানি ডিলান গেয়েছেন, কিন্তু কখনো রেকর্ড করেননি। বোজো থাকলে কনফার্ম করতে পারতো।
  • tkn | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৭:০১416871
  • বাহ। টিকেন যারপরনাই প্রীত হইল :-)

    গানটা নেটে সার্চিয়ে দেখি যদি পাই
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৩৯416873
  • তেকোনার বাকি গল্পটা কখন পাওয়া যাবে রে বাবা!! ল্যাখাপড়ায় মন বসাতে পারছি না তো!:-(((
  • d | 117.195.32.148 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৪২416875
  • তেকেন নির্ঘাৎ টিভি সিরিয়ালের গপ্প লেখে। ক্লিফ হ্যাঙ্গারগুলো একেবারে খাপেখাপ!
  • Du | 65.124.26.7 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২০:৩৩416876
  • নেরুদাটাও পুরোটাই দিই-
    From – Twenty Poems of Love

    I can write the saddest lines tonight.

    Write for example: ‘The night is fractured
    and they shiver, blue, those stars, in the distance’

    The night wind turns in the sky and sings.
    I can write the saddest lines tonight.
    I loved her, sometimes she loved me too.

    On nights like these I held her in my arms.
    I kissed her greatly under the infinite sky.

    She loved me, sometimes I loved her too.
    How could I not have loved her huge, still eyes.

    I can write the saddest lines tonight.
    To think I don’t have her, to feel I have lost her.

    Hear the vast night, vaster without her.
    Lines fall on the soul like dew on the grass.

    What does it matter that I couldn’t keep her.
    The night is fractured and she is not with me.

    That is all. Someone sings far off. Far off,
    my soul is not content to have lost her.

    As though to reach her, my sight looks for her.
    My heart looks for her: she is not with me

    The same night whitens, in the same branches.
    We, from that time, we are not the same.

    I don’t love her, that’s certain, but how I loved her.
    My voice tried to find the breeze to reach her.

    Another’s kisses on her, like my kisses.
    Her voice, her bright body, infinite eyes.

    I don’t love her, that’s certain, but perhaps I love her.
    Love is brief: forgetting lasts so long.

    Since, on these nights, I held her in my arms,
    my soul is not content to have lost her.

    Though this is the last pain she will make me suffer,
    and these are the last lines I will write for her.


    সেই ব্যথাবেলায় - সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদে পড়ে এর একটা লাইনেই রেকর্ড আঁটকে গিয়েছিল -

    "অন্যের, অন্যের হবে সে।"
  • pi | 72.83.79.85 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:০৫416877
  • বিভাসবাবু , আর দেরী ক্যানো ? আপনিও কলম বাগান। বেশ একটা অম্মিতা-মির্চা মার্কা মির্চির গুঁড়ো দেওয়া টক-মিষ্টি জোড়া গপ্পের প্যারালাল পাঠের সুযোগ পাই আমরা । :)

  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:১৬416878
  • .. ..
    অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে
    জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে, কাকে বলে নীল -
    আকাশের, হৃদয়ের; কাকে বলে নির্বিকার পাখি।

  • teman keu na | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:১৮416879
  • বেলা বাড়ছিল। দিনের না, সপ্তাহের। আমি ভানুসিংহ, জয়মালা, অনুরোধের আসর আর যাবতীয় গল্পের বইয়ের ধাক্কায় বিভাসকে সরানোর চেষ্টা করছিলাম। কাজরী এলো একদিন। খুব মনখারাপ। কাকু ট্রানস্ফার হয়েছে বম্বেতে। চলে যেতে হবে।
    "অভ্র খুব ভেঙে পড়েছে জানিস। বলছে সুইসাইড করবে আমি চলে গেলে (করেনি। সাধে কি কবি লিখেছেন কেউ কথা রাখেনি!)
    "হুঁ, তোরও নিশ্চই খুব কষ্ট হচ্ছে'
    'হচ্ছে তো। আমি বলেছি অপেক্ষা করতে। ওখানে প্লাস টু করে যেমন করে হোক কলকাতায় ফিরব।'
    'সেই ভালো। ততদিন না হয় চিঠিতে যোগাযোগ রাখিস'
    "রাখব তো। কিন্তু কি করে রাখব বুঝতে পারছি না। তোর বাড়িতে আমি চিঠি পাঠালে একটু দিয়ে দিবি ওকে?'
    "আমি??" আঁতকে উঠি। পাগল নাকি! মা আগেই খুলে পড়ে নেবে'
    'ও: তাহলে কি যে করি....'
    খুব মায়া লাগল আমার। সেদিন যখন মুখে ফুচকা গুঁজে খাওয়াচ্ছিল তখন বিরক্ত হচ্ছিলাম, কিন্তু আজ মনে হল ও আমার মতই দু:খী। না, আমার মত না, আমার তো প্রেম হয়ই নি ঠিক মত, ওরা তো তবু ঘুরেছে, গল্প করেছে (হাত ধরে ঘুরলে আর গল্প করতে করতে কফি শেয়ার করলেই যে প্রেম হয় সেটা আমি টিভি থেকে শিখেছিলাম)। আমি ওকে গড়গড়িয়ে আমার দু:খের গল্প বলতে শুরু করলাম যাতে ও বোঝে আমার তুলনায় ওর কষ্ট আসলে তেমন কিছুই না। আমার দু:খের হাইট যদি অমিতাভের মত হয় তবে তুলনায় ওরটা জাস্ট শাহরুখ।
    শুনল খানিক তারপর বলল "যদি ভালোবাসিস তো বলে দে ওকে। ওসব মৌ ফৌ কে ঢুকতে দিস না' (এরে কয় অভিজ্ঞতা। ছোট্টো একটুখানি শুনেই বেড়াল কেটে দিল)

    গানের স্কুলে যাচ্ছি, মা হাতে দু তিন গাছি সুতো ধরিয়ে দিল
    "ফেরার সময় একটু ঘুরে আসিস বাবলুর দোকান হয়ে। এই সুতোগুলো লাগবে'
    আমার লাবডুব পিটি উষাকে লজ্জা দেবে। অনেক দিন পরে আবার ওদিকে যাওয়া যাবে।
    দেখা হল ফেরার সময়। না, বিভাসের সঙ্গে না। সেই টোলহাসির সঙ্গে। বেশ রাত হয়ে গেছিল আসলে ক্লাসেই। তারপরে বাবলুবৌদি ছেলের বুদ্ধির ছোটো ছোটো তারিফি গল্প জুড়ে দিল (ওদের তো শিশুটক ছিল না :-( ), আরো খানিক সময় নষ্ট হল। দূর থেকে দেখলাম রকটা বেশ ফাঁকা। কাছাকাছি পৌঁছতে এগিয়ে এল সামনে "কেমন আছেন?'
    'ভালো'
    "আপনি?'
    "ভালো আছি। বিভাসের সঙ্গে দেখা হয়েছে?'
    "না তো! (চলকে গেল ঢেউ) ফিরে এসেছে ও?'
    "হ্যাঁ , এসে গেছে তো। লাস্ট উইকেই এসেছে। আমি বলেছিলাম আপনি এসে খোঁজ করেছেন'
    "ও। আচ্ছা। এখন তো নেই, এলে বলবেন এসেছিলাম আমি'
    এগিয়ে যাচ্ছিলাম, সেও দেখি হাঁটতে লেগেছে
    "কিছু বলবেন?'
    "না, মানে অন্ধকার তো ওদিকটা, তাই ভাবলাম এগিয়ে দিই (আহা, কি বুদ্ধি!!)
    "না না, এগোতে হবে না। আচ্ছা, বিভাস এখন কোথায়?'
    "কে জানে। ওদের বাড়িতে কারা সব এসেছে। তাদের নিয়ে খুব ব্যস্ত। মাঠেও আসছে না। জাগৃতির সঙ্গে খেলতে গিয়েও সেদিন....'
    "কি হয়েছে খেলতে গিয়ে?'
    "সেরকম বলার মত কিছু না। বোধহয় অন্যমনস্ক ছিল খুব। লাস্ট মোমেন্টে বলল খেলবে না"
    আহা রে। কি কষ্টই পাচ্ছে! কিন্তু কেন? এখন তো ও জানে আমি খোঁজ করেছি। মৌ কি ওকে বলে নি? নির্ঘাত বলেনি নিজের বদমায়েশির কথা...
    "আপনি খুব ভালো গান করেন"
    "কে বলল?'
    "আমরা চাঁদা চাইতে গেছিলাম আপনাদের ওদিকে সরস্বতী পুজোয়। আপনাদের বাড়িতেও গেছিলাম। আপনি গাইছিলেন। শুনেছি...'
    লজ্জা পেয়ে গেলাম কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল "বিভাস গেছিল?'
    "হ্যাঁ, ও দাঁড়িয়েছিল একটু। আমিও। বাকিরা এগিয়ে গেছিল।" (ছেলেরা সম্ভবত: ঐ বয়সে বন্ধুদের প্রেম নিয়ে যতই খিল্লি করুক, সিরিয়াসলি হেল্প করে দেখেছি)
    কথা বলতে বলতে মৌদের বাড়ি ক্রস করছি। হঠাৎ আমার মনে হল বিভাস হয়ত ওখানেই আছে।
    "আসি। আমি একটু এই সামনের বাড়িতে যাব"
    "আপনি আর মৌ খুব বন্ধু, না?'
    ছিলাম (মনে মনে বললাম)
    "হুঁ" হাসলাম আমি
    "আচ্ছা, আসুন। আমার নাম সৌরভ। বিভু এলে বলে দেব আপনি এসেছিলেন'
    মৌ বাড়ি নেই। সিনেমা গেছে। রাত হবে ফিরতে।
    একলা পায়ে ফিরতে ফিরতে মনে হল আমি সত্যিই খুব একা। কোথাও কিছু আটকে নেই তো। বিভাস কোথাও একটা ব্যস্ত, মৌ দিব্যি সিনেমা দেখছে, চুল ছাঁটছে, বেড়াচ্ছে.. শুধু আমিই :-( ধুউউউত, রেজাল্টটা বেরোলে বাঁচি। পড়াশুনো শুরু হলে শান্তি

    বেরোলো রেজাল্ট। অনেক দিন পরে একটা অন্যরকম দিন। স্কুলে দৌড়োলাম। সব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা। কাজরী এসেছে। আমায় দেখে বলল 'কি রে? বলেছিস তাকে?'
    "না বলিনি। ছাড়। রেজাল্ট কেমন হল তোর?'
    কাজরীর রেজাল্ট নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু আমার ছিল। আর যা কখোনো মনে হয় নি তা সেদিন মনে হল "ঠাকুর, যেন মৌয়ের থেকে ভালো রেজাল্ট হয়'
    বাড়িতে সবাই বেশ খুশি হল। আমিও। আশা করছিলাম যে বিভাস কোনোভাবে আমায় যোগাযোগ করবে। ও ও তো জানে রেজাল্ট বেরিয়েছে। চিঠিতে লিখেছিল all the best.. জানবে না বুঝি কেমন হল?
    সন্ধ্যেবেলা মা টাকা দিল। কি খাবি কিনে নিয়ে আয়। বেরোলাম। একটু ঘুর পথে যাবো। দেবীগড়ের কাছাকাছি যেতেই দেখি ও আসছে। কতদিইইইন পরে দেখলাম ওকে। মনে মনে এক ছুট্টে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম (সিনেমায় লোকজন অত টেকনিশিয়ানের সামনে কি করে যে দৌড়ে গিয়ে অমন ঝাঁপিয়ে পড়ে কে জানে, প্র্যাকটিক্যালি ওটা সম্ভব না মোটেই, ট্রাস্ট মি)
    "কেমন আছো?'
    'ভালো। তুমি?'
    "ভালো। ছিলাম না আমি। তুমি খোঁজ করছিলে সৌরভ বলল আমায়'
    "হ্যাঁ। দুবার '
    "রেজাল্ট ভালো হয়েছে নিশ্চই"
    হাসলাম "হুঁ, তোমারও তো রেজাল্টের সময় হয়ে গেল'
    "হ্যাঁ। তুমি কি স্কুলেই ভর্তি হবে? নাকি কলেজ ট্রাই করবে?'
    'দেখি কি কম্বিনেশন নিই'
    (যদি মনে করেন যে এগুলো নেহাত দুই পড়ুয়া ছেলেমেয়ের নিরস কথোপকথন, তাহলে বিশ্বাস করুন, কিচ্ছু বোঝেন নি। দ্বিধাথরোথরো অমরাবতী সম্বন্ধে আমার কোনো আইডিয়া নেই, তবে দ্বিধাথরোথরো ওষ্ঠযুগল সেই মুহুর্তে প্রবল চাপে ছিল)
    "তুমি মৌকে আমার জন্য কিছু দিয়েছিলে .....'
    ও অন্যদিকে তাকাল "হুঁ। বলেছিলাম আর বিরক্ত করব না। সৌরভের কাছে খোঁজ নিয়েছ শুনেই.....'
    'হুঁ (আমিও মুখ নামালাম) ওগুলো আমায় দেয় নি মৌ'
    'সেকি??? মানে??? ও বলেছিল তুমি প্রত্যেকটা চিঠি পড়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছ....'
    "না, ও দেয়ই নি...'
    কেমন ছটফটিয়ে চুলের মধ্যে আঙুল চালাল বিভাস "এরকম মিথ্যে বলল! এতো মিথ্যে বলল কেন??'
    কি বলব? বলে দেব যে মৌও তোমাকে ভালোবাসে? তাহলে যদি ও ও মৌকে....
    বলতে গেলাম ওকেই জিজ্ঞেস কোরো কেন বলেনি। তাতেও আটকালো। হয়ত মৌ এখোনো কিছু বলেনি। কিন্তু জিজ্ঞেস করলেই যদি বলে দেয়! এমনিতেই দুজনে ভালো বন্ধু, তারওপর আবার চুল কেটেছে কায়দা করে :-( শুধু গানের গলা আর রেজাল্ট দিয়ে কি এ কম্পিটিশন জিততে পারব? (ছোটো থেকে মায়ের কাছে তোর দ্বারা কিস্যু হবে না শুনে শুনে এই রকম দুদাগ কনফিডেন্সই তৈরী হয়েছিল। এ দিয়ে কি পলাশী পৌঁছনো যায়? বলুন?)
    "আচ্ছা, তুমি কখোনো আমার ডাকে আসতে না কেন? .... ও ও, তুমি তো জানতেই না....' খুব ছটফট করছিল বিভাস। আমি বুঝতেই পারছিলাম না এটা নিয়ে এখন এত ভাবার কি আছে? তুমি জানতে না যে আমি তোমায় ভালোবাসি। এখন তো বুঝেছ? ব্যাস। এবার আমারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে মৌয়ের দিকে একবার মায়াচোখে তাকিয়ে হাত ধরাধরি করে এগোলেই তো হয়.......
    এসবই আমার নিজের নিজেকে বলা। পড়াশুনো আর শরীর স্বাস্থ্য (কেমন আছি ইত্যাদি) ছাড়া আরো কোনো সাবজেক্ট তখন আমরা ছুঁইই নি।
    আরো কথা বলতে ইচ্ছা করছিল আমার কিন্তু ততক্ষণে ওদিকে মা ঘড়ি দেখতে শুরু করবে জানি।
    "দেরি হলে মা চিন্তা করবে...' এটুকু বললাম খালি, পা বাড়ালাম না
    'হ্যাঁ, তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা.....'
    (ইকিরে! এগিয়ে দে!!! সেদিন ঐ টোল পড়া ছেলেটাও তো কেমন বকবক করতে করতে এগিয়ে দিল, গানের কথা বলল, আর ইনি!)
    "তুমি এখন কি করবে?'
    "বাড়ি যাব। বাবার এক বন্ধুর মেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকছে। কলকাতা চেনেনা একদম। কোথাও গেলে কাউকে সঙ্গে যেতে হয়। ওকে নিয়ে একটু বেরোবো"
    "ও আচ্ছা...' ঠোঁটজোড়া অভিমান নিয়ে এটুকুই বলতে পারলাম
    "শোনো, তুমি আমার জন্য মৌয়ের সঙ্গে ঝগড়া করো নি তো?'
    থমকে গেলাম আমি 'ঝগড়া? না ওসব আমি পারি না। আমি ওর বইয়ের মধ্যে একটা চিঠি পেয়েছিলাম। সেটা নিয়ে চলে আসার সময় বাকিগুলো ও দিয়েছে আমায়'
    'জানি, তুমি খুব ভালো.... প্রায় না শুনতে পাওয়ার মত করে বলল কথাটা
    খুব হাওয়া দিচ্ছিল ঐ সময়। আমার ইচ্ছে করছিল কিছুটা সময় সাড়ে সাতটা বেজেই থাক। কিন্তু ইচ্ছে আর কবে আমার ঠাকরুণ ছিল!
    "আমি যাই? তুমি পারলে...পারলে যে কি করবে সেটা কিছুতেই মাথায় এলো না। আমার বাড়িতে আসবে? দেখা করবে? চিঠি লিখবে? আমি কি চাই? জানতাম না কি চাই। আসলে কিছুই জানতাম না। বিভাস মানে একটা এলোমেলো চুল ছেলে যে সাইকেল চালিয়ে সামনে দিয়ে চলে যায়, পুজোর চাঁদা তুলতে গিয়ে দেওয়ালের আড়ালে দাঁড়িয়ে গান শোনে আর দু লাইনের চিঠি লেখে, এর বেশি কিছুই জানা হয় নি আর। আমি নিজেও কি চাই তাও ঠিক জানতাম না। মা বাপী এসব মেনে নেবে না। হয়ত আমায় স্কুলে ভর্তি হতে হবে যে কোনো অ্যাভেলেবল কম্বিনেশন নিয়েই শুধু এই অপরাধে যে আমি প্রেমে পড়েছি, হয়ত গানের স্কুলও বন্ধ হয়ে যাবে..... যত রাজ্যের কুকথা মাথার মধ্যে ড্রিবল করতে করতে আমি রোলের দোকানের দিকে পা বাড়ালাম............
  • nam bolbona | 122.167.200.210 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:২৬416880
  • এর পর থেকে মাঝে মাঝেই অরুনাভ ওদের সাথে গল্প করতে আসে। যখনি দেখে ওকে দময়ন্তী ভাবেন ওকে কি বলি মনের কথা। কিন্তু কিছুতেই বলে উঠতে পারেন না । তবে অরুনাভের সাথে অদিতির যে বিশেষ ঘনিষ্টতা তা নজড়ে এড়ায়না। অদিতি দময়ন্তীর ছোটবেলার বন্ধু।খুব ভাব দুজনের মধ্যে ।এমন সময় একদিন অদিতি জানায় যে সে অরুনাভকে কে ভালবাসে।অরুনাভ ও তাই। দুজনি দুজনকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা। শুনে পাথর হয়ে গেছিলেন দময়ন্তী। এক মুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো যেন হৃৎ স্পন্দন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলেছিলেন বাহ বেশ তো। ইতিমধ্যে অদিতি আর অরুনাভের এর বিয়েও হয়ে যায়। বিয়ের দিন দময়ন্তী যাননি। অদিতি কে জানান খুব শরীর খারাপ,তাই আর যেতে পারছেন না।কি করে যাবেন তিনি।।কেউ কি যেতে পারে।বাড়িতে বাবা মা বলেন কিরে তুই যাবিনা।দময়ন্তী চুপ করে থাকেন।বলেন না মা,শরীর ভাল লাগছেনা। বিয়ে করে অদিতিরা আমেরিকা চলে জায়।অরুনাভ তখন বার্কলে তে পোস্ট ডক্টরেট করবে।

    এদিকে দময়ন্তীর বাড়ি থেকেও বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সে কিভাবে বিয়ে করবে?যাকে মন প্রান দিয়ে ভাল বেসেছে,তাকে ছেড়ে কি অন্য কাউকে বিয়ে করা সম্ভব। কিছুতেই কোন কজে মন বাসেনা। না সংসার করা তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। অবশেষে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাবা মাকে জানন তিনি।দুজনেই বেঁকে বসেন প্রথমে। মেয়ে আশ্রমে যোগ দেবে এই কথা তারা কিভাবে মেনে নেবেন। কিন্তু দময়ন্তীর জেদের কাছে অবশেষে হার মানতে তারা বাধ্য হন। তিনি কেন এই পথ বেছে নিলেন কেউ জানতে পারেন নি। তারপর একদিন সব কিছুর মায়া ত্যাগ করে তিনি এখানে চলে আসেন। মাঝে মাঝে কেউ কেউ আসেন দেখা করতে,কেউ বা আবার কখোনো কখোনো চিঠি পাঠায়। এরকমি একদিন চিঠিতে জানতে পারেন যে অদিতির মেয়ে হয়েছে,সেই মেয়েই রিনি। কয়েক বছর আগে অদিতি চলে যায় ক্যানসারে। অরুনাভ জানিয়েছিলো চিঠি দিয়ে। তারপরে কাল কে এই চিঠি এলো,যে ওরা আজ দেখা করতে আসবে।

    রোজকার মত প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে দময়ন্তী চলে যান ক্লাস নিতে। ১ টার পরে আজ আর তার ক্লাস নেই।
    ক্লাস শেষ করে অধ্যক্ষার ঘরে বসে তিনি কাজ করছিলেন ।' মাতাজি' ডাক শুনে তাকিয়ে দেখেন পিওন বিনোদ বাবু দাড়িয়ে আছেন দরজার সামনে। বলুন বিনোদ বাবু।
    আপনার সাথে দু জন দেখা করতে এসেছেন মাতজি।
    হ্যা পাঠিয়ে দিন।
    বিনোদ বাবু চলে যান।
    ভিতরে প্রবেশ করে অরুনাভ আর রিনি।

    ওহ!! কত বছর বাদে অরুনাভ কে দেখলো। এখনো সেরকম দেখতে আছে।তবে কিছু ভারি হয়েছে,আর কপলে দেখা যাচ্ছে কিছু রুপালি রেখা। রিনি একদম বাবার মত হয়েছে।
  • dipu | 59.164.99.27 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:৩৩416881
  • তেকেনা অতি চমৎকার লেখেন :-)
  • d | 117.195.32.148 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:৩৫416883
  • হুঁ বড্ড বড্ড ভাল লেখেন তেকেনা।
    এদিকে সেই "একলষেঁড়ে টোল' পড়ে থেকে আমার মনে হচ্ছে সে 5.5 না 6?
  • Samik | 12.170.106.12 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:৩৫416882
  • সে ছিল আমার প্রথম প্রেমিকা, প্রথম কবিতা সে-ই শেখায়...

    দ্বিধাথরোথরো শুনে মনে পড়ে গেল কবিতাটা, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা। আজ রাতে বাড়ি ফিরে টুকে দেবো। খুব জোর কবিতাটা পেয়ে গেল।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:৫১416884
  • তেকোনাকে কিছু একটা দিলে হয় না?

    তেকোনা, এক বছরের খাগের কলম স্পনসর করলাম।
  • Du | 65.124.26.7 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ২১:৫৮416886
  • চমৎকার লেখা - পাড় ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুটছে কেমন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন